৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫:১০ পিএম

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে যারা সমানতালে খেলেন, তাদের জন্য সারা বছরের বিশ্রামের ফুরসত কমই মেলে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়রাও তার ব্যতিক্রম নন। দেড় মাস ব্যাপী চলা বিপিএল ২০২৫ শেষ হওয়ার ঠিক পরদিনই যে শুরু হয়ে গেল জাতীয় দলের ক্যাম্প।
চলতি মাসেই পাকিস্তান ও দুবাইয়ে বসবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বিপিএল চলমান থাকায় এতদিন দলীয় অনুশীলন শুরু করাটা সম্ভব হয়নি। তবে এর মাঝেও কয়েকজন খেলোয়াড় ব্যক্তিগতভাবে কাজ করেছেন সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সাথে। তাদের মধ্যে রয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, তানজিদ হাসান তামিম ও তানজিম হাসান সাকিবরা।
শুক্রবার রাতে ফরচুন বরিশালের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এবারের বিপিএল। সেই আমেজ না কাটতেই শনিবার মিরপুরে শুরু হয়েছে জাতীয় দলের অনুশীলন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সৌম্য সরকার, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিদ, তানজিম সহ অনেকেই।
তবে স্বাভাবিকভাবেই শনিবার দেখা যায়নি বিপিএলের ফাইনালে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দের। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফরচুন বরিশালের মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, রিশাদ হোসেনরা।
কোচদের মধ্যে অবশ্য প্রথম দিনেই হাজির হয়েছেন সবাই। প্রধান কোচ ফিল সিমন্স, পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস, সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ছাড়াও ছিলেন স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদও, যার দলের সাথে যোগ দেওয়ার কথা ছিল দুবাইয়ে।
সব ঠিক থাকলে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ দলের দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে। তার আগে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মিরপুরে চলবে টানা অনুশীলন। দুই দিন রাখা হয়েছে ফ্ল্যাডলাইটের আলোয় অনুশীলন।
No posts available.
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২১ এম
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১২ পিএম
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৩৬ পিএম

অফসাইডে ফুলার লেন্থের স্লো ডেলিভারি। এতশত না ভেবে ব্যাট চালিয়ে দেন জনসন চার্লস। উড়তে থাকা বলটি ধরা পড়ে শর্ট থার্ডে থাকা ওয়াকার সালমানখিলের হাতে। যদিও একটু দৌড়েছিলেন আফগান স্পিনার, তবে লুফে নিতে আদতে কোনো সমস্যা হয়নি।
সালমানখিলের হাত ধরেই আজ আইএল টি-টোয়েন্টিতে শারজাহ ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে প্রথম উইকেটটি নেন মোস্তাফিজুর রহমান।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৬৩ রানে জয়ের ম্যাচে আরও একটি উইকেট নেন মোস্তাফিজ। এতে টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচে বাংলাদেশের পেসারের উইকেটসংখ্যা দাঁড়াল ১১।
টুর্নামেন্টে মোস্তাফিজের সমান উইকেট খুজাইমা তানভিরের। শীর্ষে আছেন সতীর্থ ওয়াকার সালমানখিল। আফগান স্পিনারের উইকেট সংখ্যা ১৫। যদিও মোস্তাফিজের চেয়ে দুজনই একটি করে ম্যাচ বেশি খেলেছেন।
৬ ডিসেম্বর গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে আইএল টি-টোয়েন্টিতে যাত্রা শুরু হয় মোস্তাফিজের। সেই ম্যাচে ২৬ রান খরচায় ২ উইকেট নেন তিনি।
দ্বিতীয় ম্যাচে ২২ রান খরচায় নেন আরও ২টি উইকেট। তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে পান একটি করে। পঞ্চম ম্যাচে নিজেকে ছাড়িয়ে যান। এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে নেন ৩টি উইকেট। আজ আবারও প্রথম দুই ম্যাচের স্মৃতি ফিরিয়েছেন।
আজ মোস্তাফিজের প্রতিপক্ষ ছিলেন জাতীয় দলের সতীর্থ তাসকিন আহমেদ। তিনিও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। মোট ৩.৩ ওভারে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। রান খরচ করেছেন ৪০। দলের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাদা পোশাকের ফরম্যাটে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখলেও ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিল ভারত। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে সফরকারীদের ৩০ রানে হারিয়েছে সূর্যকুমার যাদবরা। ফলে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা। কুয়াশার কারণে চতুর্থ ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছিল।
