পাকিস্তানকে হাতের নাগালে পেয়েও হারাতে পারল না বাংলাদেশ। ফিল্ডারদের পর ব্যাটারদের ব্যর্থতায় অঘোষিত সেমি-ফাইনাল হেরে এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাত্র ১৩৫ রানের পুঁজি নিয়েও ১১ রানে জিতে ফাইনালে উঠে গেল পাকিস্তান। ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করতে পারল মাত্র ১২৪ রান।
আগামী রোববার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের পক্ষে শামীম হোসেন পাটোয়ারী ছাড়া কেউই কিছু করতে পারেননি। ২৫ বলে ৩০ রান করেন তিনি। আর কেউই ২০ রানও করতে পারেননি।
সাইফ হাসান ১৫ বলে ১৮ ও শেষ দিকে রিশাদ হোসেন ১১ বলে ১৬ রান করে পরাজয়ের ব্যবধান কমান।
পাকিস্তানের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন দুই পেসার হারিস রউফ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।
এর আগে পাকিস্তানকে নাগালের মধ্যে রাখার বড় কারিগর তাসকিন। উইকেটের সেঞ্চুরি করার ম্যাচে ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন অভিজ্ঞ পেসার। এছাড়া দুই স্পিনার রিশাদ ও মেহেদি নেন ২টি করে উইকেট।
তাসকিন ও রিশাদের উইকেট অবশ্য আরও বাড়তে পারত। তাসকিনের ওভারে পড়ে একটি ক্যাচ। আর রিশাদের চার বলের মধ্যে ২টি ক্যাচ ছাড়েন ফিল্ডাররা।
পাকিস্তানকে অবশ্য একশর আগেই অলআউট করার সম্ভাবনা জাগিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে মাত্র ২৭ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। পরে পঞ্চাশ হওয়ার আগেই তারা হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট।
এক পর্যায়ে ১২ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৫৫ রান। পরে ইনিংসের বাকি ৮ ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ব্যাটে ভর করে ৮০ রান তোলে পাকিস্তান। এতে বড় ভূমিকা ছিল বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংয়ের।
১ ও ৩ রানে জীবন পেয়ে ১৯ রান করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। একইভাবে মাত্র ১ রানে জীবন পেয়ে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। দুজন মিলে 'বোনাস' পান চল্লিশের বেশি রান।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন মোহাম্মদ হারিস। ২৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংস সাজান তিনি। সপ্তম উইকেটে মাত্র ২৪ বলে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৮ রানের জুটি গড়েন হারিস ও নাওয়াজ। যা জয়ের জন্য বড় ভূমিকা রাখে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৩৫/৮ (ফারহান ৪, ফাখার ১৩, সাইম ০, সালমান ১৯, তালাত ৩, হারিস ৩১, আফ্রিদি ১৯, নাওয়াজ ২৫, ফাহিম ১৪*, রউফ ৩*; তাসকিন ৪-০-২৮-৩, মেহেদি ৪-০-২৮-২, সাকিব ৪-০-২৮-০, মোস্তাফিজ ৪-০-৩৩-১, রিশাদ ৪-০-১৮-২)
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৪/৯ (সাইফ ১৮, ইমন ০, হৃদয় ৫, মেহেদি ১১, সোহান ১৬, শামীম ৩০, জাকের ৫, সাকিব ১০, রিশাদ ১৬*, তাসকিন ৪, মুস্তাফিজ ৬*; আফ্রিদি ৪-০-১৭-৩, ফাহিম ২-০-১৮-০, রউফ ৪-০-৩৩-৩, আবরার ৩-০-২৩-০, নাওয়াজ ৩-০-১৪-১, সাইম ৪-০-১৬-২)
ফল: পাকিস্তান ১১ রানে জয়ী
No posts available.
