
রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর নানা কারণে সমালোচনা পিছু নিয়েছিল কিলিয়ান এমবাপের। নতুন ক্লাবে ফরাসি তারকা যেন নিজেকে হারিয়েই খুঁজছিলেন। কঠিন সেই সময়ে সতীর্থ কিংবা কোচ, সবার থেকেই পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন এমবাপে। তাতে ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছেন নিজের পুরনো রূপে। ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলারের কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনতে সবাইকে তার প্রতি আরও উদার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মিডফিল্ডার ফেদেরিকো ভালভের্দে।
ফর্মে ফেরা এমবাপে রিয়ালের শেষ চার ম্যাচেই গোল করেছেন। সবশেষ ম্যাচে সেভিয়ার বিপক্ষে তো ডি বক্সের বাইরে থেকে করেছেন দুর্দান্ত গোল। শুধু গোলই নয়, মাঠে তার মুভমেন্ট কিংবা আত্মবিশ্বাস সব কিছুই নজর কেড়েছে। মূলত অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রমই এমবাপেকে সাহায্য করছে তার হারানো ফর্ম খুঁজে পেতে।
রিয়াল মাদ্রিদ টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তেমনটাই জানিয়েছে ভালভের্দে। “আমরা সবসময়ই তাঁকে দেখেছি নিজের সেরাটা দিতে। সে নিজের সেরাটা দিতে কঠিন পরিশ্রম করছে। আমরা ভুল করতে পারি, কিংবা কিছু ম্যাচ খারাপ যেতে পারে। তবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে সেটা কাটিয়ে উঠা। যা এমবাপে করছে।”
চলতি মৌসুমে এমবাপে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ২৩ ম্যাচ। ১৩ গোলের পাশাপাশি করেছেন ৩টি অ্যাসিস্টও। পরিসংখ্যান খুব একটা এমবাপের বিপক্ষে কথা না বললেও মাঠে সহজ সুযোগ হাতছাড়া কিংবা স্ট্রাইকার হিসেবে মুভমেন্টে নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে পেরেছেন খুব কমই। তবে শেষ কয়েক ম্যাচে সেই ধারা থেকে অনেকটাই বেরিয়ে আসছেন এমবাপে।
ফরাসি অধিনায়ককে চিরচেনা ফর্মে ফেরাতে দলের সবাই তার প্রতি আরও উদার হওয়া কথাই বলেছেন ভালভের্দে। “সে ড্রেসিংরুমে অন্যদের জন্য উদাহরণ এবং বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। আমরা সবাই তার প্রতি আরও উদার হতে হবে তাঁকে সেরা ফর্মে ফেরাতে।”
লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে থাকা রিয়ালের পরবর্তী ম্যাচ ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে, আগামী ৪ জানুয়ারি।
No posts available.

এল ক্লাসিকোয় ৭২ মিনিটে রদ্রিগোর বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় রাগে ফুঁসছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। মাঠে খেলছিলেন দারুণই। তবে কোচ জাবি আলোনসো তাকে তুলে নেওয়ায় ক্ষোভ ঝাড়েন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। স্পেনের সংবাদমাধ্যমের খবর, ভিনি মনে করছেন কোচ থেকে যথাযথ সম্মান পাচ্ছেন না তিনি। এমনকি ক্লাব ছাড়ার ব্যাপারেও নাকি ভাবছেন রিয়াল তারকা।
বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচে বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার পর ভিনি চেঁচিয়ে বলেন, ‘সব সময় কেন আমি! আমি দল ছাড়ছি! আমি যাচ্ছি, এখন যাওয়াই ভালো।’ তারপর রিয়ালের ২৫ বছর বয়সী তারকা সরাসরি ড্রেসিং রুমের দিকে চলে যান। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে অবশ্য মুখ খুলেননি কোচ আলোনসো। এই ঘটনায় পরে ভিনির সঙ্গে একান্ত কথা বলবেন বলে জানান তিনি।
কোচের সিদ্ধান্ত মানতেই পারছিলেন না ভিনিসিয়ুস।
মাদ্রিদভিত্তিক সংবাদপত্র 'আস'’ এর একটি প্রতিবেদন জানিয়েছে, কোচ আলোনসো ভিনিসিয়ুসের অবস্থানকে মূল্যায়ন করছে না, এমনটাই অভিযোগ তাঁর। খেলোয়াড় ও কোচের মধ্যে নেতিবাচক সম্পর্ক ক্লাবের জন্যও ‘বড় সমস্যা’ হয়ে উঠছে।
