বৈশ্বিক ইভেন্ট বা দ্বিপাক্ষিক সিরিজে বেশ আগে থেকেই বাংলাদেশ দলে সহ-অধিনায়ক কে, তা নিয়ে চলে আসছে এক ধরনের অনিশ্চয়তা। কে ডেপুটির দায়িত্বে আছেন, সেটা নিয়ে ধোয়াশায় থাকেন খেলোয়াড়রাও। আসছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেও দেখা মিলেছে একই চিত্রের। স্কোয়াডে উল্লেখ করা হয়নি সম-অধিনায়কের নাম। দলের সব ব্যাপারে ব্যাখা দিলেও এই প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক গাজি আশরাফ হোসেন বল ঠেলে দিয়েছেন বোর্ডের কোর্টে।
সহ-অধিনায়ক হতে পারেন যে দুজন, সেই মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ দুজনই আছেন স্কোয়াডে। জাতীয় দলে এই দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা আছে তাদের। নাজমুল হোসেন শান্ত ক্যারিবিয়ান সফর মিস করলে তার জায়গায় ওয়ানডে নেতৃত্ব দেন মিরাজ। ফলে অনায়াসেই সহ-অধিনায়ক হিসেবে তার বা অন্য একজনের নাম দল ঘোষণার সময়ই দিতে পারত বিসিবি।
আরও পড়ুন
লিটন-তানজিদের রেকর্ড গড়া ম্যাচে ঢাকা পেল প্রথম জয় |
![]() |
সহ-অধিনায়ক কেন নেই, মিরপুরে রোববারের সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নের জবাবে গাজি আশরাফ শোনালেন নির্বাচকদের সীমাবদ্ধতার কথা।
“আসলে আমাদের কাজের অধীনে রয়েছে শুধু দল নির্বাচন করাটা। আমরা দল দেওয়ার পর এটা বোর্ডের তরফ থেকে ঠিক করা হয় যে কে অধিনায়ক থাকবেন আর কে সহ-অধিনায়ক হবেন। শান্ত তো আগে থেকেই অধিনায়কত্ব করছে। সহ-অধিনায়ক কেন নেই, আমার মনে হয় এটা ক্রিকেট অপারেশন্স বা বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো ভালো। কারণ, সঠিক উত্তরটা তারাই দিতে পারবেন।”
অধিনায়কের ডেপুটি কে থাকবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার না থাকলেও খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে সতর্ক থাকার কাজটা করতেই পারেন নির্বাচক। এই কারণেই সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে গতিময় পেসার নাহিদ রানার প্রসঙ্গ। কারণটা স্পষ্ট, জাতীয় দলে তিন ফরম্যাটেই খেলা এই তরুণ ক্রিকেটার বিপিএলেও খেলছেন টানা ক্রিকেট। ফলে তার চোটে পড়ার চিন্তা পেয়ে বসছে অনেককেই।
আরও পড়ুন
সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নেই সাইফের, আরও ভালো করার প্রত্যয় |
![]() |
প্রধান নির্বাচক অবশ্য জানিয়েছেন, নাহিদকে নিয়ে তারা সচেতনতা অবলম্বন করছেন।
“আমার ১০ মাসের চাকরির সময়ে আমি দেখেছি যে কোচিং প্যানেলের এটা একটা চিন্তার জায়গা হল বোলারদের ওয়ার্কলোড, যা নিয়ে তারা যথেষ্ট কাজ করেন। বিশেষ করে নাহিদ রানার দিকে তাদের বাড়তি নজর আছে। আমরা চাই না যাতে তার ওপর বাড়তি চাপ পড়ুক। এই ব্যাপারে ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে আমাদের যোগাযোগ আছে।”
No posts available.
১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৫:৫৯ পিএম
বৃষ্টির বাধায় পরিত্যক্ত হলো ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে আজ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। তবে বৃষ্টি বাধায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের খেলা আর মাঠে গড়ায়নি।
ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ডের ইনিংসের শুরুতেই ফিল সল্ট আউট হয়ে যান। আরেক ওপেনার জস বাটলার করেন ২৯ রান। মিচেল স্যান্টনার ও মাইকেল ব্রেসওয়েল পরপর দুই ওভারে ফেরান জস বাটলার ও টম বেন্টনকে। অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক আক্রমণাত্মক শুরু করলেও জিমি নিশামের বলে আউট হয়ে ফেরার ১৪ বলে ২০ রান করেন।
আরও পড়ুন
মিরপুরের স্পিন মঞ্চে ব্যাটারদের লড়াই |
![]() |
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে স্যাম কারানের ব্যাট থেকে। ৩৫ বলে ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার । ২৭ বছর বয়সী কারানের এটি টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫০ কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে তাঁর সর্বোচ্চ।
ইংল্যান্ডের ইনিংসেও হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলের পর প্রায় ৩০ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। কারানের অপরাজিত ইনিংসে ইংল্যান্ড লড়াইয়ে টিকে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে মাঠে গড়ায়নি নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। তাতে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় ম্যাচ।
২০ অক্টোবর একই ভেন্যুতে হবে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।
খেলা শুরুর আগে পিচ রিপোর্টে ফারভেজ মাহরুফ বললেন, ২৩০ রান করতে পারলেই হবে জেতার মতো স্কোর। এতেই স্পষ্ট, মিরপুরের ‘কালো’ চেহারার উইকেটে বোলারদের জন্য থাকবে বাড়তি সুবিধা। যেখানে আগে ব্যাট করে ২০৭ রানের পুঁজি পেল বাংলাদেশ।
শেষ দিকে ৬ ওভারের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে পুরো ৫০ ওভার খেলা হয়নি স্বাগতিকদের। দুই বল বাকি থাকতে অলআউট হয় তারা। নিজেদের ঘরের মাঠে অন্তত ৪৯.৪ ওভার খেলে গত ১১ বছরের মধ্যে এটিই বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর।
শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের স্পিন মঞ্চে এই সংগ্রহ অবশ্য হতে পারে জয়ের জন্য যথেষ্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই স্পিনার খ্যারি পিয়েরে ও রস্টোন চেজ করেছেন দুর্দান্ত বোলিং, পেয়েছেন বড় বড় টার্নের দেখা। নতুন বলে পেসারদের বাউন্সও ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন
৩৪ বলে সেঞ্চুরি, নারী ক্রিকেটারের বিশ্ব রেকর্ড |
![]() |
সব মিলিয়ে ২৯৮ বলের মধ্যে ১৮৩টিই ডট খেলেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ ৩০ ওভারের বেশি বলে কোনো রান করতে পারেনি তারা। দলকে দুইশ পার করানোর কারিগর তাওহিদ হৃদয় ও অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শুরুর ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে ১২২ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত ও হৃদয়।
৬৩ বলে ৩২ রান করে আউট হন শান্ত। এরপর অঙ্কনকে নিয়ে এগিয়ে যান হৃদয়। ৩০ ওভারে পূর্ণ হয় দলের একশ রান।
ক্যারিয়ারের ১১তম ফিফটি করে আর টিকতে পারেননি মিডল-অর্ডার ব্যাটার। ৯০ বলে ৫১ রান করে কট বিহাইন্ড হন হৃদয়।
অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন অঙ্কন। চেজের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন ১৭ রান করা মিরাজ। চেজের পরের ওভারে বোল্ড হন ৭৬ বলে ৪৬ রান করা অভিষিক্ত মিডল-অর্ডার ব্যাটার অঙ্কন।
ইনিংসের ৪৮তম ওভারে প্রথম ছক্কা মারেন রিশাদ হোসেন। সব মিলিয়ে তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ২৬ রান। এছাড়া ৪ বলে ৯ রান করে দলকে দুইশ পার করান তানভির ইসলাম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন জেডেন সিলস। তবু খরুচে বোলিং করেন তিনি। খ্যারি পিয়েরে ১০ ওভারে মাত্র ১৯ রানে নেন ১ উইকেট। রস্টোন চেজের শিকার ৩০ রানে ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৯.৪ ওভারে ২০৭ (সাইফ ৩, সৌম্য ৪, শান্ত ৩২, হৃদয় ৫১, অঙ্কন ৪৬, মিরাজ ১৭, সোহান ৯, রিশাদ ২৬, তানভির ৯*, তাসকিন ০, মোস্তাফিজ ১; সিলস ৭-০-৪৮-৩, শেফার্ড ৭.৪-১-৩১-১, পিয়েরে ১০-২-১৯-১, চেজ ১০-০-৩০-২, মোতি ১০-০-৪৪-০, গ্রিভস ৫-০-৩২-২)
নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ভারতের ওপেনার কিরণ নাভগিরে। গতকাল ইন্ডিয়ান উইমেনস টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে মহারাষ্ট্রের হয়ে পাঞ্জাবের বিপক্ষে মাত্র ৩৪ বলেই ১০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছান তিনি।
ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে নাভগিরে ভাঙলেন নিউজিল্যান্ডের সোফি ডিভাইনের রেকর্ড। ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট উইমেনস টি-টোয়েন্টিতে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন কিউই ব্যাটার। পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৩৫ বলে ৭টি ছক্কা ও ১৪টি চারে ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন নাভগিরে। ১১১ রানের লক্ষ্য আট ওভারেই তাড়া করে মহারাষ্ট্র। ম্যাচ জিতল তারা ৯ উইকেটে।
আরও পড়ুন
‘কোহলি-রোহিতকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য সম্মানের’ |
![]() |
৩১ বছর বয়সী নাভগিরের স্ট্রাইক রেট ৩০২.৮৬। একমাত্র নারী ক্রিকেটার হিসেবে ৩০০-এর ওপরে স্ট্রাইক রেটে সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়লেন তিনি।
যদিও আন্তর্জাতিক ম্যাচে সবচেয়ে দ্রুত সেঞ্চুরির রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিয়েন্ড্রা ডটিনের দখলে। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৮ বলেই সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
নাাভগিরে ভারতের সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২২ সালের অক্টোবরে- এশিয়া কাপে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে। সব মিলিয়ে খেলেছেন ছয় টি-টোয়েন্টি।
পার্থে আগামীকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে ভারত। সমর্থকদের মধ্যে ম্যাচটি ঘিরে তৈরি হয়েছে বাড়তি আগ্রহ। আট মাস পর জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যেতে পারে ভারতের দুই সুপারস্টার বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাকে।
সবশেষ এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে খেলেছিলেন কোহলি-রোহিত। অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল জানিয়েছেন, এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। বললেন,
‘তারা দুজনেই বিশ্বমানের খেলোয়াড়। নেটে অনুশীলন ও ফিটনেসে- খুব ভালো দেখাচ্ছে তাদের। প্রথম ম্যাচের পরই দেখতে পাবো তাদের ফর্ম কেমন। তারা পেশাদার, তাই জানে কি করতে হবে। তারা বেঙ্গালুরুর সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে অনুশীলন করেছে, তাই আমি মনে করি তারা খেলতে প্রস্তুত।’
গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর ভারতের ওয়ানডে দলে দেখা যায়নি রোহিত ও কোহলিকে। তবে প্রত্যাবর্তনের জন্য পরিশ্রম করে চলেছেন তাঁরা। সাবেক অধিনায়ক রোহিত শর্মা ১০ কেজি পর্যন্ত ওজন কমিয়েছেন ফিটনেস ঠিক রাখতে।
এই সিরিজের মধ্য দিয়ে ওয়ানডে নেতৃত্বের অভিষেক হচ্ছে শুভমান গিলের। অভিষেক ম্যাচেই গিল নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন রোহিত-কোহলির মতো তারকাদের। তবে গিল জানিয়েছেন, নেতৃত্বের কারণে তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হয়নি। সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের অধিনায়ক বলেন,
‘বাইরের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা, কিন্তু আমাদের মধ্যে কিছুই বদলায়নি। সবকিছু আগের মতোই আছে, আর এটা খুবই সহায়ক।’
ছোটবেলায় যাঁদের দেখে অনুপ্রাণিত হতেন, তাঁদের নেতৃত্ব দেওয়াকে দারুণ সম্মানের বিষয় হিসেবেই দেখছেন গিল,
‘যখন ছোট ছিলাম, তখন তাঁদের মতো খেলোয়াড়দের দেখে অনুপ্রাণিত হতাম। তাঁদের ক্ষুধা, জয়ের তাগিদ আমাকে প্রভাবিত করত। এখন এই কিংবদন্তিদের নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। আমি নিশ্চিত, এই সিরিজে এমন অনেক মুহূর্ত আসবে, যেখান থেকে আমি ওনাদের থেকে শিখতে পারব।’
কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন শুভমান গিল। টেস্ট দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর কাল থেকে ৫০ ওভারের ম্যাচেও নেতৃত্বের অভিষেক হবে এই টপ অর্ডার ব্যাটারের।
তবে ভারতের বর্তমান টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের বিশ্বাস, ৫০ ওভারের সংস্করণে যদি নিয়মিত সুযোগ পেতেন, তাহলে তিনিও ভারতের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হতে পারতেন। সম্প্রতি তাঁর নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত।
এক পডকাস্টে নিজের ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার ইচ্ছের কথা প্রকাশ করেছেন সূর্যকুমার,
‘এখন ভাবছি, যদি ওয়ানডে সংস্করণে ভালো করতে পারতাম, যেমন এখন টি-টোয়েন্টিতে করছি, তাহলে হয়তো ওয়ানডে অধিনায়কত্বও পেতে পারতাম। এখন বিষয়টা নিয়ে ভাবি, আগে ভাবিনি। কারণ সংস্করণটা ৩০ ওভারের মতোই লম্বা, বলের রঙ একই, জার্সিটাও প্রায় একই। তবুও আমি চেষ্টা করব, শতভাগ দেব। এটা সব সময়ই আমার একটা স্বপ্ন।’
সূর্যকুমারের নেতৃত্বে পাকিস্তানকে হারিয়ে ২০২৫ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। তবে ওয়ানডে দলে এখনো নিয়মিত হতে পারেননি তিনি। সবশেষ ২০২৩ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে খেলেছিলেন সূর্য। এই সংস্করণে ৩৫ ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ ৭৭৩ রান।
সূর্যের মতে, ওয়ানডে সংস্করণে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে নিয়মিত হতে পারতেন। তখন হয়তো রোহিত শর্মার অধ্যায়ের পর অধিনায়কত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো তাঁর। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন,
‘যখন আমরা বাড়িতে থাকি, এই বিষয়টা নিয়ে অনেক কথা হয়। আমি স্ত্রীকে বলি, যদি ওয়ানডেতে ভালো করতে পারতাম, কে জানে! রোহিত ভাই যখন ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেবেন, তখন কে নেতৃত্ব দেবে? যদি তুমি ভালো পারফর্ম করো, তাহলে তুমিও একজন ভালো দাবিদার হতে পারো। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে সেই সুযোগটা পাইনি।’
আগামীকাল পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে ভারত। তবে এই সিরিজে নেই সূর্যকুমার যাদব। তিনি নেতৃত্ব দেবেন ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে। ওয়ানডে সিরিজ শেষে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ২৯ অক্টোবর।