হারারেতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল সফরকারীরা।
আজ হারারে স্পোর্টস ক্লাবে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ২৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, তিন বল বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করেছে লঙ্কানরা।
শ্রীলঙ্কার জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পাতুম নিশাঙ্কার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের সপ্তম ওয়ানডে শতক করে ১৩৬ বলে ১২২ রান করে আউট হন এই ওপেনার। অধিনায়ক চরিত আসালঙ্কা ৬১ বল করেছেন ৭১ রান।
এর আগে টসে জিতে জিম্বাবুয়ে কে ব্যাটিংয়ে পাঠান লঙ্কান অধিনায়ক আসালাঙ্কা। ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে জিম্বাবুয়ে। কোনো উইকেট না হারিয়ে যোগ করে ৫০ রান। ২১ রান করে ব্রায়ান বেনেট আউট হলে ভাঙে ৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।
দ্বিতীয় উইকেটে ব্রেন্ডন টেলরকে সঙ্গে নিয়ে ৬১ রানের আরেক কার্যকর জুটি গড়েন বেন কারান। টেলর (২০) আউট হলেও ব্যাক্তিগত ফিফটি তুলে নেন কারান।
৭৯ রান করে আসিতা ফার্নান্দোর বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কারান। শেষ দিকে সিকান্দার রাজার অপরাজিত ৫৯ রানের ওপর ভর করে ৭ উইকেটে ২৭৭ রান স্কোরে জমা করে জিম্বাবুয়ে। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুশমন্ত চামিরা নেন তিনটি উইকেট।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৭ রানে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। দুই ম্যাচের সিরিজে- দুটোই জিতে নিল সফরকারীরা। ম্যাচসেরা হয়েছেন নিশাঙ্কা।
No posts available.
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৫ এম
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৮ পিএম
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১১ পিএম
আফগানিস্তান আবারও দেখাল টি-টোয়েন্টিতে তারা কতটা ভয়ঙ্কর দল। ইব্রাহিম জাদরান ও সেদিকউল্লাহ আতালের ফিফটিতে ইনিংসের ভিত্তি। পরে ফারুকি-নবি-রাশিদের বোলিংয়ে পাকিস্তানকে চেপে ধরে ১৮ রানের জয় নিশ্চিত করেছে তারা। ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম ম্যাচে ফখর-সালমানদের কাছে হেরেছিল আফগানিস্তান, ফিরতি দেখায় সে প্রতিশোধও নেওয়া হলো।
শারজাহতে গতকাল আগে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান তোলে আফগানিস্তান। ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান থামে ১৫১ রানে।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান শুরুতেই হারায় রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। এরপর ইব্রাহিম (৬৫) ও সেদিকউল্লাহ (৬৪) দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ১১৩ রানের জুটি। তাতেই চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় তারা। স্কোর আরো বড় হওয়ার ইঙ্গিত দিলেও ফাহিম আশারাফের অসাধারণ বোলিয়ে ১৬৯ রানে পর্যন্ত তুলতে পারে আফগানিস্তান।
আরও পড়ুন
দুঃস্বপ্নের অভিষেকে বেকারের লজ্জার রেকর্ড |
![]() |
ফাহিম টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারসেনা ২৭ রানে নেন ৪ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। ফারুকি শুরুতেই সাইম আইয়ুবকে (০) ফেরান। ফাখর জামান (২৫), ফারহান (১৪) ও অধিনায়ক সালমান আলি আঘা (২০) থিতু হয়েও আউট হলে বিপর্যয়ে পড়ে দল। মোহাম্মদ নবি এনে দেন ব্রেক-থ্রু। পরপর উইকেট তুলে নেন নুর আহমেদ ও রাশিদ খান।