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:২৭ পিএম
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:০৪ পিএম
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জিকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, সাকিব-তামিমরা কেন গেইল-পোলার্ডদের মত পাওয়ার হিটিং করতে পারেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই ব্যাটার এর ব্যাখায় খুব সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তফাৎটা। কাছ থেকে দেখার ও কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেছিলেন, চাইলেও বাংলাদেশের ব্যাটারদের পক্ষে ওই ধরনের পাওয়ার হিটিং সম্ভব নয়। স্রেফ গায়ের জোরে ছক্কা হাঁকানোর সেই দক্ষতা সহজাত হতে হয়। তবে সেটা যেহেতু নেই, তাদের বাংলাদেশের ব্যাটারদের উচিত গেইলদের মত চারটি ছক্কায় ২৪ রান করার চেয়ে ছয়টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২৪ রান করার দিকে মনোযোগ দেওয়া। কারণ, দিনশেষে রানটাই আসল, সেটা সিঙ্গেলস থেকেই হোক, চার মেরে হোক আর ছক্কা থেকে। ম্যাকেঞ্জি অনেক আগে বিদায় নিলেও বাংলাদেশ দল যেন আজও আটকে আছে সেই গোলকধাঁধার মধ্যেই।
আরও পড়ুন
মোসাদ্দেকের ঘূর্ণি, শিবলির ঝড়ে উড়ে গেল সিলেট |
![]() |
সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলকে রান তাড়ায় খেলতে হত হিসেবী ক্রিকেট। ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন এই উইকেটে ছক্কা মারার চেয়ে বেশি দরকার ছিল সিঙ্গেস-ডাবলস নেওয়া আর সুযোগ বুঝে বড় শট খেলা। অথচ মাত্র ১৩৬ রান তাড়া করতে নেমে প্রতিটি ব্যাটার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন ছক্কা মারার। গোটা ইনিংসে ৭টি ছক্কার মার এলেও শেষ পর্যন্ত সেটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় জাকের-শামীমদের জন্য। প্রচুর ডট বলের চাপে শেষ পর্যন্ত শেষ পর্যন্ত হেরে যেতে হয় ১১ রানে। তাতে সমাপ্তি ঘটে ফাইনালে খেলার স্বপ্নের। অথচ মাত্রাতিরিক্ত পাওয়ার হিটিংয়ের চেষ্টা না করলে হয়ত সহজেই আরেকটি এশিয়া কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারত বাংলাদেশ। কেন সেটা হলো না?
এখানে আলোচনায় সবার আগে আসবেন এশিয়া কাপের আগে অল্প সময়ের জন্য বাংলাদেশ দলের সাথে কাজ করা জুলিয়ান উডের নাম। বিশ্বের প্রথম পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে পরিচিত উড লিটন-জাকেরদের দীক্ষা দেন পাওয়ার হিটিংয়ের। তিনি আসার পর থেকে সবার মধ্যে একটা বদ্ধ ধারণা হয়েই গিয়েছিল যে, এখন থেকে হয়ত নিয়মিতভাবে বড় বড় ছক্কা হাঁকাতে পারবেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। নেদারল্যান্ডসের সাথে সিরিজে তার কিছু ঝলকও দেখা যায়। তবে ক্রিকেটে কন্ডিশন ও পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করার স্কিল জানাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ, যা বড় মঞ্চে বারবার ভুলে যান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন হলে পিসিবি চেয়ারম্যানের হাত থেকে ট্রফি নেবে ভারত? |
![]() |
পাকিস্তানের সাথে সেই ম্যাচে নুরুল হাসান সোহান পাঁচে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান। সাইম আইয়ুবের শিকার হওয়ার আগে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার এরপর খেলেন ২০টি বল, আর রান করেন মাত্র ১০! নেই কোনো চার বা ছয়ের মার। অথচ তিনি যখন ক্রিজে যান, তখন বল ও রানের ব্যবধান ছিল নাগালের মধ্যেই। কিন্তু অতিরিক্ত পাওয়ার হিটিংয়ের চেষ্টায় তিনি ডট বল খেলে চাপ বাড়ান নিজের ও দলের ওপর। চারে নামা অফ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান ১০ বলের ইনিংসে একটি ছক্কা মেরেও করতে পারেন মাত্র ১১ রান।
সেই ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যাটারদের মাঝেও ছিল সেই একই প্রচেষ্টা। ইনিংসের শুরু থেকেই সবাই চেষ্টা করেছেন বড় শট খেলার, যার চড়া মাশুল গুনতে হয়েছে দলকে। পাকিস্তানের আগে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও একই ভুল করেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৫১ বলে ৬৯ রান করা সাইফ হাসান একাই হাঁকান ৫টি ছক্কা, যেখানে বাকিরা মিলে মারতে পারেন মাত্র একটি ছক্কা। ১৬৯ রানের টার্গেটে থেমে যেতে হয় মাত্র ১২৭ রানেই। এই ম্যাচেও ছিল সেই একই চিত্র। সাইফ একপ্রান্ত আগলে খেললেও অন্যরা বড় শট মারার চেষ্টায় বিলিয়ে দেন উইকেট।
আরও পড়ুন
দলে ফিরলেন সৌম্য, জাকেরই অধিনায়ক |
![]() |
বাংলাদেশের এই দলে ফিনিশার রোলে খেলা জাকের আলি অনিক ছক্কা মারার জন্য অল্প সময়েই পরিচিতি পেয়েছেন বেশ। তবে এশিয়া কাপে প্রায় ৭০টি ডেলিভারি খেলেও তার ব্যাট থেকে আসেনি একটি ছক্কার মার। দলে যার ভূমিকাই ফিনিশিং টাচ দেওয়া, তিনিই যদি ছক্কা হাঁকাতে না পারেন, তাহলে সেটা দলের ওপর বাড়তি চাপ যোগ করে। জাকেরের অতিরিক্ত পাওয়ার হিটিংয়ের প্রচেষ্টা তার জন্য বারবার বুমেরাং হয়েছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, চলতি বছর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ছক্কা মারার ক্ষেত্রে নিজেদের সেরা সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। এরই মধ্যে এক বছরে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন তরুণ ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। তবে এসব ছাপিয়ে বড় মঞ্চে ভালো করতে হলে বেশি গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করা, যা করতে পারছেন না তাওহীদ-জাকেররা। ক্রিকেটার হিসেবে তারা যতদিন পর্যন্ত পরিণতবোধ না দেখাতে পারছেন, ততদিন পর্যন্ত উডের মাপের পাওয়ার হিটিং কোচ এনেও কাজের কাজ খুব একটা কাজ হবে না।
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে রোববারের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা বিভাগের কাছে পাত্তাই পায়নি সিলেট বিভাগ। মোসাদ্দেক হোসেনের ঘূর্ণি জাদু ও আশিকুর রহমান শিবলির ব্যাটিং তাণ্ডবে ৯ উইকেটে ব্যবধানে জয় পায় ঢাকা।
আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে মাত্র ১৩৪ রান করতে পারে সিলেট। জবাবে ১৭ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় মোসাদ্দেক-শিবলিদের ঢাকা।
আরও পড়ুন
দলে ফিরলেন সৌম্য, জাকেরই অধিনায়ক |
![]() |
তিন ম্যাচে ঢাকার এটি দ্বিতীয় জয়। মোট ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে তারা। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে আট দলের মধ্যে চার নম্বরে আছে সিলেট।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫ রানে ৩ উইকেট হারায় সিলেট। তৃতীয় উইকেটে ৮২ রানের জুটি গড়েন অমিত হাসান ও আসাদুল্লাহ আল গালিব। কিন্তু রানের গতি বাড়াতে পারেননি তারা।
৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৬ বলে ৫২ রান করেন অমিত। গালিবের ব্যাট থেকে আসে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৪ বলে ৫২ রান। দুজনকেই আউট করেন মোসাদ্দেক।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন হলে পিসিবি চেয়ারম্যানের হাত থেকে ট্রফি নেবে ভারত? |
![]() |
সব মিলিয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। এছাড়া শুভাগত হোম ও মাহফুজুর রহমান রাব্বির শিকার ২টি করে উইকেট।
পরে রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতেই ৯৩ রান করে ফেলে ঢাকা। ৬ চার ও ৩ ছক্কায় মাত্র ৩৯ বলে ৬০ রান করে আউট হন শিবলি।
এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি রায়ান রাফসান রহমান ও আরিফুল ইসলাম। রাফসানের ব্যাট থেকে আসে ৬ চারে ৪৫ বলে ৪৬ রান। আরিফুল করেন ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৮ বলে ২৬ রান।
এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়ার পর নিজেদের স্কোয়াডে তেমন কোনো পরিবর্তন আনল না বাংলাদেশ দল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে বদল মাত্র একটি। সেটিও চোটের কারণে।
পেটের বাম পাশের পেশির চোটের কারণে আফগানদের বিপক্ষে সামনের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে পারবেন না লিটন কুমার দাস। তার অনুপস্থিতিতে দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকবেন জাকের আলী অনিক।
আর স্কোয়াডে লিটনের জায়গায় সুযোগ পেলেন সৌম্য সরকার। এনসিএল টি-টোয়েন্টির মাঝপথে এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমানে চড়বেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটার।
গত মে মাসে পাকিস্তান সফরের দলে ছিলেন সৌম্য। তবে চোটের কারণে শেষ মুহূর্তে ছিটকে যান তিনি। এরপর আবার এই সিরিজ দিয়েই দলে ফিরলেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত বছরের টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর আর এই ফরম্যাটে জাতীয় দলে খেলা হয়নি সৌম্যর। আর গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবশেষ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন তিনি।
লিটনের চোটে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাকের। ওই দুই ম্যাচেই বাজেভাবে হেরে যায় বাংলাদেশ। তবু লিটনের অনুপস্থিতিতে জাকেরের ওপরই ভরসা রাখছে বিসিবি।
নিয়মিত অধিনায়কের চোটের ব্যাপারে জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, পেটের পেশির সমস্যায় ভুগছেন লিটন। আপাতত পর্যবেক্ষণ ও পুনর্বাসনে আছেন তিনি। ওয়ানডে সিরিজের ব্যাপারে তাই পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী ২ অক্টোবর শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। একই মাঠে পরের দুই ম্যাচ ৩ ও ৫ তারিখ। এর আবু ধাবিতে ৮, ১১ ও ১৪ অক্টোবর হবে ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচগুলো।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড
জাকের আলী অনিক (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, সাইফ উদ্দিন ও সৌম্য সরকার।
মঞ্চ তৈরি। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারত-পাকিস্তান। মাঠের খেলার আগে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেক আগ থেকেই চলছে কানাঘুষা ।
গ্রুপপর্ব ও সুপার ফোরে দু’বার দেখা হয়েছে ভারত-পাকিস্তানের। দু’বারই সালমান আলি আগাদের বিপক্ষে হেসেখেলে জয় পেয়েছে সূর্যকুমার যাদবের দল। এবার তৃতীয়বারের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও কি ফলটা ভারতের পক্ষেই আসবে ? আর ভারতই যদি চ্যাম্পিয়ন হয় তবে পিসিবি চেয়ারম্যানের হাত থেকে কি ট্রফি নেবে সূর্যকুমার-শুবমান গিলরা ?
