ক্রিকেট

মাঠে বিচ্ছিরি কাণ্ডে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে বুমরাহ

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৪ পিএম

news-details

ইডেন গার্ডেনে আজ চার স্পিনার নিয়ে নেমেছিল ভারত। তবে প্রথম দিনের সব আলো কেড়ে নিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। বল হাতে দারুণ বোলিংয়ে ভারতীয় এই পেসার তুলে নেন পাঁচ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে এই নিয়ে ১৬ বারের মতো এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন বুমরাহ।


ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা দিনে বিচ্ছিরি এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন বুমরাহ। তাঁর একটি মন্তব্য স্ট্যাম্প মাইকে ধরা পড়ে, যা ‘টক অব দ্য ক্রিকেটে’ পরিণত হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে কথা হচ্ছে বেশ। সে মন্তব্যের জেরে ম্যাচ ফি কিংবা নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন বুমরাহ।


এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ১৩তম ওভারে ঘটনাটি ঘটে। বাভুমার পিছনের পায়ের প্যাডে লাগতেই এলবিডব্লিউয়ের জোরাল আবেদন করেন বুমরাহ। তবে আম্পায়ার সেই আবেদন খারিজ করে দেন। বেঁচে যান বাভুমা।


যদিও বুমরা-পন্থরা আলোচনা শুরু করেন, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ডিআরএস নেওয়া হবে কি না তা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত রিভিউ নেয়নি ভারত। বুমরাহকে পন্থ বলেন যে, বলটি স্টাম্পের ওপর দিয়ে যেত। পরে টিভি রিপ্লেতেও দেখা যায় যে, বলটি লেগস্টাম্পের ওপর দিয়ে যাচ্ছে।


তাঁর ২ ওভার পরেই কুলদীপ যাদবের বলে ফিরে যান বাভুমা। মাত্র ৩ রান করে। কিন্তু বিতর্ক শুরু হয় বুমরাহর সেই ওভারের ঘটনাকে ঘিরেই। কারণ, স্টাম্প মাইক্রোফোনে বুমরাহ ও পন্থের কথোপকথনটি শোনা যায়। এমনিতে কোনো ব্যাটারের থাইয়ে বল লাগা মানে সেটি স্টাম্পের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যাবে, সেটাই প্রত্যাশিত।


কিন্তু বাভুমার উচ্চতা কম হওয়ায় বলটি স্টাম্পে লাগতেও পারত, মত বুমরাহর। পন্থের উদ্দেশে বুমরাহকে বলতে শোনা যায়, 

'বওনা ভি তো হ্যায় ইয়ে।' যার বাংলা করলে দাঁড়ায়, 'এ তো বেঁটেও।' পন্থ বলেন, 'বেঁটে, কিন্তু বলটা লেগেছে পায়ের অনেক ওপরে।'


বুমরাহর আইসিসির আচরণবিধি ভঙ্গের ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘটনাটি আচরণবিধির অনুচ্ছেদ ২.১৩–এর অন্তর্ভুক্ত, যেখানে বলা আছে— 

“কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালে কোনো খেলোয়াড় বা সহায়ক কর্মীর প্রতি ব্যক্তিগত, অপমানজনক, অশালীন, অথবা আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করা।”


দোষী প্রমাণিত হলে বুমরাহর শাস্তি লেভেল ২ ভঙ্গ থেকে শুরু করে লেভেল ৩ ভঙ্গ পর্যন্ত হতে পারে।


লেভেল ২ ভঙ্গ: ম্যাচ ফি–র ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ জরিমানা অথবা সর্বোচ্চ দুই সাসপেনশন পয়েন্ট।


লেভেল ৩ ভঙ্গ: চার থেকে বারো সাসপেনশন পয়েন্ট পর্যন্ত শাস্তি।

No posts available.

bottom-logo

ক্রিকেট

ক্রীড়া প্রেমী তানভীরের বিদেশ সফরে সেঞ্চুরি

 
শামীম চৌধুরী
শামীম চৌধুরী
ঢাকা

১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

news-details

ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের সঙ্গে আছেন সেই ২০০৪ সাল থেকে। বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসেরও সঙ্গেও ছিলেন বেশ ক'বছর। তবে ক্রীড়া সংগঠক পরিচয়কে ছাড়িয়ে বিশ্ব পরিব্রাজক পরিচয়টা বড় হয়ে উঠেছে খেলাপাগল তানভির আহমেদের। বিদেশ সফর শুরু করেছেন সেই ১৯৯৭ সালে। ভারত সফর দিয়ে শুরু, এ বছর মঙ্গোলিয়া সফরের মধ্য দিয়ে পূর্ণ করেছেন তানভির ১০০টি দেশ ভ্রমন। বিশ্ব পরিব্রাজক ইবনে বতুতার নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। বাংলাদেশের তানভির আহমেদকে এই পরিচয়েই কাছের মানুষজন বেশি চেনেন।  


খেলার টানে নিজের গাঁটের টাকায় সারা বিশ্ব ঘুরেছেন।  ১৯৯৮ সালে ভারতের হায়দারাবাদে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে জয়ের স্বাক্ষী তানভির দেশের বাইরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিকাংশ জয়ের স্বাক্ষী। এখন দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকদের কারো কারো মাথায়, কোলে বাঘ দেখা যায়। এমন ছবিটাও কিন্তু সবার আগে বিশ্ব দেখেছে তানভীরের মাথায়। 


২০০৩ সাল থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সব কটি বিশ্বকাপ কভার করেছেন। বিদেশে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ম্যাচও দেখেছেন গ্যালারিতে বসে।  ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়া আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্য সব আসর দেখেছেন। ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রতিটি আসরে দর্শকের কাতারে নিয়মিত তানভির। 




২০০৮ বেইজিং অলিম্পিক থেকে শুরু করে বেশ ক'টি অলিম্পিক গেমস দর্শন করেছেন তানভির। বিদেশ সফরের নেশাটা তার এতোটাই যে উগান্ডা, বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা, সান মারিনো, সেসেলস-এর মতো দেশেও পা পড়েছে তার। যে ১০০টি দেশ সফর করেছেন, সে সব দেশের মুদ্রা সংরক্ষণ করেছেন। খেলার জন্য যে সব দেশে গেছেন, সে সব আসরের কোট পিনও আছে তার সংগ্রহে। ফিফা, আওইসি, আইসিসির প্রতিটি আসরে বাংলাদেশের ব্রান্ডিং করেছেন। প্রতিটি ক্রিকেট দলের অটোগ্রাফ সম্বলিত ক্যাপও আছে তার সংগ্রহে।


২০১১ সালে ভারত, শ্রীলঙ্কার সাথে যৌথভাবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের স্বাগতিক মর্যাদা পেয়েছে ২০০৬ সালে। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সারা বিশ্বকে আমন্ত্রন জানাতে শিশুপুত্রকে সঙ্গে নিয়ে মেলবোর্নে প্লাকার্ড তুলে ধরেছেন। 


বিদেশ সফরের সেঞ্চুরি পূর্তি উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকেলে ডেইলি স্টার ভবনে মাহমুদ সেমিনার হলে করেছেন একটি অনুষ্ঠান। বিদেশ সফরে সুখস্মৃতি এবং তিক্ত অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণ করেছেন। 


অনুষ্ঠানস্থলে সালওয়ারী বিদেশ সফরের দেশগুলো পর্যায়ক্রমে সাজিয়েছেন তানভির। কৌতুহলী অতিথিদের জন্য ওইসব দেশের কোট পিন, মুদ্রাও সাজিয়ের তানভির। কাছ থেকে এই খেলাপাগল বিশ্বপরিব্রাজককে দেখেছেন এবং তার বিদেশ সফরের সঙ্গী ছিলেন যারা, তাদের বক্তব্য নিয়েছেন। অতিথিদের ক'জনকে দিয়েছেন স্মারক ক্রেস্ট। কুইজ প্রতিযোগিতা করে দিয়েছেন বিশেষ পুরস্কার।

bottom-logo

ক্রিকেট

৩৪২ স্ট্রাইক রেটে ৪২ বলে ১৪৪ সূর্যবংশীর

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৭:২৮ পিএম

news-details

আট দলের অংশগ্রহণে কাতারে চলছে এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার টুর্নামেন্ট। ১৪ নভেম্বর শুরু হওয়া টুর্নামেন্টে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুখোমুখি হয় ভারত ‘এ’ দল। যেখানে রীতিমতো ব্যাটিং ঝড় তুলেছেন বৈভব সূর্যবংশী।


দোহার ওয়েস্ট এন্ড পার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে ব্যাটিং নেমে মাত্র ৪২ বলে ১৪৪ রান করেন সূর্যবংশী। তাঁর ঝোড়ো ইনিংসের সুবাধে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ভারত পায় ২৯৭ রান।


এদিন প্রিয়ানেশ আরিয়ার সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন সূর্যবংশী। মাত্র ১৬ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর প্রতিপক্ষের ওপর ঝড় তোলেন সূর্যবংশী। যদিও শূন্য রানে একবার জীবন পান ১৪ বছর বয়সি এ বাঁ-হাতি ব্যাটার। বিপদ কাটিয়ে রুদ্ধরূপ ধারণ করেন তিনি।


১৭ বলে অর্ধশত আদায় করেন সূর্যবংশী। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩২ বলে। যখন আহমেদ তারিকের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন, তখন তার নামের পাশে ৪২ বলে ১৪৪ রান।


ইনিংসে ৩৪২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালিয়ে মোট ১১টি চার ও ১৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন সূর্যবংশী। টি-টোয়েন্টিতে এটিই তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে ১০১ রান করেছিলেন ভারতীয় ব্যাটার।


সূর্যবংশী ছাড়াও প্রতিপক্ষ বোলারদের ব্যাপক শাসান জিতেশ শর্মা। ভারত দলের অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ৮৩ রানে। ৩২ বলে খেলে ৮টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা হাঁকান তিনি।

bottom-logo

ক্রিকেট

আইপিএলে ট্রেডিং উইন্ডোর শেষ মুহূর্তে নতুন ঠিকানায় শামি

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৭:০০ পিএম

news-details

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) চলছে ট্রেডিং উইন্ডো। দলগুলো অন্য দল থেকে ট্রেডে খেলোয়াড়দের দলে টানছে। ভারতের অভিজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ শামিকে লখনউ সুপার জায়ান্টসের (এলএসজি) কাছে ছাড়তে রাজি হয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো।


২০২৫ আইপিএলের মেগা নিলামে শামিকে ১০ কোটি রুপিতে দলে ভিড়ায় হায়দরাবাদ। একই দামে এই পেসারকে নিতে আগ্রহী লখনউ। সম্ভাব্য এই চুক্তি সম্পূর্ণ নগদ অর্থে হবে বলে জানিয়েছে ক্রিকইনফো।


দুই দলই সম্মত হলেও সবকিছু নির্ভর করছে শামির ওপর। আগামীকাল ভারতীয় সময় দুপুর ৩টার মধ্যে প্রতিটি দলকে তাদের 'রিটেইনড' (ধরে রাখা) ও 'রিলিজড' (ছেড়ে দেওয়া) ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দিতে হবে। এরপর তাদের নিলামে নিবন্ধনকৃত ক্রিকেটারদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেওয়া হবে।


মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল খেলার পর আর ভারত দলে ফিরতে পারেননি শামি। রঞ্জি ট্রফিতে খেললেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও জায়গা হয়নি তাঁর।


আইপিএলে গত মৌসুমে ভালো করতে পারেননি শামি। সানরাইজার্সের হয়ে ১৪ ম্যাচের মধ্যে খেলেছেন ৯ ম্যাচ, পেয়েছেন ৬ উইকেট। বোলিং গড় ৫৬.১৬, ইকোনমি ১১.২৩। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৭৫ রান দিয়ে উইকেটহীন ছিলেন, যা ছিল আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় ব্যয়বহুল স্পেল।

bottom-logo

ক্রিকেট

জুলাই শহীদ স্মৃতি মাগুরা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরু

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৪:১৩ পিএম

news-details

তারুণ্যের উৎসব ও শহীদদের স্মরণে শুরু হয়েছে জুলাই শহীদ স্মৃতি মাগুরা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। আজ সকালে মাগুরা জেলা স্টেডিয়ামে লিগের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক মো. অহিদুল ইসলাম।

উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নেমেছে ভায়না ক্রিকেট একাডেমি ও মইন উদ্দিন স্মৃতি সংসদ। ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, মাগুরায় সবশেষ ২০২২ সালে দ্বিতীয় বিভাগ এবং ২০২১ সালে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ হয়েছিল।

সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উদ্বোধনী পর্ব শুরু হয়। তারপর জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং মাগুরার ক্রিকেটের অগ্রগতির প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক জুলফিকার আলী খান, মাগুরার পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মাগুরার ১০ শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

জুলাই শহীদ সোহান শাহের বাবা শাহ সেকেন্দার বলেন, 

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মাগুরার তরুণরা প্রাণ দিয়েছিল দেশের গণতন্ত্রের জন্য। সেই শহীদদের নামে আয়োজন হওয়া এই ক্রিকেট লিগ আমাদের পরিবারের জন্য সম্মান ও আবেগের বিষয়।’


 বিসিবি পরিচালক জুলফিকার আলী খান বলেন, 

‘বাংলাদেশে প্রথম জেলা হিসেবে মাগুরায় এ বছর সর্বপ্রথম ক্রিকেট লিগ মাঠে গড়াল। স্থানীয় পর্যায়ে ক্রিকেটকে বিকশিত করতে মাগুরা যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা অন্য জেলাগুলোর জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

 
জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম আশাব্যক্ত করেন 

‘জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণ করতে গিয়ে আমরা শুধু ইতিহাসকেই নয়, তরুণদের ভবিষ্যতকেও এগিয়ে নিতে চাই। এই লিগ দীর্ঘদিন পর মাগুরার ক্রিকেটে নতুন প্রাণ ফিরিয়ে আনবে। প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থা দায়িত্বশীলভাবে লিগটি পরিচালনা করবে।’


মাগুরা জেলা পরিষদ ও চিকিৎসক সিমিন মজিদ আখতারের পৃষ্ঠপোষকতায় ‍টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে মাগুরা জেলা ক্রীড়া সংস্থা। জেলার ১৬টি ক্লাবের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া এ টুর্নামেন্ট চলবে এক মাসের বেশি সময় ধরে।

bottom-logo

ক্রিকেট

অধিনায়ক হলে কেন ভালো খেলেন, জানালেন শান্ত

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৪:০৪ পিএম

news-details

২০২৪ সালে তিন সংস্করণেই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে সে বছর শুরুর দিকে তিনি টি–টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। এরপর শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগেই তাকে না জানিয়ে ওয়ানডে অধিনায়ক করা হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। সবশেষ গত জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংস ও ৭৮ রানে হারের পর লাল বলের ক্রিকেটর নেতৃত্বও ছেড়ে দেন শান্ত।


ব্যাট হাতে অধিনায়ক শান্ত সবসময়ই অন্যরকম। নেতৃত্বের দায়িত্ব কাঁধে আসলে তাঁর ব্যাট একটু বেশিই চওড়া হয়ে যায়। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে প্রথম ইনিংসে করেছেন বরাবর ১০০। টেস্টে অধিনায়ক শান্তের সেঞ্চুরি সংখ্যা চারটি। অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদশের টেস্ট ইতিহাসে একমাত্র মুশফিকুর রহিমেরই সমান সংখ্যাক শতক আছে। অধিনায়কত্বের চাপ সামলে ব্যাটিংয়ে ভালো করার মন্ত্র কি জানালেন শান্ত।


আরও পড়ুন

ম্যাচসেরা হওয়ার পরও হতাশ জয় ম্যাচসেরা হওয়ার পরও হতাশ জয়


শান্ত অবশ্য বললেন ব্যাটিংয়ের সময় কেবল ব্যাটার হিসেবেই নিজেকে ভাবেন তিনি। সিলেটে আইরিশদের বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্ব থাকাকালীন পারফরম্যান্স নিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমি মনে করি জাস্ট শুরু হয়েছে। এখনো লম্বা সময় যাওয়ার বাকি, বাট ভালো স্টার্ট হয়েছে আমি মনে করি। বাট হ্যাঁ, আমি সবসময় যেটা বলি যে আমি ব্যাটিংয়ের সময় একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পছন্দ করি। আমার ভেতরে একবারের জন্যও মনে হয় না যে আমি ক্যাপ্টেন হিসেবে খেলছি। চিন্তা করি যে কিভাবে একজন ব্যাটার হিসেবে অবদান করতে পারি। ওইটাই আসল ফোকাস থাকে, আর যখন ফিল্ডিংয়ে থাকি তখন আমি ক্যাপ্টেন হিসেবে আমার যে দায়িত্বগুলো আছে ঐ সেগুলো আমি চেষ্টা করি পালন করার।’


দুই সংস্করণের নেতৃত্ব হারানোর পর টেস্টেরও অধিনায়কত্ব হারিয়ে কেমন সময় কেটেছিল টপ অর্ডারের এই ব্যাটারের? ‘প্রথম কিছুদিন খানিকটা কঠিন সময় গেলে, তারপর নাকি রিল্যাক্সেই সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক, ‘প্রথম কিছুদিন কঠিন ছিল, টু বি ভেরি অনেস্ট। বাট হ্যাঁ, তারপরে অনেকটা রিল্যাক্স হয়ে গিয়েছিলাম এবং এনজয় করেছি পুরো সময়টা, নিজেকে সময় দিয়েছি, পাশাপাশি ফ্যামিলিকে সময় দিয়েছি, দক্ষতার দিক থেকে নিজের ক্রিকেটটা আর একটু কিভাবে উন্নতি করা যায়, মানসিকভাবে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেছি। কিন্তু আমি মনে করি যে ওই সময়টা আমার খুব ভালো কেটেছে।’


জুনে অধিনায়কত্ব ছাড়ার আগে মোট ১৪টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন শান্ত টেস্টে যা বাংলাদেশের তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ জয় পায় ৪টি। এবার দ্বিতীয় দফায় প্রথম ম্যাচেই জয়ের স্বাদ পেলেন তিনি।

bottom-logo