শেষদিকে হারিস রউফের ১৬ বলে ৩৪ রানের ঝড় পাকিস্তানের হারের ব্যবধান কিছুটা কমায়। তবে তাতে লাভ হয়নি। ১৮ রানের হারে সিরিজে সমান ৪ পয়েন্টে অর্জন দুই দলেরই।
কাল পাকিস্তান মুখোমুখি হবে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের।
ক্রিকেটে কারও কারও শুরুটা হয় স্বপ্নের মতো, হাওয়ায় ভেসে। কেউ কেউ আবার যাত্রা শুরু করেন ভুলে যাওয়ার মতো। ইংল্যান্ডের তরুণ পেসার সনি বেকার আছেন দ্বিতীয় দলে। অভিষেক ম্যাচে তিনি গড়েছেন বিব্রতকর এক রেকর্ড।
হেডিংলিতে মঙ্গলবার ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে সিরিজ শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৩২ রানের লক্ষ্য মাত্র ২০.৫ ওভারে ছুঁয়ে ফেলেছেন এইডেন মার্করাম, রায়ান রিকেলটনরা। আর সবচেয়ে ঝড় তারা তুলেছেন অভিষেকের বেকারের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন
সভাপতি পদে তামিমের পক্ষে একজোট ক্লাব, বুলবুলের ঘোষণা প্রশ্নবিদ্ধ |
![]() |
এই ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে তথা আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে বেকারের। আর প্রথম দিনেই মাত্র ৭ ওভার বোলিং করে ২২ বছর বয়সী পেসার দিয়েছেন ৭৬ রান। যা কিনা মোট রানের প্রায় ৬০ শতাংশ।
ওয়ানডে অভিষেকে ইংল্যান্ডের কোনো বোলারের সবচেয়ে বেশি রান খরচের রেকর্ড এটি। বাঁহাতি স্পিনার লিয়াম ডসনকে এই রেকর্ড থেকে মুক্তি দিয়েছেন বেকার। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজের প্রথম ম্যাচে ৮ ওভারে ৭০ রান দিয়েছিলেন ডসন।
এই দুজনের বাইরে ইংল্যান্ডের আর কোনো বোলারের ওয়ানডে অভিষেকে ৭০ বা এর বেশি রান দেওয়ার নজির নেই।
অভিষেক ম্যাচটিতে বেকারের ওভারপ্রতি খরচ ১০.৮৫ রান। এই ফরম্যাটে অভিষেক ওয়ানডেতে অন্তত ৭ ওভার বোলিং করা বোলারদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বাজে ইকোনমি রেটের বিশ্ব রেকর্ড।
২০০৮ সালে নিজ জন্মভূমি নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ ওভারে ১০.৫৫ ইকোনমি রেটে ৯৫ রান দিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের অভিষিক্ত পেসার পিটার কোনেল। যা এখনও ওয়ানডে অভিষেকে সর্বোচ্চ রান খরচের রেকর্ড। তবে সবচেয়ে বাজে ইকোনমি রেটের রেকর্ড থেকে এখন মুক্ত কোনেল।
১৩১ রানের মামুলি পুঁজি নিয়ে অভিষিক্ত বেকারের হাতে প্রথম ওভারে বল তুলে দেন হ্যারি ব্রুক। তিন চারে ওই ওভারে ১৪ রান দেন বেকার। পরের ওভারে মার্করামের কাছে দুই ছক্কা ও এক চার হজম করে বেকারের খরচ ২০ রান।
আরও পড়ুন
আরও কিছু দিন থাকতে পারলে ভালো লাগত: জুলিয়ান উড |
![]() |
পরের দুই ওভারেও একই খরুচে বোলিং করেন তরুণ পেসার। নিজের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হজম করে মাত্র ২৩ বলে রান খরচের ফিফটি করে ফেলেন বেকার। শেষ বলে চার মেরে মার্করামও নিজের ফিফটি করেন ২৩ বলে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনারদের মধ্যে ওয়ানডেতে এটিই দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।
প্রথম চার ওভারে ৫৬ রান দেওয়া বেকার পরে প্রান্ত বদল করে আরও তিন ওভার হাত ঘোরান। সেখানে তুলনামূলক ভালো করে দেন ২০ রান। তবু সব মিলিয়ে বিব্রতকর রেকর্ডের হাত থেকে রেহাই পাননি তিনি।
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন- ১ সেপ্টেম্বর সিলেটে পরিচালনা পরিষদের সভা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবি এই সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য নাম সুপারিশ করবেন। বিসিবির এই ঘোষণায় নড়েচড়ে বসেছে বিসিবির সাধারণ পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ক্লাব, ক্রিকেটার এবং সংস্থাসমূহ।
নির্বাচনের পদক্ষেপ গ্রহণে মঙ্গলবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি) চিঠি দিয়েছে বিসিবি। নির্বাচনের অন্তত: ৩০ দিন আগে স্ব স্ব সংস্থা এবং ক্লাবের কাছে কাউন্সিলর ফরমও পাঠিয়ে দেওয়া শুরু করেছে বিসিবি।
২০১৩ সাল থেকে সভাপতি পদে নির্বাচন শুরু হয়েছে বিসিবিতে। বিসিবির বিগত ৩টি নির্বাচনে পরিচালনা পরিষদে নির্বাচিতদের মধ্যে সভাপতি পদে একাধিক প্রার্থী দেখা যায়নি ওই তিনটি নির্বাচনে। নাজমুল হাসান পাপন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রতিবারই সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রতিশোধ আফগানদের |
![]() |
তবে বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচনে একাধিক প্রার্থীর আগ্রহের কথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই পদে তামিম ইকবাল বনাম আমিনুল ইসলাম বুলবুলের জমজমাট লড়াইয়ের প্রত্যাশা করছেন এখন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা।
দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার ক্লাব অফিসিয়ালরা আলোচনার পর আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি খুঁজে পেয়েছেন। বাংলাদেশের কিংবদন্তি ক্রিকেটার তামিম ইকবালের নেতৃত্বে বিএনপি সমর্থিত প্যানেল মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। যে প্যানেল থেকে পরিচালক নির্বাচিত হলে সভাপতি পদে নির্বাচন করার কথা এই ক্রিকেট গ্রেটের।
গত এক যুগ ধরে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বে পরিচালিত পরিচালনা পরিষদের কারো জায়গা হচ্ছে না এই প্যানেলে। ফ্যাসিস্টমুক্ত ক্রিকেট বোর্ড গঠনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন মুখ এই প্যানেলের হয়ে বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারুণ্য নির্ভর এই প্যানেলে বিগত এক যুগে বৈষম্যের শিকার বেশ ক'জন অভিজ্ঞ সংগঠককেও দেখা যাবে।
তামিমরা যখন ক্যাটাগরি-২ (ঢাকার ক্লাব কোটা) ১২ পরিচালক পদে যোগ্য সংগঠকদের নিয়ে প্যানেল মোটামুঠি ঠিক করে রেখেছে; ক্যাটাগরি-৩ এর প্রার্থীও ঠিক, ক্যাটাগরি-১ এর ১০ পরিচালক পদে প্রার্থীর বেশ ক'জনকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে, ঠিক তখন এই প্যানেলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান এবং বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
গত ২৭ মে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি আশুলিয়ায় নিজের কেনা জমি বিক্রি করবেন বলে। এসেই প্রথমে পেয়েছেন বিসিবির সিইও পদে চাকরির প্রস্তাব। পরবর্তীতে অপ্রত্যাশিতভাবে উপদেষ্টার পক্ষ থেকে সভাপতি পদে প্রস্তাব পেলে তা সাদরে গ্রহণ করেছেন। তাকে সভাপতি পদে দায়িত্ব দিতে ফারুক আহমেদকে অপসারণ করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
আইসিসির ডেভেলপম্যান্ট ম্যানেজারের দায়িত্ব নবায়ন না করে মেলবোর্ন থেকে ঢাকায় এসে তিনদিনের মাথায় (৩০ মে) বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি বিসিবির নির্বাচন পূর্ব পরিচালনা পরিষদের নিয়মিত কর্মকাণ্ডের প্রয়োজনে। দায়িত্বের শুরুতে বলেছিলেন বিসিবির সভাপতি পদে খন্ডকালীন দায়িত্ব নিতে এসেছেন তিনি। বিসিবিতে একটা টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে এসেছেন।
অথচ, কথা রাখেননি বুলবুল। গত তিন মাস বিসিবিতে তার প্রতিটি কর্মপরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদী। বিসিবির নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে নিজেই সভাপতি পদে নির্বাচনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল- ‘ইতিমধ্যেই বোর্ডের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আমরা (বিসিবির) নির্বাচন করব এবং প্রপার নির্বাচনই করব। বিসিবিতে সভাপতি নির্বাচন হয় না। পরিচালকদের নির্বাচন হয়, সেটা প্রথম লক্ষ্য এবং সেখানে থাকার চেষ্টা করব। পরবর্তীতে যদি সুযোগ হয়, আমি চেষ্টা করব যেভাবে হোক বাংলাদেশকে সার্ভ করার জন্য।’
আইসিসির বর্তমান পরিচালনা পরিষদের সবাই তার চেনা-জানা, ক্রীড়া উপদেষ্টা তার সমর্থক। ক্রীড়া উপদেষ্টাই তাকে বিসিবিতে নির্বাচিত সভাপতি হতে আগ্রহী করে তুলেছেন। বুলবুলের ঘণিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গেছে তা।
নির্বাচনহীন পরিচালক হয়ে আসতে হলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) কোটা থেকে সরাসরি আসতে হবে তাকে। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদকে অপসারিত করা হয়েছে, ওই ফর্মূলা যে ভবিষ্যতে এনএসসি প্রয়োগ করবে না, তার গ্যারান্টি কই? সে কারণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কোটা থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক হতে চাইছেন না বুলবুল।
ক্যাটাগরি-১ থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
আরও পড়ুন
দুঃস্বপ্নের অভিষেকে বেকারের লজ্জার রেকর্ড |
![]() |
কিন্তু পরিচালক হয়ে বিসিবি সভাপতি পদে নির্বাচনের বৈতরণী পার হবেন কীভাবে বুলবুল? ক্লাবগুলো থেকে নির্বাচিত পরিচালকরা একজোট হলে এবং ক্যাটাগরি-৩ এর পরিচালকের ভোট পেলে সভাপতি পদে তামিম ওড়াবেন বিজয় কেতন। তামিমকে সভাপতি পদে দেখতে বিএনপির নীতি নির্ধারণী মহলের সবুজ সঙ্কেত যখন দেয়া হয়েছে, তখন তামিমের পক্ষে সমর্থন দ্রুত বাড়বে বলেই মনে করছেন ক্রীড়া সংগঠকরা।
বিসিবির নির্বাচন প্রভাবিত করতে পারে কেবল ক্রীড়া প্রশাসন। এবং তা শুধু ক্যাটাগরি-১ (জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা) এ। জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহ এখন চলছে এডহক কমিটি দিয়ে। যে কমিটিতে প্রকৃত ক্রীড়া সংগঠকদের জায়গা হয়নি।
ক্রীড়া প্রশাসনের নির্দেশে ক্যাটাগরি-১ এর কাউন্সিলর মনোনয়নে জেলা প্রশাসক অবস্থান নিতে পারেন। প্রশাসন থেকে মনোনীতদের হাতে কাউন্সিলর ফরম তুলে দিতে পারেন জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ। এ শঙ্কাই করছেন জেলাও বিভাগীয় পর্যায়ের ক্রীড়া সংগঠকরা। এমন কিছু হলে সংশ্লিষ্ট জেলা এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাসমূহে বিএনপি সমর্থিত ক্রীড়া সংগঠকরা তীব্র আন্দোলন করতে পারে। সে আভাসও পাওয়া যাচ্ছে।
তারপরও এই ক্যাটাগরিতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের পূর্ণ সমর্থনে ১০টি পরিচালক সব কটি এবং এনএসসি কোটার ২ পরিচালকের ভোট-ই সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়- এটাও মাথায় রাখতে হবে বুলবুলকে।
বুলবুল যেখানে সভাপতির চেয়ারে বসে এই চেয়ারের মায়া ছাড়তে পারছেন না, সেখানে পরিস্থিতিই তামিমকে এনেছে সামনে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলেই বিসিবির সভাপতি পদে তামিমের সম্ভাবনার জোর গুঞ্জন ছিল।
আরও পড়ুন
মহারাজের ঘূর্ণি, মার্করামের ঝড়ে উড়ে গেল ইংল্যান্ড |
![]() |
অন্তবর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মোহাম্মদ সজীব ভূইয়া দায়িত্ব গ্রহণের পর তামিমকে সঙ্গে নিয়ে হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে এসে সে আভাসই দিয়েছিলেন। তবে তামিম তখন আগ্রহ প্রকাশ না করায় ফারুক আহমেদের উপর বর্তেছিল ওই দায়িত্ব।
পরবর্তীতে দীর্ঘদিন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান পদটি ফাঁকা রেখেছিলেন ফারুক আহমেদ তামিমের সম্মতির আশায়। ওই প্রস্তাবও বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছেন তামিম।
একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন তামিম। ভবিষ্যতে বিসিবি সভাপতি হওয়ার ইচ্ছা পুষে রেখেছিলেন। ঢাকার ২টি ক্লাব পরিচালনা করে ক্লাব অফিসিয়ালদের কাছাকাছি আসতে পেরেছেন। এই পরিকল্পনার প্রাথমিক সুফল এখন দেখতে পাচ্ছেন তামিম।
দেখতে দেখতে শেষ হয়ে এলো জুলিয়ান উডের বাংলাদেশ অধ্যায়। এক মাসের দায়িত্বে অনূর্ধ্ব-১৯ দল, নারী ক্রিকেট, স্থানীয় কোচ ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে কাজ করার পর এবার বিদায়ের পালা বাংলাদেশের পাওয়ার হিটিং কোচের।
আর দায়িত্ব শেষের আগে উড বললেন, আরও কিছু দিন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে ভালো লাগত তার। তাতে উপকৃত হতেন লিটন কুমার দাস, পারভেজ হোসেন ইমনরা। ছক্কা মারার সামর্থ্যের চূড়ায় পৌঁছে যেতেন ক্রিকেটাররা।
পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে গত মাসের শুরুর দিকে উডকে নিয়োগ দেয় বিসিবি। খণ্ডকালীন চুক্তিতে ৩০ দিনের জন্যই দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। স্বল্প মেয়াদের এই অধ্যায়ে শুরুতে স্থানীয় কোচদের সঙ্গে কর্মশালা করেন উড।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রতিশোধ আফগানদের |
![]() |
পরে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জাওয়াদ আবরার, আজিজুল হাকিম তামিমদের নিয়ে কাজ করেন ইংলিশ এই কোচ। এছাড়া নারী দলের নিগার সুলতানা জ্যোতি, শারমিন আক্তার সুপ্তাদের জন্যও করা হয় উডের পাওয়ার হিটিংয়ের বিশেষ সেশন।
আর তিনি আসল কাজটা করেন মূলত লিটন, ইমন, তানজিদ হাসান তামিমদের নিয়ে। প্রো ভেলোসিটি ব্যাট ব্যবহার করে ব্যাটারদের ব্যাট সুইং বাড়ানোর দীক্ষা দেন। পাশাপাশি আরও নানান ড্রিলের মাধ্যমে শটের জোর বাড়ানোর কৌশল শেখান অভিজ্ঞ এই কোচ।
তবে বেশি দিন উডের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেলেন না ক্রিকেটাররা। কারণ বুধবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি দিয়ে শেষ হচ্ছে উডের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি। এরই মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নতুন করে বাড়ানো হচ্ছে না মেয়াদ।
ফিরে যাওয়ার আগে মঙ্গলবার শেষবারের মতো জাকের আলি অনিক, তাওহিদ হৃদয়দের সঙ্গে কাজ করেন উড। পরে টি স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপে শোনান বাংলাদেশে এই সংক্ষিপ্ত অধ্যায়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা।
“খুবই ভালো অভিজ্ঞতা। এটি কষ্টের ব্যাপার যে শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে সময়টা দারুণ ছিল এবং ক্রিকেটাররাও পারফর্ম করেছে। এটিই সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ব্যাপার।”
আরও পড়ুন
দুঃস্বপ্নের অভিষেকে বেকারের লজ্জার রেকর্ড |
![]() |
পাওয়ার হিটিংয়ের ব্যাপারে গত কিছু দিনে ক্রিকেটারদের বেশ কয়েকজনই বলেছেন, উডের সঙ্গে কাজ করার ফল এত দ্রুত পাওয়া যাবে না। টানা এসব ড্রিল করে গেলে ধীরে ধীরে বড় শট খেলার সামর্থ্যের উন্নতি দেখতে পাবে সবাই।
উডের ভাবনাও একই। তাই আরও কিছু দিন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা ছিল তার।
“হ্যাঁ অবশ্যই! আরও কিছু দিন এখানে থাকতে পারলে ভালো লাগত। তাদের সঙ্গে আরও কাজ করতে ভালোবাসতাম। তারা এখনও সামর্থ্যের চূড়ায় পৌঁছায়নি। এই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে কোনো ইগো নেই। তারা দারুণ একটি দল। ভবিষ্যতের জন্য অনেক শুভকামনা।”
‘বিকেল ৫টা ২৬ মিনিট! এখন মাত্র ইনিংস বিরতি হওয়ার কথা’- ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের বল বাই বল আপডেট শেষে এই কথা লিখেছে ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো। তাদের এই কথা লেখার কারণ হলো, এক ইনিংসের সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে পুরো ম্যাচ।
হেডিংলিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডে-নাইট ম্যাচ খেলতে নামলেও, বিকেল গড়াতেই প্রথম ওয়ানডে হেরে গেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। একশ ওভারের ম্যাচ দুই ইনিংস মিলিয়ে মোটে ৪৫.২ ওভারেই ফল বের করে এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
মঙ্গলবার কেশব মহারাজের স্পিন জাদু ও এইডেন মার্করামের ব্যাটিং তাণ্ডবে ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজ শুরু করেছে প্রোটিয়ারা। আগে ব্যাট করে ২৪.৩ ওভারে মাত্র ১৩১ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ম্যাচ জিততে কেবল ২০.৫ ওভার লাগে সফরকারীদের।
১৭৫ বল বাকি থাকতে জিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এ নিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা তিন ওয়ানডেতে এমন বড় জয় পেল তারা। চলতি বছর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ১২৫ বল বাকি থাকতে জিতেছিল তারা। আর ২০২৩ সালে জয়ের ব্যবধান ছিল ২২৯ রানের।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রতিশোধ আফগানদের |
![]() |
এবার ইংল্যান্ডের ঘরের মাঠে তাদের নাকানিচুবানি খাওয়ানোর মূল কারিগর মহারাজ। বাঁহাতি স্পিনে ২২ রান খরচ করে ৪ উইকেট নেন অভিজ্ঞ তারকা। এছাড়া পেস বোলিং অলরাউন্ডার উইয়ান মুল্ডার ৩৩ রানে নেন ৩ উইকেট।
স্বাগতিকদের পক্ষে ব্যাট হাতে বলার মতো কিছু করতে পারেন শুধু জেমি স্মিথ। ওপেনিংয়ে নেমে দলকে একশ পার করিয়ে আউট হন তিনি। ১০ চারের মারে মাত্র ৪৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন ২৫ বছর বয়সী ব্যাটার।
তখনও ইংল্যান্ডের রান রেট ছিল ছয়ের কাছাকাছি। এরপর মহারাজের ঘূর্ণিতে নামে ব্যাটিং ধস। মাত্র ২৯ রানের মধ্যে শেষের ৭ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা।
রান তাড়ায় শুরুতে ঝড় তোলেন মার্করাম। ৮ চার ও ২ ছক্কায় মাত্র ২৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন অভিজ্ঞ ওপেনার। মনে হচ্ছিল সেঞ্চুরি করেই ফেলবেন। কিন্তু আদিল রশিদের লেগ স্পিনে ধরা পড়ে যান। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫৫ বলে করেন ৮৬ রান।
পরের ওভারে টানা দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান রশিদ। তবে শেষ পর্যন্ত তা করতে পারেননি। আরেক ওপেনার রায়ান রিকেলটন ৫৯ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
লর্ডসে বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল।