১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৪ পিএম
আগে ব্যাটিং করা ঢাকা ক্যাপিটালস চড়ল রানের চূড়ায়, লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম খুনে ব্যাটিংয়ে করলেন সেঞ্চুরি। রেকর্ড গড়া ওপেনিং জুটিতে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোর পেল টানা ছয় ম্যাচ হারা ঢাকা। একপেশে ম্যাচে প্রথম বল থেকেই জয়ের লড়াইয়ে না থাকা দুর্বার রাজশাহী বরণ করল বিশাল পরাজয়। থিসারা পেরেরার দল পেল সপ্তম ম্যাচে এসে প্রথম জয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ঢাকা জিতেছে ১৪৯ রানে। ঢাকার করা ১ উইকেটে ২৫৪ রানের জবাবে রাজশাহী গুটিয়ে গেছে স্রেফ ১০৫ রানেই।
আরও পড়ুন
ইতিহাস গড়া জুটিতে সবাইকে পেছনে ফেললেন লিটন-তানজিদ |
![]() |
ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষেই অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় ফলাফল। ২৫৪ রান তাড়া করে জিততে হলে রাজশাহীকে ঘটাতে হত মিরাকেল। তবে বাস্তবতা ছিল প্রথম থেকেই ভিন্ন। পাহাড়সম টার্গেটের পেছনে ছুটে পাওয়ার প্লেতেই চার উইকেট হারিয়ে বড় হার নিশ্চিত হয়ে যায় দলটির।
ব্যাটিং ভরাডুবির মধ্যে সাতে নেমে ৪৭ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলে রাজশাহীর মান কিছুটা রক্ষা করেন রায়ান বার্ল। ঢাকার চার বোলার নেন দুটি করে উইকেট।
অবশ্য ঢাকার ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, এ যেন রানবন্যার এক উইকেট। আগের ম্যাচে ফিফটি করা লিটন প্রথম থেকেই ছিলেন রুদ্ররূপে। মাত্র ৪২ বলে করে ফেলেন সেঞ্চুরি, যা বিপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম শতক এখন। তানজিদও কম যাননি। তাতে রাজশাহীর বোলারদের ভুলে যাওয়ার মত দিনই কাটে। ১৯.৩ ওভারে যখন তানজিদ আউট হন ১০৮ রানে, তখন ঢাকার বোর্ডে রান ২৪১!
আরও পড়ুন
সিলেটের টানা দ্বিতীয় জয় |
![]() |
বিপিএলের ইতিহাসের তো বটেই, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড এটিই। আর সব মিলিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো উইকেটেই লিটন-তানজিদের ২৪১ এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। শীর্ষে আছে জাপানের ইয়ামামোটো-লেক ও কে কাদোওয়াকি-ফ্লেমিংয়ের ২৫৮। ওপেনিং জুটিতে চীনের বিপক্ষে তারা এই রান করেছিলেন ২০২৪ সালে ফেব্রুয়ারিতে।
লিটন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১২৫ রানে, ৬৫ বলের ইনিংস সাজান ১০ চার ও ৯ ছক্কায়। তাতে ঢাকা পায় বিপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর, যা তাদের এনে দেয় স্মরণীয় এক জয়।
১৩ জুলাই ২০২৫, ১১:৫০ পিএম
১৩ জুলাই ২০২৫, ৯:১৩ পিএম
১৩ জুলাই ২০২৫, ৮:১১ পিএম
সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টির আগে বাংলাদেশ শিবিরে চিন্তার কারণ হয়ে অনুশীলনে অংশ নেননি শামীম হোসেন। বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাথাব্যথার কারণে এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে এবং সতর্কতার অংশ হিসেবে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
শ্রীলঙ্কার সাথে ১-১ সমতায় থাকা থাকা সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচটি আগামী বুধবার কলম্বোয় অনুষ্ঠিত হবে। সেটা সামনে রেখে মঙ্গলবার আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে বাংলাদেশ দল, যেখানে দেখা যায়নি শামীমকে। শেষ ম্যাচে তিনি খেলবেন কিনা, সেই ব্যাপারে ম্যাচের দিনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২৪ বছর বয়সী শামীম দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান। চাপের মুখে খেলেন মাত্র ২৭ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো এক ইনিংস, যা তিনি সাজান পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কার মারে। তার ইনিংসটিই বাংলাদেশের স্কোরকে ১৭৭ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সাহায্য করে, যা পরে এনে দেয় ৮৩ রানের বিশাল জয়।
তবে এই ম্যাচে শুধু ব্যাটেই নয়, ফিল্ডিংয়েও শামীম রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পাওয়ার প্লেতে তার দুর্দান্ত এক সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হন ফর্মে থাকা শ্রীলঙ্কান ব্যাটার কুশাল মেন্ডিসকে, যা শুরুতেই চাপে ফেলে দেয় শ্রীলঙ্কাকে। এছাড়া ওয়ানডে সিরিজে বল হাতেও ঝলক দেখিয়েছেন শামীম, যা দলের তার গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ডাম্বুলা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার সমর্থকের স্রোত বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি লিটনদের সামনে। বরং দর্শক উপচে পড়া স্বাগতিক সমর্থকদের পিলে চমকে দিয়েছে বাংলাদেশ দল।সিরিজে বাঁচা মরার ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ রেকর্ড করে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ পাল্লেকেলেতে বাংলাদেশ হেরেছে ৭ উইকেটে। উইকেটের ব্যবধানে ওটাই ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় জয়। ওই হারের বদলা নিয়েছে বাংলাদেশ রোববার। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় ছিল ২০১৮ সালে সিলেটে ৭৫ রানে। লিটন (৫০ বলে ৭৫)- শামীম পাটোয়ারির (২৭ বলে ৪৮) ব্যাটিং, রিশাদ (৩/১৮)-শরিফুলের (২/১৪)-সাইফুদ্দিনের (২/২১) বোলিংয়ে সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে ডাম্বুলায় বাংলাদেশ ৮৩ রানের বিশাল জয়ে ফিরেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে।
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ পাওয়ার প্লে'র ৩০ বলে ৬২ রান যোগ করায় চ্যালেঞ্জিং পুঁজি (১৭৭/৭) পেয়েছে বাংলাদেশ।এই পুঁজি নিয়ে জয়ের জন্য দরকার ছিল বোলারদের সমন্বিত পারফমেন্স। তাসকিন-তানজিম হাসান সাকিবের পরিবর্তে শরিফুল এবং মোস্তাফিজকে ফেরানোয় অনেক দিন পর বাংলাদেশ দলের বোলিং ছড়িয়েছে আতঙ্ক। শরিফুলের প্রথম স্পেল (৩-০-১৪-২) দিয়েছে ম্যাচ জয়ের আবহ।ওই স্পেলেই ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে শ্রীলংকা নেমেছে ব্যাকফুটে (৩৭/৪)। ইনিংসের মাঝপথে লেগ স্পিনার রিশাদের একটি ওভারে নিশাঙ্কা (২৯ বলে ৩২) এবং করুনারত্নে (০) ফিরে গেলে ম্যাচটা হাতের মুঠোয় নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। লেগ স্পিনার রিশাদের একই স্পেলেই (৩.২-০-১৮-৩) ম্যাচে দারুনভাবে ফিরেছে বাংলাদেশ।নিজের প্রথম ওভারের ২য় এবং চতুর্থ বলে ছক্কা-চার খেয়ে হতোদ্যম হননি সাইফউদ্দিন। ওই ওভারের ৫ম বলে শামীম পাটোয়ারির দারুণ ডাইরেক্ট থ্রো-তে কুশল পেরেরাকে রান আউটে ফেরত পাঠিয়ে লংকান সমর্থকদের পিলে চমকে দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে ১১ রান খরচ করা সেই সাইফুদ্দিন শেষ করেছেন ২ উইকেটে (৩-০-২১-২)।
এই ম্যাচে অধিনায়ক লিটনের বোলিং চেঞ্জ, ফিল্ড প্লেসিং সবই ছিল দারুন। তবে তার ব্যাটিংটা ছিল এক কথায় অসাধারণ। অধিনায়কের ব্যাটে রান না এলে তার বিরূপ প্রভাব পড়ে দলের উপর, পাল্লেকেলেতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬ রানে আউট হয়ে দলের সে বিপর্যস্ত চেহারা দেখেছেন লিটন। সিরিজের আশা বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচে নিজেকে ধরেছেন মেলে। করেছেন টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেরা পারফরমেন্স (৫০ বলে ১ চার, ৫ ছক্কায় ৭৬ রান)।
