চোট কাটিয়ে এক বছর পর গত মাসেই ফিরেছেন মাঠে। আল হিলালের হয়ে খেলেছেন ম্যাচ। আর সেই কারণেই নেইমারকে এই বছরই জাতীয় দলে দেখার সম্ভাবনা বেড়েই যাচ্ছিল। তবে এযাত্রায় সেটা আর হয়নি। চলতি মাসের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুই ম্যাচে যে জায়গা হয়নি তার। দলটির কোচ দরিভাল জুনিয়র মনে করেন, এখনও পুরোদমে ম্যাচ খেলার জায়গায় নেই সাবেক পিএসজি তারকা।
আরও পড়ুন
‘দরিভাল সেরা ফুটবলের সন্ধানে আছেন, ফলাফলে এর প্রভাব পড়ছে’ |
![]() |
গত বছর অক্টোবরে ব্রাজিলের হয়ে খেলার সময়ই বাঁ হাঁটুতে গুরুতর চোট পান নেইমার। অস্ত্রোপচারের পর সেরে ওঠার দীর্ঘ এক প্রক্রিয়ায় কেটে যায় মাসের পর মাস। অনেক অপেক্ষার পর গত মাসের শেষের দিকে আল হিলালের হয়ে একটি ম্যাচ খেলেন বদলি হিসেবে নেমে।
চলতি মাসের দুটি ম্যাচের স্কোয়াড দিয়ে নেইমারকে না রাখার পেছনে ঠিক এই বিষয়টিই তুলে ধরেছেন দরিভাল। “আমরা তাকে দলে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে এটা তাড়াহুড়ো না হয়ে যায়। তিনি এখন কার্যত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তবে তিনি মাত্র কয়েক মিনিট খেলেছেন, যার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। তার ইচ্ছা ছিল এখানে থাকার, কিন্তু সে পরিস্থিতিটা বুঝতে পেরেছে যে তার ম্যাচ খেলার ফিটনেসের ঘাটতি আছে।”
আরও পড়ুন
নেইমারের সাথে 'সমস্যা নেই' ব্রাজিল কোচ দরিভালের |
![]() |
নেইমারহীন ব্রাজিল গত এক বছরে সেভাবে উন্নতি করতে পারেনি। দলের সবচেয়ে বড় তারকা না থাকায় কোচকে বদল আনতে হয়েছে খেলার ধরনে। বাজিয়ে দেখতে হয়েছে এন্দ্রিকের মত নতুন খেলোয়াড়কে। তবে এসবের প্রতিফলন সেভাবে দেখা যায়নি ব্রাজিলের খেলায়। কোপা আমেরিকা ব্যর্থতার পাশাপাশি বাছাইয়েও নেই ভালো অবস্থান। আর এই কারণেই নেইমারকে দলে ফেরানো নিয়ে স্বপ্ন বুনছিলেন সেলেসাও সমর্থকরা।
তবে দরিভালের মতে, নেইমারকে নিয়ে তাড়াহুড়া করাটা মোটেও সমীচীন হবে না তাদের জন্য। “আমাদের ক্লাবের (আল হিলালের) প্রক্রিয়াকে সম্মান করতে হবে। তার মানের একজন খেলোয়াড় সবসময় এখানে থাকতে ভালবাসে। তার থাকাটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যদিও সে সম্পূর্ণ ফিট অবস্থায় নেই।”
No posts available.
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:৩৪ পিএম
চ্যালেঞ্জ কাপ ফুটবল দিয়ে ঘরোয়া মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী শুক্রবার ট্রফির লড়াইয়ে নামছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ও প্রিমিয়ার লিগ সেরা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর আড়াইটা।
আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে সংবাদ সম্মেলনে কিংসের অধিনায়ক তপু বর্মণ শিরোপা ধরে রাখার দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন। জানালেন ট্রফি জয়ে তার দল সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পেনাল্টির ‘রাজা’ এখন রিয়াল |
![]() |
‘‘গত বছর চ্যালেঞ্জ কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। এবার দলে কারও চোট নেই। সবাই ভালো আছে। কোচ যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সে অনুযায়ী কাজ করছি।’’
তপু মনে করেন প্রস্তুতি ও ফিটনেসের দিক দিয়ে কিংস এগিয়ে।
‘‘আমাদের খেলোয়াড়রা জাতীয় দলে ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলে খেলেছে। তাই ফিটনেস ও কম্বিনেশনের দিক থেকে আমরা ভালো অবস্থানে আছি। ম্যাচটি কঠিন হবে, তবে একটাই ফাইনাল, জিততেই হবে। সেই মানসিকতা নিয়ে খেলতে নামব।’’
আরও পড়ুন
অনির্দিষ্টকালের জন্য ছিটকে গেলেন আর্নল্ড |
![]() |
বসুন্ধরা কিংসের আর্জেন্টাইন কোচ মারিও গোমেজ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
‘‘প্রস্তুতি ভালো। কোনও সমস্যা নাই, কেননা আমাদের ছেলেরা জাতীয় দলে খেলার মধ্যে ছিল। রবিবার থেকে সবাইকে নিয়ে অনুশীলন করেছি। শুক্রবারের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত।’’
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্যের মঞ্চে ১৫বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। এই প্রতিযোগিতায় শিরোপা ছাড়াও আরও অনেক রেকর্ডই রিয়ালের দখলে।
২০২৫-২৬ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গতকাল মার্শেইয়ের বিপক্ষে ২-১ গোলে জেতা ম্যাচে আরও একটি পরিসংখ্যানে শীর্ষে ওঠে এসেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। কিলিয়ান এমবাপের জোড়া পেনাল্টিতে এই প্রতিযোগিতায় স্পট কিক থেকে সবচেয়ে বেশি গোল করা ক্লাব এখন রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন
অনির্দিষ্টকালের জন্য ছিটকে গেলেন আর্নল্ড |
![]() |
ফরাসি ক্লাব মার্শেইয়ের বিপক্ষে তাদের দুটি গোলই আসে স্পট কিক থেকে। আর তাতে বায়ার্ন মিউনিখকে টপকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পেনাল্টি থেকে ৬৩ গোল করে সবার ওপরে ওঠে এলো রিয়াল।
স্পট কিক থেকে ৬২ গোল করে এতদিন এ তালিকায় সবার ওপরে ছিল জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পেনাল্টি থেকে ৫৬ গোল করে তিনে আছে রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন
ইসরায়েল খেললে ২০২৬ বিশ্বকাপ বয়কটের হুমকি স্পেনের |
![]() |
অবশ্য সবচেয়ে বেশি পেনাল্টি থেকে গোল করা রিয়াল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচও খেলেছে। এখন পর্যন্ত তারা ৩০ বার এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে, খেলেছে মোট ৩৩৪টি ম্যাচ।
মার্শেইকে হারিয়ে এই প্রতিযোগিতায় ২০০তম জয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে রিয়াল। ১৯৯২-৯৩ মৌসুম থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান সংস্করণ শুরু হওয়ার পর রিয়ালই প্রথম ক্লাব যারা এই অনন্য কীর্তি অর্জন করল। এছাড়া, এই ম্যাচে এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৭০০ গোলের মাইলফলকেও ছুঁয়েছে রিয়াল।
নতুন মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচেই বড় ধাক্কা খেল রিয়াল মাদ্রিদ। মার্শেইয়ের বিপক্ষে গতকাল ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচে চোট পান রিয়ালের রাইট-ব্যাক ট্রেন্ট আলেজ্যান্ডার আর্নল্ড। রিয়ালের ইংলিশ এই ফুটবলারের হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব।
এক বিবৃতিতে রিয়াল তাদের অফিশিয়াল সাইটে লিখেছে, ‘আজ রিয়াল মাদ্রিদের মেডিকেল টিম আমাদের খেলোয়াড় ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডের উপর যে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে, তাতে তার বাঁ পায়ের 'বাইসেপস ফেমোরিস' মাংসপেশিতে চোট ধরা পড়েছে। তার সেরে ওঠার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।’
সান্তিয়াগো বার্নাবুতে খেলা শুরুর ৫ মিনিটেই ছাড়েন ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার আর্নল্ড। বদলি নামেন দানি কার্ভাহাল। অবশ্য হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে কত দিনের জন্য ছিটকে পড়েছেন আর্নল্ড সেটা নিশ্চিত করেনি রিয়াল। তবে ধারণ করা হচ্ছে কমপক্ষে ছয় থেকে আট সপ্তাহ এই ফুল-ব্যাককে মাঠে পাবে না লস ব্লাঙ্কোসরা।
আর্নল্ডের চোট রিয়ালের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। চলতি মাসসহ আগামী মাসে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে রিয়ালের। চলতি মাসের শেষ দিকেই আতলেতিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে জাবি আলোনসোর দল। ছয় সপ্তাহের জন্য ছিটকে পড়লে ২৬ অক্টোবর বার্সেলোনার বিপক্ষে মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতেও অনিশ্চিত থাকবেন আর্নল্ড।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে হয়তো নভেম্বরের শুরুতে মাঠে ফিরতে পারেন আর্নল্ড। মার্শেইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় রিয়ালের পরবর্তী তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে নিষিদ্ধ থাকতে পারেন আর্নল্ডের পজিশনের খেলা দানি কার্ভাহাল। তাতে আগামী ২৩ অক্টোবর জুভেন্টাসের বিপক্ষে ম্যাচে একাদশ নির্বাচন নিয়ে ঝামেলায় পড়তে পারেন রিয়াল কোচ।
কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে হবে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ। বেশ কিছু দল এরই মধ্যে বাছাইপর্বে উতরে বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট নিশ্চিত করেছে। ইউরোপীয় অঞ্চলের বাছাইপর্ব শেষ না হলেও স্পেন এরই মধ্যে দুই ম্যাচ খেলে, দুটিতেই জয় পেয়েছে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বিশ্বকাপে ফেবারিটদের তালিকায়ও থাকবে স্পেন। কিন্তু তার আগেই সমর্থকদের জন্য দুঃসংবাদের সংকেত দিল তারা। স্প্যানিশ সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলকে বিশ্বকাপে অংশ নিতে দিলে, বিশ্বকাপ ‘বয়কট’ করার কথা বিবেচনা করবে তাদের দেশ।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ গত সপ্তাহে দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দিতে হবে। রাশিয়া যেমন ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর ফিফা ও উয়েফা থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিল, ইসরায়েলের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
সানচেজের ভাষায়, ‘ইসরায়েল কোনো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পারে না।’
জাতিসংঘের এক কমিশন সম্প্রতি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনে সংজ্ঞায়িত গণহত্যার পাঁচ ধাপের মধ্যে চারটির প্রমাণ গাজায় পাওয়া গেছে। ইসরায়েল এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৪ হাজার ৯৬৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জাতিসংঘ এই পরিসংখ্যানকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে।
ইসরায়েল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে গ্রুপে তৃতীয় স্থানে। তারা শীর্ষে থাকা নরওয়ের চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইতালির সমান পয়েন্ট। তিন ম্যাচ বাকি থাকায় প্লে-অফে খেলার বাস্তব সুযোগ রয়েছে তাদের সামনে। গ্রুপের শীর্ষ দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে, আর দ্বিতীয় স্থানের দলকে লড়তে হবে প্লে-অফে।
