১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:২৭ এম
উড়ন্ত শুরুর পর হঠাৎ পতন। বড় সংগ্রহের ভিত গড়েও মিলল না তেমন বড় পুঁজি। বোলিংয়েও ভালো শুরুর পর মাঝপথে খেই হারিয়ে পরাজয়ের খানিক শঙ্কায় পড়ল বাংলাদেশ। তাই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতলেও, দলের ব্যাটিং-বোলিংয়ে পুরোপুরি খুশি নন লিটন কুমার দাস।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারায় বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান করে তারা। জবাবে ১৪৬ রানে অলআউট হয় রশিদ খানের নেতৃত্বাধীন দল।
অথচ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিমের কল্যাণে ১০ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৮৭ রান করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে ১৭০ রান মনে হচ্ছিল হেসেখেলেই করে ফেলবে তারা।
আরও পড়ুন
আফগান বধেও কৃতিত্ব বোলারদের |
![]() |
কিন্তু ৩১ বলে ৫২ রান করা তামিমের বিদায়ের পর আর কেউই দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি। যে কারণে হাতে ৭ উইকেট থাকলেও শেষ ৫ ওভারে ৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।
পরে বল হাতে শুরুতেই ২ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানকে চাপে ফেলে দেয় লিটন কুমার দাসের দল। কিন্তু পার্ট টাইমার দুই স্পিনার শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও সাইফ হাসানের খরুচে বোলিংয়ে কিছুটা চাপে পড়ে তারা।
শেষ পর্যন্ত নাসুম ও রিশাদ হোসেনের দারুণ বোলিংয়ের সৌজন্যে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। এই জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে খেলার আশাও বাঁচিয়ে রাখে তারা।
আরও পড়ুন
ভারতের বিপক্ষে উইন্ডিজ দলে চন্দরপল-আলিক |
![]() |
তাই ম্যাচ জেতার স্বস্তি থাকলেও পুরোপুরি তৃপ্ত নন লিটন। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সেই কথাই বলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“অবশ্যই জয় পাওয়া স্বস্তির ব্যাপার। তবে একইসঙ্গে বলতে চাই, আমরা শেষ ৪-৫ ওভারে ভালো ব্যাটিং করিনি। পরে মাঝের ওভারে বোলিংও ভালো করতে পারিনি। আমরা জানতাম, জয়ের জন্য যথেষ্ট রান হয়েছে।”
“উইকেট দেখার পরই মনে হয়েছিল ১৬০ রান করতে পারলে হবে। তবু আমরা ব্যাটিংয়ে ১৫-২০ রান কম করেছিলাম। তবে আমাদের বোলাররা যেভাবে বোলিং করেছে। বিশেষ করে নাসুম, অনেক দিন পর খেলে নিজের স্কিল দেখিয়েছে এবং রিশাদও ভালো করেছে।”
তবে ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু এনে দেওয়া তামিম ও বোলিংয়ে ভালো শুরু করা নাসুমের প্রশংসা করতেও ভুল করেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক।
আরও পড়ুন
৩৯ ম্যাচে ৫ বার সেরা, সাকিবের পরেই নাসুম |
![]() |
“দুই দিকেই আমাদের শুরুটা ভালো ছিল। (তানজিদ হাসান) তামিম ভালো ব্যাটিং করেছে। উদ্বোধনী জুটিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একইভাবে বোলিংয়েও নাসুম যখন শুরুতে উইকেট নিয়ে দিলো, প্রতিপক্ষ দলের ওপর এটি চাপ সৃষ্টি করেছে।”
গ্রুপে তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক পরাজয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে বাংলাদেশ। এখনও সুপার ফোরের টিকেট নিশ্চিত নয় তাদের।
‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে লড়বে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। শ্রীলঙ্কা জিতলে সরাসরি সুপার ফোরে উঠে যাবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। আর আফগানিস্তান জয় পেলে। তিন দলের হবে সমান ৪ পয়েন্ট। তখন নেট রান রেটের বিবেচনায় পরের রাউন্ডে যাবে দুই দল।
No posts available.
