৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৬ পিএম
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ঢাকা পর্বের প্রথম ধাপ শেষে অপেক্ষা এখন সিলেট পর্ব শুরুর। বরাবরই সিলেট উপহার দিয়ে আসছে বিপিএলের সেরা সব মুহূর্তের। অনেকের কাছেই বিপিএল যেন ভিন্ন মাত্রা হয় সিলেট পর্বেই এসেই। স্টেডিয়ামের চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য, দর্শক উন্মাদনা, স্পোর্টিং উইকেট - সব মিলিয়ে সিলেটে বিপিএলে মানেই অন্যরকম একটি আবহ। রাত পোহালেই মাঠে গড়াবে এই পর্বের প্রথম ম্যাচ। তার আগে দেখে নেওয়া যাক, এখন পর্যন্ত পরিসংখ্যানে দল ও খেলোয়াড়দের কার কী অবস্থান।
একবারের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স এবারের আসলে খেলতে এসেছে গ্লোবাল সুপার লিগে দুর্দান্ত সাফল্যকে সঙ্গী করে। পাঁচ দলের এই টুর্নামেন্টে শিরোপা ঘরে তুলে প্রস্তুতিটা দারুণ হয় দলটির। সেই ধারা বজায় রয়েছে বিপিএলেও। প্রথম তিন ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরেই আছে নুরুল হাসান সোহানের দল। এর মধ্য উল্লেখযোগ্য শেষ ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে দাপুটে জয়। একপেশে লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসে ৮ উইকেটের জয়ে।
রংপুরের জন্য এই জয়ের ইতিবাচক দিল ছিল টপ অর্ডারের দুই ব্যাটার অ্যালেক্স হেলস ও সাইফ হাসানের ফর্মে ফেরা। প্রথমজন এক রানের জন্য ফিফটি মিস করলেও দ্বিতীয় জন হাঁকান ফিফটি। এর আগে প্রথম দুই ম্যাচে হাল ধরেন দুই পাকিস্তানি ব্যাটার খুশদিল শাহ, ইফতেখার আহমেদ ও অধিনায়ক সোহানরা। দলটির বোলাররাও আছেন ছন্দে।
স্পটলাইট অবশ্য একজনের দিকেই। তিনি গতিময় পেসার নাহিদ রানা। গতির ঝড় তুলে ঢাকা পর্ব মাতিয়েছেন তরুণ এই পেসার। এরই মধ্যে একবার চার উইকেট পেয়ে হয়েছেন প্রথমবার ম্যাচ সেরাও। সিলেট পর্বেও সবার চোখ থাকবে রংপুরের ম্যাচে নাহিদের দিকেই তাই।
নাহিদের মত গতি দিয়ে হয়ত আলোচনায় আসতে পারবেন না তাসকিন আহমেদ, তবে বল হাতে যে স্বপ্নের ফর্মে আছেন, সেটা এড়িয়ে যাওয়া আসলেই অসম্ভব। দুর্বার রাজশাহীর এই পেসার খেলেছেন তিন ম্যাচে। ওভার প্রতি মাত্র ৬ রান দিয়ে মাত্র ৬ গড়ে নিয়েছেন ১২ উইকেট। এর মধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় স্পেল উপহার দেন ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। মাত্র ১৯ রানে নেন ৭ উইকেট, যা এখন বিপিএলের ইতিহাসের সেরা বোলিং ফিগার। এছাড়াও এটি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগারও এখন।
১২ উইকেট নিয়ে তাসকিন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকায় আছেন শীর্ষে। দুইয়ে ও তিনে আছেন রংপুরের দুজন খুশদিল (৭ উইকেট) ও নাহিদ (৬ উইকেট)। এছাড়াও ৬ উইকেট রয়েছে যৌথভাবে খুলনা টাইগার্সের আবু হায়দার রনিরও।
ব্যাটারদের মধ্যে ঢাকা পর্বে ধারাবাহিকভাবে আলো ছড়িয়েছেন এনামুল হক বিজয়। রাজশাহীর অধিনায়ক তিন ম্যাচে ১৩৭.৭৩ স্ট্রাইক রেট ও ৭৩ গড়ে করেছেন ১৪৬ রান। সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ৭৩। তার পরের চারটি অবস্থান যথাক্রমে চিটাগং কিংসের উসমান খান (২ ম্যাচে ১৪২), ঢাকার থিসারা পেরেরা (৩ ম্যাচে ১৪১) ও ইয়াসির আলি (৩ ম্যাচে ১৩২)।
সেই জিএসএল জয় দিয়ে শুরু, এরপর বিপিএলে রেকর্ড টানা ৮ ম্যাচ জেতা রংপুর রাইডার্স প্রায় অজেয়ই হয়ে উঠেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের জয়রথ থামল, তাও আসরের অন্যতম অধারাহিক দল দুর্বার রাজশাহীর কাছে। ইয়াসির আলির ফিফটির পরও রংপুরের বোলাররা প্রতিপক্ষকে আটকে দিয়েছিলেন নাগালের মধ্যে থাকা স্কোরেই। অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে সাইফ হাসান ও নুরুল হাসান সোহান লড়াই করলেন বটে, তবে এই দফায় আর পারলেন না জেতাতে। রাজশাহী পেল উজ্জীবিত এই জয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৩১তম ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা রংপুরকে ২৪ রানে হারিয়েছে রাজশাহী। ১৭১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সোহানের দল থেমেছে ১৪৬ রানেই।
আরও পড়ুন
রংপুরকে ভুলতে বসা হারের স্বাদ দিল রাজশাহী |
এই ম্যাচ দিয়ে রংপুর একাদশে আসা ইরফান শুক্কুর নেমেছিলেন ওপেন করতে। তবে সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন এই কিপার-ব্যাটার। প্রথম ওভারেই তাকে বোল্ড করেন রাজশাহী অধিনায়ক তাসকিন। আরেক ওপেনার স্টিভেন টেলরও ফেরেন এক ডিজিটে।
তবে রংপুরকে বড় ধাক্কাটা দিয়ে একই ওভারে গোল্ডেন ডাকের তেতো অভিজ্ঞতা উপহার দিয়ে ইফতিখার আহমেদকেও শিকার বানান এসএম মেহেরব। মাত্র ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া রংপুরের হাল ধরার চেষ্টা করেন সাইফ। মোহর শেখকে হাঁকান হ্যাটট্রিক বাউন্ডারি।
তবে তাল মেলাতে পারেননি বল হাতে দারুণ দিন পার করা খুশদিল। পাকিস্তান অলরাউন্ডারের অবদান ছিল মাত্র ১৪ রান। সাব্বির হোসেনকে টানা দুই ছক্কা মেরে চল্লিশের ঘরে পা রাখা সাইফ ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে ক্রমেই চাপ সরাচ্ছিলেন।
তবে ফিফটি থেকে সাত রান দূরে থাকতে তাকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন শফিউল ইসলাম। ১৪ বলে ৮ রানের ইনিংসে রংপুরকে চাপে ফেলে সাজঘরের পথ ধরেন শেখ মাহেদি হাসান। ১৩ ওভারে বোর্ডে রান তখন মাত্র ৯১।
আরও পড়ুন
ইয়াসিরের ঝড়ো ফিফটির পর রংপুরের ফাইটব্যাক |
সেখান থেকেই লড়াইয়ের শুরু সোহানের। পরপর দুই বলে মেহেরবকে ডিপ মিড উইকেট ও লং অন দিয়ে মারেন ছক্কা। দারুণ সব শটে রংপুর অধিনায়ক যেন ফিরিয়ে আনছিলেন ফরচুন বরিশাল ম্যাচের স্মৃতি, যেখানে তিনি শেষ ওভারে ২৬ রান নিয়ে জিতিয়েছিলেন দলকে।
তবে এবার আর পারেননি। বার্লের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় ৪১ রানে। ২৬ বলের ইনিংস সাজান ৪টি চার ও ২ ছক্কায়। ২ ছক্কা ও এক চারে সাইফউদ্দিন ২৩ রানের ক্যামিও খেলেন বটে, তবে জয়ের কাছাকাছিও তা নিতে পারেনি তার দলকে। ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে রাজশাহীর বোলিংয়ের সেরা অলরাউন্ডার বার্ল।
এর আগে একাদশে মাত্র দুই বিদেশী ক্রিকেটার নিয়ে নামা রাজশাহী শুরুটা ভালো করতে পারেনি সেভাবে। ১৯ রানে মোহাম্মদ হারিসের বিদায়ের পর রানের চাকা সচল রাখার কাজটা একাই এগিয়ে নেন সাব্বির হোসেন। এনামুল হক বিজয় রান করলেও সেটা ছিল ধীরলয়ে।
তবে সেটা বুঝতে দেননি সাব্বির। খেলেন মাত্র ১৯ বলে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস। এক ওভারেই তাকে ও রায়ান বার্লকেও ফিরিয়ে রংপুর শিবিরে হাসি ফোটান খুশদিল শাহ।
আরও পড়ুন
লড়াকু ইনিংসেও খুলনাকে জেতাতে পারলেন না নাইম |
মাঝে কয়েক ওভার এরপর রানের গতি কমে এলেও সেটা দলটি কাটিয়ে ওঠে ইয়াসির আলির ব্যাটা চড়ে। মাত্র ২৭ বলে করেন ফিফটি। মাত্র ৩২ বলে তার ৬০ রানের ইনিংস শেষের পর ফের ধাক্কা খায় রাজশাহীর ইনিংস। শেষ চার ওভারে একের পর এক উইকেট হারিয়ে টেনেটুনে করতে পারে ৯ উইকেটে ১৭০, যা অবশ্য শেষ পর্যন্ত এনে দেয় দারুণ এক জয়।
একাদশে মাত্র দুই বিদেশী ক্রিকেটার রেখে শুরুতেই চমক দেখানো দুর্বার রাজশাহীর ভরসার জায়গা ছিল দেশি ব্যাটাররা। সাব্বির হোসেন ও এনামুল হক বিজয় সেই কাজটা ভালোই করলেন শুরুতে। তবে মূল তাণ্ডব দেখালেন ইয়াসির আলি। পাঁচে নেমে প্রায় ১৮৮ স্ট্রাইক রেটের এক ইনিংসে এলোমেলো করে দিলেন ছন্দে থাকা রংপুর রাইডার্স বোলারদের। তবে তার বিদায়ের পর ঘুরে দাঁড়াল নুরুল হাসান সোহানের দল। সম্ভাবনা জাগিয়েও রাজশাহী পারল না বড় স্কোর গড়তে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৩১তম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করা রাজশাহী পেয়েছে ৯ উইকেটে ১৭০ রানের পুঁজি। সর্বোচ্চ ৬০ রান এসেছে ইয়াসিরের ব্যাট থেকেই।
কয়েকটি চারের মারে আশা জাগালেও মোহাম্মদ হারিস পারেননি ইনিংস টেনে নিতে। বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানের শিকার হওয়ার আগে করতে পারেন ১৯ রান। শুরুতে কিছুটা দেখেশুনে খেলা সাব্বির চড়াও হন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ওপর। পঞ্চম ওভারে টানা তিন বলে বলে হাঁকান একটি ছক্কা ও দুটি চার।
আরও পড়ুন
রংপুরকে ভুলতে বসা হারের স্বাদ দিল রাজশাহী |
এরপর নাহিদ রানাকেও ওড়ান ছক্কায়। ক্রমেই যখন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন রংপুরের জন্য, সেই সময়েই তাকে থামান খুশদিল শাহ। তবে তার আগে সাব্বির উপহার দেন ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। তবে ওই ওভারেই রায়ান বার্লকেও ফিরিয়ে রাজশাহীর চাপ বাড়ান খুশদিল।
এরপর কিছুটা কমে যায় রানের গতি। সেটা সচল হয় ইয়াসিরের হাত ধরে। মাহেদি হাসানের এক ওভারে চার ও ছক্কার পর আগ্রাসন দেখান আরেক স্পিনার রাকিবুলের ওভারেই। লং-অন ও ডিপ মিড উইকেট দিয়ে পরপর দুই বলে মেরে দেন দুই ছক্কা। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনেরও হয় একই অভিজ্ঞতা।
মাত্র ২৭ বলে ফিফটিতে পা রাখেন ইয়াসির। ফিরতি স্পেলে এসে এক ছক্কা হজমের পর তাকে শেষ পর্যন্ত বিদায় করেন খুশদিল। ডানহাতি এই ব্যাটার তার ৩২ বলের ইনিংস সাজান ৬ ছক্কা ও ২ চারে।
১৬ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৫৩ রান করা রাজশাহীর ইনিংসে লাগাম এরপরই টেনে ধরেন রংপুরের বোলাররা। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেভাবে রানই বের না করতে দিয়ে নিয়মিত বিরতিতে শিকার করেন উইকেট।
আরও পড়ুন
রঞ্জিতেও হাসল না রোহিতের ব্যাট |
৩১ বলে ৩৪ রানের মন্থর ইনিংসে খেলে রান আউটে কাঁটা পড়েন এনামুল হক। আরও একবার দলকে হতাশ করেন আকবর আলি। নিজের শেষ দুই ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আকিফ জাভেদ, যা রাজশাহীর জন্য শেষের ঝড় তোলার কাজটা করে তোলে ভীষণ কঠিন। সব মিলিয়ে ২৩ রানে ৩ উইকেট তার নামের পাশে।
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের অন্যতম প্রতিভাবান ও স্টাইলিশ ব্যাটার হিসেবেই বিবেচনা করা হয় তাকে। অবসর নেওয়ার এক দশক পর সেই মাইকেল ক্লার্ক পেয়েছেন দারুনে এক সম্মান। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক।
বৃহস্পতিবার এই সম্মান গ্রহণ করেন ক্লার্ক। অস্ট্রেলিয়ার হল অব ফেমে তিনি ৬৪তম খেলোয়াড়। এই মৌসুমে তালিকায় যুক্ত হবেন আরও দুজন।
ক্লার্কের ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়, যেখানে তিনি ছিলেন অধিনায়ক। তবে ডানহাতি এই ব্যাটার বেশি আলো ছড়িয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটেই। ১১৫ ম্যাচে করেছেন ৮ হাজার ৬৪৩ রান, যা যা তাকে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রানস্কোরারদের তালিকায় রেখেছে ছয় নম্বর স্থানে।
আরও পড়ুন
হল অব ফেমে জায়গা করে নিলেন মাইকেল ক্লার্ক |
মাত্র ১৭ বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার ক্লার্ল ওয়ানডেতেও একেবারেই মন্দ ছিলেন না। ৭ হাজার ৯৮১ রানের মাধ্যমে তিনি অজিদের এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি রানস্কোরারদের তালিকায় আছেন চতুর্থ স্থানে।
২০০৪ সালে ভারত সফরে টেস্ট অভিষেকেই হইচই ফেলে দেন ক্লার্ক। ১৫১ রান করে হন ম্যাচ সেরা। এই ভারতের বিপক্ষে ২০১১-১২ মৌসুমে তার ব্যাট থেকে আসে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৩২৯ রান। ষষ্ঠ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার হিসেবে সেবার টেস্ট ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন ক্লার্ক।
টেস্ট অধিনায়ক্ত্ব পান ২০১১ সালে, স্থলাভিষিক্ত হন আরেক অস্ট্রেলিয়া গ্রেট রিকি পন্টিংয়ের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৩-১৪ মৌসুমে অ্যাশেজে হোয়াইটওয়াশের নেতৃত্বে দেন ক্লার্ক। অবসরও নেন ইংলিশদের কাছে হেরেই, ২০১৫ সালে।
আরও পড়ুন
বায়ার্ন সেরা ক্লাবের কাতারে নেই, মানছেন কিমিখও |
অধিনায়ক তো বটেই, ব্যাটার হিসেবেই ক্লার্ককে বিবেচনা করা হত সময়ের অন্যতম সেরা হিসেবে। নিজের দিনে প্রতিপক্ষের সেরা সব বোলারদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার বেশ কিছু কীর্তি আছে তার। এমনকি কাঁধে চোট নিয়েও সেঞ্চুরি করে নিজের ব্যাটসম্যানশিপের ছাপ রেখেছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ততায় দীর্ঘ একটা সময় খেলেননি ঘরোয়া ক্রিকেটে। তবে ভারতের জার্সিতে লাল বলের ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময় পেছনে ফেলতে সেখানেই ফিরতে হয়েছে রোহিত শর্মাকে। তবে রঞ্জি ট্রফিতে ফেরার ম্যাচেও যথারীতি ব্যর্থ ভারত অধিনায়ক। এক ডিজিটেই আউট হয়ে দীর্ঘায়িত হল তার রান খরা।
রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বাইয়ের বিকেসি-তে শরদ পাওয়ার একাডেমিতে জম্মু ও কাশ্মীরের বিপক্ষে গ্রুপ ‘এ’ ম্যাচে সকালেই ব্যাট করতে নামেন রোহিত। তবে সবাইকে হতাশ করে টিকতে পারেন মাত্র ১৯ বল, আর রান আসে মোটে তিন।
আরও পড়ুন
অবসর সিদ্ধান্ত কোহলি-রোহিতের ওপরই ছেড়ে দিলেন গম্ভীর |
এর মধ্য দিয়ে অব্যাহত রইল লাল বলের ক্রিকেটে রোহিতের লম্বা সময় ধরে চলা বাজে ফর্ম। গত বছর ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচটি টেস্ট টেস্টে মাত্র একটি ফিফটি করেন রোহিত। দশ ইনিংসের চারবার আউট হন এক ডিজিটে।
এরপর অস্ট্রেলিয়া সফরে পাঁচ ইনিংসে তার মাত্র একটি দুই অঙ্কের স্কোর ছিল, যেখানে তিনি পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে অংশ নিয়েছিলেন। অধিনায়ক হলেও শেষ টেস্টে থেকে নিজের নাম সরিয়েও নেন রোহিত।
সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ মৌসুম রোহিত শেষ করেন টেস্টে মাত্র ১০.৯৩ গড় নিয়ে। ১৬ ইনিংসে তার এই গড় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২০০৬ সালের পর থেকে কমপক্ষে ১৫ ইনিংস ব্যাট করা (শীর্ষ ছয়ে ব্যাট করা) খেলোয়াড়দের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন গড়। তার ওপরে আছেন কেবল ইংল্যান্ডের হাসিব হামিদ, ২০১৮ মৌসুমে ১৮ ইনিংসে তার গড় ছিল মাত্র ৯.৪৪।
আরও পড়ুন
রোহিতের চোখে অশ্বিন সত্যিকারের ‘ম্যাচ উইনার’ |
টানা ৮ ম্যাচে সবার আগে নিশ্চিত হয়ে গেছে প্লে-অফ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের শেষ ম্যাচের পর মাঝের বিরতিতে তাই রংপুর রাইডার্স ঘুরে এসেছে রংপুরে। এবার মাঠে ফেরার পালা। চট্টগ্রাম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে দলটির প্রতিপক্ষ অধারাবাহিক দুর্বার রাজশাহী। এই লড়াইয়ে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
ম্যাচ খেললেও সোহানের কিপিং করার সম্ভাবনা কমই এই ম্যাচে। এই কারণেই একাদশে জায়গা পেয়েছেন ইরফান শুক্কুর। যিনি রংপুরের শেষ ম্যাচে সোহান চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার পর বদলি ফিল্ডার হিসেবে নেমে পালন করেন কিপিংয়ের দায়িত্ব। এটি ছাড়া রংপুর একাদশে উল্লেখযোগ্য বিষয় সৌম্য সরকারের না থাকা। চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার খুব কাছাকাছি থাকলেও আরও কয়েকটি অপেক্ষা করতেই হচ্ছে অভিজ্ঞ এই ওপেনারকে।
আরও পড়ুন
৮ ম্যাচ পর পরাজয়, সোহান দেখছেন সতর্কবার্তা হিসেবে |
৯ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে ছয়ে আছে দুর্বার। নতুন অধিনায়ক তাসকিন আহমেদের জন্য এই ম্যাচটা চ্যালেঞ্জের। কারণ, গত ম্যাচে তার দল হেরেছে বিশাল ব্যবধানে। মাঠে ও মাঠের বাইরের নানা বিষয়ে দলটি বারবার আলোচনায় এসেছে ভুল কারণে। শক্তিশালী রংপুরের বিপক্ষে তাই নিজেদের মেলে ধরার দারুণ সুযোগ দলটির সামনে।
রংপুর রাইডার্স একাদশ : স্টিভেন টেলর, সাইফ হাসান, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, নুরুল হাসান (অধিনায়ক), ইরফান শুক্কুর, মাহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, আকিফ জাভেদ, নাহিদ রানা, রকিবুল হাসান।
দুর্বার রাজশাহী একাদশ : মোহাম্মদ হারিস, এনামুল হক, রায়ান বার্ল, ইয়াসির আলী, আকবর আলী, সাব্বির হোসেন, এস এম মেহেরব, তাসকিন আহমেদ (অধিনায়ক), সানজামুল ইসলাম, মোহর শেখ, শফিউল ইসলাম।
৬ দিন আগে
১০ দিন আগে
১১ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৭ দিন আগে
১৭ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৪ দিন আগে