ক্রিজে দুই টেল এন্ডার ব্যাটার থাকায় শেষ ওভারে মুসফিক হাসান ১৫ রান ডিফেন্ড করে ফেলবেন, এই আশায় নিশ্চয়ই করেছিলেন খুলনা টাইগার্স অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে নাটকীয়ভাবে আলিস-সানি বীরত্বে ম্যাচটি জিতে গেছে চিটাগং কিংস। আসর থেকে বিদায় নিয়ে হতাশ মিরাজ অবশ্য হারের পেছনে মুসফিক নয়, দায়ী করলেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডারের বোলিংকেই।
মিরাজের হতাশার জায়গা মূলত হোল্ডারের করা ইনিংসের ১৮তম ওভারটি। প্রথম তিন বল ভালোভাবে করলেও শেষ তিন বলে ‘আনাড়ি’ ব্যাটার আলিস আল ইসলামের কাছে হজম করেন চার ও ছক্কা। সাত বলের ওভারে সব মিলিয়ে আসে ১৩ রান।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মিরাজ হারের জন্য সরাসরি দায়টা তাই দিলেন হোল্ডারের সেই ওভারটিকেই। “আমাদের পরাজয়ের আসল কারণ জেসন হোল্ডারের তিন নম্বর ওভারটাই। ওই ওভারে যে ১৩টা রান হল, ওটাই ম্যাচটা একদম ঘুরিয়ে দিয়েছিল। আন্তর্জাতিক, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অভিজ্ঞ হোল্ডারের মতো বোলারের কাছ থেকে এমন বোলিং আশা করিনি আমরা।”
হোল্ডারের ওই ওভারের পরও শেষ ওভারের আগে এগিয়ে ছিল খুলনাই। তিন ওভারে ২৩ রান দেওয়া এই ডানহাতি পেসারকে সুযোগ থাকলেও আর বল করাননি মিরাজ। আক্রমণে আনেন অনভিজ্ঞ মুসফিককে, যিনি শেষ ওভারে এলোমেলো বোলিংয়ে পারেননি ১৫ রান ডিফেন্ড করতে।
তবে তরুণ এই পেসারের কোনো ভুল দেখছেন না মিরাজ। “দেখেন, শেষ ওভারে মুশফিক হাসান ১৫ রান খাওয়ার কারণেই আমরা হেরেছি, এটা ঠিক আছে। কিন্তু আমার কাছে যেটা মনে হয়, ম্যাচটা আমাদের কাছ থেকে হাতছাড়া হয়ে গেছে হোল্ডার ওই ওভারটাতে ১৩ রান দেওয়াতেই।”
১৬৪ রান তাড়ায় ১৩০ রানে ৭ উইকেট হারানো চিটাগং ম্যাচ জিতে গেছে আরাফাত সানি ও আলিস আল ইসলামের ব্যাটে চড়ে। এমন কিছুর ভয়টা বেশ আগে নাকি ছিল মিরাজের মনে। “আমার মনে হচ্ছিল যে, যেকোনো সময় একটা না একটা কিছু অঘটন ঘটে যাবে। সেই ভয়ই আমার মনকে পুরোপুরি ঘিরে ধরেছিল।”
No posts available.
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:০০ পিএম
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:৫৮ পিএম
এশিয়া কাপের ম্যাচ রেফারি অপসারণের দাবিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বরাবর চিঠি পাঠিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবির সেই চিঠি নাকচ করে দেয় আইসিসি। যার জেরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরা ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলন বর্জন করে দলটি।
কেন বা কি কারণে সংবাদ সম্মেলনে বর্জন করেছে তার সমূহ কারণ জানায়নি পিসিবি। ধারণা করা হচ্ছে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে টসের সময়কার ঘটনায় (করমর্দন কাণ্ড) আইসিসির ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট পিসিবি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে আবদার ছিল, ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেক আইসিসি।
আরও পড়ুন
রশিদদের ১৫৫ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ |
![]() |
আইসিসির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে টসের সময় হাত না মেলানো নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের সঙ্গে ম্যাচ রেফারি পাইক্রফটের কোনো ভূমিকা ছিল না। ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, পাইক্রফট কেবল মাঠে উপস্থিত থেকে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) কর্মকর্তাদের বার্তা পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগাকে পৌঁছে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে কিছু না বলে এসিসির নির্দেশই তিনি জানিয়েছেন।
অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। মুদ্র নিক্ষেপণ পরীক্ষায় পাসে তাই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে বিন্দুমাত্র ভাবেননি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। আবু ধাবির শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামের কন্ডিশন বিবেচনায় আগে ব্যাটিং নিতেন, প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক রশিদ খানেরও ছিল সহজ স্বীকারোক্তি। এশিয়া কাপে সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখার মিশনে চার পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয় পারভেজ হোসেন ইমন, শেখ মেহেদি হাসান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। তাদের জায়গায় একাদশে ডাক পড়ে সাইফ হাসান, নুরুল হাসান সোহান, নাসুম আহমেদ ও তাসকিন আহমেদের।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানের পক্ষে ভুয়া মন্তব্য, মুখ খুললেন পন্টিং |
![]() |
এদিন খেলা শুরুর আগে পিচ রিপোর্টে রবী শাস্ত্রি ও রাসেল আর্নল্ড বলেছেন, পিচটি এমন যে কিছু ডেলিভারি খুব গতির সঙ্গে চলে যাবে বাউন্ডারিতে। পাওয়ার প্লের পূর্ণ ফায়দা নেওয়া জরুরি। সে যাত্রায় অবশ্য সফল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৯ রান করতে পারে তারা। তবে ম্যাচ পুরোনো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে ফেলে ধারাবাহিকতা।
১০ ওভারে ডিংকস বিরতির সময় পর্যন্ত দলের রান ছিল ৮৭। অর্থাৎ ওভার প্রতি রান টিম টাইগার্সের রান ছিল ৮.৭০। কিন্তু ইনিংস শেষে তা গিয়ে ঠেকে ওভারপ্রতি ৭.৭০ রানে।
আজ একাদশে ইমন না থাকাতে তানজিদ হাসান সাকিবের সঙ্গী হয়েছেন সাইফ হাসান। এশিয়া কাপে নিজেদের পূর্বের দুই ম্যাচে ব্যর্থ ছিল শুরুর জুটি। আজ যখন উদ্বোধনী জুটিতে ফাটল ধরে, তখন দলীয় স্কোর পার করে ৬৩ রান। সপ্তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাইফ হাসান। আফগান অধিনায়কের বল স্লগ করতে চেয়েছিলেন সাইফ। লাইন মিসে ঘটে বিপদ। তাতে ২৮ বলে ৩০ রান করতে পারেন।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ফাইনাল খেললে খুব অবাক হবো না |
![]() |
সাইফের বিদায়ের পর যথারীতি ওয়ান ডাউনে নামেন লিটন দাস। হংকং (৫৯) ও শ্রীলঙ্কার (২৮) বিপক্ষে দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেওয়া বাংলাদেশ অধিনায়ক আজ সুবিধা করতে পারেননি। মূলত সেট হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। স্পেলের প্রথম বলেই লিটনকে ফেরালেন আফগান বাঁ-হাতি রিস্ট স্পিনার নুর আহমেদ।
নুরের ফুল লেংথ ডেলিভারি সুইপ করার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে পারেননি লিটন। এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদনেও সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে সফল হয় আফগানিস্তান। ১১ বলে ৯ রান করে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ক্রিজে নতুন ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়।
দুই উইকেট পতনের পরও ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ধারা অব্যাহত রাখেন তানজিদ হাসান। এরই মাঝে বাংলাদেশকে একটি কীর্তির সাক্ষী করেন তিনি। ২০২৫ সালে এখন সবচেয়ে বেশি ছক্কা বাংলাদেশের। আজ টাইগার ব্যাটাররা মোট ৫ টি ছক্কা হাঁকায়। সবচেয়ে বেশি ছক্কা তানজিদের (৩টি)।
১২তম ওভারে অর্ধশতকের দেখা পাওয়া তানজিদ ক্রিজ ছাড়েন পরের ওভারে। এবারও আফগানদের উৎসব এনে দেন নুর আহমেদ। তরুণ স্পিনারের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দেন তানজিদ। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৩১ বলে ৫২ রান করে ফিরতে হয় তাকে।
আরও পড়ুন
'তোমরা আফ্রিদি হতে যেও না’ |
![]() |
তানজিদ ফেরার পরই ম্যাচ কিছুটা গতি হারায়। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি শামীম হোসেন। বাইশ গজে থিতু হয়েও ২৬ রানে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ডিপ এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার হয়ে দুটি করে উিইকেট তোলেন রশিদ খান ও নুর আহমেদ। অপর উইকেটটি ছিল আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৪/৫ (সাইফ ৩০, তামিম ৫২, লিটন ৯, হৃদয় ২৬, শামীম ১১, অনিক ১২*, সোহান ১২*; ফারুকি ৪-০-৩৭-০, ওমরজাই ৩-০-১৯-১, গাজানফার ৩-০-৩২-০, রশিদ ৪-০-২৬-২, নবী ২-০-১৭-০, নুর ৪-০-২৩-২)
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৩ রানে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচটাও নিজেদের করে নিল জিম্বাবুয়ে। সফরকারী নামিবিয়াকে চেপে ধরে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সিকান্দার রাজার দল। টানা দুই জয়ের ফলে আগামী বৃহস্পতিবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ রূপ নিয়েছে নিয়মরক্ষার।
আজ জিম্বাবুয়ের বুলাওয়েতে টস জিতে অতিথিদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান সিকান্দার রাজা। শুরুতে ব্যাটিং নেমে বেশ ভালোভাবেই এগোতে থাকেন নামিবিয়ার দুই ওপেনার জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক ও ম্যালান বিনমেন ক্রুগার। ফ্রাইলিঙ্ক বোল্ড হলে দলীয় ২৭ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে।
ওয়ানডাউনে নামা জান নিকোল লফটি-ইটনকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন ম্যালান ক্রুগার। দলকে বিপদমুক্তের পাশাপাশি নিজেদের স্কোর লম্বা করার মিশনে নামেন দুজন। এ যাত্রায় দল পায় ৭১ রানের জুটি। ওপেনার ম্যালান ৪৫ রানে সাজঘর মুখো হলে লম্বা এই জুটি ভাঙে। তার দেখানো পথে হাঁটেন লফটি-ইটনও। তিনি ৩০ বলে স্কোরকার্ডে তোলেন ৪৭ রান।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানের পক্ষে ভুয়া মন্তব্য, মুখ খুললেন পন্টিং |
![]() |
টপঅর্ডারের তিন ক্রিকেটারের বিদায়ের পর লেজের সারির ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৯ রান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় নামিবিয়াকে।
জবাবে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন স্বাগতিক দলের দুই ওপেনার মারুমানি ও ব্রায়ান বেনেট। ইনিংসের ৫.৫ ওভারের সময় বেনেট যখন কট আউট হয়ে বাইশগজ ছাড়েন ততক্ষণে অনেকটা বিপদমুক্ত দল। ক্রিজ ছাড়ার আগে নিজ আমলনামায় ৪০ রান যোগ করেন বেনেট, তখন দলীয় স্কোর ছিল ৫৯।
পরের হিসাব সহজ করে দেন মারুমানি। ৩৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন স্বাগতিক ওপেনার। এরপর ব্রেন্ডন টেইলর ও রায়ান বার্ল মিলে জয়ের হিসাব মিলিয়ে দেন।
টস জিতে লিটন কুমার দাস বলেছিলেন, ১৬০ রান করতে পারলে ভালো হবে। শেষ দিকের ব্যাটিং ব্যর্থতায় তা করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে বোলাররা পুষিয়ে দিলেন সেই ঘাটতি। আফগানিস্তানকে বেধে রেখে সুপার ফোরে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবারের ম্যাচে ৮ রানে জিতল বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ১৫৪ রানের পুঁজি পায় তারা। জবাবে ১৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি আফগানিস্তান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দুইশতম ম্যাচ জেতার পাশাপাশি গ্রুপে তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক পরাজয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে বাংলাদেশ। এখনও সুপার ফোরের টিকেট নিশ্চিত নয় তাদের।
'বি' গ্রুপের শেষ ম্যাচে লড়বে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। শ্রীলঙ্কা জিতলে সরাসরি সুপার ফোরে উঠে যাবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। আর আফগানিস্তান জয় পেলে। তিন দলের হবে সমান ৪ পয়েন্ট। তখন নেট রান রেটের বিবেচনায় পরের রাউন্ডে যাবে দুই দল।
বাংলাদেশের আশা বাঁচিয়ে রাখা জয়ের বড় কারিগর নাসুম আহমেদ। টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই বাঁহাতি স্পিনের জাদু দেখান তিনি। আফগান ইনিংসের প্রথম ওভারে উইকেট মেডেনসহ ৪ ওভারে মাত্র ১১ রানে ২ উইকেট নেন নাসুম।
এছাড়া ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৪/৫ (সাইফ ৩০, তামিম ৫২, লিটন ৯, হৃদয় ২৬, শামীম ১১, অনিক ১২*, সোহান ১২*; ফারুকি ৪-০-৩৭-০, ওমরজাই ৩-০-১৯-১, গাজানফার ৩-০-৩২-০, রশিদ ৪-০-২৬-২, নবী ২-০-১৭-০, নুর ৪-০-২৩-২)
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৬ (সেদিকউল্লাহ ০, গুরবাজ ৩৫, ইব্রাহিম ৫, নাইব ১৬, নবী ১৫, ওমরজাই ৩০, জানাত ৮, রশিদ ২০, নুর ১৪, গাজানফার ০, ফারুকি ২*; নাসুম ৪-১-১১-২, তাসকিন ৪-০-৩৪-১, মুস্তাফিজ ৪-০-২৮-৩, রিশাদ ৪-০-১৮-২, শামীম ১-০-১৬-০, সাইফ ৩-০-৩৯-০)
ফল: বাংলাদেশ ৮ রানে জয়ী
এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর থেকে দুই দলের পক্ষে-বিপক্ষে নানান মন্তব্য করছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। তেমনই একটি মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে রিকি পন্টিংয়ের নামে। তবে সেটিকে ভুয়া বলে টুইট করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গত রোববার মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। যেখানে সহজ জয় পায় ভারত। তবে সেদিনের ফলাফলের চেয়ে মূল আলোচনায় দুই দলের ক্রিকেটারদের হাত না মেলানোর ঘটনা।
ম্যাচে টসের সময় কোনো ধরনের কথা বলেননি দুই দলের অধিনায়ক সুর্যকুমার যাদব ও সালমান আলি আগা। এমনকি সৌজন্যতামূলক হাতও মেলাননি। পরে ম্যাচ জিতে যাওয়ার পরও একই কাণ্ড ঘটায় ভারতের ক্রিকেটাররা। হাত না মিলিয়েই তারা চলে যায় ড্রেসিং রুমে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ফাইনাল খেললে খুব অবাক হব না |
![]() |
এই ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে নানান আলোচনা। সেই ধারাবাহিকতায় পন্টিংয়ের একটি ভুয়া মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে পাকিস্তানের পক্ষে রায় দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক।
“এই ম্যাচ চির দিন মনে রাখা হবে। যেখানে ভারতই বড় পরাজয়ের শিকার। ম্যাচে পরাজয়ের পরও হাত মেলানোর যে সৌজন্যরা পাকিস্তান দেখিয়েছে, তা তাদেরকে ভদ্রলোকের খেলায় প্রকৃত চ্যাম্পিয়ন হিসেবে অমর করে তুলেছে। আর ভারত থেকে গেছে চিরকালীন পরাজিত হিসেবে।”
আরও পড়ুন
'তোমরা আফ্রিদি হতে যেও না’ |
![]() |
তবে এই মন্তব্যের উৎস কী তা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। আর মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া বার্তায় পন্টিং নিজেই জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনো মন্তব্য তিনি কোথাও করেননি।
“আমি জানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু মন্তব্যের সঙ্গে আমার নাম জুড়ে দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। তবে দয়া করে জেনে রাখুন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমি এসব মন্তব্য করিনি। আর আসলে এশিয়া কাপ নিয়ে আমি কোনো ধরনের প্রকাশ্য মন্তব্যই করিনি এখন পর্যন্ত।”