২২ আগস্ট ২০২৫, ৮:৩৭ পিএম
২০২৫ এশিয়া কাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। একই দল নিয়ে নিজেদের মাঠে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দলে সুযোগ পেয়েছেন নুরুল হাসান সোহান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও সাইফ হাসান। বাদ পড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সৌম্য সরকার।
সোহান সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০২২ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে। সাইফ ২০২৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে হাংঝুতে এশিয়ান গেমসে খেলেছিলেন।
মূল দল না থাকলেও শুধু এশিয়া কাপ স্ট্যান্ডবাই হিসেবে আছেন- সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, তানভীর ইসলাম ও হাসান মুরাদ। মিরাজ সবশেষ পাকিস্তান সিরিজের দলেও ছিলেন। সৌম্য খেলেছেন গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে ভারত |
![]() |
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে এশিয়া কাপ। তজর আগে ৩০ আগস্ট থেকে সিলেটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর হবে বাকি দুই ম্যাচ।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের স্কোয়াড— লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, সাইফ হাসান, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামীম হোসে পাটোয়ারি, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
স্ট্যান্ডবাই (এশিয়া কাপ)— সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, তানভীর ইসলাম ও হাসান মুরাদ।
No posts available.
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্ণাঙ্গ সিরিজের ম্যাচ অফিশিয়ালদের নাম প্রকাশ করেছে পিসিবি ও সিএসএ। ১২ অক্টোবর থেকে আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে সিরিজ। দুই দল খেলবে দুটি টেস্ট, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।
পাকিস্তান-প্রোটিয়াদের সিরিজে থাকছে বাংলাদেশও! আইসিসির এলিট প্যানেলের বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত আছেন ম্যাচ অফিশিয়ালদের তালিকায়।
লাহোরে গাদ্দাফি স্টেডিয়াম ১২ অক্টোবর শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। লাল বলের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ আম্পায়ার ও আইসিসি এলিট প্যানেলের সদস্য রডনি টাকার অনফিল্ড দায়িত্বে থাকবেন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিস্টোফার ব্রাউন। ম্যাচ রেফারি হিসেবে থাকছেন শ্রীলঙ্কার রঞ্জন মাদুগালে।
তৃতীয় আম্পায়ার থাকবেন বাংলাদেশের সৈকত, আর চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকবেন পাকিস্তানের ফয়সাল খান আফ্রিদি।
২০ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। এই ম্যাচে অনফিল্ড দায়িত্বে থাকবেন ক্রিস্টোফার ব্রাউন ও সৈকত। টাকার থাকবেন তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে। পাকিস্তানের রশিদ রিয়াজ হবেন চতুর্থ আম্পায়ার।
২৮ ও ৩১ অক্টোবর প্রথম ও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অনফিল্ড আম্পায়ার থাকবেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আসিফ ইয়াকুব ও রশিদ রিয়াজ। তৃতীয় আম্পায়ার ফয়সাল খান আফ্রিদি এবং চতুর্থ আম্পায়ার তারিক রশিদ।
১ নভেম্বর লাহোর তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অনফিল্ড দায়িত্বে থাকবেন রশিদ রিয়াজ ও ফয়সাল আফ্রিদি। আসিফ ইয়াকুব তৃতীয় আম্পায়ার, তারিক রশিদ চতুর্থ আম্পায়ার।
৪ নভেম্বর ফয়সালাবাদ ইকবাল স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন সৈকত ও আসিফ ইয়াকুব। ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স ওয়ার্ফ হবেন তৃতীয় আম্পায়ার, রশিদ রিয়াজ চতুর্থ।
৬ নভেম্বর দ্বিতীয় ওয়ানডে- অনফিল্ডে প্রথমবার একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন আইসিসি এলিট প্যানেলের দুই আম্পায়ার অ্যালেক্স ওয়ার্ফ ও আহসান রাজা। সৈকত তৃতীয় আম্পায়ার ও রশিদ রিয়াজ চতুর্থ আম্পায়ার।
৮ নভেম্বর তৃতীয় ওয়ানডেতে অনফিল্ড আম্পায়ার সৈকত ও ফয়সাল আফ্রিদি। অ্যালেক্স ওয়ার্ফ তৃতীয়, আর রশিদ রিয়াজ চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
পিসিবি জানিয়েছে, সিরিজ জুড়ে রঞ্জন মাদুগালে ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে থাকবেন। পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজ আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫-২৭ চক্রের অংশ।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) এবারের আসরে প্রথম সেঞ্চুরিতে ঢাকা মেট্রোকে বড় সংগ্রহ এনে দেন সাদমান ইসলাম। বরিশালের বিপক্ষে এরপর বাকি কাজ সারেন বোলাররা। তাতে ৯৬ রানের বড় জয় পায় ঢাকা মহানগর।
‘টেস্ট স্পেশালিস্ট’ হিসেবে পরিচিত সাদমান আজ ৫৪ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তাঁর এই প্রথম সেঞ্চুরিতে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ঢাকা মহানগর আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৭ রান করে। বড় লক্ষ্য তাড়ায় ১৭.৫ ওভারে ১০১ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল।
এই জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিনে উঠে এসেছে ঢাকা মহানগর। ৬ ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট পাওয়া বরিশাল ৮ দলের মধ্যে সবার শেষে। ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তালিকার শীর্ষে ঢাকা বিভাগ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে ঢাকা মহানগর। মাহফিজুল ইসলাম রবিনকে নিয়ে ১৭৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন সাদমান।
৪৯ বলে ৭৯ করা মাহফিজুল ইসালামের উইকেট পতনের পর সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। ৬১ বলে ১০১ রানের দারুণ এই ইনিংসের শেষ হয় ইফতিখার হোসেনের বলে শেখ অন্তরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এই ওপেনারের ইনিংসে ছিল ৪টি ছক্কা ও ১১টি চার।
এনসিএল টি–টোয়েন্টির দুই আসর মিলিয়ে এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি। আগের দুটি এনামুল হকের ১০১ (খুলনার হয়ে ঢাকার বিপক্ষে) ও জিশান আলমের ১০০ (সিলেটের হয়ে ঢাকার বিপক্ষে)। দুটিই গত আসরের।
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করা তৃতীয় ব্যাটার সাদমান। টুর্নামেন্টের গত আসরে তিন অঙ্কের দেখা পান জিসান আলম ও এনামুল হক বিজয়। আর স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে শতরানের স্বাদ পাওয়া বাংলাদেশের ১৪তম ব্যাটার তিনি। ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে এই জুটি ভাঙেন ইফতেখার হোসেন ইফতি। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে যে কোনো উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ জুটি।
শেষ দিকে ইফতির দুর্দান্ত বোলিংয়েং দুইশ ছোঁয়া হয়নি ঢাকা মহানগরের। এরপর রান তাড়ায় শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বরিশাল। ওপেনার আজমির আহেমেদের ২৪ বলে ২৬ রানই ছিল তাদের সর্বোচ্চ। ২ ওভারে ১৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে ঢাকার সেরা বোলার মারুফ মৃধা। দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার ও রাকিবুল হাসান।
মিচেল মার্শের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল অজিরা। দ্বিতীয় ম্যাচ হয়েছিল পরিত্যক্ত।
মাউন্ট মাঙ্গানুইয়ের বে ওভালে আজ কিউইদের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্য ১২ বল হাতে রেখেই তাড়া করেছে অস্ট্রেলিয়া। চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজের ট্রফি এবারও ধরে রাখল সফরকারীরা।
১৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন মার্শ। একপ্রান্ত আগলে রেখে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকান তিনি। যদিও অপরপ্রান্তে একের পর এক উইকেট হারায় অজিরা, মার্শ ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ৫২ বলে ১০৩ রানের অপরাজিত থেকে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ইনিংসে সাজানো ছিল ৮টি চার ও ৭টি ছক্কা। অষ্ট্রেলিয়ার বাকি আট ব্যাট করতে নামা আট ব্যাটার মিলে করেন মাত্র ৪৯ রান।
অ্যারন ফিঞ্চ ও শেন ওয়াটসনের পর অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছেন মার্শ। রানের সেঞ্চুরির পাশাপাশি এই ম্যাচে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ছক্কার সেঞ্চুরিও করেছেন তিনি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নারের পর এ কীর্তি গড়েছেন মার্শ।
টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়া করে সেঞ্চুরি করা অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় ব্যাটার হলেন মিচেল মার্শ। তার আগে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও টিম ডেভিড করেছিলেন রান তাড়ায় সেঞ্চুরি। এই সংস্করণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড এখন মার্শের দখলে। ছাড়িয়ে গেছেন রিকি পন্টিংয়ের ৯৮ রানের ইনিংসকে।
টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় অস্ট্রেলিয়া। শুরুতেই ডেভন কনওয়েকে হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে আরেক ওপেনার টিম সেইফার্ট নিউজিল্যান্ডের ইনিংসকে এগিয়ে নিতে থাকেন। সেইফার্ট ৪৮ রান করে ফেরার পর শেষ দিকে মাইকেল ব্রেসওয়েলের ২৬ ও জিমি নিশামের ২৫ রানের কল্যাণে ৯ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে কিউইদের ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শন অ্যাবট ৩ উইকেট নেন, অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজেলউডের শিকার ২টি করে উইকেট। ম্যাচ ও সিরিজসেরা মিচেল মার্শ।
সাত মাস পর ভারতের ওয়ানডে দলে ফিরেছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। দুজনই সবশেষে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন এই বছরের মার্চে- আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে। দুবাইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত।
দলে ফিরলেও টেস্টের পর এবার ওয়ানডে অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন রোহিত। ৫০ ওভারের সংস্করণেও দলের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছে শুভমান গিলকে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়েই সাদা বলের নেতৃত্বে নতুন অধ্যায় শুরু হবে এই তরুণ ব্যাটারের।
আজ আহমেদাবাদে বসেছিল বিসিসিআই নির্বাচকদের সভা। সেখানেই নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৪০ রানে হারায় ভারত। ম্যাচ চলাকালীনই অস্ট্রেলিয়া সফরের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার।
আরও পড়ুন
আরেকটি লজ্জার হার, টেস্ট খেলাই যেন ভুলে গেল উইন্ডিজ |
![]() |
টি-টোয়েন্টি দলে অবশ্য তেমন পরিবর্তন নেই। বলা যায়, সবশেষ এশিয়া কাপের দলই যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সফরে।
পার্থে আগামী ১৯ অক্টোবর হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। অ্যাডিলেইড ও সিডনিতে পরের দুই ম্যাচ হবে ২৩ ও ২৫ অক্টোবর। ওয়ানডে সিরিজের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ২৯ অক্টোবর, চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত।
অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের ওয়ানডে দল:
শুভমান গিল (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার (সহ-অধিনায়ক), অক্ষর প্যাটেল, লোকেশ রাহুল (উইকেটরক্ষক), নিতিশ কুমার রেড্ডি, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, মোহাম্মদ সিরাজ, অর্শদীপ সিং, প্রসিধ কৃষ্ণা, ধ্রুব জুরেল (উইকেটরক্ষক), যশস্বী জয়সওয়াল।
শুভমান গিল (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার (সহ-অধিনায়ক), অক্ষর প্যাটেল, লোকেশ রাহুল (উইকেটরক্ষক), নিতিশ কুমার রেড্ডি, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, মোহাম্মদ সিরাজ, অর্শদীপ সিং, প্রসিধ কৃষ্ণা, ধ্রুব জুরেল (উইকেটরক্ষক), যশস্বী জয়সওয়াল।
ভারতের টি-টোয়েন্টি দল:
সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, শুভমান গিল (সহ-অধিনায়ক), তিলক বর্মা, নিতিশ কুমার রেড্ডি, শিভম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জিতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), বরুণ চক্রবর্তী, জসপ্রিত বুমরাহ, অর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদব, হার্ষিত রানা, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), রিঙ্কু সিং, ওয়াশিংটন সুন্দর।
আগের ম্যাচে অল্পের জন্য ফিফটি করতে পারেননি সাদমান ইসলাম। সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে সেঞ্চুরি করে ফেললেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটার। টেস্ট বিশেষজ্ঞ তকমা সরিয়ে ৬১ বলে খেললেন ১০১ রানের ইনিংস।
চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টিতে এটিই প্রথম ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি। সাদমানের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারেও প্রথম সেঞ্চুরি এটি। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবারের দ্বিতীয় ম্যাচে ১১ চারের সঙ্গে ৪ ছক্কায় ইনিংস সাজান তিনি।
২০১৫ সালে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হলেও, টেস্ট বিশেষজ্ঞ তকমা লেগে যাওয়ায় ১০ বছরে মাত্র ২১টি ম্যাচ খেলেছেন সাদমান। এর মধ্যেই এনসিএলে ঢাকা মেট্রোর হয়ে তিনি পেলেন প্রথম সেঞ্চুরির দেখা।
আরও পড়ুন
আরেকটি লজ্জার হার, টেস্ট খেলাই যেন ভুলে গেল উইন্ডিজ |
![]() |
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করা তৃতীয় ব্যাটার সাদমান। টুর্নামেন্টের গত আসরে তিন অঙ্কের দেখা পান জিসান আলম ও এনামুল হক বিজয়। আর স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে শতরানের স্বাদ পাওয়া বাংলাদেশের ১৪তম ব্যাটার তিনি।
বরিশালের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাহফিজুল ইসলাম রবিনকে নিয়ে ১৭৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন সাদমান। ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে এই জুটি ভাঙেন ইফতেখার হোসেন ইফতি। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে যে কোনো উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ জুটি।
৯ চারের সঙ্গে ২ ছক্কায় ৪৯ বলে ৭৯ রান করে আউট হন রবিন। এরপর সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। শেষ ওভারে তাকেও ফিরিয়ে দেন ইফতি। ফলে অপরাজিত থাকা বা এনামুলের ১০১ রানকে ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি ৩০ বছর বয়সী ব্যাটারের।
শেষ দিকে ইফতির বোলিং নৈপুণ্যে দুইশ ছোঁয়া হয়নি মেট্রোর। ৬ উইকেটে ১৯৭ রান করে তারা। ১৬ বলের মধ্যেই এই ৬ উইকেট হারায় মেট্রো।
২ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন ইফতি।