১ উইকেটে বোর্ডে রান ১৯৪, ক্রিজে সেঞ্চুরিয়ান সাদমান ইসলাম, উইকেটে নেই বিশেষ কিছু। প্রথম ইনিংসে রান পাহাড়ে চড়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা। তবে এমন শক্ত অবস্থান থেকে নিজেরাই পথ হারানোর মঞ্চ তৈরি করল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের ধারাবাহিকতায় নিজেরাও শেষ বিকেলে শিকার হল ব্যাটিং ধসের। তাতে দুর্দান্ত একটা পজিশন থেকে নাজমুল হোসেন শান্তর দল শেষ করল অস্বস্তিকর অবস্থায় থেকে। আর সফরকারীরা পেল ম্যাচে ফিরে আসার সঞ্জীবনী শক্তি।
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর ৭ উইকেটে ২৯১। লিড ৬৪ রানের। দিনের শুরুতে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় ২২৭ রানে।
দিনের প্রথম ডেলিভারিতেই জিম্বাবুয়ের ইনিংসের ইতি টানেন আগের দিন পাঁচ উইকেট পাওয়া তাইজুল ইসলাম। ওপেনিং নিয়ে লম্বা সময় ধরে ভুগতে থাকা বাংলাদেশ দল এই ম্যাচ খেলছে নতুন জুটি সাদমান ও ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ফর্মে থাকা এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে। প্রথম পরীক্ষাতেই উতরে যান তারা।
লাঞ্চের আগেই জিম্বাবুয়ের বোলারদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়ে দুজন মিলে করে ফেলেন দলীয় শতক। একটু রয়ে সয়ে খেলা সাদমান শটস খেলেন বেশ। অন্যপ্রান্তে তিন বছর পর টেস্ট খেলা বিজয় করেন সাবধানী ব্যাটিং। তাতেই হয়ে যায় কাজের কাজ।
বেশ দেখেশুনে খেলতে থাকা বিজয়কে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ের ফিরে আসার লড়াই শুরু করেন প্রথম টেস্টে দারুণ বোলিং করা ব্লেসিং মুজারাবানি। আম্পায়ার্স কল হওয়ায় ডিআরএস নিয়েও লেগ বিফোর হওয়া থেকে রক্ষা হয়নি বিজয়ের। তবে তার আগে উপহার দেন ৩৯ রানের ইনিংস, যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ স্কোর।
এরপর মুমিনুল হককে নিয়ে ভালোই এগিয়ে চান সাদমান। ২৮ মাস পর দেখা পান মহা আকাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরির। এর আগেরটিও ছিল একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। তবে এমনভাবে সেট হওয়ার পর তার কাছে দলের প্রত্যাশা যখন আরও বড় ইনিংসের, তখন তিনি সেটা করতে পারলেন না।
ব্রায়ান ব্যানেটের বলে ১২০ রানে তিনি আউট হওয়ার এক ওভার আগেই সাজঘরে ফেরেন মুমিনুলও। এই জোড়া ধাক্কার চাপ সামাল দেওয়াটাই কঠিন হয়ে যায় বাংলাদেশের জন্য।
মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে পাল্টা আক্রমণের একটা চেষ্টা চালান। ফিফটি পার করে ফেলা সেই জুটির দিকেই তখন তাকিয়ে ছিল দল। তবে জিম্বাবুয়ের ফাইটব্যাক অব্যাহত রেখে শান্তর (২৩) পর রানের মধ্যে থাকা জাকের আলি অনিককে (৫) আউট করে দেন ভিনসেন্ট মাসেকসা।
একপ্রান্ত আগলে নিজের সেরা সময় মনে করিয়ে দেওয়া মুশফিকুর যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তাতে ফিফটি ছিল অনিবার্য। তবে ভাগ্যের সহায়তাও পায়নি বাংলাদেশ। মাসেসকার বলে মিড-অনে ঠেলে এক রান নিতে চেয়েছিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। তবে সরাসরি থ্রয়ে ডাইভ দিয়েও শেষ রক্ষা আর হয়নি মুশফিকুরের। শেষ হয় ৫৯ বলে ৪০ রানের সম্ভাবনাময় এক ইনিংসের।
বলের পর বল ঠেকিয়ে দিন পার করে দেওয়ার চেষ্টা ছিল স্পিনার নাঈম হাসানের। তবে সেই পরিকল্পনা আর সফল হয়নি। মাসেসকার লেগ স্পিনে ক্যাচ দেন দ্বিতীয় স্লিপে। থামে তার ২৩ বলে ৩ রানের প্রতিরোধ। ২৭৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশের সামনে তখন দিনের আলো শেষের আগেই অল আউটের শঙ্কা।
তবে মেহেদি হাসান মিরাজ (১৬) ও তাইজুল (৫) মিলে বাকি সময়টা পার করেন বিপদ ছাড়াই। তৃতীয় দিনে ১০০ প্লাস লিডের জন্য তাদের ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার মাসেসকা ৩ উইকেট নিতে গুনেছেন ৪৪ রান।
No posts available.
