২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ৮:৩৪ এম
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার পারফর্মেন্স ছিল হতাশাজনক। এর কারণে বিশ্বকাপের মাঝেই দেশটির সরকার, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন। ফলে দেশটার ক্রিকেট বোর্ডকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল।
যার কারণে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপও দেশটি থেকে সড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। তবে প্রায় তিন মাস পর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে আইসিসি। এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আরও পড়ুন: ‘বেসিক’ ঠিক রেখে শ্রীলঙ্কার জয়ের নায়ক সামারাবিক্রমা
আইসিসির সেই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘’আইসিসি সদস্য হিসেবে তার বাধ্যবাধকতাগুলোর গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য নভেম্বর মাসে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, বিশেষ করে স্বায়ত্তশাসিতভাবে এর বিষয়গুলো পরিচালনা করার প্রয়োজনীয়তা এবং বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের ওপর দেশটির সরকারের সরাসরি কোনো হস্তক্ষেপ নেই তা নিশ্চিত করা গিয়েছে।‘’
সেই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকে নিষিদ্ধ করার পর তাদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। আমরা এখন সন্তুষ্ট যে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড আইসিসির সদস্যতার কোনো আইন লঙ্ঘন করছে না।’
এর আগে নভেম্বরের ১০ তারিখ দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল আইসিসি। দেশটার ক্রিকেটের জন্য সস্তির যে অবশেষে তারা এই নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়েছে।
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সর্বশেষ খেলার আপডেট জানতে চোখ রাখুন টি স্পোর্টসে এছাড়া ফেসবুকে আমাদের ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন ও ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
No posts available.
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:০৪ পিএম
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২:০৩ পিএম
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩ এম
আগস্টে মাত্র একটি টেস্টই খেলেছেন মোহাম্মদ সিরাজ। তবে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির শেষ ম্যাচটিতে ভারতের জয়ের নায়ক ছিলেন এই পেসারই। ওভাল টেস্টে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংলিশ ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে শিকার করেছিলেন ৯ উইকেট।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুফল পেলেন সিরাজ। আইসিসির ‘প্লেয়ার অব দ্য মন্থ’ হওয়ার দৌড়ে সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন এ ভারতীয় পেসার। তিনজনের তালিকায় বাকি দুজনও ফাস্ট বোলার, নিউজিল্যান্ডের পেসার ম্যাচ হেনরি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জায়ডেন সিলস।
ইংল্যান্ডের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-২ ব্যবধানে সিরিজ সমতায় শেষ করে ভারত। অতিথিদের বোলিং আক্রমণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন সিরাজ। শেষ ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৬ ওভারেরও বেশি বল করে নেন ৯ উইকেট, বোলিং গড় ২১.১১। ভারতের সেরা বোলার জাসপ্রিত বুমরাহর অভাব টেরই পেতে দেননি সিরাজ। শেষ টেস্টে ভারতের ৬ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হন তিনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে আগুনঝরা বোলিংয়ে ১৬ উইকেট শিকার করেন কিউই পেসার হেনরি, বোলিং গড় ছিল ৯.১২। প্রতিপক্ষের মাঠে নিউজিল্যান্ডের ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে সিরিজসেরা হন তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪ বছর পর ওয়ানডে সিরিজ জয়ে বল হাতে দারুণ অবদান রাখেন সিলস। তিন ম্যাচের সিরিজে ৪.১০ ইকনোমিতে নেন ১০ উইকেট। সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৮ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন, যা ওয়ানেডেতে ক্যারিবিয়দের হয়ে তৃতীয়সেরা বোলিং ফিগার।
এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের অভিজ্ঞতা আছে মাসুদুর রহমান মুকুলের। এবার নতুন আসরে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার লড়াইয়ে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পেলেন বাংলাদেশের এই আম্পায়ার।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এই খবর জানিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। একইসঙ্গে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচের আম্পায়ারদের তালিকা প্রকাশ করেছে তারা।
মঙ্গলবার শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপ পরিচালনায় বিশ্ব ক্রিকেটের অভিজ্ঞ, দক্ষ ম্যাচ অফিসিয়ালদের দায়িত্ব দিয়েছে এসিসি। টুর্নামেন্টজুড়ে সব ম্যাচের রেফারি হিসেবে থাকবেন অভিজ্ঞ দুই ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন ও অ্যান্ডি পাইক্রফট।
টুর্নামেন্টে আম্পায়ারিং করবেন আফগানিস্তানের আহমেদ পাখতিন ও ইজাতুল্লাহ শাফি, পাকিস্তানের আসিফ ইয়াকুব ও ফয়সাল আফ্রিদি, বাংলাদেশের মাসুদুর রহমান মুকুল ও গাজী সোহেল, শ্রীলঙ্কার রবীন্দ্র উইমালসিরি ও রুচিরা পাল্লিয়াগুরুগে এবং ভারতের রোহান পন্ডিত ও বিরেন্দর শর্মা।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়ে মুখ খুললেন শ্রেয়াস আইয়ার |
![]() |
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। ওই ম্যাচে অন ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশের মুকুল ও শ্রীলঙ্কার পাল্লিয়াগুরুগে। তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন পাখতিন।
ফোর্থ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইজাতুল্লাহকে। আর ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে থাকবেন পাইক্রফট।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ। এরপর শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে তারা। এই তিন ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ম্যাচ অফিসিয়ালরা।
বাংলাদেশ বনাম হংকং (১১ সেপ্টেম্বর)
অন ফিল্ড আম্পায়ার - রবীন্দ্র উইমালসিরি ও রোহান পন্ডিত
টিভি আম্পায়ার - আসিফ ইয়াকুব, চতুর্থ আম্পায়ার - ফয়সাল আফ্রিদি
ম্যাচ রেফারি - রিচি রিচার্ডসন
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা (১৩ সেপ্টেম্বর)
অন ফিল্ড আম্পায়ার - রোহান পন্ডিত ও ফয়সাল আফ্রিদি
টিভি আম্পায়ার - বিরেন্দর শর্মা, চতুর্থ আম্পায়ার - আসিফ ইয়াকুব
ম্যাচ রেফারি - রিচি রিচার্ডসন
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান (১৬ সেপ্টেম্বর)
অন ফিল্ড আম্পায়ার - রবীন্দ্র উইমালসিরি ও ফয়সাল আফ্রিদি
টিভি আম্পায়ার - রোহান পন্ডিত, চতুর্থ আম্পায়ার - বিরেন্দর শর্মা
ম্যাচ রেফারি - রিচি রিচার্ডসন
মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপের ১৭তম আসর। টুর্নামেন্টের জন্য ঘোষিত ভারতীয় দলে জায়গা হয়নি শ্রেয়াস আইয়ারের। দল থেকে বাদ পড়ার বেশ কিছু দিন পর ভারতীয় ব্যাটার।
আইকিউওও ইন্ডিয়া পডকাস্টে নিজের হতাশা প্রকাশ করেন শ্রেয়াস।
“এটা কেবল তখনই হতাশার, যখন তুমি জানো যে তুমি দলে ও একাদশে থাকার যোগ্য। তখনই সেটা হতাশার হয়।”
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সবশেষ ভারত জাতীয় দলের হয়ে আন্তজার্তিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। তবে আইপিএলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স তাকে আলোচনার কেন্দ্রে রেখেছে।
আরও পড়ুন
ভেন্যু, ফরম্যাট ও প্রাইজমানি- এশিয়া কাপ নিয়ে জানার আছে যা কিছু |
![]() |
২০২৪ আইপিএলে তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সকে শিরোপা জিতিয়েছেন এবং ২০২৫ মৌসুমে পাঞ্জাব কিংসকে ফাইনালে তুলেছেন। আইপিএলে গত দুই মৌসুমে ৩১ ইনিংসে করেছেন ৯৫৫ রান, গড় ৪৫.৪৮, স্ট্রাইক রেট ১৬৩.৫!
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শ্রেয়াস খেলেছেন ৫১ টি-টোয়েন্টি, রান ১১০৪, গড় ৩০.৬৬, স্ট্রাইক রেট ১৩৬.১২। আইপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে সাম্প্রতিক ব্যাটিং ফর্মের কারণে দলে না থাকায় তাই বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন ভারত জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটিং কোচ অভিষেক নায়ারও।
তবে ব্যক্তিগত সাফল্যের চেয়ে দলের জয়কে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে চান শ্রেয়াস।
“যখন জানি কেউ নিয়মিত ভালো পারফর্ম করছে এবং দলের জন্য সর্বোচ্চটা দিচ্ছে, তখন তাকে সমর্থন করতে হয়। শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য থাকে দলের জয়। আর দল যখন জেতে, তখন সবাই খুশি থাকে।”
সুযোগ না পেলেও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন শ্রেয়াস
“যদি সুযোগ না পাও, তখনও তোমাকে সততার সাথে নিজের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। শুধু কেউ দেখছে বলেই কাজ করা নয়। কেউ না দেখলেও কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এটাই সততা।”
আরও পড়ুন
আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে পাকিস্তান ও নাওয়াজের যত রেকর্ড |
![]() |
এশিয়া কাপ বা ইংল্যান্ড সফরে পাঁচ ম্যাচের টেস্টে সুযোগ না রাখা হলেও শ্রেয়াসকে ভারত ‘এ’ দলের অধিনায়ক করা হয়েছে। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুই ম্যাচের মাল্টি-ডে সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শ্রেয়াস সবশেষ সাত রঞ্জি ট্রফি ইনিংসে করেছেন ৪৮০ রান, গড় ৬৮.৫৭, স্ট্রাইক রেট ৯০.২।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের হয়ে শেষবার টেস্ট খেলেছিলেন শ্রেয়াস। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি করে টেস্ট সিরিজে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে তার।
ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিজেদের দেশের বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা ও বাঁহাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। সিরিজ থেকে প্রাপ্ত সব অর্থ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে দিয়ে দেবেন তারা।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার রাতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আফগানিস্তানকে মাত্র ৬৬ রানে অলআউট করে ৭৫ রানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মহৎ ঘোষণাটি দেন সালমান।
“আমরা দল হিসেবে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাই, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশ এখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই শাহিন আর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি- এই সিরিজ থেকে যা আয় হয়েছে সব আমরা বন্যাদুর্গতদের সহায়তায় দান করব।”
আরও পড়ুন
আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে পাকিস্তান ও নাওয়াজের যত রেকর্ড |
![]() |
নিজে ঘোষণা দিয়েই কাজ শেষ মনে করেননি সালমান, অন্য তারকাদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
“আমি আমাদের অন্য তারকাদেরও আহ্বান জানাই- যাদের জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের পুনর্গঠনে এগিয়ে আসুন।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একই কথা জানান শাহিন আফ্রিদি।
“এই জয় পাকিস্তানের মানুষের জন্য। আমি আর সালমান এই সিরিজ থেকে আমাদের সব আয় দেশের বন্যাদুর্গতদের জন্য দান করছি। আমরা প্রস্তুত পরবর্তী চ্যালেঞ্জের জন্য। এই দল সর্বোচ্চটা দেওয়ার জন্য লড়ে যাবে!”
গত কয়েক সপ্তাহের টানা বর্ষণে পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়ি, ফসল, রাস্তাঘাট ভেসে গেছে বন্যার জলে। বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, লাখ লাখ মানুষ হয়েছে বাস্তুচ্যুত। এ পরিস্থিতিকে ‘মানবিক সংকট’ হিসেবে উল্লেখ করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
এই কঠিন সময়ে ক্রীড়াঙ্গনের বহু মানুষ এগিয়ে এসেছেন। কয়েক দিন আগে পেশোয়ার জালমি একটি চ্যারিটি ম্যাচ আয়োজন করে তহবিল সংগ্রহ করেছে। সালমান ও শাহীন এবার তাঁদের সিরিজ জয়কে দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করে দেখালেন- খেলাধুলা শুধু বিনোদনের নয়, বরং দুর্দিনে আশার প্রদীপ জ্বালানোরও বড় শক্তি।
দুই বছর পর আবার বসতে যাচ্ছে এশিয়া কাপের আসর। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুই মাঠে এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই শুরু মঙ্গলবার।
এর আগে একনজরে দেখে নেওয়া যাক এশিয়া কাপ সম্পর্কে খুঁটিনাটি সব তথ্য।
কবে শুরু এশিয়া কাপ
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এশিয়া কাপের ১৭তম আসর। এবারের সবগুলো ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়। শুধুমাত্র মাত্র ১৫ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
ভেন্যু
এশিয়া কাপের এবারের স্বাগতিক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির জায়েদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আবু ধাবি ও দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে সবগুলো ম্যাচ।
আরও পড়ুন
আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে পাকিস্তান ও নাওয়াজের যত রেকর্ড |
![]() |
আমিরাতে কেন এশিয়া কাপ
এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ ভারত। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্কের টানা-পোড়েনের কারণে দুই দেশের কেউই তাদের প্রতিপক্ষ দেশে গিয়ে খেলতে রাজি নয়। তাই নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে আমিরাতকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
টুর্নামেন্ট যদি ভারতের মাঠেই হতো, তাহলে পাকিস্তানের ম্যাচগুলোর জন্য আবার নিরপেক্ষ কোনো দেশের মাঠ ভাড়া করতে হতো। যেমনটা করা হয়েছে সামনের নারী বিশ্বকাপের জন্য। তবে এশিয়া কাপে তা নয়। তাই আয়োজক দেশ ভারত কিন্তু স্বাগতিক দেশ আমিরাত।
এশিয়া কাপে খেলবে কারা
এশিয়ার টেস্ট খেলুড়ে পাঁচ দেশ- বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সঙ্গে এবার এশিয়া কাপে খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও হংকং। গত বছর এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল আয়োজিত এসিসি প্রিমিয়ার কাপ থেকে এশিয়া কাপের টিকেট পেয়েছে এই তিন দল।
ফরম্যাট
শুরুতে এশিয়া কাপ ছিল ওয়ানডে ফরম্যাটের টুর্নামেন্ট। তবে ২০১৬ সাল থেকে বদলে যায় এটি। তখন সিদ্ধান্ত হয় যে, সামনে যে ফরম্যাটের বিশ্বকাপ থাকবে, এশিয়া কাপও হবে সেই ফরম্যাটে। তাই ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে এবারের এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টিতে।
২০১৬ সালে প্রথম আয়োজিত হয় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপ। সেবার ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। আর ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সবশেষ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে শ্রীলঙ্কা।
২০২৩ সালে হয়েছিল এশিয়া কাপের সবশেষ আসর। ওয়ানডে টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।
ফরম্যাট (২)
প্রাথমিকভাবে দুই গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে ৮ দলকে। 'এ' গ্রুপে আছে ভারত, পাকিস্তান, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। 'বি' গ্রুপের ৪ দল- বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং। দুই গ্রুপের সেরা দুই দল পাবে সুপার ফোরের টিকেট।
পরে সুপার ফোর পর্বে একে অপরের বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ খেলবে চার দল। সেখান থেকে সেরা দুই দলকে নিয়ে দুবাইয়ে হবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল। সব মিলিয়ে ১৯ ম্যাচে শেষ হবে ২০ দিনের এই টুর্নামেন্ট।
স্পটলাইট থাকবে যাদের ওপর
টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ৮ দেশের বেশ কয়েকজন সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার। ভারতের হয়ে এরই মধ্যে ১৭ ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি করে ফেলা অভিষেক শর্মার ওপর নজর থাকবে সবার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২৪ বছর বয়সী ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ১৯৩.৮৪! এবারই প্রথম বড় কোনো আসরে খেলবেন এই ওপেনার।
এছাড়া বাংলাদেশের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন, আফগানিস্তানের রহস্য স্পিনার আল্লাহ্ মোহাম্মদ গাজানফার, পাকিস্তানের পেসার সালমান মির্জা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিনায়ক ও ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিম, হংকংয়ের অধিনায়ক মুর্তাজাও আলো কেড়ে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের গুঁড়িয়ে ইংল্যান্ডের রেকর্ড বইয়ে ঝড় |
![]() |
প্রাইজমানি
এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য থাকছে ৩ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার কাছাকাছি। আর রানার্স-আপ দল পাবে দেড় লাখ ডলার।
এশিয়া কাপ সম্পর্কে আরও কিছু
১৯৮৪ সালে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে প্রথম আয়োজিত হয় এশিয়া। ওয়ানডে বিশ্বকাপের চেয়ে মাত্র ৯ বছরের ছোট এই টুর্নামেন্ট। শুরুতে ধারবাহিকতা নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল এশিয়া কাপ।
তবে ২০০৮ সালের পর থেকে প্রতি দুই বছরে একবার করে মাঠে গড়ায় এটি। মাঝে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনাভাইরাসের কারণে হয়নি এশিয়া কাপ।
টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৮ শিরোপা জিতেছে ভারত। ৬ ট্রফি নিয়ে দুইয়ে শ্রীলঙ্কা।