প্রথম টেস্টে হারের পেছনে ব্যাটারদের বড় দায় থাকলেও বোলাররা সীমিত পুঁজি নিয়েও লড়ে গিয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দুই সেশনে তাদের কঠিন সময় উপহার দিল জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। তাতে একটা সময়ে বেশ শক্ত অবস্থানেই থাকল তারা। তবে ২ উইকেটে ১৭৭ রান থেকে পথ হারাল সফরকারীরা। শেষ বিকেলে বাংলাদেশ করল ফাইটব্যাক, যেখানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন অভিজ্ঞ স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তার ফাইফারে ভালোভাবেই প্রথম দিনে ঘুরে দাঁড়াল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে এক পর্যায়ে শক্ত অবস্থানে থাকা জিম্বাবুয়ে ৯০ ওভারে করেছে ৯ উইকেটে ২২৮ রান। পাঁচ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার তাইজুল।
আরও পড়ুন
এবার বড় নিষেধাজ্ঞায় তাওহীদ |
![]() |
এই টেস্ট দিয়ে লাল বলের ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া পেসার তানজিম হাসান সাকিব ওপেনিং স্পেলে করেন বেশ ভালো। সেটা সামলে প্রথম ঘণ্টা পার করে দেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার। ইনিংসের ১১তম ওভারে গিয়ে ৪১ রানের জুটিতে ভাঙন ধরান তানজিমই। অফস্ট্যাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে খোঁচা দিয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্রায়ান বেন্নেট।
অন্যপ্রান্তে সেট হয়ে যাওয়া আরেক ওপেনার বেন কুরানকে ২১ রানে ক্লিন বোল্ড করে কিছুটা চাপ তৈরি করেন তাইজুল। তবে দুর্দান্তভাবে সেটা সামাল দেন নিক ওয়েলচ ও অধিনায়ক সিন উইলিয়ামস। স্পিন সহায়ক উইকেট হলেও সেই সময়ে ব্যাটিংয়ের জন্য কন্ডিশন ছিল বেশ ভালো। সেটা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের ত্রিমুখী স্পিন আক্রমণ সামলে দলকে শক্ত ভিত এনে দেওয়ার কাজটা করেন এই দুজন মিলে।
লাঞ্চের পর থেকে চা বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের বোলারদের হতাশায় ভাসিয়ে দুই ব্যাটারই তুলে নেন ফিফটি। এই জুটি যখন ক্রমেই বিপজ্জনক হচ্ছিল, তখনই ওয়েলচ আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়ায় সেটা ছন্দ কেটে দেয় জিম্বাবুয়ের।
আর সেই সময়ে চাপের মুখে ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হন এই ম্যাচ দিয়েই একাদশে আসা তরুণ অফ স্পিনার নাঈম হাসান। শুরু থেকেই রানের জন্য সংগ্রাম করা ক্রেইগ এরভিনকে জাকের আলি অনিকের ক্যাচ বানান তিনি। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ফের হানেন আঘাত।
টার্ন করে লেগ সাইডে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে করেন সুইপ, তবে হয়নি টাইমিং। স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ নেন তানজিম। তবে তার আগে খেলেন ৬৭ রানের লড়িয়ে এক ইনিংস। এরপরই দৃশ্যপটে হাজির তাইজুল।
আরও পড়ুন
ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে সুদিন ফেরানোর আশায় জাকের |
![]() |
জিম্বাবুয়ের মিডল অর্ডারে ধস নামিয়ে একে একে তুলে নেন আরও চার উইকেট। অল্পের জন্য মিস করেন হ্যাটট্রিলক। সাথে একটি রান আউটে ২১৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে অল আউটের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে সেটা আর হয়নি।
৬০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল, টেস্ট ক্রিকেটে এটি তার ১৬তম ফাইফার।
১৭ জুন ২০২৫, ৭:৫২ পিএম