১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫০ পিএম
দুই দলের জন্যই আসর শুরু হয়নি প্রত্যাশা অনুযায়ী। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে তুলনামূলক বেশি চাপের মুখে থাকা ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে আলো ছড়ালেন লিটন দাস। খেললেন মনোমুগ্ধকর এক ইনিংস। সাথে সাব্বির রহমানের ক্যামিওতে জেগেছিল জয়ের আশা। তবে জাকির হাসানের ফিফটির পর জাকের আলি, রনি তালুকদার ও অধিনায়ক আরিফুল হকের ব্যাটে চড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স পেল নিজেদের প্রথম জয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১৬তম ম্যাচে সিলেট জিতেছে ৩ উইকেটে। ঢাকার করা ৬ উইকেটে ১৯৩ রান দলটি পাড়ি দিয়েছে ৮ বল হাতে রেখেই। ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই রইল ঢাকা।
আগের ম্যাচের ঢাকা হারলেও ভালো একটি ইনিংস খেলেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের প্রথম ওভারে ছক্কা মারে আভাস দিয়েছিলেন এদিনও ভালো কিছুর। তবে রাহকিম কর্নওয়েলের অফস্পিনে ওই ওভারেই বিদায় ঘটে তার। রানের জন্য সংগ্রাম করা লিটন আগের ম্যাচে ছিলেন না একাদশে। এই ম্যাচে ফিরে শুরু থেকেই উপহার দেন ছন্দময় ব্যাটিং।
আরও পড়ুন
নাহিদের গতিতে মুগ্ধ ইফতিখার, প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোহানের |
![]() |
তানজিম হাসান সাকিবের করা চতুর্থ ওভারে হাঁকান টানা তিনটি বাউন্ডারি। কিছু বড় শট খেললেও মুনিম সেভাবে তাল মেলাতে পারছিলেন না। তবে চাপ না বাড়িয়ে লিটন এগিয়ে নেন রানের গতি। নাহিদুল ইসলামকে মারেন পরপর দুই বলে চার ছক্কা। ছয় ওভারেই দলীয় ফিফটি হয়ে যায় ঢাকার।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভুলে যাওয়ার মত ২০২৪ কাটানো লিটন সিলেটের দর্শকদের উল্লাসে ভাসিয়ে ৬ চার ও ১ ছয়ে প্রায় ১৭০ স্ট্রাইক রেটে ফিফটির দেখা পান স্রেফ ২৯ বলে। কয়েকটি বড় শট খেললেও অন্যপ্রান্তে ঠিক বিপরীত ব্যাটিং উপহার দেন মুনিম। মাত্র ১১০ স্ট্রাইক রেটে তার ব্যাট থেকে ৪৭ বলে আসে ৫২ রান।
মুনিমের বিদায়ের ঠিক আগে ১২৯ রানের জুটির অবদান ঘটে লিটনের আউটে। দুর্দান্ত কিছু শটে আশা জাগাচ্ছিলেন শতকের। তবে ফিরতি স্পেলে আসা কর্নওয়েলকে সুইপ করতে গিয়ে পড়েন লেগ বিফোরের ফাঁদে। অবশ্য তার আগে উপহার দেন মাত্র ৪৩ বলে ৭৩ রানের উপভোগ্য এক ইনিংসের।
আরও পড়ুন
ডার্বিশায়ারে নতুন দায়িত্ব পেলেন রংপুর রাইডার্স কোচ আর্থার |
![]() |
লিটনের পর মুনিমকেও শিকাত বানান কর্নওয়েল। দীর্ঘদেহী এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার বল হাতে নিলেই স্টেডিয়ামের দর্শকরা তাকে চিয়ার করে সমর্থন যুগিয়েছেন সেই সময়ে। ব্যাটিং উইকেটে চার ওভারে মাত্র ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে এর দারুণ প্রতিদানও দেন কর্নওয়েল।
ক্রিজে যেতেই চারে নামা সাব্বিরও পেয়েছেন দর্শকদের অকুন্ঠ সমর্থন। আগের ম্যাচে ঝড়ো ফিফটি করার রেশ ধরে রেখে এই দফায়ও শুরু থেকেই দেখান আগ্রসন। স্রেফ ছক্কায় বাড়ান রানের গতি। টানা তিন ওভারে তানজিম, আল-আমিন হোসেন ও রিস টপলিকে ছক্কায় ওড়ান অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। বড় শট মারতে গিয়েই শেষ পর্যন্ত থামতে হয় ২৮ রানে, বল খেলেন মাত্র ১০টি।
সাথে থিসারার ক্যামিও ইনিংস ঢাকার স্কোর পার করে ১৯০। এরপর বল হাতে দলটির শুরুটা ছিল স্বপ্নের। প্রথম বলেই কর্নওয়েলকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। ওই ওভারেই জাকির হাসানের হাতে হজম করেন ছক্কা। দুই চারে ১১ রানে ইতি ঘটে জর্জ মুন্সির পথচলা।
শুরুটা ভালো পেলেও একই চিত্র ছিল অ্যারন জোন্সেরও। তবে চাপের মুখে একপ্রান্ত আগলে সিলেটকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন জাকির। শুভম রঞ্জনের করা প্রথম ওভারে মারেন চারটি চার, যা পাওয়ার প্লে শেষে তার দলকে এনে দেয় ৭৪ রান।
মোসাদ্দেক হোসেনকে টানা দুই বাউন্ডারি মেরে মাত্র ২৫ বলেই ফিফটি হয়ে যায় জাতীয় দলের এই ব্যাটারের। শুভমকে ছক্কা মেরে এরপরের বলেই থামতে হয় জাকিরকে। তবে তার আগে করেন গুরুত্বপূর্ণ ৫৮ রান (২৭ বল)।
এরপর সিলেট এগিয়ে নিচ্ছিলেন জাকের আলি অনিক ও অভিজ্ঞ রনি তালুকদার। তবে যথাক্রমে ২৪ ও ৩০ রানে পরপর দুই ওভারে তাদের বিদায়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় সিলেট। তখনই ত্রাতার ভূমিকায় হাজির আরিফুল।
আরও পড়ুন
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে রাজশাহীর দ্বিতীয় জয় |
![]() |
আবু জায়ের রাহির এক ওভারে ১৪ রান নিয়ে প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন দলের জয়। এরপর তিনিই সারেন বাকি আনুষ্ঠানিকতা। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার অপরাজিত থাকেন ১৫ বলে ২৮ রানে।
No posts available.
সেপ্টেম্বরের শেষদিকে নেপালের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সে লক্ষ্যে আজ ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। সিডব্লিআইয়ের ঘোষিত দলের অধিনায়ক আকিল হোসেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নেপালের সিরিজটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। সিরিজের আয়োজক নেপাল ক্রিকেট বোর্ড। ২৭ সেপ্টেম্বর শারজাহ গড়াবে প্রথম টি টোয়েন্টি। একই ভেন্যুতে ২৯ ও ৩০ তারিখ দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ।
আরও পড়ুন
ভারতের সঙ্গে সুপার ফোরে পাকিস্তান |
![]() |
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিরেক্টর মাইলস বাসকম্ব জানিয়েছেন, নেপালের বিপক্ষে সিরিজটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের দিগন্ত প্রসারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোয়াড: আকিল হোসেন (অধিনায়ক), ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, জুয়েল অ্যান্ড্রু, অ্যাকিম অগাস্ট, নাভিন বিডাইস, জেডিয়াহ ব্লেডস, কিয়াসি কার্টি, কারিমা গোর, জেসন হোল্ডার, আমির জ্যাঙ্গু, কাইল মায়ার্স, ওবেড ম্যাককয়, জিশান মোতারা, রামন সিমন্ডস, শামার স্প্রিঙ্গার।
এশিয়া কাপে ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারতের পর পাকিস্তানও নিশ্চিত করেছে সুপার ফোর। আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৪১ রানে হারিয়েছে সালমান আগা বিগ্রেড। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর পয়েন্ট সমান চার। পাকিস্তানের গ্রুপপর্বের তিনটি ম্যাচ শেষ। ভারতের সঙ্গে ওমানের ম্যাচ বাকি রয়েছে, যা কেবল নিয়মরক্ষার।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জবাবে ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় আমিরাত।
আরও পড়ুন
বেথেলের ইতিহাসের দিনে ইংল্যান্ডের জয় |
![]() |
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান আমিরাতের অধিনায়ক ওয়াসিম। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন সাইম আইয়ুব। টানা তিন ম্যাচে স্কোরবোর্ডে কোনো রান তুলতে পারেননি তিনি। তিনবারই ফিরেছেন ডাক মেরে। আরেক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান আউট হন ১২ বলে ৫ রান করে। দলের ৯ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার। এরপর জুটি বাঁধেন সালমান আগা এবং ফাখার জামান। আগা ধরে খেললেও শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং উপহার দেন ফাখার। দলের ৭০ রানের মাথায় ২৭ বলে ২০ রান করে আউট হন পাকিস্তানের অধিনায়ক। ফাখার ফেরেন ফিফটি করে। ৩৬ বলে ৫০ রান করে দলের ৮৬ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি।
ফাখার ফিরলে দলের রান গতি থিতু হয়ে পড়ে। শেষদিকে চেষ্টা চালিয়েছেন মোহাম্মদ হারিস ও শাহীন আফ্রিদি। ১৪ বলে ১৮ রান করেন হারিস। ১৪ বলে ২৯ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন শাহীন। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান।
আরও পড়ুন
শেষ ওভারে শাহীন আফ্রিদির ব্যাটিং ঝড় |
![]() |
আমিরাতের হয়ে জুনায়েদ সর্বোচ্চ চারটি উইকেট সংগ্রহ করেন। ৩ উইকেট তুলেছেন সিমরানজীত সিং।
জবাব দিতে নেমে ওপেনিং জুটিতে আলিশান শারাফু এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম মিলে তোলেন ২১ রান। ৮ বলে ১২ রান করে বিদায় নেন শারাফু। ওয়াসিম থেমেছেন ১৪ রান করে। পাওয়ারপ্লের মধ্যে আরও এক উইকেট হারিয়ে বসে আমিরাত। মোহাম্মদ জোহাইব ৯ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফিরেন।
এরপর ধ্রুব পারাশার সঙ্গে জুটি বাঁধেন রাহুল চোপড়া। দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৮ রান। ২৩ বলে ২০ রান করে বিদায় নেন পারাশার। রাহুলের চেষ্টা আরও কিছুক্ষণ অব্যাহত ছিল। ৩৫ বলে ৩৫ রান করে আউট হন রাহুল।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপে ৪ বলে ৩ ডাক সাইমের |
![]() |
দুজন সেট ব্যাটারকে হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে আমিরাত।থমকে যায় দলের রানের গতি। টপাটপ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। একের পর এক উইকেট পতনের ফলে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই যায় তারা। শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিক দল।
পাকিস্তানের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।
ডাবলিনে বুধবারের দিনটা হয়ে উঠেছিল একান্তই জ্যাকব বেথেলের। টসের সময়ই তিনি ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে নাম লেখান। বাঁহাতি এই স্পিন অলরাউন্ডারের জন্য সেটাই ছিল গর্বের মুহূর্ত, দিনের শেষ হয় আরও বড় সাফল্যে।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বেথেলের ইংল্যান্ড। ১৯৭ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে ১৮তম ওভারেই। বেথেলের নেতৃত্বে পাওয়া এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো ইংলিশরা।
আরও পড়ুন
নিভৃতচারী কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদ সাদেক ৮০-তে পা দিয়েছেন |
![]() |
এদিন ১৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী শুরু করে ইংল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতে ৭৪ রান যোগ করেন জস বাটলার ও ফিল সল্ট । বাটলার ১০ বলে ২৮ রানে ফিরলেও সল্ট মারমুখী ভঙ্গিতে ব্যাট চালান। তিনি ৪৬ বলে ৮৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দেন। যাতে ছিল ১০টি চার ও ৪টি ছক্কা। স্যাম কারান ১৫ বলে ২৭ ও অধিনায়ক জ্যাকব বেথেল ১৬ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
ইনিংসের দশম ওভারে পাকিস্তান যখন চা বিরতিতে, সালমান আগাদের দলীয় স্কোর ২ উইকেট ৬৭ রান। অর্থাৎ ওভারপ্রতি রান রেট ৬.৭০। আর ইনিংস শেষে দলটি ওভারপ্রতি রানরেট দাঁড়ায় ৭.৩০। মূলত শেষ ওভারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বোলার মুহাম্মদ রোহিদের ওপর তাণ্ডবলীলা চালান শাহীন শাহ আফ্রিদি। ২ ছক্কা, ১ চার ও ডাবলসের সাহায্য পাকিস্তানকে ১৪৬ রানের স্বস্তিদায়ক স্কোর এনে দেন তিনি।
আজ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান আমিরাতের অধিনায়ক ওয়াসিম। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন সাইম আইয়ুব। টানা তিন ম্যাচে স্কোরবোর্ডে কোনো রান তুলতে পারেননি তিনি। তিনবারই ফিরেছেন ডাক মেরে। আরেক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান আউট হন ১২ বলে ৫ রান করে। দলের ৯ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপে ৪ বলে ৩ ডাক সাইমের |
![]() |
এরপর জুটি বাঁধেন সালমান আগা এবং ফাখার জামান। আগা ধরে খেললেও শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং উপহার দেন ফাখার। দলের ৭০ রানের মাথায় ২৭ বলে ২০ রান করে আউট হন পাকিস্তানের অধিনায়ক। ফাখার ফেরেন ফিফটি করে। ৩৬ বলে ৫০ রান করে দলের ৮৬ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি।
ফাখার ফিরলে দলের রানগতি থিতু হয়ে পড়ে। শেষ দিকে চেষ্টা চালিয়েছেন মোহাম্মদ হারিস ও শাহীন আফ্রিদি। ১৪ বলে ১৮ রান করেন হারিস। ১৪ বলে ২৯ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন শাহীন। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান।
আমিরাতের হয়ে জুনায়েদ সর্বোচ্চ চারটি উইকেট সংগ্রহ করেন। ৩ উইকেট তুলেছেন সিমরানজীত সিং।
ওমান, ভারত আর আজ সংযুক্ত আরব আমিরাত-এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে একই ফল পাকিস্তানের ব্যাটার সাইম আইয়ুবের। এই তিন ম্যাচে স্কোরকার্ডে কোনো রান যুক্ত করতে পারেননি তিনি। তবে প্রথম দুই ম্যাচে হাত ঘুরিয়ে তুলেছেন ২ উইকেট।
আজ এশিয়া কাপে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য ডু অর ডাই। পা ফসকালেই ছিটকে পড়ার ভয় সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। এমন ম্যাচে রান খাতা ‘শূন্য’ থেকেছে সাইমের। এর আগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে পান্ডিয়ার শিকার হয়ে সাজঘরমুখো হন সাইম। প্রথম ম্যাচে ওমানের বিপক্ষেও টিকতে পেরেছেন এক বল।
এশিয়া কাপে মোট চার বল মোকবিলা করতে পেরেছেন সাইম।এরমধ্যে তিনবারই ফিরেছেন ডাক মেরে। দুইবার লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন। একবার কট তুলে। টি টোয়েন্টিতে ১৫ দিনে ৬ ম্যাচ খেলে চারবারই ডাক মেরেছেন সাইম।
টি-টোয়েন্টি পাকিস্তানের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ ডাক ২৩ বর্ষী সাইমের। ৪৪ ইনিংসে ৮টি ডাক তার। যুগ্মভাবে তার সঙ্গে আছেন সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। শীর্ষে ওমর আকমল। তিনি ৭৮ ম্যাচে ১০ বার ডাক মেরেছেন।