
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ততায় দীর্ঘ একটা সময় খেলেননি ঘরোয়া ক্রিকেটে। তবে ভারতের জার্সিতে লাল বলের ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময় পেছনে ফেলতে সেখানেই ফিরতে হয়েছে রোহিত শর্মাকে। তবে রঞ্জি ট্রফিতে ফেরার ম্যাচেও যথারীতি ব্যর্থ ভারত অধিনায়ক। এক ডিজিটেই আউট হয়ে দীর্ঘায়িত হল তার রান খরা।
রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বাইয়ের বিকেসি-তে শরদ পাওয়ার একাডেমিতে জম্মু ও কাশ্মীরের বিপক্ষে গ্রুপ ‘এ’ ম্যাচে সকালেই ব্যাট করতে নামেন রোহিত। তবে সবাইকে হতাশ করে টিকতে পারেন মাত্র ১৯ বল, আর রান আসে মোটে তিন।
আরও পড়ুন
| অবসর সিদ্ধান্ত কোহলি-রোহিতের ওপরই ছেড়ে দিলেন গম্ভীর |
|
এর মধ্য দিয়ে অব্যাহত রইল লাল বলের ক্রিকেটে রোহিতের লম্বা সময় ধরে চলা বাজে ফর্ম। গত বছর ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচটি টেস্ট টেস্টে মাত্র একটি ফিফটি করেন রোহিত। দশ ইনিংসের চারবার আউট হন এক ডিজিটে।
এরপর অস্ট্রেলিয়া সফরে পাঁচ ইনিংসে তার মাত্র একটি দুই অঙ্কের স্কোর ছিল, যেখানে তিনি পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে অংশ নিয়েছিলেন। অধিনায়ক হলেও শেষ টেস্টে থেকে নিজের নাম সরিয়েও নেন রোহিত।
সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ মৌসুম রোহিত শেষ করেন টেস্টে মাত্র ১০.৯৩ গড় নিয়ে। ১৬ ইনিংসে তার এই গড় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২০০৬ সালের পর থেকে কমপক্ষে ১৫ ইনিংস ব্যাট করা (শীর্ষ ছয়ে ব্যাট করা) খেলোয়াড়দের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন গড়। তার ওপরে আছেন কেবল ইংল্যান্ডের হাসিব হামিদ, ২০১৮ মৌসুমে ১৮ ইনিংসে তার গড় ছিল মাত্র ৯.৪৪।
আরও পড়ুন
| রোহিতের চোখে অশ্বিন সত্যিকারের ‘ম্যাচ উইনার’ |
|
No posts available.
২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০১ পিএম
২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৬ পিএম

চলতি বছরের এখনও বাকি ২৯ দিন। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য বছর এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। কারণ এই বছরের বাকি দিনগুলোতে আর কোনো খেলা নেই তাদের। আর এই বিদায়ী বছরে নিজেদের সেরা সময়ই কাটিয়েছে বাংলাদেশ।
পরিসংখ্যানের বিচারে, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এত সাফল্যময় বছর আর যায়নি বাংলাদেশ দলের। ম্যাচ জয়ের সংখ্যা কিংবা রানের জোয়ার বা ব্যাটারদের চার-ছক্কার ফুলঝুরি অথবা বোলারদের উইকেট শিকারের উৎসব- সব কিছুতেই আগের যে কোনো বছরকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সংখ্যার খেলায় বাংলাদেশের ২০২৫
জয়ের রেকর্ড
প্রায় ২০ বছরের টি-টোয়েন্টি অধ্যায়ে ২০২৫ সালেই সবচেয়ে বেশি ৩০ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০২১ সালে তারা খেলেছিল ২৭টি কুড়ি ওভারের ম্যাচ।
সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার বছরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ডও গড়েছে বাংলাদেশ। এই বছর তারা জিতেছে ১৫ ম্যাচ। বিপরীতে হেরেছে ১৪টি। জয়-পরাজয়ের অনুপাত ১.০৭১!
২০২৪ সালে ২৪ ম্যাচ খেলে ১২ ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। হেরেছিলও ১২টি। জয়-পরাজয়ের অনুপাত ছিল ১.০০- গত বছরের রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে ২০২৫ সাল।
রানের জোয়ার
সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলায় স্বাভাবিকভাবেই বছরে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও গড়েছে বাংলাদেশ। এই বছর ৩০ ম্যাচে বাংলাদেশের ২৩ ব্যাটার মিলে খেলেছেন ২৪৩টি ইনিংস। সব মিলে তারা করেছেন ৪ হাজার ২৩৯ রান।
২০২৫ সালে দলীয় ব্যাটিং গড় ২২.১৮ ও স্ট্রাইক রেট ১২৫.৯৭। অন্তত ১৫শ রান করা বছরগুলোর মধ্যে রান, ব্যাটিং গড় ও স্ট্রাইক রেট- সবই সর্বোচ্চ।
বছরে সর্বোচ্চ রান ছিল ২০২৪ সালে। সেবার ২৪ ম্যাচে ২১ ব্যাটার মিলে ২০৬ ইনিংস খেলে করেছিলেন ৩ হাজার ১৮৬ রান। দলীয় ব্যাটিং গড় ছিল বিশের নিচে আর স্ট্রাইক রেট ছিল ১২০-র নিচে।
ফিফটির মেলা
বছরে সর্বোচ্চ ফিফটির রেকর্ডটিও ২০২৫ সালে গড়েছে বাংলাদেশ। এই বছর ২৩ ফিফটির সঙ্গে একটি সেঞ্চুরিও করেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তারা ছাড়িয়ে গেছে গত বছর করা ১৪ ফিফটির রেকর্ড।
এই রেকর্ডে সবচেয়ে বড় অবদান তানজিদ হাসান তামিমের। এই বছর ৮টি পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি ওপেনার। এছাড়া অধিনায়ক লিটন কুমার দাসের ফিফটি ৫টি। আরেক বাঁহাতি ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ৩ ফিফটির সঙ্গে করেছেন বছরের একমাত্র সেঞ্চুরি।
চার-ছক্কার ফুলঝুরি
২০২৫ সালে বাংলাদেশের ব্যাটাররা মেরেছে মোট ২০৬টি ছক্কা। তারা ভেঙে দিয়েছে গত বছর হাঁকানো ১২২টি ছক্কার রেকর্ড। নির্দিষ্ট পঞ্জিকাবর্ষে অন্তত দুইশ ছক্কা মারা বিশ্বের চতুর্থ দেশ বাংলাদেশ।
তাদের আগে এক বছরে দুইশ বা এর বেশি ছক্কার রেকর্ড আছে শুধু ভারত (২০২২ সালে ২৮৯ ও ২০২৪ সালে ২৩৬), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২০২৪ সালে ২৪৩, ২০২১ সালে ২১৪ ও ২০২৫ সালে ২১৪) ও পাকিস্তানের (২০২৫ সালে ২৩৫)।
ছক্কার রেকর্ডেও সবচেয়ে বড় অবদান তামিমের। বাঁহাতি ওপেনার ২৭ ইনিংসে মেরেছেন ৪১টি ছক্কা। যা এক বছরে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। আরেক ওপেনার ইমনের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪টি ছক্কা।
এক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডটিও ২০২৫ সালে গড়েছে বাংলাদেশ। মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১৯১ রান করার পথে মোট ১৩টি ছক্কা মারে তারা। সেদিন ৯টি ছক্কা মারেন সেঞ্চুরি করা ইমন। যা এক ম্যাচে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ ছক্কা।
ব্যক্তিগত রানেও জোয়ার
২০২৫ সালে ২৭ ম্যাচ খেলে ৮ ফিফটিতে ৭৭৫ রান করেছেন তামিম। এক বছরে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। তিনি ভেঙেছেন ২০২১ সালে মোহাম্মদ নাঈম শেখের গড়া ২৬ ইনিংসে ৫৭৫ রানের রেকর্ড।
চলতি বছরের আগে এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ৫০০ রান করার ঘটনা ছিল মাত্র তিনটি। নাঈম শেখ ছাড়া ২০২২ সালে ৫৪৪ রান করেছিলেন লিটন কুমার দাস। একই বছর আফিফ হোসেন ধ্রুবর ব্যাট থেকে আসে ৫০০ রান।
আর শুধু ২০২৫ সালেই বাংলাদেশের তিন ব্যাটার পেরিয়েছেন ৫০০ রানের মাইলফলক। তামিম ছাড়াও লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৩৫ রান। আর ইমন করেছেন ৫১৯ রান।
উইকেটের উৎসব
২০২৫ সালে ৩০ ম্যাচে বাংলাদেশের ২৩ বোলার মিলে নিয়েছেন ১৮৮ উইকেট। যা ভেঙে দিয়েছে ২০২১ সালে ২২ ম্যাচে নেওয়া ১৬০ উইকেটের রেকর্ড।
এই বছর বাংলাদেশের সম্মিলিত বোলিং গড় ২৩.২৯ আর ইকোনমি রেট ৭.৮৪ ও স্ট্রাইক রেট মাত্র ১৭.৮!
