৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১:৩৩ পিএম
নিষেধাজ্ঞা যে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পাবেন তা নিশ্চিতই ছিল। তবে সেটা কয় ম্যাচের জন্য হয় সেদিকেই ছিল নজরটা। গেল শুক্রবার লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়া গোলকিপার স্তোল দিমিত্রিয়েভস্কিকে ধাক্কা দিয়ে লাল কার্ড দেখেন ভিনিসিয়ুস। যার শাস্তি হিসেবে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন রিয়াল ফরোয়ার্ড। সেই সাথে গুনতে হচ্ছে জরিমানাও।
মঙ্গলবার ভিনিসিয়ুসকে এ শাস্তি দিয়েছে রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ)।
নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি জরিমানাও গুনতে হচ্ছে ভিনিসিয়ুসকে। তবে জরিমানার পরিমাণটা ভিনিসিয়ুসের চেয়ে রিয়ালেরই বেশি। মাদ্রিদের ক্লাবটিকে জরিমানা করা হয়েছে ৭০০ ইউরো আর ভিনিসিয়ুসের ক্ষেত্রে সেটা ৬০০ ইউরো।
আরও পড়ুন
শীতকালের দলবদলে রিয়াল মাদ্রিদের যত পরিকল্পনা |
![]() |
রিয়াল সমর্থকরা অবশ্য শঙ্কার সঙ্গেও স্বস্তি পাবেন এটা জেনে যে, ভিনিসিয়ুসের নিষেধাজ্ঞাটা কেবল লিগ ম্যাচের ক্ষেত্রেই রেখেছে আরএফইএফ। তাতে বৃহস্পতিবার রাতে স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালে মায়ার্কোর সাথে খেলতে বাধা নেই ব্রাজিলিয়ান তারকার। তবে লা লিগায় লাস পালমাস ও রিয়াল ভায়োদোলিদের বিপক্ষে ম্যাচে পাওয়া যাবে না ভিনিকে।
এই শাস্তিতে একদম খুশি নয় রিয়াল। স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে ভিনিসিয়ুসের শাস্তির বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এর আগে লাল কার্ড নিয়ে অসুন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। এটি যে লাল কার্ড ছিল না সেটাই বারবার সংবাদ সম্মেলনে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
অবশ্য নিজের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য ভিনিসিয়ুস ম্যাচ শেষে দুঃখিত হয়েছিলেন সমর্থকদের কাছে। তবে তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। শাস্তিটা শেষ পর্যন্ত পেতেই হয়েছে ২৪ বছর বয়সী এই তারকাকে।
আরও পড়ুন
সবচেয়ে বেশি খেলেছেন কুন্দে, তালিকায় আছেন রিয়াল-লিভারপুল ফুটবলারও |
![]() |
No posts available.
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২:১৩ পিএম
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫০ পিএম
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৩ এম
ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে হারের দিনে লাল কার্ডও দেখেছেন দিয়েগো সিমিওনে। খেলার শেষ দিকে এক দর্শকের সঙ্গে তর্কে জড়ানোয় ডাগআউট থেকে বাইরে পাঠিয়ে দেন ম্যাচ রেফারি। তবে আতলাতিকো মাদ্রিদ কোচের দাবি, গ্যালারি থেকে তাকে ৯০ মিনিট টানা অপমান করা হয়েছে।
অ্যানফিল্ডে বুধবার রাতের ম্যাচে লিভারপুলের কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে আতলাতিকো। ৬ মিনিটের মধ্যে দুই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়েছিল তারা। সেখান থেকে দুই গোল ফেরত দিয়ে ম্যাচে সমতা ফেরায় সিমিওনের দল।
পরে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ভার্জিল ফন ডাইকের গোলে উল্লাসে মাতে স্বাগতিক দর্শকরা। তখনই ডাগআউটের পাশে টেকনিক্যাল এরিয়ার পেছনে এক দর্শকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সিমিওনে।
নিরাপত্তাকর্মীরা দৌড়ে এসে সিমিওনেকে আটকানোর চেষ্টা করেন। তবু শান্ত হচ্ছিলেন না আর্জেন্টাইন এই কোচ। শেষ পর্যন্ত তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন ইতালিয়ান ম্যাচ রেফারি মাউরিজিও মারিয়ানি।
ম্যাচ শেষে এই ঘটনায় মুখ খোলেন সিমিওনে।
“ম্যাচজুড়ে অপমান করা হচ্ছিল। তবে হ্যাঁ, আমার এখানে শান্ত থাকতে হতো এবং সবকিছু সইতে হতো। লিভারপুল বলছিল ভালো একটি ম্যাচের কথা। কিন্তু তারা পেছন থেকে পুরো ম্যাচে অপমানসূচক কথাবার্তা বলেছে। তবু আমার শান্ত থাকতে হবে। কারণ আমি কোচ।”
“অপমানের প্রতিবাদে আমার প্রতিক্রিয়া একদমই ন্যায়সঙ্গত নয়। তবে আপনারা হয়তো জানেন না, ৯০ মিনিট ধরে অনবরত অপমানজনক কথাবার্তা শোনা আসলে কেমন।”
তবু কোচ হিসেবে আরও সংযত থাকা উচিত ছিল মনে করেন সিমিওনে।
“তারা ঠিক কী বলেছে, সেই আলোচনায় আমি যাব না। আমাকে নিজের জায়গায় থাকতে হবে। কোচের পেছনে কী কী কথা হয় সবই আমি জানি। তবে একজন কোচ হিসেবে প্রতিক্রিয়া দেখানো খুব ভালো ব্যাপার নয়। তাই নয়?”
ক্লাব বদলানোর সব গুঞ্জন উড়িয়ে ইন্টার মায়ামিতেই থাকছেন লিওনেল মেসি। শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির সঙ্গে একাধিক বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করবেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
খেলাধুলার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএনের প্রতিবেদনে জানা গেছে এই খবর। ক্লাবের সঙ্গে মেসির চুক্তি নবায়নের সব কিছুই প্রায় চূড়ান্ত। শেষ মুহূর্তের কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে।
সুত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, সব কিছু শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার পর অতি দ্রুত নতুন চুক্তি সাক্ষর করবেন মেসি। এরপর সেটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে মেজর লিগ সকার (এমএলএস) কর্তৃপক্ষের কাছে।
এর আগে গত কিছু দিনে মেসির ক্লাব ছাড়া নিয়ে শোনা গেছে নানান গুঞ্জন। আর্জেন্টিনার কোনো ক্লাবে ফেরার গুঞ্জন ডালপালা মেলেছিল অনেক দূর। তবে মেসি জানিয়েছেন, মাঠ ও মাঠের বাইরে মায়ামির সঙ্গে আরও থাকতে চান তিনি।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে মায়ামির সঙ্গে আড়াই বছরের চুক্তি করেন মেসি। চলতি মৌসুমেই শেষ হবে এই চুক্তি।
ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর ছাপ রাখতে একদমই সময় নেননি মেসি। অভিষেকের সপ্তাহখানেকের মধ্যে মায়ামিকে নিজেদের প্রথম লিগস কাপ শিরোপা জেতান বিশ্ব তারকা। পরে গত বছর এক মৌসুমে সর্বোচ্চ পয়েন্টের রেকর্ড গড়ে সাপোর্টার্স শিল্ড জিতেছিল মায়ামি।
এখন পর্যন্ত ২০২৫ সালে মায়ামির জার্সিতে ৩৬ ম্যাচ খেলে ২৮ গোল ও ১৪টি অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি। চলতি বছর দলের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি।
প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সেরা ফরোয়ার্ডের সংক্ষিপ্ত তালিকায় মোহাম্মদ সালাহর নামটা উপরের দিকেই থাকবে। লিভারপুলের মিশরীয় এই তারকা ইংলিশ লিগটিতে বহু কীর্তি গড়েছেন।
এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অনন্য এক রেকর্ডে জায়গা করে নিলেন সালাহ। আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে গতকাল রাতে ৩-১ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্টে দারুণ ভূমিকা রাখেন এই ফরোয়ার্ড। নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে মাত্র ৬ মিনিটেই ২-০ এগিয়ে যায় লিভারপুল।
আর্নে স্লটের দলের প্রথম গোলটি আসে রবার্টসনের পা থেকে। সালাহর নিচু শটের ফ্রি-কিক অগোচরেই পায়ে লাগে রবার্টসনের, বল জালে জড়ালে অ্যাসিস্ট পেয়ে যায় সালাহ। দুই মিনিট পরই আতলেতিকোর রক্ষণভাগকে পরাস্ত করে দুর্দান্ত এক গোল করেন ৩৩ বছর বয়সী তারকা ফরোয়ার্ড।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথম কোনো ইংলিশ ক্লাবের ফুটবলার প্রথম ৬ মিনিটেই একটি গোল ও অ্যাসিস্ট করলেন।
আতলেতিকোর বিপক্ষে এই ম্যাচে দারুণ এক মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন সালাহ। ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতায় লিভারপুলের জার্সি গায়ে এটি তাঁর ৭৪তম ম্যাচ। ক্লাবটির কিংবদন্তি স্টিভেন জেরার্ডকে ছাড়িয়ে এখন লিভারপুলের হয়ে সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার তালিকায় দুইয়ে ওঠে এসেছেন সালাহ। তার সামনে আছেন কেবল ৮০ ম্যাচ খেলা জেমি ক্যারাঘার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম রাউন্ডে আরও ৭টি ম্যাচ খেলবে লিভারপুল। ইংলিশ জায়ান্টরা যে ছন্দে আছে তাতে এবারের আসরে এই প্রতিযোগিতার আরো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাতে ক্যারাঘারের এই রেকর্ডের একক মালিকানা পাওয়া সালাহর জন্য শুধুই সময়ের ব্যাপার।
পঞ্চাশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে ফলাফলের মৌসুমে একটি সান্ত্বনা পেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। মাঠের খেলায় না পারলেও, আয়ের খেলায় রেকর্ড গড়ল তারা।
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত গত অর্থ বছরে ক্লাবের রেকর্ড ৬৬ কোটি ৬৫ লাখ পাউন্ড আয় করেছে ইউনাইটেড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১১ হাজার ৬৮ কোটি টাকার বেশি। যা আগের মৌসুমের তুলনায় ০.৭ শতাংশ বেশি।
এর আগের অর্থ বছরে ৬৫ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড আয় করেছিল ইউনাইটেড। এটিই ছিল ক্লাবটির এত দিনের রেকর্ড।
অথচ মাঠের পারফরম্যান্সে ২০২৪-২৫ মৌসুমে স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে অবস্থায় ছিল ইউনাইটেড। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে ১৫তম হয়েছিল তারা। ১৯৭৩-৭৪ সালের পর যা তাদের সবচেয়ে বাজে ফলাফল।
অবশ্য মাঠের দৈন্যদশার মাঝে আয়ের রেকর্ড গড়লেও, লাভের মুখ দেখতে পারেনি ইউনাইটেড। গত অর্থ বছরে সার্বিক হিসেবে তাদের ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
লাভ করতে না পারলেও, উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ক্ষতি কমেছে তাদের। এর আগের অর্থ বছরে সার্বিক ক্ষতি ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ পাউন্ড।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই বছর ধরে খরচ কমানোর যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জায়ান্ট ক্লাবটি, এরই সুফল পেতে শুরু করেছে তারা।
ক্লাবের কর্মীর সংখ্যা ১১শ থেকে কমিয়ে ৭শতে নামিয়ে আনা হয়েছে। ক্লাবের খেলোয়াড় ও অন্যান্য সদস্যের পারিশ্রমিকও প্রায় ২৫ শতাংশ হারে কমানো হয়েছে।
এর বাইরে স্নাপড্রাগলের সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তিরও সুফল পেয়েছে ইউনাইটেড।
লিভারপুলের ম্যাচের স্ক্রিপ্ট যেন সবার মুখস্ত। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত পিছিয়ে থাকা কিংবা সমতায় থাকবে অল রেডরা। এরপর শেষ বাঁশি বাজার আগে যোগ করা সময়ে গোল দিয়ে সমর্থকদের আনন্দে ভাসাবেন মোহাম্মদ সালাহরা।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে এখন পর্যন্ত সবক’টি ম্যাচ ৮০ মিনিটের পরবর্তী গোলে জিতেছে লিভারপুল । এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও একই নাটকের পুনরাবৃত্তি করল তারা। আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে আজ যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ভার্জিল ফল ডাইক হলেন নাটকের কেন্দ্রিয় চরিত্র। ডাচ এই ডিফেন্ডারের গোলেই ৩-২ ব্যবধানে দিয়েগো সিমিওনের আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়েছে লিভারপুল।
অবশ্য ঘরের মাঠ অ্যান ফিল্ডে লিভারপুলের জন্য ম্যাচটা অনেক সহজই হওয়ার কথা ছিল। অ্যান্ডি রবার্টসন ও সালাহর গোলে মাত্র ছয় মিনিটেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৪ মিনিটে প্রথম গোলটি ভাগ্যক্রমে পেয়ে যায় লিভারপুল। সালারহ নেয়া নিচু ফ্রি কিক রবার্টসনের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।
লিভারপুলের দ্বিতীয় গোলটি ছিল নিখুঁত দক্ষতায়। ডান দিক থেকে গ্র্যাভেনবার্গ সঙ্গে পাস খেলে আতলেতিকোর বক্সে ঢুকে যান সালাহ। এরপর দারুণ ক্ষিপ্রতায় স্প্যানিশ ক্লাবটির রক্ষণ ভেদ করে ঠাণ্ডা মাথায় নিখুঁত ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান মিশরীয় ফরোয়ার্ড।
৬ মিনিটেই ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর সহজ এক জয়ই দেখছিল লিভারপুল। তবে হাল ছাড়েনি আক্রমনভাগের মধ্যমণি জুলিয়ান আলভারেজকে ছাড়া মাঠে নামা আতলেতিকো। বিরতির আগেই আর্নে স্লটের দলকে চাপে ফেলে দেয় সিমিওনের দল। প্রথামার্ধের যোগ করা সময়ের তিন মিনিটে ব্যবধান কমানো গোলও পেয়ে যায় সফরকারী দল। মার্কোস লরেন্তের নৈপণ্যে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় তারা। অ্যান ফিল্ডে এ নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে চারটি গোল করলেন এই স্প্যানিশ রাইট-ব্যাক।
লিভারপুলের জার্সিতে অভিষেক হওয়া আলেক্সান্ডার ইসাক এই ম্যাচে বলার মতো তেমন কিছুই করতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে সুইডিশ এই ফরোয়ার্ডকে তুলে হুগো একিতিকেকে নামান স্লট।
নাটকীয় মূহূর্তের শুরুটা হয় ম্যাচের ৮১ মিনিটে। অ্যান ফিল্ডের গ্যালারি ভর্তি দর্শক সারিতে পিনপতন নিরবতা নেমে আসে যখন ২০ গজ দূর থেকে দারুণ ভলিতে ব্যবধান ২-০ করেন জোড়া গোল পূর্ণ করা লরেন্তে। তার শট আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের গায়ে লেগে জালে জড়ায়।
তবে ‘কামব্যাককে’ অভ্যাস বানিয়ে ফেলা লিভারপুল তো হার মানতে জানে না। শেষ মুহূর্তে দোমিনিক সোবোসলাই কর্নার নিলেন, আর হেড থেকে জয়সূচক গোল করে নায়ক বনে গেলেন ফন ডাইক।