
অক্টোবরে দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে ফিরতে পারেন নেইমার, বেশ আগে থেকেই বলা হচ্ছিল এমন কথা। ভক্তদের সব প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার চূড়ান্ত হয়েছে ব্রাজিল তারকার মাঠে ফেরার দিনক্ষণ। তার ক্লাব আল হিলাল গত শনিবার জানিয়েছে, চোটের কারণে এক বছর বাইরে থাকার পর আগামী সপ্তাহে তাদের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এলিট ম্যাচের জন্য আল হিলালের স্কোয়াডে ফিরবেন নেইমার।
আল হিলাল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে, যেখানে ফেরার কথা শোনা গেছে নেইমারের স্বয়ং মুখেই। “আমি জানি আপনারা উদ্বিগ্ন। আমিও তাই। ২১ অক্টোবর, আমি ফিরে আসছি।”
আগামী সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল-আইনের মুখোমুখি হবে আল হিলাল।
নেইমারের বিপণন সংস্থা এনআর স্পোর্টস শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে যে, ফুটবলের প্রতি ভালবাসা এবং পরের বিশ্বকাপে খেলার আশাই তাকে মাঠে ফিরিয়ে এনেছে।
“যদিও তার প্রত্যাবর্তনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেই, তবে দ্য ১০ নম্বর (নেইমার) সোমবার থেকে তার অসাধারণ ট্র্যাজেক্টরি চালিয়ে যেতে সক্ষম হবে।”
নেইমার ২০২৩ সালের আগস্টে আল হিলালের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। গত বছরের অক্টোবরে ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলার তার বাম হাঁটুতে তার মেনিস্কাস এবং অগ্রবর্তী ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ফেটে যায়। এরপর করতে হয় অস্ত্রোপচার। এর আগে সৌদি ক্লাবটির হয়ে মাত্র পাঁচটি খেলেন নেইমার।
শনিবার প্রকাশিত একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ৩২ বছর বয়সী নেইমারকে তার চোট থেকে ফেরার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে কথা বলা এবং ফিরে আসার তার প্রচেষ্টার ফুটেজ দেখানো হয়েছে। অশ্রুসিক্ত নেইমার সেখানে বলেছেন,
“যতবার আমি আহত হই, আমি আবার ফিরে আসি। কিন্তু আমি অর্ধেক পথে ফিরে যাই না।”
গত জুলাইয়ে নেইমার অনুশীলনে ফিরে কিন্তু ফিরেছিলেন। তবে গত সেপ্টেম্বরে আল হিলাল কোচ হোর্হে জেসুস সাবেক বার্সেলোনার ফরোয়ার্ডের তাৎক্ষণিক প্রত্যাবর্তনের আশা কমিয়ে দেন। আগামী সোমবার নেইমার খেলবেন কিনা, ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করেননি পর্তুগিজ কোচ।
নেইমারের আল হিলালের সাথে দুই বছরের চুক্তি আগামী আগস্টে শেষ হবে। তিনি ক্লাবটির এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এলিট ম্যাচে খেলতে পারবেন, কারণ মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় বিদেশী খেলোয়াড়ের সংখ্যার ওপর কোনো বিধিনিষেধ নেই। সৌদি প্রো লিগে অবশ্য এমনটা হয় না, যেই কারণে কেবল আগামী জানুয়ারির আগে লিগে খেলতে পারবেন না নেইমার।
ফিট থাকলে আগামী মাসে দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুই ম্যাচে নেইমার ব্রাজিলের জাতীয় দলে ফিরতে পারেন।
No posts available.
২৭ অক্টোবর ২০২৫, ৫:৫৫ পিএম

ম্যাচের আগের দিনই বাংলাদেশ পিটার বাটলার বলেছিলেন- ’তাঁদের বেঞ্চ দেখে মনে হলো এখানে আরেকটা দল বসে আছে। ওরা সম্ভবত পুরো ভিন্ন এক দল মাঠে নামাবে (আজ)।’ হলও তাই; ৭ পরিবর্তন নিয়ে আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামে থাইল্যান্ড। আর সেই দল নিয়ে লাল সবুজের মেয়েদের উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা। পাঁচ ডিফেন্ডার নিয়েও প্রতিপক্ষের সামনে দেয়াল তুলতে পারেনি পিটার বাটলারের দল।
সোমবার ব্যাংককের চালেম ফ্রা কিয়াত স্পোর্টস সেন্টারে বাংলাদেশকে ৫-১ ব্যবধানে হারিয়েছে থাইল্যান্ড। শুক্রবার প্রথম ম্যাচে হারের ব্যবধান ছিল ৩-০। এদিন থাইল্যান্ডের হয়ে জোড়া গোল করেছেন জিরাপোন মংকোলদি ও ম্যাডিসন ক্যাস্টিন। এক গোল আসে অধিনায়ক সাওয়ালাক পেঙ্গাম পা থেকে। বাংলাদেশের হয়ে ব্যবধান কমানো গোলটি করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।
এই ম্যাচে সবচেয়ে দৃষ্টিকটু লেগেছে বাংলাদেশর রক্ষণ। পাঁচজন রক্ষণে রেখেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার ছিলেন রক্ষণের নেতৃত্বে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কোহাতি কিসকু, শামসুন্নাহার সিনিয়র, নবিরন খাতুন ও শিউলি আজিম।
সর্বশেষ এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পর থেকেই কথা উঠে আফঈদার পারফরম্যান্স নিয়ে। ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-২০ সাফের পর অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইয়েও তাঁর থেকে আশানুরূপ পারফরম্যান্স দেখা মেলেনি। এদিনও সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন তিনিই।
গোলকিপার রুপনা চাকমা বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন। তা না হলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। একাধিক সেভ করেছেন এই ম্যাচে। লেফট উইং দিয়ে বেশ কিছু আক্রমণ শানান ঋতুপর্ণা চাকমা। তবে নিখুত ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল মেলেনি।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটের শুরুতেই গোলের সুযোগ মিস করে থাইল্যান্ড। কর্নারে কাছ থেকে আসা ক্রসে প্রথমে পা ছোয়াতে পারেননি সাওয়ালাক পেঙ্গাম। পরে গোলমুখের সামনে শট নিয়ে আকাশে উড়িয়ে মারেন থাই ফরোয়ার্ড ম্যাডিসন ক্যাস্টিন।
পঞ্চম মিনিটে দলকে বিপদে ফেলছিলেন আফঈদা। স্লো দুর্বল রানের সুযোগ নিয়ে পেছন থেকে টপকে বলে প্রায় টোকা দিচ্ছিলেন থাই অধিনায়ক। শেষ মুহূর্তে অনেকটা উপরে উঠে বিপদমুক্ত করেন গোলকিপার রুপনা।
১২ মিনিটে অধিনায়ক পেঙ্গামের গোলে এগিয়ে যায় থাইল্যান্ড। জিরাপোন মংকোলদি রক্ষণচেড়া পাস ধরে বেরিয়ে যান পেঙ্গাম; তাঁকে তাড়া করেও পাননি শামসুন্নাহার ও শিউলি। বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলকিপারকে পরাস্ত করে নিখুত শটে বাংলাদেশের জালে বল জড়ান পেঙ্গাম।
পিছিয়ে পড়ে পরপর তিনটি আক্রমণ করে বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে কার্যকরী ফিনিশিং দেখা যায়নি।
২৩ মিনিটে হাইলাইন ডিফেন্সে বাংলাদেশের পাতা অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে থাইল্যান্ডের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মংকোলদি। কাঞ্জনাপোর্ন সায়েনখুনের বাড়ানো লং পাসে আমলে নিতে সহজেই বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডার নবীরণ খাতুন ও আফঈদা খন্দকারকে পেছনে ফেরেন তিনি। তাঁকে ঠেকাতে এগিয়ে আসেন রুপনা চাকমা। মংকোলদিও বুদ্ধিদীপ্ত ফরোয়ার্ডের মতো রুপনার মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান বল।
এক মিনিট পর আবারও রক্ষণের ভুলে গোল হজম করতে বসেছিল বাংলাদেশ। বক্সের অনেকটাই সামনে এগিয়ে এসে বিপদমুক্ত করেন রুপনা। ২৭ মিনিটেও আফঈদা, শামসুন্নাহারদের স্লো রানের সুযোগ নিচ্ছিলেন থাইল্যান্ড ফরোয়ার্ড চাতোয়াং রোদঙ, এবারও দৌড়ে এসে ক্লিয়ার করেন বাংলাদেশ গোলকিপার।
২৯ মিনিটে পাওয়া প্রথম কর্নার থেকে ব্যবধান ২-১ এ নামিয়ে আনে বাংলাদেশ। মারিয়া মান্দার নেওয়া কর্নার কিকে লাফিয়ে শামসুন্নাহার জুনিয়র হেড নিলে বল পোস্টে লেগে জালে প্রবেশ করে।
কিন্তু পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় থাইল্যান্ড। লং পাস ধরে অনেকটা পেছন থেকে আফঈদা এবং শামসুন্নাহার সিনিয়রকে টপকে বলের নিয়েন্ত্রণ নিয়েই বাংলাদেশের জাল কাঁপান থাইল্যান্ডের ফরোয়ার্ড ম্যাডিসন।
৪০ মিনিটে আবারও বাংলাদেশ অধিনায়ক আফঈদার ভুলে গোল হজম করতে বসেছিল বাংলাদেশ। এই ডিফেন্ডারের পায়ের নিচ দিয়ে বল বের করেন প্রতিপক্ষের এক ফরোয়ার্ড। তবে রুপনার দারুণ সেভে ব্যবধান বাড়েনি। ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিয়ে যায় লাল সবুজের মেয়েরা।
বিরতির পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে থাইল্যান্ড। ৫৪ মিনিটে থাই গোলরক্ষকের পাঠানো সরাসরি বল থেকে দলের চতুর্থ গোলটি করেন ম্যাডিসন, ম্যাচে নিজের দ্বিতীয়।
৫৭ মিনিটে নিজেদের বক্সে থাই ফরোয়ার্ড মংকোলদির পায়ে মেরে হলুদ কার্ড দেখেন কোহাতি। পেনাল্টির বাশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে ম্যাচে নিজের দ্বিতয়ী গোলটি করেন মংকোলদি। থাইল্যান্ড এগিয়ে যায় ৫-১ গোলে।
৬২ মিনিটে পেঙ্গামের শট রুপনা ঠেকিয়ে দিলেও পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে পারেননি; ফিরতি শটে পোস্টের উপরে মারেন প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক।
৬৯ মিনিটে ম্যাডিসনের চিপ শট অল্পের জন্য খুজে পায়নি জালের দেখা। চার মিনিট পর রুপনার জোড়া সেভে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি থাইল্যান্ডের মেয়েরা। ৭৮ মিনিটে আরও একবার পোস্টের সামনে রুপনার বীরত্বে গোল হজম করেনি বাংলাদেশ। প্রতি আক্রমণে গোলকিপারকে একা পেয়েও শট নিতে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন মনিকা চাকমা। শেষ পর্যন্ত ৫-১ গোলের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাটলারের শিষ্যরা।

থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ফিফা প্রীতি ম্যাচে লড়ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ব্যাংককের চালেম ফ্রা কিয়াত স্পোর্টস সেন্টারে প্রথমার্ধ শেষে ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে পিটার বাটলারের দল।
এদিন দ্বিতীয় মিনিটের শুরুতেই গোলের সুযোগ মিস করে থাইল্যান্ড। কর্নারে কাছ থেকে আসা ক্রসে প্রথমে পা ছোয়াতে পারেননি সাওয়ালাক পেঙ্গাম। পরে গোলমুখের সামনে শট নিয়ে আকাশে উড়িয়ে মারেন থাই ফরোয়ার্ড ম্যাডিসন ক্যাস্টিন।
পঞ্চম মিনিটে দলকে বিপদে ফেলছিলেন আফঈদা। তাঁর দুর্বল রানের সুযোগ নিয়ে পেছন থেকে টপকে বলে প্রায় টোকা দিচ্ছিলেন থাই অধিনায়ক। শেষ মুহূর্তে অনেকটা উপরে উঠে বিপদমুক্ত করেন গোলকিপার রুপনা।
১২ মিনিটে অধিনায়ক পেঙ্গামের গোলে এগিয়ে যায় থাইল্যান্ড। জিরাপোন মঙলির রক্ষণচেড়া পাস ধরে বেরিয়ে যান পেঙ্গাম; তাঁকে তাড়া করেও পাননি শামসুন্নাহার ও শিউলি। বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলকিপারকে পরাস্ত করে নিখুত শটে বাংলাদেশের জালে বল জড়ান পেঙ্গাম।
পিছিয়ে পড়ে পরপর তিনটি আক্রমণ করে বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে কার্যকরী ফিনিশিং দেখা যায়নি।
২৩ মিনিটে হাইলাইন ডিফেন্সে বাংলাদেশের পাতা অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে থাইল্যান্ডের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মংকোলদি। কাঞ্জনাপোর্ন সায়েনখুনের বাড়ানো লং পাসে আমলে নিতে সহজেই বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডার নবীরণ খাতুন ও আফঈদা খন্দকারকে পেছনে ফেরেন তিনি। তাঁকে ঠেকাতে এগিয়ে আসেন রুপনা চাকমা। মংকোলদিও বুদ্ধিদীপ্ত ফরোয়ার্ডের মতো রুপনার মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান বল।
এক মিনিট পর আবারও রক্ষণের ভুলে গোল খেতে বসেছিল বাংলাদেশ। বক্সের অনেকটাই সামনে এগিয়ে এসে বিপদমুক্ত করেন রুপনা। ২৭ মিনিটেও আফঈদা, শামসুন্নাহারদের স্লো রানের সুযোগ নিচ্ছিলেন থাইল্যান্ড ফরোয়ার্ড চাতোয়াং রোদঙ, এবারও দৌড়ে এসে ক্লিয়ার করেন বাংলাদেশ গোলকিপার।
২৯ মিনিটে পাওয়া প্রথম কর্নার থেকে ব্যবধান ২-১ এ নামিয়ে আনে বাংলাদেশ। মারিয়ার নেওয়া কর্নার কিকে লাফিয়ে শামসুন্নাহার জুনিয়র হেড নিলে বল পোস্টে লেগে জালে প্রবেশ করে।
কিন্তু পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় থাইল্যান্ড। লং পাস ধরে অনেকটা পেছন থেকে আফঈদা এবং শামসুন্নাহার সিনিয়রকে টপকে বলের নিয়েন্ত্রণ নিয়েই বাংলাদেশের জাল কাঁপান থাইল্যান্ডের ফরোয়ার্ড ম্যাডিসন।
৪০ মিনিটে আবারও বাংলাদেশ অধিনায়কের ভুলে গোল হজম করতে বসেছিল বাংলাদেশ। এই ডিফেন্ডারের পায়ের নিচ দিয়ে বল বের করেন প্রতিপক্ষের এক ফরোয়ার্ড। তবে রুপনার দারুণ সেভে ব্যবধান বাড়েনি।

থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ফিফা প্রীতি ম্যাচে বিকেল ৫টায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এই ম্যাচে শুরুর একাদশে সুযোগ পেয়েছেন নবিরন খাতুন। আগের ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন মিডফিল্ডার মুনকি আক্তার।
গত শুক্রবার থাই মেয়েদের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে যে কারণে রক্ষণে একজন বেশি নিয়েছেন কোচ পিটার বাটলার। কেননা নবিরন রক্ষণে খেলেন। যেখানে নেতৃত্ব অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের কাছে। তার সঙ্গে রক্ষণে আছেন শামসুন্নাহার সিনিয়র, কোহাতি কিসকু ও শিউলি আজিমরা।
মিডফিল্ডে অভিজ্ঞ মারিয়া মান্ডার সঙ্গে থাকবেন মনিকা চাকমা। ফরোয়ার্ডে ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন ও শামসুন্নার জুনিয়র খেলছেন। ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে ইউটিউব লাইভে।
তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে সাত পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে থাইল্যান্ড। আগের ম্যাচের পরই বাংলাদেশ কোচ আভাস দিয়েছিলেন তাদের বেঞ্চের শক্তি নিয়ে। তাদের আরেকটি দল যে বেঞ্চে বসে আছে তাও জানিয়েছিলেন। সতর্ক বাটলার যে কারণে ফাইভ ব্যাকলাইন নিয়ে একাদশ সাজিয়েছেন।
বাংলাদেশ একাদশ:
রূপনা চাকমা (গোলকিপার), শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার (সিনিয়র), আফঈদা খন্দকার (অধিনায়ক), কোহাতি কিসকু, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্ডা, তহুরা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, শামসুন্নাহার (জুনিয়র), নবিরন খাতুন।

মাঠে প্রতিপক্ষকে একচুলও ছাড় দিতে রাজি নন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। শুধু কি মাঠের পারফরম্যান্স? রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারকে উষকে দিলে পরিণতিটাও যে ভালো হয়না সেটা প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের ভালো করেই জানা। মেজাজ হারিয়ে বিপদেও পড়েছেন মাঝেমধ্যে।
সবশেষ গতকাল রাতে এল ক্লাসিকোয় ভিনির রুদ্ররূপ দেখেন বার্সেলোনার তারকা ফুটবলার লামিনে ইয়ামাল। রিয়ালকে নিয়ে ম্যাচের আগে ১৮ বছর বয়সী উইঙ্গারের মন্তব্যে এমনিতেই তেঁতে ছিল ক্লাবটির ফুটবলাররা। ২-১ ব্যবধানে জয়ের পর ইয়ামালের ওপর ক্ষোভ উগরে দেওয়ার অপেক্ষাতেই যেন ছিলেন ভিনি।
ম্যাচ শেষে ইয়ামাল মাঠ ছাড়ার সময় তেড়ে যান ভিনিসিয়ুস। তাকে আটকাতে রীতিমতো হিমশিম খায় সতীর্থ আর দলের স্টাফরা। ইয়ামালকে উদ্দেশ্য করে রিয়াল তারকা নাকি বলেছিলেন, ‘কী ব্যাপার! ব্যাক পাস দেওয়া ছাড়া আর কিছুই তো করলে না।! শুধুই ডিফেন্ডারদের কাছে বল দিলে।’
আরও পড়ুন
| ‘ফিফা আসিয়ান কাপ’ শুরুর ঘোষণা ফিফা সভাপতির |
|
অবশ্য গোলমাল শেষে ‘শান্তির বার্তা’ দিলেন ভিনিসিয়ুস। সমর্থকদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান দেখানোর কথা বলেন তিনি, ‘সব মাদ্রিদিস্তাদের জন্য, বিশেষ করে যারা বার্নাব্যুয়ে এসে প্রাণভরে আমাদের সমর্থন করেছেন। এটাই এল ক্লাসিকো, যেখানে মাঠে ও মাঠের বাইরে অনেক কিছুই ঘটে। আমরা সব সময় ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করি, কিন্তু অনেক সময় সম্ভব হয় না।’
ভিনিসিয়ুস আরও যোগ করেন, ‘আমাদের কারও প্রতি অসম্মান দেখানোর কোনো ইচ্ছা নেই—না তরুণ খেলোয়াড়দের, না সমর্থকদের প্রতি। আমরা জানি, যখন মাঠে নামি, তখন নিজের ভূমিকা ঠিকভাবে পালন করতে হয়, আর আজ সেটাই করেছি।’
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিদের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স ছিল ভিনিসিয়ুসের। গোল বা অ্যাসিস্ট পেলেও আক্রমণভাগের বাঁ প্রান্তে থেকে বার্সার রক্ষণভাগের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন ২৫ বছর বয়সী উইঙ্গার। কাতালান ক্লাবের রাইট ব্যাক জুলেস কুন্দেকে নাচিয়ে ছাড়েন তিনি। কোচ জাবি আলোনসো তাকে তুলে নিয়ে রদ্রিগোকে নামানোর সময় অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় ভিনিকে।

গ্রীষ্মকালীয় দল বদলে সবচেয়ে বেশি খরুচে ক্লাব ছিল লিভারপুল। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে তারকা ফুটবলারদের দলে ভেড়ানোয় অল রেডদের ধারে-কাছে ছিল কম ক্লাবই। তবে এতো এতো তারকার ছাপ পড়ছে না মাঠের খেলায়। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সবশেষ আসরের চ্যাম্পিয়নদের অবস্থা এখন এককথায় শোচনীয়।
সবশেষ ব্রেন্টফোর্ডের কাছে ২-৩ গোলে হারে লিভারপুল। ২০২১ সালের পর আরেকবার প্রিমিয়ার লিগ টানা চার ম্যাচ হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয় অ্যান ফিল্ডের ক্লাবটির। একের পর এক হারে পয়েন্ট টেবিলেও নিম্নমুখী যাত্রা অব্যহত রেখেছে আর্নে স্লটের দল। শীর্ষে থাকা আর্সেনাল থেকে ৭ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকা লিভারপুল সাত নম্বরে অবস্থান করছে।
লিগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের এমন দুর্দশার কারণ কি হতে পারে ? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজছে অনেকেই। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ইংলিশ ফরোয়ার্ড ওয়েইন রুনির মতে লিভারপুলের অনেক সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা নেতৃত্ব। স্লটের দলে নেতার ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না কাউকে।
আরও পড়ুন
| রিয়াল খেলোয়াড়দের কথার আক্রমণে জর্জরিত ইয়ামাল, বার্নাব্যুতে 'ভিনিসিয়ুস আগ্নেয়গিরি’ |
|
সম্প্রতি ‘দ্য ওয়েইন রুনি শো’ এর একটি এপিসোডে রুনি বলেন, “নেতৃত্বের অভাব সবচেয়ে বড় সমস্যা। বিশেষ করে অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক এবং দলের প্রধান ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহর শরীরী ভাষা এই সময়ে উদ্বেগের কারণ।’
তিনি আরও যোগ করেন,‘কেউই এই পরিস্থিতি আশা করেনি। এটি খুব দ্রুত এসেছে এবং খুব শক্তভাবে আঘাত করেছে। এখন তারা সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হিমশিম খাচ্ছে।’
দলের দুই সিনিয়র ফুটবলারের মধ্যে নেতার আচারণ দেখছেন না রুনি, ‘শরীরী ভাষা অনেক কিছুই বলে। আমরা দুজনের শরীরী ভাষায় মধ্যেই পার্থক্য লক্ষ্য করেছি। তারা দলের শীর্ষ দুই খেলোয়াড়। তাদের শরীরী ভাষা যদি ঠিক না থাকে, তা বাকি সবার ওপর প্রভাব ফেলে।’
লিভারপুলের পরের ম্যাচ ক্রিস্টল প্যালেসের বিপক্ষে। কারাবাও কাপের চতুর্থ রাউন্ডে ক্লাবটির মুখোমুখি হবে তারা। ক্রিস্টল প্যালেসের বিপক্ষে সবশেষ দেখায় ১-২ গোলে হেরেছে সালাহরা।