ইনিংসের প্রথম দুই ওভারে পারভেজ ইমন (৩ বলে ০) এবং তানজিদ হাসান তামিম (৮ বলে ৫) ফিরে যাওয়ার পর ডাম্বুলায় ছিল অশনি সংকেত। তবে লিটনের ক্যাপ্টেনস নক, হৃদয়ের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৫ বলে ৬৯ এবং শামীম পাটোয়ারিকে নিয়ে ৫ম উইকেট জুটিতে ৫২ বলে ৭৭ রানে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। হৃদয় এদিন ফিরে পেয়েছেন ছন্দ। শানাককে এক ওভারে পর পর দুই বলে ছক্কা এবং চার মেরে দিয়েছিলেন ফিফটির পূর্বাভাস। তবে বিনুরু ফার্নান্ডোর আউটসাইড অফ ডেলিভারিতে শর্ট থার্ডম্যানে থেমেছেন তিনি (২৫ বলে ৩১)।
ব্যাট করতে নেমে লিটন প্রথম বল ফেস করেছেন কভারে সিঙ্গল নিয়ে। শুরুতে আত্মবিশ্বাসী শট পেয়েও বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন সতর্ক। প্রথম ৭ রানে খেলেছেন তিনি ১১টি বল। এর পর ব্যাটটা করেছেন চওড়া। বিনুরু ফার্নান্ডোকে দর্শনীয় পুল শটে ছক্কায় পেয়েছেন অক্সিজেন। চার-এর চেয়ে ছক্কার আধিক্য ছিল তার ইনিংসে। ৫টি ছক্কার ২টি মেরেছেন বিনুরু ফার্নান্ডোকে। ১টি করে মেরেছেন শানাকা, থিকসানা ও জেফরিকে। ৩৯ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বাদশ ফিফটি পূর্ণ করেছেন ছক্কার শটে। থিকসানাকে ডাউন দ্য উইকেটে ছক্কা মেরে ৬০ রানের মাথায় জেফরির বলে মিড অফে দিয়েছিলেন ক্যাচ। থিকসানার হাত থেকে ক্যাচ ফসকে যাওয়ায় ইনিংস টেনে নিতে পেয়েছেন ৭৬ পর্যন্ত। থিকসানার মিয এন্ড লেগ স্ট্যাম্পে পিচিং ডেলিভারিতে মিড উইকেট দিয়ে খেলতে যেয়ে থার্ডম্যানে দিয়েছেন ক্যাচ। শামীম পাটোয়ারীর সাথে ৫২ বলে ৭৭ রানের পার্টনারশিপটাই বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং পুঁজির জন্য সহায়ক হয়েছে। লিটনের পর ফিফটি পেতে পারতেন শামীম পাটোয়ারী। তবে করুনারত্নে এবং তুষারাকে ছক্কায় ডাম্বুলার দর্শকদের পিলে চমকে দেয়া শামীম পাটোয়ারি থেমেছেন ফিফটি থেকে ২ রান আগে। রান আউটে কাটা পড়েছেন তিনি (২৭ বলে ৫ চার, ২ ছক্কায় ৪৮)।
লিটন-হৃদয়-শামীম পাটোয়ারির ব্যাটিংয়ে যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে পেরেছে বাংলাদেশ, সেই চ্যালেঞ্জে ৮৩ রানের জয়ে সিরিজের ট্রফিতে এখন চোখ লিটনের দলের। আগামী ১৬ জুলাই প্রস্তুত প্রেমাদাসার মঞ্চ।
ব্যাট হাতে শুরুর চাপ সামাল দিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে লিটন দাস খেললেন ব্যবধান গড়ে দেওয়া ইনিংস। তাতে ভর করে শ্রীলঙ্কা চ্যালেঞ্জিং টার্গেটই দিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে রান তাড়ায় দাপুটে জয় পাওয়া স্বাগতিকরা এবার মুখথুবড়ে পড়ল। সামান্যতম লড়াই জমাতে ব্যর্থ হয়ে একশর আগেই গুটিয়ে গেল শ্রীলঙ্কার ইনিংস। আর তাতে সিরিজে টিকে রইল বাংলাদেশ।
ডাম্বুলায় সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জিতেছে ৮৩ রানে। লিটন দাসের দলের করা ৭ উইকেটে ১৭৭ রানের জবাবে মাত্র ৯৪ রানেই থামে প্রতিপক্ষের ইনিংস।
এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা শরিফুল ইসলামের শুরুতেই করেন বাজিমাত। অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে রানের খাতা খোলার আগেই কুসাল পেরেরা ক্যাচ তুলে দেন পয়েন্টে।
ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলা শামীম হোসেন ফিল্ডিংয়েও আলো ছড়ান বেশ। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে কাভার পয়েন্টে ঠেলে দৌড় শুরু করেছিলেন কুসাল মেন্ডিস, তবে শামীমের নিখুঁত থ্রো তছনছ করে দেয় স্টাম্প। ১৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
অন্যপ্রান্তে মুস্তাফিজুরের রহমানের বলে শূন্য রানে থাকা অবস্থায় আভিশকা ফার্নান্দো শর্ট মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান। খানিক বাদে তাকে অবশ্য হতাশ করেন শরিফুল ইসলাম। ডিপ স্কয়ার লেগে শামীমের ক্যাচে শেষ হয় ৫ বলের ২ রানের ইনিংস।
যাওয়া-আসার মিছিলে এরপর যোগ দেন চারিথ আসালাঙ্কা। সাইফউদ্দিনের বাইরের ফুল লেংথ বল খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন লিটন দাসের গ্লাভসে। ৫ বল খেলে সমান ৫ রানে বিদায় নেন লঙ্কান অধিনায়ক।
এরপরই রিশাদ হোসেন ও মেহেদি হাসান মিরাজের স্পিন ঘূর্ণিতে পথ হারায় শ্রীলঙ্কা। দাসুন শানাকা ছক্কা মারতে গিয়ে শিকার হন মিরাজের, তার আগে ১৬ বলে করেন ২০ রান।
একপ্রান্ত আগলে কিছুটা লড়াই করা পথুম নিসাঙ্কা রিশাদকে চার মারার পরের বলে স্টাম্পড হন ৩২ রানে। একই ওভারে তাকে অনুসরণ করেন চামিকা কারুনারাত্নে।
৭৩ রানে ৭ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কার ইনিংসে বাকি অংশের ইতি ঘটে খুব দ্রুতই। ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার রিশাদই।
এর আগে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ ইনিংসের তৃতীয় বলেই হারায় উইকেট, পারভেজ হোসেন ইমন শূন্য রানে বোল্ড হন। এরপর তানজিদ হাসান তামিমও ৫ রানে ফিরে যান।
এরপর চাপের মধ্যে দায়িত্ব নেন লিটন ও তাওহীদ হৃদয়। তৃতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। তাওহীদ ২৫ বলে ৩১ রান করে ফিরলেও ছন্দে থাকা লিটন ফিফটি পূর্ণ করেন ৩৯ বলে। শেষ পর্যন্ত দুটি জীবন পেয়ে খেলেন ৫ ছক্কা ও ১ চারে ৭৬ রানের ইনিংস।
তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে শামীমও উপহার দেন মারমুখী ব্যাটিং। শেষ ওভারে রান আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান।
দুই ওপেনারের দ্রুত বিদায়ে শুরুতেই তৈরি হল চাপ। ফর্মের সাথে লড়াই করা লিটন দাস সেখান থেকেই শুরু করলেন লড়াই। রানে ফেরার ম্যাচে দলকে ভালো একটা স্কোরের ভিত গড়ে দিলেন দারুণ এক ফিফটিতে। সাথে শামীম হোসেন খেললেন ভীষণ কার্যকরী এক চল্লিশোর্ধ রানের ইনিংস। শেষ কয়েকটি ওভারে সেভাবে ঝড় তোলা না গেলেও তাই শ্রীলঙ্কাকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেটই দিল বাংলাদেশ।
ডাম্বুলায় সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ১৭৭ রানের স্কোর দাঁড় করিয়েছে।
প্রথম ম্যাচের মতোই আরও একবার টস ভাগ্য সহায় হয়নি লিটন দাসের। তাতে টানা ম্যাচে আগে ব্যাট করতে হয় বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচের হারের পর একাদশে বড়সড় বদল আনে বাংলাদেশ। দীর্ঘ বিরতির পর দলে ফিরে এক ম্যাচ খেলেই বাদ পড়েন নাঈম শেখ। আরও বাদ পড়েন তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিন আহমেদ। একাদশে ফেরেন জাকের আলি অনিক, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
ব্যাট হাতে বাংলাদেশের শুরুটাই ছিল হতাশাজনক। ইনিংসের তৃতীয় বলে নুয়ান থুসারার এক দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বিভ্রান্ত হয়ে ক্লিন বোল্ড হন পারভেজ হোসেন। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তরুণ এই ওপেনার।
আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। স্লিপের পাশে ও গালির মাঝে এক জায়গায় ফিল্ডার রেখে সাজানো ফাঁদে পা দেন তিনি। বিনুরা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালান তানজিদ, কিন্তু টাইমিং হয়নি। আউটের আগে ৮ বলে ৫ রান করতে পারেন তিনি।
দ্রুত দুই ওপেনারের বিদায়ে চাপে পড়লে এরপর হাল ধরেন লিটন ও তাওহীদ। ৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৩৯। এরপর জুটিতে ফিফটিও করেন তারা, তবে সেজন্য বল খেলে ফেলেন ৪১টি।
একবার ভাগ্যের সহায়তাও পান লিটন। ৩০ রানে থাকা অবস্থায় জেফ্রি ভ্যান্ডারসের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করে মিস করেন, কিন্তু কিপার কুশল মেন্ডিস পারেননি স্টাম্পড করতে।
ওই ওভারের পরের বলেই বাউন্ডারি মেরে ভ্যান্ডারসকে হতাশ করেন তাওহীদ। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। বিনুরা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের স্লোয়ার কাট করার চেষ্টায় ব্যাটের কানায় লেগে তুলে ক্যাচ দেন। ২৫ বলে তাওহীদের ৩১ রানে বিদায়ে ভাঙে ৬৯ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি।
পরের ওভারেই আবারও উইকেটের দেখা পায় শ্রীলঙ্কা। বিনুরার স্লোয়ারে স্কুপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ধরা পড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে মাত্র ৮০। ক্রিজে লিটন তখন সেট হওয়ায় বড় স্কোরের আশা টিকে ছিল সফরকারীদের।
ভ্যান্ডারসের বলে আরও একবার জীবন পাওয়ার পর লিটন সেই ওভারেই স্লগ সুইপ করে ছক্কা মেরে পূর্ণ করেন তার ১২তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটি। এজন্য বল খেলেন ৩৯টি। সাথে মাত্র ২৬ বলেই শামিম হোসেনের সাথে তার পঞ্চম উইকেট জুটির অর্ধশতক।
ফিফটির পর আরও আগ্রাসী হয়ে ব্যাট চালান লিটন। সমানতালে এগিয়ে যান শামিমও। শেষ পর্যন্ত ৭৬ রানে থামে লিটনের পথচলা। তবে তার আগে উপহার দেন ৫৬ বলে ৫ ছক্কা ও ১ চারে সাজানো দারুণ এক ইনিংস।
ফিফটির পথে ছিলেন শামীমও। তবে দুই রান দূরে থাকতে রান আউটে কাঁটা পড়েন তিনি। তবে তার আগে চাপের মুখে উপহার দেন ২৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রানের ইনিংস।
গ্লোবাল সুপার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গায়ানা আমাজন ওয়ারিওর্সের সাথে দারুণ জয় দিয়ে আসর শুরু করা রংপুর একদিন বাদে আবার মাঠে নামছে। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার দল হোবার্ট হারিকেন্স, যেখানে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
শক্তিশালী গায়ানার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করা রংপুর ৫ উইকেটে ১৬২ রান করার পরও এক পর্যায়ে ছিল বেশ চাপের মুখে। তবে বল হাতে ডেথ ওভারে চমক দেখিয়ে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নেয় রংপুর, জেতে ৮ রানে।
আরও পড়ুন
জয় দিয়েই আসর শুরু চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের |
![]() |
হোবার্টের বিপক্ষে ম্যাচে ওই ম্যাচের একই একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে রংপুর। ম্যাচটি সরাসরি দেখতে চোখ রাখুন টি স্পোর্টসের পর্দায়।
রংপুর রাইডার্স একাদশ :
ইব্রাহিম জাদরান, সৌম্য সরকার, কাইল মায়ার্স, আজমাতউল্লাহ ওমরজাই, ইয়াসির আলী রাব্বি, নুরুল হাসান (অধিনায়ক), ইফতেখার আহমেদ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, রাকিবুল হাসান, তাবরেজ শামসি, খালেদ আহমেদ।
হোবার্ট হ্যারিকেনস একাদশ :
ভানুকা রাজাপাকশে, বেন ম্যাকডারমট (অধিনায়ক), ম্যাকালিস্টার রাইট, জ্যাক ডোরান, নিখিল চৌধুরী, মোহাম্মদ নবি, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, ওডিয়ান স্মিথ, উসামা মির, বিলি স্ট্যানলেক, রাফ ম্যাকমিলান।
৯ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে