১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২২ পিএম

ব্যাট হাতে যেন প্রায় প্রথম ম্যাচের পুনরাবৃত্তিই হল বাংলাদেশের। টপ অর্ডারে দুজন করলেন ফিফটি, এরপর দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে তৈরি হল চাপ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার পাশাপাশি চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেওয়ার কাজটা দারুণ মুন্সিয়ানায় সারলেন মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলি অনিক। দুজনেই পেলেন ফিফটির দেখা, যার মধ্যে মাহমুদউল্লাহ সিরিজে করলেন হ্যাটট্রিক অর্ধশতক।
সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ৫ উইকেটে ৩২১ রানে। মাহমুদউল্লাহ ও জাকের ছাড়াও ফিফটি করেছেন সৌম্য-মিরাজ।
প্রথম দুই ম্যাচে এক ফিফটি সহ দারুণ ব্যাটিংই করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। এই ম্যাচে হাসেনি তার ব্যাট। আলজারি জোসেফকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ ফিয়ে ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই। দুই বলে ডাক মেরে এরপরই সাজঘরের পথ ধরেন এই সিরিজে তিনবার এক ডিজিটেই আউট হওয়া লিটন দাস। ৯ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন
| মাহমুদউল্লাহ-তানজিমের লড়াকু ব্যাটিং, বাংলাদেশ থামল ২২৭ রানে |
|
অবশ্য বিপদ আরও বাড়তে পারত প্রথম ওভারেই। আলজারির বলেই শুন্য রানে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন সৌম্য। তবে সহজ ক্যাচ জমাতে ব্যর্থ হন ব্র্যান্ডন কিং। জীবন পেয়ে তা দুহাতে কাজে লাগান অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। প্রথম ম্যাচে ৭৪ রান করা মিরাজ সেদিন খেলেছিলেন ধীরলয়ে। তবে এবার শুরু থেকেই কয়েকটি বাউন্ডারি মেরে ইতিবাচক ব্যাটিং করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
মিরাজ তার প্রথম ২০ রান করেন স্রেফ চার মেরেই। অন্যপ্রান্তে সৌম্য শুরুটা ধীরগতিতে করার পর খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন রোমারিও শেফার্ডকে চার মেরে। কয়েক ওভার বাদে একই বোলারকে র্যাম্প শটে কিপারের মাথার ওপর দিয়ে সীমানা ছাড়া করেন। রোমারিও তার পরের ওভারে ছক্কা হজম করেন মিরাজের কাছেও।
গুদাকেশ মোটিকে ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে ছক্কা মারা সৌম্য পরের বলেও চেষ্টা করেছিলেন একই শট খেলার। তবে ব্যাটে-বলে হয়নি। আরও একবার তার ক্যাচ ফেলে দেন ক্যারিবিয়ান ফিল্ডাররা। ২০তম ওভারে দলীয় শতক পূর্ণ হয় বাংলাদেশের।
চার মেরে ফিফটি তুলে নেন মিরাজ। একই ওভারে পঞ্চাশে পা রাখেন সৌম্যও। দুজন মিলে এরপর চড়াও হন জেদিয়াহ ব্লেডসের ওপর। এক ওভারেই আসে ১৬ রান। ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠা সৌম্যকে শেষ পর্যন্ত থামান মোটি। আগের বলে ছক্কা হজমের পর লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন। ৬টি চার ও ৪ বাউন্ডারিতে ৭৩ বলে ৭৩ করেন সৌম্য।
আরও পড়ুন
| তানজিদ-মিরাজ-মাহমুদউল্লাহর ফিফটিতে বাংলাদেশের ২৯৪ |
|
এই জুটির ১৩৬ রানের ইতি ঘটার পর কিছুটা পথ হারায় বাংলাদেশ। চমৎকার গতিতে এগিয়ে যাওয়া মিরাজ দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের শিকার হন শেরফান রাদারফোর্ডের সরাসরি থ্রোয়ে। ৭৩ বলের ইনিংস সাজান ৮ চার ও ২ ছক্কায়। ১৫ রান করে তাকে অনুসরণ করেন আফিফ হোসেনও। ১৭১ রানে পতন হয় পঞ্চম উইকেটের।
তবে আরও একবার হাল ধরেন অভিজ্ঞ সেনানী মাহমুদউল্লাহ ও জাকের মিলে। শুরুর দিকে কিছুটা দেখেশুনে খেলার পর চড়াও হন সেট হয়েই। প্রায় প্রতি ওভারেই আসতে থাকে চার ও ছক্কার মার। বেশি আগ্রাসী ছিলেন মাহমুদউল্লাহই। ৪০ ওভার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ২১৭।
সেখান থেকে তিনশ পার করার পেছনে দুই ব্যাটারই রাখেন সমান অবদান। তাদের তোপের মুখে শেষ দশ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা দাঁড়াতেই পারেননি কেউ। ৪৬তম ওভারে চার মেরে ওয়ানডেতে নিজের টানা চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ, বল খেলেন ৪৯টি।
পরের ওভারে বাউন্ডারিতে ফিফটিতে পা রাখেন জাকেরও, যা এই ফরম্যাটে তার প্রথম। শেষের কয়েকটি ওভারে অবশ্য তাকে একপ্রান্তে দর্শক বানিয়ে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটান মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৫৩ বলে অপরাজিত থাকেন ৮৪ রানে। চার মারেন ৭টি, আর ছক্কা ৪টি। জাকের করেন ৫৭ বলে ৬২।
আরও পড়ুন
| মাহমুদউল্লাহ ৯৮, মিরাজ ৬৬, বাংলাদেশ ২৪৪ |
|
No posts available.