স্প্যানিশ কংগ্রেসে সোশ্যালিস্ট গ্রুপের মুখপাত্র পাতসি লোপেজ স্পষ্ট করে বলেছেন, ইসরায়েলকে খেলতে দিলে বিশ্বকাপ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিতে পারে স্পেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সময়মতো বিষয়টি বিবেচনা করব। প্রয়োজনে সঠিক সময়ে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হবে।’
ক্রীড়া মন্ত্রী ও সরকারি মুখপাত্র পিলার আলেগ্রিয়াও একই সুরে বলেন, ‘খেলাধুলা কখনো বাস্তব জগতের বাইরে থাকতে পারে না। যখন মানবাধিকার ধ্বংস হচ্ছে, তখন ক্রীড়াঙ্গন নিরপেক্ষ থাকতে পারে না।’
স্প্যানিশ সম্প্রচারমাধ্যম আরটিভিই ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে, ইসরায়েলকে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের অনুমতি দিলে তারা আগামী বছরের ইউরোভিশন সং কনটেস্ট সম্প্রচার করবে না। একই পথে হাঁটছে নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও আইসল্যান্ডের সম্প্রচারমাধ্যম। তবে ফিফা ও উয়েফা এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
নতুন কাঠামোর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় মৌসুম এরই মধ্যে শুরু হয় গেছে। ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে প্রথম রাউন্ড গড়িয়েছে মাঠে। ইউরোপ তথা বিশ্বেরই সেরা সব ফুটবলারদের নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মহারণে নামছে নামি-দামি সব ক্লাবগুলো।
২০২৫-২৬ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আছে একঝাঁক তারকা ফুটবলার। বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ৫০ দামি ফুটবলারদের মধ্যে ৪৯ জনই চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসরে আছেন। কেমন হবে যদি বর্তমান দল বদলের বাজারে সবচেয়ে বেশি দামী ফুটবলারদের নিয়ে একাদশ বানানো হয়? কোন ক্লাবের ফুটবলারদের এই একাদশে আধিপত্য থাকবে? বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান একাদশ কেমন হবে দেখে নেওয়া যাক।
অতি মূল্যবান এই একাদশে রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনার জয়জয়কার। স্প্যানিশ জায়ান্ট এই দুই ক্লাব থেকে সমান তিনজন করে জায়গা পেয়েছেন। এ ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি দু’জন ও ম্যাচেস্টার সিটির দু’জন আছেন এই একাদশে। বাকি একজন আর্সেনালের ফুটবলার।
আরও পড়ুন
‘এটিই রিয়ালের ডিএনএ', ১০ জন নিয়েও জিতে বললেন এমবাপে |
![]() |
৪-৩-৩ ফর্মেশনে সাজানো হয়েছে সবচেয়ে দামি এই একাদশ। আক্রমণভাগে ফরোয়ার্ড পজিশনে আছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার আর্লিং হল্যান্ড। ম্যান সিটির নরওয়েজিয়ান এই ফরোয়ার্ডে দাম ১৮ কোটি ইউরো। বাঁ পাশে আছেন সমমূল্যের রিয়াল তারকা কিলিয়ান এমবাপে। আর আক্রমণভাগের ডান প্রান্তে থাকা লামিনে ইয়ামলের দাম এই একাদশের সর্বোচ্চ। বার্সেলোনার ১৮ বছর বয়সী এই উইঙ্গারের নামের পাশে লিখা ২০ কোটি ইউরো।
মাঝমাঠে সবচেয়ে দামি ফুটবলার জুড বেলিংহাম। রিয়ালের ইংলিশ এই মিডফিল্ডারের দাম ১৮ কোটি ইউরো। রিয়ালের বেলিংহ্যামের সতীর্থ ভালভের্দে আছেন মিডফিল্ডে। উরুগুইয়ান এই তারকার মূল্য ১৩ কোটি ইউরো। তাদের সঙ্গে মাঝমাঠের আরেক সদস্য রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি বার্সার মিডফিল্ডার পেদ্রি। স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের দাম ১৪ কোটি।
রক্ষণে সবচেয়ে দামি সদস্য বার্সার পাউ কুবার্সি ও আর্সেনালের উইলিয়াম সালিবা। দল বদলের বাজারে দুই ডিফেন্ডারের বর্তমান দাম ৮ কোটি ইউরো। লেফট-ব্যাক ও রাইট ব্যাক পজিশনে আছেন দুই পিএসজি ফুটবলার। ফরাসি ক্লাবটির মরক্কোর ফুল-ব্যাক আশরাফ হাকিমির দাম ৮ কোটি আর পর্তুগিজ ফুটবলার নুনো মেন্ডিসের মূল্য ৭ কোটি ইউরো। সবশেষ গোলপোস্টের নিচে আছেন এই মৌসুমে পিএসজি ছেড়ে ম্যান সিটিতে যোগ দেওয়া জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা।