২৬ মার্চ ২০২৪, ৭:৫৬ এম
ঘরের মাঠে ম্যাচ হলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটারদের পারফরম্যান্স ছিল ভীষণ হতাশাজনক৷ উইকেটের আচরণ যেন ধরতেই পারছিলেন না তারা৷ দুই ইনিংসেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় তাই হারতে হয়েছে বিশাল ব্যবধানে। এমন পরাজয়ের কারণ কী হতে পারে? সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার মনে করছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে কম খেলাটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের।
আরও পড়ুন: সব ফরম্যাট থেকে লিটনকে বিশ্রাম দেওয়ার পক্ষে পাপন
সিলেট টেস্টে প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষকে ২৮৮ রানে অলআউট করে ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার হয় বাংলাদেশ। ব্যর্থ হন টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। নাইট-ওয়াচম্যান হিসেবে ওপরের দিকে নামা স্পিনার তাইজুল ইসলামের ৪৭ ও শেষের দিকে অন্য বোলারদের ব্যাট হাতে অবদানে ১৮৮ রান করতে সমর্থ হয় স্বাগতিকরা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১৪ রানের টার্গেটে লিটন-জাকিররা প্যাকড হয় মাত্র ১৮২ রানে। মুমিনুল হক করেন অপরাজিত ৮৭।
মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের প্রদর্শনী ম্যাচের পর বাশারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল সিলেট টেস্ট নিয়ে। সাবেক নির্বাচকের মতে, উইকেটে মানিয়ে নিতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা৷ “জাতীয় দলে যারা নিয়মিত খেলেন, তারা খুব একটা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সুযোগ পান না৷ তারা যদি এই ধরনের উইকেটে বেশি বেশি খেলেন, তাহলে কিন্তু ভালো করতে পারত। মুমিনুল ভালো করেছে, কারণ তার ঘরোয়া ক্রিকেটটা খেলার সুযোগ বেশি হয়। এই উইকেটে ব্যাটিং করে কিন্তু মুমিনুল হক অভ্যস্ত, কিন্তু বাকি যারা আছেন, তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক ব্যস্ত থাকায় এই ধরনের উইকেটে ব্যাটিং করতে অভ্যস্ত নন।”
দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষ বেলায় ভূতুড়ে ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। দুই ইনিংসেই স্বীকৃত ব্যাটাদের রানের জন্য রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে। এর থেকে উত্তরণের পথ বাতলে দিয়েছেন বাশার। “আমার মনে হয় না স্কিল লেভেলে তারা খুব একটা পিছিয়ে আছে, এই ম্যাচে যে ধরনের উইকেটে খেলা হয়েছে, সেখানে তারা খুব বেশি একটা খেলে না। গত ২-৩ বছর ধরে কিন্তু এই ধরনের উইকেটেই খেলা হচ্ছে৷ অনেক ফাস্ট বোলার এই কারণেই উঠে আসছে৷ আমার মনে হয় জাতীয় দলে যারা আছেন, তাদের সুযোগ পেলে ঘরোয়াতে খেলা উচিত।”
৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:৩৩ পিএম
৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:৪৯ পিএম
নিজেদের প্রিয় ফরম্যাটে ওয়ানডেতে অনেকটা সময় ধরেই সেরা ক্রিকেট খেলে আসছে বাংলাদেশ। তবে বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে তারা যেন আরও দুর্বার হয়ে ওঠে। দেশে তো বটেই, ক্যারিবিয়ানে গিয়েও দুই দলের শেষ দুটি ওয়ানডে সিরিজে জয়ী দল ছিল বাংলাদেশই। চোট আঘাত এবার শক্তি অনেকটাই কমে গেলেও টেস্ট সিরিজ ড্র করাটা অবশ্যই যোগাবে বাড়তি বিশ্বাস। ৫০ ওভারের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাই তাদেরই মাঠে হ্যাটট্রিক সিরিজ জয়ের মিশনেই চোখ সফরকারীদের। আর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ সেই লক্ষ্যে বড় অবদান চান তরুণদের।
চলমান সফরে দীর্ঘ ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্টে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডেতে চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। ২০১৮ সালে ৫০ ওভারের জেতা সিরিজে একটা ম্যাচ হারলেও সবশেষ ২০২২ সালে ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশড করে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে দুই দলের সবশেষ চারটি ওয়ানডে সিরিজে বিজয়ীর নামও বাংলাদেশ। টানা পাঁচ সিরিজ জয়ের কাজটা অবশ্য এবার করার চেষ্টা করতে হবে নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে ছাড়াই।
ম্যাচের আগে মিরাজ শুনিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে নিজেদের সাফল্যের ধারা বজায় রাখার কথা। “ওয়েস্ট ইন্দিজে আমরা যখন আগে খেলতে এসেছি ওয়ানডে সিরিজে, অধিকাংশ ম্যাচেই আমরা জিতেছি। সিরিজে জিতেছি। শেষবার ২০২২ সালে এসেও সিরিজ জিতেছি আমরা। ২০১৮ সালে আমি যখন প্রথমবার এখানে আসি, সেবার আমরা সিরিজ জিতি। এই মাঠেই শেষ ম্যাচে আমরা ৩০০ রানের বেশি তাড়া করেছি জিতে সিরিজ জিতেছিলাম। আমি তাই মনে করি দল হিসেবে এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং, কারণ চোটের কারণে অনেকেই দলে নেই। একাদশে তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য অনেক সুযোগ থাকবে। এই পর্যায়ে এসে তাদের নিজেদের মেলে ধরাটা গুরুত্বপূর্ণ।”
ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ ভালো করার অনুপ্রেরণা নিতে পারে টেস্ট সিরিজ থেকেই। কারণ, সেখানেও ছিলেন না শান্ত, মুশফিক। অবসর নেওয়া সাকিব আল হাসান তো হিসাবেরই বাইরে এই ফরম্যাটে। সব মিলিয়ে বেশ তরুণ একটা দল নিয়ে প্রথমবার বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার কাজটা ভালোই সামলান মিরাজ। জ্যামাইকায় দ্বিতীয় টেস্টে অসাধারণ এক জয়ও শেষ পর্যন্ত দেয় ধরা। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে তারকা ব্যাটার শিমরন হেটমায়ার সহ স্কোয়াডের তিনজনকে চোটের কারণে বাদ দিতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
ক্যারিবিয়ানে নিজেদের অতীত রেকর্ড বা অন্যান্য বিষয় ছাপিয়ে মিরাজের কাছে অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলা। “আমরা আগে কী খেলেছি না খেলেছি, এটার কোনো মূল্য এখানে নেই। আমাদের জন্য ভালো একটা সুযোগ আছে। আমরা সবাই সবার পাশে থাকব। সবাই যখন সবাইকে সাপোর্ট করব, দল হিসেবে খেলতে পারব, তখন আমরা ভালো ফল পাব।”
সেন্ট কিটসে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৭টায়।
দ্বিতীয় দিন শেষেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল ভারত। ত্রাতা হতে পারতেন কেবল রিশাভ পান্ত ও নিতিশ রেড্ডি। প্রথমজন দ্রুতই ফিরলেও পরেরজন কিছুটা লড়লেন। তবে প্যাট কামিন্সের দুর্দান্ত এক স্পেলের সামনে মিলিয়ে গেল ভারতের সব প্রতিরোধ। আড়াই দিনেরও কম সময়ে দাপুটে জয় তুলে নিল অস্ট্রেলিয়া।
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে ১০ উইকেটের জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৫ রানে গুটিয়ে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৯ রানের, যা চার ওভারের মধ্যেই স্পর্শ করেছে স্বাগতিকরা।
অস্ট্রেলিয়ার এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সমতা আসল ১-১ স্কোরলাইনে।
হাতে ৫ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের চেয়ে ২৯ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমেছিল ভারত। বড় ভরসা ছিলেন এমন সব পরিস্থিতিতে অতীতে দুর্দান্ত কিছু ইনিংস খেলা পান্ত। তবে দিনের মিচেল স্টার্কের করা দিনের প্রথম ওভারেই স্লিপে স্টিভ স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি (২৮ রান)
বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। কামিন্সের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপদ হার্ষিত রানাকেও শিকার বানান অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। একপ্রান্ত আগলে আরও একবার ব্যাট হাতে দারুণ একটা ইনিংস খেলছিলেন নিতিশ। তবে ছন্দে থাকা কামিন্সের সামনে তিনিও পারেননি ইনিংস বড় করতে। ৪৭ বলে করেন ৪২।
৫৭ রানে ৫ উইকেট নেন কামিন্স। স্কট বোল্যান্ড তিনটি আর স্টার্ক দুটি। এরপর মাত্র ১৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে খুব বেশি সময় নেননি অস্ট্রেলিয়ার ওপেনাররা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর ঠিক আগে শক্তি কমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শেষ সময়ে গোটা সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন তারকা ব্যাটার শিমরন হেটমায়ার। তার জায়গায় দলে ডাক পেয়েছেন আরেক বাঁহাতি ব্যাটার অ্যালিক আথানাজে।
এর আগে ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডে থাকার পর ছিটকে গিয়েছিলেন জ্যামাইকান পেসার মারকুইনো মাইন্ডলি এবং জেদিয়া ব্লেডস। এবার তালিকায় যুক্ত হলেন হেটমায়ারও।
সেন্ট কিটসে বাংলাদেশ সময় রোববার রাত সাড়ে ৭টায় শুরু হবে প্রথম ওয়ানডে। স্কোয়াডে থাকলেও অসুস্থতার কারণে গত শনিবার রাতে স্কোয়াড থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করেছেন হেটমায়ার।
সদ্যই শেষ হওয়া গ্লোবাল সুপার লিগে হেটমায়ার খেলেছিলেন গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে। চার ম্যাচে রান ছিল যথাক্রমে ১৪,১৮,২৪ ও শুন্য।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় নাম হলেও ওয়ানডেতে হেটমায়ারের রেকর্ড খুব ভালো নয়। ৫৬ ম্যাচে ৩২ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৫৩৯। আর তার বদলি আথানাজে ১২ ম্যাচে ২৪ গড়ে ২ ফিফটিতে করেছেন মাত্র ২৯৯ রান।
ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোয়াড : শাই হোপ (অধিনায়ক), ব্র্যান্ডন কিং, কেসি কার্টি, রোস্টন চেজ, অ্যালিক অ্যাথানাজে, জাস্টিন গ্রিভস, আমির জাঙ্গু, আলজারি জোসেফ, এভিন লুইস, গুদাকেশ মোটি, শেরফেন রাদারফোর্ড, মারকুইনো মাইন্ডলি, জেডেন সিলস, জেদিয়া ব্লেডস ও রোমারিও শেফার্ড।
নির্দিষ্ট একজন ব্যাটার বা বোলারের বিপক্ষে কোনো ক্রিকেটারের বিশেষভাবে ভালো পারফর্ম করার অসংখ্য নজির রয়েছে ইতিহাসে। আবার কিছু খেলোয়াড় রয়েছেন, যারা গোটা দলকেই বানিয়ে ফেলেন ‘প্রিয় প্রতিপক্ষ’। ফর্ম, ম্যাচের পরিস্থিতি যেমনই হোক, সেই দলটির বিপক্ষে তার ব্যাট বা বল হাতে জ্বলে ওঠাটা যেন অনিবার্য। গত দেড় বছর ধরে ভারতের বিপক্ষে ঠিক সেই কাজটাই সব ফরম্যাটে বারবার করে অজি ব্যাটার তাই হয়ে উঠেছেন দলটির মাথাব্যথার কারণ। প্রিয় প্রতিপক্ষক ভারতকে পেলেই যেন একটু বেশি হাসছে হেডের ব্যাট।
হেডের এই ‘ভারতপ্রেমের’ শুরুটা সেই গত বছর আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল দিয়ে। প্রথম ইনিংসে খেলেন ১৭৪ বলে ১৬৩ রানের এমন ইনিংসে, যা প্রতিপক্ষকে মানসিকভাবেও একদম গুঁড়িয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত অনায়াস জয় পায় অস্ট্রেলিয়ার। ম্যাচ সেরাও হন হেড। এরপরের মঞ্চ গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল। তবে এখানে বাড়তি কিছু তথ্য যোগ করে নেওয়া যেতেই পারে।
আর সেটা হল, চোটের কারণে বিশ্বকাপের অর্ধেক মিস করা হেড প্রথম ম্যাচ খেলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। আর মাঠে নেমেই হাঁকান শতক। মানে, বাঁহাতি এই ব্যাটার স্রেফ ভারতই নন, অন্য দলের বিপক্ষেও বড় রান করতে জানেন। তবে সেটা যে রোহিত-বুমরাহদের তুলনায় একেবারেই যৎসামান্য, সেটা স্পষ্ট এক পরিসংখ্যানেই। যেখানে দেখা যাচ্ছে ২০২৩ সাল থেকে সব ফরম্যাটে ভারতের বিপক্ষে ১৯ ইনিংসে ৪টি সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে ১ হাজার ৫২ রান করেছেন হেড। গড় অবিশ্বাস্য ৬১.৯০!
আরও পড়ুন
আইপিএলে তান্ডবে চালানো হেড চ্যালেঞ্জ দেখছেন বিশ্বকাপে |
একজন ব্যাটারের এমন গড় অবিশ্বাস্য এমনিতেই বলা যায়। তবে হেডের অন্য দলের বিপক্ষে একই সময়ের পরিসংখ্যান দেখলে আপনিও মানতে বাধ্য হবেন তার অসামান্য কীর্তি। ভারত বাদে বাকি দলের বিপক্ষে গত বছর থেকে ৫৪ ম্যাচে এখন পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৮৭৫ রান করেছেন হেড। গড়? মোটে ৩৬.৮০! ফিফটি ১০টি, আর সেঞ্চুরি ভারতের সমান ৩টিই। জার্সি সাদা হোক বা রঙ্গিন প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকে পেলেই হেডের এই দানবীয় ব্যাটিংয়ের দেখা মিলছে বারবার।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালেই যেমন। ২৪১ রানের টার্গেটে জাসপ্রিত বুমরাহ তোপে মাত্র ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ত্রাহিত্রাহি অবস্থা অস্ট্রেলিয়ার। ইনিংসের শুরুর দিকে ভারতের তারকা পেসাদের কয়েকটি ডেলিভারিতে পুরোপুরি পরাস্ত হন হেড, অল্পের জন্য হননি বোল্ড বা ক্যাচ আউট। তবে একটু সেট হওয়ার পর ক্রমেই ভারতের মুঠো থেকে ম্যাচ বের করে নেন নান্দনিক সব শটের পসরা সাজিয়ে। স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে খেলেন ১২০ বলে ১৩৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। আসরে প্রথমবার ভারত পায় হারের দেখা। উল্লেখ্য, গ্রুপ পর্বে দুই দলের মুখোমুখি ম্যাচটি খেলেননি হেড।
তবে ফাইনালে নেমেই হয়ে যান আরও একবার ম্যাচ সেরা। ১২ বছর বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ, তাও ঘরের মাটিতে - এমন মেলবন্ধনের পথে কাঁটা হয়ে যাওয়ায় আজও ভারতের কাছে হেড এক দুঃখ, আক্ষেপ ও বিভীষিকার নামই বটে। বুমরাহর ওই স্পেলেই যদি তার বিদায় হত, কে জানে হয়ত কাপটা উঠত রোহিত শর্মার হাতেই!
আরও পড়ুন
কীভাবে এমন তাণ্ডব চালাচ্ছেন ট্রাভিস হেড? |
হেড এরপর চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটের ম্যাচে আরও একবার জ্বলে ওঠেন ভারতের বিপক্ষে। মাত্র ৪৩ বলে খেলেন ৭৬ রানের দারুণ এক ইনিংস। এবার অবশ্য দলকে জেতাতে পারেননি। তবে চলমান ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে যা করেছেন, সেটা হয়ত গড়ে দিতে পারে ম্যাচের ভাগ্য।
গোলাপি বলের এই ম্যাচে ভারতের বোলারদের আর একবার বেধড়ক পিটিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী মেলে ধরেন তিনি। ১৭ চার ও ৪ ছক্কায় ১৪১ বলে হেডের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪০ রান। দ্বিতীয় দিন শেষে হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে ভারত পিছিয়ে আছে ২৯ রানে। দলটি যদি এখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে না পেরে হেরে যায়, তাহলে সম্ভবত আরও একবার ভারতের হারের মূল কারণ হওয়ার পাশাপাশি ম্যাচ সেরাও হয়ে যাবেন হেডই। এমন প্রিয় প্রতিপক্ষ কে না চায়!
প্রথম ম্যাচে টার্গেট ছিল বড়, তাতেও শেষ পর্যন্ত লড়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে বোলাররা ব্যাটারদের জন্য কাজটা আরও সহজ করে দিলেন। তবে এবারও পারল না নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। রান তাড়ায় টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ হয়ে হেরে গেল বাংলাদেশ। সেই সাথে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলল আয়ারল্যান্ডের মেয়েরা।
সিলেটে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ নারী দল হেরে গেছে ৪৭ রানে। আয়ারল্যান্ডকে ৫ উইকেটে ১৩৪ রানে আটকে দেওয়ার পর নিগার-শারমিনরা অলআউট হওয়ার আগে টেনেটুনে করেছেন ৮৭ রান।
ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হওয়া আয়ারল্যান্ড ২০ ওভারের সিরিজে এখন এগিয়ে ২-০ তে।
রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারে সোবহানা মোস্তারিকে হারিয়ে বিপদের শুরু বাংলাদেশের। আরেক ওপেনার দিলারা আক্তার করেন মোটে ১০। দলকে আরও চাপে ফেলে পাওয়ার প্লের মধ্যে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক নিগার ও তাজ নাহার। ২২ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ আর পারেনি ঘুরে দাঁড়াতে বা সেভাবে জয়ের জোরাল সম্ভাবনা জাগাতে।
পঞ্চম উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়েন শারমিন আক্তার ও স্বর্ণা আক্তার। তবে রান তোলার গতি দুজনের ছিল বেশ ধীরগতির। ফলে ক্রমেই বেড়ে যায় বল ও রানের ব্যবধান। ৪৩ বলে মাত্র ১ বাউন্ডারিতে ৩৮ রান আসে শারমিনের ব্যাট থেকে। আর স্বর্ণাও একটি চারের মারে ২১ বলে যোগ করেন মাত্র ২০ রান।
স্বাভাবিকভাবেই শেষের দিকে ব্যাটারদের ওপর বেড়ে যায় দ্রুত রান তোলার চাপ, যা তারা করতে পারেননি একেবারেই। ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৭.১ ওভারেই। ১৩ রানে ৩ উইকেট নেন ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট।
বাংলাদেশের বোলাররাও দিনের প্রথম ভাগে খুব একটা খারাপ করেননি। তবে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররা কন্ডিশন অনুযায়ী করেন দারুণ ব্যাটিং। ওপেনার এমি হান্টার ২৩ করার পর বল হাতে আলো ছড়ানো প্রেন্ডারগাস্ট তিনে নেমে ব্যাট হাতেও ভোগান বাংলাদেশকে। ২৫ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান।
শেষের দিকে লাউরা ডেলানির ১৪০ স্ট্রাইক রেটে খেলা ৩৫ রানের ইনিংস আয়ারল্যান্ডকে এনে দেয় লড়িয়ে স্কোর। ২০ রানে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
১২ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৬ দিন আগে