
ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের সোনালি যুগের শেষ যে কয়েকজন প্রতিনিধি নিজের সময়ে দেখিয়েছেন দাপট, তিনি তাদের মধ্যে সেরাদের কাতারেই থাকবেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ গ্রেট কার্টলি অ্যামব্রোসকে আধুনিক যুগের অনেক পেসাররাই তাদের আইডলও মানেন। ইতিহাদের স্মরণীয় কিছু স্পেল উপহার দেওয়া সাবেক এই পেসার নিজের দিনে ব্যাটারদের জন্য ছিলেন এক বিভীষিকার নাম। কোর্টনি ওয়ালসের সাথে নব্বইয়ে গড়েছিলেন ভয়ংকর এক পেস জুটি, যা আজও হয়ে আছে রুপকথার গল্প।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬৪০ উইকেট নেওয়া সেই অ্যামব্রোস এবারের বিপিএলেও এসেছিলেন ধারাভাষ্য দিতে। দেশে ফেরার আগে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের এই কিংবদন্তি টি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন নিজের খেলোয়াড়ি জীবন থেকে শুরু করে পেস বোলিংয়ের খুটিনাটি সহ নানা বিষয়ে।
পাঠকদের জন্য অ্যামব্রোসের সেই সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল :
প্রশ্ন : শুরুতেই জানতে চাই, বাংলাদেশে আবার আসা এবং বিপিএলে ধারাভাষ্য দেওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অ্যামব্রোস : অসাধারণ অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশে যতবারই আসি, যেখানেই যাই, মানুষের যে ভালোবাসা পাই, সেটা দুর্দান্ত। দুই যুগ আগে অবসরে যাওয়া সাবেক এক পেসারকে এই দেশের মানুষ যে সম্মান দেয়, আমার কাছে সেটা অবিশ্বাস্যই লাগে। আর ধারাভাষ্য দিতে তো ভালোই লাগে। এখানে আমার পুরনো বন্ধু আতাহারের সাথে দেখা হয়, আবার অন্যদের সাথেও বোঝাপড়াটা বেশ ভালো আমার আগে কাজ করার সুবাদে। সব মিলিয়ে উপভোগ করছি।
প্রশ্ন : এই প্রশ্নটা এল আপনার কথা থেকেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইতিহাসের অন্যতম গ্রেট পেসার আপনি। আরও যদি বলি, ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা কয়েকজন পেসারদের একজন হিসেবে ধরা হয় আপনাকে। সেই আপনি নিজেকে যেভাবে স্রেফ সাবেক একজন পেসার হিসেবে উল্লেখ করলেন, এটা আপনার বোলিংয়ের একজন ভক্তের জন্য মেনে নেওয়া কঠিন নয় কি?
অ্যামব্রোস : দেখুন, কার কী মনে হবে সেটা ভেবে তো আপনি জীবন চালাতে পারবেন না। নাকি? আমি নিজেকে যেভাবে দেখি, সেটাই বলি। আমরা যখন খেলেছি, সেই সময়ের দর্শকদের কাছে হয়ত আমার পরিচিত ছিল, হয়ত খেলাও দেখেছে। কিন্তু নতুন প্রজন্মের কাছে আমার পরিচয় স্রেফ একটা নাম দিয়ে, পরিসংখ্যান আর ইউটিউব ভিডিও দেখেই। আমি ধারাভাষ্যকার হিসেবে যখন থেকে কাজ করছি, তখন থেকে আমি নিজের খেলোয়াড় জীবনকে একপাশে সরিয়ে রাখি। দুটি জিনিস একসাথে মিলিয়ে ফেললে সেটা খুব ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
প্রশ্ন : জীবনকে এত সরলভাবে দেখার শিক্ষাটা কি পরিবার দেখেই পাওয়া?
অ্যামব্রোস : হয়ত। আমার পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা স্বচ্ছল ছিল না। বাবা ছিলেন কারপেন্টার। ক্রিকেটের সাথে তিনি বা তার আগের প্রজন্মের কারও সেভাবে আগ্রহ হয়নি খেলোয়াড় হওয়ার। মায়ের উৎসাহে তাই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখা যখন শুরু করলাম, তখন থেকেই বুঝতে পারছিলাম যে পথটা খুব মসৃণ হবে না। আমাদের পরিবারের ক্রিকেটে কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল না। বাবা আমার ক্রিকেটার হওয়ার পক্ষে না থাকলেও বাধাও দেননি। তার বলা একটা কথাই মাথায় গেঁথে গিয়েছিল, ‘জীবনে যত বড় যাই কিছু হওনা কেন, কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়।’ তাই পেশাদার জীবনের অর্জন আর ব্যক্তিগত জীবনকে আমি আলাদা রাখতে পারি।
প্রশ্ন : এই যার জীবনবোধ, তার সাথে ১৯৯৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিখ্যাত সেই টেস্টের ঘটনার মিল পাওয়া বেশ কঠিন। ওই ম্যাচে তো আপনার সাথে রীতিমত লেগে গিয়েছিল স্টিভ ওয়াহের। একবার শুনেছিলাম, আপনি নাকি সরাসরি তাকে হুমকিও দিয়েছিলেন মাঠে। হিট অব দ্য মোমেন্ট?
অ্যামব্রোস : বলতে পারেন। এই ব্যাপারে আগেও অনেক কথা বলেছি। তবুও জানতেই যখন চাইলেন, তাই বলি। দেখুন, অজিরা অনেক কঠিন মানসিকতার। মাঠে জেতার জন্য প্রতিপক্ষকে সম্ভাব্য সব উপায়ে গুঁড়িয়ে দিতে চায় ওরা। সেখানে আমি একজন মানুষ, যে আগ্রাসনকে কখনই ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে না। কিন্তু স্টিভ আমাকে উদ্দেশ্য করে এমন কিছু বলেছিল, যা আমাকে সাথে সাথেই তাতিয়ে দেয়। হুমকি কিনা জানিনা, তবে আমি তাকে সরাসরি বলে দিয়েছিলাম, ‘এই ম্যাচের পর হয়ত আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে, তবে আমি এটাও নিশ্চিত করে দেব যাতে তোমারটাও শেষ হয়।’
প্রশ্ন : আমি স্টিভ ওয়াহকে যা বলেছেন, সেই ঘটনার সাথে কি আমরা ২০০৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে জিনেদিন জিদানের সেই ঘটনার মিল ছিল?
অ্যামব্রোস : আমি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাচ্ছি না আসলে। তবে খেলোয়াড় হিসেবে স্টিভকে আমি আগেও সম্মান করটাম, এখনও করি। সেদিন সেই ম্যাচে আমি যা বলেছিলাম, তা নিয়ে আমার আক্ষেপ নেই কোনো। তবে অতীত নিয়ে পড়ে থাকার লোকও না আমি।
প্রশ্ন : নব্বইয়ের দশকে যে ম্যাচকে ঘিরে আপনাদের এই ঘটনাটি হল, ঠিক ওই সময়টাকে বলা হয় ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের সূর্যাস্তের সময় আর অস্ট্রেলিয়ার সূর্যোদয়ের। এই হাতবদলটা খুব কাছ থেকে দেখেছেন আপনি। মূল কারণ কি ছিল?
অ্যামব্রোস : এটা বলা আসলে কঠিন। কারণ, এখানে অনেকগুলো বিষয় জড়িত। বোর্ড, সরকার, ক্রিকেট কাঠামো, তারকা খেলোয়াড়ের ইগো সহ আরও অনেক কিছুই। তবে যত্ন না নিলে হীরাও তো কয়লা হয়ে যায়, তাই না? সত্তর দশক থেকে নব্বই পর্যন্ত যে দলটা এত এত গ্রেট ক্রিকেটার উপহার দিল, আধিপত্য বিস্তার করল - এরপর হঠাৎ করে তারা শুধু পতনের দিকেই গেল। এটা তো হতে পারে না। এখন না হয় তরুণরা টি-টোয়েন্টির দিকে ঝুঁকেছে, কিন্তু নব্বই দশক থেকেই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট পথ হারাল, সেটার পেছনে ক্রিকেটীয় ছাড়াও আছে অনেক বিষয়। আমি সেসব নিয়ে কথা বলতে চাই না।
প্রশ্ন : টি-টোয়েন্টির কথা বললেন, গত এক যুগে এই ফরম্যাটে যে কয়েকজন নিজেদের কিংবদন্তির কাতারে নিয়ে গেছেন, তাদের মধ্যে দুজন ডোয়াইন ব্রাভো ও কিয়েরন পোলার্ড। তবে দুজনের কেউই জাতীয় দলের হয়ে একটা সময়ের পর সেভাবে সার্ভিস দেননি, বা দিতে চাননি বা পারেননি। এই তালিকায় আরও আসতে পারেন সুনিল নারাইন, আন্দ্রে রাসেলরা। হতাশাজনক?
