হারারেতে রোমাঞ্চকর প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৭ রানের হারায় শ্রীলঙ্কা। তবে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নামার আগে দুঃসংবাদ পায় লঙ্কানরা। প্রথম ম্যাচে মন্থর ওভার রেটের কারণে পুরো দলকে জরিমানা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
আইসিসি জানিয়েছে, প্রথম ওয়ানডেতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এক ওভার কম করেছিল শ্রীলঙ্কা। এ জন্য পুরো দলকে ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।
খেলা শেষে আইসিসির এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো শ্রীলঙ্কাকে জরিমানা করেন। আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের খেলোয়াড় এবং খেলোয়াড় সংশ্লিষ্টদের ২.২২ অনুচ্ছেদ অনুসারে সর্বনিম্ন ওভার রেটের শাস্তি হিসেবে ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চরিত আসালাঙ্কা নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে লঙ্কানরা। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে সিরিজ জয়ের সুযোগ তাদের।
No posts available.
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৪৩ পিএম
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:১৫ পিএম
হারারেতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেসেখেলে জয় পাওয়া শ্রীলঙ্কা পরের ম্যাচেই দেখল বড় হার। ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজের দ্বিতীয় টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছে লঙ্কানরা। সফরকারীদের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের সংস্করণে জিম্বাবুয়ের এটি দ্বিতীয় জয়।
নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৮০ রানে অলআউট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কার জয়ের আশা করা কঠিনই। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খেলেও ৩৪ বল ও পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। শেষ ম্যাচ এখন অলিখিত ফাইনাল। এই বছর আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদও পেল জিম্বাবুয়ে।
আরও পড়ুন
নেপালের সঙ্গে ড্র করল বাংলাদেশ |
![]() |
৮০ রানের ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। ২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ছোট লক্ষ্যকে কঠিন বানিয়ে ফেলে স্বাগতিকেরা। তারপর ব্রায়ান বেনেট-রায়ান বার্লের ২৬ রানের জুটি ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে বাঁচিয়ে দেয়। ১৯ রান করে বেনেট ফিরলেও ২২ বলে ২০ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন বার্ল। ছয়ে তাসিঙ্গা মুসেকিউয়া খেলেন ১৪ বলে ২১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন লঙ্কান পেসার দুশমান্ত চামিরা।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং ধসে ১৭.৪ ওভারে ৮০ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৭ রানের পর এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বোনিম্ন স্কোর। বল হাতে ছড়ি ঘুরান সিকান্দার রাজা ও ব্র্যাড ইভান্স। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন রাজা। আর ২.৪ ওভারে ইভান্স নিয়েছেন ১৫ রানে ৩ উইকেট।
আরও পড়ুন
রাজার ঘূর্ণির কবলে সর্বনিম্ন রানের নতুন রেকর্ড শ্রীলঙ্কার |
![]() |
ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। মুজাবারানির বলে ১ রান করে ফিরেন কুসাল মেন্ডিস। দলীয় ১৭ রানে ইভান্সের শিকার হয়ে ফিরেন পাতুম নিসাঙ্কা। এরপর ৩৮ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা।
ষষ্ঠ উইকেট দাসুন শানাকা-চরিত আসালাঙ্কার ২৬ রানের জুটিই ছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সর্বোচ্চ। দলীয় ৬৪ রানে এই জুটি ভাঙার পরই বাকি ব্যাটাররাও দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফেরেন। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে কামিল মিশারার (২০ বলে ২০) ব্যাট থেকে।
শুরুটা করেন ব্লেসিং মুজাবারানি। তারপর আক্রমণে যোগ দেন সিকান্দার রাজা ও ব্র্যাড ইভানস। জিম্বাবুয়ের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি শ্রীলঙ্কা। বিশেষ করে ওয়ানডে ক্রিকেটের বর্তমান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার রাজার স্পিন বিষে নীল হতে হলো সফরকারী ব্যাটারদের।
হারারাতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং ধসে ৮০ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এই সংস্করণে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়ল লঙ্কারা। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৭ রান তাদের সর্বোনিম্ন স্কোর। এবার অবশ্য ৩ রান বেশি করে নিজেদের সর্বনিম্ন রেকর্ড অক্ষত রাখলো চরিত আসালাঙ্কার দল। মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন রাজা। ইভান্স নিয়েছেন ১৫ রানে ৩ উইকট।
আরও পড়ুন
আরেকটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের জন্য লড়ে যাবেন জোকোভিচ |
![]() |
৮০ রানের ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বত্বিতে নেই জিম্বাবুয়েও। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৪ রান তুলতে ২ উইকেট খুইয়েছে তারা।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। মুজাবারানির বলে ১ রান করে ফিরেন কুসাল মেন্ডিস। দলীয় ১৭ রানে ইভান্সের শিকার হয়ে ফিরেন পাতুম নিসাঙ্কা। এরপর ৩৮ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা।
ষষ্ঠ উইকেট দাসুন শানাকা-চরিত আসালাঙ্কার ২৬ রানের জুটিই ছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সর্বোচ্চ। দলীয় ৬৪ রানে এই জুটি ভাঙার পরই বাকি ব্যাটাররাও দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফেরেন। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে কামিল মিশারার (২০ বলে ২০) ব্যাট থেকে।
সময়টা ভালো যাচ্ছে না শ্রেয়াস আইয়ারের। ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আইপিএলে ভালো পারফর্ম করেও এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পাননি। এবার তাঁর জায়গা হলো ভারতের 'এ' দলে। আইয়ারকে অধিনায়ক করে অষ্ট্রেলিয়ার 'এ' দলের বিপক্ষে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। লখনৌতে দুই দল খেলবে চার দিনের দুটি ম্যাচ।
৩০ বছর বয়সী আইয়ার জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ১৪ টেস্ট খেলে করেছেন ৮১১ রান। আইয়ারের জন্য টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে আসার এই সিরিজ একটি সুযোগও বলা যায়। ২০২৪-২০২৫ রঞ্জি ট্রফিতে ৫ ম্যাচে ৪৮০ রান করেন আইয়ার। তাঁর নেতৃত্বে ২০২৫ আইপিএলে রানার্সআপ হয়েছিল পাঞ্জাব কিংস। ব্যাট হাতে করেছিলেন ৬০৩ রান।
আরও পড়ুন
এশিয়ান কাপে খেলার আশা শেষ বাংলাদেশের |
![]() |
এদিকে প্রসিধ কৃষ্ণা, সাই সুদর্শন ও অভিমন্যু ইশ্বরন খেলেছিলেন অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে। তাঁদেরকেও 'এ' দলে রাখা হয়েছে। এন জগদীশানকে শেষ টেস্টের জন্য ইংল্যান্ডে ডাকা হয়েছিল, তিনিও রয়েছেন এই স্কোয়াডে। নীতিশ কুমার রেড্ডি ইংল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট খেলেছিলেন। তারপর চোটের কারণে তিনি মাঠের বাইরে চলে যান, তিনিও ফিরছেন চোট কাটিয়ে।
প্রথম ম্যাচ শুরু হবে ১৬ সেপ্টেম্বর। অষ্ট্রেলিয়া 'এ' দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ২৩ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় ম্যাচের দলে যোগ দেবেন কেএল রাহুল ও মোহাম্মদ সিরাজ। যদিও বিসিসিআই উল্লেখ করেনি তাঁরা কোন দুই খেলোয়াড়ের পরিবর্তে খেলবেন।
ভারত ‘এ’ দল: শ্রেয়াস আইয়ার (অধিনায়ক), অভিমন্যু ইশ্বরন, এন জগদীশান (উইকেটকিপার), সাই সুদর্শন, ধ্রুব জুরেল (সহ-অধিনায়ক), দেবদূত পাডিকাল, হর্ষ দুবে, আয়ুশ বাদোনি, নীতিশ কুমার রেড্ডি, তানুশ কোটিয়ান, প্রসিধ কৃষ্ণা, গুরনূর ব্রার, খলিল আহমেদ, ইয়াশ ঠাকুর, মানব সুথার।
দ্বিতীয় ম্যাচে যুক্ত হবেন: কেএল রাহুল ও মোহাম্মদ সিরাজ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করা হয়েছে। বোর্ডের সংবিধান ও নিয়মাবলীর অধীনে নির্বাচনের প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের কমিশন।
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেনকে করা হয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার। বাকি দুই নির্বাচন কমিশনের সদস্য হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মো. সিবগাত উল্লাহ। নাম ঘোষণা না হলেও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব) কমিশনের তৃতীয় সদস্য।
আরও পড়ুন
মেসির বিদায়ের পর আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হবেন কে |
![]() |
পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন হবে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। তারিখ অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সংবিধানের ১৯ নম্বর ধারা ও ৫ম অধ্যায় অনুযায়ী, কার্যনির্বাহী কমিটির মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের নিয়মাবলি প্রণয়ন, তফসিল ঘোষণা, ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ এবং সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে।
বিসিবির সংবিধান অনুযায়ী, ঢাকা ভিত্তিক ক্লাবগুলো (ক্যাটাগরি-১) থেকে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হন ৭৬ জন ক্লাব কাউন্সিলরের মাধ্যমে।
ক্যাটাগরি-২, যেখানে আঞ্চলিক ও জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি থাকে, সেখান থেকে আট বিভাগ ও ৬৪ জেলার কাউন্সিলরের ভোটে ১০টি পদ পূরণ হয়।
ক্যাটাগরি-৩ এ ‘অন্যান্য প্রতিনিধি’ কোটায় একজন পরিচালক নির্বাচিত হন। এ ছাড়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে মনোনীত হন দুই পরিচালক। এভাবে ২৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হয়। তারপর বোর্ড পরিচালকেরা মিলেই সভাপতি নির্বাচন করেন।
চলতি মাসে শুরু হচ্ছে মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। এবার যৌথভাবে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ভারত ও শ্রীলংকা।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভারতের গোয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের। তবে এই আয়োজনে থাকছে না পাকিস্তান। তাদের না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও সুপার।
গুয়াহাটির ডক্টর ভূপেন হাজারিকা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা। যেখানে টুর্নামেন্টের অফিসিয়াল থিম সংসহ পারফর্ম করবেন ভারতের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী শ্রেয়া ঘোশাল।
আরও পড়ুন
ফিক্সিং করতে ১ কোটি টাকার প্রস্তাব |
![]() |
অংশগ্রহণকারী সকল দলের অধিনায়করা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন। বিশ্বকাপের ট্রফির সঙ্গে অফিসিয়াল ফটোসেশনও হবে তাদের। তবে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ফাতিমা সানা বা তাদের অন্য কোন প্রতিনিধি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে যাবে না।
কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক আরও অবনতি হয়েছে। সম্প্রতি ক্রিকেটে ‘ফিউশন’ ফর্মুলায় সম্মত হয়েছে দুই দেশ। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে শুরু করে আগামী তিন বছর ভারত ও পাকিস্তান কেউই একে অপরের দেশে কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টে খেলতে যাবে না।
সবগুলো ম্যাচ আয়োজিত হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। যে কারণে সামনের বিশ্বকাপে নিজেদের সব ম্যাচ কলম্বোতে খেলবে পাকিস্তান। এমনকি সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে উঠলেও তাদের দুটি ম্যাচই কলম্বোতে হবে।
আগামী ২ অক্টোবর বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে পাকিস্তান।