গতকালও নিজের টেস্ট ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান ছিলেন উসমান খাজা। অথচ আজ স্টিভ স্মিথের চোট হঠাৎ অপ্রত্যাশিতভাবে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে জায়গা করে দিল খাজাকে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) আজ নিশ্চিত করেছে, স্মিথ ভার্টিগো ধরনের উপসর্গ নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন। সাধারণত মাথা ঘোরা বা ভারসাম্য হারানোর মতো এই সমস্যায় স্মিথ আগে ভুগেছেন। নেটে অনুশীলনে ব্যাট করার সময় কোচ ও নির্বাচক অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড সঙ্গে আলোচনা করার পর মাঠ ছাড়েন স্মিথ।
স্মিথের অনুপস্থিতিতে একাদশে সুযোগ পেয়ে দারুণ কাজেই লাগাচ্ছেন খাজা। স্মিথ প্রথম দুটি টেস্টের নেতৃত্ব দেওয়ার পর প্যাট কামিন্স আজ অ্যাডিলেড টেস্টে আবার অধিনায়কের দায়িত্বে ফিরেছেন। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কামিন্স। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। উইকেটে আছেন খাজা ৭০* ও অ্যালেক্স ক্যারি ৩৭*।
স্মিথ সোমবার অসুস্থতার কারণে ট্রেনিং মিস করেছিলেন। তবে রোববার অ্যাডিলেডে অনুশীলন করেছিলেন এবং পরে সতীর্থদের সঙ্গে গলফ ক্লাবে গলফও খেলেছিলেন। মঙ্গলবার ডানহাতি এই ব্যাটার আবার অনুশীলনে যোগ দেন। যদিও তাকে পুরোপুরি সুস্থ দেখাচ্ছিল না মাঝে দীর্ঘ বিরতিও নিতে হয় স্মিথকে।
আরও পড়ুন
| অবিক্রিতই রয়ে গেলেন তাসকিন |
|
সিএ’ এর এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে তিনি অসুস্থ বোধ করছেন, যার মধ্যে বমি ভাব এবং মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ রয়েছে। তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল এবং পর্যবেক্ষণে ছিলেন। আজ মাঠে নামার খুব কাছাকাছি ছিলেন। তবে উপসর্গ অব্যাহত থাকার কারণে, খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
তবে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে স্মিথকে দেখা যেতে পারে আশা করছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওই মুখপাত্র, ‘তিনি সম্ভবত ভেস্টিবুলার সমস্যার চিকিৎসা নিচ্ছেন। এটি এমন একটি সমস্যা যা স্মিথ আগেও মাঝেমধ্যে অনুভব করেছেন এবং সেটা যথাযথভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, তিনি মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের জন্য প্রস্তুত থাকবেন।’
প্রথম দুটি টেস্টে ট্র্যাভিস হেড–জেক ওয়েদারাল্ড ওপেনিং জুটি সফল হওয়ায় নির্বাচকরা শেষ পর্যন্ত খাজাকে দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। আজ অ্যাডিলড টেস্টে হঠাৎ বাঁহাতি এই ব্যাটার দলে ফিরলেও তাকে ওপেনিংয়ে খেলানো হয়নি। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন তিনি, বাকী ব্যাটিং অর্ডার অপরিবর্তিত আছে।
টেস্ট ক্যারিয়ারে কেবল দুইবার চতুর্থ নম্বরে ব্যাটিং করেছেন খাজা। যার মধ্যে আছে অ্যাঝেমের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসটি, পিঠের পেশীতে টান থাকার কারণে ওপেন করতে পারেননি তিনি। তবে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এটি তার প্রিয় স্থান, যেখানে তার গড় ৫৩.১৫ এবং ১০টি সেঞ্চুরি রয়েছে। আগামীকাল ৩৯ বছরে পড়বেন খাজা। গত ৪০ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা প্রথম ৩৯-বছর বয়সী খেলোয়াড় হবেন তিনি।

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের ম্যাচটি ছিল অলিখিত নকআউট। যেখানে অঘটন ঘটেনি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশকে ৭০ রানে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। দিনের আরেক ম্যাচে মালেয়শিয়াকে ৩১৫ রানে হারিয়েছে ভারত।
দুবাইয়ে আজ প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪১ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ৩৭.৫ ওভারে ১৭১ রানেই অলআউট হয় স্বাগতিকরা।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। আহমেদ হুসাইনের ৬৫, সামির মিনহাজের ৪৪ ও হামজা জাহুরের ৪২ রানের ওপর ভর করে আড়াইশ’র কাছাকাছি স্কোর পায় পাকিস্তান।
রান তাড়ায় নেমে আত্মবিশ্বাসী শুরু পায় আমিরাত। ওপেনার আয়ান মিসবাহ ও ইয়ায়িন কিরান রাই প্রথম সাত ওভারেই যোগ করেন ৪২ রান। এরপর আবদুল সুবহান পরপর দুই বলে রাই ও জাইনুল্লাহ রেহমানিকে ফিরিয়ে দিলেও মিসবাহ ও চার নম্বরে নামা পৃথ্বী মাধু ইনিংস গুছিয়ে নেন।
২৪তম ওভারে ৫৮ রানের জুটি ভাঙে মিসবাহ রানআউট হলে। ৭৪ বলে ৭৭ রান করে ফেরেন তিনি। ৩১ ওভারে তিন উইকেটে ১৪২ রান তুলে ম্যাচে টিকে ছিল আমিরাত।
সেখান থেকেই ধস নামে। পরের ২৯ রানের মধ্যেই সাত উইকেট হারায় তারা। সুবহানের স্পেলেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ৩১ রানে ৪ উইকেট নেন ম্যাচসেরা এই বোলার।
দিনের আরেক ম্যাচে মালেয়শিয়ার বিপক্ষে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৪০৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় ভারত। জবাবে মাত্র ৯৩ রানে অলআউট হয় মালেয়শিয়া।
গ্রুপ ‘এ’ থেকে সেমিফাইনালে উঠেছে ভারত ও পাকিস্তান।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৯তম মৌসুমের নিলাম শেষ হয়েছে। আজ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এই মিনি নিলামে বাংলাদেশের ৭ জন ক্রিকেটারের মধ্যে কেবল মোস্তাফিজুর রহমান দল পেয়েছেন।
নিলামে নাম ছিল বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা শরীফুল ইসলাম ও রাকিবুল হাসানের। এর মধ্যে নিলামে তোলা হয়েছিল মোস্তাফিজ ও তাসকিনকে।
মোস্তাফিজকে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় দলে ভিড়িয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)।
তাসকিন আহমেদের নাম নিলামে তোলা হয়েছিল, তবে এই পেসারকে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোন ফ্রাঞ্চাইজি। অবিক্রিত অনেককে আবার নিলামে তোলা হয়েছিল। যেখানে থেকে দল পেয়েছেন রাচিন রবিন্দ্র, লিয়াম লিভিংস্টোন ও জশ ইংলিশরা। তবে ডাক পড়েনি তাসকিনের।
ক্রিকবাজের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ২৬ মার্চ শুরু হতে পারে ১৯ তম আইপিএল।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নিলামে মোহাম্মদ নাঈম শেখের ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়া নিয়ে আলোচনা হয় প্রচুর। তার দামের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে অনেক। তবে সব প্রশ্ন উড়িয়ে দিতে মাত্র একটি ম্যাচ নিলেন বাঁহাতি ওপেনার। মহান বিজয় দিবসের প্রদর্শনীমূলক ম্যাচে তিনি খেললেন বিধ্বংসী এক ইনিংস।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার একটি বিশেষ ম্যাচের আয়োজন করেছে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। যেখানে নাঈমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন অপরাজেয়কে ৩ উইকেটে হারিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের অদম্য।