২০২১ সালে বাংলাদেশের বেশিরভাগ ম্যাচই ছিল মিরপুরের স্পিনসহায়ক উইকেটে। তাই সহজেই বেশি উইকেট নিতে পেরেছিলেন বোলাররা। তবে চলতি বছর মিরপুরে তারা খেলেছে মাত্র ৩টি ম্যাচ। অর্থাৎ তুলনামূলক ভালো উইকেট-কন্ডিশনেও সাফল্য পেয়েছেন রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমানরা।
আবার ওপরে রিশাদ
গত বছর ৩৫ উইকেট নেওয়া রিশাদ হোসেন এবার পেয়েছেন ৩৩ উইকেট। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে একাধিক পঞ্জিকাবর্ষে ৩০ বা এর বেশি উইকেটের রেকর্ড গড়েছেন তরুণ লেগ স্পিনার।
সব মিলিয়ে বিদায় নেওয়ার পথে থাকা বছরে অন্তত ২০ উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের পাঁচ বোলার- রিশাদ (৩৩), মোস্তাফিজ (২৬) তাসকিন (২৪), তানজিম হাসান সাকিব (২৩) ও শেখ মেহেদি হাসান (২২)।
এর আগে ২০২১ সালে মিরপুরের স্পিন সহায়ক উইকেটে বেশিরভাগ ম্যাচ খেলা বছরেও অন্তত ২০ উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশের পাঁচ বোলার।
তামিমের বিশ্ব রেকর্ড
ব্যাট হাতে বছরজুড়ে আলো ছড়ানো তামিম বছরের শেষ ম্যাচে গড়েছেন ক্যাচের বিশ্ব রেকর্ড। একের পর এক বল তালুবন্দী করে তিনি নিয়েছেন পাঁচটি ক্যাচ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে নন-উইকেটকিপারদের সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ড এটিই।
চলতি বছর সব মিলিয়ে মোট ২০টি ক্যাচ নিয়েছেন তামিম। এক বছরে এর চেয়ে বেশি ক্যাচ আছে শুধু আরব আমিরাতের মোহাম্মদ ওয়াসিমের, ২০২৪ সালে ২৪টি।
উইকেটকিপারব্যতীত বাংলাদেশের ফিল্ডাররা ২০২৫ সালে নিয়েছেন মোট ১২০টি ক্যাচ। এবারই প্রথম কোনো নির্দিষ্ট বছরের একশর বেশি ক্যাচ নিয়েছেন তারা। এত দিন সর্বোচ্চ ছিল ২০২৪ সালে নেওয়া ৯৫টি ক্যাচ।
বাদ যায়নি জুটির রেকর্ডও
সব কিছুতে নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়া বছরে পার্টনারশিপেও রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। এই বছর খেলা ৩০ ম্যাচে মোট ২৪টি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়েছে তারা। যা ভেঙে দিয়েছে গত বছর গড়া ১৫টি পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটির রেকর্ড।
এছাড়া ২০২৫ সালে বাংলাদেশের শতরানের জুটি দুইটি। গত বছরও তারা মোট দুইটি শতরানের জুটি গড়েছিল।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং দেশটির ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ইমরান খানকে নিয়ে সুখবর জানালেন তার বোন উজমা খান। মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের উজমা জানান, “ইমরান খান পুরোপুরি সুস্থ।”
উজমা জানান, কারাগার কর্তৃপক্ষ তাকে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেয়। সাক্ষাৎ প্রায় আধাঘণ্টা স্থায়ী হয়। তবে ইমরান খান তার বোনকে জানিয়েছেন, সুস্থ থাকলেও তাকে মানসিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। বন্দী রাখা হচ্ছে কক্ষে।
তিনি বলেন,
“সারাদিন ইমরানকে কক্ষে রাখা হয়, বাইরে বের হওয়ার সুযোগ খুবই কম। কারও সঙ্গে যোগাযোগের কোনো সুযোগ নেই।”
উজমা এ বিষয়ে বেশি কিছু বলেননি। তবে বাকি বোনদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত মিডিয়ায় জানাবেন তিনি।
এর আগে ইমরান খানের ছেলে কাসিম খান রয়টার্সকে জানিয়েছেন, পরিবারের পক্ষ থেকে খানের সঙ্গে কোনো সরাসরি সাক্ষাৎ দেওয়া হচ্ছে না,
“যদিও সাপ্তাহিক সাক্ষাতের জন্য আদালতের নির্দেশ জারি আছে।”
তিনি লিখিত বিবৃতিতে বলেন,
“আপনার বাবা নিরাপদ আছেন, আহত আছেন নাকি বেঁচে আছেন এটা জানতে না পারা এক ধরনের মানসিক যন্ত্রণা।”
