২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৪৭ পিএম

বিপিএলের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া। মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঢাকা ক্যাপিটালসের সহকারী কোচ মাহবুব আলি জাকি।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ মাঠে লুটিয়ে পড়েছিলেন প্রয়াত আলি মাহবুব জাকি। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে সিপিআর দেওয়া হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর খবর আসে, মাহবুব আলী আর নেই।
সিপিআর বা কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন জীবন রক্ষাকারী এক কৌশল। এটি সাধারণত কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা হার্ট অ্যাটাক হলে জীবন রক্ষা করে। হঠাৎ এ রকম অসুস্থ হয়ে পড়ার সময় থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত এই সংকটাপন্ন সময়টায় কারও জীবন বাঁচানোর জন্য সিপিআর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মাহবুব আলি জাকিরের হার্ট অ্যাটাকের পর তাকে চিকিৎসকরা সহ সিপিআর দেন ঢাকা ক্যাপিটালস ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের ট্রেনার ইফতেখার ইসলাম ইফতি। অ্যাম্বুলেন্সেও দেওয়া হয় সিপিআর। তবে শেষ পর্যন্ত না ফেরার দেশে পাড়ি দেন জাকি।
গুরুত্বপূর্ণ ওই সময়ের বর্ণনা দেন ইফতেখার ইসলাম ইফতি। সংবাদমাধ্যমকে ঢাকা ক্যাপিটালসের ট্রেনার বলেন,
‘ফিজিও, ট্রেইনার বা ডক্টররা ছাড়া এই জিনিস হ্যান্ডেল করার মতো অন্য কেউ নাই। ওই টিমের ফিজিও ছিলেন। দ্রুত চিকিৎসকও আসে। আমরা ফিজিও ট্রেইনাররা ঐখানে গিয়েছি। তারপর বাকি সবাইকে সরিয়ে দেই। আমরা আমাদের প্রসেস অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করেছি। তখন ওনার সেন্স ছিল। ডাক্তার পরীক্ষা করছিল। আমরা দেখতেছিলাম পাশ থেকে ভিড় সামলানোর চেষ্টা করি।’
একটা সময় শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় প্রয়াত জাকির। তবে একের পর এক সিপিআর দেওয়ার পর নাকি আবার পালস আর স্বাভাবিকভাবে শ্বাস ফেলছিলেন তিনি। ইফতি বলেন,
‘একসময় দেখা গেল যে উনার শ্বাস আর ডাক্তার পালস পাচ্ছে না। তখন তিনি ডিসিশন নিয়েছে যে সিপিআর দিতে হবে। তো তাৎক্ষণিকভাবেই ডাক্তার সিপিআর দেওয়া শুরু করে। আমরাও তো প্রস্তুত ছিলাম কারণ এক, একার পক্ষে সিপিআর দেওয়া সম্ভব না। তো ডক্টর দুইটা সিপিআর দেওয়ার পরে, দুইবার সিপিআর দেওয়ার পরে ডক্টর আমাকে ট্রান্সফার করে। তো আমি আবার পাঁচবার সিপিআর দেই। তারপরে একসময় তিনি ফিরেও আসেনল। নড়াচড়া আর শ্বাস ফেলছিলেন।’
তারপর অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও সিপিআর দিয়ে যান ইফতি সহ অন্য ট্রেনার তুষার। হাতপাতালে নেওয়ার পর জানা যায় আর নেই মাহবুব আলি জাকি।
সবার সর্বাত্মক চেষ্টার পরও জাকির মৃত্যু দুর্ভাগ্য বলছেন ইফতি,
‘আমরা ট্রেইনার ফিজিও বা চিকিৎসকরা সবসময় চেষ্টাই করি যে এই ধরনের জীবন রক্ষাকারী ব্যবস্থা নিতে। যদি একজনকে প্রাণে বাঁচানো যায় করা যায় তাহলে এটা অনেক গর্বের বিষয় হতো। কিন্তু আসলেই আসলেই খুব দুখের ব্যাপার হচ্ছে যে মৃত্যুটা তার হয়তো লেখা ছিল। আমরা আমাদের মত করে চেষ্টা করেছি মানে যেটা চিকিৎসকের ভাষায় যেটা করা দরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি, চিকিৎসকরাও চেষ্টা করেছে, তবে আমাদের দুর্ভাগ্য ছিল।’
No posts available.