১০ চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা মেরে মাত্র ৪৪ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে পার্থক্য গড়ে দেন নাঈম। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৬৬ রান করে শান্তর অপরাজেয়। জবাবে ৪ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় নাঈম-মিরাজদের অদম্য।
সন্ধ্যা গড়ানোর পর শুরু হওয়া ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন জিসান আলম। ম্যাচের প্রথম ওভারে অবশ্য শরিফুল ইসলামের পুরো ওভার ডট খেলে শেষ বলে কট বিহাইন্ড হন পারভেজ হোসেন ইমন।
এরপর তাণ্ডব চালিয়ে মাত্র ২২ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন জিসান। এছাড়া ৩০ রান করতে ২৬ বল খেলেন শান্ত। এর বাইরে জাকের আলি অনিক (১৩ বলে ২৩), আব্দুল গাফফার সাকলাইনদের (৯ বলে ১৯) ক্যামিওর সৌজন্যে দেড়শ ছাড়ায় অপরাজেয় দল।
অদম্যর পক্ষে বল হাতে ৩টি করে উইকেট নেন শরিফুল ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
রান তাড়ায় একাই অদম্যকে এগিয়ে নেন নাঈম। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন বাঁহাতি ওপেনার। এরপর একই ছন্দে এগিয়ে একসময় সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও জাগান। তবে রিপন মন্ডলের বলে বোল্ড হয়ে থামে তার ইনিংস।
এছাড়া তাওহিদ হৃদয় ১৭ বলে ২৫, আফিফ হোসেন ধ্রুব ১১ বলে ১৮, মিরাজ ১০ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন।
বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন রিপন। ২১ রানে ২ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসান।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) আবারও দেখা যাবে মোস্তাফিজুর রহমান ও মাহেশ পাথিরানা জুটি। নিলামে অভিজ্ঞ দুই পেসারকে ভিড়িয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)।
দুবাইয়ে আজ মিনি নিলামে বাংলাদেশের বাঁ-হাতি পেসার মোস্তাফিকে নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করে চেন্নাই সুপার কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। ফাইনাল বিটে কেকেআরে ভিড়েন তিনি। এর আগে শ্রীলঙ্কার পাথিরানাকে ভিড়ায় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
আইপিএলের মিনি নিলামে মোস্তাফিজের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছিল ২ কোটি রুপি। শেষ পর্যন্ত ৯ কোটি ২০ লাখ রুপি পান তিনি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর আগে, লঙ্কান পেসার পাথিরানাকে ১৮ কোটি রুপিতে কিনে নেয় কলকাতা।
২০২৪ মৌসুমে চেন্নাইয়ের হয়ে জুটি বাঁধেন মোস্তাফিজ-পাথিরানা। সেবার ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট নেন মোস্তাফিজ, পাথিরানার পকেটে ছিল ৬ ম্যাচে ১৩ উইকেট ।
আইপিএল ক্যারিয়ারে এর আগে পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন মোস্তাফিজ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও চেন্নাই সুপার কিংসে খেলেছেন তিনি।
আট মৌসুমে ৬০ ম্যাচে নিয়েছেন ৬৫ উইকেট। পাথিরানা চেন্নাইয়ের হয়ে এর আগে তিন মৌসুম খেলেছেন। ৩২ ম্যাচে নিয়েছেন ৪৭ উইকেট। গত মৌসুমে ১২ ম্যাচে ১৩ উইকেট নেন।
২০২৫ আইপিএলে পাথিরানাকে ধরে রাখলেও মোস্তাফিজকে ছেড়ে দিয়েছিল চেন্নাই। গত নিলামে কোন দল পাননি নিলামে। তবে জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগর্ক ব্যাক্তিগত কারণে আইপিএল ছেড়ে গেলে পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে দিল্লি ক্যাপিটালসে যোগ দেন মোস্তাফিজ। ৩ ম্যাচ খেলে ৪ উইকেট নেন কাটার মাস্টার।