
প্রথম ম্যাচে টার্গেট ছিল বড়, তাতেও শেষ পর্যন্ত লড়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে বোলাররা ব্যাটারদের জন্য কাজটা আরও সহজ করে দিলেন। তবে এবারও পারল না নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। রান তাড়ায় টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ হয়ে হেরে গেল বাংলাদেশ। সেই সাথে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলল আয়ারল্যান্ডের মেয়েরা।
সিলেটে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ নারী দল হেরে গেছে ৪৭ রানে। আয়ারল্যান্ডকে ৫ উইকেটে ১৩৪ রানে আটকে দেওয়ার পর নিগার-শারমিনরা অলআউট হওয়ার আগে টেনেটুনে করেছেন ৮৭ রান।
ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হওয়া আয়ারল্যান্ড ২০ ওভারের সিরিজে এখন এগিয়ে ২-০ তে।
রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারে সোবহানা মোস্তারিকে হারিয়ে বিপদের শুরু বাংলাদেশের। আরেক ওপেনার দিলারা আক্তার করেন মোটে ১০। দলকে আরও চাপে ফেলে পাওয়ার প্লের মধ্যে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক নিগার ও তাজ নাহার। ২২ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ আর পারেনি ঘুরে দাঁড়াতে বা সেভাবে জয়ের জোরাল সম্ভাবনা জাগাতে।
পঞ্চম উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়েন শারমিন আক্তার ও স্বর্ণা আক্তার। তবে রান তোলার গতি দুজনের ছিল বেশ ধীরগতির। ফলে ক্রমেই বেড়ে যায় বল ও রানের ব্যবধান। ৪৩ বলে মাত্র ১ বাউন্ডারিতে ৩৮ রান আসে শারমিনের ব্যাট থেকে। আর স্বর্ণাও একটি চারের মারে ২১ বলে যোগ করেন মাত্র ২০ রান।
স্বাভাবিকভাবেই শেষের দিকে ব্যাটারদের ওপর বেড়ে যায় দ্রুত রান তোলার চাপ, যা তারা করতে পারেননি একেবারেই। ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৭.১ ওভারেই। ১৩ রানে ৩ উইকেট নেন ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট।
বাংলাদেশের বোলাররাও দিনের প্রথম ভাগে খুব একটা খারাপ করেননি। তবে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররা কন্ডিশন অনুযায়ী করেন দারুণ ব্যাটিং। ওপেনার এমি হান্টার ২৩ করার পর বল হাতে আলো ছড়ানো প্রেন্ডারগাস্ট তিনে নেমে ব্যাট হাতেও ভোগান বাংলাদেশকে। ২৫ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান।
শেষের দিকে লাউরা ডেলানির ১৪০ স্ট্রাইক রেটে খেলা ৩৫ রানের ইনিংস আয়ারল্যান্ডকে এনে দেয় লড়িয়ে স্কোর। ২০ রানে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার।
No posts available.
৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩ পিএম

২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কার মোট সাতটি ভেন্যু চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ভারতের চূড়ান্ত পাঁচটি ভেন্যুর মধ্যে রয়েছে আহমেদাবাদ, দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই ও মুম্বাই। শ্রীলঙ্কার তিনটি ভেন্যুর মধ্যে ক্যান্ডি ও কলম্বো ইতিমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। দেশটি থেকে আরও একটি ভেন্যু পরে নির্ধারণ করা হবে।
আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। মার্চের ৮ তারিখ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে দশম আসরের। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচগুলোও অনুষ্ঠিত হবে নিরপেক্ষ ভেন্যু শ্রীলঙ্কায়। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। এর আগে এশিয়া কাপেও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে মুখোমুখি হয়েছিল প্রতিবেশি দুই দেশ।
২০২৬ বিশ্বকাপে থাকছে আগের মতোই ২০ দল। চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিটি দল একে অপরের মুখোমুখি হবে একবার করে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল যাবে সুপার এইটে। সেখানেও দুইটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে দলগুলো। প্রতিটি গ্রুপের প্রথম দুই দল উঠবে সেমিফাইনালে। এরপর দুই সেমিফাইনালের জয়ী দল লড়বে ফাইনালে।
আয়োজক দুই দেশ ছাড়াও ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা সাত দল—অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র, আফগানিস্তান, ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সরাসরি মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে সরাসরি কোয়ালিফাই করেছে নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ড।
