এশিয়া কাপের ফাইনালেও লেগে থাকল ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক বৈরিতার ঝাঁজ। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেও, নিজেদের মেডেল বা ট্রফি গ্রহণ করল না ভারতীয় ক্রিকেট দল।
ফাইনাল ম্যাচ শেষ হওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর শুরু হয় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেন তিলক ভার্মা। টুর্নামেন্ট সেরার স্বীকৃতি গ্রহণ করেন অভিষেক শর্মা। এছাড়া কুলদিপ যাদবের হাতে ওঠে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার পুরস্কার।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন ভারতের জন্য ২৯ কোটি টাকা বোনাস |
![]() |
এসব ব্যক্তিগত পুরস্কারের মাঝে রানার্স-আপ হিসেবে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা নিজেদের মেডেল গ্রহণ করেন। আর পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগার হাতে দেওয়া হয় রানার্স-আপ দলের ৭৫ হাজার ডলারের ডামি চেক।
অভিষেককে টুর্নামেন্ট সেরা পুরস্কার দেওয়ার পর ভারতীয় দলকে মেডেল ও তাদের ট্রফি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রেজেন্টেশনের দায়িত্বে থাকা সাইমন ডুল তখন বলেন,
"এসিসির পক্ষ থেকে আমাকে বলা হয়েছে, ভারতীয় দল তাদের পুরস্কার আজকে গ্রহণ করবে না।"
সাইমন ডুল তখন আর কিছু জানাননি। পুরস্কার গ্রহণ না করার কোনো কারণ খোলাসা করেননি। পরে অবশ্য ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা ট্রফি ছাড়াই নিজেদের মতো করে উদযাপন সারেন এবং মাঠের ফটোগ্রাফারদের জন্য চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পোজ দিয়ে ছবিও তোলেন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে পাকিস্তানের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য মহসিন নাকভি উপস্থিত থাকার কারণেই তার হাত থেকে পুরস্কার নিতে রাজি হয়নি ভারত।
আরও পড়ুন
তিলক যেন আকাশ ছুঁলেন |
![]() |
নাকভির আরও দুইটি পরিচয় আছে। তিনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান। মূলত এসিসি প্রধান হিসেবেই ফাইনালের ট্রফি তার হাত থেকে নেওয়ার কথা চ্যাম্পিয়ন দলের।
কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে চলা ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে, ফাইনালের আগেই বলা শোনা যাচ্ছিল, চ্যাম্পিয়ন হলে নাকভির হাত থেকে ট্রফি নেবে না ভারত। শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও, হয়তো সে কারণেই চ্যাম্পিয়ন হয়েও কোনো পুরস্কার নিলো না তারা।
No posts available.
১ অক্টোবর ২০২৫, ৪:৫৫ পিএম
ম্যাচ তখন সমান সমান, ভাগ্য যেন দাঁড়িয়ে ফিফটি-ফিফটিতে। শেষ ১২ বলে রংপুরের চাই ২২ রান। বল হাতে দায়িত্ব নিলেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ১৯তম ওভারের প্রথম ডেলিভারি-আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাট চালালেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। কিন্তু ব্যাটের মাঝখান নয়, লেগেছে কোনায়। চার–ছক্কার বদলে বলটা উঠল সোজা আকাশে, ক্রিজ লাইনও পেরোল না। সেখানেই যেন ভাঙল রংপুরের আশা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এনসিএলে আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে ৩ রানে জয় পেয়েছে খুলনা। আসরে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে উঠে এলো খুলনা।
এগিয়ে যাওয়ার ম্যাচে টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রংপুরের অধিনায়ক আকবর আলী। আমন্ত্রণে খুলনার ব্যাটারদের সমন্বিত নৈপুণ্যে স্কোরবোর্ডে ওঠে ১৪৯ রান। জবাব দিতে নেমে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর।
এদিন রংপুরের আমন্ত্রণে খুলনার হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন ইমরানুজ্জামান ও এনামুল হক বিজয়। উইকেটরক্ষক ব্যাটার ইমরানুজ্জামানের বিদায়ে ৪৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন বিজয়। সে চেষ্টা ফিকে হয়ে আসে নাসির হোসেনের বলে আলাউদ্দিন বাবুর হাতে ধ্রুব ক্যাচ দিয়ে ফিরলে।
টপঅর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারানোর পরও ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান বিজয়। যদিও তার চলা ছিল কিছুটা শ্লথ। জাহিদ জাভেদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়ার আগ পর্যন্ত ৩৪ বলে করতে পারেন কেবল ৩৫ রান।
বিজয় যখন ফেরেন তখন দলীয় সংগ্রহ ছিল ১২ ওভারে ৬৮। এরপর মূল দায়িত্ব এসে পড়ে অধিনায়ক মিথুনের ওপর। খুলনার কাপ্তান সে দায়িত্ব ভালোভাবেই সামাল দেন। দলকে বিপদমুক্ত করে ফেরার আগে ১৭ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে দিয়ে যান।
খুলনার জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন জিয়াউর রহমান। ১৬ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন এই পেস অলরাউন্ডার। যাতে ছিল ৪টি ছক্কা। নাহিদুলের সঙ্গে তার জুটিটি ছিল ৫০ রানের। তাতে ১৪৯ রানের পুঁজি পায় দল।
মিথুনের দলের যাত্রা থামে লক্ষ্যের ৩ রান আগে। তানভির হায়দার একাই চেষ্টা চালিয়ে যান শেষ পর্যন্ত। অপরাজিত ছিলেন ৬০ রানে। জাহেদ জাভেদের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে টিকে ছিলেন ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত। যোগ্য সঙ্গীর অভাবে আসরে আরেকটি হারের সঙ্গী হলো রংপুর।
দলীয় ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারানো রংপুর দ্বিতীয় জুটিতে পায় ৪৬ রানের জুটি। অনিক সরকারকে নিয়ে বন্দরে পৌঁছানোর যে পরিকল্পনা ছিল তা ভেস্তে দেন জিয়াউর রহমান। ব্যাট হাতে খুলনার হয়ে ঝড় তোলা এই পেসার বল হাতেও রংপুরের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ান।
রংপুরের আশা-উচ্চাশা ছিল শেষ পর্যন্ত। তবে স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান আবদুল গাফফার-আলউদ্দিন বাবুরা। তাদের অহেতুক আসা-যাওয়ার মিছিলে শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে রংপুর। শেষ পর্যন্ত থামতে হয় ১৪৬ রানে।
খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট ঝুলিতে ভরেন রবিউল হক। একটি করে উইকেট তোলেন নাহিদুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় ও জিয়াউর। ব্যাট-বলে নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন জিয়াউর।
এশিয়া কাপে সাত ম্যাচের মধ্যে চার ইনিংসেই ডাক। মিডিয়া থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম- সমালোচনা ও হাস্যরসও কম হয়নি। তবে চার ডাকের পর সাইম আইয়ুব পেয়েছেন বড় সুখবর। টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এখন ২৩ বছর বয়সী এই পাকিস্তানি ক্রিকেটারই।
আইসিসির সাপ্তাহিক হলনাগাদে কিছুটা চমকই যেন দিলেন পাকিস্তানের ওপেনার ও খণ্ডকালীন অফস্পিনার সাইম। কুড়ি ওভারের সংস্করণে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে চার ধাপ এগিয়ে শীর্ষে উঠেছেন। পেছনে ফেলেছেন ভারতের হার্দিক পান্ডিয়াকে। সাইমের রেটিং পয়েন্ট এখন ২৪১, পান্ডিয়ার চেয়ে আট পয়েন্ট বেশি।
তবে ব্যাট হাতে একেবারেই ব্যর্থ ছিলেন সাইম। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপে সাত ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৩৭ রান। চার ইনিংসে মেরেছেন ডাক। ফাইনালে করেছিলেন ১৪ রান। তবে বল হাতে ছিলেন কার্যকর। ৬.৪০ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ৮ উইকেট। দুই থেকে তিনে নেমে গেছেন আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি।
দারুণ ছন্দে থাকা ভারতের ওপেনার অভিষেক শর্মা ব্যাটারদের শীর্ষস্থান ধরে রখেছেন। ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যর্থ হওয়ায় ২৫ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটারের পাঁচ রেটিং পয়েন্ট কমেছে। সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬১ রান করার পর ৯৩১ রেটিং পয়েন্ট ছিল তাঁর, এখন ৯২৬। দুই নম্বরে থাকা ইংল্যান্ডের ফিল সল্টের চেয়ে ৮২ পয়েন্ট বেশি।
তিলক ভার্মা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ৪৯ এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংস খেলে ২৮ রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেছেন। তিনি এখনও তিন নম্বরেই আছেন।
শ্রীলঙ্কার ওপেনার পাতুম নিসাঙ্কা ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন। দুই ধাপ এগিয়ে পাঁচে তিনি। পাকিস্তানের ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ১১ ধাপ এগিয়ে ১৩ নম্বরে। বাংলাদেশের সাইফ হাসান ৪৫ ধাপ এগিয়ে ৩৬ ব্যাটারদের তালিকায়।
ফাইনালে পাকিস্তান দারুণ শুরু পেলেও তাদের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেন কুলদীপ যাদব। চার উইকেট নেন ভারতের এই বাঁহাতি রিস্ট-স্পিনার। তিনি ৯ ধাপ এগিয়ে বোলারদের তালিকায় ১২ নম্বরে আছেন। পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ১২ ধাপ এগিয়ে ১৩ নম্বরে। বাংলাদেশের লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেন ৬ ধাপ এগিয়ে ২০তম। শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের বরুণ চক্রবর্তী।
রাচিন রবীন্দ্র গতকাল চোটে পড়ায় আজ একাদশে সুযোগ পান টিম রবিনসন। সুযোগ পেয়েই নিজেকে নিংড়ে দিয়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ৬ রানে ৩ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ায় রবিনসনের সেঞ্চুরিতে। তবে সেই সেঞ্চুরিও কাজে আসলো না।
রবিনসনের সেঞ্চুরি ছাপিয়ে মার্শ ঝড়ে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটে জিতল অস্ট্রেলিয়া। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ। রবিনসনের সেঞ্চুরি, ড্যারিল মিচেল ও বেভন জ্যাকবসের কার্যকর ইনিংসের সৌজন্যে ৬ উইকেটে ১৮১ রান তোলে স্বাগতিকেরা।
মার্শের আশি পেরেনো ইনিংস, ট্রাভিস হেড-ম্যাথু শর্টদের ছোট কয়েকটি ঝোড়ো ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৮২ রানের লক্ষ্য ২১ বল বাকি থাকতেই তাড়া করে সফরকারীরা। ১৮০-এর বেশি রান তাড়ায় নেমে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ড এটি।
আরও পড়ুন
নিউজিল্যান্ড যেন ছোটখাটো হাসপাতাল |
![]() |
দ্বিতীয় রেকর্ডটিও অস্ট্রেলিয়ার। গত জুলাইয়ে ব্যাসেটেরেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছিল তারা ২৩ বল বাকি থাকতেই। তালিকায় শীর্ষে আছে পাকিস্তান। এই বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২০৫ রানের লক্ষ্য ২৪ বল আগেই তাড়া করে তারা।
পাওয়ার-প্লেতে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৬৮ রান। মার্শ-হেডের ওপেনিং জুটিতে জয়ের ভিত পেয়ে যায় তারা। ৫.৩ ওভারে ৬৭ রানে ফেরেন হেড। ১৮ বলে ৩১ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। দ্বিতীয় উইকেটে শর্ট-মার্শ ৩৪ বলে ৬৮ রানের আরেকটি দুর্দান্ত জুটি গড়েন। ১৮ বলে ২৯ রানে আউট হন শর্ট।
আরেকপ্রান্তে তাণ্ডব চালান মার্শ। ৪৩ বলে ৮৫ রানে করেছেন অজি অধিনায়ক। ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ৫টি ছক্কা। ১২ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন টিম ডেভিড। ১৬.৩ ওভারেই জয়ের লক্ষ্য তাড়া করেছে অজিরা। ৪৩ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন কিউই পেসার ম্যাট হেনরি।
তার আগে তিন নম্বরে নেমে রবিনসনের অপরাজিত ৬৬ বলে ১০৬ রানের কল্যাণে বড় সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। রবিনসনের মেরেছেন ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা। ২৩ বলে ৩৪ রান করেছেন মিচেল। ২০ রান আসে বেভনের ব্যাট থেকে। ৪০ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন অজি পেসার বেন ডারশুইস।
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে জয়ের ছন্দ ধরে রেখেছে চট্রগ্রাম। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ বরিশালকে ৮ উইকেটে হারিয়ে হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছে ইয়াসির আলী রাব্বির দল। চার ম্যাচে এটি তৃতীয় জয় চট্রগামের।
টস হারলেও প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বরিশাল। মেহেদী হাসান রানার তোপ ও হাসান মুরাদের ঘূর্ণি জাদুরমুখে সুবিধা করতে পারেনি তারা। ৭ উইকেটে ১২৮ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস। মাহমুদুল হাসান জয়ের ঝোড়ো ফিফটিতে বরিশালের দেওয়া ১২৯ রানের লক্ষ্য ২১ বল বাকি থাকতেই তাড়া করে চট্টগ্রাম।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাট চালান চট্টগ্রামের দুই ওপেনার জয় ও মুমিনুল হক। ৩.৩ ওভারে দুজনে স্কোরে যোগ করেন ৪৩ রান। দারুণ শুরু পেয়ে আর পেছনে তাকাতে হয়নি চট্টগ্রামকে। ৪ ওভারের মধ্যেই দলীয় ফিফটি।
আরও পড়ুন
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো—তামিমের যত ব্যাখ্যা |
![]() |
১১ বলে ২২ রান করে মুমিনুল ফিরলেও জয় ছিলেন সাবলীল। ৩৩ বলে করেন ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ৭৮ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন এই তরুণ ব্যাটার। ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে শাহাদাত হোসেন ফেরেন ১০ রানে। জয়ের সঙ্গে সৈকত আলী অপরাজিত থাকেন ২৭ রানে। ১৬.৩ ওভারেই জিতে যায় চট্টগ্রাম। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তানভীর ইসলাম ও সোহাগ গাজী।
তার আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মন্দ ছিল না বরিশালের। পাওয়ার-প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান তোলে তারা। দলীয় ৭০ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট। ২৬ বলে ৩৩ রান করে ফিরে যান ওপেনার ইফতেখার হোসেন ইফতি। তারপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১২৮ রান তোলে সালমান হোসেন ইমনের দল। ফজলে মাহমুদ রাব্বি করেন ২৯ বলে ২৬ রান। শেষ দিকে সোহাগ গাজী অপরাজিত ছিলেন ১৪ বলে ১৮ রানে। চট্টগ্রামের পেসার রানা ২২ রান দিয়ে ৩টি, ১০ রানে ২ উইকেট নেন মুরাদ।
ঢাকার সমান ৭ পয়েন্ট নিয়ে নেট রানরেটে পিছিয়ে থেকে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে বন্দরনগরীর দলটি। চার ম্যাচে একটিও জয় না পাওয়া বরিশাল টেবিলে সব দলের নিচে অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তামিম ইকবাল। পরিচালক পদে প্রার্থী হওয়ার কথা থাকলেও আজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন তিনি। সরে দাঁড়ানোর ব্যাখ্যায় তামিম প্রশ্ন তোলেন নির্বাচনের সুষ্ঠতা নিয়ে।
বিসিবি নির্বাচনের খসড়া অনুযায়ী আজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন। সকালে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তামিম। পরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আপনারা জানেন আমরা আজকে আমাদের নমিনেশনটা প্রত্যাহার করেছি। আমিসহ প্রায় ১৪-১৫ জনের মতো প্রত্যাহার করেছি। কারণটা খুবই পরিস্কার। এখানে আমার কাছে মনে হয় না যে আমাকে খুব বিস্তারিত বা ব্যাখ্যা করে আপনাদেরকে কোনো কিছু বলার আছে।’
নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ব্যাখ্যায় তামিম বললেন, ‘আমি শুরু থেকেই একটা কথা বলে আসছি, নির্বাচনটা কোন দিকে যাচ্ছে বা কীভাবে হচ্ছে, এ জিনিস নিয়ে আপনারা সবাই এখন পরিস্কার। যখন যেমন মনে হচ্ছে, যখন যা মনে হচ্ছে, তখন তা করা হচ্ছে। এটা আসলে নির্বাচন না। ক্রিকেটের সঙ্গে এ জিনিসটা কোনো দিক থেকেই মানায় না।’
আরও পড়ুন
বিসিবি নির্বাচন করছেন না তামিম |
![]() |
তামিমসহ ১৫ জন প্রার্থী আজ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। তাঁর মতে, এঁরা সবাই হেভিওয়েট প্রার্থী, তাঁদের শক্ত ভোটব্যাংক রয়েছে। সরে দাঁড়ানোকে প্রতিবাদ হিসেবে দেখছেন তামিম, ‘আমি নিশ্চিত যখন ইসি তালিকা দেবে, আজকে কারা কারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন, তাদের নামগুলা দেখলেই বুঝতে পারবেন, তারা সবাই তাদের জায়গা থেকে হেভিওয়েট, তাদের ভোটব্যাংকও খুব শক্ত। এটা হলো আমাদের একটা প্রতিবাদ।'
তামিমের দাবি, প্রার্থীদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ তৈরি করা হয়েছে, তাঁরা যেন মনোনয়ন প্রত্যাহার না করেন। না হলে এই সংখ্যা আরও বাড়তো বলে উল্লেখ করেন তিনি, ‘আর দ্বিতীয়ত আমি একটা জিনিস সব সময় বলেছি বাংলাদেশ ক্রিকেট এটা প্রত্যাশা করে না, বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকেরাও এটা আশা করে না। এটাও বলে রাখি, আমি জানি না কতজন স্বীকার করবেন কী করবেন না, কিন্তু এখানে আরও অনেকেই আজকে প্রত্যাহার করতেন। তাদেরকে বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন ওয়েতে বুঝানো হয়েছে বা চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে, তাদেরকে কোনভাবে থামানো হয়েছে। না হলে আরো অনেকেই আজকে প্রত্যাহার করতেন। তাও ১৫ জন যদি আজকে করে থাকেন, যদি আমি ঠিক হয়ে থাকি, এটা একটা সিগনিফিকেন্ট নাম্বার। প্রায় ফিফটি পার্সেন্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এই বিষয়ে পরে বিস্তারিত কথা বলব।’