পরিবার ইমরানের ব্যক্তিগত চিকিৎসককে তার দেখাশোনার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করেছে, তবে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসককে তাঁকে পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়নি বলে জানান কাসিম খান।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে কারাবন্দী। ২০২২ সালে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। এর পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়েছে এবং কয়েকটি মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা পেয়েছেন। যদিও ইমরান দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া সব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

নারী ক্রিকেট দলের সাবেক নির্বাচক ও টিম ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে ক্রিকেটার জাহানারা আলমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৮ নভেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দেয়ার সময় বেঁধে দিয়েছিল বিসিবি। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে সময়সীমা।
আজ এক বিবৃতিতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় আরো ১৫ দিন বাড়িয়েছে বিসিবি। বিবৃতিতে জানানো হয়, তদন্ত কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিতে বলা হয়েছিল জাহানারাকে। তবে লিখিত বিবৃতি/অভিযোগ জমা দেওয়ার জন্য কিছুদিন সময় চেয়েছেন তিনি। তাই আরও ১৫ দিন সময় বাড়িয়েছে বিসিবি।
এর আগে জাহানারা আলমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৮ নভেম্বর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে কমিটির প্রধান আহ্বায়ক করা হয় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তারিক উল হাকিমকে। বাকি দুই সদস্য হিসেবে যুক্ত করা হয়- বিসিবির পরিচালক রুবাবা দৌলা এবং বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা।
এরপর তদন্ত কমিটির সদস্য সংখ্যা তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচজন করা হয়। যুক্ত হন দুই সদস্য- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আইন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. নাইমা হক এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খান।
বিসিবি জানিয়েছে, ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদনটি পাওয়ার আশা করছে বোর্ড। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রক্রিয়ার প্রতি বিসিবি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেট খেলতে এসে উদ্বোধনী দিনে মাঠে নামছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের প্রথম দিন দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম রয়্যালসের মুখোমুখি হবে নোয়াখালীর দলটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার বিপিএলের ১২তম আসরের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছে বিসিবি। আগামী ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে এবারের বিপিএল। ছয় দলের অংশগ্রহণে ২৯ দিন ও ৩৪ দিনের টুর্নামেন্ট শেষ হবে আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারি।
এবারের টুর্নামেন্টের ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজির চারটিই নতুন। তবে নোয়াখালী ছাড়া অন্য দলগুলো ভিন্ন নামে আগেও খেলেছে বিপিএল। নোয়াখালী এবারই প্রথম বিপিএলে খেলতে আসায় তাদের নিয়ে রয়েছে বাড়তি আগ্রহ।
উদ্বোধনী দিনে চট্টগ্রামের মুখোমুখি হওয়ার পর দ্বিতীয় দিন স্থানীয় দল সিলেট টাইটান্সের সঙ্গে খেলবে নতুন দলটি। সিলেট পর্বে তাদের শেষ ম্যাচ রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে, ২৯ ডিসেম্বর। এরপর চট্টগ্রামে ৪টি ও ঢাকায় লিগ পর্বে নিজেদের বাকি ৩ ম্যাচ খেলবে নোয়াখালী।
বিপিএলের এবারের মৌসুমে এক মাঠে সর্বোচ্চ ৫টি করে ম্যাচ রংপুর রাইডার্স ও সিলেটের। নিজেদের শহরের মাঠ সিলেটে ৫টি ম্যাচ খেলবে সিলেট টাইটান্স। আর চট্টগ্রামের মাঠে ৫টি ম্যাচ খেলবে রংপুর রাইডার্স।
লিগ পর্বে কোন মাঠে কার কত ম্যাচ
রংপুর রাইডার্স: সিলেট - ৪, চট্টগ্রাম - ৫, ঢাকা -১
ঢাকা ক্যাপিটালস: সিলেট - ৪, চট্টগ্রাম - ৪, ঢাকা - ২
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স: সিলেট - ৪, চট্টগ্রাম - ৪, ঢাকা - ২
চট্টগ্রাম রয়্যালস: সিলেট - ৪, চট্টগ্রাম - ৪, ঢাকা - ২
সিলেট টাইটান্স: সিলেট - ৫, চট্টগ্রাম - ৩, ঢাকা - ২
নোয়াখালী এক্সপ্রেস: সিলেট - ৩, চট্টগ্রাম - ৪, ঢাকা - ৩

দল একটি কমে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কমেছে সামনের বিপিএলের ম্যাচ সংখ্যা। আর এর ধাক্কা গিয়ে লাগল মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। প্রতি আসরে মিরপুরে সবচেয়ে বেশি খেলা হলেও, এবার হবে উল্টো।
সিলেট, চট্টগ্রামের চেয়ে দুইটি ম্যাচ কম হবে দেশের হোম অব ক্রিকেটে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে হবে বিপিএলের ১২টি করে ম্যাচ। আর মিরপুরে হবে ১০টি খেলা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার বিপিএলের ১২তম আসরের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ম্যাচ সংখ্যা কমলেও, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ প্লে অফের চারটি ম্যাচই হবে রাজধানী ঢাকার মিরপুরে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের আশা ছিল, ১৯ ডিসেম্বর শুরু করা হবে বিপিএল। তবে শেষ পর্যন্ত ৭ দিন পিছিয়ে ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু করা হবে এবারের বিপিএল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে লড়বে সিলেট টাইটান্স ও রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।
উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম রয়্যালস ও নোয়াখালী এক্সপ্রেস। পর দিন রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ঢাকা ক্যাপিটালস। আর সবার শেষে ২৯ ডিসেম্বর নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে রংপুর রাইডার্স, প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম রয়্যালস।
সিলেট পর্বের ১২ ম্যাচ শেষ করে ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব। সেখানে ৬টি ম্যাচ ডেতে হবে টুর্নামেন্টের ১২টি খেলা।
এরপর লিগ পর্বের বাকি ছয় ম্যাচ ও প্লে-অফের চার ম্যাচের জন্য বিপিএল চলে আসবে ঢাকায়। এখানে খেলা শুরু হবে ১৫ জানুয়ারি। টানা তিন দিনে হবে ছয় ম্যাচ। অর্থাৎ ১৭ জানুয়ারি শেষ হয়ে যাবে লিগ পর্বের সব খেলা।
এক দিন বিরতি দিয়ে ১৯ জানুয়ারি হবে এলিমিনেটর ও প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ। একদিন পরে অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে লড়বে দুই দল। সব শেষ করে ২৩ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচ।
প্লে-অফের সব ম্যাচের জন্যই রাখা হয়েছে এক দিন করে রিজার্ভ ডে।
বরাবরের মতো লিগ পর্বে প্রতি দিন হবে দুইটি করে খেলা। শুক্রবার ছাড়া বাকি ছয় দিন প্রথম ম্যাচ শুরু দুপুর ১টায় আর পরেরটি মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা ৬টায়। তবে শুক্রবারের ম্যাচগুলো শুরু হবে দুপুর ২টা ও সন্ধ্যা ৭টায়।