১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৯ এম
এই একটি ম্যাচ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ ছিল না। মাঠের খেলা নিয়ে যতটা না আলোচনা, এরচেয়ে দুই দেশের বৈরি সম্পর্ক, ম্যাচ বর্জন আর প্রতিবাদের মতো বিষয়ই সংবাদের শিরোনাম হয়েছে।
এশিয়া কাপে ‘এ’ গ্রুপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি শেষ হয়েছে ভারতের ৭ উইকেটের বড় জয়ে। উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচটি একপেশে লড়াইয়ে রূপ নেয় ম্যাড়ম্যাড়ে এক ম্যাচে। সূর্যকুমার যাদেবদের বিপক্ষে নূন্যতম লড়াইও করতে পারেনি সালমান আলি আগার দল।
অবশ্য ম্যাচের ফলাফলের চেয়ে দুই দলের নানান কাণ্ডই যেন এখন আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। প্রথমে ম্যাচের আগে টসের সময় সৌজন্য সূচক করমর্দন না করে বিতর্ক উষকে দেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার। এমনকি ম্যাচ শেষেও পাকিস্তান দলের সঙ্গে হাত মেলায়নি ভারতীয় দল।
ভারতের এমন আচারণে প্রচন্ড ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে পাকিস্তান। সূর্যকুমার যাদবের দলের সঙ্গে নাকি করমর্দনের অপেক্ষায়ও ছিল পাকিস্তান দল। ম্যাচ শেষে পাকিস্তান কোচ মাইক হেসন বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা খেলা শেষে করমর্দনের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। প্রতিপক্ষ সেটা করেনি বলে আমরা হতাশ। আমরা হাত মেলাতে এগিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু তারা তখনই ড্রেসিংরুমের পথে ছিল।’
আরও পড়ুন
হাত মেলায়নি ভারত, প্রেজেন্টশনে এলেন না পাকিস্তানের অধিনায়ক |
![]() |
ভারতের এমন অবস্থানের পর পাকিস্তানও প্রতিবাদ হিসেবে ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করে। ম্যাচ-পরবর্তী অনুষ্ঠানে পাকিস্তান অধিনায়কের অনুপস্থিত থাকার কারণ সম্পর্কেও কথা বলেন পাকিস্তান কোচ। এই সিদ্ধান্তকে হাত না মেলানোর ঘটনারই প্রতিক্রিয়া বলেন তিনি, ‘আমার মনে হয় এটা পুরো ঘটনারই একটি ধারাবাহিক প্রতিক্রিয়া। আমরা খেলা শেষে হাত মেলাতে চেয়েছিলাম, সেটা হয়নি এবং ঘটনাটা সেখানেই শেষ হয়ে যায়।’
ভারতের করর্মদন বর্জনের মতো আচারণকে ‘খেলোয়াড়সুলভের বিরুদ্ধে’ বলে বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট নাকি টসের সময় দুই অধিনায়ককে করমর্দন না করতে অনুরোধ করেছিলেন। এ কারণে ম্যাচ রেফরির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে পিসিবি।
ম্যাচ শেষে পিসিবি এক বিবৃতিতে জানায়, পাকিস্তান দলের ম্যানেজার নাভিদ আকরাম চিমা ম্যাচ রেফারির আচরণের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছেন।
No posts available.
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:৪২ পিএম
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:৪৬ পিএম
টস জিতে প্রতিপক্ষ দলকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে গেরহার্ড এরাসমাস যে ভুল করলেন হার দিয়ে তার খেসারাত দিতে হলো দলকে। তিন ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে নামিবিয়ার বিপক্ষে ৩৩ রানে জয় লাভ করেছে জিম্বাবুয়ে।
আজ বুলাওয়েতে আগে ব্যাট করে ব্রায়ান বেনেটের ৯৪ ও তাদিওয়ানাশে মারুমানির ৬২ রানের ওপর ভর করে ২১১ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। রান তাড়ায় নামিবিয়ার ব্যাটাররা ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন ঠিকই, তবে দলের কেউই স্কোর টেনে বড় করতে পারেননি। ফলে তাদের থামতে হয়েছে ১৭৮ রানে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ম্যাচের আগে আফগান শিবিরে বড় ধাক্কা |
![]() |
এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই আগ্রাসী ব্যাট চালান জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার। তাদের জুটি ভাঙে ১২৪ রানে মারুমানি আউট হলে। বাইশগজ ছাড়ার আগে তিনি ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর বার্লকে নিয়ে পথচলা শুরু করেন বেনেট। যদিও ওয়ানডাউনে নেমে ইনিংস বড় করতে পারেননি বার্ল। ২২ রানে ফেরেন তিনি। দলীয় ১৯৩ রানে বড় ধাক্কাটা আসে বেনেট নার্ভাস নাইটিনের ঘরে আউট হলে। ৯৪ রানে ফেরেন তিনি। তার ইনিংস সাজানো ছিল ৪ ছক্কা ও ৮ বাউন্ডারিতে। শেষ পর্যন্ত সিকান্দার রাজার অবদানে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ২১১।
জবাবটা ভালোভাবে দিতে পারেনি নামিবিয়া। কারণ সফরকারী দলের কোনো প্লেয়ার সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন লফটি-ইটন। জানে গ্রিন করেন ২৭ বলে ৩৩ রান। ব্যাটারদের এমন স্কোর যথেষ্ট হয়নি ম্যাচ জিততে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৮ রানে থামে নামিবিয়া। জিম্বাবুয়ের হয়ে দুইটি করে উইকেট শিকার করেন সিকান্দার রাজা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।
এশিয়া কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার আগে বড় দুঃসংবাদ পেল আফগানিস্তান। কাঁধের চোটে এশিয়া কাপের বাকি ম্যাচগুলোতে খেলতে পারবেন না অভিজ্ঞ পেসার নবীন উল হক।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সোমবার সন্ধ্যায় এই খবর জানিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। মঙ্গলবার রাতে আবু ধাবির জায়েদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে তারা।
আরও পড়ুন
পাক-ভারত দ্বন্দ্ব: ম্যাচ রেফারির অপসারণ চান পিসিবি প্রধান |
![]() |
ছিটকে যাওয়া নবীনের জায়গায় আরেক ফাস্ট বোলার আব্দুল্লাহ আহমেদজাইকে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে ডেকে নিয়েছে আফগানিস্তান। প্রাথমিক স্কোয়াডে রিজার্ভ তালিকায় ছিলেন আহমেদজাই।
মূল স্কোয়াডে থাকলেও, ফিটনেস ঘাটতির কারণে হংকংয়ের বিপক্ষে আফগানিস্তানের প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেননি নবীন। আর এবার মেডিকেল বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হলো, এখনও চোটে ভুগছেন অভিজ্ঞ পেসার৷
তাই এখন দেশে ফিরে পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করবেন নবীন।
আরও পড়ুন
১৬০ ওভারের মধ্যে হলো মাত্র ১০ ওভার |
![]() |
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ম্যাচের আগে নবীনের ছিটকে যাওয়া আফগানিস্তানের জন্য বড় ধাক্কাই বটে। বাংলাদেশের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৩ টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেট নিয়েছেন নবীন।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন নবীন। আফগানদের রোমাঞ্চকর জয়ে তিনিই জিতেছিলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
মঙ্গলবারের ম্যাচটি দুই দলের জন্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের বিকল্প নেই। আফগানিস্তানও হেরে গেলে শঙ্কায় পড়ে যাবে তাদের সুপার ফোরের টিকেট।
ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে এশিয়া কাপের দুজন ম্যাচ রেফারির মধ্যে একজনের অপসারণ চাইলেন খোদ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) প্রধান মহসিন নাকভি। যিনি আবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেরও (পিসিবি) চেয়ারম্যান।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার রাতে মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। ম্যাচে টসের সময় হাত মেলাননি দুই দলের অধিনায়ক। পরে খেলা শেষেও দুই দলের ক্রিকেটাররা নিজেদের মধ্যে সৌজন্যতা বিনিময়সূচক হাত মেলাননি।
পাকিস্তানের অভিযোগ, টসের সময় ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটই দুই অধিনায়ককে হাত মেলাতে মানা করেছিলেন। যা কিনা খেলাধুলার স্পিরিটের সরাসরি বিরোধী। তাই পাইক্রফটকে দায়ী করে এক টুইট বার্তায় তার অপসারণ চেয়েছেন মহসিন নাকভি।
“পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আইসিসির কাছে অভিযোগ জানিয়েছে যে, ম্যাচ রেফারি আইসিসি কোড অব কন্ডাক্ট এবং এমসিসি'র স্পিরিট অব ক্রিকেটসংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করেছেন। এই কারণে এশিয়া কাপ থেকে ওই ম্যাচ রেফারিকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়েছে পিসিবি।”
পিসিবির অভিযোগের পর ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর পক্ষ থেকে আইসিসির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, সত্যিই দুই অধিনায়ককে হাত মেলাতে মানা করেছিলেন কিনা ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট।
ম্যাচে ৭ উইকেটের সহজ জয়ে সুপার ফোরের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে ভারত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জিতলে পাকিস্তানও পেয়ে যাবে সুপার ফোরের টিকেট। সেক্ষেত্রে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর আবার মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।
এনসিএল টি-টোয়েন্টির শুরুটা একদমই প্রত্যাশামাফিক হলো না। বৃষ্টির বাগড়ায় পরিত্যক্ত হয়ে গেল আসরের প্রথম দুই দিনের তিন ম্যাচ। যে একটি খেলা হয়েছে, সেটিও ছিল মোটে ৫ ওভারের।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে সবশেষ পরিত্যক্ত হয়েছে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যকার সোমবার দুপুরের ম্যাচ। নির্ধারিত সময়ের পর প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে ম্যাচটি বাতিল ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।
এর আগে সোমবার সকালে টস ছাড়াই পরিত্যক্ত হয় বরিশাল ও ঢাকার ম্যাচ। রোববার দুপুরে সিলেট ও রংপুরের ম্যাচও মাঠে গড়ায়নি।
এখন পর্যন্ত চার ম্যাচের মধ্যে খেলা হয়েছে শুধু একটিতে। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে খেলা হয় মাত্র ৫ ওভার করে।
যেখানে আগে ব্যাট করে ৬০ রান করে রাজশাহী বিভাগ। পরে ৪.৩ ওভারে সেটি তাড়া করে ফেলে টুর্নামেন্টের বর্তমান রানার্স-আপ ঢাকা মেট্রো। বাকি তিন ম্যাচে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি।
সংখ্যার বিচারে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি বা সব ধরনের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই বিশ্বের সেরা বোলার রশিদ খান। তার সঙ্গে আফগানিস্তান দলে আছেন নুর আহমেদ, মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবী, আল্লাহ্ মোহাম্মদ গাজানফারের মতো বৈচিত্রময় সব স্পিনাররা।
সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সমীহ করার মতোই বটে আফগানদের স্পিন বিভাগ। তবে তাদের বড় মাথাব্যথার কারণও এই স্পিন। কারণ নিজেদের দলে একঝাঁক স্পিনার থাকলেও, তাদের ব্যাটারদের বড় শত্রু স্পিন বোলিং।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নামার আগে বাংলাদেশের পরিকল্পনার বড় অংশজুড়ে তাই থাকতে পারে স্পিন আক্রমণ। প্রথম দুই ম্যাচে দুজন স্পিনার নিয়ে খেললেও, আফগান ম্যাচে স্পিনারের সংখ্যা বাড়ানোর পথে হাঁটাই হয়তো শ্রেয় লিটন কুমার দাসের দলের জন্য।
আরও পড়ুন
ওমানকে উড়িয়ে শুরু পাকিস্তানের |
![]() |
পেসারদের বিপক্ষে যেমন-তেমন, স্পিনে সম্প্রতি তেমন ভালো করতে পারেনি আফগানিস্তানের ব্যাটিং। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত স্পিনের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, আজমতউল্লাহ ওমরজাইরা।
পরিসংখ্যান বলছে, দল হিসেবে ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে স্পিনারদের ২ হাজার ৮৩৯টি বল খেলেছে আফগানিস্তান। যেখানে মাত্র ১০.৭.৮৯ স্ট্রাইক রেটে তারা করতে পেরেছে ৩ হাজার ৬৩ রান।
এই সময়ে স্পিন বোলিংয়ে আফগানিস্তান হারিয়েছে ১৩৪ উইকেট। যেখানে তাদের ব্যাটিং গড় মাত্র ২২.৮৫ আর স্পিনারদের ৩৮.৮ শতাংশ বল থেকে কোনো রানই করতে পারেনি তারা। অর্থাৎ প্রায় ৪০ শতাংশ বল ডট খেলেছে আফগানরা।
স্পিনের বিপক্ষে ২০২২ সাল থেকে আইসিসির পূর্ণ সদস্য ১২টি দেশের মধ্যে আফগানিস্তানের স্ট্রাইক রেট ও ডট বল খেলার হারই সবচেয়ে বাজে।
গত তিন বছরে স্পিনের বিপক্ষে অন্তত ৭৫ বল খেলা আফগানিস্তানের ১১ জন ব্যাটারের মধ্যে শুধুমাত্র সেদিকউল্লাহ অতলের স্ট্রাইক রেট ১২৫-র বেশি। তিনি ১২৭.২৭ স্ট্রাইক রেটে ১২১ বলে করেছেন ১৫৪ রান। বাকি কেউই ১২৫ স্ট্রাইক রেট ছুঁতে পারেননি।
আফগানিস্তানের স্পিন দুর্বলতা প্রকটভাবে ফুটে ওঠে এশিয়া কাপে তাদের প্রথম ম্যাচেও। তুলনামূলক দুর্বল হংকংয়ের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৮৮ রানের পুঁজি পায় রশিদ খানের দল। তবে এর বেশিরভাগই ছিল পেসারদের বিপক্ষে।
ওই ম্যাচে হংকংয়ের তিন স্পিনার এহসান খান, ইয়াসিম মুর্তজা ও কিঞ্চিত শাহ মিলে ১১ ওভার বোলিং করে মাত্র ৭৫ রান খরচ করে নেন ৩ উইকেট। বিপরীতে পেসারদের করা ৯ ওভারে ১২.৪৪ ইকোনমি রেটে ১১২ রান নিয়েছে তারা।
গত তিন বছরে বাংলাদেশের বিপক্ষেও স্পিনে তুলনামূলক বেশি ভুগতে দেখা গেছে আফগানদের। এই সময়ে মুখোমুখি ৬ ম্যাচে আফগানদের ৩৪ উইকেটের মধ্যে ১৯টি নিয়েছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। ওভারপ্রতি খরচ করেছেন মাত্র ৫.৪৭ রান। গড় (১৬.৪৭), স্ট্রাইক রেটও (১৮.০০) বেশ ভালো।
সব মিলিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ৭১ উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৩৮টিই গেছে স্পিনারদের ঝুলিতে। যেখানে ওভারপ্রতি খরচ মাত্র ৫.৫৭ রান। বিপরীতে পেসারদের বলে ওভারপ্রতি ৭.৮৪ করে রান নিয়েছে তারা। গড় আর স্ট্রাইক রেটও স্পিনারদেরই বেশি ভালো।
আবু ধাবির জায়েদ স্টেডিয়ামে তাই মঙ্গলবারের ম্যাচে হয়তো স্পিনের অপশন বাড়ানোর কথা ভাবতে পারে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে ছিলেন শুধু শেখ মেহেদি হাসান ও রিশাদ হোসেন। এছাড়া খণ্ডকালীন অফ স্পিনার শামীম হোসেন পাটোয়ারীও ছিলেন দলে।
আরও পড়ুন
বিসিবির লেভেল থ্রি কোচিং কোর্সে হান্নান-রাজ্জাক-নাফীসরা |
![]() |
এর বাইরে বেঞ্চে বসে আছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও খণ্ডকালীন অফ স্পিনার সাইফ হাসান। আবু ধাবির ঘাসের উইকেটের কথা মাথায় রেখে তিন পেসার নিয়ে নামলেও, সাইফকে একাদশে নিয়ে স্পিনে শক্তি বাড়ানোর পথে হাঁটতে পারে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ভাগ্যও নির্ধারণ করছে আফগানিস্তান ম্যাচের ওপর। ম্যাচটি হেরে গেলে সুপার ফোরে খেলার আশা শেষ হয়ে যাবে অনেকটাই। এমনকি জিতলেও অপেক্ষায় থাকতে হবে গ্রুপের সব ম্যাচ শেষ হওয়ার। কেবল বড় ব্যবধানে জিতলেই কিছুটা নির্ভার থাকতে পারবেন লিটনরা।