
এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারস টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনাল ম্যাচ। শেষ দুই ওভারে ১২ বলের মধ্যে ৮টিই ইয়র্কার করলেন রিপন মন্ডল। তবু নাটকীয়তার পর ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে। সেখানে পরপর দুটি ইয়র্কার করে দুই উইকেট নিলেন তরুণ পেসার। যা গড়ে দিল বাংলাদেশ 'এ' দলের জয়ের ভিত।
পরে পাকিস্তান শাহিনসের ('এ' দল) বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচেও একের পর এক ইয়র্কার করে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপকে আটকে রাখেন রিপন। মূল ম্যাচে ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রানে নেন ৩ উইকেট। সুপার ওভারে মাত্র ৬ রানের পুঁজি নিয়েও শাহিনসকে তিনি আটকে রাখেন ৪ বল।
অল্পের জন্য এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ৫ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে রিপনই টুর্নামেন্টের সেরা বোলার। ফাইনাল ম্যাচটি জিততে পারলে হয়তো এবারের টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিততেন ২২ বছর বয়সী পেসার।
অথচ বছর দুয়েক আগেও তার বোলিং অ্যাকশন ও বডি এলাইনমেন্ট দেখে জাতীয় দলের এক নির্বাচক বলেছিলেন, 'দেখুন! কতটা এলোমেলো। অনেক কাজ করতে হবে।' সেই কাজ ঠিকই করেছেন রিপন। দুই বছরের অন্তরে নিজের এলাইনমেন্ট ঠিক করে পরিণত হয়েছে ইয়র্কার মেশিনে।
রিপনের মাঝে সম্ভাবনার ঝলক দেখা গিয়েছিল ২০২২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেই। বাংলাদেশের হতাশার টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশ কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও চমৎকার বোলিংয়ে টুর্নামেন্টের সেরা একাদশেও জায়গা পেয়েছিলেন রিপন।
এরপর থেকে নিয়মিতই বিসিবির সব প্রোগ্রামে আছেন তিনি। প্রতিদানও দিয়েছেন গত বছরের টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে। বাংলাদেশ এইচপি দলের হয়ে ৮ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে ছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা বোলার। ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন এবার 'এ' দলের হয়েও।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে সফল টুর্নামেন্ট কাটানোর পরও রিপনের আক্ষেপ অবশ্য চ্যাম্পিয়ন হতে না পারায়।
“আলহামদুলিল্লাহ! খুবই ভালো! যেভাবে টুর্নামেন্টটা শুরু করেছি, শেষ করেছি, খুব ভালো। যে পরিশ্রমটা করেছি, আল্লাহ আমাকে (পুরস্কার) দিয়েছেন। দলগত পারফরম্যান্স যদি আরেকটু ভালো হতো, তাহলে আরও ভালো হতো।”
“দলগত পারফরম্যান্সও আলহামদুলিল্লাহ ভালোই হয়েছে। শুধু ফাইনালটা ভাগ্যের বিষয় ছিল। তবে যদি দুই-একজন ব্যাটার আমাদের ক্লিক করে যেতো, তাহলে দৃশ্যপট ভিন্নরকম হতে পারত।”
এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসের সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে পরপর দুইটি সুপার ওভার খেলতে হয়েছে বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে প্রথম সেমি-ফাইনালের সুপার ওভারে দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেখানেই যেন শেষ করে দেন রিপন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালেও লড়াইটা করেন তিনি। মাত্র ৬ রানের পুঁজি থাকলেও ইয়র্কারের মেলা সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখেন তিনি। আর কিছু রান বেশি থাকলে হয়তো ফাইনালেও দলকে জিতিয়ে বের হতে পারতেন রিপন।
পরপর দুই ম্যাচে এমন চাপের সময়ে বোলিংয়ের পর রিপন বললেন, এমন মুহূর্তের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন তিনি।
“ফ্রন্টলাইন পেসার হিসেবে দায়িত্ব নিতে হবে। আকবর ভাইয়ের সঙ্গে যেহেতু আমি এর আগেও অনেক ক্যাম্প করেছি, অনেক খেলেছি, উনি জানেন আমার স্ট্রেংন্থটা। উনি আমাকে বলেছেন, এরকম তৈরি থাকতে হবে, টিম ম্যানেজমেন্ট থেকেও একটা ইতিবাচক বার্তা ছিল যে, তুমি এখানে করবে। তাই আমিও রেডি ছিলাম।”
“আমি যেহেতু টপ এন্ড টি-টোয়েন্টিও খেলেছি এর আগেও, ওই মাইন্ডে এশিয়া কাপ খেলেছি। তো আমি ঐদিক থেকে রেডি ছিলাম যেন এই পরিস্থিতিতে বল করতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে। আর অধিনায়ক ও টিম ম্যানেজমেন্টও আমার প্রতি বিশ্বাস ছিল। আমি অবদানটা রাখতে পেরে খুব ভালো লাগছে।”
পাঁচ ম্যাচে ১১ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি রিপন এবার নজর কেড়েছেন মূলত একের পর এক ইয়র্কার করে। টুর্নামেন্টজুড়ে ব্লক হোলে বোলিং করে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের আটকে রেখেছেন তিনি। পুরো আসরে ওভারপ্রতি তার খরচ মাত্র ৬.৭৫ রান।
ইয়র্কার করার ব্যাপারে রিপন জানালেন, নিজের ভাবনায় সবসময় স্বচ্ছ ও অটল থাকেন তিনি।
“এটায় (ইয়র্কারে) আপনার পরিকল্পনার পূর্ণ বাস্তবায়ন না হলে ছক্কা নয় চার। এটা যদি আপনি ভেবে বল করেন, আপনি করতে পারবেন। আমি যখন বল হাতে নেই, আমি চিন্তা করি যে আমি এটা করব মানে এটাই করব। মানে আমি আমার মাঝখানে দ্বিতীয় কোনো অপশন রাখি না, যখন বোলিংটা করি।”
অথচ বছর দুয়েক আগেও বোলিং অ্যাকশন ও বডি এলাইনমেন্ট ঠিক যুতসই ছিল রিপনের। বিসিবির বিভিন্ন প্রোগ্রামে এসব নিয়ে কাজ করে এখন পুরোপুরি সোজা হয়েছে বলছেন তিনি।
“সবশেষ এইচপি ক্যাম্পে এটা নিয়ে একটু কাজ করেছি। আগের ভিডিওগুলো দেখেছি। আমার কাছে এবার মনে হলো একেবারে সোজা (এলাইনমেন্ট), একদম স্টাম্পের মতো সোজা।”
অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় থেকেই ইয়র্কার নিয়ে আলাদা করে কাজ করেছেন রিপন। প্রায় তিন-চার বছরের এই পথচলায় দেশি ও বিদেশি কোচদের অবদানও উল্লেখ করলেন তিনি।
“আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো হয়েছে। আল্লাহ সাহায্য করেছেন আর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়েছে। এত দিন ধরে যে পরিশ্রমটা করেছি আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে... সেখানে তালহা (জুবায়ের) স্যার ছিলেন কোচ। তারপর ডলার (মাহমুদ) ভাই ছিলেন এইচপিতে, তারেক (আজিজ) ভাই ছিল আর স্পেশালি যে আমাদের এইচপির যে বোলিং ডিপার্টমেন্টে হেড ছিলেন কোরি (কলিমোর) ভাই।”
“এই কয়জন খুবই সাহায্য করেছেন আমাকে ইয়র্কারের বিষয়ে। আমি যখন যা চেয়েছি প্র্যাকটিসের পরে মানে কখনও উনারা না করেন নাই। উল্টো সবসময় আমাকে মোটিভেট করতেন উনারা। তো এইজন্য আরকি খুবই ভালো। আমার দিক থেকে মানে আমি তাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ।”
No posts available.
৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮:৩৩ পিএম

দীর্ঘ ছয় বছরের প্রতীক্ষা শেষে গত নভেম্বরে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ফিরেছিল টেস্ট। সেই ম্যাচে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল পিচের অসম বাউন্স। তবে কলকাতা টেস্টের পিচকে ‘সন্তোষজনক’ রেটিং দিয়েছেন আইসিসি ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন।
এই রেটিংয়ের ফলে শাস্তি বা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়েছে ইডেন গার্ডেন্স। আইসিসির চার ধাপের পিচ রেটিং ব্যবস্থায় ‘সন্তোষজনক’ দ্বিতীয় স্তরের মান। এর উপরে রয়েছে ‘ভালো’ ও ‘খুব ভালো’ আর নিচের দুই ধাপ হলো ‘অসন্তোষজনক’ ও সর্বনিম্ন ‘অনুপযুক্ত’।
কলকাতার টেস্টে প্রথম ওভার থেকেই পিচে অসম বাউন্স চোখে পড়ে। ম্যাচ যত এগিয়েছে, ততই বেড়েছে টার্নের মাত্রা। পেসার ও স্পিনার-উভয়ের জন্যই সহায়ক হয়ে ওঠে উইকেটটি। পুরো ম্যাচে কোনো দলই এক ইনিংসে ২০০ রান করতে পারেনি। চতুর্থ ইনিংসে ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত অলআউট হয়ে যায় মাত্র ৯৩ রানে।
ম্যাচ চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয় ইডেন গার্ডেন্সের পিচ। ম্যাচ শেষে ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর বলেন, ‘আমরা যা চেয়েছিলাম পিচ ঠিক তেমনই ছিল।’
যদিও গোয়াহাটিতে দ্বিতীয় টেস্টের আগে ব্যাটিং কোচ সিতাংশু কোটাক ভিন্ন বক্তব্য দেন। কোটাক জানান, ইডেন গার্ডেন্সের কিউরেটর সুজন মুখার্জিকে রক্ষা করতেই এমন মন্তব্য করেছিলেন গম্ভীর। তাঁর মতে, অসম বাউন্সে ভারতীয় দল বিস্মিত হয়েছিল এবং এমন পিচ তাঁরা আদৌ চায়নি।
গোয়াহাটিতে দ্বিতীয় টেস্ট তুলনামূলক ব্যাটিং-বান্ধব পিচ ছিল। সেখানেও বড় জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নেয় প্রোটিয়ারা।
সম্প্রতি পিচের রেটিং নিয়ে আলোচনা চলছে জোরেশোরেই। অ্যাশেজের বক্সিং ডে টেস্ট শেষে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) পিচকে ‘অসন্তোষজনক’ ঘোষণা করেছে আইসিসি। এর সঙ্গে মাঠটি পেয়েছে ১ ডিমেরিট পয়েন্টও। আলোচনা হলেও বলা যায় এই যাত্রায় বেঁচে গেল ইডেন গার্ডেন্স।

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
আজ এক শোকবার্তায় বিসিবি সভাপতি বলেন,
‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য এক গভীর ক্ষতি। পাশাপাশি যাঁরা তাঁর নেতৃত্ব ও জনসেবার সঙ্গে পরিচিত ছিলেন- সবার জন্যই এটি এক বেদনাদায়ক মুহূর্ত।’
শোকবার্তায় ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করে আমিনুল ইসলাম বলেন,
‘তিনি ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি যে উৎসাহ ও সমর্থন যুগিয়েছিলেন সে জন্য তাঁকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি। ক্রিকেটের প্রতি তাঁর আগ্রহ এবং দেশকে একসূত্রে গাঁথার ক্ষেত্রে এই খেলাটির গুরুত্ব সম্পর্কে তাঁর উপলব্ধি ছিল আন্তরিক ও দীর্ঘস্থায়ী।’
তিনি বলেন,
‘বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশের ক্রিকেট অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়, যা দেশের ক্রিকেটের শক্ত ভিত গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।’
বিসিবি সভাপতি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের আধুনিকায়নের পথে খালেদা জিয়ার প্রয়াত পুত্র আরাফাত রহমানের অবদানও অবিচ্ছেদ্য। তাঁর দূরদর্শী চিন্তা ও উদ্যোগ দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।
শোকবার্তায় বিসিবির পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার, স্বজন এবং দেশ-বিদেশে অবস্থানরত শোকাহত মানুষের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে আমিনুল ইসলাম বলেন,
‘আল্লাহ যেন বেগম খালেদা জিয়াকে জান্নাত নসিব করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের এই শোক সহ্য করার শক্তি ও ধৈর্য দান করেন।’
উল্লেখ্য, আজ মঙ্গলবার ভোর ৬ টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন খালেদা জিয়া। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বিভিন্ন জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগেছেন। এর মধ্যে ছিল লিভার সংক্রান্ত জটিলতা, কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আথ্রাইটিস ও ইনফেকশনজনিত সমস্যা।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের আবহে আজ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দুটি ম্যাচ স্থগিত রাখা হয়েছে। শোক ও সম্মান জানিয়ে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেয়।
ম্যাচ স্থগিত থাকলেও বিকেলে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ও দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এ সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে নিজের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনি।
বুলবুল বলেন,
‘১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জয়ের পর আমাদের বিভিন্ন জায়গায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে একটি ছিল তৎকালীন বিএনপির পক্ষ থেকে মিন্টু রোডে আয়োজিত সংবর্ধনা। আমি তখন দলের ভাইস ক্যাপ্টেন ছিলাম। বক্তৃতার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে একটি ভুল বলায় পুরো মঞ্চ কিছুক্ষণ নীরব হয়ে যায়। পরে সঙ্গে সঙ্গে ভুল সংশোধন করি। ঘটনাটি আজও আমার মনে গভীরভাবে দাগ কেটে আছে।’
তিনি আরও বলেন,
‘আমরা যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করতাম, তখন তিনি আমাদের দাওয়াত দিতেন। আমার জীবনের অন্যতম গর্বের মুহূর্ত ছিল রাষ্ট্রীয় পুরস্কার গ্রহণ—যে পুরস্কারটি তিনি নিজ হাতে আমার গলায় পরিয়ে দিয়েছিলেন।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন,
‘বিসিবির পক্ষ থেকে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে শোক প্রকাশ করেছি। আগামীকাল শোক দিবস উপলক্ষে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। এখানে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই—আমরা সবাই দেশের নাগরিক এবং আমরা সবাই শোকাহত।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নে রাষ্ট্রীয় সহায়তার কথা স্মরণ করে বুলবুল বলেন,
‘২০০৪ সালে বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন এবং মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন ভেন্যু নির্মাণে যে সহযোগিতা পাওয়া গেছে, তা দেশের ক্রিকেট এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।’

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটে মঙ্গলবার স্থগিত করা দুই ম্যাচের নতুন সূচি জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সিলেটে আগামী ৪ জানুয়ারি (রোববার) হবে এই ম্যাচ দুইটি।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সরকারের ঘোষিত তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের অংশ হিসেবে বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর কোনো বিপিএল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না। এদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতি ও শুক্রবার (১ ও ২ জানুয়ারি) নির্ধারিত ম্যাচগুলো পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ীই অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল সিলেট টাইটান্স ও চট্টগ্রাম রয়্যালসের। পরে সন্ধ্যার ম্যাচে খেলার কথা রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালসের। এখন আগামী রোববার খেলবে তারা।
এর আগে বিকেলে বিপিএলের ফেইসবুক পেজে প্রকাশিত এক বার্তায় জানানো হয়েছিল, মঙ্গলবারের ম্যাচগুলো হবে বুধবার। তবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়িয়েছে বিসিবি।
এদিকে আগামী সোমবার থেকে বিপিএলের খেলা হওয়ার কথা ছিল চট্টগ্রামে। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ৫ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে পরবর্তী ম্যাচগুলোর সংশোধিত সূচি শিগগিরই প্রকাশ করবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছে ওমান। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলটির নেতৃত্ব দেবেন ওপেনার জতিন্দর সিং। তবে আলোচনার জন্ম দিয়েছে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার আমির কালিমকে দলে না রাখা। এশিয়া কাপে ভালো পারফরম্যান্সের পরও ৪৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার জায়গা পাননি চূড়ান্ত স্কোয়াডে।
ঘোষিত দলে সহ-অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন উইকেটকিপার–ব্যাটার ভিনায়ক শুক্লা। বছরের শুরুতে এশিয়া কাপে যে দল খেলেছিল, সেখান থেকে পাঁচটি পরিবর্তন এনেছে ওমান ক্রিকেট বোর্ড।
নতুন করে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন অলরাউন্ডার ওয়াসিম আলি, করণ সোনাভালে ও জে ওডেড্রা। পাশাপাশি পেস আক্রমণ শক্তিশালী করতে দলে যুক্ত করা হয়েছে শফিক জান ও জিতেন রামানন্দিকে। রামানন্দি, ওডেড্রা ও ওয়াসিম আলি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলেছিলেন। শফিক জান ওমানের হয়ে অভিষেক করেন এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারস টুর্নামেন্টে, যেখানে খেলেছিলেন সোনাভালেও।
এশিয়া কাপের দলে থাকা কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে এবার বাদ পড়েছেন আমির কালিম। সেই টুর্নামেন্টে তিনি ওমানের হয়ে দুটি ফিফটি করেছিলেন এবং পরবর্তীতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও খেলেন। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারকে চূড়ান্ত বিশ্বকাপ দলে রাখেনি টিম ম্যানেজমেন্ট।
অধিনায়ক জতিন্দর সিং ওমানের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এবং সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আগের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি দলে জায়গা পাননি, তবে এবার নেতৃত্বের দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন তিনি।
২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘বি’ গ্রুপে খেলবে ওমান। গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ড। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে ওমান।
ওমানের বিশ্বকাপ দল:
জতিন্দর সিং (অধিনায়ক), ভিনায়ক শুক্লা (সহ-অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাদিম, শাকিল আহমদ, হাম্মাদ মির্জা, ওয়াসিম আলি, করণ সোনাভালে, ফয়সাল শাহ, নাদিম খান, সুফিয়ান মেহমুদ, জে ওডেড্রা, শফিক জান, আশিস ওডেডারা, জিতেন রামানন্দি, হাসনাইন আলি শাহ।