২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৭ এম
এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার আজ ফাইনালে দেখা হচ্ছে ভারত-পাকিস্তানের। এই হাইভোল্টেজ ম্যাচটি হবে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। গ্যালারির ২৮ হাজার আসনের সব টিকিট মুহূর্তেই বিক্রি হয়ে গেছে।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর এই লড়াইকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মাঠের ভেতর ও বাইরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ইউনিট মোতায়েন করেছে দুবাই সরকার। যেকোনো অনিয়ম বা সহিংস আচরণের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা।
দর্শকদের খেলা শুরুর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে স্টেডিয়ামে পৌঁছাতে বলা হয়েছে। একবার প্রবেশের পর পুনরায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। নিষিদ্ধ সামগ্রীর তালিকায় রয়েছে আতশবাজি, ফ্লেয়ার, লেজার পয়েন্টার, ধারালো বস্তু, অস্ত্র, বিষাক্ত পদার্থ, সেলফি স্টিক, বড় ছাতা, অনুমোদনহীন ব্যানার বা পতাকা, কাঁচের বোতল, পোষা প্রাণী, সাইকেল, স্কেটবোর্ড ও যেকোনো ধরনের উসকানিমূলক বা সহিংস আচরণ।
আরও পড়ুন
'যতক্ষণ না কারো অসম্মান হচ্ছে, ততক্ষণ উচ্ছ্বাসে আটকাব না' |
![]() |
সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্পোর্টস ইভেন্ট সিকিউরিটি আইন অনুযায়ী, মাঠে অনধিকার প্রবেশ বা নিষিদ্ধ বস্তু বহনের শাস্তি ১ থেকে ৩ মাসের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার দিরহাম পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। সহিংসতা, বস্তু নিক্ষেপ, বর্ণবাদী মন্তব্যে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার দিরহাম জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ লাখ টাকা।
কেউ আইন ভঙ্গ করলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই আইনের আওতায় আনা হবে। নিরাপত্তা রক্ষায় স্টেডিয়ামের প্রতিটি অংশে থাকবে সিসি ক্যামেরা নজরদারি ও বিশেষ বাহিনীর টহল।
ভারত টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছে। পাকিস্তান গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোলে শুধু ভারতের বিপক্ষেই শুধু হেরেছে। তবে বাকি সব ম্যাচ জিতে জায়গা করে নেয় শিরোপা লড়াইয়ে। ভারত আটবার এশিয়া কাপ জিতেছে আর পাকিস্তান দুবার।
No posts available.
২ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২০ পিএম
২ অক্টোবর ২০২৫, ৯:৩৮ পিএম
নুর আহমেদের অফ স্টাম্পের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি সোজা ছক্কা মেরে দিলেন তানজিদ হাসান তামিম। এর সৌজন্যে হয়ে গেল ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। যেখানে তার সঙ্গী পারভেজ হোসেন ইমন।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের ১৫১ রানের জবাবে ৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬৯ রান। এই ওভার পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ও ইমনের মোট সংগ্রহ ৪০৩ রান।
১৫ ইনিংসে ১টি করে ফিফটি ও শতরানের জুটিতে এই রান করেছেন তামিম ও ইমন। বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড।
এত দিন রেকর্ডটি ছিল লিটন কুমার দাস ও মোহাম্মদ নাঈম শেখের। তারা দুজন মিলে ১৭ ইনিংসে ৩টি পঞ্চাশছোঁয়া উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেছেন ৩৯৫ রান।
উদ্বোধনী জুটির বিশ্ব রেকর্ড থেকে অনেক দূরে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের দুই ব্যাটার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান মিলে ৫৬ ইনিংসে ১০টি ফিফটি ও ৮টি সেঞ্চুরিছোঁয়া উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেছেন ২ হাজার ৫২২ রান।
আর কোনো জুটির ওপেনিংয়ে ২ হাজার রানেরও নজির নেই।
সব মিলিয়ে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মিলে ২৮ ইনিংসে জুটি বেঁধে ৫টি পঞ্চাশছোঁয়া জুটিসহ যোগ করেছিলেন ৭৫৫ রান।
