
সেই জিএসএল জয় দিয়ে শুরু, এরপর বিপিএলে রেকর্ড টানা ৮ ম্যাচ জেতা রংপুর রাইডার্স প্রায় অজেয়ই হয়ে উঠেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের জয়রথ থামল, তাও আসরের অন্যতম অধারাহিক দল দুর্বার রাজশাহীর কাছে। ইয়াসির আলির ফিফটির পরও রংপুরের বোলাররা প্রতিপক্ষকে আটকে দিয়েছিলেন নাগালের মধ্যে থাকা স্কোরেই। অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে সাইফ হাসান ও নুরুল হাসান সোহান লড়াই করলেন বটে, তবে এই দফায় আর পারলেন না জেতাতে। রাজশাহী পেল উজ্জীবিত এই জয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৩১তম ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা রংপুরকে ২৪ রানে হারিয়েছে রাজশাহী। ১৭১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সোহানের দল থেমেছে ১৪৬ রানেই।
আরও পড়ুন
| রংপুরকে ভুলতে বসা হারের স্বাদ দিল রাজশাহী |
|
এই ম্যাচ দিয়ে রংপুর একাদশে আসা ইরফান শুক্কুর নেমেছিলেন ওপেন করতে। তবে সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন এই কিপার-ব্যাটার। প্রথম ওভারেই তাকে বোল্ড করেন রাজশাহী অধিনায়ক তাসকিন। আরেক ওপেনার স্টিভেন টেলরও ফেরেন এক ডিজিটে।
তবে রংপুরকে বড় ধাক্কাটা দিয়ে একই ওভারে গোল্ডেন ডাকের তেতো অভিজ্ঞতা উপহার দিয়ে ইফতিখার আহমেদকেও শিকার বানান এসএম মেহেরব। মাত্র ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া রংপুরের হাল ধরার চেষ্টা করেন সাইফ। মোহর শেখকে হাঁকান হ্যাটট্রিক বাউন্ডারি।
তবে তাল মেলাতে পারেননি বল হাতে দারুণ দিন পার করা খুশদিল। পাকিস্তান অলরাউন্ডারের অবদান ছিল মাত্র ১৪ রান। সাব্বির হোসেনকে টানা দুই ছক্কা মেরে চল্লিশের ঘরে পা রাখা সাইফ ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে ক্রমেই চাপ সরাচ্ছিলেন।
তবে ফিফটি থেকে সাত রান দূরে থাকতে তাকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন শফিউল ইসলাম। ১৪ বলে ৮ রানের ইনিংসে রংপুরকে চাপে ফেলে সাজঘরের পথ ধরেন শেখ মাহেদি হাসান। ১৩ ওভারে বোর্ডে রান তখন মাত্র ৯১।
আরও পড়ুন
| ইয়াসিরের ঝড়ো ফিফটির পর রংপুরের ফাইটব্যাক |
|
সেখান থেকেই লড়াইয়ের শুরু সোহানের। পরপর দুই বলে মেহেরবকে ডিপ মিড উইকেট ও লং অন দিয়ে মারেন ছক্কা। দারুণ সব শটে রংপুর অধিনায়ক যেন ফিরিয়ে আনছিলেন ফরচুন বরিশাল ম্যাচের স্মৃতি, যেখানে তিনি শেষ ওভারে ২৬ রান নিয়ে জিতিয়েছিলেন দলকে।
তবে এবার আর পারেননি। বার্লের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় ৪১ রানে। ২৬ বলের ইনিংস সাজান ৪টি চার ও ২ ছক্কায়। ২ ছক্কা ও এক চারে সাইফউদ্দিন ২৩ রানের ক্যামিও খেলেন বটে, তবে জয়ের কাছাকাছিও তা নিতে পারেনি তার দলকে। ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে রাজশাহীর বোলিংয়ের সেরা অলরাউন্ডার বার্ল।
এর আগে একাদশে মাত্র দুই বিদেশী ক্রিকেটার নিয়ে নামা রাজশাহী শুরুটা ভালো করতে পারেনি সেভাবে। ১৯ রানে মোহাম্মদ হারিসের বিদায়ের পর রানের চাকা সচল রাখার কাজটা একাই এগিয়ে নেন সাব্বির হোসেন। এনামুল হক বিজয় রান করলেও সেটা ছিল ধীরলয়ে।
তবে সেটা বুঝতে দেননি সাব্বির। খেলেন মাত্র ১৯ বলে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস। এক ওভারেই তাকে ও রায়ান বার্লকেও ফিরিয়ে রংপুর শিবিরে হাসি ফোটান খুশদিল শাহ।
আরও পড়ুন
| লড়াকু ইনিংসেও খুলনাকে জেতাতে পারলেন না নাইম |
|
মাঝে কয়েক ওভার এরপর রানের গতি কমে এলেও সেটা দলটি কাটিয়ে ওঠে ইয়াসির আলির ব্যাটা চড়ে। মাত্র ২৭ বলে করেন ফিফটি। মাত্র ৩২ বলে তার ৬০ রানের ইনিংস শেষের পর ফের ধাক্কা খায় রাজশাহীর ইনিংস। শেষ চার ওভারে একের পর এক উইকেট হারিয়ে টেনেটুনে করতে পারে ৯ উইকেটে ১৭০, যা অবশ্য শেষ পর্যন্ত এনে দেয় দারুণ এক জয়।
No posts available.

রাত পোহালেই বক্সিং ডে টেস্ট। অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মেলবোর্নে নামার আগে চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ১২ সদস্যের স্কোয়াডে কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার না রেখে পেসনির্ভর দল গড়েছে স্বাগতিকরা। পিচের কন্ডিশন বিবেচনায় নিয়েই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
দলে ফিরেছেন স্টিভ স্মিথ। অসুস্থতার কারণে আগের টেস্টে খেলতে না পারা এই ব্যাটার এবার নেতৃত্বও দিচ্ছেন দলকে। ফিরেছেন ঝাই রিচার্ডসনও—২০২১ সালের পর এই প্রথম টেস্ট দলে জায়গা পেলেন তিনি। স্কোয়াডে রাখা হয়েছে প্রথম দুই টেস্টে খেলা ব্রেন্ডন ডগেট এবং গোলাপি বলের টেস্টে অংশ নেওয়া মাইকেল নেসারকেও।
গত টেস্টে স্মিথের জায়গায় সুযোগ পেয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখানো উসমান খাজা দলে নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন। তবে জায়গা হয়নি জশ ইংলিসের। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স পিঠের সমস্যার কারণে আবারও ছিটকে গেছেন, আর পেসার জশ হ্যাজলউড পুরো সিরিজ থেকেই বাইরে।
এদিকে অফ-স্পিনার নাথান লায়ন অ্যাডিলেডে তৃতীয় টেস্টে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে সিরিজ থেকেই ছিটকে পড়েছেন। তার পরিবর্তে স্কোয়াডে ডাকা হয়েছে টড মারফিকে, যদিও শেষ পর্যন্ত একাদশে কোনো স্পিনার না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে স্টিভ স্মিথ বলেন,
“পিচে ভালো পরিমাণ ঘাস আছে। আমার ধারণা, উইকেটটি যথেষ্ট সহায়তা দেবে। আবহাওয়াও ঠান্ডা ও মেঘলা থাকতে পারে। এসব মিলিয়ে পেসারদের জন্য কন্ডিশন খুবই সহায়ক হবে। এমন পরিস্থিতিতে সিম বোলারদের সামলানো ব্যাটারদের জন্য কঠিন হবে।”
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ইতোমধ্যে ৩–০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে অ্যাশেজ নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
চতুর্থ টেস্টের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ১২ সদস্যের দল:
ট্রাভিস হেড, জেক ওয়েদারল্ড, মার্নাস ল্যাবুশেন, স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), উসমান খাজা, অ্যালেক্স কেরি (উইকেটকিপার), ক্যামেরন গ্রিন, মিচেল স্টার্ক, স্কট বোল্যান্ড, ব্রেন্ডন ডগেট, মাইকেল নেসার ও ঝাই রিচার্ডসন।

বিপিএলের ১২তম আসরের ঠিক আগে মুর্হূতে টেকনিক্যাল কমিটিতে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ বৃহস্পতিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনের পরিবর্তে আরেক সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে টেকনিক্যাল কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দেয় বিসিবি।
আজ দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম রয়্যালস ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে নাম সরিয়ে নেয় মালিকপক্ষ—ট্রায়াঙ্গুল সার্ভিস। নিয়ম অনুযায়ী, ফ্র্যাঞ্চাইজিটির দায়িত্বভার গ্রহণ করে বিসিবি। সেই প্রেক্ষাপটেই দলটির মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় টেকনিক্যাল কমিটিতে থাকা হাবিবুল বাশারকে।
চট্টগ্রাম রয়্যালসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় টেকনিক্যাল কমিটিতে থাকা সম্ভব না হওয়ায় হাবিবুল বাশারের জায়গায় মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে অন্তর্ভুক্ত করে বিসিবি। অভিজ্ঞ এই সাবেক অধিনায়কের যুক্ত হওয়ায় টেকনিক্যাল কমিটির কাজ আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করছে বোর্ড।
বিপিএল ১২তম আসরের টেকনিক্যাল কমিটি—
আহ্বায়ক: এএসএম রকিবুল হাসান
পদাধিকারবলে সদস্য: ইফতেখার রহমান
সদস্য: মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও অভি আবদুল্লাহ আল নোমান

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী দিনেই রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে মাঠে নামছে সিলেট টাইটান্স। আগামীকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের নেতৃত্ব দেবেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রতিপক্ষ দলে অধিনায়ক তাঁরই জাতীয় দলের সতীর্থ ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু নাজমুল হোসেন শান্ত—যা ম্যাচটিকে এনে দিয়েছে বাড়তি রোমাঞ্চ।
উদ্বোধনী ম্যাচের আগের দিন বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সিলেটকে শিরোপা জেতানোর স্বপ্নের কথা খোলাখুলি জানালেন মিরাজ। তার ভাষায়, বহুবার অংশ নিয়েও এখনো বিপিএলের শিরোপার স্বাদ পায়নি সিলেট—সেই আক্ষেপটাই ঘোচাতে চান তিনি।
মিরাজ বলেন, “চ্যাম্পিয়ন হওয়া অনেক দূরের বিষয়। সামনে এখনও ১০টা ম্যাচ, তারপর টপ র্যাঙ্কিং, সেমিফাইনাল, ফাইনাল—অনেক ধাপ পেরোতে হবে। তবে প্রত্যেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজিরই স্বপ্ন থাকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। আমারও স্বপ্ন সিলেটকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন করা। যদি সেটা আমার নেতৃত্বেই সম্ভব হয়, তাহলে অবশ্যই সেটা দারুণ একটা অনুভূতি হবে।”
নিজের ব্যাটিং পজিশন নিয়েও কথা বলেন সিলেট অধিনায়ক। দলীয় প্রয়োজনে যেকোনো জায়গায় ব্যাট করতে তিনি প্রস্তুত—সে কথাও স্পষ্ট করে দেন।
তিনি বলেন, “দলের জন্য যেখানে খেলাটা সবচেয়ে দরকার, আমি সেখানেই খেলতে চাই,” বলেন মিরাজ। “গত মৌসুমে শুরু থেকেই টপ অর্ডারে খেলিনি। পরে দলের কম্বিনেশন দেখে বুঝেছি উপরে একটু ঘাটতি আছে, তখন ওপরে ব্যাটিং করেছি। এবারও পরিস্থিতি অনুযায়ী এমনটা হতে পারে। আমি নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করছি।”
বন্ধুত্বের বাইরে রেখে মাঠে নামার প্রস্তুতি দুই অধিনায়কেরই। তবে উদ্বোধনী ম্যাচে মিরাজের লক্ষ্য একটাই—নিজের মাঠে, নিজের দর্শকের সামনে সিলেটকে জয়ের পথে এগিয়ে রাখা।

জাতীয় দল হোক বা বিপিএল— টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একরকম ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বিপিএলের ১১তম আসরে ফরচুন বরিশালের হয়ে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। একই চিত্র জাতীয় দলের টি–টোয়েন্টি দলেও—নিয়মিত থাকা তো দূরের কথা, সুযোগই কম মিলেছে তাঁর।
গত আসরে বিপিএলে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ খেলেছিলেন শান্ত। গড় ছিল মাত্র ১১.২, রান করেছেন ৫৬। জাতীয় দলের হয়ে টি–টোয়েন্টিতে সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন চলতি বছরের ১৯ মে। তবে নতুন মৌসুমে নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে তাঁর। বিপিএলের ১২তম আসরে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের দায়িত্ব পেয়েছেন শান্ত। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আগামীকাল বিপিএল অভিযান শুরু করবে রাজশাহী। ম্যাচের আগের দিন সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত স্পষ্ট করলেন—ব্যক্তিগত লক্ষ্য নয়, সবার আগে দল।
শান্ত বলেন,
‘রাজশাহী দলটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগে টিমকে প্রাধান্য দিতে চাই। লক্ষ্য একটাই—আমি কীভাবে রাজশাহীর জন্য অবদান রাখতে পারি।’
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স আর জাতীয় দলের স্বপ্ন—দুটোই যে তার ভাবনায় আছে, সেটিও আড়াল করলেন না রাজশাহীর অধিনায়ক।
তিনি বলেন,
‘ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি সবদিক দিয়েই অবদান রাখতে চাই। রাজশাহীর হয়ে ভালো করতে পারলে সামনে বিশ্বকাপের সুযোগ তৈরি হতে পারে। তবে সেটা নির্বাচক ও ম্যানেজমেন্ট দেখবেন। আমার কাজ একটাই—নিয়মিত পারফর্ম করা।’
শান্তর মতে, টি–টোয়েন্টিতে টিকে থাকার মূল চাবিকাঠি ধারাবাহিকতা।
তিনি বলেন,
‘প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কনসিস্ট্যান্টলি রান করা। এপ্রোচ নিয়ে কাজ হচ্ছে, তবে আমি ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বাস করি—প্রতিদিন একইভাবে ব্যাটিং করার দরকার নেই। সব সময় বেশি স্ট্রাইক রেট বা মারমুখী ব্যাটিংই সমাধান নয়। কন্ডিশন আর ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে যেভাবে ব্যাটিং করা দরকার, সেভাবেই খেলতে হবে।’
আইপিএল বা পিএসএলে নির্দিষ্ট খেলোয়াড় মানেই নির্দিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি—চেন্নাই মানেই মহেন্দ্র সিং ধোনি। অথচ বিপিএলে গত তিন মৌসুমে তিনটি ভিন্ন দলে খেলেছেন শান্ত। ভবিষ্যতে কি তিনি একটি নির্দিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক চান?
এই প্রশ্নের উত্তরে শান্ত বলেন,
‘এটা হলে অবশ্যই ভালো। এতে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের জন্য যেমন সুবিধা, তেমনি বিপিএলের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্যও ইতিবাচক। তবে বাস্তবতা হলো—প্লেয়াররা যেখানে বেশি সুযোগ আর পারিশ্রমিক পাবে, সেখানেই খেলবে।’
বিপিএলের মঞ্চে আপাতত শান্তর সামনে একটাই লক্ষ্য—রাজশাহীর হয়ে নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করা। তবে কথার ফাঁকে ফাঁকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে আরেকটি আকাঙ্ক্ষা—ভালো বিপিএল মানেই বিশ্বকাপের পথে ফেরার আশা।

সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। ছয় দলের অংশগ্রহণে আগামীকাল থেকে শুরু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসর। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা ছেড়ে দেয় ট্রায়াঙ্গুল সার্ভিস। আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হয় আলোচনা ও সমালোচনা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবির পরিচালনায় এবার বিপিএলে অংশ নেবে বন্দর নগরীর দল চট্টগ্রাম রয়্যালস। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে—নিলামে চড়া দামে বিক্রি হওয়া ক্রিকেটাররা আদৌ তাদের পুরো পারিশ্রমিক পাবেন কি না।
এ নিয়ে খেলোয়াড়দের আশ্বস্ত করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু।
মিঠু বলেন, ‘খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে আলোচনা করা হয়েছে। ব্যাপারটা খুবই সহজ। নিলামে যা হয়েছে, তার পুরো দায়ভার নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্টদের যে পাওনা রয়েছে, তা পরিশোধ করা হবে। আর্থিক দিক থেকেও কোনো সমস্যা নেই। ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্ট্রুমেন্টের মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা নিশ্চিত করা হয়েছে।’
এই অর্থ বিসিবি নিজের কাছে রাখবে নাকি ফেরত দেওয়া হবে—এমন প্রশ্নের উত্তরে মিঠু বলেন, ‘লিগ্যাল ডিপার্টমেন্টের মতামত পাওয়ার পর বিষয়টি জানানো হবে। কারণ এটি পুরোপুরি আইনগত বিষয়। দল পরিচালনার সক্ষমতা না থাকলে ফ্র্যাঞ্চাইজি কেন নেওয়া হলো—সেই প্রশ্নও আছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষভাবে নাইম শেখের পারিশ্রমিক প্রসঙ্গ হলে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব স্পষ্ট করে জানান, জাতীয় দলের এই ওপেনার শতভাগ অর্থই পাবেন।
২০২৫–২৬ বিপিএলের নিলামে হিসাব বদলে দিয়েছেন নাইম। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে কোটি টাকার বেশি দামে বিক্রি হয়েছেন তিনি। নিলামের প্রথম বিডেই জাতীয় দলের এই ব্যাটারকে দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম রয়্যালস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাইমের পরিসংখ্যান খুব উজ্জ্বল না হলেও সাম্প্রতিক বিপিএল পারফরম্যান্সই বদলে দিয়েছে তাঁর মূল্যায়ন। জাতীয় দলের জার্সিতে ৩৮টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচে ৮৬০ রান করেছেন তিনি, গড় ২৩.৮৮। বিপিএলে তার গড় কিছুটা ভালো—২৭.৯৪।
২০২৪–২৫ মৌসুমে নিজের ব্যাটেই নতুন পরিচয় গড়েছেন নাইম। ১১তম আসরে তিনি করেন ৫১১ রান—যা ছিল টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ। একটি সেঞ্চুরি ও তিনটি অর্ধশতকের ধারাবাহিকতায়ই নিলামে চট্টগ্রামের আস্থার প্রতিদান পেয়েছেন এই ওপেনার।