আহমেদাবাদে শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রানের বড় সংগ্রহ পায় ভারত। টি টোয়েন্টির ইতিহাসে ভারত প্রথম ইনিংসে দুশো উর্ধ্ব রান নিল ৩৪তম বার। যা ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০১ রান নিতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩০ রানের জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করে ভারত।
কুড়ি কুড়ির ফরম্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকাকর বিপক্ষে এ নিয়ে ৩৫ বার মুখোমুখি হয়ে ২১ বার জিতেছে ভারত। ম্যান ইন ব্লুরা সর্বোচ্চ সংখ্যকবার জিতেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। তবে অসিদের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ বেশি খেলেছে ভারত।
ম্যাচটিতে একাধিক কীর্তি গড়েন ভারতের প্লেয়াররা। বরুণ চক্রবর্তী সর্বোচ্চ চার উইকেট তোলেন। তাতেই ২০২৫ ক্রিকেটীয় ক্যালেন্ডারে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বনে যান তিনি। টি টোয়েন্টিতে একই সংখ্যক উইকেট পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজের।
২০২৫ সালের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি আরও একটি কীর্তির কাছাকাছি। ভারতের হয়ে টি টোয়েন্টিতে এক ক্যালেন্ডারে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ভুবনেশ্বর কুমারের রেকর্ড (৩৭) ভাঙার প্রায় কাছাকাছি চলে গেছেন বরুণ। তার প্রয়োজন আর মাত্র দুটি উইকেট।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায় ভারত। প্রথম উইকেট জুটিতে আসে ৬৩ রান। অভিষেক শর্মা আউট হওয়ার দ্বিতীয় জুটি ভাঙে দলীয় ৯৭ রানে। তার কিছুক্ষণ পর ৫ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
এরপরই তান্ডব শুরু করেন তিলাক ভার্মা ও হার্দিক পান্ডিয়া। দুজনে মিলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে তোলেন ১০৫ রান। তিলক ৩০ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। বাহাতি এই ব্যাটারের এটি ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি।
হার্দিক তুলে নেন ১৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি। যুবরাজ সিংয়ের পর ভারতের হয়ে দ্বিতীয় দ্রততম ফিফটি এটি। তাঁর ২৫ বলে ৬৩ রানের ইনিংসে ছিল সমান পাঁচটি করে চার ও ছক্কা। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন তিলক। দশটি চার ও এক ছয়ে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে ৭৩ রান। শেষ পর্যন্ত ২৩১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ভারত।
রোহিত শর্মাকে (১৭ ইনিংসে ৪২৯ রান) হটিয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এখন সর্বোচ্চ রান তিলকের ( ১০ ইনিংসে ৪৯৬)। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম ইনিংসে সর্বাধিক ২০০ রানের রেকর্ডও ভারতের (৩৪ বার), দ্বিতীয় স্থানে সমারসেট (৩২ বার)।
২৩২ রানের জবাবে উড়ন্ত শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩.৩ ওভারে দলীয় অর্ধশতক আসে প্রোটিয়াদের। দলটির এটি যৌথভাবে তৃতীয় দ্রততম দলীয় অর্ধশতক।
ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসেই উইকেট নেন টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের সেরা বোলার বরুণ চক্রবর্তী। ১২ বলে ১৩ রান করে ফিরে যান রেজা হেনড্রিকস। এই ব্যাটারকে সবমিলিয়ে ৪ ইনিংসে ৯ বলে চারবার ফেরালেন বরুণ।
৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কুইন্টন ডি কক। এটি তাঁর ব্যাক্তিগত ১৮ তম আর ভারতের বিপক্ষে ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি। ডি কক ও ডেওয়াল্ড ব্রেভিস যখন ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন তখনই ম্যাচে ফেরে ভারত। টানা তিন ওভারে চার উইকেট তুলে প্রোটিয়াদের চাপে ফেলে স্বাগতিকরা।
৩৫ বলে ৬৫ রান করা ডি কক কে কট অ্যান্ড বোল্ড আউট করে শুরুটা করেন জাসপ্রিত বুমরাহ। পরের ওভারে ১৭ বলে ৩১ রান করা ব্রেভিসকে ক্যাচে আউট করেন হার্দিক। এর পরের ওভারে টানা দুই বলে দুই উইকেট নেন বরুণ। এইডেন মার্করামকে (৪ বলে ৬ রা) এলবিডব্লিউয়ের ফাদে পড়েন এইডেন মার্করাম। ডোনেভান ফেরেইরাকে করেন বোল্ড।
এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা শুধুই কমিয়েছে ব্যবধান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০১ তোলে প্রোটিয়ারা।
ভারতের হয়ে বরুণ ৪ টি , বুমরাহ নেন দুটি, হার্দিক ও আদর্শ দীপ সিং নেন একটি করে উইকেট।

আইএল টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঝুলিতে পুরেছিলেন এক উইকেট। এবার নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আজ দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে লড়ছে শারজাহ ওয়ারির্য়স। দুদলে রয়েছেন বাংলাদেশ পেস সেনশনের অভিজ্ঞ দুইজন—মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।
রেসে টিকে থাকার গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬৮ রান করে দুবাই ক্যাপিটালস। দাসুন শানাকা নেতৃত্বাধীন দলটির স্কোর আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে তাসকিন আহমেদ ও সিকান্দার রাজার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি।
আজ মোট ৩.৩ ওভার ৩ উইকেট নেন তাসকিন। রান খরচ করেছেন ৪০। দলের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তিনি। রাজা-আদিল রশিদ ও পাথিরানা একটি করে উইকেট নেন।
এদিন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তাসকিনের হাতে বল তুলে দেন শানাকা। আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি বাংলাদেশি পেসার। খরচ করেন ১২ রান এবং হজম করেন দুটি বাউন্ডারি।
দলের ষষ্ঠ ওভারে তাসকিন ফের বোলিংয়ে আসেন। এ ওভারে ৯ রান খরচ করেন এবং একটি উইকেট তুলে নেন।
এরপর ১৮ ও ২০তম ওভারে বোলিংয়ের সুযোগ পান তাসকিন। ১৮তম ওভারে একটি এবং ২০তম ওভারে আরও একটি উইকেট নেন লাল-সবুজ দলের ডানহাতি পেসার। ১৮তম ওভারে খরচ করেন ৭ রান, আর ইনিংসের শেষ ওভারে ১২ রান।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এখনও মাস দুয়েক বাকি। তার আগেই হটকারি এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)।
আজ এসএলসি জানিয়েছে, চারিত আসালাঙ্কার পরিবর্তে ২০২৬ বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালন করবেন দাসুন শানাকা। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার এ ঘোষণা দেন প্রামোদা বিক্রমাসিঙ্গে।
শানাকাকে অধিনায়ক করে বিশ্বকাপের জন্য ২৫ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াডও ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা।
প্রধান নির্বাচক বিক্রমাসিঙ্গে সাংবাদিকদের বলেছেন,
“আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিশ্বকাপ পর্যন্ত শানাকাই অধিনায়কত্ব করবে। এ ব্যাপারে প্রধান কোচ সনাৎ জয়াসুরিয়ার সঙ্গেও কথা হয়েছে আমাদের।”
শ্রীলঙ্কার প্রাথমিক বিশ্বকাপ দল:
দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কামিল মিশারা, কুশল পেরেরা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, নিরোশান ডিকওয়েলা, জনিথ লিয়ানাগে, চারিত আসালাঙ্কা, কামিন্দু মেন্ডিস, পাভান রত্নায়েকে, সাহান আরাচ্চিগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুনিথ ওয়েল্লালাগে, মিলান রত্নায়েকে, নুয়ান থুশারা, ইশান মালিঙ্গা, দুশমন্ত চামিরা, প্রমোদ মাদুশান, মাথিশা পাথিরানা, দিলশান মাদুশাঙ্কা, মহেশ থিকসানা, দুশান হেমান্থা, বিজয়কান্ত ভিয়াসকান্ত ও ত্রাভিন ম্যাথিউ।

২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাস দুয়েক বাকি। আগামীকাল বৈশ্বিক আসরের প্রাথমিক দল ঘোষণা করবে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবর—ভারতের বিশ্বকাপ দলে জায়গা হচ্ছে না ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের চার সদস্যের।
গত বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত। সে দলের সদস্য ঋষভ পান্ত, যশস্বী জয়সওয়াল, মোহাম্মদ সিরাজ ও যুজবেন্দ্র চাহালকে রাখা হচ্ছে না ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে।
বাদ পড়াদের মধ্যে নিশ্চিত নাম ঋষভ পন্ত। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় দল মূল উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসেবে জিতেশ শর্মার ওপর আস্থা রাখছে। ব্যাকআপ হিসেবে থাকতে পারেন সঞ্জু স্যামসন।
যশস্বী জয়সওয়ালের বাদ পড়ার বিষয়টি আলোচনা জন্ম দিয়েছে। বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মা গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওপেনিংয়ে ছিলেন। এজন্য নামার সুযোগ হয়নি জয়সওয়ালের। কোহলি-রোহিতের অবসরের পরও দলে জায়গা পাচ্ছেন না এই মারকুটে ব্যাটার।
ভারতের জার্সিতে ২৩ ম্যাচে ৩৬.১৫ গড়ে ৭২৩ রান করেছেন জয়সওয়াল। তাঁর পরিসংখ্যান শুবমান গিলের চেয়ে ভালো হলেও, নির্বাচকরা গিলের ওপরই আস্থা রাখছেন। ৩৬ ম্যাচে ২৮.০৩ গড়ে ৮৬৯ করেছেন তিনি।
যুজবেন্দ্র চাহালের বাদ পড়া ছিল প্রায় নিশ্চিত। ২০২৪ বিশ্বকাপে কোন ম্যাচ সুযোগ পাননি তিনি। কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তী জুটি বর্তমানে দুর্দান্ত ফর্মে। তাদের থাকাটা নিশ্চিত।
মোহাম্মদ সিরাজের বাদ পড়াও অবশ্য চমক নয়। সবশেষ ভারতের হয়ে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে খেলেছেন টি-টোয়েন্টিতে। হর্শিত রানা সিরাজের মতোই পেস বোলার হলেও ব্যাটিংয়ে তুলনামূলক ভালো। অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকলেও, টিম ম্যানেজমেন্ট টি-টোয়েন্টিতে সিরাজ অধ্যায় প্রায় শেষ করে ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।