
চট্টগ্রামে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এবং পুরো সিরিজে বেশ কিছু মাইলফলক হাতছানি দিচ্ছে স্বাগতিকদের। রেকর্ডগুলো সংখ্যায় সংখ্যায় তুলে ধরা হলো-
৯=৯
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে এখন পর্যন্ত দেখা হয়েছে ১৯ ম্যাচে। বাংলাদেশ জিতেছে ৮টি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯টি, আর দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত। আজ জিততে পারলে উইন্ডিজের পাশে বসবে স্বাগতিকেরা।
৫
চলতি বছর সবশেষ চার দ্বিপাক্ষিক সিরিজে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও আফগানিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজ জিতলে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার টানা পাঁচ সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখাবে তারা।
এর আগে ২০২২-২৩ মৌসুমে টানা চার সিরিজে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। পরে পঞ্চম সিরিজে তারা ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছিল নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেবার টানা পাঁচ সিরিজ অপরাজিত থাকলেও, জয় ছিল চার সিরিজে। সেই রেকর্ড এবার ভাঙার সুযোগ তাদের সামনে।
২০৭
বাংলাদেশ দল এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি খেলেছে ২০৬টি। আজ মাঠে নামলে দক্ষিণ আফ্রিকার (২০৭) পাশে বসবে তারা। সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা দলগুলোর তালিকায় যৌথভাবে অষ্টম।
১০০০
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের নবম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০০ রানের মাইলফলক হাতছানি দিচ্ছে তানজিদ হাসান তামিমকে। এ জন্য এই বাঁহাতি ব্যাটারের প্রয়োজন আর ১০৯ রান।
৫০
বাংলাদেশের সাত ক্রিকেটার এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে অন্তত ৫০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। এই সিরিজে সে তালিকায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ (৪৬) ও তানজিম হাসান সাকিবের সামনে (৪৪)।
No posts available.
২৯ অক্টোবর ২০২৫, ৫:০৩ পিএম
২৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪:০৩ পিএম

বৃষ্টি বাঁধায় পরিত্যক্ত হলো অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। ক্যানবেরার মাউন্ট মঙ্গুনাইয়ে আজ টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯.৪ ওভারে ১ উইকেটে ৯৭ রান তোলে ভারত। কয়েক দফা চেষ্টার পরেও বৃষ্টি বাগড়ায় আর মাঠে গড়ায়নি ম্যাচ।
ব্যাটিংয়ে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করেন ভারতীয় ওপেনাররা। চতুর্থ ওভারে দলীয় ৩৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় ভারত। নাথান এলিসের বলে টিম ডেভিডের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৪ বলে ১৯ রান করেন অভিষেক শর্মা। পঞ্চম ওভার শেষে বৃষ্টি নামলে প্রায় চল্লিশ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে।
বৃষ্টি থামার পর নির্ধারিত ২০ ওভারের বদলে কমে দাঁড়ায় ১৮ ওভার। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ভারতের রানের চাকা সচল রাখেন গিল ও সূর্যকুমার। দশম ওভারে আবারও বৃষ্টি নামে। খেলা বন্ধ হওয়ার সময় স্বাগতিকদের রান ছিল ৯.৪ ওভারে ৯৭/১। সূর্যকুমার ২৪ বলে ৩৯ ও গিল ২০ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। এরপর ফের বৃষ্টি নামায় আর মাঠে নামা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় ম্যাচটি।
মেলবোর্নে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শুক্রবার মাঠে নামবে দুই দল। বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর সোয়া দুইটায়।

ক্যানবেরায় আজ থেকে শুরু হয়েছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিরিজের শুরুতেই ধাক্কা খেল সফরকারীরা। প্রথম তিন ম্যাচের জন্য ছিটকে গেছেন অলরাউন্ডার নীতীশ কুমার রেড্ডি। তার জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন শিবম দুবে।
অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কোয়াড্রিসেপস মাসলে চোট পান রেড্ডি। সেই চোটের কারণে শেষ ওয়ানডেতে খেলতে পারেননি ২২ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) জানিয়েছে, বর্তমানে তিনি ঘাড়ের মাংসপেশির টানেও (নেক স্প্যাজম) ভুগছেন। সহসা দলে ফেরার সম্ভাবনা নেই তাঁর। বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন রেড্ডি।
এর আগে চলতি বছর জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির চতুর্থ ও পঞ্চম টেস্টে হাঁটুর চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন রেড্ডি। গত নভেম্বরে পার্থ টেস্টে ভারতের জার্সিতে অভিষেক হয় এই অলরাউন্ডারের। এখন পর্যন্ত ভারতের জার্সিতে ১৫ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন রেড্ডি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে পেলেন নাসুম আহমেদ ও সৌম্য সরকার। বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে ২৪ ধাপ এগোলেন নাসুম, ব্যাটারদের তালিকায় সৌম্যও লাফ দিলেন ২৪ ধাপ।
যথারীতি ছেলেদের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ বুধবার প্রকাশ করেছে আইসিসি। নাসুম-সৌম্য ছাড়াও বড় লাফ দিয়েছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৯১ রানের ইনিংস খেলেন সৌম্য। এর আগে দ্বিতীয় ম্যাচেও তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। যার সৌজন্যে ২৪ ধাপ এগিয়ে এখন ৬২ নম্বরে উঠেছেন বাঁহাতি ওপেনার।
এছাড়া ১ ধাপ এগিয়ে ৪২ নম্বরে উঠেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আগের মতোই ৩৫তম স্থান ধরে রেখেছেন তাওহিদ হৃদয়।
ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষে ভারতের রোহিত শার্মা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ৫ উইকেট নেন নাসুম। বোলারদের মধ্যে ২৪ ধাপ এগিয়ে ৪৭ নম্বরে উঠেছেন বাঁহাতি স্পিনার। এছাড়া ১ ধাপ এগিয়ে এখন ১৭ নম্বরে মেহেদী হাসান মিরাজ। আর ২৭ ধাপ লাফ দিয়ে ৬৮ নম্বরে উঠেছেন তানভির ইসলাম।
বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে যথারীতি শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান।
ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের তালিকায় ৪ নম্বরে অনড় মিরাজ। শীর্ষে আফগানিস্তানের আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

টসের সময় লিটন কুমার দাস বলেছিলেন, ১৮০ রানের নিচে যে কোনো টার্গেট তাড়া করার মতো হবে। কিন্তু ব্যাট হাতে দেড়শ রানও তাড়া করতে পারলেন না তারা।
আরেকটি ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৫০ রানের লক্ষ্যে মাত্র ১৩৫ রান করতে পারল বাংলাদেশ। ১৪ রানের জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিজেদের করে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
শুরুর চার ব্যাটার একবার করে জীবন পাওয়ার পরও কেউ কাজে লাগাতে পারেননি। তানজিদ হাসান তামিম ৪৮ বলে করেন ৬১ রান। এছাড়া আর কেউ ২৫ রানও করতে পারেননি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন আকিল হোসেন ও রোমারিও শেফার্ড। জেসন হোল্ডারের শিকার ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৪৯/৯ (কিং ১, আথানেজ ৫২, হোপ ৫৫, রাদারফোর্ড ০, পাওয়েল ৩, হোল্ডার ৪, চেজ ১৭*, শেফার্ড ১৩, পিয়েরে ০, আকিল ১; সাকিব ৪-০-২৩-০, তাসকিন ৩-০-২৮-১, মোস্তাফিজ ৪-০-২১-৩, নাসুম ৪-০-৩৫-২, সাইফ ১-০-৯-০, রিশাদ ৩-০-২০-২, শামীম ১-০-১১-০)
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৫/৮ (সাইফ ৫, তামিম ৬১, লিটন ২৩, হৃদয় ১২, জাকের ১৭, শামীম ১, রিশাদ ০, সাকিব ৮*, নাসুম ২; সিলস ৪-০-৩০-০, হোল্ডার ৪-০-২০-২, শেফার্ড ৪-০-২৯-৩, চেজ ৩-০-২১-০, আকিল ৪-০-২২-৩, পিয়েরে ১-০-১৩-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪ রানে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-০তে এগিয়ে

টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া রোহিত শর্মার ওয়ানডে ক্যারিয়ার নিয়ে অনেকেই সন্দিহান ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ব্যাট হাতেও ব্যর্থও হওয়ায় আলোচনা আরও তীব্র হয়। তবে পরের দুই ম্যাচেই ফিফটি আর সেঞ্চুরি করে নিজের জাত চেনান রোহিত।
সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে পারফরম্যান্সের দারুণ পুরষ্কার পেলেন রোহিত। ইতিহাস গড়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠে এলেন ভারতীয় ওপেনার। ক্রিকেটের ইতিহাসে যেকোনো সংস্করণে সবচেয়ে ‘বুড়ো’ ব্যাটার হিসেবে র্যাংকিং এক নম্বরে উঠে আসার কীর্তি গড়লেন রোহিত। ৩৮ বছর ও ১৮২ দিনে পুরুষদের ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান দখল করা তিনি ছাড়িয়ে গেছেন ভারতেরই আরেক কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারকে। ২০১১ সালে টেস্টে ৩৮ বছর ৭৩ দিনে শীর্ষ স্থানে ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি।
আরও পড়ুন
| এক যুগ পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতল কিউইরা |
|
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অভিজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটার রোহিত শর্মা ৭৩ রান করেন। অসিদের বিপক্ষে ধবলধোলাই এড়ানোর শেষ ম্যাচে তিনি ১৩টি চার ও ৩টি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ওয়ানডেতে ৩৩তম সেঞ্চুরি করেন। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের ছাপ পড়ে র্যাংকিংয়েও। আফগানিস্তানের মারকুটে ব্যাটার ইব্রাহিম যাদরান ও জাতীয় দলের সতীর্থ শুভমান গিলকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে আসেন রোহিত।
ওয়ানডেতে ব্যাটারদের র্যাংকিংয়ে ইংল্যান্ডের ডানহাতি ব্যাটসম্যান হ্যারি ব্রুক ২৩ ধাপ এগিয়ে ২৫তম স্থানে উঠেছেন। এই সংস্করণে বোলারদের শীর্ষ ১০-এ নিউজিল্যান্ডের স্পিনার মিচেল স্যান্টনার তিন ধাপ এগিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছেন। অস্ট্রেলিয়ার সিমার জশ হ্যাজলউড দুই ধাপ এগিয়ে অষ্টম স্থানে অবস্থান করছে।
রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টেস্ট জয়ে বল হাতে অবদান রাখা কেশব মহারাজ র্যাংকিংয়ে উন্নতি করেছেন। টেস্টে বোলারদের র্যাংকিংয়ে ৯ ধাপ এগিয়ে ১৩ নম্বরে আছেন বাঁ হাতি স্পিনার।