৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩:৩১ পিএম
একেতো চোট-আঘাত সমস্যায় জর্জরিত অস্ট্রেলিয়া দল, এর ওপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে মরার উপর খাড়ার ঘা। এবার নতুন সমস্যায় পড়ল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। হঠাৎ করেই ওয়ানডে ছাড়ার ঘোষণা দিলেন তারকা অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। অথচ তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে ছিলেন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও খেলবেন না তিনি, যেকারণে ঘোর বিপাকে অস্ট্রেলিয়া। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী অজি দলের সদস্য ছিলেন স্টয়নিস। এখন তিনি অবসর নেওয়ায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চূড়ান্ত স্কোয়াডে আরও একটি পরিবর্তন করতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হতে দুই সপ্তাহও বাকি নেই। এমন সময় ওয়ানডে থেকে হঠাৎ অবসরের ঘোষণা দিলেন ৩৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। অথচ স্টয়নিসকে রেখেই গত ১৩ জানুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রস্তুতি হিসেবে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে খেলবে দেশটি। সেই স্কোয়াডেও ছিলেন তিনি।
যদিও দেশের হয়ে টি-২০ খেলা চালিয়ে যাবেন মার্কাস। ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, টি-টোয়েন্টিতে মনোযোগী হতে ওয়ানডে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্টয়নিস। সবশেষ ডারবানস সুপার জায়ান্টসের হয়ে এসএ-20'তে মাঠে নামেন। টুর্নামেন্টে বল করার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে হালকা চোটও পান তিনি। ওয়ানডর ছাড়ার ঘোষণায় স্টয়নিস বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলা ছিল আমার জন্য একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা, দলের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তের জন্য কৃতজ্ঞ ও ধন্য।‘ ওয়ানডে ছাড়লেও দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলবেন তিনি।
মার্কাস স্টয়নিস অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭১টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামেন। ৬৪টি ইনিংসে ব্যাট করে ২৬.৬৯ গড়ে ১৪৯৫ রান সংগ্রহ করেছেন। সেঞ্চুরি করেছেন ১টি ও হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন ৬টি। পেয়েছেন ৪৮টি উইকেট। অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডের সাথে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্টয়নিস। ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী স্টয়নিস সম্পর্কে দারুণ বলেছেন কোচ ম্যাকডোনাল্ড, ‘সে শুধু দারুণ একজন খেলোয়াড়ই নয়, ব্যক্তি হিসেবেও অসাধারণ। সে একজন ব্যতিক্রমী জনপ্রিয় খেলোয়াড় এবং বড় মাপের মানুষ।‘
স্টয়নিসের আকস্মিক অবসরে জর্জ বেইলির নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক কমিটির কাজ আরও কঠিন করে দিয়েছে। পিঠের চোটে ইতিমধ্যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ছিটকে পড়েছেন মিচেল মার্শ। চোটের শিকার হয়েছেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও অভিজ্ঞ পেসার জশ হ্যাজলউড, তাদের খেলা নিয়েও আছে সংশয়। কামিন্স, মার্শ ও হ্যাজলউডের জায়গায় স্পেনসার জনসন, ফ্রেজার-ম্যাগার্ক ও শন অ্যাবট দলে ঢুকতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। আর স্টয়নিস অবসর নেওয়ায় প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেতে পারেন মিচেল ওয়েন। ২২ বছর বয়সী ওয়েন সম্প্রতি বিগ ব্যাশ ফাইনালে বিস্ফোরক সেঞ্চুরি করেছেন, আসরের সর্বোচ্চ রানও এই ওপেনারের।
No posts available.
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি এখন পুরোদস্তুর কোচ। শাই হোপদের হেড মাস্টার হিসেবেই বাংলাদেশ সফরে এসেছেন তিনি। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লেও সদা হাস্যোজ্জ্বল সামি মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন কথায় এবং কাজে।
শিষ্যদের ব্যাট-বলের তালিম দেওয়ার পাশাপাশি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন সবার সঙ্গে। আইসিসি ইভেন্ট ছাড়াও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সুবাদে ঢাকায় আসার অভিজ্ঞতা রয়েছে স্যামির। পার্থক্য এটুকুই—আগে এসেছিলেন খেলোয়াড় হিসেবে, এবার কোচ হয়ে।
কোচের ভূমিকা ও গাম্ভীর্যতার আড়ালেও নিজস্ব ক্যারিশমা ছড়িয়ে যাচ্ছেন স্যামি। কখনো আদুরে বাংলায় কথা বলছেন, কখনো জানাচ্ছেন প্রিয় খাবারের নাম—বিরিয়ানি। আর এবার খোঁজ করলেন বাংলাদেশ নারী দলের পেস অলরাউন্ডার রিতু মনির।
রিতু মনিকে খোঁজ করার কারণ কী হতে পারে, প্রশ্ন জাগাটাই স্বাভাবিক। কারণ এর আগে বাংলাদেশ নারী দলের সঙ্গে সরাসরি কাজ করেননি স্যামি। সঙ্গত কারণেই, ব্যক্তিগত পরিচয় থাকার কথাও নয়। কিন্তু হ্যাঁ, অন্য একটি বিশেষ কারণে দেশের এই পেস অলরাউন্ডারকে মনে রেখেছেন ও খোঁজ করেছেন স্যামি।
রিতু মনির আদর্শই হচ্ছেন ড্যারেন স্যামি। দু’জনেই পেস অলরাউন্ডার। এমনকি স্যামির জার্সি নম্বর ৮৮-ও বেছে নিয়েছেন রিতু। এই মিলগুলোর কারণেই তাকে স্মরণে রেখেছেন সামি।
আজ টি স্পোর্টসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সামি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে, আমি আইসিসির একটি পোস্টে তার (রিতুর) একটি সুন্দর ভিডিও দেখেছি। সে বাংলাদেশ নারী দলের ক্রিকেটার। যখন আমি বাংলাদেশি আসি, তখন ও ছিল এক তরুণ তারকা। সে ৮৮ নম্বর জার্সি পরে খেলেছিল। তার সঙ্গে দেখা করে ভালো লেগেছে। সে এখন ভারতে আছে। আশা করি, সে দেশে ফিরবে, আর দেশ ছাড়ার আগে আমি তার সঙ্গে দেখা করতে চাই।’
স্যামি তাকে স্মরণে রেখেছেন—এতে দারুণ আনন্দিত রিতু মনি। নারী বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া এই অলরাউন্ডার তাৎক্ষণিকভাবে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন টি স্পোর্টসকে। রিতু বলেন, ‘যখন শুনলাম যে সে (সামি) আমার কথা বলেছে, আমি এক্সাইটেড হয়ে যাই। আমি তাকে দেখলেই দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরি। পরে আমার পুরো টিম আমাকে সাপোর্ট করে। আসলে আমি তার কত বড় ভক্ত, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি তার অনেক বড় ভক্ত। যখন সে বাংলাদেশে খেলতে আসতো, তখন তার পেপার কাটিং রেখে দিতাম। তখনই মনে হয়েছিল, যদি আমি একদিন জাতীয় দলে খেলি, তাহলে তার মতো ৮৮ নম্বর জার্সি পরে খেলব। কারণ সেও অলরাউন্ডার, আমিও তাই। এমনকি তার কোনো ম্যাচ আমি কখনো মিস করতাম না।’
স্যামি শুধু রিতুর খোঁজই নেননি দেশের নারী ক্রিকেটারদের দিয়েছেন উপদেশ।বলেছেন অনুশীলন করে নিজেকে প্রস্তুত করো এবং সেটা প্রয়োগ করো।
পাকিস্তানকে
হারিয়ে উড়ন্ত শুরুর পর থমকে গেছে বাংলাদেশে জয়ের চাকা। একাধিক ম্যাচে সুযোগ তৈরি করলেও
শেষ পর্যন্ত বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়তে পারেননি নিগার সুলতানা জ্যোতি, নাহিদা আক্তাররা।
তাই
এখন আর সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন দেখছে না দল। বাকি দুই ম্যাচ জিতে সেরা পাঁচে থাকার লক্ষ্যের
কথা বললেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন।
নারী
ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে সোমবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। মুম্বাইয়ের
ডিওয়াই পাতিল স্পোর্টস একাডেমি মাঠে খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে।
এখন
পর্যন্ত খেলা পাঁচ ম্যাচে এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে আট দলের মধ্যে ছয় নম্বরে অবস্থান করছে
বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচ জিততে পারলে সমীকরণের মারপ্যাঁচে সেমি-ফাইনালেও খেলার সুযোগ
আছে তাদের।
তবে
সেটি যে বেশ কঠিন তা মেনে নিয়েছেন ফাহিমা। লঙ্কানদের মুখোমুখি হওয়ার আগের দিন সংবাদ
সম্মেলনে তাই সেরা পাঁচে থাকার লক্ষ্যের কথা বললেন অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার।
“হ্যাঁ! আমাদের এখনও সুযোগ আছে (সেমি-ফাইনাল খেলার)। এখনও আমাদের সুযোগ আছে ভালো কিছু... সেরা চারে ওঠা কঠিন তবে আমার মতে, আমরা যদি বাকি ২ ম্যাচ জিততে পারি, তাহলে পাঁচে থাকতে পারব।”
“শুরু থেকেই আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি এবং আশানুরূপ খেলাই খেলেছি সব দলের বিপক্ষে। সেদিক থেকে আমাদের প্রত্যাশাও বেড়ে গিয়েছিল। এখনও আমাদের দলের ওপর ভালো প্রত্যাশা আছে। শেষ ম্যাচ ২টা ভালোভাবে খেলে আমরা পূর্ণ পয়েন্ট নিতে চাই।”
চোটের
কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচ খেলতে পারেননি দলের পেসার মারুফা আক্তার। শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে তাকে পাওয়ার আভাস দিয়ে রাখলেন মারুফা।
“মারুফা
এখন অনেক ভালো আছে। গত ২ দিন খুব ভালো অনুশীলন করেছে। পুরোপুরি ফিট আছে। তাকে আমরা
কালকের ম্যাচে এভেইলেবল পাব।”
চলতি
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সে অর্থে রানের দেখা পাননি নিগার সুলতানা জ্যোতি। তার অফ ফর্মে
ভুগছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলও। টুর্নামেন্টের শেষ দিকে এসে নিজের সেরা ছন্দে ফিরবেন অধিনায়ক, এমনটাই বিশ্বাস অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার ফাহিমা
খাতুনের।
ভারত
ও শ্রীলঙ্কায় চলতি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের প্রতিটিতেই ব্যাট
করেছেন জ্যোতি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা ৪২ বলে ৩২ রানের ইনিংসই টুর্নামেন্টে
এখন পর্যন্ত তার সর্বোচ্চ।
সব
মিলিয়ে ৫ ম্যাচে ১৪.২০ গড়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের সংগ্রহ মোটে ৭১ রান। তার এমন বাজে ফর্মের
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশও পাঁচ ম্যাচে মাত্র এক জয় নিয়ে খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই।
অবশ্য বড় দলের বিপক্ষে জ্যোতির পরিসংখ্যান বরাবরই একটু
নাজুক। বিশ্বকাপে খেলা ৭ দলের বিপক্ষে ৪৮ ম্যাচে মাত্র ২২.৭০ গড়ে তার সংগ্রহ ৯৩১ রান।
এর বাইরের দলগুলোর বিপক্ষে ১৫ ম্যাচে ৩৫.১৫ গড়ে তিনি করেছেন ৪৫৭ রান।
এই
পরিসংখ্যান কিছুটা ভালো করার সুযোগ এখনও আছে জ্যোতির সামনে। বিশ্বকাপে বাকি দুই ম্যাচে
শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। মুম্বাইয়ে সোমবার দুপুরের ম্যাচে তাদের
প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।
ওই
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ফাহিমা বলেছেন, এই ম্যাচে অনেক ভালো করবেন বাংলাদেশ
অধিনায়ক।
“অধিনায়কের
কথা আমি আলাদা করে মেনশন করব। আমরা সবসময় বলি, ও আসলে দলের ব্যাটিং লাইন-আপটা ধরে রাখে।
সেক্ষেত্রে ও রান পাচ্ছে... তবু আরও ২-৩টা ব্যাটার কিন্তু রান পাচ্ছে। ওর রানগুলো দলের
জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।”
“ওর
সামর্থ্য অনেক। গত ২ দিন খুব ভালো অনুশীলন করেছে। ওকে অনেক আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে।
আমার মনে হয় কালকের ম্যাচে ও অনেক বেশি ভালো ব্যাটিং করবে।”
এখন
পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা ৩ ম্যাচে ৬১ রান করতে পেরেছেন জ্যোতি। সর্বোচ্চ ৩৭ রান। সোমবারের ম্যাচে এই সর্বোচ্চ
ছাড়িয়ে তার ব্যাটে নতুন কোনো অর্জনের আশায়ই থাকবে বাংলাদেশ দল।
পার্থে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বোলিং-ব্যাটিং-ফিল্ডিং সব বিভাগে দুর্দান্ত অজিরা সফরকারীদের রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ৮ মাস পর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাকে দলে ফেরায় ভারত। তবে লম্বা সময় ফেরাটা তাদের একদমই সুখকর হয়নি। কোহলি ব্যর্থ হয়েছেন রানের খাতা খুলতে। রোহিত পৌঁছাতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে তাই বড় সংগ্রহও পায়নি ভারত। কয়েক দফা বৃষ্টির হানায় ডাক-ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির ম্যাচে ২৬ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৬ রান তোলে অতিথিরা। ডিএলএসে মেথডে অজিদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩১। মিচেল মার্শ-জশ ফিলিপের দারুণ ব্যাটিংয়ে ২৯ বাল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে সহজ জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
দুই চারে ইনিংস শুরু করলেও দ্বিতীয় ওভারে ফেরেন ওপনোর ট্রাভিস হেড (৮)। আরেক ওপেনার মার্শ ছিলেন সাবলীল। ৪৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় অজিরা। ১৭ বলে ৮ রানে আউট হন ম্যাথু শর্ট।
তৃতীয় উইকেটে মার্শ-ফিলিপের ৫৫ রানের জুটিতে জয়টা শুধু কেবল সময়ের অপেক্ষা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। দলীয় ৯৯ রানে ওয়াশিংটন সুন্দরের শিকার হন ফিলিপ। আউট হওয়ার আগে ২৯ বলে ৩৭ রান আসে এই উইকেটরক্ষকের ব্যাট থেকে।
বাকি কাজ ম্যাট রেনশোকে নিয়ে সারেন মার্শ। ২১ রানে অপরাজিত থাকেন রেনশো। তিন ছক্কা ও দুই চারে ৫২ বলে ৪৬ রান করে জয় নিয়ে ড্রেসিংরুমে যান মার্শ। ২১.১ ওভারে লক্ষ্য তাড়া করে অজিরা।
তার আগে মিচেল স্টার্ক-জশ হ্যাজলেউডদের তোপেরমুখে দিশোহারা হয়ে ওঠে ভারতের ব্যাটিং অর্ডার। ৪৫ রানে হারায় তারা ৪ উইকেট। কোহলি ০, রোহিত ফেরেন ৮ রানে। সাবেক দুই অধিনায়কের সঙ্গে নতুন ওয়ানডে কাপ্তান শুভমান গিলের নেতৃত্বের অধ্যায়ের শুরুটাও ভালো হয়নি। নাথান এলিসের বলে ফেরেন ১০ রানে।
মিডল অর্ডারে অক্ষর প্যাটেলের ৩১ ও লোকেশ রাহুলের ৩৮ রানের কল্যাণে ১০০ পেরোয় ভারত। মিচেল ওয়েন ও ম্যাথু কুনেম্যান সফরকারীদের দ্রুত লেজ গুটিয়ে দেন। কয়েক দফা বৃষ্টির পর ২৬ ওভারে খেলা নির্ধারণ হয়। আর ৯ উইকেটে ১৩৬ রান স্কোরে জমা করে ভারত। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন কুনেম্যান, ওয়েন ও হ্যাজলেউড। ম্যাচসেরা হয়েছেন মার্শ।
আগামী বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া-ভারত।
পাকিস্তানের বিমান হামলায় পাকতিকা প্রদেশে তিন তরুণ ক্রিকেটারের মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফুঁসছে আফগানিস্তানের ক্রিকেট অঙ্গন। প্রথমে পাকিস্তান সফরে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ায় তারা।
এবার জাতীয় দলের অধিনায়ক রশিদ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন—আর তাঁর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ যেন ইঙ্গিত দিচ্ছে, তিনি এবার পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলতে চান না!
রশিদ নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) প্রোফাইল থেকে পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি লাহোর কালান্দার্সের নাম মুছে ফেলেছেন। তিন আফগান ক্রিকেটার- কবির, সিবঘাতুল্লাহ ও হারুনের মৃত্যুতে নীরব প্রতিবাদ জানালেন এই লেগ স্পিনার।
রশিদ লিখেছেন,
‘সাম্প্রতিক পাকিস্তানি বিমান হামলায় আফগানিস্তানে নারী, শিশু ও তরুণ ক্রিকেটারসহ বহু মানুষের প্রাণহানি গভীরভাবে দুঃখজনক। যারা একদিন দেশের হয়ে মাঠে নামার স্বপ্ন দেখত, তাদের জীবন এভাবে শেষ হয়ে গেল— এ এক অপূরণীয় ক্ষতি।’
এর আগে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) ঘোষণা দিয়েছে, পাকিস্তানে হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে তারা সরিয়ে নিচ্ছে নিজেদের নাম। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানকে নিয়ে এই সিরিজ হওয়ার কথা ছিল, আফগানিস্তানের জায়গায় এখন অংশ নেবে জিম্বাবুয়ে।
সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী ও অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবও রশিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। নাইব লিখেছেন,
‘পাকিস্তানি সেনাদের এই বর্বরতা আমাদের জাতির মর্যাদা ও স্বাধীনতার ওপর আঘাত, কিন্তু এটি আমাদের ভাঙতে পারবে না।’
নবীর ভাষায়,
‘উরগুনে তরুণ ক্রিকেটারদের শাহাদত হৃদয়বিদারক। এই নৃশংস হামলা আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ করবে।’
রশিদ খান এখন পর্যন্ত লাহোর কালান্দার্সের হয়ে তিন মৌসুমে খেলেছেন। ৪৪ উইকেট নিয়েছেন ১৫.৪৭ গড় ও ৬.১৩ ইকোনমি রেটে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর তাঁর সামনের পিএসএলে অংশগ্রহণ এখন বড় প্রশ্নের মুখে।