অ্যামব্রোস : একদমই না। যে খেলতে চায় না, আপনি তো তাকে জোর করে খেলাতে পারবেন না। হ্যাঁ, চাইলেই তারা জাতীয় দলের হয়ে লম্বা ক্যারিয়ার গড়তে পারত। কিন্তু তারা সেটা চায়নি। এখানে তো আমি দোষের কিছু দেখি না। আপনি তাদের ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের প্রতি নিবেদনের কমতি নিয়ে কথা বলতে পারেন। তবে কে জাতীয় দলে খেলবে আর কে খেলবে না, এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তার কাছে।
প্রশ্ন : এটা কি ভালো উদাহারণ? বিশেষ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য?
অ্যামব্রোস : দেখুন, ভালো উদাহারণ বলতে আপনি কি বোঝেন তা আমার জানা নেই। কিন্তু আমি মনে করি যদি উদাহারণ তৈরি করাই যেত, তাহলে সত্তর থেকে নব্বই দশকের ওই সোনালি সময়ের পর কেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল হিসেবে শুধু পিছিয়েই যাচ্ছে? আগের প্রজন্মের খেলা দেখেই তো ব্রাভো-পোলার্ডরা বড় হয়েছে। তারা সেটাই করেছে, যেটা তাদের কাছে ঠিক লেগেছে। এখানে কে ভুল আর কে ঠিক, সেই বিচার করাটা কঠিন কাজ।
প্রশ্ন : এবার একটু বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কথা বলি। সাকিব, তামিম, মাশরাফিরা যখন খেলা শুরু করেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট তখনও ছিল পেছনের বেঞ্চের ছাত্র। খুব বড় উন্নতি হয়ত হয়নি, তবে তারা সহ একটা ব্যাচের হাত ধরে বাংলাদেশ দল বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছেন। লিগ্যাসির কথা যে বলা হয়, তাদের প্রভাবটা কি বাংলাদেশের ক্রিকেটে সামনে দেখা যেতে পারে?
অ্যামব্রোস : আপনি ভুল মানুষকে প্রশ্নটা করেছেন। আমি এখানে আসি স্রেফ ধারাভাষ্য দিতে। আর দূর থেকে খেলা দেখি মাঝেমধ্যে। এর বাইরে আমি সেভাবে জানি না এখানে ক্রিকেটের উন্নতি নিয়ে কেমন কাজ হচ্ছে বা তরুণরা সাকিব-তামিমের মানে যাওয়ার মত কিনা। তবে এটা তো বলাই যায়, যাদের নাম বললেন, তারা তো বাংলাদেশের কিংবদন্তি। আমি নিশ্চিত তাদের দেখে অনেকেই সাকিব, তামিম হতে চাইবে। সেই অনুপ্রেরণার জায়গাটা অবশ্যই এগিয়ে নেবে বাংলাদেশকে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশ আইসিসির পূর্ণ সদস্য হয়েছে ২০০০ সালে। ওয়ানডেতে কিছু বিচ্ছিন্ন সাফল্য থাকলেও এখনও সাদা বলের ক্রিকেটে নেই আইসিসি ইভেন্টে কোনো শিরোপা। টেস্ট ক্রিকেটের চিত্রটা এত বছর পরও আশানরুপ নয়। একজন সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশের উন্নতির এই ধারা আপনি কীভাবে দেখেন?