অবশ্য ভিনিসিয়ুসের বিষয়ে ক্লাবের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সমর্থন পাচ্ছেন আলোনসো। যেভাবে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারকে সামলাচ্ছেন ইউরোপের সবচেয়ে সফল ক্লাবটির কোচ, তাতে পুরোপুরি সায় আছে রিয়ালের।
আরও পড়ুন
| আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতে ‘তর সইছে না’ মেসির |
|
রিয়াল মাদ্রিদের কর্তৃপক্ষ এল ক্লাসিকোয় ভিনিসিয়ুসের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণের নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে। ওই ঘটনায় বড় জরিমানার শাস্তিও পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেও বিতর্কিত আচারণের জন্য শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছিল ভিনিকে।
চলতি মৌসুমের ১৩টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটিতে ভিনিসিয়ুস পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন। পর্যাপ্ত গেম টাইম না পাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই অখুশী তিনি। আর সেই সুযোগের সদ্বব্যবহারের অপেক্ষায় আছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাবগুলোও। গুঞ্জন আছে চোখ কপালে তোলা বিশাল অঙ্কের বেতন বোনাস দিতে প্রস্তুত হয়ে আছে তারা।

অনেকের মতে ২০২২ বিশ্বকাপ জিতে ফুটবলকেই পূর্ণতা দিয়েছেন লিওনেল মেসি। সোনায় মুড়িয়ে রাখার মতো ক্যারিয়ারে এই এক শিরোপাই অধরা ছিল আর্জেন্টাইন মহাতারকার। কাতারে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে ষোলোকলা পূর্ণ করেন মেসি। চাইলে তো তখনই অবসরের ঘোষণা দিতে পারতেন ইন্টার মায়ামির মহাতারকা। তবে উপভোগের মন্ত্রকে বেছে নেন সর্বজয়ী মেসি।
দরজায় কড়া নাড়ছে ২০২৬ বিশ্বকাপ। ৪৮ দলের এবারের বিশ্বসেরাদের আসরও মাতাবেন মেসি, সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের ভক্তকূল তো সেদিকেই চেয়ে আছে। ৩৮ বছর বয়সী মেসিও যে মুখিয়ে আছেন বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি ধরে রাখার অভিযানে নামতে। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপে খেলতে চান রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মহাতারকা।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসন্ন বিশ্বকাপ নিজের ভাবনার কথা বলেন মেসি। আগামী বছরের জুনে ৩৯ এ পা দেবেন মেসি। বয়সের বিষয়টি মাথায় রেখেই বিশ্বকাপে খেলতে আশাবাদী মেসি বলেন,
‘বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাওয়াটা অসাধারণ কিছু, এবং আমি চাই তা করতে।’
তবে এখনই সবকিছু নিশ্চিত করছেন না মেসি। শতাভাগ ফিট থেকেই দলের সঙ্গী হতে চান তিনি,
‘আমি চাই সেখানে থাকতে। জাতীয় দলকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়েই বিশ্বকাপে যেতে চাই। পরের বছর ইন্টার মায়ামির হয়ে প্রাকমৌসুম শুরু করার সময় একদিন একদিন করে দেখব যে আমি সত্যিই শতভাগ ফিট আছি কিনা। জাতীয় দলের জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখতেপারছি কিনা, তারপর সিদ্ধান্ত নেব।'
জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারা মেসির জন্য এখনো স্বপ্নের মতোই,
‘অবশ্যই আমি খুব উত্তেজিত, কারণ এটি একটি বিশ্বকাপ। আমরা সবশেষ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন। মাঠে আবার সেই শিরোপা ধরে রাখতে পারা অসাধারণ ব্যাপার হবে। জাতীয় দলের সঙ্গে খেলা সবসময়ই একটি স্বপ্ন, বিশেষ করে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে।’
বয়সকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এখনো মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মেসি। আছেন দারুণ ছন্দে। মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) নিয়মিত মৌসুমে ২৮ ম্যাচে ২৯ গোল করে প্রথমবারের মতো এমএলএস গোল্ডেন বুট জিতেছেন। লিগটিতে প্রতিনিয়তই করে যাচ্ছেন একের পর এক রেকর্ড। সবশেষ ম্যাচেও পেয়েছেন জোড়া গোল। মেসির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের নৈপুণ্যে এমএলএস কাপের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ন্যাশভিলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ৩–১ গোলে জিতেছে মায়ামি। ছন্দের এই ধারা বিশ্বকাপ পর্যন্ত টেনে নেওয়ার মিশনেই যে আছেন মেসি।

৪২ বছরের জীবনে বহু উত্থান-পতনের স্বাক্ষী হয়েছেন দানি আলভেস। বার্সেলোনার সাবেক এই রাইট-ব্যাকের ফুটবল ক্যারিয়ার সাফল্যমণ্ডিত বলতেই হয়। তবে জীবনে বড় ধাক্কা হয়ে আসে তার বিরুদ্ধে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যৌন হয়রানির অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত কাতালুনিয়ারর হাই কোর্ট প্রমাণের অসঙ্গতির কারণে তাঁর সাজার রায় বাতিল হয়, তাতে দুই বছরেরও বেশি সময় জেলে থাকার পর ছাড়া পান আলভেস।
জীবনের অন্ধকার সেই অধ্যায়ের পর এবার ধর্মে পরিত্রাণ খুঁজে পেলেন আলভেস। সামাজিক মাধ্যেমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা যায়, গির্জা উপাসকের সামনে আবেগময় সাক্ষ্য দিচ্ছেন আলভেস। খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকের ভূমিকায় দেখা গেছে সাবেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারকে।
ইনস্টাগ্রামে বাইবেলের শ্লোক ও খ্রিস্টান স্তোত্র শেয়ার করে নিজেকে ‘যীশু খ্রিস্টের শিষ্য’ এবং ‘খ্রিস্টান প্রভাবক’ হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন আলভেস। তিনি বলেন, ‘আর সেই দূত আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্তে আমাকে তুলে নিলেন, যাত্রার জন্য গির্জায় নিয়ে গেলেন, আর আজ আমি যাদের জন্য সেই যাত্রায় আছি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন
| তুরস্ক ফুটবলে ১৮ হাজারের বেশি ম্যাচে বাজি এক রেফারির |
|
২০২৩ সালে তার খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হয় আলভেসের। সর্বশেষ মেক্সিকোর ক্লাব পুমাসের হয়ে খেলেছেন তিনি। এ ছাড়া বর্ণাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারে বাহিয়া, সেভিয়া, বার্সেলোনা, জুভেন্টাস, পিএসজি, সাও পাওলোর মতো বড় ক্লাবে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন আলভেস।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাইট ক্লাবে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় আলভেসকে। আদালতের রায়ে চার বছর ছয় মাসের সাজা পান তিনি । যদিও নিজেকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার। আলভেসের আইনজীবীরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। প্রমাণে ‘অসঙ্গতি ও ত্রুটির’ কারণে শেষ পর্যন্ত ২০২৫ সালের মার্চে মুক্তি পান তিনি।
জেল থেকে বের হওয়ার পর পুরোপুরি নতুন, শান্ত জীবনকে বেছে নিয়েছেন আলভেস। সম্প্রতি কন্যা সন্তানের জনকও হয়েছেন তিনি। পাশপাশি সামাজিক মাধ্যমেও অন্য আলভেসকে দেখছেন সমর্থকরা।

তুরস্ক ফুটবলে রীতিমতো এক ভূমিকম্পই যেন হয়ে গেল। তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ) জানিয়েছে তারা পেশাদার লিগের রেফারির বিরুদ্ধে ফুটবল ম্যাচ বাজির তদন্ত করেছে। আর সেই তদন্তের প্রতিবেদন দেখে তো মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা।
তুরস্কের পেশাদার লিগের ১৫০-এর বেশি রেফারির বিরুদ্ধে ফুটবল ম্যাচে বাজি ধরার অভিযোগ উঠেছে। দেশটির ফেডারেশন গতকাল জানিয়েছে, অভিযুক্ত এসব রেফারির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তুরস্কের ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম হাজিওসমানোগলু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১০ জন রেফারি পাঁচ বছরে ১০,০০০-এর বেশি ম্যাচে বাজি ধরেছেন, যার মধ্যে একজন একাই ১৮২২৭ ম্যাচে বাজি রেখেছেন।
আরও পড়ুন
| এল ক্লাসিকো জয়ের পর দুঃসংবাদ রিয়ালের |
|
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ৫৭১ সক্রিয় রেফারির মধ্যে ৩৭১ জনের কমপক্ষে একটি বাজি কোম্পানির অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ১৫২ জন রেফারি এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ফুটবলের ওপর বাজি রেখেছেন। তাঁদের মধ্যে ৭ জন শীর্ষ পর্যায়ের রেফারি, ১৫ জন শীর্ষ পর্যায়ে সহকারীর দায়িত্বে আছেন। ৩৬ জন বিভিন্ন পর্যায়ের রেফারি এবং ৯৪ জন বিভিন্ন পর্যায়ের সহকারী।’
ফেডারেশনের শৃঙ্খলা কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন হাজিওসমানগ্লু. ‘ওদের শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো হবে এবং আমাদের নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’ তিনি আরও জানান, এই তদন্তে যে তথ্য মিলেছে, তা গত পাঁচ বছর সময়কালের এবং তুরস্কের ক্রীড়া আইনের আওতায় পড়ে।
তুরস্ক ফুটবলে সংস্কারের কথা বলেন তিনি, ‘আমরা জানি তুরস্কি ফুটবলের পরিবর্তনের প্রয়োজন। আমাদের দায়িত্ব হলো তুর্কি ফুটবলকে তার যথাযথ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং এর সমস্ত কলঙ্ক দূর করা।’
তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা সমস্যাযুক্ত রেফারিদের শনাক্ত ও তদন্ত করবে এবং সম্ভাব্য আইনের লঙ্ঘন খতিয়ে দেখবে। খেলাধুলায় সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ আইন, খেলাধুলা ক্লাব ও ফেডারেশন আইন এবং ফুটবলসহ অন্যান্য খেলাধুলায় বাজি ও জুয়ার আয়োজন আইন এর আওতায় পড়ে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান তদন্ত আরও গভীরভাবে চালানো হবে।’

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিদের বিপক্ষে জয়ের পর বড় ধাক্কা খেল রিয়াল মাদ্রিদ। আবারও দীর্ঘ সময়ের জন্য মাঠের বাইরে যেতে হচ্ছে স্প্যানিশ জায়ান্টদের অধিনায়ক দানি কারভাহাল।
গত রোববার সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে বার্সেলোনার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়ের ম্যাচে ডান হাঁটুতে চোট পান কারভাহাল। মেডিকেল পরীক্ষায় দেখা গেছে, কারভাহালের হাঁটুর ভেতরে টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা সরিয়ে ছোট অস্ত্রোপচার (আর্থ্রোস্কোপি) প্রয়োজন হবে।
রিয়াল মাদ্রিদ আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,
‘আমাদের অধিনায়ক দানি কারভাহালের ওপর রিয়াল মাদ্রিদ মেডিকেলের করা পরীক্ষার পর দেখা গেছে, তার ডান হাঁটুর জয়েন্ট ঢিলা হয়ে গেছে। কারভাহালের আর্থ্রোস্কোপি করা হবে।’
এল ক্লাসিকোতে শেষ বাঁশির পর অস্বস্তি অনুভব করতে দেখা যায় কারভাহালকে। বার্সার বিপক্ষে ম্যাচটিতে ৭২ মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন ৩৩ বছর বয়সী এই ফুল-ব্যাক।
হাঁটুর চোটের কারণে কতদিন মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে কারভাহালকে সেটা এখনো নিশ্চিত করেনি রিয়াল। তবে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এল পার্তিদাসো দে কোপে’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় তিন মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে পারেন কারভাহাল। সেক্ষেত্রে এ বছর আর লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে মাঠে নামা হবে না তাঁর। ২০২৬ সালের শুরুর দিকে ফিরতে পারেন কারভাহাল।
সবশেষ গত বছরের অক্টোবরে একই হাঁটুতেই চোট পেয়েছিলেন কারভাহাল। ডান হাঁটুর লিগামেন্ট ও টেন্ডন ছিঁড়ে যাওয়া সেই চোট তাকে পুরো ২০২৪-২৫ মৌসুম থেকে ছিটকে দিয়েছিল। দলের এই রাইট-ব্যাকের চোটে মূল বিকল্প ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডে আস্থা রাখতে হবে কোচ জাবি আলোনসোকে। সম্প্রতি মাংসপেশির চোট সেরে দলে ফিরেছেন ইংলিশ ফুল-ব্যাক। আর আরেক বিকল্প ফেদে ভালভের্দে তো আছেনই।