৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
৩০ ডিসেম্বর সাত দল নিয়ে যে ক্রিকেট উৎসব শুরু হয়েছিল ৪৫ ম্যাচ শেষে, ৭ ফেব্রুয়ারির অপেক্ষা এখন কেবলই ফাইনালের। পুরো টুর্নামেন্টে দাপুটে ক্রিকেট খেলা ফরচুন বরিশালের ফাইনালের প্রতিপক্ষ চিটাগং কিংস।
সেরা দুই দলই ৭ তারিখের সন্ধ্যা সাতটার ম্যাচে নামবে মিরপুরের শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। গ্রুপ পর্বে ১২ ম্যাচের ৯টায় জিতে ১৮ পয়েন্টে টেবিলের এক নম্বরে ছিল বরিশাল। দুইয়ে ছিল ৮ ম্যাচ জেতা কিংস। ফাইনালে আসার পথে প্রথম কোয়ালিফায়ারে কিংসকেই ৯ উইকেটে হারিয়েছিল তামিমের দল। পরে শেষ বলের ডিসাইডারে কোয়ালিফায়ার টুয়ে ২ উইকেটে জিতে ফাইনালে মোহাম্মদ মিথুনের কিংস।
মাঠের বাইরের সমালোচনা সেই শুরু থেকেই। কিটব্যাগ-হেলমেট স্বল্পতা, পেমেন্ট ইস্যু নিয়ে কথা উঠেছে রোজ, শেষের দিকে ফিক্সিং সন্দেহের কালো মেঘ ভারি করেছে বিপিএলের আকাশ। মাঠের ক্রিকেটে রান উঠলেও নিম্ন মানের বিদেশিরাও ছিলেন আলোচনায়।
এক ছক্কায় হয়ে যাবে এই বিপিএলের ৭০০ ছক্কা। এর আগে বিপিএলের এক আসর কখনো দেখেনি ৬৫০ ছক্কাও। ২৯৪ রানে হবে বিপিএল ইতিহাসের এক আসরে সর্বোচ্চ রানও। এই বিপিএলে মাঠের ক্রিকেটে হয়েছে রান আর মাঠের বাইরে সমালোচনা।
সর্বোচ্চ রানে সেরা বিদায় হয়ে যাওয়া খুলনার মোহাম্মদ নাঈম শেখের। সেরা পাঁচে নেই বরিশালের কেউ। বিপিএল ইতিহাসের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ৫০০ রানও পেরিয়েছেন নাঈম, টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন ৫১১ রানে। সর্বোচ্চ উইকেটে তাসকিন আহমেদই আপাতত এক নাম্বারে, বিপিএল ইতিহাসেই এক আসরে সর্বোচ্চ ২৫ উইকেটে শেষ তাজিমের এই বিপিএল।
আগের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বরিশাল। কিংসের নজর নিজেদের প্রথম শিরোপার দিকে। জমে ওঠা এক ফাইনালের অপেক্ষায় ক্রিকেট দর্শকরা। এই বিপিএলেই রেকর্ড ১০ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। ফাইনালেও থাকবে গ্যালারি ভর্তি দর্শক।
বিপিএল ফাইনাল : বরিশাল – চিটাগং
শুরু : ৭ ফেব্রুয়ারি, সন্ধ্যা সাতটা
ভেন্যু : শেরে-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম
দেখা যাবে টি স্পোর্টস টেলিভিশন ও অ্যাপে
No posts available.
জাতীয় দলের পর এবার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওয়ানডে সিরিজে দেখা হচ্ছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের। অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশ সফরে পাঁচ ওয়ানডে খেলবে আফগান যুবারা। নিজেদের মাঠে এই সিরিজের আজ সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
২০ অক্টোবর ঢাকায় পা রাখার কথা রয়েছে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। সূচি অনুযায়ী, সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডে হবে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে। শেষ তিন ম্যাচ হবে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে।
আরও পড়ুন
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মাসের সেরা ভারতের দুই ওপেনার |
![]() |
ঢাকায় নেমে সেদিন বগুড়া চলে যাবে আফগান দল। বগুড়ায় ২৮ অক্টোবর হবে প্রথম ওয়ানডে। প্রস্তুতির জন্য এক সপ্তাহ সাময় পাবে সফরকারীরা। দ্বিতীয় ওয়ানডে হবে ৩১ অক্টোবর।
১ নভেম্বর দুই দল চলে যাবে রাজশাহী। একদিন অনুশীলনের পর সেখানে তৃতীয় ওয়ানডে হবে ৩ নভেম্বর। ৬ ও ৯ নভেম্বর হবে শেষ দুই ম্যাচ। ১০ নভেম্বর ঢাকা ছেড়ে যাবে আফগানরা।
আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল এর আগে দুবার বাংলাদেশ সফর করেছিল। ২০১৭ সালে প্রথমবার, সবশেষ ২০২১ সালে এসেছিল তারা।
প্রতিপক্ষ বোলারদের তুলোধুনো করে সেপ্টেম্বর মাস সাফল্যে রাঙিয়ে আইসিসির বড় স্বীকৃতি পেলেন ভারতের দুই দলের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও স্মৃতি মান্ধানা। সেপ্টেম্বরে ‘প্লেয়ার অব দা মান্’ নির্বাচিত হয়েছেন তারা দুজন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবারের গত মাসের সেরা দুই ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করেছে আইসিসি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়ার গত মাসের এশিয়া কাপে সাত ম্যাচে ২০০ স্ট্রাইক রেট ও ৪৪.৮৫ গড়ে আসরের সর্বোচ্চ ৩১৪ রান করেছিলেন অভিষেক। স্বদেশি স্পিনার কুলদিপ যাদব ও জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান বেনেটকে টপকে মাসসেরা হয়েছেন তিনি।
মেয়েদের মাস সেরার দৌড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার তাজমিন ব্রিটস ও পাকিস্তানের সিদরা আমিনকে ছাড়িয়ে গেছেন মান্ধানা।
গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচে ৫৮, ১১৭ ও ১২৫ রানের ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। সব মিলিয়ে ৪ ইনিংসে ৭৭ গড় ও ১৩৫.৬৮ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৩০৮ রান।
২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। সাফল্যের আনন্দে ভাসছেন অনেকে, আবার কারও সঙ্গী হয়েছে হতাশা।
প্রায় ১৭ বছর আগে তাদের মতোই এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সেবার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ২০০৮ সালের এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ওই সময়ের তরুণ স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার।
২০০৮ সালের এপ্রিলে পাকিস্তান সফরে গিয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে অংশ নিয়েছিলেন সাকিব। এরপর জাতীয় দল থেকে ছুটি নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মন দেন তিনি। মাত্র দেড় মাস পড়াশোনা করে মে মাসে শেষ দিকে পরীক্ষায় বসেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার।
ওই পরীক্ষার জন্য জুন মাসে ঘরের মাঠে হওয়া কিটপ্লাই কাপ ও পরে পাকিস্তানে হওয়া এশিয়া কাপে খেলা হয়নি সাকিবের। তার বদলি হিসেবে আরেক তরুণ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমকে দলে ডেকে নিয়েছিলেন তখনকার নির্বাচক রফিকুল আলম।
পরে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, ৩.৯০ জিপিএ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন সাকিব।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হতাশাজনক ব্যাটিংয়ের পর দল থেকে বাদ পড়লেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। এছাড়া খরুচে বোলিংয়ের পর পায়ের চোটে মাঠ ছেড়ে যাওয়া নাহিদ রানাও ওয়ানডে দলে জায়গা হারালেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সামনের ওয়ানডে সিরিজের জন্য বৃহস্পতিবার ১৬ জনের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এছাড়া প্রায় ৮ মাস পর ফিরেছেন সৌম্য সরকার।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়া সিরিজে পরিবর্তন এই দুইটিই। এখনও চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় আফগান সিরিজের মতো ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দলেও নেই লিটন কুমার দাস।
শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার শুরু হবে তিন ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজ। এরপর একই মাঠে বাকি দুই ম্যাচ হবে যথাক্রমে মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার। পরে চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল।
গত ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবশেষ ওয়ানডে দলে ছিলেন সৌম্য। নাঈম বাদ পড়ায় তার জায়গায় এই বাঁহাতি ওপেনারকে ফেরানো হয়েছে দলে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ১১ ইনিংসে ৪৭.৮৮ গড় ও ৭০.৫৪ স্ট্রাইক রেটে ৪৩১ রান করেছিলেন অঙ্কন। সব মিলিয়ে লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারে ৯০ ইনিংসে ৪ সেঞ্চুরি ও ২৮ ফিফটিতে ৪৪.৫৩ গড়ে করেছেন ৩ হাজার ৪২৯ রান।
প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে জায়গা পাওয়া অঙ্কনকে একাদশে সুযোগ পাওয়ার জন্য লড়তে হবে জাকের আলি অনিক ও নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে। ১৬ জনের দলে তারা ৩ জনই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয়েছে অঙ্কনের। তবে সাদা বলে এখনও বড়দের মঞ্চে নামা হয়নি তারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে স্কোয়াড
মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, জাকের আলি অনিক, শামীম হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, রিশাদ হোসেন, তানভির ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ।
নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন যুক্ত হয়েছেন আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনৌ সুপার জায়ান্টসের (এলএসজি) সঙ্গে। তবে এবার খেলোয়াড় নয়, স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজর হিসেবে দলটির সঙ্গে কাজ করবেন কিউই তারকা ব্যাটার। লখনৌর স্বত্বাধিকারী সঞ্জীব গোয়েঙ্কা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একই সঙ্গে কেকেআরের স্পিন পরামর্শক কার্ল ক্রোকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে লখনৌর নতুন স্পিন-বোলিং কোচ হিসেবে। এলএসজি আরও জানিয়েছে, আগের মতোই দলের প্রধান কোচ থাকছেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার এবং পেস বোলিং কোচের দায়িত্বে থাকছেন ভারত অরুণ।
উইলিয়ামসনকে নিয়োগের প্রসঙ্গে গোয়েঙ্কা লিখেছেন,
‘তার নেতৃত্বগুণ, কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি, খেলার গভীর বোঝাপড়া ও খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা—সব মিলিয়ে তিনি আমাদের দলের জন্য অমূল্য সংযোজন।’
উইলিয়ামসন এর আগে একই ফ্র্যাঞ্চাইজির দক্ষিণ আফ্রিকার দল ডারবান সুপার জায়ান্টসের হয়ে খেলেছিলেন। ৩৫ বছর বয়সী উইলিয়ামসনও লখনৌয় নতুন ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত,
‘এলএসজিতে যোগ দিতে পেরে আমি সত্যিই উচ্ছ্বসিত। এখানে প্রতিভাবান একটি দল ও দুর্দান্ত কোচিং স্টাফ আছে, যাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। আইপিএলে যুক্ত হওয়া সব সময়ই বিশেষ কিছু, কারণ এটি বিশ্বের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট।’
নিউজিল্যান্ডের হয়ে সবশেষ খেলেছেন গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর না নিলেও তিনি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি (ক্যাজুয়াল) চুক্তি করেছেন, ফলে তাঁর ম্যাচ সংখ্যা হবে সীমিত।
২৬ অক্টোবর থেকে টাউরাঙ্গায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে উইলিয়ামসনের। আইপিএলে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থাকলেও গত দুই মৌসুমে তাঁর খুব একটা ভূমিকা ছিল না। ২০২৩ সালে গুজরাট টাইটানসের হয়ে প্রথম ম্যাচেই হাঁটুর চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যান তিনি। ২০২৪ সালে একই দলের হয়ে মাত্র দুই ম্যাচ খেলেন, করেন ২৭ বলে ২৭ রান। ২০২৫ সালের মেগা নিলামে কোনো দলই তাঁকে দলে নেয়নি।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডে ‘দ্য হান্ড্রেডে’ লন্ডন স্পিরিটের হয়ে খেলেছেন উইলিয়ামসন। সেখানে আট ইনিংসে তাঁর রান ছিল ২০৪, স্ট্রাইক রেট ১২৯.৯৩—ভালো কিন্তু খুব চোখে পড়ার মতো নয়। দলটি আট দলের মধ্যে সপ্তম হয়েছিল।
লখনৌর প্রধান কোচ ল্যাঙ্গার বলেন,
‘প্রতি মৌসুমেই আমরা আশাবাদ নিয়ে নামি, ২০২৬ আইপিএলেও এর ব্যতিক্রম নয়। আমরা এমন একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি গড়ে তুলতে চাই, যেটি নিয়ে গোয়েঙ্কা পরিবার, আমাদের খেলোয়াড়, স্পনসর, সমর্থক—সবাই গর্ব করতে পারে। গত মৌসুমের পর থেকেই আমরা নতুন মৌসুমের প্রস্তুতি শুরু করেছি। লখনৌয়ের একানা স্টেডিয়াম নীল আলোয় ভরে উঠবে, সেই অপেক্ষায় আছি।’
উইলিয়ামসন এবারই প্রথমবারের মতো কোনো দলের সাপোর্ট স্টাফের ভূমিকায় যুক্ত হচ্ছেন।