১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৩:২৩ পিএম

পার্থে আগামী পরশু শুরু হবে ঐতিহাসিক অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট। প্রায় দুই দিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই টেস্টের দল ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। সেই দলে জায়গা পেয়েছেন পেসার মার্ক উড। প্রায় দেড় বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন তিনি।
গত ২০২৪ সালের আগস্টের পর কোনো টেস্ট খেলেননি উড। ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে মাত্র আট ওভার বল করার পর বাঁ পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে টান অনুভব করেন তিনি। পরে সতর্কতামূলকভাবে তাঁর স্ক্যান করানো হলে কোনো জটিলতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ইসিবি।
দলের প্রথম অনুশীলন সেশনে বাম হাঁটুতে ব্যান্ডেজ বেঁধে নেটে বল করেন উড। তাঁকে মোকাবিলা করে ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার জেমি স্মিথ জানালেন, উডের গতি আগের মতোই ভয়ংকর। বিবিসিকে স্মিথ বলেন, ‘আজ তিনি নেটে দারুণ দ্রুত গতিতে বল করেছেন। যাঁরা নেটে ব্যাটিং করতে যান, তাঁর তালিকা এড়িয়ে চলাই ভালো।’
পার্থ টেস্টে ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণে থাকছেন জফরা আর্চার, গাস অ্যাটকিনসন, ব্রাইডন কার্স ও অধিনায়ক বেন স্টোকস। দলে স্পিন আক্রমণে আছেন শোয়েব বাশির। সপ্তাহজুড়ে মাঠ শুকিয়ে শক্ত হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাই বাড়তি স্পিন বিকল্প রাখতে চাইছে ইংল্যান্ড।
চোট কাটিয়ে ফিরেছেন অধিনায়ক বেন স্টোকসও। কাঁধের চোটের কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকার পর লায়ন্সের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ছয় উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ২০১০-১১ সালের পর কোনো অ্যাশেজ সিরিজ জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। সবশেষ ২০১৫ সালে তারা অ্যাশেজ জিতেছিল নিজেদের মাঠে। এ ছাড়া পার্থে ১৯৭৮ সালের পর কোনো টেস্ট জিততে পারেনি ইংল্যান্ড দল। তাই এবার সিরিজ শুরুর আগে দলে উডের ফেরা ইংল্যান্ড দলে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে।
ইংল্যান্ড দল:
বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জফরা আর্চার, গাস অ্যাটকিনসন, শোয়েব বশির, হ্যারি ব্রুক, ব্রাইডন কার্স, জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, অলি পোপ, জো রুট, জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), মার্ক উড।
No posts available.
১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৬ এম

ইডেন গার্ডেনের পিচ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছেই। ব্যাটারদের জন্য রীতিমতো বদ্ধভূমি হয়ে যাওয়া উইকেটে শেষ পর্যন্ত ধরাশায়ী হয়েছে ভারতই। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য পাতা ফাঁদে পড়ে শুবমান গিলের দল হারে ৩০ রানে। স্পিন-সহায়ক পিচ নিয়ে এরপর ভারতের সাবেক বর্তমান অনেক ক্রিকেটারই এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনায় যোগ দিয়েছেন। এবার তালিকায় যুক্ত হলেন ভারতীয় পেসার ভুবেনেশ্বর কুমার।
কলকাতায় প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্টের জন্য স্পিন-সহায়ক পিচ তৈরি করা নিয়ে তর্ক করা পুরোপুরি অর্থহীন ভুবেনেশ্বরের মতে। এ ধরনের পিচে খেলেই বহুদিন টেস্ট জিতে আসছে ভারত। তাতে নতুন করে উইকেট নিয়ে সমালোচনা করার কিছুই দেখছেন না এই পেসার।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ভুবেনেশ্বর বলেছেন,
‘এটি প্রথমবার নয় যে স্পিন-সহায়ক পিচ প্রস্তুত করা হয়েছে। আগে কেউ এই প্রশ্ন তুলেনি কারণ তখন ভারত জিতে এসেছে। জয় এবং হার খেলার অংশ। এটা এমন নয় যে দল আগে কখনো হারেনি বা এবার প্রথমবার হেরেছে। আমার কাছে এটা (পরাজয়) বড় কোনো উদ্বেগের বিষয় নয়।’
ইডেনে চারজন স্পিনার খেলানো প্রয়োজন ছিল কি না, এমন ৩৫ বছর বয়সী পেসার বলেন,
‘যেভাবে উইকেট প্রস্তুত করা হয়েছে, আমরা সবাই জানি চারজন স্পিনারের (অক্ষর প্যাটেল, রবিশ্বরাজ জাডেজা, কুলদীপ যাদব এবং ওয়াশিংটন সুন্দর) প্রয়োজন ছিল। আমাদের কিছু ভালো স্পিনার ছিল, পিচে বল ঘুরছিল। আর ম্যাচের ধরন অনুযায়ী চারজন স্পিনার খেলানো একটি ভালো সিদ্ধান্ত ছিল।’
এর আগে পিচ নিয়ে সমালোচনা করেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলী। ইন্ডিয়া টুডেকে সৌরভ বলেছেন,
‘বিতর্কের কোনো জায়গা নেই। টেস্টের জন্য ভালো পিচ ছিল না এটা। দুর্ভাগ্যবশত ভারত হেরে গেছে। তবে, তাদের ১২০ রান করে জেতা উচিত ছিল। গাম্ভির বলেছে যে, তারা এমন পিচই চেয়েছিল এবং তারাই কিউরেটরকে নির্দেশনা দিয়েছিল। হ্যাঁ, এটা সত্যি; নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। আমি যা বলেছিলাম, তা আবার বলছি। আমি গৌতামকে খুব পছন্দ করি; সে ইংল্যান্ডে, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের জন্য ভালো কাজ করেছে। সে দায়িত্ব চালিয়ে যাবে, তবে আমাদের অবশ্যই ভালো পিচে খেলতে হবে।’
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে আগামী শনিবার গুয়াহাটিতে মুখোমুখি হবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিক। ঘাড়ের চোটে অধিনায়ক গিলকে এই টেস্টে না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি স্বাগতিকদের।

পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের মধ্যেকার ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তাঁর পরিবর্তে ডাক পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার লেগ-স্পিনার বিজয়কান্ত ভিয়াসকান্ত।
গতকাল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এখনও পুরোপুরি সেরে না ওঠায় অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে এই সিরিজে পাচ্ছে না তারা। ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন হ্যামস্ট্রিংয়ে টান অনুভব করেন হাসারাঙ্গা।
হাসারাঙ্গার বদলি হিসেবে ডাক পাওয়া বিজয়কান্থ ভিয়াসকান্ত বর্তমানে কাতারে ‘এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার’ টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের হয়ে খেলছেন। সেখান থেকেই সরাসরি পাকিস্তানে দলের সঙ্গে যোগ দিবেন এই লেগ-স্পিনার।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে জাফনা স্ট্যালিয়ন্সের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আলোচনায় আসেন ভিয়াসকান্ত। শ্রীলঙ্কার এই লিগে মাত্র ১৮ বছর ৩৬৪ দিন বয়সে মাঠে নেমে রেকর্ড গড়েন এই লেগ-স্পিনার। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের ২০২৫ আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ভিয়াসকান্ত। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ৫৯ ম্যাচে ২০.৯৮ গড়ে ৬৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এর আগে অসুস্থতার কারণে দুই লঙ্কান ক্রিকেটার চারিথ আসালাঙ্কা ও আসিথা ফার্নান্দো পাকিস্তান ছাড়ছেন বলে নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। আসালাঙ্কার অনুপস্থিতিতে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে নেতৃত্ব দেবেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসিথা ফার্নান্দোর বদলি হিসেবে স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার পবন রত্নায়েকেও দলে নেওয়া হয়েছে।
রাওয়ালপিন্ডিতে গতকাল প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিক পাকিস্তান। আগামীকাল একই মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করবে শ্রীলঙ্কা।

সব ঠিক থাকলে হয়তো একসঙ্গে মাঠে থেকেই মুশফিকুর রহিমের একশতম টেস্টের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারতেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু নানান কারণে জাতীয় দল থেকে অনেক দূরে সাবেক বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার।
তাই বলে জাতীয় দলের দীর্ঘ দিনের সতীর্থ মুশফিকের বিশেষ উপলক্ষ একদমই ভোলেননি সাকিব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দেওয়া বিশদ বার্তায় মুশফিকের জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার।
বিকেএসপিতে (বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) সাকিবের সিনিয়র ছিলেন মুশফিক। পরে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে মুশফিকের অধিনায়কত্বে খেলেছেন সাকিব।
প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় পর মুশফিকের শততম টেস্টের আনন্দঘন উপলক্ষে সেই দিনগুলোতে ফিরে গেলেন সাকিব। তার কাছে সবসময়ই অধিনায়ক মুশফিক।
“লর্ডসে যখন আপনি আপনার প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলছিলেন, আমি বিকেএসপিরর রিক্রিয়েশন রুম থেকে প্রতিটি বল দেখেছিলাম। সেই দিন থেকেই আপনি আমাকে এবং বাংলাদেশের অসংখ্য ক্রিকেটারকে অনুপ্রাণিত করেছেন।”
“আপনি অনেকদিন ধরে খেলছেন। আপনার খেলায় সবকিছু উজাড় করে দিয়েছেন। বয়সভিত্তিক দলে যখন আপনি নেতৃত্ব দিতেন, তখন থেকেই আপনাকে আমি আমার অধিনায়ক হিসেবে দেখেছি৷ আর যতদিন ক্রিকেট খেলব, আপনি সবসময়ই আমার অধিনায়ক হয়ে থাকবেন।”
২০০৫ সালে লর্ডস টেস্ট দিয়ে মুশফিকের টেস্ট অধ্যায় শুরু। সেদিন সব বল খেলা দেখা সাকিবের ইচ্ছা এবার শততম টেস্টে মুশফিকের খেলা সবগুলো বল দেখার।
“মুশফিক ভাই, এই বিশেষ মুহূর্তে আপনার ১০০তম টেস্ট ম্যাচের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। যে অর্জন যেকোনো ক্রিকেটারের জন্যই ইতিহাস। যেমনভাবে আপনার প্রথম ম্যাচের প্রতিটি বল দেখেছিলাম, তেমনি আপনার ১০০তম টেস্ট ম্যাচেও আপনি যে প্রতিটি বল খেলবেন, আমি দেখব।”
দীর্ঘ পোস্টের শেষ দিকে নিজের মনের একটি ইচ্ছাও জানান দেন সাকিব
“আশা করি আপনি এই ম্যাচটা উপভোগ করবেন। আর ইচ্ছে করে, ইশ! যদি আমি আপনার সঙ্গে এই ম্যাচটা খেলতে পারতাম এবং মাঠেই আপনার গৌরব উদযাপন করতে পারতাম।”

শততম টেস্টে শতক থেকে মাত্র ১ রান দূরে দাঁড়িয়ে দিন শেষ করলেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম দিন শেষে ৯০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৯২ রান। ৫ চারে ১৮৭ বলে ৯৯ রানে অপরাজিত মুশফিক। ফিফটির অপেক্ষায় আছেন লিটন কুমার দাস। ২ চারে ৮৬ বলে ৪৭ রানে খেলছেন তিনি।
পঞ্চম উইকেটের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৯০ রান। দ্বিতীয় দিন সকালে ১ রান করলেই শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করা ১১তম ক্রিকেটার হয়ে যাবেন মুশফিক।
এর আগে ফিফটি করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি মুমিনুল হক। ৬৩ রান করে আউট হন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটার। আর নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৮ রান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটির শুরুটা ভালো ছিল। ৫২ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ৩৫ রান করে ফেরেন সাদমান ইসলাম। আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় আউট হন ৩৪ রানে।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে ৪টি উইকেটই নিয়েছেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৯২/৪ (জয় ৩৪, সাদমান ৩৫, মুমিনুল ৬৩, শান্ত ৮, মুশফিক ৯৯*, লিটন ৪৭*; নিল ৮-০-৩৭-০, ক্যাম্ফার ৮-০-২৮-০, ম্যাকব্রাইন ২৬-২-৮২-৪, হামফ্রিজ ২৬-০-৮৩-০, হোয়ে ১৯-১-৪৮-০, টেক্টর ৩-০-১০-০)

রান তাড়ায় পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল পাকিস্তান। সহজ ম্যাচ কঠিন করে তোলে স্বাগতিকেরা। তবে ফাখার জামান ও উসমান খান বন্ধুর পথ পেরিয়ে পাকিস্তানকে এনে দেন দরুণ এক জয়। তাতে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান।
রাওয়ালপিন্ডিতে আজ প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। তাড়া করতে নেমে ৪ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান।
জিম্বাবুয়ের স্কোর তাড়ায় শুরুতেই পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। দলীয় ২৭ রানে প্রথম উইকেটের পতন—১৬ রান করে ব্র্যাড ইভান্সের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার। এরপর আরও দুটি উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। শূন্য রানে ফেরেন বাবর আজম, ১ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক সালমান আলি আগা। দশম ওভারে আউট হন আরেক ওপেনার সাইম আয়ূব।
পঞ্চম উইকেটে দলের হাল ধরেন ফাখার জামান ও উসমান খান। দুজন মিলে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। ৪৪ রান করে ফেরেন জামান। তবে উসমান খান মোহাম্মদ নওয়াজকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। উসমান করেন ৩৭, নওয়াজ অপরাজিত থাকেন ২১ রানে। জিম্বাবুয়ের হয়ে ব্র্যাড ইভান্স নেন দুটি উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চমৎকার শুরু করে জিম্বাবুয়ে। পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৫৯ রান তোলে দুই ওপেনার—ব্রায়ান বেনেট ও তাদিওয়ানাশে মারুমানি। তবে এরপর ধস নামে তাদের ইনিংসে। অষ্টম ওভারে দলীয় ৭২ রানে প্রথম উইকেট—৩০ রান করে ফেরেন মারুমানি।
দলীয় ৯১ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন—১৪ রান করে ফেরেন ব্রেন্ডন টেলর। এরপর ম্যাচে ফেরে পাকিস্তান। ওপেনার বেনেট ৪৯ রানে ফিরে গেলে চাপ বাড়ে জিম্বাবুয়ের উপর। আসা-যাওয়ার মাঝেও হাল ধরেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তিনি ২৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন। শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে ৮ উইকেটে ১৪৭ রান তোলে। পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ নওয়াজ নেন দুটি উইকেট।