২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫:৪৭ পিএম
২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:৪৬ পিএম
২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩:৪৯ পিএম

দুই দিনেই শেষ হয়েছে বক্সিং ডে টেস্ট। বোলারদের দু’হাত ভরেই দিয়েছে মেলবোর্নের পিচ। আর ব্যাটারদের জন্য রীতিমতো দুঃস্বপ্ন। ম্যাচ জয়ের পরও পিচ নিয়ে রাগ ঝাড়েন বেন স্টোকস। এবার ইংলিশ অধিনায়কের সুরেই মুখ মেলালেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টের উইকেট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্টিভ স্মিথ।
গতকাল ম্যাচের প্রথম দিনেই পড়ে ২০ উইকেট। আজ দ্বিতীয় দিনে আরও ১৬ উইকেট পড়ে, মোট ৩৬ উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে মাত্র দুই দিনে শেষ হয় ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দেশটির মাটিতে প্রায় ১৫ বছরের জয়খরা কাটিয়েছে ইংল্যান্ড।
বলের হিসাবে ৮৫২ বলেই শেষ হয়েছে বক্সিং ডে টেস্ট। চার ইনিংস মিলিয়ে ট্রাভিস হেডের করা ৪৬ রানই সর্বোচ্চ। ম্যাচ শেষে মেলবোর্নের পিচ নিয়ে তাই ক্ষোভ লুকাননি স্বাগতিক দলের অধিনায়ক স্মিথ।
আরও পড়ুন
| সালাহর গোলে শেষ ষোলোতে মিসর, অপেক্ষা বাড়ল মরক্কোর |
|
মেলবোর্নের পিচে বোলারদের কি খুব বেশি সহায়তা দেওয়া হয়েছিল প্রশ্নে স্মিথ বলেন, ’আমার মনে হয় একটু বেশি ছিল। দুই দিনে ৩৬ উইকেট পড়া অনেক বেশি। সম্ভবত তারা (কিউরেটর) যতটা চেয়েছিল, তার চেয়ে পিচ একটু বেশি সহায়তা দিয়েছে। যদি ঘাস ৮ মিলিমিটারে নামানো যেত, তাহলে পরিস্থিতি একটু ভারসাম্যপূর্ণ হতো।’
ম্যাচ দ্রত শেষ হয়েছে জানিয়ে স্মিথ বলেন, ‘ম্যাচটা খুব দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। আমরা যদি দুই ইনিংসে আরও ৫০ বা ৬০ রান যোগ করতে পারতাম, তাহলে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে থাকতাম। বল কিছুটা নরম হওয়ার পর ইংল্যান্ডের ওপেনাররা যেভাবে খেলেছে, সেটাও বড় ভূমিকা রেখেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে পিচ নিয়ে কড়া সমালোচনা করতে দেখা গেছে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকসকেও। তিনি বলেন, ‘বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচ দুই দিনেরও কম সময়ে শেষ হয়ে যাবে, এটা কাম্য নয়। যদি পৃথিবীর অন্য কোথাও এমনটা হতো, তাহলে আগুন লেগে যেত।’

রাজশাহী ওয়ারিয়র্সকে উড়িয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে পথচলা শুরু করল ঢাকা ক্যাপিটালস। তবে তাদের দলে এখন শোকের ছায়া। কারণ ম্যাচ চলাকালেই মৃত্যুবরণ করেছেন দলের সহকারী কোচ মাহবুব আলি জাকি। তাই তাকেই জয়টি উৎসর্গ করেছে ঢাকা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার ইমাদ ওয়াসিমের বাঁহাতি স্পিনের জাদুর পর আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাব্বির রহমানের চমৎকার ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটের জয় পায় ঢাকা।
টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে রাজশাহীকে ১৩২ রানে আটকে দেয় ঢাকা। পরে ১৮.৫ ওভারে সেটি তাড়া করে ফেলে মোহাম্মদ মিঠুনের নেতৃত্বাধীন দল।
