১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১:৪২ এম
ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। চোটে পড়ে ১৬ সদস্যের দল থেকে বাদ পড়েছেন শরিফুল ইসলাম । প্রথমবার টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জাকের আলী অনিক।
বাংলাদেশের হয়ে ১৭ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেললেও এখনো টেস্ট অভিষেক হয়নি জাকেরের। মূলত গত মাসে পাকিস্তান সফরে 'এ' দলের হয়ে চারদিনের ম্যাচে ১৭২ রানের ইনিংস খেলার পুরস্কারই পেয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। দলে চার স্পেশালিষ্ট পেসার ও চার স্পিনার রয়েছেন।
আসন্ন ভারত সফরে দুই টেস্টের সাথে তিন টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্ট মাঠে গড়াবে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ে। এরপর দ্বিতীয় টেস্ট মাঠে গড়াবে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর কানপুরে।
৬ অক্টোবর থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
ভারত সফরে বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াড:
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী (উইকেটরক্ষক), তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, তাইজুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, নাঈম হাসান ও খালেদ আহমেদ।
৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯:৪৯ পিএম
বাংলাদেশ বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে শেষ ৯ ওভারে মাত্র ৪৭ রান করে ইংল্যান্ড পেল মাঝারি স্কোর সেটা তাড়া করতে শুরুটা আশা জাগানিয়া না হলেও সোবহানা মোস্তারির ব্যাটে চেপে অঘটনের স্বপ্ন দেখছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। তবে ইংলিশদের পেশাদার বোলিংয়ের সাথে আর পেরে উঠলেন না তিনি। অন্য ব্যাটাররাও হলেন ব্যর্থ। তাতে বিশ্বকাপ অভিযানে দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ।
আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার ইংল্যান্ডের কাছে ২১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে ৭ উইকেটে ১১৮ রানে আটকে দেওয়ার পর কুড়ি ওভারে বাংলাদেশ করতে পারে টেনেটুনে ৭ উইকেটে ৯৭। আসরের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছিল জ্যোতির দল।
চলতি বছর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থতার বড় কারন ব্যাটিং। অসংখ্য ম্যাচে বোলাররা ভালো করলেও প্রতিদান দিতে পারেননি ব্যাটাররা। শক্তিশালী ইংলিশ বোলারদের বিপক্ষে তাই তাদের সামনে ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে ওপেনাররা আরও একবার দলকে হতাশ করেন।
মাত্র একটি চারে ৯ রান করে আউট হয়ে যান সাথি রানী। সুবিধা করতে পারেননি আরেক ওপেনার দিলারা আক্তারও। রানের গতিও ছিল ধীর। ১৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে তাই শুরুতেই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ৷
তৃতীয় উইকেটে সোবহানাকে সাথে নিয়ে সম্ভাবনাময় জুটিতে বাংলাদেশকে আশা দেখান দলের সেরা ব্যাটার নিগার। তবে সেটা করতে গিয়ে বলও নষ্ট করে ফেলেন তারা। ফলে বেড়ে যায় চাপ। সেই চাপেই কিনা, রান চুরি করতে গিয়ে রান-আউট হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
পরের ওভারে স্পিনার সারাহ গ্লেনের বলে বড় শট মারতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হন স্বর্না আক্তারও। ভালো অবস্থান থেকে দ্রুতই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
তখন পর্যন্ত মাত্র একটি বাউন্ডারি মারলেও এক প্রান্ত আগলে সেই সময়ে বাংলাদেশের আশা হয়ে ছিলেন সোবহানা। ১৫ ওভারে স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৬৭। বল ও রানের গতি যখন ক্রমশ বাড়ছে, তখন একটি ছক্কা মেরে কিছুটা চাপ সরান সোবহানা।
তবে ইংল্যান্ড বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কমে আসে বাংলাদেশের জয়ের সব সম্ভাবনা। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন হয় ৩২ রানের। এই সমীকরণ মেলানো আর সম্ভব হয়নি। ১৯তম ওভারে ১ চার ও ১ ছক্কায় প্রায় ৯২ স্ট্রাইক রেটে ৪৪ রানে থামেন সোবহানা।
দিবারাত্রির ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া ইংল্যান্ড পায় উড়ন্ত সূচনা। বাংলাদেশ বোলারদের চাপে রেখে দুই ওপেনার মাইয়া বাউচিয়ার ও ড্যানিয়েল ওয়াট-হজ রান তুলতে থাকেন দ্রুততার সাথে। মারুফা আক্তারের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে টানা দুই বাউন্ডারির পর একটা সুযোগ দিয়েছিলেন বাউচিয়ার। তবে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন রাবেয়া।
পাওয়ার প্লেতেই প্রায় ফিফটি করে ফেলা এই জুটির শেষ পর্যন্ত ইতি টানেই সেই রাবেয়াই। আক্রমণে এসেই শিকার বানান ১৮ বলে ২৩ রান করা বাউচিয়ারকে। সুইপ করতে গিয়ে মিড-অনে ক্যাচ তুলে দেন ইংলিশ ওপেনার৷ ৪৮ রানে প্রথম উইকেট নেওয়া বাংলাদেশকে অল্প সময়ের মধ্যে আরেকটি উইকেট এনে দেন ন্যাট ফাহিমা খাতুন। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাইভার-ব্রান্ট।
তবে ১১ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৭১ রান করা ইংল্যান্ড ভালোভাবেই ছিল বড় স্কোর গড়ার দিকে। তবে সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান বাংলাদেশের বোলাররা। রিতু মনি একটি উইকেট নেওয়ার পর ফিরতি স্পেলে এসেই সেট ব্যাটার ওয়াট-হজকে ফেরান নাহিদা আক্তার। তেড়েফুঁড়ে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন ৪০ বলে ৪১ রান করে।
ক্রমশ রানের গতি কমে আসে ইংল্যান্ডের। চাপ বজায় রেখে দুই প্রান্ত থেকেই টাইট বোলিং চালিয়ে যান স্পিনাররা। আর বড় শট খেলতে গিয়ে একের পর উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। শেষ পাঁচ ওভারে বোর্ডে জমা জয় মাত্র ৩১ রান।
অ্যামি জোন্স শেষের দিকে করেন ১২ রান, যা মূলত তার দলকে এনে দেয় প্রায় ১২০ রানের একটা লড়াকু স্কোর। তিনি সহ দলটির মাত্র তিন ব্যাটার দুই ডিজিটে যেতে সক্ষম হন।
১৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার ফাহিমা। সমান দুটি করে উইকেট যায় নাহিদা ও রিতু মনি।
এক যুগ হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মাঠে গড়াচ্ছে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে এখানে অংশ নেওয়া দলগুলোর কখনই সেভাবে সরাসরি আলোচনা করে টুর্নামেন্টের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়নি। বিভিন্ন সময়ে দাবি-দাওয়া নিয়ে বনিবনা না হওয়ার ঘটনাও হয়েছে। তবে এবারের বিপিএলের আগে সব দলের সাথে বিশেষ আলোচনা সেরেছে বিসিবি। সভাপতি ফারুক আহমেদ মনে করেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ভালো-মন্দ বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
সব ঠিক থাকলে আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বিপিএলের ১১তম আসর। আর প্লেয়ার ড্রাফট হতে যাচ্ছে আগামী ১৪ অক্টোবর। এর আগে শনিবার অংশগ্রহণকারী সাত ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে আলোচনায় বসে বিবিসি। দলগুলোর সাথে এভাবে সংস্থাটিকে এভাবে আনুষ্ঠানিক মিটিং করতে দেখা যায়নি। একটা অভিযোগ দাঁড়িয়ে গিয়েছিল যে, বিসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে বসে না, কথা বলে না।
সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় ফারুক বলেছেন, বিপিএলের ভালো করতে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সহযোগিতা তাদের প্রয়োজন। “এটাই প্রথম, এত লম্বা সময় ধরে আমরা মিটিং করেছি। আমরা তাদের সুবিধা-অসুবিধা জানতে চেয়েছি। এর পেছনে উদ্দেশ্য ছিল আপনারা জানেন, তারা আমাদের পার্টনার। তারা কিন্তু খুব ভালো কাজ করছে। তারা আমাদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে চায়। এই কারণে আমরা তাদের কথা শোনাটা খুব জরুরি মনে করেছি এবং তাদের ফিডব্যাকটা চেয়েছি। প্রত্যেক দলের আলাদা আলাদা ফিডব্যাক নিয়েছি, যেহেতু বোর্ড হিসেবে আমরা পলিসি ঠিক করি, আমাদের বোর্ডের জন্য যেটা সেরা হবে, সবার জন্য যেটা কাছাকাছি হবে, সেটাই আমরা করব। এই ব্যাপারে আপনারা খুব শীঘ্রই জানতে পারবেন। ড্রাফট পেপার আমরা প্রায় তৈরি করে ফেলেছি। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের (গত বিপিএলের বকেয়া) পেমেন্ট না করা হচ্ছে, ততক্ষন পর্যন্ত আমরা সেরা প্রকাশ করতে পারছি না।”
বিপিএলের গত বছর থেকে এবার তিনটি দল পরিবর্তন হবে। বাদ পড়ছে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সফলতম দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তাদের জায়গায় আসছে রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজি। আর মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের।
প্লেয়ার্স ড্রাফটের নেই বেশি সময় হাতে, কিন্তু শেষ সময়েও সাতটি দল নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ, বিসিবি এখনও সব দলের নাম জানায়নি। ফলে নানা নিয়ম কানুন নিয়ে রয়ে গেছে ধোঁয়াশা। নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর তিনটি সরাসরি সাইনিং চাচ্ছেন। বিপরীতে পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের এতে রয়েছে আপত্তি।
এসব বিষয়ের সমাধান কি হয়ে গেছে এরই মধ্যে? ফারুক অবশ্য পুরোপুরি ইতিবাচক উত্তর দিতে পারেননি। “ফ্র্যাঞ্চাইজির যে ব্যাপারটা, এটা ৯৫ শতাংশ ঠিক হয়েছে। আমরা খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি শেষ দুই মাস। এখনও সেখান থেকে আমরা খুব বেশি একটা বের হতে পারিনি। চ্যালেঞ্জটা তাই এখনও আছে। আমি বলব না সব ঠিক হয়ে গেছে। আমরা ড্রাফট রেখেছি ১৪ তারিখে, আশা করি তার আগেই সব ঠিক হয়ে যাবে।”
৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৭ দিন আগে