১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:২০ পিএম
১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:০৯ পিএম

বড় জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ যাত্রা শুরু করল ভারত। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২৩৪ রানে হারিয়েছেন আয়ুষ মাত্রেরা।
দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪৩৪ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে ৭ উইকেটে ১৯৯ রানে থামে আমিরাতের ইনিংস।
এদিন দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ৪ রান করে আউট হন আয়ুষ মাত্রে। এরপরের গল্প শুধুই বৈভব সূর্যবংশী-এর। মারমুখী ভঙ্গিতে চড়াও হতে থাকেন আরব আমিরাতের বোলারদের ওপর। ৩০ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। পরের ৫০ রানের মধ্যে সেঞ্চুরি করতে ১৪ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটার খেলেন মাত্র ২৬ বল।
৫৬ বলে শতক ছুঁয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন সূর্যবংশী। ৮৪ বলে দেড়শো পেরিয়ে যান এই বাঁহাতি। ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত ৯৫ বলে ১৭১ রানে থামেন।
সূর্যবংশীর ইনিংসে ছিল ৯টি চার, ১৪টি ছয়। যুব ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে আজ সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়েন সূর্যবংশী। ২০০৮ সালে ১২ ছয় মারা নামিবিয়ার ব্যাটার মাইকেল হিল-এর রেকর্ড ভাঙেন তিনি।
অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটি। সূর্যবংশী ছাড়িয়ে গেছেন শুবমান গিল, শিখর ধাওয়ান এবং মায়াঙ্ক আগারওয়াল-এর রেকর্ড।
সূর্যবংশীর বিধ্বংসী ইনিংসের সঙ্গে আরও দুই ব্যাটারের ফিফ্টিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৩৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ভারত।
জবাবে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আমিরাত। ১৪তম ওভারে ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
ষষ্ঠ উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন পৃথ্বী মাধু ও উদিশ সুরি। মাধু ৫০ রানে ফিরলেও ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সুরি। এই দুজনের নৈপুণ্যে অলআউট হওয়া থেকে রক্ষা পায় আমিরাত।

বয়স ৪৩ পেরিয়ে ৪৪ বছরের পথে। তারপরও পেশাদার ক্রিকেট দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন জেমস অ্যান্ডারসন। আগামী মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তিনি।
শৈশবের ক্লাব ল্যাঙ্কাশায়ারে অধিনায়কত্ব করবেন অ্যান্ডারসন। গত মৌসুমে দুইবার অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। কিটন জেনিংসের পদত্যাগের পর এবার অ্যান্ডারসনকে স্থায়ীভাবে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিয়েছে ক্লাবটি।
২০২৪ সালে ৭০৪ টেস্ট উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান অ্যান্ডারসন। তবে নিজের শেকড় ল্যাঙ্কাশায়ারে খেলা থামাননি। ২০০২ সালে শুরু হওয়া তার ল্যাঙ্কাশায়ার ক্যারিয়ার এখনো চলছে। গত মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ৬ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট।
অধিনায়কত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত অ্যান্ডারসন বলেন,
‘ল্যাঙ্কাশায়ারের অধিনায়ক হওয়া বিশাল সম্মানের। আমাদের দলে অভিজ্ঞতা ও তরুণদের দুর্দান্ত মিশেল আছে। লক্ষ্য একটাই- প্রথম ডিভিশনে ফেরার লড়াইয়ে সফল হওয়া।’
২০২৬ সালের ৩ এপ্রিল ল্যাঙ্কাশায়ার তাদের চ্যাম্পিয়নশিপ অভিযান শুরু করবে।

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়াকে ২৯৭ রানের রেকর্ড রান ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। দুবাইয়ে সামির মিনহাজ ও আহমেদ হুসাইন সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৩৪৫ রান তোলে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
৩৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে আলি রাজা ও মোহাম্মদ সায়্যামের তোপ দাগানো বোলিংয়ে মাত্র ৪৮ রানে গুটিয়ে যায় মালয়েশিয়া। যুব ওয়ানডে ইতিহাসে এটি তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার। রানের দিক থেকে পাকিস্তান পেল নিজেদের সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়, সব দল মিলিয়ে যুব ওয়ানডেতে সপ্তম।