আঞ্চলিক বাছাইপর্বে আমেরিকা অঞ্চল থেকে জায়গা করে নিয়েছে কানাডা। ইউরোপ থেকে প্রথমবারের মতো ইতালি এবং নেদারল্যান্ডস পেয়েছে বিশ্বকাপের টিকিট। আফ্রিকার আট দলের প্রতিযোগিতা থেকে কোয়ালিফাই করেছে নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়ে। এশিয়া-ইএএপি অঞ্চলের নয় দলের লড়াই থেকে নেপাল, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত জায়গা পেয়েছে মূলপর্বে।

বেটিং প্ল্যাটফর্ম 'ওয়ানএক্স বেট' এর সঙ্গে জড়িত অর্থপাচার মামলায় ভারতের সাবেক দুই ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান ও সুরেশ রায়নার সম্পদ জব্দ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ভারতের কেন্দ্রীয় এই তদন্ত সংস্থাটি ধাওয়ান-রায়নার নামে থাকা মোট ১১ কোটি ১৪ লাখ ভারতীয় রুপির সম্পদ জব্দ করেছে। আজ ভারতের প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (পিটিআই) এই খবর জানিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, শিখর ধাওয়ানের প্রায় সাড়ে চার কোটি রুপির স্থাবর সম্পত্তি এবং সুরেশ রায়নার ৬ কোটি ৬৪ লাখ রুপির মিউচুয়াল ফান্ড জব্দ করেছে ইডি। তদন্ত সংস্থার দাবি, এই দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার জেনেশুনেই অনলাইন বেটিং অ্যাপ 'ওয়ানএক্স বেট'এর প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন।
ভারত সরকার সম্প্রতি রিয়েল মানি অনলাইন গেমিং নিষিদ্ধ করার নতুন আইন কার্যকর করেছে। এরই অংশ হিসেবে বেআইনি অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান চালাচ্ছে ইডি।
ইতোমধ্যেই শিখর ধাওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে সংস্থাটি। ৩৯ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটারের বক্তব্য ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন’ অনুযায়ী রেকর্ড করা হয়েছে। একই মামলায় সাবেক ভারতীয় ব্যাটার সুরেশ রায়নাকেও আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।
তদন্ত শুধু ক্রিকেটারদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ইতোমধ্যেই প্রযুক্তি কোম্পানি গুগল ও মেটার প্রতিনিধিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। পাশাপাশি 'প্যারিম্যাচ' নামে আরেকটি বেটিং অ্যাপের বিরুদ্ধে একাধিক রাজ্যে অভিযান চালিয়েছে সংস্থাটি।
এসব তদন্তের মূল লক্ষ্য হলো এসব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সংঘটিত ব্যবহারকারী প্রতারণা ও কর ফাঁকির ঘটনা উন্মোচন করা। ইডি জানিয়েছে'ওয়ানএক্স বেট' নেটওয়ার্ক ভারত থেকে এক হাজার কোটি রুপিরও বেশি অর্থ বিদেশে পাচার করেছে।

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন জাতীয় নারী দলের ক্রিকেটার জাহানারা আলম। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে।
এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে জাহানারা বলেছেন, অসংখ্যবার বিসিবিতে যৌন হয়রানির কথা অভিযোগ আকারে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কোন প্রতিকার পাননি।
বিষয়টি ‘সংবেদনশীল’ বলে বিসিবি অভিযোগগুলো গভীরভাবে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিটি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের অনুসন্ধানের প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দেবে।
বিসিবি আরও জানিয়েছে, ‘বিসিবি তার সব খেলোয়াড় ও কর্মীদের জন্য নিরাপদ, সম্মানজনক ও পেশাদার পরিবেশ নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। বোর্ড এ ধরনের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফেরার পর প্রথম সেঞ্চুরি কুইন্টন ডি ককের। টপ-অর্ডারের এই ব্যাটারের দুর্দান্ত এক ইনিংসে তাঁর দল দক্ষিণ আফ্রিকাও পেল দাপুটে এক জয়। আর এই জয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সমতায় ফিরল প্রোটিয়ারা।
ফয়সালাবাদে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাত্তাই পেল না পাকিস্তান। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে আজ ৮ উইকেটে জিতেছে সফরকারীরা। শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে নয় উইকেট হারিয়ে ২৬৯ সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ৫৯ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ম্যাথু ব্রিৎজকের দল।
