যখন নেমেছিলেন, ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে যাওয়ার পথেই ছিল ফরচুন বরিশাল। ইনিংসের শুরু থেকেই ছন্দেও ফাহিম আশরাফ। তবে দ্রুতই বদলে যায় চিত্র। তিনি ও মাহমুদউল্লাহ মিলে তাণ্ডব বইয়ে দেন দুর্বার রাজশাহীর বোলারদের ওপর দিয়ে। দুজনেই করেন ফিফটি, যা খাদের কিনারা থেকে বরিশালকে এনে দেয় অবিশ্বাস্য এক জয়। ফাহিম মনে করেন, ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর উপস্থিতি তার কাজটা অনেক সহজ করে দিয়েছিল।
১৯৮ রান তাড়ায় ফাহিম নেমেছিলেন যখন, বোর্ডে রান মোটে ৬ উইকেটে ১১২। ওভার প্রতি ১৩-১৪ রান দরকার সেই সময়ে। তবে দুই প্রান্ত থেকে মাহমুদউল্লাহ ও ফাহিমের সম্মিলিত আগ্রাসনে ১১ বল হাতে রেকেই জিতে যায় বরিশাল। জুটিতে আসে অপরাজিত ৮৮ রান। ফাহিম ৭ ছক্কা ১ চারে করেন ৫৪ রান।
আরও পড়ুন
টানা ৩ ফিফটিতে অবিশ্বাস্য গড় নিয়েই সিরিজ শেষ করলেন মাহমুদউল্লাহ |
![]() |
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে ফাহিম মুগ্ধতা প্রকাশ করলেন মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে। “প্রথমত, মাহমুদ ভাই একটা ম্যাজিক। ক্রিজে যাওয়ার পর আমার সাথে তার প্রথম যখন কথা হল, আমি জিজ্ঞেস করলাম যে, ‘কী হচ্ছে?’ উনি আমাকে বললেন, ‘শুধু টিকে থাকো।’ এই রকম অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকলে ব্যাপারটা ভালো। অনুপ্রাণিত হওয়া যায়। চাপ সামাল দেওয়া যায়। তখন সব কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়।”
‘শুরুতে আমরা ভেবেছি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে। কাজেই খুব সাধারণ পরিকল্পনা ছিল আমাদের। আমরা বড় কিছু চিন্তা না করে ২ ওভার করে ভালো করার চেষ্টা করেছি। সেভাবে এগিয়েই চেয়েছি ম্যাচটা জিততে।’
রাজশাহীর বড় স্কোর গড়ার পথে ভূমিকা রাখেন এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলি। এই দুজনও করেন ফিফটি। আর সেটাই দলটিকে এনে দেয় প্রায় ২০০ ছুঁইছুঁই স্কোর। বরিশালের জন্য তাই কাজটা কঠিনই ছিল। কারণ, তাদের ধারণায় ছিল উইকেট আরও বেশ কম রানের। তবে বরিশালের ইনিংসের দ্বিতীয় ভাগে উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ সহজ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন
মাহমুদউল্লাহর হ্যাটট্রিক ফিফটি, রান পাহাড়ে বাংলাদেশ |
![]() |
কঠিন ম্যাচ হেসেখেলে জয়ের পেছনে তাই উইকেটের আচরণেরও একটা প্রভাব দেখছেন ফাহিম। “শুরুতে আমি ভেবেছিলাম, এটা হয়ত ১৫০ থেকে ১৬০ রানের উইকেটই হবে। তবে পরে স্লো বল ধরছিল না। মনে হচ্ছিল ১৭০ রানের উইকেট। ইয়াসির এবং এনামুল দারুণ খেলেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট আরও ভালো হয়েছে। প্রথম ইনিংসে উইকেট নরম ছিল, পরে শক্ত এবং শুকনা হয়ে গেছে।”
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫:১০ পিএম
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩:২২ পিএম
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২:১২ পিএম
চিটাগং কিংসকে হারিয়ে ফরচুন বরিশালের টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিপিএল ২০২৫। মাঠের ক্রিকেটে এবারের আসরটি উপহার দিয়েছে রোমাঞ্চকর সব মূহুর্ত। ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়েছেন মূলত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাই। তাতে হয়েছে অনেক রেকর্ড, আর পরিসংখ্যান হয়েছে সমৃদ্ধ।
চলুন দেখে নেওয়া যাক এবারের দারুণ কিছু সংখ্যার মাধ্যমে :
৭১৫ : মোট ছক্কা
১১৬৮ : মোট বাউন্ডারি
৪১৫ : এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান (রংপুর রাইডার্স-সিলেট স্ট্রাইকার্স)
২৫৪ : সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর (ঢাকা ক্যাপিটালস, প্রতিপক্ষ দুর্বার রাজশাহী)
১৪৯ : রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় (ঢাকা ক্যাপিটালস, প্রতিপক্ষ দুর্বার রাজশাহী)
৯ : উইকেটের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় (ফরচুন বরিশাল ২ বার, খুলনা টাইগার্স ১ বার)
৮১ : বলের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয় (ফরচুন বরিশাল, প্রতিপক্ষ ঢাকা ক্যাপিটালস)
৫১১ : সর্বোচ্চ রান (নাঈম শেখ)
১২৫* : সর্বোচ্চ একক স্কোর (লিটন দাস)
৭৩:২৫ গড় : সর্বোচ্চ গড় (রায়ান বার্ল)
২৩১.৮১ : সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট (ফাহিম আশরাফ)
৪ : সর্বোচ্চ ফিফটি (তানজিদ হাসান তামিম)
৩ : সর্বোচ্চ ডাক (আজিজুল হাকিম তামিম)
৩৬ : সর্বাচ্চ ছক্কা (তানজিদ হাসান তামিম)
৯ : ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কা (সাব্বির রহমান)
৪৫৭.১৪ : এক ইনিংসে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট (নুরুল হাসান সোহান)
২৬ : সর্বোচ্চ উইকেট (তাসকিন আহমেদ)
৭/১৯ : সেরা বোলিং ফিগার (তাসকিন আহমেদ)
৪.৫৭ : সেরা ইকোনমি রেট (নাইম ইসলাম)
৬.৪০ : সেরা গড় (নাইম ইসলাম)
৬৪ : ব্যয়বহুল বোলিং ফিগার (সাদিরা সামারকুন)
১৪ : সর্বোচ্চ ডিসমিসাল (মুশফিকুর রহিম)
১৩ : সর্বোচ্চ ক্যাচ (আরিফুল হক)
২৪১ : সর্বোচ্চ রানের জুটি (লিটন দাস-তানজিদ হাসান)
১৯৫/৭ : স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির ফাইনালে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড (ফরচুন বরিশাল, প্রতিপক্ষ চিটাগং কিংস)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে যারা সমানতালে খেলেন, তাদের জন্য সারা বছরের বিশ্রামের ফুরসত কমই মেলে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়রাও তার ব্যতিক্রম নন। দেড় মাস ব্যাপী চলা বিপিএল ২০২৫ শেষ হওয়ার ঠিক পরদিনই যে শুরু হয়ে গেল জাতীয় দলের ক্যাম্প।
চলতি মাসেই পাকিস্তান ও দুবাইয়ে বসবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বিপিএল চলমান থাকায় এতদিন দলীয় অনুশীলন শুরু করাটা সম্ভব হয়নি। তবে এর মাঝেও কয়েকজন খেলোয়াড় ব্যক্তিগতভাবে কাজ করেছেন সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সাথে। তাদের মধ্যে রয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, তানজিদ হাসান তামিম ও তানজিম হাসান সাকিবরা।
শুক্রবার রাতে ফরচুন বরিশালের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এবারের বিপিএল। সেই আমেজ না কাটতেই শনিবার মিরপুরে শুরু হয়েছে জাতীয় দলের অনুশীলন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সৌম্য সরকার, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিদ, তানজিম সহ অনেকেই।
তবে স্বাভাবিকভাবেই শনিবার দেখা যায়নি বিপিএলের ফাইনালে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দের। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফরচুন বরিশালের মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, রিশাদ হোসেনরা।
কোচদের মধ্যে অবশ্য প্রথম দিনেই হাজির হয়েছেন সবাই। প্রধান কোচ ফিল সিমন্স, পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস, সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ছাড়াও ছিলেন স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদও, যার দলের সাথে যোগ দেওয়ার কথা ছিল দুবাইয়ে।
সব ঠিক থাকলে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ দলের দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে। তার আগে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মিরপুরে চলবে টানা অনুশীলন। দুই দিন রাখা হয়েছে ফ্ল্যাডলাইটের আলোয় অনুশীলন।
গত বছরের শেষের দিকে ক্যারিবিয়ান সফরে ছিলেন না দলের। এক সিরিজ বিরতির পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাথে আবার যোগ দিয়েছেন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। পাকিস্তানের এই স্পিন গ্রেট বাংলাদেশ দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম দিনের অনুশীলনেই যোগ দিয়েছেন।
মুশতাক সবশেষ বাংলাদেশ দলের সাথে কাজ করেছেন দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। এর আগের সিরিজ, অর্থাৎ ভারত সফরে আবার তাকে পাননি রিশাদ-তাইজুলরা। তবে এবার পাকিস্তানে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে রেখে আগেভাগেই দলের সাথে যোগ দিলেন মুশতাক।
শুরুতে তার দলের সাথে দুবাইয়ে সরাসরি যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও শনিবার থেকে মিরপুরে শুরু হওয়া অনুশীলনে হাজির হন তিনি। কোচিং প্যানেলের অন্যরাও সবাই ছিলেন উপস্থিত। প্রধান কোচ ফিল সিমন্স, পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস, সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনরাও দলের সাথে ছিলেন শুরু থেকেই।
উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়েই মুশতাকের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে বিসিবির। একই সময়ে মেয়াদ শেষ হবে প্রধান কোচ সিমন্সেরও। দুজনের সাথেই চুক্তির মেয়াদ নবায়ন নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরই সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি।
দাবিটা চলে আসছে বিপিএলের একদম শুরু থেকেই। একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ ধরে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের হাতে দল দিয়ে দেওয়ার সেই আহ্বান বারবার শোনা গেলেও এখনও তা আর বাস্তবে রুপ নেয়নি। প্রতি আসরেই তাই থাকে শঙ্কা-অনিশ্চয়তা। দল আসে নতুন, বাদ হয়ে যায় আগের মালিকানা। এই চিত্রের পরিবর্তন দেখতে চান তামিম ইকবাল। অভিজ্ঞ এই ওপেনার মনে করেন, আইপিলের মত বিপিএলেও লম্বা সময়ের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়া উচিত।
তামিমের এমন মন্তব্য এসেছে সদ্য সমাপ্ত আসরকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এবারই প্রথম বিপিএলে অংশ নেয় ঢাকা ও রাজশাহীর নতুন মালিকানার দল। চিটাগং কিংস এবার ফিরেছে ১১ বছর বাদে। আবার টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবার অংশই নেয়নি। বিশ্বের শীর্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলের দিকে তাকালে দেখা যায়, সেই প্রথম আসর থেকে নির্দিষ্ট কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলছে নিয়মিতভাবে। আবার খেলোয়াড়দের নিলামে তোলা হলেও দলগুলো চাইলেই পারে পুরনোদের ধরে রাখতে।
তবে বিপিএলে প্রতিটি আসর শুরুর আগে খেলোয়াড়রা থাকেন অনিশ্চয়তায় যে এবার কোন দলে খেলবেন। বিপিএল ২০২৫-এর ফাইনালের পর তামিম দিয়েছেন সমাধানের পথ। “আমার কাছে মনে হয়, এই যে আমরা এত কষ্ট করে একটা ফ্যানবেজ তৈরি করেছ… ঠিক এই জিনিসটাই কিন্তু প্রথম বিপিএল থেকে সবাই চাইছে। প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজির যাতে একটা ফ্যানবেজ তৈরি হয়। এখন যদি আইপিএলের উদাহরণ দিই, সেখানে এই নিয়মটা কিন্তু কখনো বদলে যায় না। সেখানে দএর মূল খেলোয়াড়রা কিন্তু একই রাখে। আমি মানছি যে তিন বছরের একটা চক্র শেষ হয়ে গেছে, সামনে হয়ত আবার পাঁচ বছরের চক্র আসবে। কিন্তু এই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আসল ক্রিকেটারদের ধরে রাখার একটা সুযোগ তো অবশ্যই দেওয়া উচিত। নাহলে এতদিন ধরে আপনি যে পুরো জিনিসটা গড়ে তুলেছেন, সেটা তো নষ্ট হয়ে যাবে। ৫-৬ এমনকি অন্তত চারজন খেলোয়াড়ও যদি ধরে রাখার সুযোগ রাখা হয়, তাহলে ফ্র্যাঞ্চাইজির ফ্যানবেজটা আরও বড় হবে।”
রংপুর, বরিশাল ও খুলনাই এই মুহূর্তে তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি, যারা অনেকটা সময় ধরে একটা ধারা বজায় রেখে নিয়মিতভাবে বিপিএলে অংশ নিচ্ছে। পেশাদারভাবে দল পরিচালনা করা থেকে শুরু করে বছরব্যাপী নানাভাবে তাদের দেখা যায় সক্রিয় থাকতে। তবে প্রতি বছর নিয়ম বদলে যাওয়ায় চাইলেও অনেক খেলোয়াড়দের ধরে রাখা যায় না। এই বছরই আবার বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে তিন বছরের চক্রের স্বত্বের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আগামী আসর থেকে তাই শুর করতে হবে অনেকটা নতুন করেই।
তামিম মনে করেন, একজন খেলোয়াড়কে যেন চাইলেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ধরে রাখতে পারে, সেই সুযোগ রাখা উচিত হবে। “আমি আশা করব যখনই তারা পরের বছরের জন্য নিয়মকানুনগুলো করবেন, তখন যেন এসব বিষয় মাথায় থাকে। সমস্যা যেটা হয়, দলের মালিকানাই বদল হয়ে যায়। তবে এরপরও দল তো একই থাকছে। মালিক বদলালেও খেলোয়াড় রিটেইন করার সুযোগটা রাখা উচিত। এরপর কেউ যদি মনে করে তারা সেটা করবে না, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।”
বরিশাল ও রংপুর এই মুহূর্তে বিপিএলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি। তামিমের মতে, এই ধরণের পেশাদার ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সমর্থন দেওয়া উচিত সবার। “আমি মনে করি বিসিবির উচিত এই ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের পাশে থাকা। কারণ, উনারাই কিন্তু বিপিএলকে বদলে দিতে পারবেন। শুধু বিপিএল না, উনারা যদি ক্রিকেটের সাথেও থাকেন, আমি মনে করি তাতে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভালো করবে।”
সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দেখেছে ইতিহাসের অন্যতম সেরা দর্শক সমাগম। মাঠের ক্রিকেটও ছিল দুর্দান্ত। তবে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়ে বেশ কিছু ঘটনা ভুল কারণে বারবার শিরোনামে এনেছে বিপিএলকে। টুর্নামেন্ট শেষ হতেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, অংশগ্রহণকারী সব খেলোয়াড়দের তাদের প্রাপ্য অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
শনিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিসিবি বিপিএল প্লেয়ার ড্রাফট থেকে স্বাক্ষরিত সব আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ের চুক্তির অর্থ এবং ম্যাচ ফি-এর জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং সময়োপযোগী ও স্বচ্ছ অর্থ প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
এছাড়া নিজ নিজ ফ্র্যাঞ্চাইজির খেলা শেষের পরপরই বিদেশী খেলোয়াড়দের তাদের গন্তব্যগুলোতে মসৃণ প্রত্যাবর্তনের জন্য সমস্ত লজিস্টিকাল ব্যবস্থা তদারকি করবে বিসিবি।
পাশাপাশি বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিসিবি বিপিএলের সাত ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে কঠোর আর্থিক প্রোটোকল স্থাপন, খেলোয়াড়দের স্বার্থ রক্ষার জন্য এবং অর্থ প্রদানের প্রক্রিয়াগুলোকে সহজতর করার জন্য নিবিড়ভাবে সহযোগিতা করবে।
এই প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ তুলে ধরেছেন তাদের অবস্থান।
“এই উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে বিসিবি বিপিএলের অখণ্ডতা বজায় রাখা এবং দেশী ও আন্তর্জাতিক সব খেলোয়াড়ের জন্যই একটি পেশাদার অভিজ্ঞতা প্রদানের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার দিকে নজর রাখবে। লিগের অপারেশনাল এবং আর্থিক দিকগুলি শক্তিশালী করতে বিসিবি সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সাথে একত্রে কাজ করবে।”