প্রথম ওভারের মতো নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেও উইকেট নিলেন তাসকিন আহমেদ। এবার তিনি ফিরিয়ে দিলেন আরেক ওপেনার বিক্রমজিত সিংকে।
অফ স্টাম্পের বাইরের বল বড় শট খেলার চেষ্টায় লং অনে পারভেজ হোসেন ইমনের ধরা পড়েছেন বিক্রমজিত। টেস্ট মেজাজের ব্যাটিংয়ে ১১ বলে মাত্র ৪ রান করেছেন বাঁহাতি ওপেনার।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। তিন নম্বরে নামা তেজা নিদামানুরু ১৭ বলে ১০ রানে অপরাজিত।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭.১ ওভারে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ২ উইকেটে মাত্র ৩৮ রান।
আরও পড়ুন
প্রথম বলেই তাসকিনের আঘাত |
![]() |
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে শেখ মেহেদি হাসানের বোলিংয়ে ৩ রানের বেশি নিতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। পরের ওভারে শরিফুল ইসলামের ওপর ঝড় তোলেন ও'ডাউড। দারুণ ব্যাটিংয়ে তিনটি চার মারেন ডাচ ওপেনার।
মেহেদির পরের ওভারে ম্যাচের প্রথম ছক্কা মেরে দেন ও'ডাউড। অভিজ্ঞ ওপেনারের সৌজন্যে ভালো শুরুর আশা দেখতে শুরু করে সফরকারীরা।
তবে ও'ডাউডকে টিকতে দেননি তাসকিন আহমেদ। চতুর্থ ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই তাকে ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠান অভিজ্ঞ পেসার।
তার স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারি অন সাইডে খেলার চেষ্টায় লিডিং এজ হয় ও'ডাউডের। শর্ট কাভারে সহজ ক্যাচ নেন জাকের আলি অনিক। উল্লাসে ফেটে পড়েন তাসকিন।
৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৫ বলে ২৩ রান করে ফেরেন ও'ডাউড।
আরও পড়ুন
পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত বাংলাদেশ |
![]() |
পঞ্চম ওভারে আবার আক্রমণে আসেন শরিফুল। আগের ওভারে ১৩ রান খরচ করা তরুণ পেসার ঘুরে দাঁড়ান দারুণভাবে। এবার কোনো রানই দেননি তিনি। করেন মেডেন ওভার।
পরে পাওয়ার শেষ ওভারে উইকেটের সম্ভাবনা জাগান মুস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু কাভারে অল্পের জন্য ক্যাচ নাগাল পাননি তাওহিদ হৃদয়। তাই বেঁচে যান তেজা নিদামানুরু।
প্রথম ৩ ওভারে ২৫ রান করে ফেলেছিল নেদারল্যান্ডস। সেখান থেকে পরের ৩ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচ করেছে বাংলাদেশ।
পরে অষ্টম ওভারে বিক্রমজিতকে ফিরিয়ে আবার আনন্দে ভাসেন তাসকিন।
No posts available.
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:২২ পিএম
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
নিজের ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণে কিছুদিন আগেই ইতালিকে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে তুলেছিলেন সাবেক অজি ব্যাটার জো বার্নস। এবার নিজের মায়ের দেশকে বিশ্বকাপে তোলার লক্ষ্যে অবসর ভেঙে আবারও মাঠে ফিরছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক তারকা ব্যাটার রস টেলর। এশিয়া ও পূর্ব এশিয়া- প্যাসিফিক অঞ্চলের বাছাইপর্বে সামোয়ার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
সামোয়ার হয়ে খেলার বিষয়টি টেলর নিজেই জানিয়েছেন নিজেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে সাবেক কিউই তারকা লিখেছেন,
'এটা এখন অফিশিয়াল। গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি নীল জার্সি গায়ে সামোয়ার হয়ে মাঠে নামছি। এটা শুধু আমার প্রিয় খেলায় ফেরার বিষয় নয়, বরং আমার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, গ্রাম আর পরিবারকে প্রতিনিধিত্ব করার বিশাল সম্মান।'
তিন সংস্করণ মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪৫০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন টেলর, করেছেন ১৮১৯৯ রান। ২০২১ সালে কিউইদের ঐতিহাসিক টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলেরও প্রতিনিধি। ২০২২ সালের এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তিন বছরের অপেক্ষার পর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক দলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন
ইংল্যান্ডের মাঠে ২৭ বছরের গেরো কাটল দক্ষিণ আফ্রিকা |
![]() |
কোচিং পেশার দিকেই এগোচ্ছিলেন, ৪১ বছর বয়সী টেলর সিদ্ধান্ত বদলের ব্যাপারে বললেন,
'আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত। কয়েক মাস ধরে এই বিষয়টা প্রক্রিয়াধীন ছিল। তবে আজ দল ঘোষণা হয়েছে, তাই জানাতে হলো। ভেবেছিলাম কোচিংয়ের দিকেই এগোব, খেলব সেটা ভাবিনি। সুযোগ এল, আর আমি সামোয়ার হয়ে সেরাটা দেওয়ার অপেক্ষায় আছি।'
২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে প্রতিযোগিতামূলক কোনো ম্যাচ খেলেননি টেলর। দ্রুত ছন্দে ফেরা চ্যালেঞ্জ হতে পারে বললেন তিনি,
‘অবশ্যই আগের মতো আর খেলা হয়নি। তবে কিছু টুর্নামেন্ট খেলেছি, তাই একেবারে তিন-চার বছর বাদ পড়িনি। তবুও দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। গত এক-দুই মাস অনুশীলন করেছি, শরীর কেমন সাড়া দেয় দেখেছি। বয়স ৪১, তাই আগের মতো নেই, তবে আশা করি সামোয়ার জন্য যথেষ্ট ভালো হবে।'
আগামী ৮ অক্টোবর ওমানে নিজেদের কোয়ালিফায়ার মিশন শুরু করবে সামোয়া। প্রতিপক্ষ হিসেবে তাদের গ্রুপে আছে ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৫ রানে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসে ইংলিশদের হারিয়ে ২৭ বছরের গেরো কাটল প্রোটিয়ারা। ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম ইংল্যান্ডের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জিতল তারা।
লর্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ৩৩০ রান স্কোরে জমা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৫০ ওভারে ৯ উইকটে ৩২৫ রান করতে সক্ষম হয় ইংলিশরা।
৩৩১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের প্রথম বলে বোল্ড হন জেমি স্মিথ। দ্বিতীয় উইকেটে জো রুট ও ওপেনার বেন ডাকেট ৬৫ রানের জুটি গড়েন। তবে স্বভাবসুলব ব্যাটিং করতে পারেননি ডাকেট ১৩তম ওভারে ফেরেন ৩৩ বলে ১৪ রানে।
তৃতীয় উইকেটে জ্যাকব বেথেল ও রুট ৭৭ রানের আরেকটি জুটি গড়েন। ২৮ বলে ফিফটি করে রানের চাকা সচল রাখেন বেথেল, রুট ফিফটি করেন ৫৮ বলে। তবে পরপর দুই ওভারে দুই থিতু হওয়ার ব্যাটার আউট হলে বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। বেথেল ৪০ বলে ৫৮ ও রুট ৭২ বলে করেন ৬১ রান।
পঞ্চম উইকেটে ৬৯ রান যোগ করেন অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক ও জস বাটলার। ভালো শুরু পেলেও অধিনায়ক ব্রুক ৩৩ রান করে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। বাটলার আউট হন ৬১ রানে। সিরিজে সমতা ফেরাতে শেষ ছয় ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৬৪ রান।
উইল জ্যাকস ও জফরা আর্চার চেষ্টা করলেও দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি। জ্যাকস ৩৩ বলে ৩৯ রান করে আউট হন, আর্চার ১৪ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন । প্রোটিয়াদের হয়ে নান্দ্রে বার্গার ৩ উইকেট। কেশভ মহারাজ নেন ২ উইকেট।
তার আগে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ইংল্যান্ড। ওপেনার ম্যাথু ব্রিটজকের ৮৫, ট্রিস্টান স্টাবসের ৫৮, এইডেন মার্করামের ৪৯, এবং ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের ২০ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংসের কল্যাণে ৩৩০ রান সংগ্রহ করে অতথিরা।
ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ ইনিংসে টান পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলার রেকর্ড গড়েছেন ব্রিটজকে। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন আর্চার। ২ উইকেট নেন আদিল রশিদ। আগামী পরশু সাউদাম্পটনে ধবলধোলাই এড়াতে সিরিজে শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।
এক ম্যাচ পর জয়ে ফিরল পাকিস্তান। ফাখার জামানের ঝড়ো ফিফটির পর আবরার আহমেদের লেগ স্পিন জাদুতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠে গেল পাকিস্তান।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৩১ রানে হারায় পাকিস্তান। আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৭১ রান করে তারা। জবাবে ৭ উইকেটে ১৪০ রানে থামে স্বাগতিকরা।
চার ম্যাচে তিন জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হলো পাকিস্তানের। আরব আমিরাত হেরে যাওয়ায় তিন ম্যাচে দুই জয় পাওয়া আফগানিস্তানের ফাইনালের টিকেটও চূড়ান্ত৷ স্বাগতিক দলটি তিন ম্যাচে হেরেছে সবকটি।
প্রথম রাউন্ডের শেষ টি-টোয়েন্টিতে নিয়মরক্ষার ম্যাচে শুক্রবার মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। পরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ফাইনাল হবে রোববার।
বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচে টস জিতে শুরুতে তেমন সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। ১২ ওভারের মধ্যে ৮০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। তবে একপ্রান্ত আগলে রাখেন ফাখার।
পরে মোহাম্মদ নওয়াজকে নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন বাঁহাতি মারকুটে ব্যাটার। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৫১ বলে ৯১ রান যোগ করেন ফাখার ও নওয়াজ।
১০ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ বলে ৭৭ ইনিংস খেলেন ফাখার। আর নওয়াজের ব্যাট থেকে আসে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৭ বলে ৩৭ রান।
আমিরাতের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রানে ২ উইকেট নেন হায়দার আলি।
পরে লেগ স্পিনের জাদু দেখান আবরার। তার ঘূর্ণির কোনো জবাব দিতে পারেননি আমিরাতের ব্যাটারর। আলিশান শারাফু ছাড়া আর কেউ উইকেটে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি।
৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন আবরার। এটিই তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং।
ওপেনিংয়ে নেমে ১৭তম ওভার পর্যন্ত খেলেন শারাফু। ৪টি করে চার-ছক্কায় ৫১ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। শেষ দিকে ধ্রুব পারাশার ১৫ বলে ১৮ ও হায়দার আলি ৯ বলে ১২ রান করে পরাজয়ের ব্যবধান কমান।
ম্যাথু ব্রিটস্কির ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শুরুটা স্বপ্নের মতো হয়েছে বললেও হয়তো পুরোপুরি ঠিক হবে না। কারণ এতটা ভালো শুরুর স্বপ্ন হয়তো ব্রিটস্কি নিজেও দেখেননি। অভিষেকের পর থেকে টানা পাঁচ ম্যাচে ফিফটি করে একাধিক বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার।
চোটের কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে খেলতে পারেননি ব্রিটস্কি। দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশে ফিরেই তিনি খেললেন ৭৭ বলে ৮৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস। তাতেই অনন্য কীর্তিতে নাম উঠে গেছে ২৬ বছর বয়সী ব্যাটারের।
ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম ব্যাটার হিসেবে নিজের প্রথম পাঁচ ইনিংসেই পঞ্চাশ পেরিয়েছেন ব্রিটস্কি। এত দিন ধরে রেকর্ডটি ছিল ভারতের নভোজিত সিং সিধু ও নেদারল্যান্ডসের টম কুপারের। দুজনই নিজেদের প্রথম পাঁচ ম্যাচের চারটিতে খেলেছিলেন পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস।
গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে অভিষেক হয় ব্রিটস্কির। প্রথম ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৮ বলে ১৫০ রান করে তিনি গড়েন ওয়ানডে অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড।
এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন ৮৪ বলে ৮৩ রান। এরপর আবার অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে খেলেন দুই ওয়ানডে। ওই দুই ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৬ বলে ৫৭ ও ৭৮ বলে ৮৮ রানের ইনিংস। আর এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করলেন ৮৫ রান।
সব মিলিয়ে প্রথম পাঁচ ম্যাচে ৯২.৬০ গড় ও ১০৪.৫১ স্ট্রাইক রেটে ব্রিটস্কির সংগ্রহ ৪৬3 রান। ওয়ানডে ইতিহাসে ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ ম্যাচে এত বেশি রান করতে পারেননি আর কেউ।
এখানেও টম কুপারের রেকর্ড ভেঙেছেন ব্রিটস্কি। নেদারল্যান্ডসের সাবেক তারকা ব্যাটার নিজের প্রথম পাঁচ ম্যাচে করেছিলেন ৩৭৪ রান। এছাড়া তিনশর বেশি রানের নজির আছে আরও ৭ জনের। তবে চারশর বেশি করা একমাত্র ব্যাটার ব্রিটস্কিই।
এছাড়া সব মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টানা পাঁচ ইনিংসে ফিফটি করা চতুর্থ ব্যাটার ব্রিটস্কি। তার আগে এই কীর্তি গড়েছেন জন্টি রোডস, কুইন্টন ডি কক (দুবার) ও হেনরিখ ক্লাসেন।
ক্রিকেটারদের দেখভাল করা, স্বার্থ সংরক্ষণ করার সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। তা নিশ্চিত করতে মূলত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মুখোমুখি দাঁড়ানোই কোয়াবের মূল কাজ।
কিন্তু গত এক যুগ ধরে হয়ে আসছিল এর উল্টোটা। বিসিবির মুখোমুখি না হয়ে উল্টো বিসিবির একটি অঙ্গ সংগঠনের মতো চলছিল কোয়াব। তবে দীর্ঘ ১১ বছর পর সভাপতি নির্বাচিত নতুন প্রতিশ্রুতি দিলেন মোহাম্মদ মিঠুন।
ক্রিকেটারদের দাবিদাওয়া আদায়ে বিসিবির বিরুদ্ধে দাঁড়াতেও ভাববেন না অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। বৃহস্পতিবার কোয়াবের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেছেন মিঠুন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সংবাদ সম্মেলনের চুম্বকাংশ।
কোয়াবের নির্বাচন প্রসঙ্গে
সুন্দর পরিবেশে সবাই ভোট দিতে পেরেছে। আমি মনে করি, জেতা-হারা বড় বিষয় নয়। ক্রিকেটের জয় হয়েছে। কারণ ক্রিকেটারদের সবাইকে খুব কম সময় এভাবে একসঙ্গে পাই। আমরা যেভাবে এত সুন্দর পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছি, সবার সঙ্গে দেখা হয়েছে, অনেক সাবেক ক্রিকেটারের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে যাদের আমরা চিনতাম না।
আরও পড়ুন
এক নজরে দেখে নিন এনসিএল টি-টোয়েন্টির পূর্ণাঙ্গ সূচি |
![]() |
আমি মনে করি, কোয়াবের কার্যক্রম যদি প্রপারলি থাকে, তাহলে এই দূরত্ব আর থাকবে না। সিনিয়র হোক, জুনিয়র হোক- প্রত্যেকটা সেক্টরের, প্রত্যেকটা জায়গা থেকে আমরা ক্রিকেটাররা যদি একত্রিত হতে পারি বিভিন প্রোগ্রামে তাহলে আমাদের একে অন্যের সঙ্গে বোঝাপড়া ভালো থাকবে। ক্রিকেটের সার্কেলটাও বড় হবে।
প্রত্যেক সেক্টরে থাকবে প্রতিনিধি
কারও চাওয়ার প্রয়োজন নেই- এটা ভুল। চাওয়ার প্রয়োজন অবশ্যই আছে। আমি বিপিএল, ডিপিএল বা ন্যাশনাল লিগ খেলি। তাই জাতীয় দল বা এর আশপাশের ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত। এগুলোর সমাধান আমি করতে পারব। তবে নিচে অনেক জায়গা আছে, যে সমস্যাগুলো আমরা জানি না।
আমরা নিজেদের জায়গা থেকে সমস্যা ফিল করছি। তবে নিচে আরও সমস্যা আছে। সেই জিনিসগুলো জানাও আমাদের প্রয়োজন। তাই আমরা ঠিক করেছি, প্রত্যেকটা সেক্টরে আমাদের প্রতিনিধি থাকবে। যে আমাদের সব কিছু জানাবে এবং আমরা সেভাবে কাজ করব।
আরও পড়ুন
মেসির বিদায়ী ম্যাচে বিপদে পড়তে পারেন যারা |
![]() |
বিসিবির কাছ থেকে সমর্থনের আশা
আমি মনে করি, ক্রিকেটাররা বিসিবির, বিসিবিও ক্রিকেটারদের। এটা একটা পরিবার। এখানে কোনো দুরত্ব থাকা উচিত না। বিসিবি আমাদের অভিভাবক। আমরা যে কোনো সমস্যা বিসিবিকে জানাতেই পারি। বিসিবিকে নক করতেই পারি। আমি আশা করব, বিসিবিতে যারা দায়িত্বে আছেন তারা জিনিসগুলো ইতিবাচকভাবে দেখবেন।
আপনারা সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন, ক্রিকেটের মূল স্টেকহোল্ডার ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের কোনোভাবেই বঞ্চিত হওয়া উচিত না। এত দিন হয়তো অনেক কিছু হয়নি। তবে এখন থেকে আশা করব, সবকিছু নতুনভাবে হয়েছে। নতুন ক্রিকেট বোর্ড। আমরাও নতুন। তাই আমরা একটা পরিবার হয়ে যেন কাজ করতে পারি।
সামনের কর্মপরিকল্পনা
আমাদের যেহেতু পূর্ণাঙ্গ কমিটি আছে। সবার সঙ্গে একসঙ্গে বসে মেজর সমস্যাগুলো বের করব। এজন্য আপনাদের অনুরোধ করব, সবাই একটু ধৈর্য ধরবেন। কারণ সব কিছু রাতারাতি পরিবর্তন হয়ে যাবে না। আমরা একসঙ্গে একশ কাজ করতে পারব না।
তবে এতটুকু কথা দিতে পারি, আমরা কখনও বসে থাকব না। আমরা প্রতিনিয়ত সামনের দিকে যাব। সমস্যাগুলো বের করে, সেগুলো নিয়ে কাজ করব। মানুষ মাত্রই ভুল। তবে সেটা কখনও ইচ্ছাকৃত হবে না। আমাদের অজান্তে ভুল হতে পারে। তবে আমরা জেনেশুনে ভুল করব না।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপের টিকেট মাত্র ১৩৮ টাকা, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গাইবেন শ্রেয়া |
![]() |
সবার কাছে ধৈর্যের প্রত্যাশা
প্রত্যেকটা সেক্টরে আমাদের প্রতিনিধি থাকবে। প্রথম বিভাগ বলেন, দ্বিতীয় বিভাগ বলেন। আমরা এরই মধ্যে তাদের সঙ্গে কথা বলে রেখেছি। তারাও অবগত। আমরা এই কমিটি শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক করতে চাই না, দিনে দিনে এটা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। এজন্যই আপনাদের বলেছি, একটু ধৈর্য ধরতে হবে।
আমার মূল পেশা ক্রিকেট খেলা। আমার প্রথম কাজ মাঠে ক্রিকেট খেলা। এরপর আমি একটা দায়িত্ব পেয়েছি। কোনোভাবেই এই দায়িত্বকে অবহেলা করতে পারব না। আবার ক্রিকেটকেও অবহেলা করা যাবে না। বাকি যারা আছে, তারাও কোনো না কোনো পেশায় আছেন। এটা একটা সেবামূলক জায়গা। সবাই সবার কাজ ঠিক রেখে এখানে এসে কাজ করছেন। তাই আপনাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আপনাদের সমর্থন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনারাও আমাদের পরিবারের অংশ।
প্রয়োজনে বিসিবির বিরুদ্ধে লড়াই
কোনো কিছু দুইভাবে আদায় করা যায়। প্রথমত অনুরোধ করে সুন্দরভাবে প্রেজেন্ট করে। আরেকটা হলো ফাইট করে। আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব তাদের সঙ্গে সুন্দরভাবে সমঝোতার মাধ্যমে সব কিছু সমাধান করার। এরপর যদি না হয়, আমি যেহেতু আল্টিমেটলি ক্রিকেটারদের স্বার্থে এখানে এসেছি, তাদের পক্ষেই আমার কথা বলতে হবে। তাতে যদি কেউ অখুশি হয়, তাতে আমার কিছু করার নেই। ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি হিসেবে এসেছি, তাদের স্বার্থই আগে দেখতে হবে।
আরও পড়ুন
টি স্পোর্টসে দেখা যাবে বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ |
![]() |
বিসিবি নির্বাচনে কার পক্ষে কোয়াব
আমরা তাদেরই সমর্থন করব, যারা আমাদের পাশে থাকবে। এখানে (বিসিবি নির্বাচনে) কে প্রার্থী, তা মূখ্য নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমরা কতটা লাভবান হচ্ছি। কার দ্বারা ক্রিকেটাররা উপকৃত হবে, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
কোয়াব পুনর্গঠনে তামিম ইকবালের ভূমিকা
দুজনই (তামিম ইকবাল ও আমিনুল ইসলাম বুলবুল) আমাদের লোক। যে-ই বিসিবি সভাপতি হোক, আমরা দুই ক্ষেত্রেই খুশি হবো। এই জায়গায় একটা জিনিস না বললেই নয়, কোয়াবের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ক্রিকেটারদের মধ্যে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা যে কোয়াব ক্রিকেটারদের পাশে থাকতে পারে। কারণ আমাদের বেশিরভাগ ক্রিকেটারের এই বিশ্বাসটা ছিল না।
বর্তমান ক্রিকেটার ও বড় ভাইদের এক করার পেছনে... কোনো কিছু লুকিয়ে রাখতে চাই না। যেটা সত্য সেটা উন্মোচিত হওয়াই ভালো। তো সবাইকে এক করার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন তামিম ভাই। উনি যেভাবে সক্রিয় ছিলেন। উনার এত সক্রিয় না থাকলে কিছু হতো না।
এখন উনি ক্রিকেট খেলেন না। তবু উনি নিজের কাজের পাশাপাশি কোয়াবকে সময় দিয়েছেন এবং প্রত্যেকটা সিনিয়র ক্রিকেটারকে কোয়াবের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন। বর্তমান ক্রিকেটাররাও তাকে দেখেই এখানে আসার আত্মবিশ্বাস পেয়েছে। তাই আমি তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই কোয়াবকে আবার নতুন করে এক করার পেছনে বড় ভূমিকা রাখায়।