২৬ মার্চ ২০২৪, ৭:৫৬ এম

ঘরের মাঠে ম্যাচ হলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটারদের পারফরম্যান্স ছিল ভীষণ হতাশাজনক৷ উইকেটের আচরণ যেন ধরতেই পারছিলেন না তারা৷ দুই ইনিংসেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় তাই হারতে হয়েছে বিশাল ব্যবধানে। এমন পরাজয়ের কারণ কী হতে পারে? সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার মনে করছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে কম খেলাটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের।
আরও পড়ুন: সব ফরম্যাট থেকে লিটনকে বিশ্রাম দেওয়ার পক্ষে পাপন
সিলেট টেস্টে প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষকে ২৮৮ রানে অলআউট করে ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার হয় বাংলাদেশ। ব্যর্থ হন টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। নাইট-ওয়াচম্যান হিসেবে ওপরের দিকে নামা স্পিনার তাইজুল ইসলামের ৪৭ ও শেষের দিকে অন্য বোলারদের ব্যাট হাতে অবদানে ১৮৮ রান করতে সমর্থ হয় স্বাগতিকরা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১৪ রানের টার্গেটে লিটন-জাকিররা প্যাকড হয় মাত্র ১৮২ রানে। মুমিনুল হক করেন অপরাজিত ৮৭।

মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের প্রদর্শনী ম্যাচের পর বাশারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল সিলেট টেস্ট নিয়ে। সাবেক নির্বাচকের মতে, উইকেটে মানিয়ে নিতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা৷ “জাতীয় দলে যারা নিয়মিত খেলেন, তারা খুব একটা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সুযোগ পান না৷ তারা যদি এই ধরনের উইকেটে বেশি বেশি খেলেন, তাহলে কিন্তু ভালো করতে পারত। মুমিনুল ভালো করেছে, কারণ তার ঘরোয়া ক্রিকেটটা খেলার সুযোগ বেশি হয়। এই উইকেটে ব্যাটিং করে কিন্তু মুমিনুল হক অভ্যস্ত, কিন্তু বাকি যারা আছেন, তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক ব্যস্ত থাকায় এই ধরনের উইকেটে ব্যাটিং করতে অভ্যস্ত নন।”
দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষ বেলায় ভূতুড়ে ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। দুই ইনিংসেই স্বীকৃত ব্যাটাদের রানের জন্য রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে। এর থেকে উত্তরণের পথ বাতলে দিয়েছেন বাশার। “আমার মনে হয় না স্কিল লেভেলে তারা খুব একটা পিছিয়ে আছে, এই ম্যাচে যে ধরনের উইকেটে খেলা হয়েছে, সেখানে তারা খুব বেশি একটা খেলে না। গত ২-৩ বছর ধরে কিন্তু এই ধরনের উইকেটেই খেলা হচ্ছে৷ অনেক ফাস্ট বোলার এই কারণেই উঠে আসছে৷ আমার মনে হয় জাতীয় দলে যারা আছেন, তাদের সুযোগ পেলে ঘরোয়াতে খেলা উচিত।”
No posts available.
৭ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৯ এম

হংকং সিক্সেসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কুয়েতের বিপক্ষে ৪ উইকেটে জয় পেল পাকিস্তান। আজ দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হবে আব্বাস আফ্রিদির দল।
মং কক স্টেডিয়ামে পুল ‘সি’ এর ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৬ ওভারে ১২৩ রান সংগ্রহ করে কুয়েত। জবাব দিতে নেমে রীতিমতো ঝড় তোলে পাকিস্তান এবং ৪ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে।
পাকিস্তানের ব্যাটিং শুরুতে কিছুটা মন্থর ছিল। তবে পঞ্চম ওভারে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন অধিনায়ক আব্বাস আফ্রিদি। প্যাটেলকে এক ওভারে টানা ছয় ছক্কা হাঁকান এই পেসার। শেষ ওভারে আরও একটি ছক্কা মেরে রিটায়ার্ড হার্ট হন তিনি। তার আগে স্কোরবোর্ডে যুক্ত করেন ১২ বলে ৫৫ রান, যাতে ছিল ১টি চার ও ৬টি ছক্কা।
শেষ দিকে খেলার ইতি টেনে দেন শাহীদ আজিজ। শেষ ওভারে তিনটি ছক্কা ও একটি চার মারে পাকিস্তান ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এক উইকেট ও অপরাজিত ৫৫ রানের কল্যাণে ম্যাচসেরা হয়েছেন আব্বাস।

স্কটল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় লিখলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত নারী ক্রিকেটার নায়মা শেখ। দেশটির ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে অর্জন করলেন মর্যাদাপূর্ণ স্কটল্যান্ড ন্যাশনাল স্পোর্টস স্কলারশিপ। একাডেমিক সাফল্য ও ক্রীড়া দক্ষতায় সমানভাবে উৎকর্ষ দেখানো শিক্ষার্থী-অ্যাথলেটদের দেওয়া হয় এই সম্মাননা।
১৯ বছর বয়সী নায়মা নির্বাচিত হয়েছেন 'উইনিং স্টুডেন্টস ১০০' শিক্ষাবৃত্তির জন্য। ২০০৮ সালে এই বৃত্তি চালু হয়। এরপর থেকে ১ হাজার ৭০০ এর বেশি শিক্ষার্থী অ্যাথলেট এই বৃত্তি পেয়েছেন। স্কলারশিপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী-অ্যাথলেটদের প্রতি বছর ৩০০০ পাউন্ড পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। স্কটল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে পুরুষ বা নারী বিভাগে এই সম্মানজনক বৃত্তি পাওয়া প্রথম খেলোয়াড় নায়মা।
নায়মা বর্তমানে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাববিজ্ঞান ও ফাইন্যান্স বিষয়ে পড়ছেন। এ বছর ৩১টি ভিন্ন খেলাধুলা থেকে মোট ১০৫ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে নায়মা একজন। বৃত্তি পেয়ে উচ্ছ্বসিত নায়মা,
'স্কটল্যান্ডে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই বৃত্তি পাওয়া আমার জন্য গর্বের। এটি আমাকে পড়াশোনা ও ক্রিকেট দুই ক্ষেত্রেই আরও এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।'
২০২৩ সালে স্কটল্যান্ড জাতীয় দলে অভিষেক হয় নায়মার। দেশটির হয়ে এখন পর্যন্ত দুই ওয়ানডে ও সাত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। ক্রিকেট স্কটল্যান্ড নায়মার এই অর্জনকে নারী ক্রিকেটের জন্য এক বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সহযোগী তিন দেশের অংশগ্রহণে ইন্দোনেশিয়ায় চলছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। দেশটির উদায়ানা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ মুখোমুখি হয় তৈমুর লেস্তে ও মিয়ানমার।
লো স্কোরিং ম্যাচে ১০ উইকেটে জয় পায় মিয়ানমার। সিরিজে এটি তাদের প্রথম জয়। এর আগে স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছিল দলটি।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩২ রানে গুটিয়ে যায় লেস্তে। জবাব দিতে নেমে ৩.৪ ওভারে জয় বন্দরে পৌঁছে মিয়ানমার।
আগে ব্যাটিংয়ে নামা লেস্তের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোরার নাজমুল হুদা। ১৮ বলে ৮ রান করেন তিনি। এই আট রানের মধ্যে রয়েছে একটি বাউন্ডারি। লেস্তের মোট ৫ জন ব্যাটসম্যান ডাক মেরেছেন।
ওপেনিং জুটি থেকে লেস্তের সর্বোচ্চ রান আসে। দুই ওপেনার জাকি ও মোহাম্মদ ইয়াহিয়া সুদিল মিলে ৯ রান করেন। সুহীল ২ রানে আউট হলে তাদের জুটি ভেঙে যায়।
মিয়ানমারের দুই বোলার কোকো লিনথুই ও হেটে লিও তিনটি করে উইকেট তুলে নেন।
জবাব দিতে নেমে হ্যাপা পোহাতে হয়নি মিয়ানমারকে। ওপেনিংয়ে নেমে কোকো ও লিন অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জয় উপহার দেন। ১৩ বলে ২১ রান করেন লিন, তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। কোকোর ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ৮ রান।
২১ রান ও তিন উইকেট তুলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন লিন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে ওয়ানডে ও টেস্টে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। এরই মধ্যে আজ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের ঘোষিত দলে ফিরেছেন ম্যাট হেনরি। চোটের কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অংশ নিতে পারেননি তিনি।
দলে জায়গা ধরে রেখেছেন ব্লেয়ার টিকনার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডেতে পরপর দুটি ম্যাচে ‘প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ’ হয়েছিলেন ৩২ বছর বয়সী এই ডানহাতি পেসার। দুই ম্যাচে টিকনার মোট ৮ উইকেট নিয়েছিলেন, গড় ছিল ১২.২৫।
ওয়ানডে দলে নেই কেন উইলিয়ামসন। টেস্ট সিরিজে ফিরতে পারেন সাবেক অধিনায়ক। বর্তমানে তিনি টেস্ট নিয়েই ব্যস্ত তিনি। সবশেষ মার্চে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলেছিলেন কিউই অধিনায়ক।
চোটের কারণে দলের বাইরে রয়েছেন মোহাম্মদ আব্বাস, ফিন অ্যালেন, লকি ফার্গুসন, অ্যাডাম মিলনে, উইল ও’রুর্ক, গ্লেন ফিলিপস ও বেন সিয়ার্স।
১৬ নভেম্বর ক্রাইস্টচার্চে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে তিন ম্যাচের সিরিজ। পরের দুটি ম্যাচ হবে ১৯ ও ২২ নভেম্বর নেপিয়ার ও হ্যামিল্টনে।
নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে দল
মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চ্যাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, জ্যাকব ডাফি, জ্যাক ফকস, ম্যাট হেনরি, কাইল জেমিসন, টম ল্যাথাম (উইকেটকিপার), ড্যারিল মিচেল, রাচিন রবীন্দ্র, নাথান স্মিথ, ব্লেয়ার টিকনার ও উইল ইয়াং।

২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কার মোট সাতটি ভেন্যু চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ভারতের চূড়ান্ত পাঁচটি ভেন্যুর মধ্যে রয়েছে আহমেদাবাদ, দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই ও মুম্বাই। শ্রীলঙ্কার তিনটি ভেন্যুর মধ্যে ক্যান্ডি ও কলম্বো ইতিমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। দেশটি থেকে আরও একটি ভেন্যু পরে নির্ধারণ করা হবে।
আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। মার্চের ৮ তারিখ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে দশম আসরের। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচগুলোও অনুষ্ঠিত হবে নিরপেক্ষ ভেন্যু শ্রীলঙ্কায়। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। এর আগে এশিয়া কাপেও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে মুখোমুখি হয়েছিল প্রতিবেশি দুই দেশ।
২০২৬ বিশ্বকাপে থাকছে আগের মতোই ২০ দল। চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিটি দল একে অপরের মুখোমুখি হবে একবার করে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল যাবে সুপার এইটে। সেখানেও দুইটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে দলগুলো। প্রতিটি গ্রুপের প্রথম দুই দল উঠবে সেমিফাইনালে। এরপর দুই সেমিফাইনালের জয়ী দল লড়বে ফাইনালে।
আয়োজক দুই দেশ ছাড়াও ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা সাত দল—অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র, আফগানিস্তান, ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সরাসরি মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে সরাসরি কোয়ালিফাই করেছে নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ড।
আঞ্চলিক বাছাইপর্বে আমেরিকা অঞ্চল থেকে জায়গা করে নিয়েছে কানাডা। ইউরোপ থেকে প্রথমবারের মতো ইতালি এবং নেদারল্যান্ডস পেয়েছে বিশ্বকাপের টিকিট। আফ্রিকার আট দলের প্রতিযোগিতা থেকে কোয়ালিফাই করেছে নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়ে। এশিয়া-ইএএপি অঞ্চলের নয় দলের লড়াই থেকে নেপাল, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত জায়গা পেয়েছে মূলপর্বে।