ম্যাচ শুরুর আগে দলকে অনুশীলন করানোর সময়ই অসুস্থ হয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়েন জাকি। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এরপর ম্যাচ চলাকালেই আসে দেশের অভিজ্ঞ এই পেস বোলিং কোচের মৃত্যুর খবর। তাই দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন দুই দলের ক্রিকেটার, ম্যাচ অফিসিয়াল ও মাঠে উপস্থিত বাকিরা।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে জাকির জন্য দোয়া করেন ঢাকার অধিনায়ক মিঠুন।
আরও পড়ুন
| সাব্বির-মামুনদের ব্যাটে শান্তদের হারাল ঢাকা |
|
“ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আমাদের জন্য এটি অপূরণীয় ক্ষতি। কারণ তিনি আমাদেরকে সবসময় বাবার মতো করে দেখতেন। তাই, আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতি।”
“অবশ্যই প্রতিটি ম্যাচে আমরা যখন পরিকল্পনা সাজাই, আমরা জিততে চাই। বিশেষ করে এই জয়টি আমরা জাকি স্যারকে উৎসর্গ করতে চাই। দোয়া করি, আল্লাহ্ তাকে জান্নাত নসিব করুন।”
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ইমাদ ওয়াসিম। পুরস্কার গ্রহণ করে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় নিজ থেকেই জাকির জন্য দোয়া করেন পাকিস্তানি স্পিনার।
“প্রথমত ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি (জাকি) খুব ভালো মানুষ ছিলেন। আজকে চলে গেলেন। দোয়া করি, আল্লাহ্ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন ও তার পরিবারকে এই শোক সইবার ধৈর্য দান করুন।”

ম্যাচ শুরুর আগেই সহকারী কোচ মাহবুব আলি জাকির অসুস্থতার খবর পায় ঢাকা ক্যাপিটালস। ম্যাচ চলাকালে তারা পায় মৃত্যুর সংবাদ। সেই শোককে যেন মাঠে শক্তিতে পরিণত করলেন সাব্বির রহমান, শামীম হোসেন পাটোয়ারীরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা। ১৩৩ রানের লক্ষ্য ৭ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে রাজধানীর দলটি। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট টাইটান্সকে হারিয়েছিল রাজশাহী। দ্বিতীয় ম্যাচেই বড় ধাক্কা খেল তারা।
রান তাড়ায় শুরুতেই অবশ্য সাইফ হাসানের (৪ বলে ১) উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা। আরেক ওপেনার উসমান খানও (১৫ বলে ১৮) তেমন কিছু করতে পারেননি। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ঢাকা করে ৪৩ রান।
তিন নম্বরে নেমে দায়িত্ব নেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে কিছু পথ এগিয়ে নেন মামুন। মিঠুন ফেরেন অল্পেই। পরে মামুনও ৩৯ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হলে চাপে পড়ে ঢাকা।
নাসির হোসেন ১৯ রান করতে খেলে ফেলেন ২২ বল। ফলে এক পর্যায়ে ২৫ বলে ৩৫ রানের।
সেখান থেকে আর রাজশাহীকে সুযোগ দেননি সাব্বির ও শামীম। দুজনের ১৮ বলে ৩৬ রানের জুটিতে অনায়াসেই জেতে ঢাকা। ১ চার ও ২ ছক্কায় ১০ বলে ২১ রান করেন সাব্বির। শামীমের ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ১৭ রান।
আরও পড়ুন
| মাঠেই বিপিএল কোচের মৃত্যু, ১ মিনিট নীরবতা |
|
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই সাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায় রাজশাহী। ইমাদের বলে দারুণ স্টাম্পিং করেন মোহাম্মদ মিঠুন। আগের দিন হতাশ করা তানজিদ হাসান তামিম এবার করেন ১৫ বলে ২০ রান।
এরপর আর সে অর্থে জুটি গড়তে পারেনি শান্তর নেতৃত্বাধীন দলটি। তিন নম্বরে নেমে তবু চেষ্টা করেন শান্ত। আগের দিন সেঞ্চুরি করা বাঁহাতি ব্যাটার এদিন খেলেন ২টি করে চার-ছক্কায় ২৮ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। এটিই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ।
এছাড়া ২৪ রান করতে ২৩ বল খেলেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ২৬ বলে ২৬ রান করেন সাত নম্বরে নামা মোহাম্মদ নাওয়াজ।
ঢাকার পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন পাকিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম। এছাড়া নাসির হোসেনের ঝুলিতে যায় ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স: ২০ ওভারে ১৩২/৮ (সাহিবজাদা ০, তামিম ২০, শান্ত ৩৭, ইয়াসির ১৩, মুশফিক ২৪, মেহেরব ০, নাওয়াজ ২৬*, সাকলাইন ৫, সাকিব ৩, লামিচানে ০*; ইমাদ ৪-০-১৬-৩, সালমান ৪-০-১৭-১, নাসির ৪-০-৩২-২, জিয়াউর ৪-০-৩৫-১, সাইফ উদ্দিন ৪-০-৩০-১)
ঢাকা ক্যাপিটালস: ১৮.৫ ওভারে ১৩৪/৫ (সাইফ ১, উসমান ১৮, মামুন ৪৫, ,মিঠুন ১২, নাসির ১৯, শামীম ১৭*, সাব্বির ২১*; বিনুরা ৩.৫-০-২২-০, সাকিব ৪-০-৩৬-১, সাকলাইন ৩-০-২০-০, নাওয়াজ ৪-০-২১-৩, লামিচানে ৪-০-৩৫-১)
ফল: ঢাকা ক্যাপিটালস ৫ উইকেটে জয়ী

দুই দিনের কম সময়ে মাত্র ১৪২ ওভার বা ৮৫২ বলেই শেষ ম্যাচ। চার ইনিংসেও নেই কোনো ফিফটি। দুই দল মিলিয়ে স্পিনাররা করেননি একটি বলও। এমন ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জিতলেও, উইকেট নিয়ে একদমই খুশি নন বেন স্টোকস।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শনিবার মাত্র দুই দিনের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার বক্সিং ডে টেস্ট। অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়ে প্রায় ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে ইংল্যান্ড।
এর আগে পার্থেও মাত্র দুই দিনে শেষ হয়েছিল ম্যাচ। প্রায় ১১৩ বছর পর দেখা গেল, একই সিরিজে দুই টেস্টের ফল এসেছে মাত্র দুই দিনে। এর আগে একই সিরিজে দুটি ম্যাচ দুই দিনের মধ্যে শেষ হতে দেখা গিয়েছিল ১৯১২ সালে।
এবার মেলবোর্নেও দুই দিনে ম্যাচ শেষ হলেও, উইকেট অবশ্য বিপজ্জনক ছিল না। তবে সিম মুভমেন্ট অত্যধিক থাকায় ব্যাটারদের কাজ ছিল খুবই কঠিন। যে কারণে অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৩২ সালের পর এবারই প্রথম দেখা গেল কোনো ফিফটিবিহীন টেস্ট।
আরও পড়ুন
| মাঠেই বিপিএল কোচের মৃত্যু, ১ মিনিট নীরবতা |
|
ম্যাচ জিতেও তাই সংবাদ সম্মেলনে পিচের সমালোচনা করতে ছাড়েননি স্টোকস।
“একদম সৎভাবে বললে, এটা আসলে কেউই চায় না। বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচ দুই দিনেরও কম সময়ে শেষ হয়ে যাবে, এটা কাম্য নয়। মোটেও আদর্শ পরিস্থিতি না। কিন্তু একবার খেলা শুরু হয়ে গেলে সেটা আর বদলানোর সুযোগ নেই, তখন সামনে যা আছে সেটার সঙ্গেই মানিয়ে নিয়ে খেলতে হয়।”
“তবে আমি নিশ্চিত, যদি পৃথিবীর অন্য কোথাও এমনটা হতো, তাহলে আগুন লেগে যেত। পাঁচ দিনের ম্যাচে এটা মোটেও ভালো উদাহরণ নয়। কিন্তু আমরা এমন এক ধরনের ক্রিকেট খেলেছি, যেটা শেষ পর্যন্ত কাজটা করে দিয়েছে।”
পৃথিবীর অন্য কোথাও বলতে উপমহাদেশের কথা বুঝিয়েছেন কিনা, তাও জানতে চাওয়া হয় স্টোকসের কাছে। কৌশলে এড়িয়ে যান ইংলিশ অধিনায়ক, ‘এটি (উপমহাদেশের কথা) মাত্র আপনি বললেন, আমি বলিনি।’
এসময় স্টোকস স্পষ্টই জানিয়ে দেন, ম্যাচ রেফারির কাছে জমা দেওয়া অধিনায়কের ম্যাচ রিপোর্টে তিনি নিশ্চিতভাবেই ভালো কিছু লিখবেন না।
এমসিজির উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ছিলেন তুলনামূলক রক্ষণশীল। ম্যাচের সকালে পিচ দেখার আগে অস্ট্রেলিয়া ধারণা করেছিল যে উইকেটে বেশ সিম মুভমেন্ট থাকবে। যে কারণে তারা স্পেশালিস্ট স্পিনার ছাড়াই একাদশ সাজায়।
ম্যাচের আগে মেলবোর্নে ঠান্ডা ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া সত্ত্বেও উইকেটে ১০ মিলিমিটার ঘাস রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মাঠে কিউরেটর ম্যাট পেজ। যা পেস বোলারদের দেয় বাড়তি সুবিধা আর কঠিন করে তোলে ব্যাটারদের কাজ।

রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ও ঢাকা ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচের প্রথম ইনিংস চলাকালে আসে মাহবুব আলি জাকির মৃত্যুর খবর। দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগে ঢাকা ক্যাপিটালসের সহকারী কোচের মৃত্যুতে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন দুই দলের ক্রিকেটার, ম্যাচ অফিসিয়াল ও মাঠে উপস্থিত বাকিরা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগে বিশেষজ্ঞ পেস বোলিং কোচ হিসেবেও কর্মরত ছিলেন জাকি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার প্রথম ম্যাচে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের মুখোমুখি ঢাকা ক্যাপিটালস। দুপুর ১টায় শুরু হয় ম্যাচ।
আরও পড়ুন
| বক্সিং ডে টেস্টে আম্পায়ারিং বিতর্ক |
|
যথারীতি ত্রিশ মিনিট আগে টস করেন ঢাকা অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ও রাজশাহী অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেন মিঠুন।
এরপরই আসে জাকির অসুস্থতার খবর। মাঠেই অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ এই কোচ। পরে কয়েক দফা সিপিআর দেওয়া হয় তাকে।
পরবর্তীতে তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন জীবনের বড় সময় কাটিয়ে দেওয়া দেশের অভিজ্ঞ এই কোচ।
খেলোয়াড়ি জীবনে জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপে কুমিল্লা জেলার হয়ে খেলেছেন জাকি। এছাড়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী ও ধানমন্ডির মতো বড় দলেও খেলেছেন তিনি।
অবসরের পর কোচিংয়ে মন দেন কুমিল্লার এই ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব। ২০০৮ সালে বিসিবিতে হাই পারফরম্যান্স কোচ হিসেবে যোগ দেন জাকি। এরপর থেকে বিভিন্ন দায়িত্বে বিসিবিতে কাজ করেছেন তিনি।