
রোমারিও শেফার্ডের শর্ট বলে দারুণ পুল শটে ছক্কা মারলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু রান পেলেন না, উল্টো আউট হয়ে গেলেন। কারণ শট খেলাই আগেই অফ স্টাম্পে পা দিয়ে ফেলেন তিনি। পড়ে যায় বেলস। তাই হিট উইকেট হন তাসকিন আর ১৬ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হিট উইকেট হওয়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার তাসকিন। আর তিন সংস্করণ মিলিয়ে দেশের ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে হিট উইকেট হলেন তিনি।
ব্যাটারদের ব্যর্থতায় পরাজয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজটি শুরু করল বাংলাদেশ। ১৬৬ রানের লক্ষ্যে পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি। ২ বল বাকি থাকতে ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায় লিটন কুমার দাসের দল।
সপ্তম উইকেটে ২৩ বলে ৪০ রানের জুটি গড়ে আশা জাগিয়েছিলেন নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টেনে নিতে পারেননি তারা।
দলের সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন নাসুম। আর কেউ বলার মতো কিছু করতে পারেননি। দশম উইকেটে ২০ রানের জুটিতে পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন জেসন হোল্ডার ও জেডেন সিলস। আকিল হোসেন মাত্র ২২ রানে নেন ২ উইকেট।
একই মাঠে বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৬৫/৩ (আথানেজ ৩৪, কিং ৩৩, হোপ ৪৬, রাদারফোর্ড ০, পাওয়েল ৪৪; নাসুম ৪-০-১৫-০, তাসকিন ৪-০-৩৬-২, সাকিব ৪-০-৪৭-০, মোস্তাফিজ ৪-০-২৪-০, রিশাদ ৪-০-৪০-১)
বাংলাদেশ: ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ (সাইফ ৮, তামিম ১৫, লিটন ৫, হৃদয় ২৮, শামীম ১, সোহান ৫, সাকিব ৩৩, নাসুম ২০, রিশাদ ৬, তাসকিন ১০, মোস্তাফিজ ১১*; আকিল ৪-০-২২-২, সিলস ৪-০-৩২-৩, পিয়েরে ৪-০-৩৩-১, হোল্ডার ৪-০-৩১-৩, শেফার্ড ৩.৪-০-২৯-১)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬ রানে জয়ী
No posts available.
২৯ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৫৪ পিএম
২৯ অক্টোবর ২০২৫, ৫:০৩ পিএম

টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে কামব্যাকের দুর্দান্ত গল্প লিখল বাংলাদেশ দল। এক পর্যায়ে উড়তে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে বেশি দূর যেতে দিল না লিটন কুমার দাসের দল। মাঝে মাত্র ১২ রানের মধ্যে ৫ উইকেট নিয়েছিল বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। ম্যাচ জিতে সমতা ফেরাতে বাংলাদেশের সামনে তাই লক্ষ্য খুব একটা বড় নয়।
অথচ আলিক আথানেজ ও শাই হোপের শতরানের জুটিতে এক পর্যায়ে ১১ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ১০৫। সেখান থেকে পরের ৯ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৪ রান করতে পারে সফরকারীরা।
১২ থেকে ১৫ ওভার পর্যন্ত মাত্র ১৪ রান খরচ করে ৫ উইকেট নেয় বাংলাদেশ। যেখানে ১ উইকেটে ১০৬ থেকে ৬ উইকেটে ১১৮ রানে পরিণত হয় ক্যারিবিয়ানরা। অর্থাৎ মাত্র ১২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।
সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই দুইশ রানের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত দেড়শও হয়নি তাদের।
ম্যাচের প্রথম বলে তানজিম হাসান সাকিবের বলে ব্র্যান্ডন কিংয়ের ক্যাচ ছেড়ে দিয়েছিলেন লিটন। তবে কিংকে টিকতে দেননি তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় ওভারেই ক্যাচ আউট হয়ে যান ৪ বলে ১ রান করা ক্যারিবিয়ান ওপেনার।
এরপর শুরু হয় হোপ ও আথানেজের তাণ্ডব। দুজন মিলে ১১তম ওভারে উইন্ডিজের একশ পূর্ণ করে দেন। মাত্র ৩০ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি করেন আথানেজ। হোপের অষ্টম ফিফটিও আসে ঠিক ৩০ বলেই।
১২তম ওভারে আথানেজকে ফিরিয়ে ১০৫ রানের জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। পরের বলে শেরফান রাদারফোর্ডকেও বোল্ড করেন বাঁহাতি স্পিনার। তবে হ্যাটট্রিক তিনি করতে পারেননি। পরের ওভারে আরেক সেট ব্যাটার শাই হোপকে ফিরিয়ে ক্যারিবিয়ানদের চাপে ফেলে দেন মোস্তাফিজ।
এরপর যোগ দেন রিশাদ। ১৫তম ওভারে চার বলের মধ্যে ফিরে যান ভম্যান পাওয়েল ও জেসন হোল্ডার।
সপ্তম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন রোমারিও শেফার্ড ও রস্টোন চেজ। তবে রানের গতি তারা বাড়াতে ব্যর্থ হন। ২৬ রানের জুটি গড়তে তারা দুজন খেলেন ২৭ বল।
ইনিংসের শেষ ওভারে পরপর দুই বলে শেফার্ড ও খ্যারি পিয়েরেকে আউট করেন মোস্তাফিজ। তিনিও হ্যাটট্রিক করতে পারেননি। সব মিলিয়ে শেষ ৬ ওভারে মাত্র দুইটি বাউন্ডারি মারতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজ। নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেনের শিকার ২টি করে উইকেট। সাফল্য না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দেন সাকিব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৪৯/৯ (কিং ১, আথানেজ ৫২, হোপ ৫৫, রাদারফোর্ড ০, পাওয়েল ৩, হোল্ডার ৪, চেজ ১৭*, শেফার্ড ১৩, পিয়েরে ০, আকিল ১; সাকিব ৪-০-২৩-০, তাসকিন ৩-০-২৮-১, মোস্তাফিজ ৪-০-২১-৩, নাসুম ৪-০-৩৫-২, সাইফ ১-০-৯-০, রিশাদ ৩-০-২০-২, শামীম ১-০-১১-০)

বৃষ্টি বাঁধায় পরিত্যক্ত হলো অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। ক্যানবেরার মাউন্ট মঙ্গুনাইয়ে আজ টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯.৪ ওভারে ১ উইকেটে ৯৭ রান তোলে ভারত। কয়েক দফা চেষ্টার পরেও বৃষ্টি বাগড়ায় আর মাঠে গড়ায়নি ম্যাচ।
ব্যাটিংয়ে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করেন ভারতীয় ওপেনাররা। চতুর্থ ওভারে দলীয় ৩৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় ভারত। নাথান এলিসের বলে টিম ডেভিডের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৪ বলে ১৯ রান করেন অভিষেক শর্মা। পঞ্চম ওভার শেষে বৃষ্টি নামলে প্রায় চল্লিশ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে।
বৃষ্টি থামার পর নির্ধারিত ২০ ওভারের বদলে কমে দাঁড়ায় ১৮ ওভার। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ভারতের রানের চাকা সচল রাখেন গিল ও সূর্যকুমার। দশম ওভারে আবারও বৃষ্টি নামে। খেলা বন্ধ হওয়ার সময় স্বাগতিকদের রান ছিল ৯.৪ ওভারে ৯৭/১। সূর্যকুমার ২৪ বলে ৩৯ ও গিল ২০ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। এরপর ফের বৃষ্টি নামায় আর মাঠে নামা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় ম্যাচটি।
মেলবোর্নে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শুক্রবার মাঠে নামবে দুই দল। বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর সোয়া দুইটায়।

ক্যানবেরায় আজ থেকে শুরু হয়েছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিরিজের শুরুতেই ধাক্কা খেল সফরকারীরা। প্রথম তিন ম্যাচের জন্য ছিটকে গেছেন অলরাউন্ডার নীতীশ কুমার রেড্ডি। তার জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন শিবম দুবে।
অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কোয়াড্রিসেপস মাসলে চোট পান রেড্ডি। সেই চোটের কারণে শেষ ওয়ানডেতে খেলতে পারেননি ২২ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) জানিয়েছে, বর্তমানে তিনি ঘাড়ের মাংসপেশির টানেও (নেক স্প্যাজম) ভুগছেন। সহসা দলে ফেরার সম্ভাবনা নেই তাঁর। বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন রেড্ডি।
এর আগে চলতি বছর জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির চতুর্থ ও পঞ্চম টেস্টে হাঁটুর চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন রেড্ডি। গত নভেম্বরে পার্থ টেস্টে ভারতের জার্সিতে অভিষেক হয় এই অলরাউন্ডারের। এখন পর্যন্ত ভারতের জার্সিতে ১৫ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন রেড্ডি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে পেলেন নাসুম আহমেদ ও সৌম্য সরকার। বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে ২৪ ধাপ এগোলেন নাসুম, ব্যাটারদের তালিকায় সৌম্যও লাফ দিলেন ২৪ ধাপ।
যথারীতি ছেলেদের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ বুধবার প্রকাশ করেছে আইসিসি। নাসুম-সৌম্য ছাড়াও বড় লাফ দিয়েছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৯১ রানের ইনিংস খেলেন সৌম্য। এর আগে দ্বিতীয় ম্যাচেও তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। যার সৌজন্যে ২৪ ধাপ এগিয়ে এখন ৬২ নম্বরে উঠেছেন বাঁহাতি ওপেনার।
এছাড়া ১ ধাপ এগিয়ে ৪২ নম্বরে উঠেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আগের মতোই ৩৫তম স্থান ধরে রেখেছেন তাওহিদ হৃদয়।
ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষে ভারতের রোহিত শার্মা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ৫ উইকেট নেন নাসুম। বোলারদের মধ্যে ২৪ ধাপ এগিয়ে ৪৭ নম্বরে উঠেছেন বাঁহাতি স্পিনার। এছাড়া ১ ধাপ এগিয়ে এখন ১৭ নম্বরে মেহেদী হাসান মিরাজ। আর ২৭ ধাপ লাফ দিয়ে ৬৮ নম্বরে উঠেছেন তানভির ইসলাম।
বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে যথারীতি শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান।
ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের তালিকায় ৪ নম্বরে অনড় মিরাজ। শীর্ষে আফগানিস্তানের আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

টসের সময় লিটন কুমার দাস বলেছিলেন, ১৮০ রানের নিচে যে কোনো টার্গেট তাড়া করার মতো হবে। কিন্তু ব্যাট হাতে দেড়শ রানও তাড়া করতে পারলেন না তারা।
আরেকটি ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৫০ রানের লক্ষ্যে মাত্র ১৩৫ রান করতে পারল বাংলাদেশ। ১৪ রানের জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিজেদের করে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
শুরুর চার ব্যাটার একবার করে জীবন পাওয়ার পরও কেউ কাজে লাগাতে পারেননি। তানজিদ হাসান তামিম ৪৮ বলে করেন ৬১ রান। এছাড়া আর কেউ ২৫ রানও করতে পারেননি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন আকিল হোসেন ও রোমারিও শেফার্ড। জেসন হোল্ডারের শিকার ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৪৯/৯ (কিং ১, আথানেজ ৫২, হোপ ৫৫, রাদারফোর্ড ০, পাওয়েল ৩, হোল্ডার ৪, চেজ ১৭*, শেফার্ড ১৩, পিয়েরে ০, আকিল ১; সাকিব ৪-০-২৩-০, তাসকিন ৩-০-২৮-১, মোস্তাফিজ ৪-০-২১-৩, নাসুম ৪-০-৩৫-২, সাইফ ১-০-৯-০, রিশাদ ৩-০-২০-২, শামীম ১-০-১১-০)
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৫/৮ (সাইফ ৫, তামিম ৬১, লিটন ২৩, হৃদয় ১২, জাকের ১৭, শামীম ১, রিশাদ ০, সাকিব ৮*, নাসুম ২; সিলস ৪-০-৩০-০, হোল্ডার ৪-০-২০-২, শেফার্ড ৪-০-২৯-৩, চেজ ৩-০-২১-০, আকিল ৪-০-২২-৩, পিয়েরে ১-০-১৩-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪ রানে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-০তে এগিয়ে