অ্যামব্রোস : দেখুন, উন্নতি কে কতটুক করল, সেটা বোঝার আগে তার কাছে উন্নতির সংজ্ঞাটা কেমন। কেউ ক্লাসের ফার্স্ট বয় হতে চাইবে, আবার কেউ পাস করতে পারলেই খুশি। অন্য দেশগুলোকে সরিয়ে রেখে যদি শ্রীলঙ্কার দিকেও তাকান, তারা ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জিতেছিল সীমিত সামর্থ্য নিয়েই। অথবা বলা যায় ১৯৯২ বিশ্বকাপের ইমরানের খানের সেই পাকিস্তান দলের কথাও। নিজেদের ওপর বিশ্বাসটাই ওদের সবার চেয়ে এগিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশ যদি এমন উচ্চতায় যেতে চায়, তাদের সবার আগে নিজেদের সামর্থ্যের ওপর অমন বিশ্বাস আনতে হবে। সাকিব, তামিম, মাশরাফি বা আশরাফুলের মত অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার প্রায় একই সময়ে এই দলে খেলেছে। সেই অনুযায়ী সাফল্য যে আসেনি, সেটা দৃশ্যমান। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে তারা অন্তত সেই বিশ্বাসটা দিতে পেরেছে যে, তারা বড় দলগুলোর সাথে চোখে চোখ রেখে লড়তে পারে। তরুণ ক্রিকেটারদের দায়িত্ব এখন পরের ধাপে যাওয়ার।
প্রশ্ন : সেই তরুণদের একজন নাহিদ রানার ব্যাপারে আপনার কাছে একটু জানতে চাই। বাংলাদেশ তো বটেই, তরুণ এই গতিময় পেসার এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটেও অন্যতম আলোচিত এক নাম। বিপিএলে খুব কাছ দেখলেন তাকে। তাকে কি বেছে বেছে খেলানো উচিত বাংলাদেশের?
অ্যামব্রোস : সেই সিদ্ধান্ত বিসিবিকেই নিতে হবে। একজন তরুণ পেসার এত জোরে বল করছে - আপনি চাইবেন যত সম্ভব তাকে খেলাতে। কারণ, এই ধরণের পেসাররা প্রতিপক্ষকে বাড়তি দুর্ভাবনায় ফেলে দেয়। উইকেট যদি নাও পায়, এক-দুইটা স্পেলে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার সক্ষমতা থাকে নাহিদের মত বোলারদের। এখন আপনি কীভাবে সেই ভারসাম্যটা রাখবেন, সেটার ওপর নির্ভর করবে সে কততুকু এগিয়ে যেতে পারবে। তার নিজেরও সচেতন হতে হবে। একজন পেসারের জীবন মোটেও সহজ নয়। খাওয়া থেকে শুরু করে ঘুম, সব ব্যাপারেই আপনাকে নিজের যত্ন নিতে হবে। আর এই যুগে এসে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের কাড়াকাড়ি তো আছেই। সেখানেও আপনাকে সচেতন হবে। এবার আসি তার বোলিংয়ের দিকে। নাহিদের বোলিং অ্যাকশন খুব স্মুথ। আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি তার অনুশীলনও। তার রানিং থেকে শুরু করে বোলিং অ্যাকশন সবই একজন ফাস্ট বোলারের জন্য আদর্শ। অনভিজ্ঞতার কারণে প্রায়ই সে খরুচে হবে, তবে তাতে প্রভাবিত হওয়া চলবে না। এই ধরণের বোলাররা যত বেশি খেলবে, তত বেশি নিজেকে গড়বে আর নতুন নতুন স্কিল রপ্ত করবে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশ দলের অন্য দুই পেসার হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদদের কেমন দেখলেন?
অ্যামব্রোস : হাসান সত্যি বলতে আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি শুনে অবাক হয়েছি যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে তার জায়গা হয়নি। ডেথ ওভারে টানা ইয়র্কার করে যাওয়া এই যুগে খুব কঠিন। কারণ, ব্যাটাররা এখন অনেক স্কিলড। ইয়র্কারকেও তারা বাজে বল বানিয়ে চার-ছয় মেরে দেয়। আর তাই আপনাকে খুব নিখুঁত হতেই হবে। তাসকিনের ব্যাপারেও একই কথাই বলব। আমি ইম্প্রেসড তার বোলিংয়ে। গত দুই-তিন বছর ধরে তাসকিন খুব ভালো করছে। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। যার নামটা বলেননি, সেই খালেদও (আহমেদ) দারুণ বোলার। পেস বোলিংয়ে বাংলাদেশ উজ্জ্বল একটা ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।
প্রশ্ন : ২০১০ থেকে ২০২০, এই সময়ে ব্যাটারা সব ফরম্যাটেই করেছেন রাজত্ব। বিশেষ করে টেস্টে ফ্যাভ ফোর খ্যাত কোহলি, রুট, উইলিয়ামসন, স্টিভ স্মিথের পাশাপাশি বাবর আজমরাও রান করেছেন অনেক, ছিলেন ভীষণ ধারাবাহিকও। তবে কয়েক বছর ধরেই তাদের বেশ সংগ্রাম করতে হচ্ছে। অন্যদিকে একই সময়ে ক্রমেই আধিপত্য দেখা যাচ্ছে বোলারদের, বিশেষ করে পেস বোলিংয়ে। বাংলাদেশের মত একসময়ের স্পিন নির্ভর দলে পেসারদের একটা বিপ্লব হয়ে গেছে। ব্যাপারটা কীভাবে দেখেন?
অ্যামব্রোস : আসলে যুগে যুগে এভাবেই তো চলে আসছে, তাই না? তবে এটা তো মেনে নিতেই হবে যে মাঝে খেলাটা অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যাটারদের জন্য উপযোগী হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে চিন্তা করলে এখন অনেক বদল এসেছে। অস্ট্রেলিয়া বলুন আর বাংলাদেশ, টেস্ট ম্যাচে সবাই এখন নামে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়ার মত বোলার নিয়েই। কারণ, সবাই ফলাফল বের করতে চায়। সব দলেই কমবেশি প্রতিভাবান বোলার থাকায় ব্যাটারদের তাই কাজটা একটু কঠিন হয়ে গেছে। বোলারার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি আগ্রাসী, ফলে ব্যাটারদের তারা বাড়তি চ্যালেঞ্জ ফেস করতে হচ্ছে। কিন্তু আপনার যদি স্কিল থাকে, আপনি ঠিকই উপায় একটা বের করেই ফেলবেন। যেমনটা আমরা দেখলাম (স্টিভ) স্মিথের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে। খেলাটির জন্য এই ভারসাম্য খুব জরুরি।
প্রশ্ন : টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাহলে চিন্তার খুব বেশি কিছু নেই?
অ্যামব্রোস : আমি তো এমন কোনো সম্ভাবনাই দেখি না। টেস্ট ক্রিকেট তো এখন ইতিহাসের অন্যতম সেরা সময় পার করছে। কেউই আর ড্রয়ের জন্য খেলতে নামে না। এরচেয়ে ভালো বিজ্ঞাপন আর কী হতে পারে! নেটফ্লিক্স যখন আসল, কিছু লোক বলা শুরু করল যে সিনেমা নাকি আর চলবে না। মানে সিনেমা হলে গিয়ে আর কেউ সিনেমা দেখবে না। কিন্তু আমরা তো দেখছি দুটোই চলছে একসাথে। টেস্ট আর টি-টোয়েন্টির ব্যাপারটা একই। তবে ওয়ানডের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি শতভাগ নিশ্চিত নই।
No posts available.
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৬ পিএম
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮:১৪ পিএম
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৫০ পিএম

সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র, দ্বিতীয়টিতে নিরঙ্কুশ জয় নিউ জিল্যান্ডের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ২-০ ব্যবধান করার লক্ষ্য কিউইদের।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর অতিথি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাউন্ট মাউঙ্গানুইয়ে ম্যাচের স্কোয়াডে পরিবর্তন এনেছে নিউ জিল্যান্ড। এজাজ প্যাটেল ও টম ব্লান্ডেল দলে ফিরেছেন। চোটের কারণে বাদ পড়েছেন ব্লেয়ার টিকনার। ফেরা হয়নি মিচেল স্যান্টনার ও ম্যাট হেনরির।
এক বছরেরও বেশি সময় পর টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন এজাজ। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে মুম্বাই টেস্টে ভারতের বিপক্ষে তিনি শেষ খেলেছিলেন। সেই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার খেতাবও জিতেছিলেন এজাজ।
ক্রাইস্টচার্চে প্রথম টেস্টে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া উইকেটকিপার-ব্যাটার টম ব্লান্ডেল এক ম্যাচ বিরতিতে ফিরেছেন। কাঁধের চোটের কারণে ফার্স্ট বোলার ব্লেয়ার টিকনার দল থেকে ছিটকে গেছেন।
তৃতীয় টেস্টে নিউজিল্যান্ড স্কোয়াড: টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), টম ব্লান্ডেল (উইকেটকিপার), মাইকেল ব্রেসওয়েল, ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক, ডেভন কনওয়ে, জ্যাকব ডাফি, জ্যাক ফাউলকস, ড্যারিল মিচেল, এজাজ প্যাটেল, গ্লেন ফিলিপস, মাইকেল রে, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসন ও উইল ইয়ং।

সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে রান-পাহাড়ে চড়েছিল দু’দল। প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা ভারত তুলেছিল ১৭৫ রান, পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছেছিল রেকর্ডের খুব কাছাকাছি— তুলেছিল ২১৩ রান। তবে ধর্মশালায় ফিরতেই ফ্যাকাশে ম্যাচের রঙ।
রবিবার এগিয়ে যাওয়ার ম্যাচে প্রোটিয়াদের ১১৭ রান তাড়া করতে নেমে ২৫ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় ভারত। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ১১৭ রান, যা ম্যান ইন ব্লুদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে একমাত্র এইডেন মার্করামের ব্যাটেই সুর ওঠে। একাই দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৩তম ওভারে ড্রেসিংরুমে ফেরেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে দলের সর্বোচ্চ ৬১ রান। ৪৬ বল মোকাবিলায় ২টি ছক্কা ও ৬টি চারে এই ইনিংস খেলেন মার্করাম।
লক্ষণীয় বিষয় হলো, এদিন প্রোটিয়াদের মাত্র তিন ব্যাটার—মার্করাম, দোনোভান ফেরেইরা ও হেনরিখ নরকিয়া—দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেন। ফেরেইরা ১৫ বলে করেন ২০ রান এবং পেসার নরকিয়ার ব্যাট থেকে আসে ১২ রান।
অতিথিদের সর্বোচ্চ জুটি ছিল মার্কো জেনসন ও মার্করামের। এই জুটি থেকে আসে ৩৬ রান। এ ছাড়া দলীয় ১১৩ রানে ফেরার আগ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ছোট ছোট জুটি গড়ার চেষ্টা দেখা যায়। তবে বেশিরভাগই থিতু হওয়ার আগেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ১১৭ রানেই থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
এদিন বল হাতে দারুণ এক কীর্তি গড়েন হার্দিক পাণ্ডিয়া। দুটি উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নিজের শততম উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। এর আগে এই অলরাউন্ডার টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন।
পাণ্ডিয়ার পাশাপাশি দুটি করে উইকেট নেন হার্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব।
১১৭ রান তাড়া করতে নেমে ধীরস্থির কৌশলেই এগোয় ভারত। মূলত সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য এবং ধর্মশালার কন্ডিশন মাথায় রেখে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের বদলে স্বাভাবিক খেলাতেই মনোযোগ দেয় তারা। তার ফলও আসে মধুর।
সিরিজে দ্বিতীয় জয়ের দিনে অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের জুটি ভাঙে দলীয় ৬০ রানে, অভিষেক ৩৫ রানে আউট হলে। কটক ও নিউ চণ্ডীগড়ে ১৭ রান করে আউট হওয়া অভিষেক আজ নিজের সংগ্রহ বাড়াতে সক্ষম হন।
মার্কো জেনসনের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন শুভমান গিলও। গত দুই ম্যাচে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে না পারা এই ওপেনার আজ করেন ২৮ রান। তবে সূর্যকুমার যাদব ব্যর্থতার বৃত্তেই বন্দি থাকেন। স্বাগতিক অধিনায়ক কটকের মতো আজও ১২ রান করেন। তাকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে শীর্ষ উইকেটশিকারির দৌড়ে আরও এগিয়ে যান লুঙ্গি এনগিদি। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৭৭টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
ভারতের ইনিংস শেষের পথে এগিয়ে নেন তিলক ভার্মা ও শিভাম দুবে। দুবের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ২৬ রান। এর মধ্য দিয়েই স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। দু’জনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতেই জয় বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

বছরের শেষটা ভারত সফর দিয়ে করার কথা ছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। তবে সেটি স্থগিত হয়ে গেছে। এই ফাঁকা সময়টা কাজে লাগাতে তাই দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে উইমেন'স ক্রিকেট লিগ (ডব্লিউসিএল) আয়োজন করছে বিসিবি।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে সোমবার শুরু হবে ডব্লিউসিএলের খেলা। সেন্ট্রাল জোন, ইস্ট জোন, সাউথ জোন ও নর্থ জোনে ভাগ হয়ে খেলবেন নিগার সুলতানা জ্যোতি, ফাহিমা খাতুন, সোবহানা মোস্তারি, রাবেয়া খানরা।
উদ্বোধনী ম্যাচে সকাল ৯টায় মুখোমুখি হবে সেন্ট্রাল জোন-নর্থ জোন। একই দিন দুপুর দেড়টায় লড়বে ইস্ট জোন ও সাউথ জোন।
ডাবল লেগ পদ্ধতির এই টুর্নামেন্ট শেষ হবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের শেষ দিন দুপুর দেড়টায় ফিরতি ম্যাচে লড়বে সেন্ট্রাল জোন ও নর্থ জোন। অর্থাৎ মৌসুমের শুরু ও শেষের ম্যাচ দুইটি খেলবে তারা দুই দল।
একনজরে চার দলের স্কোয়াড
সেন্ট্রাল জোন
নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), ইশমা তানজিম, দিলারা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা, রিতু মণি, সাবিকুন নাহার জেসমিন, সুমাইয়া আক্তার, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, জান্নাতুল মাওয়া, আনিসা আক্তার সোবা, মোসাম্মত ইভা, সুবর্ণা কর্মকার, লেকি চাকমা ও তমালিকা সুমনা।
ইস্ট জোন
ফাহিমা খাতুন (অধিনায়ক), স্বর্ণা আক্তার, রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক, হাবিবা ইসলাম পিংকি, সাথী রানী, ফাতেমা জাহান সোনিয়া, তাজ নেহার, ফুয়ারা বেগম, উন্নতি আক্তার, মুর্শিদা খাতুন, হালিমাতুল সাদিয়া, আশরাফি ইয়াসমিন আরথি, মুমতাহেনা হাসনাত সিনথিয়া, সুমি আক্তার।
নর্থ জোন
সোবহানা মোস্তারি (অধিনায়ক), শামীমা সুলতানা, সানজিদা আক্তার মেঘলা, শারমিন আক্তার সুপ্তা, ফারজানা ইয়াসমিন, শরিফা খাতুন, শারমিন সুলতানা, আফিয়া আসিমা ইরা, দিশা বিশ্বাস, মেহেরুন নেসা জয়া, লাকি খাতুন, ফারজানা আক্তার লিসা, পূজা চক্রবর্তী, নুসরাত জাহান।
সাউথ জোন
রাবেয়া খান (অধিনায়ক), মারুফা আক্তার, জুয়াইরিয়া ফেরদৌস, সুলতানা খাতুন, লতা মন্ডল, ফারজানা হক, মিষ্টি রানী সাহা, ফাতেমা আক্তার ইতি, ফাহমিদা ছোঁয়া, দীপা খাতুন, হ্যাপি আলম, আয়েশা আক্তার (জুনিয়র), লিমা খাতুন শিবানী রানী।

দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতকে বেশি দূর যেতে দিলেন না পাকিস্তানের বোলাররা। মোটামুটি সহজ লক্ষ্য পেয়ে তাই জয়ের স্বপ্ন হয়তো দেখছিল তারা। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেই স্বপ্নভঙ্গ! ভারতের কাছে হেরে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ শুরু করেছে পাকিস্তান।
দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে রোববার পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৯০ রানে হারায় ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আগে ব্যাট করে মাত্র ২৪০ রানের পুঁজি নিয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের ১৫০ রানেই অল আউট করে দেয় ভারত।
পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে ভারতের যুবারা। এই ম্যাচের শুরুতেও ছিল দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের ছাপ। টসের সময় হাত মেলাননি দুই দলের অধিনায়ক।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেন কনিষ্ক চৌহান। সাত নম্বরে নেমে ৪৬ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। পরে বল হাতে মাত্র ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তরুণ অফ স্পিনারই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তেমন সুবিধা করতে পারেনি ভারত। আলোচিত মারকুটে ওপেনার বৈভব সুরিয়াবংশী মাত্র ৫ রান করে ফিরে যান। আরেক ওপেনার আয়ুশ মাত্র ঝড় তুলে মাত্র ২৫ বলে ৩৮ রান করে ফিরে যান।
তিন নম্বরে নেমে দুই দল মিলিয়েই ম্যাচের সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলেন অ্যারন জর্জ। এরপর কনিষ্কের চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসের সৌজন্যে আড়াইশর কাছে যায় ভারত।
পাকিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সায়াম ও আব্দুল সুবহান।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারায় পাকিস্তান। তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেন শুধু তিন ব্যাটার- উসমান খান (৪২ বলে ১৬), ফারহান ইউসুফ (৩৪ বলে ২৩) ও হুজাইফ আহসান (৮৩ বলে ৭০)।
কনিষ্ক ৩৩ রানে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া মাত্র ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন দিপেশ দেবেন্দ্র।

দেশের প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য ৩২টি সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে বরাবরের ন্যায় আবারও আয়োজিত হতে চলেছে রংপুর রাইডার্স বিএসজেএ মিডিয়া কাপ-২০২৫। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামবে দেশের খেলাধুলার একমাত্র চ্যানেল টি স্পোর্টস। তাদের প্রতিপক্ষ জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ।
মাওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে বেলা ১১টায় শুরু হবে টি স্পোর্টস ও কালের কণ্ঠের ম্যাচ। ৩২ দলের টুর্নামেন্টে ‘এফ’ গ্রুপে টি স্পোর্টস ও কালের কণ্ঠের পাশাপাশি রয়েছে এটিএন নিউজ ও বাংলা নিউজ।
টুর্নামেন্টের সব খেলাই হবে হকি স্টেডিয়ামের নীল টার্ফে। সোমবার সকাল ৯টা থেকেই অবশ্য শুরু হয়ে যাবে ব্যাট-বলের লড়াই। তবে টি স্পোর্টসের ম্যাচ দিয়েই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে রংপুর রাইডার্স বিএসজেএ মিডিয়া কাপ-২০২৫ পাওয়ার্ড বাই এইস ডেভেলপার্স।
উদ্বোধনী দিনে সকাল ৯টায় খেলবে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও দৈনিক মানবজমিন এবং সময় টিভি ও দৈনিক নয়া দিগন্ত। এরপর সকাল ১০টায় লড়বে এটিএন বাংলা ও ক্রিকফ্রেঞ্জি এবং জাগো নিউজ ও ডিবিসি।
পরে বেলা ১১টায় টি স্পোর্টস ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সঙ্গে পাশাপাশি মাঠে খেলবে চ্যানেল আই ও দৈনিক কালবেলা। আর দুপুর ১২টায় দিনের শেষ দুই ম্যাচে খেলবে ডেইলি সান ও দৈনিক দেশ রুপান্তর এবং ডেইলি স্টার ও দৈনিক কালবেলা।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক টুর্নামেন্টের গ্রুপিং
গ্রুপ এ: যুগান্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, সমকাল, ঢাকা পোস্ট
গ্রুপ বি: ডেইলি সান, ডিবিসি, দেশ রুপান্তর, জাগো নিউজ
গ্রুপ সি: ডেইলি স্টার, চ্যানেল ২৪, ইনকিলাব, দেশ টিভি
গ্রুপ ডি: চ্যানেল আই, বৈশাখি টিভি, কালবেলা, জি টিভি
গ্রুপ ই: সময় টিভি, এন টিভি, নয়া দিগন্ত, এখন টিভি
গ্রুপ এফ: টি স্পোর্টস, এটিএন নিউজ, কালের কণ্ঠ, বাংলা নিউজ
গ্রুপ জি: বাংলাদেশ প্রতিদিন, মাছরাঙা, মানবজমিন, আর টিভি
গ্রুপ এইচ: এটিএন বাংলা, বাংলা ভিশন, ক্রিকফ্রেঞ্জি, দীপ্ত টিভি