৫ আগস্ট ২০২৫, ৮:৫৪ পিএম
ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার এক অসাধারণ টেস্ট সিরিজের শেষ দিনের শুরুতেও ক্রিকেট প্রেমীরা জানতেন না, তাদের জন্য অপেক্ষা করছে ইতিহাসের অভূতপূর্ব এক দৃশ্যের। তারা জানতেন কেবল নিজ নিজ দলের জয়ের সম্ভাবনাটাই কেবল। তবে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে ওভাল টেস্টের পঞ্চম দিক সকালে টানটান উত্তেজনার মঞ্চে সবচেয়ে হৃদয়ছোঁয়া মুহূর্তটি নিয়ে ক্রিস ওকস, যিনি কিনা তিন দিন আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন ম্যাচ থেকেই। সেই ক্রিকেটার স্রেফ এক হাত নিয়েই দাঁতে দাঁত চেপে ইংল্যান্ডের শেষ ব্যাটার হিসেবে যখন নেমে যান, তখন আক্ষরিক অর্থে সেটাই ছিল তার জয়, টেস্ট ক্রিকেটেরই জয় বৈকি।
প্রথম দিনের খেলার শেষের দিকে ফিল্ডিং করতে গিয়ে ওকসের বাঁ কাঁধের হাড় সরে গিয়েছিল। এরপর থেকে আঘাত প্রাপ্ত হাতটিকে স্লিংয়ে বেঁধে রাখতে হচ্ছে তাকে। দ্বিতীয় দিনই জানিয়ে দেওয়া, এই ম্যাচ শেষ ওকসের জন্য। অথচ সেই তিনিই পঞ্চম দিন তুমুল করতালির মধ্যে এক হাতে ব্যাট করতে যখন নেমে যান, তখন এক উইকেট হাতে রেখে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ১৭ রান।
ওকস ডানহাতি ব্যাটার হওয়ায় অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন, চাইলেও এই ম্যাচে তার ব্যাটিং করা অসম্ভব। তবে বহু যুদ্ধের পোড় খাওয়া এই সৈনিক যে শেষ বিন্দু দিয়ে হলেও লড়তে প্রস্তুত। আর তাই সেই আহত কাঁধ থেকে পুরো হাত স্লিংয়ে বেঁধে জার্সির নিচে লুকিয়ে রেখেই হাজির হন দলকে জেতাতে। তার সংক্ষিপ্ত কিন্তু সাহসী এই ইনিংসে নেই কোনো চার-ছক্কা বা রান, তবে যা আছে তা হল না মানা চোয়ালবদ্ধ এক যোদ্ধার শেষটা নিংড়ে দেওয়ার প্রবল ইচ্ছাশক্তি।
আর এটাই ওকসকে সাহস যুগিয়েছে স্রেফ এক হাতে ব্যাটিং করার, যা আবার কিনা বাঁহাতি হিসেবে। ক্যারিয়ারে এমনটা আগে কখনও না করায় স্বাভাবিকভাবেই এটা তার জন্য মোটেও সহজ কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। আর যুদ্ধটা তো কেবল মাঠে নামাতেই নয়, তার আগেও ছিল বেশ। ফিজিওর সাহায্যে প্যাড পরেছেন, বাঁ হাতে যাতে চাপ না পড়ে এমনভাবে গার্ড নিয়েছেন। এমনকি ডান হাতে দুইটি ছোট আর্ম গার্ড পরে ব্যাট ধরেছেন। এরপরও মাঠে যাওয়ার প্রতিটি মুহূর্তেই ব্যথা আর যন্ত্রণা তার মুখের অভিব্যক্তিতেই ফুটে উঠছিল বারবার।
যদিও ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো বল খেলতে হয়নি ওকসকে, কারণ পরপর দুই ওভারের শেষ বলে অন্য ব্যাটার প্রান্ত বদল করতে সমর্থ হন। তবুও নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে দাঁড়িয়ে বারবার ছুটে গিয়ে রান নিতে হয়েছে ওকসকে। আর প্রতিটি দৌড়ে চোখেমুখে তীব্র যন্ত্রণার ছাপ ছিল স্পষ্ট। স্লিং বেঁধে রাখা হাতে যে দৌড় দিলেই ব্যথা অনুভব করছিলেন। একবার তো আম্পায়ার আহসান রাজার সাহায্যও চেয়েছিলেন গ্লাভস পরিয়ে দিতে।
শেষ পর্যন্ত গাস আটকিনসন বোল্ড হয়ে গেলে ওকসের বীরত্ব স্বত্বেও ছয় রানে হার্টে হয় ইংল্যান্ডকে। সিরিজ ড্রয়ের আনন্দ থাকলেও ভারতের খেলোয়াড়রাও ম্যাচ শেষে প্রথমেই এগিয়ে যান ওকসের দিকেই। একে একে তারা শ্রদ্ধা জানান তার এই সাহসিকতাকে।
ওকসের এই এক হাতে ব্যাট করতে নেমে যাওয়া, ব্যথা নিয়ে দৌড় দেওয়ার দৃশ্যগুলো আরও একটি কারণেই তার জন্য ইতিহাস হয়ে থাকতে পারে। কারণ, এটাই যে হতে পারে তার শেষ আন্তর্জাতিক ইনিংস। ৩৬ বছর বয়সী এই পেসার এখন আর ইংল্যান্ডের সাদা বলের দলে নেই। মূলত খেলেন টেস্টেই। কাঁধের এই চোট সারিয়ে বছরের শেষের আগে তার ফেরার আর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ইংলিশদের পেসারদের এখন যে দাপট, তাতে একবার দলে জায়গা হারিয়ে ফেললে সেটা এই বয়সে ওকসের জন্য বেশ কঠিনই হতে পারে।
তবে আপাতত সেসব ছাপিয়ে ওকসের এই ক্ষণিকের উপস্থিতি শুধু একটা ম্যাচ নয়, পুরো সিরিজের আবেগ ও নিবেদনের উঁচু মানদণ্ডই যেন তুলে ধরে। যেখানে পাঁচ টেস্টের ২৫ দিনের লড়াইয়ে ৩২ জন খেলোয়াড় শারীরিক ও মানসিক ধাক্কা সামলেছেন, সেখানে ওকস দেখিয়ে দিয়েছেন, আসল লড়াইটা নিজের প্রতি মুহূর্তে নিজের সামর্থ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ারও।
নিজের সম্ভাব্য শেষ আন্তর্জাতিক ইনিংসে তাই বোলার ওকস স্মরণীয় হয়ে থাকবেন ব্যাট হাতে তার কীর্তির। রেকর্ডের পাতায় না থাকলেও যুগ যুগ ধরে খেলাটির প্রতি তার এই নিবেদন হৃদয়ে গেঁথে থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীদের।
No posts available.
২৭ অক্টোবর ২০২৫, ৪:২৭ পিএম
২৭ অক্টোবর ২০২৫, ৩:২৯ পিএম

হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দল বরিশাল বিভাগের ফিজিওথেরাপিস্ট হাসান আহমেদ। তাঁর স্মরণে আজ চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কালো আর্মব্যান্ড পরে খেলবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ খুলনা ও বরিশাল ম্যাচের তৃতীয় দিন সকালে মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করেন হাসান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৪৭ বছর বয়সী এই ফিজিওকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এক বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে, হাসান আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চট্টগ্রামে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দল কালো আর্মব্যান্ড পরবে। ম্যাচ শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে। আগামীকাল চলমান এনসিএলের চতুর্থ দিনের ম্যাচগুলোতেও হাসান আহমেদকে স্মরণ করা হবে।
প্রায় এক যুগের বেশি সময় জাতীয় লিগে বরিশালের ফিজিওর দায়িত্ব পালন করেছেন হাসান আহমেদ। এর বাইরেও ট্রমায় আক্রান্তদের জন্য গঠিত বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি।

ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তোলে টি-টোয়েন্টি থেকে রীতিমতো ছেঁটে ফেলা হয়েছিল বাবর আজমকে। নতুন করে যাদের পরখ করা হয়, তাঁরাও সন্তুষ্ট করতে পারেননি পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্টকে। সমালোচনারমুখে ৯ মাস পর আবারও টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পড়ে অভিজ্ঞ বাবরের।
দক্ষিণ আফ্রিার বিপক্ষে আগামীকাল সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাবর্তন হতে পারে বাবরের। লম্বা সময় দলের বাইরে থাকা এই তারকা ব্যাটারের ব্যাটিং পজিশন কি হবে- নিশ্চিত করেছেন কোচ মাইক হেসন। টি-টোয়েন্টিতে অধিকাংশ ম্যাচে ওপেনিংয়ে খেলেছেন বাবর। তবে পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ জানিয়েছেন, এবার ব্যাট হাতে দেখা যাবে তাঁকে তিন নম্বরে।
গতকাল রাওয়ালপিন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে হেসন বলেন, ‘আমি অবশ্যই তাঁর দলে ফেরাকে সমর্থন করি। ফখর জামানকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পাঠানো হয়েছে, ফলে আরেকজন টপ অর্ডার ব্যাটারের জন্য জায়গা তৈরি হয়েছে। বাবরের জন্য এটা দারুণ সুযোগ। সম্ভবত সে তিন নম্বরে ব্যাট করবে, আর আমি আত্মবিশ্বাসী—এই ভূমিকায় সে দারুণ করবে।’
আরও পড়ুন
| লিটনদের সামনে কতগুলো মাইলফলকের হাতছানি |
|
বাবর আজম সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, সেঞ্চুরিয়নে গত বছরের ডিসেম্বরে। তারপর থেকে তাঁকে দেখা গেছে শুধু ওয়ানডে ও টেস্টে। তবে হেসনের ভাষায়, ‘সংক্ষিপ্ত সংস্করণেও বাবর এখনো দলের অন্যতম ভরসার নাম।’
হেসন ব্যাখ্যা করেছেন উইকেটকিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ হারিসের বাদ পড়ার কারণও, ‘হারিস তরুণ, তবে তাঁকে বেশ কয়েকবার সুযোগ দিয়েও আমরা ধারাবাহিক পারফরম্যান্স পাইনি। উন্নতির জায়গা এখনো অনেক।’হারিসের জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন স্পিন মোকাবিলায় ব্যাটিং দক্ষতার জন্য পরিচিত উসমান খান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও পরবর্তী ত্রিদেশীয় সিরিজকে হেসন দেখছেন ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, ‘এই দুটি সিরিজ আমাদের দল গঠনে সহায়তা করবে। বিভিন্ন কম্বিনেশন যাচাই করার সুযোগ পাব।’
পাকিস্তান এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও পরবর্তী ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের দল। পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের স্কোয়াডও নির্ধারণ করেছে তারা।
হেসন জানান, তরুণ বোলার উসমান তারিককে তিনি ‘দারুণ স্পিন প্রতিভা’ হিসেবে দেখছেন। আর সুফিয়ান মুকিমকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সুযোগ করে দিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

চোট কাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলে ফিরেছেন টেম্বা বাভুমা। আগামী মাসে ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
গত মাসে ইংল্যান্ড সফরের তৃতীয় ওয়ানডেতে পায়ের পেশিতে চোট পাওয়ায় মাঠের বাইরে ছিটকে যান বাভুমা। যে কারণে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের প্রথম সিরিজেও খেলতে পারেননি।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া সাদা বলের (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) দুই সিরিজেও খেলবেন না বাভুমা। ভারতের বিপক্ষে মূল সিরিজের আগে বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ ও ভারত ‘এ’ দলের ম্যাচে নামবেন তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট সিরিজের স্কোয়াড থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এই একটিই। বাদ পড়েছেন মিডল অর্ডার ব্যাটার ডেভিড বেডিংহাম। ১৫ টেস্ট খেলা ব্যাটার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ ইনিংসে ৮২ রান করেন। তবে এর আগে ১২ ইনিংসে কোনো ফিফটি ছুঁতে পারেননি।
আরও পড়ুন
| লিটনদের সামনে কতগুলো মাইলফলকের হাতছানি |
|
স্পিন বিভাগে দক্ষিণ আফ্রিকা ধরে রেখেছে তিনজন বিশেষজ্ঞ স্পিনারকে- কেশব মহারাজ, সাইমন হার্মার ও সেনুরান মুথুসামি। পাকিস্তান সিরিজে ভালো পারফর্ম করা এই ত্রয়ীর সঙ্গে জায়গা হয়নি অফ স্পিনার প্রেনেলান সুব্রায়েনের।
পেস বোলিং বিভাগে থাকছেন কাগিসো রাবাদা, কর্বিন বশ ও মার্কো ইয়ানসেন। চোটের জন্য পাকিস্তান সফর মিস করা লুঙ্গি এনগিডিও এই দলে নেই।
কলকাতায় আগামী ১৪ নভেম্বর শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি। দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে গুয়াহাটিতে, ২২ ডিসেম্বর থেকে। ভারত সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা আরও খেলবে তিন ওয়ানডে ও পাঁচ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট স্কোয়াড
টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), এইডেন মার্করাম, রায়ান রিকেল্টন, ট্রিস্টান স্টাবস, কাইল ভেরেইনা, দেওয়াল্ড ব্রেভিস, জুবায়ের হামজা, টনি ডি জর্জি, কর্বিন বশ, উইয়ান মুল্ডার, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, সেনুরান মুথুসামি, কাগিসো রাবাদা, সাইমন হার্মার।

হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যুবরণ করেছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগের দল বরিশাল বিভাগের ফিজিওথেরাপিস্ট হাসান আহমেদ। খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার খুলনা ও বরিশালের মধ্যকার ম্যাচে তৃতীয় দিন সকালে মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি।
পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৪৭ বছর বয়সী এই ফিজিওকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
প্রায় এক যুগের বেশি সময় জাতীয় লিগে বরিশালের ফিজিওর দায়িত্ব পালন করেছেন হাসান আহমেদ। এর বাইরেও ট্রমায় আক্রান্তদের জন্য গঠিত বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি।
হাসান আহমেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কালো আর্মব্যান্ড পরে খেলতে নামবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এক মিনিট করে নীরবতা পালন করা হবে।
এছাড়া জাতীয় লিগে মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর আগেও শোকপালন করা হবে।

চট্টগ্রামে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এবং পুরো সিরিজে বেশ কিছু মাইলফলক হাতছানি দিচ্ছে স্বাগতিকদের। রেকর্ডগুলো সংখ্যায় সংখ্যায় তুলে ধরা হলো-
৯=৯
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে এখন পর্যন্ত দেখা হয়েছে ১৯ ম্যাচে। বাংলাদেশ জিতেছে ৮টি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯টি, আর দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত। আজ জিততে পারলে উইন্ডিজের পাশে বসবে স্বাগতিকেরা।
৫
চলতি বছর সবশেষ চার দ্বিপাক্ষিক সিরিজে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও আফগানিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজ জিতলে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার টানা পাঁচ সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখাবে তারা।
এর আগে ২০২২-২৩ মৌসুমে টানা চার সিরিজে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। পরে পঞ্চম সিরিজে তারা ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছিল নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেবার টানা পাঁচ সিরিজ অপরাজিত থাকলেও, জয় ছিল চার সিরিজে। সেই রেকর্ড এবার ভাঙার সুযোগ তাদের সামনে।
২০৭
বাংলাদেশ দল এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি খেলেছে ২০৬টি। আজ মাঠে নামলে দক্ষিণ আফ্রিকার (২০৭) পাশে বসবে তারা। সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা দলগুলোর তালিকায় যৌথভাবে অষ্টম।
১০০০
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের নবম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০০ রানের মাইলফলক হাতছানি দিচ্ছে তানজিদ হাসান তামিমকে। এ জন্য এই বাঁহাতি ব্যাটারের প্রয়োজন আর ১০৯ রান।
৫০
বাংলাদেশের সাত ক্রিকেটার এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে অন্তত ৫০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। এই সিরিজে সে তালিকায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ (৪৬) ও তানজিম হাসান সাকিবের সামনে (৪৪)।