মালয়েশিয়ার ব্যাটারদের ইনিংস ছিল ১১ ডিজিটের মোবাইল নম্বর! কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। তাঁদের ইনিংসগুলো—০, ৫, ৪, ৯, ৫, ৭, ৯, ২, ০, ১ ও ০। পাকিস্তানের দুই পেসার আলি রাজা ও মিনহাজ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। ১৯.৪ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় মালয়েশিয়া।
সেভেনহি সেভেনস স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান মালয়েশিয়ার অধিনায়ক দিয়াজ পাত্র। ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল হতাশার। দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৪ রানে ফেরেন ওপেনার উসমান খান (১)।
পাকিস্তানের ওপর আধিপত্য দেখিয়ে দশম ওভারে টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার আলি হাসান বালুচকেও (১৪) ফেরান পেসার নাগিনেস্বরন সাথনাকুমারান। পাওয়ার-প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০ রান তোলে পাকিস্তান। তবে তৃতীয় উইকেটে মিনহাজ ও আহমেদের ২৩৪ বলে ২৯৩ রান জুটিতে পাকিস্তান গড়ে ৩৪৫ রানের পাহাড়সম স্কোর।
১৪৮ বলে ১৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন ওপেনার মিনহাজ। তাঁর ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ৮টি ছক্কা। ১১৪ বলে ১৩২ রান করেছেন আহমেদ। মেরেছেন ৮টি চার ও ২টি ছক্কা।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড গড়লেন বাহরাইনের পেসার আলি দাউদ। ভুটানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাঁর ৭/১৯ বোলিং ফিগার টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় সেরা।
শীর্ষে মালয়েশিয়ার সিয়াজরুল ইদ্রুস। ২০২৩ সালে চীনের বিপক্ষে ৮ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তৃতীয়তে হর্ষ ভরদ্বাজ। ২০২৪ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
নাইজেরিয়ার পিটার আহো ৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে তালিকায় চারে। ২০২১ সালে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি।
পাঁচ নম্বরে ভারতের পেসার দীপক চাহার। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
দুবাইয়ে প্রথমে ব্যাট করে ১৬১ রান তোলে বাহরাইন। লক্ষ্য তাড়ায় নামার পর তৃতীয় ওভারেই আক্রমণে এসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ৩৩ বছর বয়সী এই পেসার। নিজের প্রথম ওভারেই নেন দুই উইকেট।
মাঝে ভুটান চতুর্থ উইকেটে ৬৭ রান যোগ করে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। কিন্তু দাউদ আবারও আঘাত হানেন শেষ ভাগে। ১৬তম ওভারে নেন তিন উইকেট, পরের ওভারে নেন আরও দুই উইকেট।
দাউদের রেকর্ডে ভুটানকে ৩৫ রানে হারিয়েছে বাহরাইন।

একের পর এক রেকর্ড ভেঙে চলছেন ভারতের তরুণ সেনসেশন বৈভব সূর্যবংশী। ৫২ বলে সেঞ্চুরি করে ইতোমধ্যেই নিজের নামে লিখেছেন দ্রুততম যুব ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড। অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে এশিয়া কাপে আজ ৯৫ বলে ১৭১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন তিনি।
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটি। সূর্যবংশী ছাড়িয়ে গেছেন শুবমান গিল, শিখর ধাওয়ান এবং মায়াঙ্ক আগারওয়ালের রেকর্ড। ধাওয়ান ২০০৪ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ১৫৫ রান। গিল ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেন ১৬০ রান, আর ২০০৭ সালে অজিদের বিপক্ষে মায়াঙ্ক আগারওয়ালও করেন ১৬০ রান। তিন নম্বরে থাকা রাজ বাওয়া করেছিলেন ১৬২ রান। সবার ওপরে আম্বাতি রায়ডুর ১৭৭ রানের ইনিংস।
আরব আমিরাতের বিপক্ষে ইনিংসের শুরু থেকেই মারমুখী ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন সূর্যবংশী। ৩০ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। পরের পঞ্চাশ তুলে সেঞ্চুরি করতে ১৪ বছর বয়সী বঁহাতি ব্যাটার খেলেন ২৬ বল।
৫৬ বলে শতক ছুঁয়ে আরও আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠেন সূর্যবংশী। ৮৪ বলে দেড়শো পেরিয়ে যান এই বাঁহাতি। ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত ৯৫ বলে ১৭১ রানে আউট হন তিনি, ইনিংসে ছিল ৯ টি চার, ১৪ টি ছয়।
যুব ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়েছেন সূর্যবংশী। ২০০৮ সালে ১২ ছয় মারা নামিবিয়ার ব্যাটার মাইকেল হিলের রেকর্ড ভাঙেন তিনি।
সূর্যবংশীর বিধ্বংসী ইনিংসের সঙ্গে আরও দুই ব্যাটারের ফিফটিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৩৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ভারত।