
সিলেট টেস্টে ব্যাট হেসেছে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যাটারদের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদুল হাসান জয় ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
দারুণ শতকে দলের জয়ে অবদান রাখা জয়-শান্ত র্যাঙ্কিংয়েও পেলেন পুরষ্কার। আইরিশদের বিপক্ষে টেস্টে ২৮৬ বলে ১৭১ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা জয় ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন। ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণে ১৯ ধাপ এগিয়ে ৭৪ নম্বরে উঠে এসেছেন জয়।
সিলেট টেস্টে বরাবর ১০০ করা শান্ত ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে চার ধাপ এগিয়েছেন। বাংলাদেশের অধিনায়কের অবস্থান ৩৪তম।
ইনিংস ও ৪৭ রানে জেতা টেস্টে ৫২ বলে ২৩ রান করেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র শততম টেস্ট খেলার কীর্তি গড়া মিডল অর্ডারের এই ব্যাটার র্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ ধাপ পিছিয়েছেন। ৩৮ বছর বয়সী ডানহাতি এই ব্যাটার আছেন ৩৭ নম্বরে। অবশ্য মিরপুরে নিজের শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিক এখন পর্যন্ত দারুণ ব্যাটিং করছেন। শততম টেস্টে শতক দিয়ে রাঙাতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।
এছাড়া টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে কোনো অপরিবর্তিত আছেন সিলেট টেস্টে ৬০ করা লিটন দাস। এই উইকেটকিপার ব্যাটার আছেন ৪৫ নম্বরে। একই টেস্টে ৮০ রান করা সাদমান ইসলাম এগিয়ে ৫৫ নম্বরে উঠে এসেছেন।
No posts available.
১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৬ এম

পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের মধ্যেকার ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তাঁর পরিবর্তে ডাক পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার লেগ-স্পিনার বিজয়কান্ত ভিয়াসকান্ত।
গতকাল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এখনও পুরোপুরি সেরে না ওঠায় অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে এই সিরিজে পাচ্ছে না তারা। ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন হ্যামস্ট্রিংয়ে টান অনুভব করেন হাসারাঙ্গা।
হাসারাঙ্গার বদলি হিসেবে ডাক পাওয়া বিজয়কান্থ ভিয়াসকান্ত বর্তমানে কাতারে ‘এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার’ টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের হয়ে খেলছেন। সেখান থেকেই সরাসরি পাকিস্তানে দলের সঙ্গে যোগ দিবেন এই লেগ-স্পিনার।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে জাফনা স্ট্যালিয়ন্সের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আলোচনায় আসেন ভিয়াসকান্ত। শ্রীলঙ্কার এই লিগে মাত্র ১৮ বছর ৩৬৪ দিন বয়সে মাঠে নেমে রেকর্ড গড়েন এই লেগ-স্পিনার। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের ২০২৫ আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ভিয়াসকান্ত। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ৫৯ ম্যাচে ২০.৯৮ গড়ে ৬৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এর আগে অসুস্থতার কারণে দুই লঙ্কান ক্রিকেটার চারিথ আসালাঙ্কা ও আসিথা ফার্নান্দো পাকিস্তান ছাড়ছেন বলে নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। আসালাঙ্কার অনুপস্থিতিতে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে নেতৃত্ব দেবেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসিথা ফার্নান্দোর বদলি হিসেবে স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার পবন রত্নায়েকেও দলে নেওয়া হয়েছে।
রাওয়ালপিন্ডিতে গতকাল প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিক পাকিস্তান। আগামীকাল একই মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করবে শ্রীলঙ্কা।

সব ঠিক থাকলে হয়তো একসঙ্গে মাঠে থেকেই মুশফিকুর রহিমের একশতম টেস্টের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারতেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু নানান কারণে জাতীয় দল থেকে অনেক দূরে সাবেক বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার।
তাই বলে জাতীয় দলের দীর্ঘ দিনের সতীর্থ মুশফিকের বিশেষ উপলক্ষ একদমই ভোলেননি সাকিব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দেওয়া বিশদ বার্তায় মুশফিকের জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার।
বিকেএসপিতে (বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) সাকিবের সিনিয়র ছিলেন মুশফিক। পরে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে মুশফিকের অধিনায়কত্বে খেলেছেন সাকিব।
প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় পর মুশফিকের শততম টেস্টের আনন্দঘন উপলক্ষে সেই দিনগুলোতে ফিরে গেলেন সাকিব। তার কাছে সবসময়ই অধিনায়ক মুশফিক।
“লর্ডসে যখন আপনি আপনার প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলছিলেন, আমি বিকেএসপিরর রিক্রিয়েশন রুম থেকে প্রতিটি বল দেখেছিলাম। সেই দিন থেকেই আপনি আমাকে এবং বাংলাদেশের অসংখ্য ক্রিকেটারকে অনুপ্রাণিত করেছেন।”
“আপনি অনেকদিন ধরে খেলছেন। আপনার খেলায় সবকিছু উজাড় করে দিয়েছেন। বয়সভিত্তিক দলে যখন আপনি নেতৃত্ব দিতেন, তখন থেকেই আপনাকে আমি আমার অধিনায়ক হিসেবে দেখেছি৷ আর যতদিন ক্রিকেট খেলব, আপনি সবসময়ই আমার অধিনায়ক হয়ে থাকবেন।”
২০০৫ সালে লর্ডস টেস্ট দিয়ে মুশফিকের টেস্ট অধ্যায় শুরু। সেদিন সব বল খেলা দেখা সাকিবের ইচ্ছা এবার শততম টেস্টে মুশফিকের খেলা সবগুলো বল দেখার।
“মুশফিক ভাই, এই বিশেষ মুহূর্তে আপনার ১০০তম টেস্ট ম্যাচের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। যে অর্জন যেকোনো ক্রিকেটারের জন্যই ইতিহাস। যেমনভাবে আপনার প্রথম ম্যাচের প্রতিটি বল দেখেছিলাম, তেমনি আপনার ১০০তম টেস্ট ম্যাচেও আপনি যে প্রতিটি বল খেলবেন, আমি দেখব।”
দীর্ঘ পোস্টের শেষ দিকে নিজের মনের একটি ইচ্ছাও জানান দেন সাকিব
“আশা করি আপনি এই ম্যাচটা উপভোগ করবেন। আর ইচ্ছে করে, ইশ! যদি আমি আপনার সঙ্গে এই ম্যাচটা খেলতে পারতাম এবং মাঠেই আপনার গৌরব উদযাপন করতে পারতাম।”

শততম টেস্টে শতক থেকে মাত্র ১ রান দূরে দাঁড়িয়ে দিন শেষ করলেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম দিন শেষে ৯০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৯২ রান। ৫ চারে ১৮৭ বলে ৯৯ রানে অপরাজিত মুশফিক। ফিফটির অপেক্ষায় আছেন লিটন কুমার দাস। ২ চারে ৮৬ বলে ৪৭ রানে খেলছেন তিনি।
পঞ্চম উইকেটের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৯০ রান। দ্বিতীয় দিন সকালে ১ রান করলেই শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করা ১১তম ক্রিকেটার হয়ে যাবেন মুশফিক।
এর আগে ফিফটি করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি মুমিনুল হক। ৬৩ রান করে আউট হন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটার। আর নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৮ রান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটির শুরুটা ভালো ছিল। ৫২ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ৩৫ রান করে ফেরেন সাদমান ইসলাম। আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় আউট হন ৩৪ রানে।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে ৪টি উইকেটই নিয়েছেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৯২/৪ (জয় ৩৪, সাদমান ৩৫, মুমিনুল ৬৩, শান্ত ৮, মুশফিক ৯৯*, লিটন ৪৭*; নিল ৮-০-৩৭-০, ক্যাম্ফার ৮-০-২৮-০, ম্যাকব্রাইন ২৬-২-৮২-৪, হামফ্রিজ ২৬-০-৮৩-০, হোয়ে ১৯-১-৪৮-০, টেক্টর ৩-০-১০-০)

রান তাড়ায় পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল পাকিস্তান। সহজ ম্যাচ কঠিন করে তোলে স্বাগতিকেরা। তবে ফাখার জামান ও উসমান খান বন্ধুর পথ পেরিয়ে পাকিস্তানকে এনে দেন দরুণ এক জয়। তাতে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান।
রাওয়ালপিন্ডিতে আজ প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। তাড়া করতে নেমে ৪ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান।
জিম্বাবুয়ের স্কোর তাড়ায় শুরুতেই পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। দলীয় ২৭ রানে প্রথম উইকেটের পতন—১৬ রান করে ব্র্যাড ইভান্সের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার। এরপর আরও দুটি উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। শূন্য রানে ফেরেন বাবর আজম, ১ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক সালমান আলি আগা। দশম ওভারে আউট হন আরেক ওপেনার সাইম আয়ূব।
পঞ্চম উইকেটে দলের হাল ধরেন ফাখার জামান ও উসমান খান। দুজন মিলে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। ৪৪ রান করে ফেরেন জামান। তবে উসমান খান মোহাম্মদ নওয়াজকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। উসমান করেন ৩৭, নওয়াজ অপরাজিত থাকেন ২১ রানে। জিম্বাবুয়ের হয়ে ব্র্যাড ইভান্স নেন দুটি উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চমৎকার শুরু করে জিম্বাবুয়ে। পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৫৯ রান তোলে দুই ওপেনার—ব্রায়ান বেনেট ও তাদিওয়ানাশে মারুমানি। তবে এরপর ধস নামে তাদের ইনিংসে। অষ্টম ওভারে দলীয় ৭২ রানে প্রথম উইকেট—৩০ রান করে ফেরেন মারুমানি।
দলীয় ৯১ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন—১৪ রান করে ফেরেন ব্রেন্ডন টেলর। এরপর ম্যাচে ফেরে পাকিস্তান। ওপেনার বেনেট ৪৯ রানে ফিরে গেলে চাপ বাড়ে জিম্বাবুয়ের উপর। আসা-যাওয়ার মাঝেও হাল ধরেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তিনি ২৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন। শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে ৮ উইকেটে ১৪৭ রান তোলে। পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ নওয়াজ নেন দুটি উইকেট।

আবুধাবির টি টেন লিগের নবম আসর আজ থেকে শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে নর্দান ওয়ারিয়র্স ও কোয়েট্টা ক্যাভালরি। টুর্নামেন্টের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন নর্দানে এবারও খেলছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ।
শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নর্দান ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। ইনিংসের প্রথম ওভারে বোলিং করেন তাসকিন আহমেদ। মারকাটারি টুর্নামেন্ট হলেও প্রথম ওভারে মাত্র ৫ রান খরচ করেন দেশের ডানহাতি এই ফার্স্ট বোলার।
দুই বল ডট দিয়ে ওভার শুরু করেন তাসকিন। পরের বলে লেগ বাই থেকে এক রান, তৃতীয় বলে আবারও ডট দেন। চতুর্থ বলে তিন রান খরচ করেন। আর শেষ বলে দেন এক রান।
তাসকিন নিজের দ্বিতীয় ও কোটার শেষ ওভারে ১৯ রান খরচ করেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তাকে পুনরায় বল তুলে দেন নর্দানের অধিনায়ক। আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। প্রথম বলেই লিয়াম লিভিংস্টন ছক্কা হাঁকান। দ্বিতীয় বলেও একই রূপে ছয় মারেন। তৃতীয় বলে চার। টানা তিন বল সীমানা ছাড়ার পর শেষ তিন বলে কেবল তিন রান দেন তাসকিন।
এই ম্যাচে তাসকিন ২ ওভারে ১১.৫০ ইকোনমি রেটে মোট ২৩ রান খরচ করেন। উইকেট শূন্য থাকেন। নর্দানের হয়ে দুটি উইকেট তুলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ২ ওভারে ২০ রান খরচ করেছেন নিউজিল্যান্ড পেসার।
বোলারদের রান বিলানোর ম্যাচে কোয়েট্টা নির্ধারিত ১০ ওভারে সংগ্রহ করে ১৩৩ রান। খাজা নাফে ১২ বলে সর্বোচ্চ ৪৫* রান করেন। জেসন হোল্ডারও খেলেন ১০ বলে ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংস।
রান তাড়ায় নেমে তড়িৎ ইনিংসের চেয়ে ধীরে খেলার দিকে মনোযোগ দেন হজরতউল্লাহ জাজাই ও জনসন চার্লস। আফগান ব্যাটার শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন। ২৮ বলে করেন ৩১ রান। কলিন মুনরো চেষ্টা চালিয়েছেন; ২৮ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। তবে কোটার সবগুলো ওভার শেষ হওয়ায় হাতে যথেষ্ট উইকেট থাকা সত্ত্বেও হার মেনে নিতে হয়েছে কোয়েট্টাকে।