২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭:০৬ পিএম

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সফলতম বোলার এখন তাইজুল ইসলাম। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাশে বসেছেন বাঁহাতি স্পিনার। দুজনের নামের পাশেই এখন ২৪৬টি উইকেট।
পরের ইনিংসেই হয়তো সাকিবকে টপকে এককভাবে শীর্ষে উঠে যাবেন তাইজুল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, ক্যারিয়ার শেষে নিজেকে কোথায় দেখতে চান তিনি। তবে এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি ৩৪ ছুঁইছুঁই বাঁহাতি স্পিনার। সব কিছু তিনি ছেড়ে দিচ্ছেন সৃষ্টিকর্তার হাতে।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে তাইজুল বলেন, এখনই সামনের কথা বলতে চান না তিনি।
আরও পড়ুন
| এসএ টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রকৃত কারণ জানালেন তাইজুল |
|
“দুই বছর পর কী হবে এটা বলা কঠিন। একজন ক্রিকেটার হিসেবে যতদিন খেলবেন, পারফরম্যান্সই কথা বলবে কতদূর যেতে পারবেন। আমার মনে হয়, এখানে প্রক্রিয়াটা খুব জরুরি, সঙ্গে পারফরম্যান্স। আমার মনোযোগ থাকবে পারফরম্যান্সের দিকে। যতদিন আমি খেলব, পারফরম্যান্স করতে পারব, ততদিন আমি হয়তো একটা ভালো অবস্থায় যেতে পারব।”
তখন তার কাছে জিজ্ঞেস করা হয়, নির্দিষ্ট করে কোনো সংখ্যা ভেবে রেখেছেন কিনা। উত্তরে আবারও বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিক করেননি।
“না (নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নয়)। আমাকে যদি আল্লাহ ৭০০ উইকেট দেযন আমি ৭০০টাই নিতেই রাজি আছি।”
আরও পড়ুন
| অ্যাশেজের প্রথম দিনে ভাঙল শত বছরের রেকর্ড |
|
এসময় তাইজুল জানান, ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কখনও লক্ষ্য ঠিক করে এগোননি তিনি।
“আসলে প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই একটা লক্ষ্য থাকে যে, জাতীয় দলে খেলব। প্রথম লক্ষ্য এটাই থাকে। জাতীয় দলে খেলার পরে কতদূর যাব... হয়তো অনেকের অনেক লক্ষ্য থাকে। তবে আমার এরকম কোনো লক্ষ্য ছিল না যে, এখানে শেষ করব বা এই পর্যন্ত যাব। আমি চেষ্টা করব ক্যারিয়ারের শেষ পর্যন্ত যত দূর যেতে পারি।”
No posts available.
২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১:২৩ পিএম
২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১:১৬ পিএম

গত বছরের ২৭ নভেম্বর মাত্র ২৮ বলে সেঞ্চুরি করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন উরভিল প্যাটেল। সেই টর্নেডো ইনিংসের বর্ষপূর্তির আগেই এবার ২৬ নভেম্বর তারিখে ৩১ বলে আরেকটি সেঞ্চুরি করলেন ভারতের ২৭ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
হায়দরাবাদের জিমখানা মাঠে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির উদ্বোধনী দিনে বুধবার সার্ভিসেসের বিপক্ষে মাত্র ৩৭ বলে ১১৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন প্যাটেল। বিধ্বংসী এই ইনিংসে ১২ চারের সঙ্গে ১০টি ছক্কা মারেন গুজরাটের অধিনায়ক।
ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৮২ রান করে সার্ভিসেস। প্যাটেলের তাণ্ডবে মাত্র ১২.৩ ওভারে এই রান তাড়া করে ফেলে গুজরাট।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড এটি। দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটিও অবশ্য প্যাটেলেরই। গত বছর ত্রিপুরার বিপক্ষে ৩৫ বলে ১১৩ রান করার পথে মাত্র ২৮ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন তিনি।
গত বছরের সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে ২৮ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন অভিশেক শর্মাও। তাই মূলত যৌথভাবে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডের মালিক অভিশেক ও প্যাটেল। ওই রেকর্ডের বছর পূর্ণ হওয়ার আগে এবার প্যাটেল করলেন ৩১ বলে সেঞ্চুরি।
সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি সাহিল চৌহানের। গত বছর সাইপ্রাসের বিপক্ষে ৪১ বলে ১৪৪ রান করার পথে মাত্র ২৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন এস্তোনিয়ার ব্যাটার। তার পরেই আছে প্যাটেল ও অভিষেকের নাম।
এছাড়া লিস্ট 'এ' ক্রিকেটেও ভারতের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক প্যাটেল। ২০২৩ সালে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে ৪১ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেছিলেন গুজরাট ব্যাটার। এই তালিকায় ভারতের সবার ওপরে ইউসুফ পাঠান। তিনি করেছিলেন ৪০ বলে সেঞ্চুরি।

ঘরের মাঠে আরও একবার বিব্রতকর পরাজয়ের তেতো স্বাদ পেল ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের মাত্র ১৪০ রানে অলআউট করে ৪০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। একইসঙ্গে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করল সফরকারীরা।
ভারতের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে রানের ব্যবধানে এটিই সবচেয়ে বড় পরাজয়। এর আগে ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নাগপুর টেস্টে ৩৪২ রানে হেরেছিল তারা। প্রায় ২১ বছর পর সেটি ছাপিয়ে চারশর বেশি রানে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা।
গুয়াহাটিতে ম্যাচের শেষ দিন পরাজয় এড়াতে ৮ উইকেট হাতে রেখে পুরো ৯০ ওভার খেলতে হতো ভারতের। কিন্তু ৪৮ ওভারের বেশি টিকতে পারেনি তারা। বাকি থাকা ৮ উইকেট হারিয়ে যোগ করতে পেরেছে মাত্র ১১৩ রান।
এই জয়ের ভারতের মাঠে ২৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাল দক্ষিণ আফ্রিকা। এই সিরিজের আগে সবশেষ ২০০০ সালের ভারতের মাঠে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল তারা। আর নিজেদের মাঠে সবশেষ তিন সিরিজের মধ্যে দুটিই হেরে বসল ভারত।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে সেনুরান মুত্থুসামির সেঞ্চুরিতে ৪৮৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে মার্কো ইয়ানসেনের শর্ট বলের তোপে মাত্র ২০১ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬০ রানে ব্যাটিং ছেড়ে দেয় প্রোটিয়ারা।
ভারতের সামনে দাঁড়ায় ৫৪৯ রানের অসম্ভব এক লক্ষ্য। যা করার জন্য তাদের হাতে ছিল ১০৮ ওভার। কিন্তু চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে ১৫.৫ ওভারের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। শেষ দিনে তাই অসাধ্যই সাধন করতে হতো স্বাগতিকদের।
সাইমন হার্মারের ঘূর্ণিতে তা আর করতে পারেনি ভারত। ২৩ ওভারে মাত্র ৩৭ রান খরচায় ৬ উইকেট নেন হার্মার। এছাড়া কেশব মহারাজের শিকার ২ উইকেট।
ভারতের পক্ষে লড়াই করা রবীন্দ্র জাদেজা খেলেন ৮৭ বলে ৫৪ রানের ইনিংস। সাই সুদর্শন লম্বা সময় উইকেটে থেকে ১৩৯ বলে করেন ১৪ রান।
দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৯টি ক্যাচ নিয়েছেন এইডেন মার্করাম। টেস্ট ক্রিকেটে নন উইকেটকিপারদের মধ্যে এটিই ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ড।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে ৪ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার এটি তৃতীয় জয়। ৬৬.৬৭ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে তারা। আর ৯ ম্যাচে ৪ জয়ে ৫৪.১৭ শতাংশ পয়েন্ট পেয়ে চার নম্বরে ভারত।

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দল মুলতান সুলতানসের মালিকানা আর নবায়ন করছেন না আলি তারিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিনের ধারাবাহিক আর্থিক ক্ষতির কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে তার পথচলা এখানেই শেষ।
তারিন লিখেছেন,
‘এই দলে থাকা আমার জীবনের অন্যতম বড় সম্মান। আমি এই দলকে ভালোবাসি, দক্ষিণ পাঞ্জাবকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমাকে গর্বিত করেছে- যা আমার প্রয়াত চাচা আলমগীর তারিনও অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে দেখতেন।’
প্রতিটি মৌসুমে খেলোয়াড়-স্টাফদের তিনি এক বার্তাই দিতেন, পরিশ্রম আর লড়াইয়ের মানসিকতা।
“এ অঞ্চলের মানুষ পরিশ্রমী, অধিকার আদায়ে লড়ে, প্রতিকূলতার মাঝেও এগিয়ে যায়। তাই আমিও দলের খেলোয়াড়দের বলতাম, তুমি হারতে পারো, কিন্তু লড়াই থামাবে না- এটা ভক্তরা কখনও ক্ষমা করবে না।”
আর্থিক লোকসান সত্ত্বেও দল ছাড়ার কথা তিনি কখনও ভাবেননি বলে জানান। তবে নীতি-আদর্শে আপস না করাই তার কাছে বড়। এই কারণেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত,
‘হাঁটু গেড়ে দল চালানোর চেয়ে, দাঁড়িয়ে থেকে দল হারানোই আমার কাছে গ্রহণযোগ্য।’
পিএসএলের ২০২১ সালে নিজেদের প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র শিরোপা জেতে মুলতান সুলতানস। এরপর ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের টুর্নামেন্টেও ফাইনাল খেলেছে তারা। সাবেক চ্যাম্পিয়নদের ছাড়াই এবার হবে ২০২৬ সালের পিএসএল।
মুলতান সুলতানস ছাড়া পিএসএলের বাকি পাঁচ দল এরই মধ্যে আগামী ১০ বছরের জন্য পিসিবির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছে। কিন্তু তারিন ও পিসিবির মধ্যে সম্পর্ক সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তপ্ত ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এবার মুলতানের সরে দাঁড়ানো।
অথচ ২০১৮ সাল থেকে পিএসএলের সবচেয়ে দামি ফ্র্যাঞ্চাইজি মুলতান। শুরুতে এই দলের মালিকানা ছিল যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের। ২০১৮ সালে প্রতি বছর ৬.৩ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানা কেনেন তারিন।
ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের খবর, ৭ বছরের অধ্যায়ে পিসিবিকে প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ডলার ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দিয়েছেন তারিন। সব মিলিয়ে পিএসএলে তার বিনিয়োগ ৭.২ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। এর বিনিময়ে তিনি পেয়েছেন মাত্র ১.৭ বিলিয়ন রুপি।
পিএসএলের সামনের আসরে দুইটি দল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে পিসিবি। আগামী জানুয়ারিতে হওয়ার কথা ফ্র্যাঞ্চাইজি বিক্রির নিলাম। কিন্তু এখন মুলতান সরে দাঁড়ানোয় তিনটি নতুন দলের নিলাম করতে হবে তাদের।

ভারতকে কবে শেষ এমন অসহায় মনে হয়েছে? স্বাভাবিকভাবেই মনে করতে পারা কঠিনই। শুধু ঘরের মাঠেই নয় প্রতিপক্ষের মাঠেও নিয়মিত ত্রাস ছড়ানো দলটির বেহাল দশা বিরল এক দৃশ্যই বটে। অকল্পনীয় কিছু না ঘটলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গুয়াহাটি টেস্টে বড় হারই দেখছে ভারত।
ভারতের এমন করুণ দশায় চটেছেন বিরাট কোহলির ভাই বিকাশ। প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর এবং অজিত আগারকর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটিকে রীতিমতো শূলে চড়িয়েছেন তিনি। ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণে ভারতের বাজে পারফরম্যান্সে সরাসরি তাদের দুষেছেন বিকাশ। সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে রাগ ঝাড়ার পর আবার সেই পোস্ট মুছেও ফেলেন বিরাট কোহলির ভাই।
ইনস্টাগ্রামে বিকাশ লিখেছেন,
‘একসময় আমরা বিদেশের মাঠেও জয়ের জন্যই খেলতাম… এখন আমরা ম্যাচ বাঁচানোর জন্য খেলছি… এমনকি ভারতেও। এমটা হয় যখন আপনি অন্যদের ওপর দাদাগীরি করে অপ্রয়োজনীয়ভাবে পরিবর্তন করেন যার কোনো প্রয়োজনই ভাঙা ছিল না।’
অন্য আরেক পোস্টে বিসিসিআইকে দোষারপ করেন বিকাশ। তাঁর দাবি রোহিত শর্মা ও কোহলি টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজে সরেননি, তাদের ‘অপসারণ করা হয়েছে’। পোস্টগুলো যখন সরিয়ে ফেলা হয়, গুয়াহাটিতে চতুর্থ দিনে প্রোটিয়াদের ৫৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ভারত দুই দ্রুত উইকেট হারায়।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ৭০ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারিয়েছে ভারত। গত ১২ মাসে দ্বিতীয়বারের মতো ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা অপেক্ষা করছে শুবমান গিলের দলের।
জুলাই ২০২৩ থেকে প্রধান কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীর দায়িত্ব নেওয়ার পর, ভারত এখন দ্বিতীয়বারের মতো নিজেদের ডেরায় হোয়াইটওয়াশের সামনে দাড়িয়ে। সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ে দায়িত্ব শুরু করার পর, নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ এরপর অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি হারানো। ডিসেম্বর ২০১২ থেকে অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত, যে ভারত ঘরের মাঠে কোনো টেস্ট সিরিজ হারেনি। আর তারাই কিনা এখন লাল বলের ক্রিকেটে খর্বশক্তির এক দলে পরিণত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন পাথুম নিসাঙ্কা। আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫৮ বলে ৯৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এতে কুসল পেরেরার ২৩০৫ রান টপকে যান নিসাঙ্কা। ২৭ বছর বয়সী ওপেনারের মোট রান এখন ২৩২৬।
ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ৯ উইকেটে হারিয়ে প্রথম জয় পেল শ্রীলঙ্কা। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৪৬ রান করে সিকান্দার রাজার দল। জবাবে ১৬.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয় বন্দরে পৌঁছে শ্রীলঙ্কা।
প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছিল শ্রীলঙ্কা। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে আজ জেতার বিকল্প ছিল না লঙ্কানদের।
এদিন লক্ষ্য তাড়ায় নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় পাথুম নিসাঙ্কা ও কামিল মিশরা। ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৯ রান। মিশরা ১২ রানে আউট হওয়ার পর কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গী করে এগোতে থাকেন নিসাঙ্কা। ৩৭ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৯তম হাফ সেঞ্চুরি।
এরপর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকেন নিসাঙ্কা। সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ৪টি ছক্কা। অপরাজিত থেকে নির্বাচিত হন ম্যাচসেরার পদে। অপরপ্রান্তে ওয়ান-ডাউনে নামা কুশল মেন্ডিস ২৫ বলে ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৬ রান তোলে। ব্রায়ান বেনেট করেন ৩৪, সিকান্দার রাজা ও রায়ান বুর্ল দুজনেই করেন ৩৭।
৩ ম্যাচে ১ জয়, ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে আছে শ্রীলঙ্কা। ৪ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে জিম্বাবুয়ে। আর ৩ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে ৬ পয়েন্টসহ শীর্ষে আছে স্বাগতিক পাকিস্তান।
ফাইনালে যেতে হলে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততেই হবে লঙ্কানদের।