N/A

নতুন জার্সিতে হতশ্রী ব্যাটিংয়ে সেই পুরনো বাংলাদেশ

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৬ অক্টোবর ২০২৪, ৯:৫৩ পিএম

news-details

সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হোসেন সবসময় কথা বলেন বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথে। দলনায়কের এমনই হওয়া উচিত। তবে দিনের পর দিন যখন আপনি নিজে ও পুরো দল মিলে কথা আর কাজের মিল না ঘটাতে পারবেন, তখন প্রশ্ন তোলার সুযোগ তৈরি হওয়াটাই অনিবার্য। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে নতুনভাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলবেন তারা। এই বাণী আগেও শোনা গেছে, তবে বাস্তবে এর প্রতিফলন আর দেখা যায়নি। গোয়ালিয়রে প্রথম ম্যাচেও দেখা গেল সেই চেনা চিত্রই।


গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নকআউট পর্বে জায়গা করে নিয়েছিল মূলত বোলারদের কল্যাণেই। ম্যাচের পর ম্যাচ ব্যাটাররা সেভাবে গুরুত্বপূর্ণ বা ব্যবধান গড়ে দেওয়ার মত অবদান রাখতে পারেননি, কিছু ইনিংসে ব্যতিক্রম ছিলেন তরুণ তাওহীদ হৃদয়। তবে ব্যাটিং ইউনিট তো তাকে একা দিয়ে বিচার করলে চলে না। প্রয়োজনের মুহূর্তে বারবার ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়েছেন। পারেননি এই ফরম্যাটের চাহিদা মিটিয়ে মারমুখী ব্যাটিং করতে।


ভারত সিরিজের প্রথম ম্যাচেও এর ব্যতিক্রম করতে পারেনি বাংলাদেশ। শুরু থেকেই টানা উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় সফরকারীরা। ফলে যা হয়, রানের গতিও যায় কমে। ব্যাটাররা না পেরেছেন টিকে থাকতে, না পেরেছেন কেউ ১৪০-১৫০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করে বোলারদের চাপে ফেলতে।


টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে গড় নয়, স্ট্রাইক রেটই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে তিনে নামা অধিনায়ক শান্তর আন্তর্জাতিক স্ট্রাইক রেট ১১০-এর চেয়েও কম। এই ম্যাচে চাপের মাঝে চাপের মুখে তিনি কিছু রান করেছেন বটে, তবে তাতে যথারীতি বলও নষ্ট করেছেন বেশ। এক চার ও এক ছক্কায় ২৫ বলে করতে পেরেছেন মোটে ২৭।


শান্তর চেয়েও বড় সর্বনাশ করে চাপ বাড়িয়েছেন এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার তাওহীদ। মায়াঙ্ক যাদবকে পাওয়ার প্লেতে উপহার দেন মেডেন ওভার। আউট হওয়ার আগে ১৮ বল খেলে দুটি চারে খেলেন ১২ রানের এক সংগ্রামী ইনিংস। স্ট্রাইক রেট? ৬৬.৬৭!


আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে ধরে খেলা বলে কিছু নেই। ভয়াবহ ব্যাটিং ধসের মধ্যেও আপনাকে সুযোগ বুঝে বড় শট খেলতে হবে, রানের চাকা সচল রাখতে হবে। তবে ভারতের দ্বিতীয় সারির বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সেই কাজ করতেও খাবি খেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাটাররা। দেড় বছর পর আন্তর্জাতিক ২০ ওভারের ক্রিকেটে খেলতে নেমে মেহেদি হাসান মিরাজ খেলেছেন ৩৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস, যা মূলত বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে ১২৭ রানের স্কোর।


তবে এই রান করতে মিরাজ খেলে ফেলেছেন ৩২টি বল। অর্থাৎ, ইনিংসের তিন ভাগের এক ভাগ বল মোকাবেলা করে তিনি ব্যাটিং করেছেন স্রেফ ১০৯.৩৮ স্ট্রাইক রেটে। এই ম্যাচে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের। ২২০ স্ট্রাইক রেটে করেছেন পাঁচ বলে ১১। তবে দলের আট নম্বর ব্যাটার যদি সবচেয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করার সামর্থ্য রাখেন, তাহলে সেটাই বলে দেয় কেন এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ এখনও পায়ের তোলায় মাটি খুঁজে বেড়াচ্ছে।


খুব বিশেষ বোলিং না করতে পারলে এই ম্যাচে অনায়াসেই বাংলাদেশকে হারিয়ে দিতে পারে ভারত। কারণ, এই মুহূর্তে খুব বোলিং সহায়ক উইকেট না হলে ২০ ওভারে ১২৮ খুবই মামুলি স্কোর। প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষেই তাই বাকি দুই ম্যাচে কঠিন চ্যালেঞ্জ টের পাওয়ারই কথা শান্ত-মাহমুদউল্লাহদের।

No posts available.

bottom-logo