৫ আগস্ট ২০২৫, ৮:৫৪ পিএম
ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার এক অসাধারণ টেস্ট সিরিজের শেষ দিনের শুরুতেও ক্রিকেট প্রেমীরা জানতেন না, তাদের জন্য অপেক্ষা করছে ইতিহাসের অভূতপূর্ব এক দৃশ্যের। তারা জানতেন কেবল নিজ নিজ দলের জয়ের সম্ভাবনাটাই কেবল। তবে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে ওভাল টেস্টের পঞ্চম দিক সকালে টানটান উত্তেজনার মঞ্চে সবচেয়ে হৃদয়ছোঁয়া মুহূর্তটি নিয়ে ক্রিস ওকস, যিনি কিনা তিন দিন আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন ম্যাচ থেকেই। সেই ক্রিকেটার স্রেফ এক হাত নিয়েই দাঁতে দাঁত চেপে ইংল্যান্ডের শেষ ব্যাটার হিসেবে যখন নেমে যান, তখন আক্ষরিক অর্থে সেটাই ছিল তার জয়, টেস্ট ক্রিকেটেরই জয় বৈকি।
প্রথম দিনের খেলার শেষের দিকে ফিল্ডিং করতে গিয়ে ওকসের বাঁ কাঁধের হাড় সরে গিয়েছিল। এরপর থেকে আঘাত প্রাপ্ত হাতটিকে স্লিংয়ে বেঁধে রাখতে হচ্ছে তাকে। দ্বিতীয় দিনই জানিয়ে দেওয়া, এই ম্যাচ শেষ ওকসের জন্য। অথচ সেই তিনিই পঞ্চম দিন তুমুল করতালির মধ্যে এক হাতে ব্যাট করতে যখন নেমে যান, তখন এক উইকেট হাতে রেখে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ১৭ রান।
ওকস ডানহাতি ব্যাটার হওয়ায় অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন, চাইলেও এই ম্যাচে তার ব্যাটিং করা অসম্ভব। তবে বহু যুদ্ধের পোড় খাওয়া এই সৈনিক যে শেষ বিন্দু দিয়ে হলেও লড়তে প্রস্তুত। আর তাই সেই আহত কাঁধ থেকে পুরো হাত স্লিংয়ে বেঁধে জার্সির নিচে লুকিয়ে রেখেই হাজির হন দলকে জেতাতে। তার সংক্ষিপ্ত কিন্তু সাহসী এই ইনিংসে নেই কোনো চার-ছক্কা বা রান, তবে যা আছে তা হল না মানা চোয়ালবদ্ধ এক যোদ্ধার শেষটা নিংড়ে দেওয়ার প্রবল ইচ্ছাশক্তি।
আর এটাই ওকসকে সাহস যুগিয়েছে স্রেফ এক হাতে ব্যাটিং করার, যা আবার কিনা বাঁহাতি হিসেবে। ক্যারিয়ারে এমনটা আগে কখনও না করায় স্বাভাবিকভাবেই এটা তার জন্য মোটেও সহজ কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। আর যুদ্ধটা তো কেবল মাঠে নামাতেই নয়, তার আগেও ছিল বেশ। ফিজিওর সাহায্যে প্যাড পরেছেন, বাঁ হাতে যাতে চাপ না পড়ে এমনভাবে গার্ড নিয়েছেন। এমনকি ডান হাতে দুইটি ছোট আর্ম গার্ড পরে ব্যাট ধরেছেন। এরপরও মাঠে যাওয়ার প্রতিটি মুহূর্তেই ব্যথা আর যন্ত্রণা তার মুখের অভিব্যক্তিতেই ফুটে উঠছিল বারবার।
যদিও ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো বল খেলতে হয়নি ওকসকে, কারণ পরপর দুই ওভারের শেষ বলে অন্য ব্যাটার প্রান্ত বদল করতে সমর্থ হন। তবুও নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে দাঁড়িয়ে বারবার ছুটে গিয়ে রান নিতে হয়েছে ওকসকে। আর প্রতিটি দৌড়ে চোখেমুখে তীব্র যন্ত্রণার ছাপ ছিল স্পষ্ট। স্লিং বেঁধে রাখা হাতে যে দৌড় দিলেই ব্যথা অনুভব করছিলেন। একবার তো আম্পায়ার আহসান রাজার সাহায্যও চেয়েছিলেন গ্লাভস পরিয়ে দিতে।
শেষ পর্যন্ত গাস আটকিনসন বোল্ড হয়ে গেলে ওকসের বীরত্ব স্বত্বেও ছয় রানে হার্টে হয় ইংল্যান্ডকে। সিরিজ ড্রয়ের আনন্দ থাকলেও ভারতের খেলোয়াড়রাও ম্যাচ শেষে প্রথমেই এগিয়ে যান ওকসের দিকেই। একে একে তারা শ্রদ্ধা জানান তার এই সাহসিকতাকে।
ওকসের এই এক হাতে ব্যাট করতে নেমে যাওয়া, ব্যথা নিয়ে দৌড় দেওয়ার দৃশ্যগুলো আরও একটি কারণেই তার জন্য ইতিহাস হয়ে থাকতে পারে। কারণ, এটাই যে হতে পারে তার শেষ আন্তর্জাতিক ইনিংস। ৩৬ বছর বয়সী এই পেসার এখন আর ইংল্যান্ডের সাদা বলের দলে নেই। মূলত খেলেন টেস্টেই। কাঁধের এই চোট সারিয়ে বছরের শেষের আগে তার ফেরার আর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ইংলিশদের পেসারদের এখন যে দাপট, তাতে একবার দলে জায়গা হারিয়ে ফেললে সেটা এই বয়সে ওকসের জন্য বেশ কঠিনই হতে পারে।
তবে আপাতত সেসব ছাপিয়ে ওকসের এই ক্ষণিকের উপস্থিতি শুধু একটা ম্যাচ নয়, পুরো সিরিজের আবেগ ও নিবেদনের উঁচু মানদণ্ডই যেন তুলে ধরে। যেখানে পাঁচ টেস্টের ২৫ দিনের লড়াইয়ে ৩২ জন খেলোয়াড় শারীরিক ও মানসিক ধাক্কা সামলেছেন, সেখানে ওকস দেখিয়ে দিয়েছেন, আসল লড়াইটা নিজের প্রতি মুহূর্তে নিজের সামর্থ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ারও।
নিজের সম্ভাব্য শেষ আন্তর্জাতিক ইনিংসে তাই বোলার ওকস স্মরণীয় হয়ে থাকবেন ব্যাট হাতে তার কীর্তির। রেকর্ডের পাতায় না থাকলেও যুগ যুগ ধরে খেলাটির প্রতি তার এই নিবেদন হৃদয়ে গেঁথে থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীদের।
No posts available.
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৬ পিএম
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮:১৪ পিএম
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৫০ পিএম

সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র, দ্বিতীয়টিতে নিরঙ্কুশ জয় নিউ জিল্যান্ডের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ২-০ ব্যবধান করার লক্ষ্য কিউইদের।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর অতিথি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাউন্ট মাউঙ্গানুইয়ে ম্যাচের স্কোয়াডে পরিবর্তন এনেছে নিউ জিল্যান্ড। এজাজ প্যাটেল ও টম ব্লান্ডেল দলে ফিরেছেন। চোটের কারণে বাদ পড়েছেন ব্লেয়ার টিকনার। ফেরা হয়নি মিচেল স্যান্টনার ও ম্যাট হেনরির।
এক বছরেরও বেশি সময় পর টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন এজাজ। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে মুম্বাই টেস্টে ভারতের বিপক্ষে তিনি শেষ খেলেছিলেন। সেই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার খেতাবও জিতেছিলেন এজাজ।
ক্রাইস্টচার্চে প্রথম টেস্টে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া উইকেটকিপার-ব্যাটার টম ব্লান্ডেল এক ম্যাচ বিরতিতে ফিরেছেন। কাঁধের চোটের কারণে ফার্স্ট বোলার ব্লেয়ার টিকনার দল থেকে ছিটকে গেছেন।
তৃতীয় টেস্টে নিউজিল্যান্ড স্কোয়াড: টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), টম ব্লান্ডেল (উইকেটকিপার), মাইকেল ব্রেসওয়েল, ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক, ডেভন কনওয়ে, জ্যাকব ডাফি, জ্যাক ফাউলকস, ড্যারিল মিচেল, এজাজ প্যাটেল, গ্লেন ফিলিপস, মাইকেল রে, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসন ও উইল ইয়ং।

সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে রান-পাহাড়ে চড়েছিল দু’দল। প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা ভারত তুলেছিল ১৭৫ রান, পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছেছিল রেকর্ডের খুব কাছাকাছি— তুলেছিল ২১৩ রান। তবে ধর্মশালায় ফিরতেই ফ্যাকাশে ম্যাচের রঙ।
রবিবার এগিয়ে যাওয়ার ম্যাচে প্রোটিয়াদের ১১৭ রান তাড়া করতে নেমে ২৫ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় ভারত। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ১১৭ রান, যা ম্যান ইন ব্লুদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে একমাত্র এইডেন মার্করামের ব্যাটেই সুর ওঠে। একাই দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৩তম ওভারে ড্রেসিংরুমে ফেরেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে দলের সর্বোচ্চ ৬১ রান। ৪৬ বল মোকাবিলায় ২টি ছক্কা ও ৬টি চারে এই ইনিংস খেলেন মার্করাম।
লক্ষণীয় বিষয় হলো, এদিন প্রোটিয়াদের মাত্র তিন ব্যাটার—মার্করাম, দোনোভান ফেরেইরা ও হেনরিখ নরকিয়া—দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেন। ফেরেইরা ১৫ বলে করেন ২০ রান এবং পেসার নরকিয়ার ব্যাট থেকে আসে ১২ রান।
অতিথিদের সর্বোচ্চ জুটি ছিল মার্কো জেনসন ও মার্করামের। এই জুটি থেকে আসে ৩৬ রান। এ ছাড়া দলীয় ১১৩ রানে ফেরার আগ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ছোট ছোট জুটি গড়ার চেষ্টা দেখা যায়। তবে বেশিরভাগই থিতু হওয়ার আগেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ১১৭ রানেই থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
এদিন বল হাতে দারুণ এক কীর্তি গড়েন হার্দিক পাণ্ডিয়া। দুটি উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নিজের শততম উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। এর আগে এই অলরাউন্ডার টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন।
পাণ্ডিয়ার পাশাপাশি দুটি করে উইকেট নেন হার্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব।
১১৭ রান তাড়া করতে নেমে ধীরস্থির কৌশলেই এগোয় ভারত। মূলত সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য এবং ধর্মশালার কন্ডিশন মাথায় রেখে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের বদলে স্বাভাবিক খেলাতেই মনোযোগ দেয় তারা। তার ফলও আসে মধুর।
সিরিজে দ্বিতীয় জয়ের দিনে অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের জুটি ভাঙে দলীয় ৬০ রানে, অভিষেক ৩৫ রানে আউট হলে। কটক ও নিউ চণ্ডীগড়ে ১৭ রান করে আউট হওয়া অভিষেক আজ নিজের সংগ্রহ বাড়াতে সক্ষম হন।
মার্কো জেনসনের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন শুভমান গিলও। গত দুই ম্যাচে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে না পারা এই ওপেনার আজ করেন ২৮ রান। তবে সূর্যকুমার যাদব ব্যর্থতার বৃত্তেই বন্দি থাকেন। স্বাগতিক অধিনায়ক কটকের মতো আজও ১২ রান করেন। তাকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে শীর্ষ উইকেটশিকারির দৌড়ে আরও এগিয়ে যান লুঙ্গি এনগিদি। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৭৭টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
ভারতের ইনিংস শেষের পথে এগিয়ে নেন তিলক ভার্মা ও শিভাম দুবে। দুবের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ২৬ রান। এর মধ্য দিয়েই স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। দু’জনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতেই জয় বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