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এএসসি) চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান ও পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি আজ দুবাইয়ে পৌঁছেছেন। এশিয়া কাপ ২০২৫ ফাইনালে নাকভির উপস্থিতিটাই স্বাভাবিক। আট দলের এই টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়ার কথা তাঁরই। আর সেটা নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে নতুন আলোচনা।
আরও পড়ুন
বিসিসিআইয়ের ৩৭তম সভাপতি মিথুন মানহাস |
![]() |
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে করমর্দনের মতো বিষয় নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন নাকভি। ফাইনালেও ভারতীয় দল পাকিস্তানের সঙ্গে করমর্দন এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও কি নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে কিনা সূর্যকুমাররা সেটাই দেখার।
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে এশিয়া কাপের এক কর্মকর্তা বলেছেন, `এখন পর্যন্ত তথ্য হলো তিনি (নাকভি) আজ সন্ধ্যায় আসছেন এবং এএসসি চেয়ারম্যান হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই বিজয়ীদের হাতে ট্রফি দেবেন। তবে শেষ পর্যন্ত বিসিসিআই কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার বিষয়।’
পুরো এশিয়া কাপজুড়েই ভারত–পাকিস্তান সম্পর্ক ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। ১৪ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর ভারতীয় দল পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে করমর্দন করতে অস্বীকার করার পর সালমান আলি আগারা অভিনন্দন জানাতে ড্রেসিংরুমে গেলেও ভারত নাকি দরজা বন্ধ করে দেয়।
এরপর পিসিবি অভিযোগ তোলে যে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট ‘খেলার চেতনা’ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং তাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানায় আইসিসিকে। তবে আইসিসি সেই দাবি খারিজ করে দেয়।
সৌদি প্রো লিগে আল নাসরের কাছে হেরে চাকরি হারালেন আল ইত্তিহাদের কোচ লরেন্ট ব্ল্যাঙ্ক। গতকাল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোদের দল আল নাসরের কাছে ২-০ গোলে হারে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আল ইত্তিহাদ। ম্যাচের পরদিনই(আজ) কোচ ব্ল্যাঙ্ককে বরখাস্ত করেছে ক্লাবটি।
জেদ্দাভিত্তিক ক্লাবটি সামাজিক যোগযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া বিবৃতিতে জানিয়েছে, আল ইত্তিহাদ দলের প্রধান কোচ লরেন্ট ব্ল্যাঙ্ক এবং তার কোচিং স্টাফদের সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করার ঘোষণা দিচ্ছে।
সঙ্গে নতুন টেকনিক্যাল স্টাফ খোঁজার বিষয়েও জানায় করিম বেনজেমাদের ক্লাব আল ইত্তিহাদ- ক্লাবের উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নতুন কারিগরি স্টাফ খোঁজা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
ধ্রুপদি ফাইনালে ভারত-পাকিস্তানের একাদশ কেমন হবে |
![]() |
২০২৪ সালের জুলাইয়ে আল ইত্তিহাদের দায়িত্ব নেন ফ্রান্সের সাবেক কোচ ব্ল্যাঙ্ক। দায়িত্ব নিয়েই তাঁর অধীনে সৌদি প্রো লিগ ও কিংস কাপের শিরোপা জেতে আল ইত্তিহাদ। সেই অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২৪-২৫ মৌসুমে বর্ষসেরা কোচ নির্বাচিত হন ব্ল্যাঙ্ক। তাঁর অধীনে আল ইত্তিহাদ ৩৮ ম্যাচে ২৯ জয়, ৫ ড্র এবং ৪টি ম্যাচে হেরেছে।
তবে নতুন মৌসুমে সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন ব্ল্যাঙ্ক। সৌদি সুপার কাপের সেমিফাইনালে আল নাসরের কাছে হেরে বিদায় নেয় আল ইত্তিহাদ। লিগে টানা তিন ম্যাচে জয়ের পর চতুর্থ রাউন্ডে ফের আল নাসরের কাছে পরাজিত হয় তারা।
বর্তমানে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে আল ইত্তিহাদ। শীর্ষে থাকা আল নাসরের চেয়ে তিন পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্স ফুটবল দলের কোচ ছিলেন ব্ল্যাঙ্ক। জাতীয় দলেও তাঁর অধীনে খেলেছিলেন বেনজেমা।