৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৫ পিএম
২০১২ থেকে ২০১৮- ছয় বছরের মধ্যে এশিয়া কাপের ৪ আসরের ৩টিতে ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। এরপর থেকে শুধুই হতাশা। মাঝে গ্রুপ পর্বেও থেমেছে তাদের যাত্রা। এবার আরেকটি নতুন আসরে যাওয়ার আগে নিজেদেরকে ভালোভাবে প্রস্তুত বলছেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এশিয়া কাপের নতুন আসর। টুর্নামেন্টের তৃতীয় দিন হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ। সেই মিশনে যাওয়ার আগে ঘরের মাঠে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে লিটনের দল।
সব কিছু ঠিক থাকলে, আগস্ট মাসে ভারতের বিপক্ষে খেলতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু হুট করেই সেই সফর স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। তাই তড়িঘড়ি করে নেদারল্যান্ডসকে ডেকে এনে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন
তিন ম্যাচে দুই ভাইয়ের ৪ সেঞ্চুরি |
![]() |
শক্তি-সামর্থ্যে অনেক পিছিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে প্রত্যাশিত ফলই পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ন্যুনতম লড়াইও করতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। বোলারদের দাপুটে পারফরম্যান্সে খুব সহজেই জয় পায় স্বাগতিকরা।
বুধবার সিরিজের শেষ ম্যাচে অবশ্য কোনো ফল আসেনি। সিরিজে প্রথম আগে ব্যাট করে ১৮.২ ওভারে ১৬৪ রান করে বাংলাদেশ। এরপর বৃষ্টির কারণে আর খেলায় যায়নি। তাই এশিয়া কাপের আগে শেষ ম্যাচে বোলারদের অনুশীলনের সুযোগ মেলেনি।
তবে সার্বিকভাবে দলের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট লিটন। সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের পুরোপুরি প্রস্তুত ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“আমার মনে হয়, এশিয়া কাপের জন্য আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত। শুরুতেই বলেছি, আমরা যে ক্যাম্পটা করেছি সেটা শুধু এই সিরিজের জন্য নয়। আমাদের সামনে যত সিরিজ থাকবে, সেগুলোর জন্যও যেন প্রস্তুত থাকতে পারি। এত ভালো ক্যাম্প আমি কখনও দেখিনি।”
“ফিটনেস তো মিরপুরেও করা যায়। তবে যে ধরনের অনুশীলন আমরা করতে চেয়েছি, সেটা সিলেটেই শুধু পাওয়া গেছে। তাই আমার কাছে মনে হয়, সব মিলিয়ে আমাদের এই জার্নিটা খুব ভালো ছিল।”
তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে তেমন পরিবর্তন করেনি বাংলাদেশ। তবে সব ক্রিকেটারকে দেখে নেওয়ার জন্য বুধবারের ম্যাচটিতে ৫টি পরিবর্তন করে বাংলাদেশ।
যার ফলে সিরিজে প্রথমবার ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পান তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, নুরুল হাসান সোহান ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি। স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধু মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনই কোনো ম্যাচে কিছু করতে পারেননি।
বৃষ্টির বাগড়া না এলে হয়তো শেষ ম্যাচে বোলিংয়ের সুযোগ পেতেন সাইফ উদ্দিন। সেটি নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ আছে লিটনের। তবে সার্বিকভাবে ইতিবাচক থাকার কথাই বলেন তিনি।
আরও পড়ুন
হৃদয় বড় ম্যাচের খেলোয়াড়, ওকে নিয়ে চিন্তিত নই: লিটন |
![]() |
“সব দিক দিয়ে আমার মনে হয়েছে, পজিটিভ। যারা ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে, ভালো খেলেছে। শুধু সাইফ উদ্দিন কিছুই করতে পারেনি। বাকি সবার অন্তত একটা হলেও ম্যাচের সুযোগ হয়েছে। আমার মনে হয় অনুশীলন করা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি ম্যাচে কতটা ডেলিভার করতে পারছেন। ম্যাচ খেললে আপনার উন্নতি বাড়বে, গেম সেন্স বাড়বে।”
এসময় এশিয়া কাপে নিজেদের লক্ষ্যের কথাও বলেন লিটন।
“এশিয়া কাপে অধিনায়ক হিসেবে আমার লক্ষ্য ভালো ক্রিকেট খেলা। ভালো ক্রিকেট খেলার ওপরে তো কিছু নেই। আর ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলেই ম্যাচে জয় আসবে।”
No posts available.
আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল, ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে ভারত ও শ্রীলঙ্কায়। অপেক্ষা ছিল সময় নির্ধারণের। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে হবে ছেলেদের কুড়ি ওভারে বিশ্বকাপ। জানা গেছে, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে টুর্নামেন্ট।
বিশ্বকাপে অংশ নেবে মোট ২০ দল। ভারতের অন্তত পাঁচটি ভেন্যু এবং শ্রীলঙ্কার দুটি ভেন্যুতে হবে ম্যাচগুলো। ফাইনাল আয়োজনের জন্য নির্ধারিত হয়েছে আহমেদাবাদ বা কলম্বো। তবে পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে খেলা হবে কলম্বোয়।
আরও পড়ুন
গোল করেও খুশি নন ফাহামিদুল |
![]() |
২০২৪ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপের মতোই এবারের ফরম্যাট। চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে মাঠে নামবে ২০ দল। প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা দুই দল উঠবে সুপার এইটে, সেখান থেকে নির্ধারিত হবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের লাইনআপ। গতবার বার্বাডোসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।
এরই মধ্যে ১৫টি দল নিশ্চিত করেছে , ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে। দলগুলো হলো- ভারত, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, নেদারল্যান্ডস ও ইতালি। ইতালি প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে। বাকি পাঁচটি দল আসবে আঞ্চলিক বাছাইপর্ব থেকে।
এশিয়া কাপ শুরুর আগে সূচি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চরিত আসালাঙ্কা ও আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। আজ দুবাইয়ে অধিনায়কদের সংবাদ সম্মেলনে ব্যস্ত সূচি ও ভ্রমণঝক্কির কথা উল্লেখে করে, ‘এটি আদর্শ নয়’ বললেন না তাঁরা।
জিম্বাবুয়েতে টানা দুটি টি-টোয়েন্টি খেলে সরাসরি দুবাইয়ে পৌঁছান আসালাঙ্কা। সংবাদ সম্মেলনে মজা করে তিনি বলেন, 'এখন আমার প্রচণ্ড ঘুম পাচ্ছে। আসলে এই প্রশ্নের উত্তর কাল দেওয়া ভালো হতো। টানা ম্যাচ খেলে সরাসরি ভ্রমণ করা সত্যিই কঠিন। আমাদের অন্তত দুই দিন বিশ্রাম প্রয়োজন। আশা করি কোচ আমাদের ছুটি দেবেন। গরমে সতেজ থাকা এবং প্রথম ম্যাচে শতভাগ দেওয়াই আমার মূল লক্ষ্য।'
অবশ্য প্রথম ম্যাচের আগে চার দিনের বিরতি পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তান বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ করার পর দুই দিন বিরতি দিয়েই হংকংয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে আজ আফগানিস্তান।
আরও পড়ুন
দেম্বেলের চোটে নিজেদের দায় দেখছেন না ফ্রান্স কোচ |
![]() |
সূচি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে রশিদ খান বলেন,
'এটা মোটেও আদর্শ পরিস্থিতি নয়। আমরা অধিনায়কেরা নিজেদের মধ্যে এ নিয়েই আলোচনা করছিলাম। তবে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের মানিয়ে নিতে হয়। মাঠে নামার পর অন্য কিছু ভাবা ঠিক নয়। মনে আছে, একবার বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে গিয়েই সরাসরি ম্যাচ খেলতে হয়েছিল।'
ব্যস্ত সূচিতে সমস্যা হলেও পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এই বাস্তবতা মেনে নিতেই হয়। রশিদ বললেন,
'পেশাদার হিসেবে শক্ত মন দরকার। যদি এসব নিয়ে অভিযোগ করি, তাহলে পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়বে। মাঠে নামলে সবকিছু ভুলে শুধু শতভাগ দেওয়ার দিকেই মনোযোগ দিতে হবে।'
এশিয়া কাপে গ্রুপ 'বি' আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশ ও হংকং। উদ্বোধনী ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে আজ মাঠে নামবে আফগানরা।
এশিয়া কাপ শুরু হচ্ছে আজ। তবে বাংলাদেশ দলের অভিযান শুরু হবে আগামী পরশু। তার আগে অধিনায়কদের মিলনমেলা ও ট্রফি উন্মোচন হয়ে গেল দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। আমিরাতের তপ্ত রোদে ট্রফি সামনে বসিয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আট অধিনায়কের মুষ্টিবদ্ধ হাত, যেন ইঙ্গিত দিল- ‘ন্যূনতম ছাড় নেই, এ শিরোপা লড়াইয়ে’।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস তো সংবাদ সম্মেলনে বললেনই, এশিয়া কাপের অধরা শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য ফাইনাল পর্যন্ত। তিনবার ফাইনাল খেলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারেনি তারা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার আগে অধিনায়ক লিটন দিয়েছিলেন শিরোপা নিয়ে দেশে ফেরার প্রত্যয়। এমন আত্মবিশ্বাসী হওয়ার দারুণ বাস্তবতাও রয়েছে তাঁদের। টি-টোয়েন্টিতে টানা তিনটি সিরিজ জিতেছেন লিটনরা। এর মধ্যে প্রতিযোগিতার দুই শক্তিশালী দল শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে হারিয়েছেন তাঁরা। তারপর কদিন আগে উড়িয়ে দিয়েছে নেদারল্যান্ডসকে।
আরও পড়ুন
নিয়মরক্ষার ম্যাচে ফাহমিদুল-মোরছালিনদের বড় জয় |
![]() |
এশিয়া কাপে সেই ছন্দ ধরে রাখতে চায় বাংলাদেশ। টানা তিন সিরিজ জয়ের প্রসঙ্গ টেনে লিটন বললেন,
‘গত তিনটি সিরিজে আমরা খুব ভালো খেলেছি। সব খেলোয়াড়ই খুব উচ্ছ্বসিত। এশিয়া কাপে প্রতিটি দলই শক্তিশালী। ম্যাচ জিততে হলে শতভাগ দিতে হবে। সেটাই আসল চ্যালেঞ্জ।’
এশিয়া কাপে এবার গ্রুপ পর্বের বাধা উতরাতে কঠিন চ্যালেঞ্জেরমুখে পড়তে পারে বাংলাদেশ। ‘বি’গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং। আগামী পরশু হংকংয়ের ম্যাচ দিয়ে অভিযানে নামবে বাংলাদেশ দল।
এরই মধ্যে হার্ষা ভোগলে, আকাশ চোপড়া, রাসেল আর্নল্ডদের মতো সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকেরা সেমিফাইনালের দৌড়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানকেই এগিয়ে রেখেছেন। তবে লিটন জানালেন, কাউকে ভুল প্রমাণ করার বাড়তি চাপ নিয়ে খেলতে চান না তাঁরা।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপের আগে ধোঁয়াশায় ভারত |
![]() |
বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন শুধু খেলায় মনোযোগ দিতে চান,
‘কাউকে ভুল প্রমাণ করার বাড়তি তাগিদ আমাদের নেই। আমরা সম্প্রতি ভালো ক্রিকেট খেলছি, প্রস্তুতি ক্যাম্পও দারুণ কেটেছে। এশিয়া কাপ চ্যালেঞ্জিং হবে কারণ সব দলই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। তবে আমরা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার অপেক্ষায় আছি। আমাদের মনোযোগ শুধু সর্বোচ্চটা দেওয়ার দিকে।’
একাধিকবার ফাইনাল খেলে শিরোপা না জেতার আক্ষেপের কথাও ছিল লিটনের কণ্ঠে। তাঁর বিশ্বাস এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সময়,