বছরের শেষটা ভারত সফর দিয়ে করার কথা ছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। তবে সেটি স্থগিত হয়ে গেছে। এই ফাঁকা সময়টা কাজে লাগাতে তাই দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে উইমেন'স ক্রিকেট লিগ (ডব্লিউসিএল) আয়োজন করছে বিসিবি।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে সোমবার শুরু হবে ডব্লিউসিএলের খেলা। সেন্ট্রাল জোন, ইস্ট জোন, সাউথ জোন ও নর্থ জোনে ভাগ হয়ে খেলবেন নিগার সুলতানা জ্যোতি, ফাহিমা খাতুন, সোবহানা মোস্তারি, রাবেয়া খানরা।
উদ্বোধনী ম্যাচে সকাল ৯টায় মুখোমুখি হবে সেন্ট্রাল জোন-নর্থ জোন। একই দিন দুপুর দেড়টায় লড়বে ইস্ট জোন ও সাউথ জোন।
ডাবল লেগ পদ্ধতির এই টুর্নামেন্ট শেষ হবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের শেষ দিন দুপুর দেড়টায় ফিরতি ম্যাচে লড়বে সেন্ট্রাল জোন ও নর্থ জোন। অর্থাৎ মৌসুমের শুরু ও শেষের ম্যাচ দুইটি খেলবে তারা দুই দল।
একনজরে চার দলের স্কোয়াড
সেন্ট্রাল জোন
নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), ইশমা তানজিম, দিলারা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা, রিতু মণি, সাবিকুন নাহার জেসমিন, সুমাইয়া আক্তার, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, জান্নাতুল মাওয়া, আনিসা আক্তার সোবা, মোসাম্মত ইভা, সুবর্ণা কর্মকার, লেকি চাকমা ও তমালিকা সুমনা।
ইস্ট জোন
ফাহিমা খাতুন (অধিনায়ক), স্বর্ণা আক্তার, রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক, হাবিবা ইসলাম পিংকি, সাথী রানী, ফাতেমা জাহান সোনিয়া, তাজ নেহার, ফুয়ারা বেগম, উন্নতি আক্তার, মুর্শিদা খাতুন, হালিমাতুল সাদিয়া, আশরাফি ইয়াসমিন আরথি, মুমতাহেনা হাসনাত সিনথিয়া, সুমি আক্তার।
নর্থ জোন
সোবহানা মোস্তারি (অধিনায়ক), শামীমা সুলতানা, সানজিদা আক্তার মেঘলা, শারমিন আক্তার সুপ্তা, ফারজানা ইয়াসমিন, শরিফা খাতুন, শারমিন সুলতানা, আফিয়া আসিমা ইরা, দিশা বিশ্বাস, মেহেরুন নেসা জয়া, লাকি খাতুন, ফারজানা আক্তার লিসা, পূজা চক্রবর্তী, নুসরাত জাহান।
সাউথ জোন
রাবেয়া খান (অধিনায়ক), মারুফা আক্তার, জুয়াইরিয়া ফেরদৌস, সুলতানা খাতুন, লতা মন্ডল, ফারজানা হক, মিষ্টি রানী সাহা, ফাতেমা আক্তার ইতি, ফাহমিদা ছোঁয়া, দীপা খাতুন, হ্যাপি আলম, আয়েশা আক্তার (জুনিয়র), লিমা খাতুন শিবানী রানী।

দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতকে বেশি দূর যেতে দিলেন না পাকিস্তানের বোলাররা। মোটামুটি সহজ লক্ষ্য পেয়ে তাই জয়ের স্বপ্ন হয়তো দেখছিল তারা। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেই স্বপ্নভঙ্গ! ভারতের কাছে হেরে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ শুরু করেছে পাকিস্তান।
দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে রোববার পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৯০ রানে হারায় ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আগে ব্যাট করে মাত্র ২৪০ রানের পুঁজি নিয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের ১৫০ রানেই অল আউট করে দেয় ভারত।
পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে ভারতের যুবারা। এই ম্যাচের শুরুতেও ছিল দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের ছাপ। টসের সময় হাত মেলাননি দুই দলের অধিনায়ক।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেন কনিষ্ক চৌহান। সাত নম্বরে নেমে ৪৬ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। পরে বল হাতে মাত্র ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তরুণ অফ স্পিনারই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তেমন সুবিধা করতে পারেনি ভারত। আলোচিত মারকুটে ওপেনার বৈভব সুরিয়াবংশী মাত্র ৫ রান করে ফিরে যান। আরেক ওপেনার আয়ুশ মাত্র ঝড় তুলে মাত্র ২৫ বলে ৩৮ রান করে ফিরে যান।
তিন নম্বরে নেমে দুই দল মিলিয়েই ম্যাচের সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলেন অ্যারন জর্জ। এরপর কনিষ্কের চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসের সৌজন্যে আড়াইশর কাছে যায় ভারত।
পাকিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সায়াম ও আব্দুল সুবহান।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারায় পাকিস্তান। তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেন শুধু তিন ব্যাটার- উসমান খান (৪২ বলে ১৬), ফারহান ইউসুফ (৩৪ বলে ২৩) ও হুজাইফ আহসান (৮৩ বলে ৭০)।
কনিষ্ক ৩৩ রানে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া মাত্র ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন দিপেশ দেবেন্দ্র।

দেশের প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য ৩২টি সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে বরাবরের ন্যায় আবারও আয়োজিত হতে চলেছে রংপুর রাইডার্স বিএসজেএ মিডিয়া কাপ-২০২৫। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামবে দেশের খেলাধুলার একমাত্র চ্যানেল টি স্পোর্টস। তাদের প্রতিপক্ষ জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ।
মাওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে বেলা ১১টায় শুরু হবে টি স্পোর্টস ও কালের কণ্ঠের ম্যাচ। ৩২ দলের টুর্নামেন্টে ‘এফ’ গ্রুপে টি স্পোর্টস ও কালের কণ্ঠের পাশাপাশি রয়েছে এটিএন নিউজ ও বাংলা নিউজ।
টুর্নামেন্টের সব খেলাই হবে হকি স্টেডিয়ামের নীল টার্ফে। সোমবার সকাল ৯টা থেকেই অবশ্য শুরু হয়ে যাবে ব্যাট-বলের লড়াই। তবে টি স্পোর্টসের ম্যাচ দিয়েই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে রংপুর রাইডার্স বিএসজেএ মিডিয়া কাপ-২০২৫ পাওয়ার্ড বাই এইস ডেভেলপার্স।
উদ্বোধনী দিনে সকাল ৯টায় খেলবে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও দৈনিক মানবজমিন এবং সময় টিভি ও দৈনিক নয়া দিগন্ত। এরপর সকাল ১০টায় লড়বে এটিএন বাংলা ও ক্রিকফ্রেঞ্জি এবং জাগো নিউজ ও ডিবিসি।
পরে বেলা ১১টায় টি স্পোর্টস ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সঙ্গে পাশাপাশি মাঠে খেলবে চ্যানেল আই ও দৈনিক কালবেলা। আর দুপুর ১২টায় দিনের শেষ দুই ম্যাচে খেলবে ডেইলি সান ও দৈনিক দেশ রুপান্তর এবং ডেইলি স্টার ও দৈনিক কালবেলা।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক টুর্নামেন্টের গ্রুপিং
গ্রুপ এ: যুগান্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, সমকাল, ঢাকা পোস্ট
গ্রুপ বি: ডেইলি সান, ডিবিসি, দেশ রুপান্তর, জাগো নিউজ
গ্রুপ সি: ডেইলি স্টার, চ্যানেল ২৪, ইনকিলাব, দেশ টিভি
গ্রুপ ডি: চ্যানেল আই, বৈশাখি টিভি, কালবেলা, জি টিভি
গ্রুপ ই: সময় টিভি, এন টিভি, নয়া দিগন্ত, এখন টিভি
গ্রুপ এফ: টি স্পোর্টস, এটিএন নিউজ, কালের কণ্ঠ, বাংলা নিউজ
গ্রুপ জি: বাংলাদেশ প্রতিদিন, মাছরাঙা, মানবজমিন, আর টিভি
গ্রুপ এইচ: এটিএন বাংলা, বাংলা ভিশন, ক্রিকফ্রেঞ্জি, দীপ্ত টিভি