২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:৫৮ পিএম
সিলেটে গতকাল পরিচালনা পর্ষদের সভায় চূড়ান্ত হয় আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। আজ বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানালেন, সবকিছু ঠিক থাকলে নির্বাচন করবেন তিনিও।
গতকাল সিলেটে ছিল বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা। আজ সিলেট জেলা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে যান বুলবুল। সেখানেই সংবাদমাধ্যমকে নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন,
'অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আমরা ইনশাআল্লাহ নির্বাচন করব। আমরা একটা সঠিক নির্বাচন করব। এখানে সভাপতি নির্বাচন হয় না, এখানে পরিচালকদের নির্বাচন হয়। সেটা প্রথম লক্ষ্য এবং সেখানে থাকার চেষ্টা করব। পরবর্তীতে যদি সুযোগ হয়, আমি চেষ্টা করব যেভাবেই হোক বাংলাদেশকে সার্ভ করার জন্য।'
বিসিবির দায়িত্ব নেওয়ার পর শুরুতে ছোট একটি ইনিংস খেলে চলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন বুলবুল। তবে এবার জানিয়েছেন, নির্বাচনেও দাঁড়াবেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হয়তো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মনোনয়ন পেয়ে অথবা ঢাকা বিভাগ থেকে নির্বাচিত হয়ে বোর্ডে প্রবেশ করবেন।
আরও পড়ুন
সিটিতে ৮ বছরের পথচলার ইতি টানলেন এদারসন |
![]() |
বিসিবির সবশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর। পরদিনই হয়েছিল বোর্ডের প্রথম সভা। সেই ধারা অনুযায়ী চলতি কমিটিকে ২০২৫ সালের ৭ অক্টোবরের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের অন্তত ৩০ দিন আগে বিসিবি সভাপতির নির্দেশনায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্টদের কাছে নোটিশ পাঠাবেন- পরবর্তী সাধারণ সভার জন্য কাউন্সিলর মনোনয়নের বিষয়ে। এ প্রক্রিয়া হবে সংবিধানের ৯.১, ৯.২ এবং ৯.৩ ধারার অনুযায়ী।
১৯ নম্বর ধারা ও ৫ম অধ্যায় অনুযায়ী, কার্যনির্বাহী কমিটির মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের নিয়মাবলি প্রণয়ন, তফসিল ঘোষণা, ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ এবং সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে।
বিসিবির সংবিধান অনুযায়ী, ঢাকা ভিত্তিক ক্লাবগুলো (ক্যাটাগরি-১) থেকে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হন ৭৬ জন ক্লাব কাউন্সিলরের মাধ্যমে। ক্যাটাগরি-২, যেখানে আঞ্চলিক ও জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি থাকে, সেখান থেকে আট বিভাগ ও ৬৪ জেলার কাউন্সিলরের ভোটে ১০টি পদ পূরণ হয়। ক্যাটাগরি-৩ এ ‘অন্যান্য প্রতিনিধি’ কোটায় একজন পরিচালক নির্বাচিত হন। এ ছাড়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে মনোনীত হন দুই পরিচালক। এভাবে ২৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হয়। তারপর বোর্ড পরিচালকেরা মিলেই সভাপতি নির্বাচন করেন।
No posts available.
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:০১ পিএম
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২২ এম
অনুশীলনে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টি ছক্কা হাঁকানোর কথা বলে ২০২২ এশিয়া কাপের আগে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটার আসিফ আলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য খুব বেশি দেখা যায়নি তার ছক্কার রুপ। এবার বিদায়ই বলে দিলেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) সোমবার দেওয়া এক বার্তায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।
“পাকিস্তানের জার্সি গায়ে জড়ানো আমার জীবনের সেরা অর্জন। দেশের হয়ে ক্রিকেট মাঠে খেলতে পারা গর্বের একটি অধ্যায়। আমার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, যারা আনন্দের মুহূর্তে এবং কঠিন সময় আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বিশ্বকাপের সময় আমার প্রিয় মেয়েকে হারানোসহ কঠিন সময়ে তোমাদের শক্তি আমাকে এগিয়ে নিয়েছে।”
আরও পড়ুন
১৪ বছর পর গুজরাটে আইপিএল রেকর্ডধারী পেসার |
![]() |
পাকিস্তানের মিডল অর্ডারে পাওয়ার হিটারদের মধ্যে অন্যতম প্রতিভাবান ধরা হতো তাকে। তবে ফর্মহীনতায় দীর্ঘ দিন দলের বাইরে থাকার পর এবার ৩৩ বছর বয়সেই পাকিস্তানের জার্সি তুলে রাখলেন আসিফ। ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানের হয়ে সবশেষ খেলেছিলেন তিনি।
পাকিস্তানের হয়ে ৫৮ টি-টোয়েন্টি এবং ২১টি ওয়ানডে খেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। টি টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের হয়ে করেছেন ৫৭৭ রান। তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২০১৮ সালে ৪১ রান করেছিলেন সেই ম্যাচে।
২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ বলে ২৫ রান করে পাকিস্তানকে দুর্দান্ত এক জয় এনে দিয়েছিলেন এই ব্যাটার।
ওয়ানডেতে পাকিস্তানের হয়ে ৩৮২ রান করেন আসিফ। যার মধ্যে ছক্কা ছিল ২১টি এবং চার ২২ টি। পাকিস্তানের জার্সি গায়ে সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০২২ সালে।
এক যুগের বেশি সময় পর হরিয়ানা ছেড়ে নিজের জন্মস্থান গুজরাটে ফিরলেন হার্শাল প্যাটেল। ভারতের সামনের ঘরোয়া মৌসুমে গুজরাটের হয়ে খেলবেন আইপিএলে এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড গড়া অভিজ্ঞ পেসার।
সব ধরনের কাগুজে আনুষ্ঠানিকতা এরই মধ্যে সেরে ফেলেছেন হার্শাল। বারোদা ও সৌরাষ্ট্র থেকে আসা দুটি দল নিয়ে প্রাক-মৌসুম ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকেই গুজরাটের হয়ে খেলতে পারবেন ৩৪ বছর বয়সী এই পেসার।
আইপিএলের নিয়মিত মুখ তিনি। ২০২১ সালের আসরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুরের হয়ে ১৫ ম্যাচে ৩২ উইকেট নিয়েছিলেন হার্শাল। আইপিএলের এক আসরে এটিই সর্বোচ্চ। ২০১৩ সালে ডোয়াইন ব্রাভোও নিয়েছিলেন ৩২ উইকেট, তবে ১৮ ম্যাচে।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরলেন স্টয়নিস |
![]() |
এবার ঘরোয়া ক্রিকেটে গুজরাটে ফেরার মাধ্যমে একটি চক্র পূরণ করেছেন হার্শাল। গুজরাটে জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই পেসার ২০০৮-০৯ মৌসুমে এই দলের হয়েই স্বীকৃত ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেন। তবে ২০১০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার পর হরিয়ানায় চলে যান তিনি।
পরে হরিয়ানার হয়েই ২০১১-১২ মৌসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। তিন ফরম্যাটেই ওই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন তিনি। সব মিলিয়ে ৭৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে মাত্র ২৪.০২ গড়ে ২৪৬ উইকেট নেন হার্শাল। ইনিংসে ৫ উইকেট নেন ১২ বার।
এছাড়া সাদা বলের ক্রিকেটে নিয়মিতই দলকে এগিয়ে দেন হার্শাল। ২০২৩-২৪ মৌসুমে হরিয়ানার প্রথম বিজয় হাজারে ট্রফি জয়ের মৌসুমেও বড় অবদান রাখেন তিনি। ওই আসরের ১০ ম্যাচে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ১৯ উইকেট নেন অভিজ্ঞ পেসার।
আইপিএলে উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের পর জাতীয় দলে সুযোগ পান হার্শাল। তবে ২০২৩ সালের পর আর ভারতের হয়ে খেলতে পারেননি তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে খেলা ২৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তার শিকার ২৯ উইকেট।
এখন আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আশা দেখেন না হার্শাল। তাই ঘরোয়া ক্রিকেটেই দিচ্ছেন পূর্ণ মনোযোগ।
আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রায় ১০ মাসের বিরতি দিয়ে অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরলেন মার্কাস স্টয়নিস। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সামনের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে ডাক পেলেন অভিজ্ঞ এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের জন্য ১৪ জনের দল ঘোষণা করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
স্টয়নিস ছাড়াও স্কোয়াডে ফেরার তালিকায় আছেন মিচেল ওয়েন, ম্যাথু শর্ট ও জাভিয়ের বার্টলেট। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবশেষ সিরিজের দল থেকে জায়গা হারিয়েছেন নাথান এলিস, অ্যালেক্স ক্যারি, অ্যারন হার্ডি ও ক্যামেরন গ্রিন।
২০২৪ সালে ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্টয়নিস। গত বছরের নভেম্বরের পর আর অস্ট্রেলিয়া দলে খেলতে দেখা যায়নি তাকে। এর মাঝেই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন অভিজ্ঞ তারকা।
এই সময়ে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন লিগে ব্যস্ত সময় কাটান স্টয়নিস। আইপিএলে পাঞ্জাব কিংস ও দা হান্ড্রেডে ট্রেন্ট রকেটসকে ফাইনালে তুলতে তিনি রাখেন বড় ভূমিকা। সেই ধারবাহিকতায় এবার জাতীয় দলে ফিরে আগামী বছরের বিশ্বকাপের জন্যও লড়বেন তিনি।
সামনের অ্যাশেজ সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিতে শেফিল্ড শিল্ডে খেলবেন গ্রিন। এই সিরিজ থেকে নিজেই সরে দাঁড়িয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ব্যাকআপ হিসেবে যাওয়া ক্যারি ও হার্ডিকে বাদ দিয়েছেন নির্বাচকরা। আর পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছেন এলিস।
গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে পাওয়া চোট থেকে সেরে উঠেছেন শর্ট। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে কনকাশন হওয়া ওয়েনকেও ফেরানো হয়েছে দলে।
টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া মিচেল স্টার্ককে ছাড়াই সিরিজটি খেলবে অস্ট্রেলিয়া। পিঠ নিয়ে সমস্যায় ভোগায় সামনের অ্যাশেজ সিরিজের কথা মাথায় রেখে কিউইদের বিপক্ষে খেলবেন না দলের টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আগামী ১, ৩ ও ৪ অক্টোবর হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ তিনটি।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড:
মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, জাভিয়ের বার্টলেট, টিম ডেভিড, বেন ডোয়ারশিস, জশ হেজেলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস, ম্যাট কুনেমান, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল ওয়েন, ম্যাথু শর্ট, মার্কাস স্টয়নিস, অ্যাডাম জাম্পা।
সাদা পোশাকের টেস্ট ক্যারিয়ার আরও লম্বা করতে এবং ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভালো কিছুর আশায় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন মিচেল স্টার্ক। সামনের বিশ্বকাপের ছয় মাসেরও কম বাকি থাকতে বড় সিদ্ধান্তটি নিলেন অভিজ্ঞ পেসার।
গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের পর আর এই সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেননি স্টার্ক। বিদায়ের ঘোষণা দেওয়া বিবৃতিতে টেস্ট ক্রিকেটকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন ৩৫ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার।
আরও পড়ুন
মাঠে লিটনের ‘কন্ট্রোল’ দেখে মুগ্ধ বিসিবি সভাপতি |
![]() |
“টেস্ট ক্রিকেটই সবসময় আমার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ছিল। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আমি প্রতিটি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে দারুণ উপভোগ করেছি, বিশেষ করে ২০২১ সালের বিশ্বকাপ। শুধু ট্রফি জেতার জন্য নয়, অসাধারণ দল আর সেই যাত্রার আনন্দের কারণেও।”
“সামনের দিনে ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ, অ্যাশেজ ও ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সামনে রেখে আমি মনে করি সতেজ, ফিট থেকে সেরাটা দেওয়ার জন্য এটাই আমার সঠিক পথ। একই সঙ্গে এটি আমাদের বোলিং ইউনিটকে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির যথেষ্ট সময় করে দেবে।”
২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় স্টার্কের। এরপর থেকে জাতীয় দলের হয়ে ছয় বিশ্বকাপের পাঁচটিই খেলেছেন তিনি। চোটের কারণে ছিলেন না ২০১৬ আসরে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০২১ সালের বিশ্বকাপ জেতা স্টার্কের ক্যারিয়ারের সেরা সাফল্য।
এই সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হিসেবে অবসর নিলেন স্টার্ক। ৬৫ ম্যাচে তার শিকার ৭৯ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে শুধু লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার, ১৩০ উইকেট।
টি-টোয়েন্টি থেকে স্টার্কের বিদায় মূলত অস্ট্রেলিয়ার সোনালী প্রজন্মের থেমে যাওয়ার প্রক্রিয়ার অংশ। গত বছর সব ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। চলতি বছর ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মার্কাস স্টয়নিস।
সাফল্যমণ্ডিত ক্যারিয়ারে স্টার্ককে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক জর্জ বেইলি।
আরও পড়ুন
নেদারল্যান্ডস বেশি খারাপ নাকি বাংলাদেশ বেশি ভালো, যা বললেন তামিম |
![]() |
“অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়ে স্টার্কের গর্ব করার মতো অনেক কিছু আছে। ২০২১ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য সে। তার মতো উইকেট নেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন বোলার সবসময়ই ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিতে পারে। সেটাই সে করে দেখিয়েছে সব ধরনের ক্রিকেটে।”
“তার টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারকে যথাযথ সময়ে আমরা স্বীকৃতি দেব এবং উদযাপন করব। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলোও- সে এখনও টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে যতদিন সম্ভব খেলার ব্যাপারে মনোযোগী।”
সবসময় চুপচাপ থাকা, কথা কম বলা লিটন কুমার দাস অধিনায়ক হিসেবে কেমন হবেন, তা নিয়ে সংশয় ছিল অনেকের। তবে নিজের নেতৃত্ব গুণাবলী দিয়ে ক্রমেই সবাইকে মুগ্ধ করে চলেছেন অভিজ্ঞ উইকেটকিপার-ব্যাটার। সেই তালিকায় আছেন খোদ বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
সিলেটে সোমবার দুপুরে ২১তম সাধারণ সভায় বসেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালকরা। পরে সন্ধ্যায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বসে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি উপভোগ করেন বুলবুল।
আরও পড়ুন
প্রথমবার মাঠে এসেই বাবার ম্যাচ সেরা দেখলেন নাসুম কন্যা |
![]() |
বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়কের মতে, অধিনায়ক হিসেবে মাঠে লিটনের নিয়ন্ত্রণ চোখে পড়ার মতো। ম্যাচ শেষে টি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন তিনি।
“আমি বাইরে থেকে যেটা দেখি, মাঠে লিটনের কন্ট্রোলটা। বাইরে থেকে দেখলে বোঝা যায় যে একজন অধিনায়ক মাঠে আছেন।”
“অবশ্যই সে কোনো দিন রান করে, কোনো দিন করে না। লিটন যেদিন রান করে, দেখতে অনেক ভালো লাগে। আমাদের তামিমের ব্যাটিং অবিশ্বাস্য। খুব উন্নতি করছে। আমার মতে, সবার অবদান আছে। তবে লিটনের অধিনায়ক হিসেবে যে উপস্থিতি, সেটা লক্ষ্য করা যায়।”
টি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একই ধরনের কথা বলেন নাসুম আহমেদও। এসময় তানজিম হাসান সাকিবের বলে শরিজ আহমাদের উইকেটের সময়ের ঘটনাও তুলে ধরেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার। যেখানে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছিলেন লিটন।
আরও পড়ুন
সাকিব-মাহমুদউল্লাহর পরই নাসুম |
![]() |
“লিটনের অনেক পরিকল্পনা থাকে। উইকেটের পেছন থেকে অনেক কিছু বুঝতে পারে যে, ব্যাটার কী করবে বা উইকেটের আচরণ কেমন সেটা ধরতে পারে।”
“আমার একটা জিনিস মনে আছে, আমি মিড-অফে ছিলাম। তখন তানজিম সাকিবকে ডাক দিয়ে লিটন শর্ট বল করতে বলেছিল। আর ওই বলেই উইকেটটা পড়ে গিয়েছিল। ও আসলে উইকেটের পেছন থেকে অনেক কিছু বুঝতে পারে।”