‘আমরা কয়েকবার রানার্সআপ হয়েছি, কিন্তু কখনো শিরোপা জিততে পারিনি। ইতিহাস ভাঙার জন্যই, আমরা এবার সেটি পাল্টানোর চেষ্টা করব। সহজ হবে না, তবে দল হিসেবে কোথায় উন্নতি করা যায় সেটায় মনোযোগ দেব এবং সেরা ক্রিকেট খেলব।’
আইসিসির সব সদস্য দেশকে টি-টোয়েন্টি স্ট্যাটাস দিয়ে দেওয়ার পর থেকে নিয়মিতই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যায় অদ্ভুত সব রেকর্ড আর কীর্তি। তেমনই এক অনন্য রেকর্ডের জন্ম দিয়েছেন ভানুয়াতু নারী দলের অধিনায়ক রাচেল অ্যান্ড্রু।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইস্ট-এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বাছাইয়ে মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে একই ম্যাচে ফিফটি ও হ্যাটট্রিক করেছেন রাচেল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কদের মধ্যে এটিই প্রথম ফিফটি ও হ্যাটট্রিকের ঘটনা।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপের আগে ধোঁয়াশায় ভারত |
![]() |
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১৪ চার ও ১ ছক্কায় ৭১ বলে ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন রাচেল। পরে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১০ রানে নেন ৩ উইকেট। ইন্দোনেশিয়ার ইনিংসে ১৯তম ওভারে পরপর তিন বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ভানুয়াতু অধিনায়ক।
রাচেলের ইতিহাস গড়া পারফরম্যান্সের পর ৭ রানে ম্যাচ জিতে বাছাইয়ে যাত্রা শুরু করে ভানুয়াতু।
সব মিলিয়ে একই ম্যাচে ফিফটি ও হ্যাটট্রিক করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার রাচেল। চলতি বছরের শুরুর দিকে ফ্রান্সের বিপক্ষে এক ম্যাচে তারই সতীর্থ সেলিনা সোলমান ফিফটি ও হ্যাটট্রিকের প্রথম কীর্তি গড়েন।
ওই ম্যাচে ব্যাট হাতে ৫৬ রানের সঙ্গে বোলিংয়ে কোনো রান খরচ না করেই ৪ উইকেট নিয়েছিলেন সোলমান।
আরও পড়ুন
শেষ ম্যাচ খেলার ৬ বছর পর পাকিস্তানি পেসারের অবসর |
![]() |
ইন্দোনেশিয়াকে হারিয়ে যাত্রা শুরুর পর বাছাইয়ে 'বি' গ্রুপের দুই নম্বরে অবস্থান করছে ভানুয়ারু। সবার ওপরে রয়েছে স্বাগতিক ফিজি।
আট দলের বাছাইপর্ব থেকে শীর্ষে থাকা দল পাবে বৈশ্বিক বাছাইপর্বের টিকেট। যেখানে এরই মধ্যে ঠিক হয়েছে বাকি ৯ দল- বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল, স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র।
এশিয়া কাপ আসে, যায়। লিপিবদ্ধ হয় অজস্র রেকর্ড-গল্প আর সুখ-দুখের কল্পকাহিনি। ১৬শ শতাব্দীতে মাঠে গড়ানো ক্রিকেট ধারে-ভারে-ঐতিহ্যে এখন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। ব্যাট-বলের ময়দানি লড়াই আরও চিত্তাকর্ষক করে তুলতে বদলে ফেলা হয়েছে এর ফরম্যাট। যার আধুনিকতম সংস্করণ টি-টোয়েন্টি ও টি-টেন। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় শুরু হচ্ছে আট জাতির টুর্নামেন্টের ১৭তম আসর। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে আফগানিস্তান-হংকং। আগামীকাল (বুধবার) একই সময়ে আসরের অন্যতম ফেভারিট ভারতের সঙ্গে খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
১৯৮৪ সালে যাত্রা শুরু করা এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি (৮ বার) শিরোপাজয়ী দল ভারত। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ম্যান ইন ব্লুজরা এবার পড়েছে ‘এ’ গ্রুপে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ছাড়াও সূর্যকুমার যাদবদের গ্রুপে রয়েছে ওমান ও সংযুক্ত আরব-আমিরাত। আগামীকাল স্বাগতিক আরব আমিরাতের ম্যাচের আগে দলের একাদশ, বিশেষ করে বোলিং-ব্যাটিং বিভাগ নিয়ে কথা বলেছেন দলের বোলিং কোচ মর্নে মরকেল। যদিও মোহাম্মদ ওয়াসিমদের বিপক্ষে কেমন একাদশে হতে পারে তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দেননি সাবেক প্রোটিয়া এই তারকা পেসার।
আরও পড়ুন
স্টোকসকে নিয়ে সুসংবাদ পেল ইংল্যান্ড |
![]() |
দুবাইয়ে সবশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চারজন স্পিনার নিয়ে আক্রমণভাগ সাজিয়েছিল ভারত। মরকেল মনে করেন, এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। কন্ডিশন বিবেচনায় এবার তাদের ভিন্ন পরিকল্পনায় এগোতে হতে পারে। তিনি বলেন, ‘দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট আবারও দেখতে হবে। সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় এখানে অনেক ম্যাচ হয়েছে। আমার মনে হয়, ক্রিকেট কিছুটা সারফেস হারিয়েছে। ক্লান্ত বলা যেতে পারে।’
তিনি যোগ করেন, ‘সবকিছু বিবেচনায় আমরা রাতের দিকে আরেকবার উইকেট দেখব। আমার ধারণা, উইকেটে ঘাস রয়েছে। ফলে, প্রথম ম্যাচে নামার আগে আমরা বুঝে নিতে পারব কোন কৌশল সবচেয়ে ভালো কাযকর হবে। তবে আপাতত আমরা সব ধরনের বিকল্পের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং ম্যাচের দিন সকালে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
যদি ভারত অতিরিক্ত একজন পেসার খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তবে নতুন বলে জাসপ্রিত বুমরাহর সঙ্গী হতে পারেন আর্শদীপ। একই সঙ্গে, তরুণ পেসার হার্ষিত রানা ও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া—এই দুইজনও পেস আক্রমণের অংশ হতে পারেন। আর ভারতের ভাণ্ডারে রয়েছে একাধিক স্পিনার। বরুণ চক্রবর্তী, অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদব—এই তিনজন প্রথম ম্যাচে কেউ কারো থেকে পিছিয়ে নেয়।
স্পিন বিভাগ, বিশেষ করে কুলদ্বীপকে বেশ আশাবাদী কোচ মরকেল। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, কুলদ্বীপ বেশ প্রফেশনাল। ইংল্যান্ড সফরে সে তার সর্বোচ্চটা দেখিয়েছে। তাছাড়া কুলদীপ তার ক্যারিয়ারে অনেক ওভার বল করেছে। সে জানে কী করতে হবে টি-টোয়েন্টি এবং সাদা বলের ক্রিকেটে। যখন আমরা ট্রেনিং করি, তখন সেটা যেন ফোকাসড হয়, যেন এর পেছনে একটা লক্ষ্য থাকে এবং আমরা যেন সেই লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করি।’
আরও পড়ুন
আমাদের দলের ১৬ জনই ট্রাম্প কার্ড: লিটন |
![]() |
সবচেয়ে জরুরি যে অংশ-ওপেনিং জুটি। উদ্বোধনী জুটিতে নির্দ্বিধায় থাকবেন অভিষেক শর্মা। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ওপেনিং সতীর্থ কে হবেন, এটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। সঞ্জু বেশ ভালো ফর্মে রয়েছেন। ওপেনিংয়ে তিনিই সব থেকে বড় দাবিদার। শুভমান গিলকে নিয়েও কথা হচ্ছে বেশ। ভারতেরও ওপেনিং জুটি হিসেবে অভিষেক শর্মা এবং গিলকে দেখা যেতে পারে। সঞ্জুকে নিয়েও সাসপেন্স রয়েছে।
সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টিতে বলা যায় অপ্রতিরোধ্য ভারত। শুভমান গিল, সাঞ্জু স্যামসন, জিতেশ শর্মা, রিঙ্কু সিং, অভিষেক শর্মাদের মত ব্যাটার, হার্দিক পান্ডিয়া, শিবাম দুবে, অক্ষর প্যাটেলদের মতো অলরাউন্ডারদের পাশাপাশি জসপ্রিত বুমরাহর নেতৃত্বে শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ।