২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:৫১ পিএম
বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিলো বিসিবি। প্রথমবারের মতো নারী দলের নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলো সালমা খাতুনকে। এছাড়া ছেলেদের নির্বাচক প্যানেলে জায়গা পেলেন হাসিবুল হোসেন শান্ত।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার দুপুরে একটি জরুরি সভা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ছেলে ও মেয়েদের নির্বাচক প্যানেলে একজন করে নতুন সদস্য যুক্ত করার খবর জানান বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু।
“প্রথমবারের মতো নারী জাতীয় দলের জন্য নির্বাচক হিসেবে সালমা খাতুনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপনারা জানেন, ২০১৪ সালে আইসিসির সেরা বোলার ও অলরাউন্ডার ছিলেন। জাতীয় দলে দীর্ঘদিন অধিনায়কত্ব করেছেন।”
২০১১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত প্রায় এক যুগের ক্যারিয়ারে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ৪৬ ওয়ানডে ও ৯৫ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন সালমা। ওয়ানডেতে তার শিকার ৫২ উইকেট ও টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ৮৪ উইকেট।
নিজের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত দুই ফরম্যাটেই বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন সালমা। এছাড়া দুই ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশকে ৮৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। এবার দল বাছাইয়ে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পালা তার।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেওয়া এই সিদ্ধান্তকে রেভুলশনারি বললেন মিঠুন।
“আমার মনে হয় এটা রেভুলশনারি একটা সিদ্ধান্ত। সালমা থাকায় ভবিষ্যতে নারী দল আরও ভালোভাবে উপকৃত হবে। দেশে প্রথমই হলো এমন।”
এসময় ছেলেদের জাতীয় দলের তৃতীয় নির্বাচক হিসেবে হাসিবুল হোসেন শান্তর নামও ঘোষণা করেন বিসিবি মিডিয়া কমিটির সভাপতি।
“আরেকটা হলো, ছেলেদের দলে নির্বাচকদের একটা জায়গা খালি ছিল। সেই জায়গায় বাংলাদেশের সাবেক পেসার হাসিবুল হোসেন শান্তকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ও আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে মিলে কাজ করবেন।”
২০০০ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট দলের মূল একাদশে ছিলেন শান্ত। সব মিলিয়ে ৫ টেস্ট ও ৩২ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রায় এক যুগের ক্যারিয়ারে দেড়শর কাছাকাছি স্বীকৃত ম্যাচ খেলেছেন সাবেক এই পেসার।
এবার জাতীয় দলের হয়ে তার সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বলে আশাবাদী মিঠু।
“অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলার বিষয় দেখা হয়েছে, সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। আরও ১-২ জন অন্যান্য জায়গায় নির্বাচক হিসেবে আছে। ওদের থেকে অভিজ্ঞ হিসেবে শান্তকে আনা হয়েছে। শান্ত অনেক দিন বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ে খেলেছে। সেই হিসেবে তাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।”
No posts available.
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:১০ পিএম
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:১৯ পিএম
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:০৭ পিএম
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:৪৪ পিএম
এখন আর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে উত্তাপ ছড়ায় না। একপেশে হয়ে গেছে প্রতিবেশি দুদেশের লড়াই। ভারতের সামনে দাঁড়াতেই যেন ভুলে গেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা। এশিয়া কাপে সেটা আরও একবার চোখে পড়েছে। গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোর-দু’বার মুখোমুখি হয়ে দু’বারই বড় ব্যবধানে হেরেছে সালমান আলি আগার দল।
ভারতের কাছা পাত্তা না পেলেও ম্যাচ চলাকালীন বা আগে-পরের ঘটনায় উত্তাপ ছড়িয়ে যেন শান্তি খুঁজছে পাকিস্তান। দুই অধিনায়কের হাত না মেলানো কাণ্ডে ম্যাচ রেফারি পাইক্রফটের বিরুদ্ধে নালিশ, ম্যাচ বয়কটের হুমকি, দেরিতে মাঠে আসার ঘটনা ঘটায় তারা। এবার ফাখার জামানের আউট নিয়ে থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পিসিবি। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের শরণাপন্ন হয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
সুপার ফোরে পাকিস্তান ইনিংসের তৃতীয় ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার অফ-কাটার ড্রাইভ করতে গিয়ে বলের গতিতে ধোঁকা খান ফাখার। বল উইকেটরক্ষক সঞ্জু স্যামসনের হাতে জমা পড়ে বলে সিদ্ধান্ত নেন থার্ড আম্পায়ার রুচিরা পাল্লিয়াগুরুগে। তবে রিপ্লেতে দেখা যায়, বল গ্লাভসে জমা পড়ার আগে মাটির খুব কাছে স্পর্শ করে গেছে।
তার পরেও সেটিকে আউট দেওয়ায় প্রশ্ন তোলেন সালমান আলি। এমনকি ঘটনার পরপরই পাকিস্তান দলের ম্যানেজার নাভেদ আকরাম চীমা ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের কাছে আপত্তি জানান। তবে এটি রেফারির এখতিয়ারের বাইরে বলে জানানো হলে বিষয়টি তিনি সরাসরি আইসিসির আম্পায়ার ম্যানেজারের কাছে উত্থাপন করেন।
ম্যাচ শেষে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে বল গ্লাভসে জমা পড়ার আগে মাটিতে লেগেছিল। তবে আম্পায়ারের কাজ সিদ্ধান্ত নেওয়া, ভুল করতেই পারেন। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি সেটা ভিন্নভাবে দেখেছি।’
দেশটির কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম এশিয়া কাপে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্বে আছেন। গতকাল ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ই তিনি বলেন, ‘ফাখারকে আউট দেওয়ার আগে আম্পায়ারের আরও কয়েকটা অ্যাঙ্গেল দেখে নিশ্চিত হওয়া উচিত ছিল। আর যদি পরিষ্কার প্রমাণ না থাকে, তাহলে সুবিধাটা ব্যাটসম্যানের দিকেই দেওয়া উচিত।’
বিসিবির আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারের স্বাক্ষর নিয়ে কাউন্সিলর ফরম পূরণ করেছেন যারা, তাদের অধিকাংশ জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য নন বলে তাদের পূরণকৃত ফরম গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বাতিল করে যুবও ক্রীড়া সচিবকে নির্দেশনামূলক চিঠি দিয়েছেন। জেলাও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর প্রেরণের বাধ্যবাধকতা আছে বলে যুবও ক্রীড়া সচিবকে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।
যুবও ক্রীড়া সচিবকে লেখা বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল স্বাক্ষরিত এই চিঠিতে ফুঁসে উঠেছেন জেলাও বিভাগ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাউন্সিলর হয়ে আসা সংগঠকরা। তাদের পক্ষ হয়ে সংক্ষুব্ধ ৪ সংগঠক টাঙ্গাইলের এড. এ কে এম আলী ইমাম তপন, লক্ষীপুরের মাইনুদ্দিন চৌধুরী, রাজবাড়ীর এ বিএম মুঞ্জুরুল আলম দুলাল এবং গোপালগঞ্জের জসিমউদ্দিন খসরু সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) হাইকোর্টে রীট মামলা দায়ের করেছেন।
হাইকোর্টে রীট মামলার প্রেক্ষিতে গিত ১৮ সেপ্টেম্বর বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠির কার্যকরিতা ১৫ দিনের জন্য স্থগিত হয়েছে। এবং ১৮ সেপ্টেম্বরের চিঠিতে কেনো নতুন করে কাউন্সিলর তালিকা চাওয়া হলো, তা কেনো অবৈধ ঘোষনা করা হবে না, তার উপর রুল জারী করে ১০ দিনের মধ্যে বিসিবি সভাপতির কাছে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত। বিচারপতি মো: মুজিবুর বহমান মিয়া এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন। এই রীট মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এড. আসাদুর রউফ। বাদি পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার শফিকুল ইসলাম।
আদালতের আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদি এড. এ কে এম আলী ইমাম তপন -
‘বিসিবি সভাপতি গঠণতন্ত্র পরিপন্থিভাবে পুনরায় কাউন্সিলর প্রেরনে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। বিসিবির গঠণতন্ত্রের কোথাও নেই এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর প্রেরণ করতে হবে। অথচ উনি চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন জেলাও বিভাগে এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর প্রেরণে বাধ্যবাধকতা আছে। আদালতের আদেশে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলা এবং বিভাগ থেকে যেসব কাউন্সিলরদের নাম জমা পড়েছে, তাদের সবার কাউন্সিলরশিপ বৈধতা পেলো।’
বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান কোচ সারোয়ার ইমরানের মন্তব্যে দুঃখ পেয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা। বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ার চেয়েও তিনি বেশি হতাশ হয়েছেন কোচের অপমানজনক অভিযোগের কথা শুনে।
বাঁহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে বোলিং করতে চান না জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা, এমন অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান কোচ। তাই সুমনার জায়গায় নিশিতা আক্তারকে নেওয়া হয়েছে বলেছেন সারোয়ার ইমরান।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গ এলে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলা গত এপ্রিলের ম্যাচের উদাহরণ দিয়েছেন কোচ।
আরও পড়ুন
বাঁহাতি ব্যাটারকে বল করতে চান না সুমনা, বলছেন বাংলাদেশ কোচ |
![]() |
“সুমনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে অনেক দিন লেগেছে আমাদের। নির্বাচকদের সঙ্গে আমি ও অধিনায়কও ছিলাম। পাকিস্তানের সঙ্গে যখন আমরা খেলি, তখন তাদের বাঁহাতি ব্যাটার অপরাজিত ছিল। সেই সময় অধিনায়ক যখন সুমনাকে বল করতে বলল, তখন সুমনা বোলিং করেনি।”
“ঢাকাতে হোক বা প্রস্তুতি ম্যাচে হোক, বাঁহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে ও (সুমনা) বোলিং করতে পারে না। আমাদের মূল খেলা হলো পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। আমাদের একজন অফ স্পিনার লাগবে, যে বাঁহাতি ব্যাটারকে বল করতে পারে।”
কোচের এই মন্তব্য শুনে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে সুমনার। টি স্পোর্টসের সঙ্গে কথোপকথনে তার দাবি, দলের কথা চিন্তা করেই পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলিং করতে চাননি তিনি।
“আমাকে বাদ দিয়েছে, এটা আমি মেনে নিলাম। কিন্তু এভাবে অভিযোগ করাটা খারাপ দেখায়। যখন কিনা আমি নিজের দেশের কথা চিন্তা করেছি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শুধু শেষ ম্যাচেই একটু খারাপ বোলিং হচ্ছিল। বোলার হিসেবে প্রতিদিন তো ভালো করতে পারবেন না।”
পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ৩ ওভারে ২৪ রান খরচ করে উইকেটশূন্য থাকেন সুমনা। সেদিন ২৩ ওভারের পর আর বোলিং করেননি তিনি। তার ওই ৩ ওভারের মধ্যে প্রতিটিতেই ক্রিজে ছিলেন পাকিস্তানের বাঁহাতি ব্যাটার মুনিবা আলি।
আত্মপক্ষ সমর্থন করে সেদিনের ঘটনা বিস্তারিত তুলে ধরেন সুমনা।
“সেদিন ৩৫ ওভারের পর অধিনায়ক আমাকে জিজ্ঞেস করল যে, তুমি কি বল করতে পারবে? আমি তখন 'না' বলেছিলাম। কারণ আগের ওভারটায়ও আমি রান দিয়ে ফেলেছিলাম। তাই বলছিলাম যে, যারা রান কম দিচ্ছে, তাদের বোলিং করাও।”
“আমরা কিন্তু একদম অল্প ব্যবধানে বিশ্বকাপের টিকেট পেয়েছি। ওই সময় আমি বোলিং করে যদি রান দিয়ে দিতাম, সেটা কি দলের জন্য ভালো হতো? আমি তো সেজন্য দলের কথা ভেবেই তখন বোলিং করতে চাইনি। যেন রান রেট যতটা সম্ভব বেশি পাওয়া যায়।”
তার মতে, কোচের এই ধরনের অভিযোগ যে কোনো ক্রিকেটারের জন্যই অপমানজনক।
আরও পড়ুন
অনূর্ধ্ব-১৫ দলের কাছে হারের ব্যাখ্যায় যা বললেন নিগার |
![]() |
“আমাকে যখন দল থেকে বাদ দিয়েছে, এটাতেও এত বেশি কষ্ট পাইনি, যতটা পেলাম এই কথা শোনার পর। আমি তো আমার দলের কথা, দেশের কথা চিন্তা করেছি। তাই দল থেকে বাদ পড়েও আমি এতটা দুঃখ পাইনি। যতটা তার এই কথায় পেলাম।”
“এভাবেও আসলে বলা সম্ভব! মানুষ এভাবেও চিন্তা করে? একজন ক্রিকেটারের জন্য এমন কথাবার্তা অপমানজনক। যখন কেউ নিজের কথা না ভেবে, দেশের কথা চিন্তা করল এবং বিপরীতে কিনা এই কথা শুনতে হলো!”
এসময় সুমনা জানান, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই বোলিং করতে না চাওয়ার কারণ ব্যাখা করেছিলেন তিনি।
“ম্যাচের পর ফিজিওসহ কোচ বসেছিলেন আমার সঙ্গে। জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, কেন বোলিং করতে রাজি হইনি। তখন আমি বলেছিলাম যে, আমি ভালো অনুভব করছিলাম না। আর এটা তো হতেই পারে। আমি তো দলের কথাই চিন্তা করলাম। নিজের জন্য কিছু ভাবিনি।”
জাতীয় দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ও পরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটের কারণে বিগ ব্যাশ লিগের গত আসরে খেলতে পারেননি রিশাদ হোসেন। এবার আর তেমন সমস্যায় পড়বেন না তরুণ লেগ স্পিনার।
এরই মধ্যে বিগ ব্যাশের সামনের আসরে সব ম্যাচ খেলার অনুমতি পেয়ে গেছেন রিশাদ। বিসিবির একটি দায়িত্বশীল সুত্র নিশ্চিত করেছে এই খবর।
“হ্যাঁ! রিশাদকে আমরা বিগ ব্যাশের পুরো মৌসুমের জন্য অনাপত্তিপত্র দিয়েছি।”
জানা গেছে, মাসদুয়েক আগেই রিশাদকে বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিল বিসিবি। এবার এশিয়া কাপ চলাকালে সবার সামনে এলো এই খবর।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপের পর ‘ক্রিকেট থেকে দূরে থাকবেন’ বাংলাদেশ অধিনায়ক |
![]() |
আগামী ১৪ ডিসেম্বর শুরু হবে বিগ ব্যাশের নতুন আসর। ফাইনাল হবে আগামী বছরের ২৫ জানুয়ারি। একই সময়ে বিপিএলও আয়োজন হওয়ার কথা। তবে পুরো মৌসুমের অনাপত্তিপত্র পাওয়ায় বিপিএল চলাকালে রিশাদের বিগ ব্যাশ খেলতে কোনো বাধা নেই।
গত জুলাইয়ে প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে রিশাদকে দলে ডেকে নেয় হোবার্ট হারিকেন্স। এর আগে গত বছর সাকিব আল হাসানের পর প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে বিগ ব্যাশে দল পান রিশাদ। তবে ড্রাফট থেকে সরাসরি সুযোগ পাওয়া রিশাদই প্রথম।
২০১৪ সালে অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্সের হয়ে দুটি ও ২০১৫ সালে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেন সাকিব। প্রথমবার তিনি সুযোগ পান ইয়োহান বোথার বদলি হিসেবে আর পরের বার খেলেন আন্দ্রে রাসেলের বদলি হয়ে।
এবার সামনের আসরে রিশাদ খেলতে নামলে প্রায় ১০ বছর বিগ ব্যাশে দেখা যাবে বাংলাদেশি ক্রিকেটার।
নিজেদের দ্বিতীয় ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে আগামীকাল শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে উড়ান ধরবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তার আগে আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হয়ে গেল তাদের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন ও বিশ্বকাপপূর্ব সংবাদ সম্মেলন। বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে নিজেদের লক্ষ্যের পাশাপাশি দলের ভারসাম্য নিয়ে কথা বলেন কোচ সারওয়ার ইমরান ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
প্রসঙ্গক্রমে দারুণ ছন্দে থাকার পরও বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পাওয়া জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার কথাও আসে। তবে কোচ সারওয়ার জানালেন, অবাক করা তথ্য! বাঁহাতি ব্যাটারের বিপক্ষে নাকি বোলিং করতে চান না সুমনা। লম্বা সময় পর্যবেক্ষণের তাঁর জায়গায় নিশিতা আক্তার নিশির ওপর আস্থা রাখেন নির্বাচকেরা।
সুমনার ব্যাপারে সারওয়ার বলেন, ‘সুমনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে অনেক দিন লেগেছে আমাদের। নির্বাচকদের সঙ্গে আমি ও অধিনায়কও ছিলাম। পাকিস্তানের সঙ্গে যখন আমরা খেলি, তখন তাদের বাঁহাতি ব্যাটার অপরাজিত ছিল। সেই সময় অধিনায়ক যখন সুমনাকে বল করতে বলল, তখন সুমনা বোলিং করেনি।’
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপের পর ‘ক্রিকেট থেকে দূরে থাকবেন’ বাংলাদেশ অধিনায়ক |
![]() |
আন্তর্জাতিক ম্যাচই নয়, নেটে অনুশীলনের সময়ও বাঁহাতি ব্যাটারের বিপক্ষে বল করতে না পারার অভিযোগ সুমনার বিরুদ্ধে। সারওয়ার বললেন, ‘ঢাকাতে হোক বা প্রস্তুতি ম্যাচে হোক, বাঁহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে ও (সুমনা) বোলিং করতে পারে না। আমাদের মূল খেলা হলো পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। আমাদের একজন অফ স্পিনার লাগবে, যে বাঁহাতি ব্যাটারকে বল করতে পারে।’
সুমনার জয়গায় নেওয়া নিশিতার মধ্যে সেই সম্ভাবনা ও আস্থা খুঁজে পেয়েছেন নির্বাচকেরা। তাঁর প্রশংসা কোচ সারওয়ারের কণ্ঠে, ‘আর যে অফ স্পিনারকে নেওয়া হয়েছে তার একুরেসি, সাহস, চিন্তা করার ক্ষমতা অন্যরকম। একুরেসিও সুমনার থেকে অনেক ভালো, ডানহাতি বা বাঁহাতির বিপক্ষে। সেই চিন্তা করে সুমনা বাদ পড়েছে। সুমনা কোনো পারফরম্যান্সের কারণে বাদ পড়েনি। আমাদের দলের চাহিদার কারণে বাদ পড়েছে।’
সারওয়ার আরও যোগ করেন, ‘আমরা অনেক চেষ্টা করেছি সুমনাকে রাখার জন্য। অনেক দিন ধরে আলোচনা করেছি। দল নির্বাচনের শুধু এই একটা জায়গাতেই আটকে ছিলাম।’
গত এপ্রিলে বাছাইপর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপ টিকেট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। সেখানে বাংলাদেশ দলের সেরা বোলার ছিলেন ২৫ বছর বয়সী সুমনা। ৫ ম্যাচে শিকার করেন ৯ উইকেট, ইকনোমি ৪.৪৫ রান।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। এর আগে দেশের ঘরোয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শেলটেক ক্রিকেট একাডেমির হয়ে ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ২১ উইকেট। তিনিই লিগের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
এমনকি গত বছরের ডিসেম্বর লাল বলে হওয়া সবশেষ বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগেও (বিসিএল) ৩ ইনিংসে ১৪ উইকেট নিয়ে সুমনা ছিলেন সবার ওপরে। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দলে সুযোগ পান সুমনা।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারাতে চায় বাংলাদেশ |
![]() |
এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের বিশ্বকাপের মূল দলে জায়গা না পেয়ে হতাশাও প্রকাশ করেন সুমনা। দল নির্বাচনের ব্যাপের অধিনায়ক জ্যোতি বললেন, ‘দল যখন নির্বাচন করা হয়, একজন ক্রিকেটারকে অনেক দিন পর্যবেক্ষণ করার পরই নেওয়া হয়। নির্দিষ্ট কোনো দায়িত্বে কাকে দিয়ে করালে ভালো হবে, সেই চিন্তা করেই ক্রিকেটারদের নেওয়া হয়।’
সুমনার পারফরম্যান্স নিয়ে জ্যোতি বললেন, ‘প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ উইকেট বা বাছাইয়ে সর্বোচ্চ উইকেট। এসব কিন্তু ৪-৫ মাস আগের। এই ৪ মাসে কিন্তু অনেক কিন্তু বদলে গেছে। স্যার (কোচ) যেটা বললেন, তিনি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমরা যে ক্রিকেটারকে নিয়েছি, নিশিতা... গত ৪ মাসে দুজনকেই কিন্তু পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। সেখান থেকে মনে হয়েছে, প্রস্তুতি ম্যাচ বলেন বা অনুশীলন বলেন, নিশিতাকে বেটার মনে হয়েছে, তাই ওকে দলে নেওয়া হয়েছে।’