এলেন, খেললেন এবং জয় করলেন। অভিষেক যে কত রঙে-ঢঙে রাঙানো যায়, রুবাইয়া হায়দার ঝিলিককে না দেখলে বুঝাই যেত না। প্রথমবার লাল-সবুজ জার্সি পরেই জাত চেনালেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। পাশাপাশি টিম ম্যানেজম্যান্ট ও অধিনায়কের আস্থাভাজন হয়ে উঠলেন শুভ যাত্রায়। রেকর্ড মাখা ইনিংস খেলে জানিয়ে দিলেন, লম্বা রেসের ঘোড়া তিনি।
কলম্বোর প্রেমাদাসায় বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের বড় জয়ের অন্যতম নায়ক ঝিলিক। ফাতিমা সানাদের দেওয়া ১২৯ রানের টার্গেট নিতান্তই সাদামাটা বানিয়ে ছাড়েন তিনি। মেয়েদের ওয়ানডে অভিষেকে যা বাংলাদেশের ব্যাটারদের সর্বোচ্চ ইনিংস। রুবাইয়া ভেঙেছেন আয়েশা রহমানের রেকর্ড। ২০১১ সালে বিকেএসপিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৩ রান করেছিলেন আয়েশা।
২০ ওভারের বিশ্ব মঞ্চে রুবাইয়ার আগের দুটি অর্ধশতক ছিল ফারজানা আক্তারের নামে। ২০২২ সালের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি করেছিলেন ৭১ ও ৫২ রানের ইনিংস। এবার সেই কীর্তি গড়লেন ঝিলিক।
এদিন ৬৪ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন ঝিলিক। মাত্র ৪ রান যোগ করতেই জয় বন্দরে পৌঁছে যায় দল। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮ চারে। মোট ৭৭ বল মোকাবিলা করেছেন তিনি।
অভিষেক ম্যাচে শুরু থেকে প্রাণবন্ত ছিলেন ঝিলিক। মুভমেন্ট থাকায় থিতু হতে সময় নিলেন। তারপরও থেমে থাকেনি তার বাহারি শট। ৮ বাউন্ডারিতে স্পর্শ করেন নিজের প্রথম ওয়ানডে ফিফটি। ফিফটির পর একটু সতর্ক হয়ে পড়েন, কারণ অপরপ্রান্তে মোস্তারির ব্যাট ছুটছিল রানের জন্য হন্যি হয়ে।
পাওয়ার প্লেতে দারুণ বোলিংয়ের ছন্দ ইনিংসের বেশিরভাগ সময় পর্যন্ত ধরে রাখলেন নাসুম আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিবরা। কিন্তু শেষ দিকে পাল্টা আক্রমণ করলেন মোহাম্মদ নবী। তাতেই ছন্নছাড়া বাংলাদেশের বোলিং।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫১ রান করেছে আফগানিস্তান।
অথচ এক পর্যায়ে ১৬ ওভারে তাদের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১০০ রান। সেখান থেকে বাকি ৪ ওভারে তারা করে আরও ৫১ রান।
শেষ ঝড় তুলে ১ চারের সঙ্গে ৪ ছক্কায় ২৫ বলে ৩৮ রান করেন নবী। তিন নম্বরে নেমে ৩১ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৫০ রানের বেশি তাড়া করে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। হেরে গেছে বাকি দুই ম্যাচে। এবার তাই সিরিজে লিড নিতে বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জই পার করতে হবে জাকের আলি অনিকের দলের।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম তিন ওভারে দেখেশুনে কাটিয়ে দেন সেদিকউল্লাহ অতল ও ইব্রাহিম জাদরান। চতুর্থ ওভারে জাদরানকে বোল্ড করে প্রথম ব্রেক থ্রু দেন নাসুম আহমেদ। পরের ওভারে অতলকে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব।
পরের দুই ওভারে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন দারউইশ রসুলি ও মোহাম্মদ ইশহাক। মাত্র ৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় আফগানিস্তান।
পঞ্চম উইকেটে ৩৩ রানের জুটি গড়েন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। রিশাদ হোসেনের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন ১৮ বলে ১৮ রান করা ওমরজাই।
দলকে একশর কাছে নিয়ে ফিরে যান গুরবাজও। তিন নম্বরে নেমে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩১ বলে ৪০ রান করে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
এরপর ঝড় তোলেন মোহাম্মদ নবী। ১৮তম ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে ৩টি ছক্কা মারেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। তবে পঞ্চম বলে তাকে আউট করেন তাসকিন। ২৫ বলে ৩৮ রান করে ফেরেন নবী।
নবীর বিদায়ের পর ১টি করে চার-ছক্কায় ১২ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে আফগানিস্তানকে দেড়শ পার করান শরাফউদ্দিন আশরাফ।
বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন সাকিব ও রিশাদ। ৪ ওভারে ৪০ রান খরচ করেন তাসকিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৫১/৯ (ইব্রাহিম ১৫, অতল ১০, গুরবাজ ৪০, রসুলি ০, ইশহাক ১, ওমরজাই ১৮, নবী ৩৮, শরাফউদ্দিন ১৭*, রশিদ ৪, নুর ৬; তাসকিন ৪-০-৪০-১, নাসুম ৪-০-১৮-১, সাকিব ৪-০-৩৩-২, মোস্তাফিজ ৪-০-২৪-১, রিশাদ ৪-০-৩৩-২)
নিগার সুলতানা জ্যোতির আক্ষেপ বুঝি ফুরালো! ২৪ ঘণ্টা আগেও ব্যাটিং নিয়ে আফসোস বাণী শুনিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে আরেকটি বোলিং নৈপুণ্যের দিনে রুবাইয়া হায়দার ঝিলিকরাও ঝলক দেখান ঠিকঠাক। তাতেই নারী বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ রাঙাল লাল সবুজ দল।
কলম্বোতে আজ টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৮.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ১১৩ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
আজ বড় জয়ের পাশাপাশি একাধিক রেকর্ডের সাক্ষী হয় নারী দল। শুরুতে হাত ঘুরিয়ে ৩ মেডেনসহ মাত্র ৫ রান খরচায় ৩ উইকেট তোলেন স্বর্ণা আক্তার। যা বিশ্বকাপে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগার।
ব্যাটিংয়ে দেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপে ফিফটি করেন রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। ওয়ানডের বিশ্ব মঞ্চে এর আগে দু’বার ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন ফারজানা হক পিঙ্কি।
এদিন রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই উইকেট বিলিয়ে দেন ফারজানা আক্তার। তবে শারমিন আক্তারকে সঙ্গী করে ধাক্কা সামাল দেন ঝিলিক। পাওয়ার প্লে শেষ না হতেই আবারও পথ হারায় বাংলাদেশ। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন শারমিন আক্তার।
দলীয় ৩৫ রানে দুই উইকেট পতনের পর কিছুক্ষণ নিগার সুলাতানাকে নিয়ে এবং বাকিটা সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে পাড়ি দেন ঝিলিক। চলতি পথে আদায় করেন আন্তর্জাতিক কুড়ি কুড়ির ফরম্যাটে নিজের প্রথম ফিফটি। তা লেখা হয় খেরোখাতায়। ৭৭ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ঝিলক। তার সঙ্গে মোস্তারির ইনিংসে ছিল ২৪ রান।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই পথ হারায় পাকিস্তান। মারুফা আক্তারের গতি আর সুইংয়ে প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট হারায় দলটি। ওভারের পঞ্চম বলে ওমাইমা সোহেলকে বোল্ড করেন তিনি, পরের ডেলিভারিতেই ইনসুইংয়ে সিদরা আমিনের স্ট্যাম্প এলোমেলো করে দেন।
দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন মুনিবা আলি ও রামিন শামিম। তবে জুটি বড় হতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। মুনিবা ৩৫ বলে ১৭ রান করে ফেরেন ক্যাচ দিয়ে। কিছু সময় পরেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রামিন শামিমও (৩৯ বলে ২৩ রান)।
এরপর ছোট ছোট কয়েকটি জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও পাকিস্তানের মেয়েদের ইনিংস বড় হতে দেননি রাবেয়া আক্তার ও ফাহিমা খাতুনরা। শেষ পর্যন্ত ৩৮.৩ ওভারেই ১২৯ রানে থামে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন স্বর্ণা আক্তার। ৩.৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩ মেডেনসহ মাত্র ৫ রান খরচ করেন তিনি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে এটিই সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। গত আসরে ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন সালমা খাতুন।
আফ্রিকার আঞ্চলিক বাছাইয়ের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কেনিয়ার বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতল জিম্বাবুয়ে। এ জয়ে ফাইনালে ওঠার পাশাপাশি বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে সিকান্দার রাজার দল।
২০২৬ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দিনের প্রথম সেমিতে তানজানিয়াকে হারিয়েছে নামিবিয়া। আগামী শনিবার ফাইনালে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখির পাশাপাশি বিশ্বকাপে অংশ নেবে দলটি। দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও ২০ দলের বিশ্বকাপে এই অঞ্চল থেকে অংশ নেবে জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়া।
২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ আসরে খেলতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। এমনকি তারা ছিল না ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও। এবার বাছাইপর্বে টানা চার ম্যাচে অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপে ফিরল তারা।
জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আজকের বাঁচা-মরা ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ১২২ রান সংগ্রহ করে কেনিয়া। রান তাড়ায় নেমে ১৫ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিকরা। ব্রায়ান বেনেট খেলেন ২৫ বলে ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংস।
কেনিয়ার ১২২ রানের লক্ষ্য একেবারে মামুলি বানিয়ে ছাড়ে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও তাদিওয়ানাশে মারুমানি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে সাচিন গিলকে ছক্কা হাঁকিয়ে ঝড়ের আভাস দেন বেনেট। জিম্বাবুয়ের ওপেনার চূড়ান্ত আক্রমণে আসে চতুর্থ ওভারে। লুকাস এনদাসনের এক ওভারে ছয়টি চার মারেন বেনেট।
ব্যক্তিগত ৫১ রানে ফিরে গেলেও দলকে ৭৬ রানের ভিত গড়ে দিয়ে যান। তার দৃষ্টিনন্দন ইনিংসটি ছিল ২টি ছক্কা ও ৮টি চারে সাজানো।
প্রথম উইকেটের পতনের পরও রান চাকা সচল রাখেন মারুমানি। সাজঘরে ফেরার আগে ২৭ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। বাকি পথ হেঁটে জয় বন্দরে পৌঁছান সিকান্দার রাজা।ও রায়ান বার্ল।
এর আগে পুশকার শর্মার সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে শুরুতেই দলকে বাজে ঘটনার সাক্ষী করান ধীরেন গণ্ডারিয়া। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ইনিংসের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন গণ্ডারিয়া। পরে অবশ্য রাকেব প্যাটালের সঙ্গে ছোট্ট জুটি গড়ার চেষ্টা করেন পুশকার। সে যাত্রা সফল হতে দেননি মুজরাবিন। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করেন কেনিয়া ওপেনারকে।
পুশকার ১৭ বলে ১১রান করে যখন ফেরেন তখন দলীয় সংগ্রহ ৩১ রান। পরের ওভারে আরও একবার দলকে সমস্যায় ফেলেন সাচিন ভুদিয়া। থিতু হওয়ার আগেই তাকে ফেরান ব্রাড ইভানস।
দলের এমন ভঙ্গুর দশা সামাল দেওয়ার কাজটি ভালোভাবে সামাল দেন রাকেপ প্যাটেল। ৪৭ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন নেপালের এই স্পিন অলরাউন্ডার। যা ছিল ১ ছক্কা ও ৮ চারে সাজানো। মূলত রাকেপের একার কৃতিত্বে স্কোরবোর্ডে ১২২ রান জমা করতে পারে নেপাল।
নামিবিয়া-জিম্বাবুয়ে ছাড়াও আফ্রিকা মহাদেশ থেকে বিশ্বকাপ নেবে দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বিশ্বকাপের ফলের ভিত্তিতে সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে তারা।
সামনের বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করা ১৭তম দল জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিক হিসেবে সবার আগে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয় ভারত, শ্রীলঙ্কার। এছাড়া গত আসরের সুপার এইটে খেলা সাত দল- বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি বিশ্বকাপে যায়।
গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত র্যাঙ্কিং বিবেচনায় নিশ্চিত হয় আরও তিন দল- পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিশ্বকাপ অংশগ্রহণ।
পরে আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই থেকে মূল পর্বে যায় কানাডা। আর ইউরোপিয়ান অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে নেদারল্যান্ডস ও ইতালি। এবার আফ্রিকা অঞ্চল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়া অংশ নেবে।
আগামী ৮ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে ইস্ট-এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বাছাই। সেখানে বাকি ৩টি টিকিটের জন্য লড়বে ৯ দেশ।