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:০০ পিএম
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:৫৮ পিএম
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৩ রানে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচটাও নিজেদের করে নিল জিম্বাবুয়ে। সফরকারী নামিবিয়াকে চেপে ধরে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সিকান্দার রাজার দল। টানা দুই জয়ের ফলে আগামী বৃহস্পতিবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ রূপ নিয়েছে নিয়মরক্ষার।
আজ জিম্বাবুয়ের বুলাওয়েতে টস জিতে অতিথিদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান সিকান্দার রাজা। শুরুতে ব্যাটিং নেমে বেশ ভালোভাবেই এগোতে থাকেন নামিবিয়ার দুই ওপেনার জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক ও ম্যালান বিনমেন ক্রুগার। ফ্রাইলিঙ্ক বোল্ড হলে দলীয় ২৭ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে।
ওয়ানডাউনে নামা জান নিকোল লফটি-ইটনকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন ম্যালান ক্রুগার। দলকে বিপদমুক্তের পাশাপাশি নিজেদের স্কোর লম্বা করার মিশনে নামেন দুজন। এ যাত্রায় দল পায় ৭১ রানের জুটি। ওপেনার ম্যালান ৪৫ রানে সাজঘর মুখো হলে লম্বা এই জুটি ভাঙে। তার দেখানো পথে হাঁটেন লফটি-ইটনও। তিনি ৩০ বলে স্কোরকার্ডে তোলেন ৪৭ রান।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানের পক্ষে ভুয়া মন্তব্য, মুখ খুললেন পন্টিং |
![]() |
টপঅর্ডারের তিন ক্রিকেটারের বিদায়ের পর লেজের সারির ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৯ রান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় নামিবিয়াকে।
জবাবে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন স্বাগতিক দলের দুই ওপেনার মারুমানি ও ব্রায়ান বেনেট। ইনিংসের ৫.৫ ওভারের সময় বেনেট যখন কট আউট হয়ে বাইশগজ ছাড়েন ততক্ষণে অনেকটা বিপদমুক্ত দল। ক্রিজ ছাড়ার আগে নিজ আমলনামায় ৪০ রান যোগ করেন বেনেট, তখন দলীয় স্কোর ছিল ৫৯।
পরের হিসাব সহজ করে দেন মারুমানি। ৩৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন স্বাগতিক ওপেনার। এরপর ব্রেন্ডন টেইলর ও রায়ান বার্ল মিলে জয়ের হিসাব মিলিয়ে দেন।
টস জিতে লিটন কুমার দাস বলেছিলেন, ১৬০ রান করতে পারলে ভালো হবে। শেষ দিকের ব্যাটিং ব্যর্থতায় তা করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে বোলাররা পুষিয়ে দিলেন সেই ঘাটতি। আফগানিস্তানকে বেধে রেখে সুপার ফোরে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবারের ম্যাচে ৮ রানে জিতল বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ১৫৪ রানের পুঁজি পায় তারা। জবাবে ১৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি আফগানিস্তান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দুইশতম ম্যাচ জেতার পাশাপাশি গ্রুপে তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক পরাজয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে বাংলাদেশ। এখনও সুপার ফোরের টিকেট নিশ্চিত নয় তাদের।
'বি' গ্রুপের শেষ ম্যাচে লড়বে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। শ্রীলঙ্কা জিতলে সরাসরি সুপার ফোরে উঠে যাবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। আর আফগানিস্তান জয় পেলে। তিন দলের হবে সমান ৪ পয়েন্ট। তখন নেট রান রেটের বিবেচনায় পরের রাউন্ডে যাবে দুই দল।
বাংলাদেশের আশা বাঁচিয়ে রাখা জয়ের বড় কারিগর নাসুম আহমেদ। টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই বাঁহাতি স্পিনের জাদু দেখান তিনি। আফগান ইনিংসের প্রথম ওভারে উইকেট মেডেনসহ ৪ ওভারে মাত্র ১১ রানে ২ উইকেট নেন নাসুম।
এছাড়া ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৪/৫ (সাইফ ৩০, তামিম ৫২, লিটন ৯, হৃদয় ২৬, শামীম ১১, অনিক ১২*, সোহান ১২*; ফারুকি ৪-০-৩৭-০, ওমরজাই ৩-০-১৯-১, গাজানফার ৩-০-৩২-০, রশিদ ৪-০-২৬-২, নবী ২-০-১৭-০, নুর ৪-০-২৩-২)
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৬ (সেদিকউল্লাহ ০, গুরবাজ ৩৫, ইব্রাহিম ৫, নাইব ১৬, নবী ১৫, ওমরজাই ৩০, জানাত ৮, রশিদ ২০, নুর ১৪, গাজানফার ০, ফারুকি ২*; নাসুম ৪-১-১১-২, তাসকিন ৪-০-৩৪-১, মুস্তাফিজ ৪-০-২৮-৩, রিশাদ ৪-০-১৮-২, শামীম ১-০-১৬-০, সাইফ ৩-০-৩৯-০)
ফল: বাংলাদেশ ৮ রানে জয়ী
এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর থেকে দুই দলের পক্ষে-বিপক্ষে নানান মন্তব্য করছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। তেমনই একটি মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে রিকি পন্টিংয়ের নামে। তবে সেটিকে ভুয়া বলে টুইট করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গত রোববার মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। যেখানে সহজ জয় পায় ভারত। তবে সেদিনের ফলাফলের চেয়ে মূল আলোচনায় দুই দলের ক্রিকেটারদের হাত না মেলানোর ঘটনা।
ম্যাচে টসের সময় কোনো ধরনের কথা বলেননি দুই দলের অধিনায়ক সুর্যকুমার যাদব ও সালমান আলি আগা। এমনকি সৌজন্যতামূলক হাতও মেলাননি। পরে ম্যাচ জিতে যাওয়ার পরও একই কাণ্ড ঘটায় ভারতের ক্রিকেটাররা। হাত না মিলিয়েই তারা চলে যায় ড্রেসিং রুমে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ফাইনাল খেললে খুব অবাক হব না |
![]() |
এই ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে নানান আলোচনা। সেই ধারাবাহিকতায় পন্টিংয়ের একটি ভুয়া মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে পাকিস্তানের পক্ষে রায় দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক।
“এই ম্যাচ চির দিন মনে রাখা হবে। যেখানে ভারতই বড় পরাজয়ের শিকার। ম্যাচে পরাজয়ের পরও হাত মেলানোর যে সৌজন্যরা পাকিস্তান দেখিয়েছে, তা তাদেরকে ভদ্রলোকের খেলায় প্রকৃত চ্যাম্পিয়ন হিসেবে অমর করে তুলেছে। আর ভারত থেকে গেছে চিরকালীন পরাজিত হিসেবে।”
আরও পড়ুন
'তোমরা আফ্রিদি হতে যেও না’ |
![]() |
তবে এই মন্তব্যের উৎস কী তা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। আর মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া বার্তায় পন্টিং নিজেই জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনো মন্তব্য তিনি কোথাও করেননি।
“আমি জানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু মন্তব্যের সঙ্গে আমার নাম জুড়ে দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। তবে দয়া করে জেনে রাখুন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমি এসব মন্তব্য করিনি। আর আসলে এশিয়া কাপ নিয়ে আমি কোনো ধরনের প্রকাশ্য মন্তব্যই করিনি এখন পর্যন্ত।”
একাধিকবার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেও চ্যাম্পিয়নের তালিকায় নেই বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার ইতিহাস বদলানোর লক্ষ্যে গেছেন লিটন দাসরা। ২০২৫ এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হওয়ায়, কাজটা সহজ হওয়ারও কথা নয়।
চ্যাম্পিয়ন হতে পারে যেকোনো দল। তবে বাংলাদেশকে উপেক্ষা করলে ‘বড়’ ভুল করবে দলগুলো- টি স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপকালে গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো বলেন বাংলাদেশ ক্রিকটে বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও নারী বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন যূহাইরাহ মৌ।
টানা তিন সিরিজ জিতে এশিয়া কাপে পা রেখেছে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি থাকার কথা। তবুও বর্তমানে দলের অবস্থা আসলে কেমন? এশিয়া কাপ নিয়ে দল কতটা আশাবাদী?
নাজমুল আবেদীন ফাহিম: আমার কাছে মনে হয়, এখন আমাদের যে দল, এই দলটা বেশ গোছানো এবং ওরা জানে ওদের কি করতে হবে। এটা একটা শক্তির জায়গা আমাদের দলের জন্য এবং দলটা আত্মবিশ্বাসী। এটা শুধু এই জন্য না- আমরা গত তিনটা সিরিজ জিতেছি সেজন্য না। প্রত্যেক ইন্ডিভিজুয়াল ক্যাপাসিটি ওরা এখন অনুমান করতে পারে। ওরা যে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়, আমাদের দলে অনেক আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় আছে এটা তারা জানে এবং ওরা ওদের ভূমিকাগুলো জানে। আমি খুব আশাবাদী। তারপরে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ তুমি জানো না, কি কি হয়। কিন্তু আমি খুবই আশাবাদী।
কেউ কেউ এখন বাংলাদেশকে ছোট করে দেখছে। দেশের বাইরের বিভিন্ন ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা খেলোয়াড়দের যোগ্যতা ও অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। সে ব্যাপারে কি কিছু বলতে চান?
ফাহিম: কেউ যদি বাংলাদেশ দলকে উপেক্ষা করে তাহলে খুব ভুল করবে। এটা আমি বলতে পারি। আশা করব যে বাংলাদেশ দল ভালো করবে। আমরা একটা জিনিস কিন্তু কনসিস্টেন্টলি দেখতে পাচ্ছি যে আমাদের টপ অর্ডার রান হচ্ছে। এটা কিন্তু যদি আমরা তিন মাস চার মাস ছয় মাস আগেও দেখতাম, আমরা যেহেতু সব সময় ফেল করছি। কিন্তু গত তিন মাসে বা গত দু-মাসে আমরা দেখেছি আমাদের টপ পারফর্ম করছে। আমাদের বোলারদের পারফরম্যান্স কিন্তু খুবই প্রশংসনীয়। আমি খুব আশাবাদী এখন দেখতে হবে নির্দিষ্টি দিনে আমরা কেমন করি। আমরা মানসিকভাবে কি অবস্থায় থাকি, আমি আশাবাদী।
টপ অর্ডারের রানের কথা বললেন। সবশেষ নেদারল্যান্ডস সিরিজে বড় শট দেখিয়ে প্রশংসায় ভেসেছে বাংলাদেশ দল। টপ অর্ডারও রান পাচ্ছে বেশ কিছু সময় ধরে। সত্যিই কি এখন বলা যায় যে পাওয়ার হিটিংয়ে উন্নতি চলে এসেছে দলে?
ফাহিম: আমি কয়েক দিন আগে দেখছিলাম একটা ডাটা দেখছিলাম যেখানে বাংলাদেশের সম্প্রতি সিক্স হিটিং এবিলিটি অন্যান্য অনেক দেশের কাছাকাছি আছে। আমরা পাওয়ার হিটিংয়ে সম্প্রকি ভালো করেছি। পাওয়ার হিটিংয়ে কাজ করার আগে থেকেই। তারপরও আমি বলব, আমরা সবাই হয়তো ওই মানের পাওয়ার হিটার না। সেখানে যারা একটু পিছিয়ে আছে তাদের জন্য এই এই কাজগুলো কাজে আসবে। আমরা পাওয়ার হিটিং কোচকে নিয়ে এসে ছিলাম, তার উপস্থিতি, পাশাপাশি যারা ভালো হিট করে তারা হয়তো কিছুটা লাভবান হয়েছে।
এটাতো অনুশীলনের ব্যাপার। সব সময় চেষ্টা করার ব্যাপার এটা করতেই থাকবে। এটা হয়তো এখন আমাদের যারা কোচ আছে তাদের অধীনে ওই কোচ যা করিয়ে গেছে সেটা চালিয়ে যাবে। আমাদের ইচ্ছা আছে আমরা ভবিষ্যতে যখন সময় সুযোগ মতো যখন ওদের ট্রেনিংয়ের প্রোগ্রামগুলো চলবে, শুধু জাতীয় দল না অন্যান্য অনূর্ধ্ব-১৫ হোক এইচপি হোক তখনও এই ধরনের কোচকে নিয়ে আসব।
অল্প সময়েও পাওয়ার হিটিং কোচের সঙ্গে কাজ করে ভালোই ফল পেয়েছে দল। সামনে টাইগারদের উন্নতিতে বিসিবির এমন আরো উদ্যোগের সম্ভাবনা আছে?
ফাহিম: শুধু পাওয়ার হেটিং কোচ না স্পেশালিস্ট হয়তো একজন লেগ স্পিন কোচ খুব বড় উঁচু মানের একজন লেগ স্পিন কোচ হোক কিংবা একজন ফাস্ট বোলিং কোচ হোক, শর্ট সময়ের জন্য নিয়ে আসব। আমাদের টপ র্যাংকিং প্লেয়ার যারা আছে এলিট প্লেয়ার যারা আছে তাদেরকে নিয়ে যেন কাজ করতে পারে। আমরা ধরে নিয়েছিলাম আমাদের সিনিয়র প্লেয়ার যারা আছে এস্টাবলিশ প্লেয়ার যারা আছে ডেফিনেটলি তারা যোগ্য এবং তাদের উপরই আমাদের নির্ভরশীলতা বেশি থাকবে। অন্যরা ভালো হলেও তারা পাশে পাশেই একটা সহ অবস্থান অবস্থায় থাকবে। আসলে এভাবে একটা দল তৈরি হতে পারে না কিন্তু। ১১ জনের খেলায় ১১ জনকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। এখানে সবাই হিরো, এখানে পার্শ্বচরিত্র বলে কিছু নেই কিন্তু।
অনেক পরিচিত নাম ছাড়াই এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ। সাকিব-তামিমসহ অনেক সিনিয়র প্লেয়ারই নাই এখন দলে। তাঁদের না থাকার কোনো প্রভাব কি দেখেন দলে? সেই সিনিয়রদের দায়িত্ব কি ঠিকঠাক বর্তমান খেলোয়াড়েরা নিতে পারছে?
ফাহিম: আমার মনে হয় এই দলটাতে এখন পার্শ্বচরিত্রে কেউ নেই। এখানে তানজিম সাকিবও ওই লাস্টে গিয়ে হয়তো ১২ বলে গিয়ে যদি ২৫ রান করতে পারে তাহলে হয়তো আমরা ম্যাচ জিতবো। সে সেটা জানে এবং সেভাবে সে তৈরি হচ্ছে। সো সবাই ইম্পর্টেন্ট এখানে যে খেলছে এমনকি যে খেলছে না সেও। তো প্রত্যেকে যার যার রোল সম্পর্কে অবগত আছে এবং প্রত্যেকেই সে চেষ্টাটাই করবে এবং টিম কালচারটাই ওরকম এখন, যে কেউ সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ না। সেটা লিটন কুমার দাস ই হোক কিংবা তাওহীদ হৃদয় হোক কিংবা তাসকিন হোক। সবাই গুরুত্বপূর্ণ।
তিন তিনবার ফাইনাল খেলে হৃদয়ভাঙা হার জুটেছে এশিয়া কাপে। বাংলাদেশের জন্য তাই এই মঞ্চ একটু বেশি আবেগের। বাংলাদেশ কি এবার এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে?
ফাহিম: আমি যেই আত্মবিশ্বাস দেখছি, আত্মবিশ্বাস তো এমনি এমনি হয় না। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের মধ্যে যে আস্থার ব্যাপারটা আছে, নিজেকে নিয়ে যে আস্থা এবং দলের যেই আবহ ড্রেসিং রুমে আবহ সবকিছু মিলে আমি আশাবাদী এই দলটাই এশিয়া কাপে ভালো খেলবে। এটা সবার ভালো লাগবে। বাংলাদেশের খেলা সবার ভালো লাগবে। ফল কি হবে এটা বলা যায় না যে আমরা কি চ্যাম্পিয়ন হতে পারব কি পারব না এটা আমি জানি না এভাবে বলাটা খুব মুশকিল।
তবে যদি ফাইনাল খেলি আমরা খুব অবাক হব না। এটা মানে হঠাৎ করে হয়ে গেল এমন হবে না। আমরা যদি ফাইনাল খেলি নিজের যোগ্যতায় আমরা ফাইনাল খেলব। সে যোগ্যতা আমাদের আছে, আমরা ফাইনাল খেলার যোগ্যতা রাখি অনেক ইভেন্টে আমরা ভারতকে অবশ্যই হারাতে পারি।
এশিয়া কাপে গত রোববার ভারতের কাছে সাত উইকেটে হেরেছে পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ব্যাটিং, বোলিং সব বিভাগেই নখদন্তহীন ছিল সালমান আলি আঘার দল। এমন লজ্জাজনক হারের পর পাকিস্তান দলকে একহাত নিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। সামা টিভির প্রোগ্রামে দলের তীব্র সমালোচনা করেন এই অলরাউন্ডার।
উদ্বোধনী ব্যাটার সাইম আইয়ুব ভারতের বিপক্ষে প্রথম বলেই আউট হয়ে যান। তাঁর খেলার ধরনকে ভালোভাবে নিতে পারেননি আফ্রিদি, 'এই ব্যাটারদের রান করতে হবে, তবেই তো ম্যাচ জেতা যাবে। সাইম আইয়ুবের উচিত তাঁর মাথা ঠান্ডা রাখা, তাকে বলো সে যেন তাঁর মাথা ঠান্ডা রাখে। কন্ডিশন দেখো, পিচ দেখো, প্রথম বলটা খেলো। তুমি প্রথম বল থেকেই শহীদ আফ্রিদি হওয়ার চেষ্টা করছো।'
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে নামানো হয়নি হাসান আলি, হারিস রউফের মতো অভিজ্ঞ পেসারদের। এত বড় ম্যাচে দলের অভিজ্ঞ বোলারদের বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন আফ্রিদি, 'আসল পেসারদের বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে। এই অর্ধ-মনোযোগী বোলিং আক্রমণ ভারতের বিপক্ষে চলবে না। এই মুহূর্তে এই দলে এমন একজনও ব্যাটার নেই যে ম্যাচ জেতাতে পারে।'
আগামীকাল গ্রপ পর্বের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই ম্যাচের জয়ী দল 'এ' গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে কোয়ালিফাই করবে। এরই মধ্যে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত।