
একাদশে মাত্র দুই বিদেশী ক্রিকেটার রেখে শুরুতেই চমক দেখানো দুর্বার রাজশাহীর ভরসার জায়গা ছিল দেশি ব্যাটাররা। সাব্বির হোসেন ও এনামুল হক বিজয় সেই কাজটা ভালোই করলেন শুরুতে। তবে মূল তাণ্ডব দেখালেন ইয়াসির আলি। পাঁচে নেমে প্রায় ১৮৮ স্ট্রাইক রেটের এক ইনিংসে এলোমেলো করে দিলেন ছন্দে থাকা রংপুর রাইডার্স বোলারদের। তবে তার বিদায়ের পর ঘুরে দাঁড়াল নুরুল হাসান সোহানের দল। সম্ভাবনা জাগিয়েও রাজশাহী পারল না বড় স্কোর গড়তে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৩১তম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করা রাজশাহী পেয়েছে ৯ উইকেটে ১৭০ রানের পুঁজি। সর্বোচ্চ ৬০ রান এসেছে ইয়াসিরের ব্যাট থেকেই।
কয়েকটি চারের মারে আশা জাগালেও মোহাম্মদ হারিস পারেননি ইনিংস টেনে নিতে। বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানের শিকার হওয়ার আগে করতে পারেন ১৯ রান। শুরুতে কিছুটা দেখেশুনে খেলা সাব্বির চড়াও হন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ওপর। পঞ্চম ওভারে টানা তিন বলে বলে হাঁকান একটি ছক্কা ও দুটি চার।
আরও পড়ুন
| রংপুরকে ভুলতে বসা হারের স্বাদ দিল রাজশাহী |
|
এরপর নাহিদ রানাকেও ওড়ান ছক্কায়। ক্রমেই যখন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন রংপুরের জন্য, সেই সময়েই তাকে থামান খুশদিল শাহ। তবে তার আগে সাব্বির উপহার দেন ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। তবে ওই ওভারেই রায়ান বার্লকেও ফিরিয়ে রাজশাহীর চাপ বাড়ান খুশদিল।
এরপর কিছুটা কমে যায় রানের গতি। সেটা সচল হয় ইয়াসিরের হাত ধরে। মাহেদি হাসানের এক ওভারে চার ও ছক্কার পর আগ্রাসন দেখান আরেক স্পিনার রাকিবুলের ওভারেই। লং-অন ও ডিপ মিড উইকেট দিয়ে পরপর দুই বলে মেরে দেন দুই ছক্কা। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনেরও হয় একই অভিজ্ঞতা।
মাত্র ২৭ বলে ফিফটিতে পা রাখেন ইয়াসির। ফিরতি স্পেলে এসে এক ছক্কা হজমের পর তাকে শেষ পর্যন্ত বিদায় করেন খুশদিল। ডানহাতি এই ব্যাটার তার ৩২ বলের ইনিংস সাজান ৬ ছক্কা ও ২ চারে।
১৬ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৫৩ রান করা রাজশাহীর ইনিংসে লাগাম এরপরই টেনে ধরেন রংপুরের বোলাররা। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেভাবে রানই বের না করতে দিয়ে নিয়মিত বিরতিতে শিকার করেন উইকেট।
আরও পড়ুন
| রঞ্জিতেও হাসল না রোহিতের ব্যাট |
|
৩১ বলে ৩৪ রানের মন্থর ইনিংসে খেলে রান আউটে কাঁটা পড়েন এনামুল হক। আরও একবার দলকে হতাশ করেন আকবর আলি। নিজের শেষ দুই ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আকিফ জাভেদ, যা রাজশাহীর জন্য শেষের ঝড় তোলার কাজটা করে তোলে ভীষণ কঠিন। সব মিলিয়ে ২৩ রানে ৩ উইকেট তার নামের পাশে।
No posts available.
৭ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৯ এম

হংকং সিক্সিংয়ে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয় আকবর আলীরা। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে ৭১ রান রানে সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
মংকং কক ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শ্রীলঙ্কার আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই ব্যাটিং ঝড় তোলেন শেখ হাবিবুর রহমান। ধনঞ্জয় লক্ষনের এক ওভারে ২০ রান করেন তিনি। তবে দ্বিতীয় ওভাবের জিসান ফিরলে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে দল।
ওয়ানডাউনে নেমে সে ধাক্কা সামাল দেন আকবর আলী। ৯ বলে ৩২ রান করেন জাতীয় দলের এই উইকেটকিপার ব্যাটার। যাতে ছিল ৪টি ছক্কা ও ২টি চার।
শেষ দিকে বরং বিড়ম্বনা বাড়ান মোসাদ্দেক হোসেন ও আবু হায়দার রনি। যেখানে প্রতিটি বল গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে ১০ বলে ৬ রান করেন আবু হায়দার। মোসাদ্দেক করেন ৬ বলে ৮ রান। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৭১ রান।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ধনঞ্জয়, থিরিন্দু ও লাহিরু একটি করে উইকেট তোলেন।

হংকং সিক্সেসের প্রথম দিনে নাটকীয়তা দেখা গেল। শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ রাঙাল হংকং, চায়না। দিনের প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। তবে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে ভেস্তে গেছে।
মং কক ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ প্রথমে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং শুরু মন্থর ছিল। থিনুকা দাবারে ও ধনাঞ্জয় লক্ষণ ৩ ওভারে মাত্র ৪২ রান তুলতে সাহায্য করেন। মিডলঅর্ডারের ব্যাটাররা কেবল আসা-যাওয়ার মিছিল ছিলেন। লাহিরু দিলশান সুবিধা করতে পারেননি, আর রান খরায় ছিলেন থারিন্দু রত্নায়েক। দুইজন কেবল একটি করে রান যোগ করেন। তবে শেষ দিকে নিমেশ ভিমুকিথির চার-বলের ক্যামিওতে ৭৯ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানরা।
শ্রীলঙ্কার ৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম বলে উইকেট হারায় হংকং। বাহার হায়াত ডাক মেরে ফিরলেও দলের স্বস্তি দেন ইয়াসিম মুর্তজা ও আজিজ খান। অধিনায়ক মুর্তজা ৮ বলে ২৬ রান করেন, আর আজিজ ১০ বলে ৪৪ রান তুলে দলকে মাত্র ৩.৪ ওভারে জয় এনে দেন।
১ উইকেট ও অপরাজিত ৪৪ রান করে ম্যাচসেরা হন আজিজ খান।

হংকং সিক্সেসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কুয়েতের বিপক্ষে ৪ উইকেটে জয় পেল পাকিস্তান। আজ দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হবে আব্বাস আফ্রিদির দল।
মং কক স্টেডিয়ামে পুল ‘সি’ এর ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৬ ওভারে ১২৩ রান সংগ্রহ করে কুয়েত। জবাব দিতে নেমে রীতিমতো ঝড় তোলে পাকিস্তান এবং ৪ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে।
পাকিস্তানের ব্যাটিং শুরুতে কিছুটা মন্থর ছিল। তবে পঞ্চম ওভারে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন অধিনায়ক আব্বাস আফ্রিদি। প্যাটেলকে এক ওভারে টানা ছয় ছক্কা হাঁকান এই পেসার। শেষ ওভারে আরও একটি ছক্কা মেরে রিটায়ার্ড হার্ট হন তিনি। তার আগে স্কোরবোর্ডে যুক্ত করেন ১২ বলে ৫৫ রান, যাতে ছিল ১টি চার ও ৬টি ছক্কা।
শেষ দিকে খেলার ইতি টেনে দেন শাহীদ আজিজ। শেষ ওভারে তিনটি ছক্কা ও একটি চার মারে পাকিস্তান ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এক উইকেট ও অপরাজিত ৫৫ রানের কল্যাণে ম্যাচসেরা হয়েছেন আব্বাস।

স্কটল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় লিখলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত নারী ক্রিকেটার নায়মা শেখ। দেশটির ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে অর্জন করলেন মর্যাদাপূর্ণ স্কটল্যান্ড ন্যাশনাল স্পোর্টস স্কলারশিপ। একাডেমিক সাফল্য ও ক্রীড়া দক্ষতায় সমানভাবে উৎকর্ষ দেখানো শিক্ষার্থী-অ্যাথলেটদের দেওয়া হয় এই সম্মাননা।
১৯ বছর বয়সী নায়মা নির্বাচিত হয়েছেন 'উইনিং স্টুডেন্টস ১০০' শিক্ষাবৃত্তির জন্য। ২০০৮ সালে এই বৃত্তি চালু হয়। এরপর থেকে ১ হাজার ৭০০ এর বেশি শিক্ষার্থী অ্যাথলেট এই বৃত্তি পেয়েছেন। স্কলারশিপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী-অ্যাথলেটদের প্রতি বছর ৩০০০ পাউন্ড পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। স্কটল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে পুরুষ বা নারী বিভাগে এই সম্মানজনক বৃত্তি পাওয়া প্রথম খেলোয়াড় নায়মা।
নায়মা বর্তমানে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাববিজ্ঞান ও ফাইন্যান্স বিষয়ে পড়ছেন। এ বছর ৩১টি ভিন্ন খেলাধুলা থেকে মোট ১০৫ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে নায়মা একজন। বৃত্তি পেয়ে উচ্ছ্বসিত নায়মা,
'স্কটল্যান্ডে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই বৃত্তি পাওয়া আমার জন্য গর্বের। এটি আমাকে পড়াশোনা ও ক্রিকেট দুই ক্ষেত্রেই আরও এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।'
২০২৩ সালে স্কটল্যান্ড জাতীয় দলে অভিষেক হয় নায়মার। দেশটির হয়ে এখন পর্যন্ত দুই ওয়ানডে ও সাত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। ক্রিকেট স্কটল্যান্ড নায়মার এই অর্জনকে নারী ক্রিকেটের জন্য এক বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সহযোগী তিন দেশের অংশগ্রহণে ইন্দোনেশিয়ায় চলছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। দেশটির উদায়ানা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ মুখোমুখি হয় তৈমুর লেস্তে ও মিয়ানমার।
লো স্কোরিং ম্যাচে ১০ উইকেটে জয় পায় মিয়ানমার। সিরিজে এটি তাদের প্রথম জয়। এর আগে স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছিল দলটি।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩২ রানে গুটিয়ে যায় লেস্তে। জবাব দিতে নেমে ৩.৪ ওভারে জয় বন্দরে পৌঁছে মিয়ানমার।
আগে ব্যাটিংয়ে নামা লেস্তের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোরার নাজমুল হুদা। ১৮ বলে ৮ রান করেন তিনি। এই আট রানের মধ্যে রয়েছে একটি বাউন্ডারি। লেস্তের মোট ৫ জন ব্যাটসম্যান ডাক মেরেছেন।
ওপেনিং জুটি থেকে লেস্তের সর্বোচ্চ রান আসে। দুই ওপেনার জাকি ও মোহাম্মদ ইয়াহিয়া সুদিল মিলে ৯ রান করেন। সুহীল ২ রানে আউট হলে তাদের জুটি ভেঙে যায়।
মিয়ানমারের দুই বোলার কোকো লিনথুই ও হেটে লিও তিনটি করে উইকেট তুলে নেন।
জবাব দিতে নেমে হ্যাপা পোহাতে হয়নি মিয়ানমারকে। ওপেনিংয়ে নেমে কোকো ও লিন অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জয় উপহার দেন। ১৩ বলে ২১ রান করেন লিন, তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। কোকোর ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ৮ রান।
২১ রান ও তিন উইকেট তুলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন লিন।