এই সংস্করণে পাকিস্তানের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয় এটি। ২০২৩ বিশ্বকাপে চেন্নাইয়ে ২৭১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয় আছে ওপরে। রান তাড়ায় মোট ১১টি ছক্কা মারে প্রোটিয়া ব্যাটাররা, যা পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫০ ওভারের ক্রিকেট এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। ১১৯ বলে ১২৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন ডি কক।
এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে একই ভেন্যুতে আগামী শনিবারের ম্যাচটি অঘোষিত ফাইনালে রূপ নিল।
রান তাড়ায় দারুণ শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। লুহান-দ্রে প্রিটোরিয়াস-কুইন্টন ডি ককের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৮১ রান। ৪০ বলে ৪৬ করা প্রিটোরিয়াস মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হয়ে ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর পাকিস্তানের বোলারদের খাটিয়ে লক্ষ্যের দিকে ছুটতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিক বোলারদের ছাতুপেটা করে সেঞ্চুরি করেন ডি কক। অবসর ভেঙে ফেরা বাঁ হাতি এই ব্যাটারের এটি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২২তম।
দক্ষিণ আফ্রিকা যখন জয় থেকে ৩৬ রান দূরে, দ্বিতীয় উইকেটে ডি কক-টনি ডি জর্জির জমে যাওয়া জুটি ভাঙেন ফাহিম আশরাফ। শেষ হয় তাদের ১৫৩ রানের দারুণ পার্টনারশিপ। ৬৩ বলে ৭৬ করেন জর্জ। এরপর ম্যাথু ব্রিটৎজকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন ডি কক।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় ধসের মুখে পড়ে পাকিস্তান। ২২ রানেই স্বাগতিকদের তিন টপ-অর্ডারের ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখায় প্রোটিয়া বোলাররা। ফখর জামান শূন্য, বাবর আজম ১১ আর মোহাম্মদ রিজওয়ান ৪ রান করে আউট হন। দুই পেসার নান্দ্রে বার্গার আর করবিন বচের তোপে পড়ে তারা।
এরপর সালমান আলি আগাকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন ওপেনার সায়েম আইয়ুব। চতুর্থ উইকেটে এই জুটি থেকে আসে ৯২ রান। ফিফটি করা সায়েম আউট হলে শেষ হয় সেই জুটি। ছন্দের খোঁজে থাকা এই ওপেনার করেন ৬৬ বলে ৫৩ রান।
৩০ ওভারে দলীয় ১৩০ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় পাকিস্তান। ২০ বলে ১০ রান করা হোসাইন তালাত নাকাবায়োমজি পিটারের শিকার হন। আড়াইশো পেরোনো পাকিস্তানের জন্য তখন কঠিনই ছিল।
একপ্রান্ত আগলে রাখা সালমান আগার ফিফটির সঙ্গে মোহাম্মদ নেওয়াজের আরেকটি পঞ্চাশার্ধো ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহই পায় তারা। বশের বলে বোল্ড হওয়ার আগে সালমান করেন ১০৬ বলে ৬৯ রান। ৩ চার ও ৪ ছয়ে নেওয়াজ করেন ৫৯ বলে ৫৯ রান। এ ছাড়া শেষ দিকে দ্রুত রান তোলেন ১৮ বলে ২৮ করা ফাহিম আশরাফ।
দক্ষিণ আফ্রিকার চার উইকেট নেন বার্গার। তিনটি পিটার আর বশ নেন দুটি।

ক্লাব অনুদান, প্রাইজমানি, জার্সি এবং ট্রান্সপোর্ট অ্যালাউন্স ৫০ শতাংশ বাড়িয়েও বিরোধীদের মন গলাতে পারেনি সিসিডিএম। ক্রিকেটারদের রুটি-রুজির বিষয়টিও বিবেচনায় আনেনি ক্লাব ক্রিকেট অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে গত ৭ অক্টোবর সকল লিগ বর্জনের ডাক দিয়েছিলেন ক্লাব অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশনের একটি অংশ।
প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে ২০ টি ক্লাবের মধ্যে ১০টি ক্লাব তাদের পক্ষে আছে বলে গণমাধ্যমকে জানালেও ক্লাব অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশনের নির্বাচনী প্যানেলকে নেতৃত্ব দেয়া বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের ক্লাব ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাব বর্জনকারীদের ডাকে সাড়া দেয়নি। নির্বাচন পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে ক্লাব অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশনের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বিসিবির সাবেক পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের ক্লাব শাইনপুকুরও বর্জনকারীদের বৃদ্ধাঙ্গুুুলি দেখিয়ে ক্রিকেটারদের দলবদলে অংশ নিয়েছে।
ক্লাব ক্রিকেট অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশনের বর্জনের ডাকে সাড়া দিয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ২০টি ক্লাবের মধ্যে ৮টি ক্লাব আনুষ্ঠানিক দলবদলে অংশগ্রহন থেকে বিরত থেকেছে। সূর্যতরুণ, ওরিয়েন্ট, আম্বার স্পোর্টিং, পারটেক্স স্পোর্টিং, কাকরাইল বয়েজ, খেলাঘর, কলাবাগান এবং গাজী টায়ার্স প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে ২ দিনব্যাপী খেলোয়াড়দের দলবদলে অংশ নেয়নি। ১৩ লাখ ৫০ হাজার করে নির্ধারিত ক্লাব অনুদানের চেকও নেয়নি এই ৮টি ক্লাব।
গত ৫ নভেম্বর প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে খেলোয়াড়দের দলবদলের প্রথম দিন ৮টি ক্লাবের পক্ষে (বিকেএসপি, ব্লুজ ক্রিকেটার্স, বাংলাদেশ পুলিশ ক্রিকেট ক্লাব , ওল্ড ডিওএইচএস, প্রাইম দোলেশ্বর, শেখ জামাল ক্রিকেটার্স, শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব এবং উত্তরা ক্রিকেট ক্লাব)।
সাইন করেছেন ৪৭ জন ক্রিকেটার। দলবদলের দ্বিতীয় দিনে (৬ নভেম্বর) আরও ৮৯ জন ক্রিকেটার নতুন ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন। এদিন দলবদলে সরব ছিল বারিধারা ডেজলার্স, বসুন্ধরা রাইডার্স, ঢাকা স্পার্তান্স এবং লালমাটিয়া ক্লাব)। দলবদলের আনুষ্ঠানিকতার ২ দিনে নতুন ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন ১০৬ ক্রিকেটার। এর বাইরে ৮৯ জন ক্রিকেটার টোকেন তুলে তা কাছে রেখেছেন। ফ্রি ক্রিকেটার হিসেবে তারা যে কোনো ক্লাবে যোগ দিতে পারবেন। তবে এদের অধিকাংশের সঙ্গে পুরোনো ক্লাবের যোগাযোগ হয়েছে।
লিগ শুরুর আগে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে পারে বর্জনকারী ক্লাবগুলো, এমন সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছেন সিসিডিএম-এর চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন-' নানা মাধ্যমে জানতে পেরেছি, কারো কারো চাপে প্রকাশ্যে দলবদলে অংশ নিতে আসেনি চার-পাঁচটি ক্লাব। তবে ওই ক্লাবগুলোর অফিসিয়ালরা কিন্তু পুরোনো ক্রিকেটারদের অধিকাংশকে রেখে দিয়েছে। বেশ কিছু ক্রিকেটারকে টোকেন তুলতে পাঠিয়েছেন তারা। যারা টোকেন তুলেছেন, তাদের অনেকেই এইসব ক্লাবকে টোকেন জমা দিয়ে পুরোনো ক্লাবে থেকে যেতে পারেন।'
এদিকে ক্রিকেটারদের রুটি রুজির পথ বন্ধ করে লিগ বর্জনকারী ক্লাবসমূহের বিপক্ষে সোচ্চার হতে চাইছে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। কোয়াবের নব নির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ মিঠুন এই অবস্থানের কথা জানিয়েছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যানকে। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরু হওয়ার কথা। তার আগে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে বসে বিষয়টা সুরাহা করতে চান সিসিডিএম চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন-' বিসিবির নির্বাচনে পক্ষ-বিপক্ষ নতুন কিছু নয়।
তবে নির্বাচনের ইস্যুতে এর আগে কখনো কিন্তু লিগ বর্জনের ডাক কেউ দেননি। নির্বাচনকালীন সময়ে বিভেদ ভুলে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লিগে অংশ নিয়েছেন। সে কারণেই অংশগ্রহনমূলক লিগ আয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে চাই। আইসিসির সভায় যোগ দিতে বিসিবি সভাপতি এখন দেশের বাইরে। উনি দেশে ফিরে আসার পর কোয়াব এবং সিসিডিএম নেতৃবৃন্দ বসে একটা গ্রহনযোগ্য সমাধানের পথ বের করব। যদি বিরোধীদের সবাইকে আনতে না পারি, তখন যারা স্বোচ্ছায় অংশ নিতে চায়, তাদেরকে নিয়ে লিগ আয়োজন করা হবে। বাকিদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বাইলজ অনুযায়ী।'
প্রথম বিভাগ থেকে এক আসরে অবনমন হওয়ার কথা ২টি ক্লাবের। সেখানে ৮টি ক্লাব লিগে অংশগ্রহন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে বড় ধরণের সংকট তৈরি হবে। এক সঙ্গে এতো ক্লাব অবনমন হলে তো দ্বিতীয় বিভাগ থেকে সম সংখ্যক ক্লাবকে দিতে হবে প্রমোশন। এটাই ভাবনায় ফেলেছে সিসিডিএমকে।
৭টি ভেন্যু ঠিক করে, মানসম্পন্ন পীচ প্রস্তুত করেও এমন পরিস্থিতির মুখে পড়লে দূর্ভাবনা বাসা বাধারই কথা সিসিডিএম-এর।