
২০২৩ সালে সবশেষ সফরেও বাংলাদেশের বোলারদের পরীক্ষা নিয়েছিল আয়ারল্যান্ডের লোয়ার অর্ডার। আড়াই বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে নিল- ম্যাককার্থিরাও বেশ ভুগিয়েছে আজ বাংলাদেশ দলকে। এর মধ্যেও সিলেট টেস্টে প্রথম দিনের শেষ বলটাই যেন স্বস্তি দিল স্বাগতিকদের।
তাইজুল ইসলামের অফ স্টাম্প থেকে মিডল–লেগে ঢুকে আসা বল সামনে পা এগিয়ে রক্ষণাত্মকভাবে খেলতে চেয়েছিলেন জর্ডান নিলঅ তাঁর ব্যাটের ফাঁক দিয়ে বল সোজা গিয়ে লাগে সামনের প্যাডে। দেখেই পরিষ্কার এলবিডব্লিউ মনে হচ্ছিল। তবু হতাশ মুখে রিভিউ নেন নিল। তবে বাঁচতে পারলেন না। দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ২৭০ রানে আইরিশদের ৮ উইকেটে তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
৮ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬০ বলে ৩০ রান করেন নিল। অষ্টম উইকেটে ব্যারি ম্যাককার্থির সঙ্গে ১০৩ বলে ৪৮ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন তিনি। এই জুটি ভেঙে দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ বোলার তাইজুল পেলেন সিলেট টেস্টে নিজের প্রথম উইকেট। তাতে ড্রেসিংরুমেও হাসি ফোটে বাংলাদেশের।
৫৬ বলে ২১ রান অপরাজিত আছেন ম্যাককার্থি। আগামীকাল দ্বিতীয় দিন তাঁর জুটি হতে পারেন ম্যাথু হামফ্রেস।
প্রথম সেশনে বাংলাদেশ নিতে পেরেছিল শুধু ১ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে ৩টি, তৃতীয় সেশনে ৪ উইকেট। ম্যাচের শুরুটা কী দুর্দান্তই না ছিল বাংলাদেশের! চতুর্থ বলেই আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি ব্যালবার্নিকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। কিন্তু তারপর টানা তিন ওভারে ফিল্ডাররা ছেড়ে দিয়েছেন তিন ক্যাচ। যার ফলে সেশনের বাকি সময় রোদে পুড়তে হয়েছে তাদের।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রথম টেস্টের প্রথম সেশনে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৯৪ রান। শুরুতে ব্যালবার্নি ফিরে গেলেও ৯৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে সফরকারীদের এগিয়ে নেন পল স্টারলিং(৬০) ও ক্যাড কারমাইকেল (৫৯)। দুজনেই তুলে নেন ফিফটি।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে স্টারলিং ও হ্যারি টেক্টরকে (১) দ্রুত ফিরিয়ে খেলার নিয়ন্ত্রণে ফেরে বাংলাদেশ। চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেটে আবারও পঞ্চাশোর্ধ দুটি জুটিতে ধাক্কা সামলে ওঠে সফরকারীরা।
কার্টিস ক্যাম্ফার (৪৪) ও লরকান টাকার (৪১) থিতু হয়েও অভিষিক্ত হাসান মুরাদের ঘূর্ণিতে নাকাল হলেন। অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনেকে (৫) দাঁড়াতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। তৃতীয় সেশনে মূলত ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। প্রথম দিনের সফল বোলার মিরাজ- ৫০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২ উইকটে নিয়েছেন মুরাদ। তাইজুল, হাসান ও নাহিদ রানা শিকার একটি করে।
No posts available.
১১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩০ এম

আড়াইশ ছুঁইছুঁই রান তাড়ায় টপ-অর্ডার থেকে প্রয়োজন ছিল বড় ইনিংস। তিন অঙ্ক ছুঁতে না পারলেও সেই চাওয়া বেশ ভালোভাবেই পূরণ করলেন সৌম্য সরকার। রোমাঞ্চকর এক জয় পেল খুলনা। চমৎকার বল করে ৫ উইকেট নিয়েও পরাজিত দলে রইলেন নাঈম হাসান।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগকে ২ উইকেটে হারায় খুলনা। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের শেষ দিন ২৩৭ রানের লক্ষ্য ৬৬.৫ ওভারে ছুঁয়ে ফেলে খুলনা।
শেষ দিন খুলনার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৮৫ রান। হাতে ছিল পুরো ১০ উইকেট। কিন্তু সৌম্য ও শেখ মেহেদি হাসান ছাড়া বাকিদের ব্যর্থতার কারণে একপর্যায়ে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য জয় পায় দলটি।
আরও পড়ুন
| তিন উইকেট নিয়ে আবার ক্যাচ মিসের আক্ষেপ |
|
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩৫১ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে খুলনার ইনিংস থেমে যায় ২৮১ রানে। ফলে ৭০ রানের লিড পায় চট্টগ্রাম। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৬৬ রানের গুটিয়ে যায় তারা। ফলে আড়াইশর নিচে লক্ষ্য পায় খুলনা।
তিন ম্যাচে খুলনার এটি দ্বিতীয় জয়। আগের দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্র করা চট্টগ্রাম এবার প্রথম পেল পরাজয়ের তেতো স্বাদ।
প্রথম ইনিংসে ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি সৌম্য। ১০ চার ও ১ ছক্কায় ১১৯ বলে তিনি খেলেন ৯২ রানের ইনিংস। দ্বিতীয়বারও তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আশা জাগিয়েছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। কিন্তু নাঈমের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৯০ বলে ৭১ রান করে।
পরে আট নম্বরে নেমে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন শেখ মেহেদি। অষ্টম উইকেটে নাহিদুল ইসলামের সঙ্গে তিনি গড়েন ৫৭ রানের মূল্যবান জুটি।
৩২ ওভারে ১০২ রান খরচ করে ৫ উইকেট নেন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া নাঈম হাসান। তবে দলকে জেতাতে পারেননি।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর থেকে ভারত দলে নেই মোহাম্মদ শামি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাম্প্রতিক সাদা বলের সিরিজেও তাঁকে বিবেচনায় রাখা হয়নি। প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার জানিয়েছিলেন— ফিটনেসজনিত কারণে শামিকে দলে নেওয়া হয়নি এবং তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে নির্বাচকদের। এ ব্যাপারে অবশ্য পাল্টা-পাল্টি অবস্থান রয়েছে দুপক্ষের।
তবে দুঃসময়ে এবার শামি পাশে পেয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলিকে। তাঁর মতে, শামি পুরোপুরি ফিট এবং এখনই জাতীয় দলে ফেরার জন্য প্রস্তুত।
সৌরভ মনে করছেন, শামির ফিটনেস নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। বরং রঞ্জি ট্রফিতে লম্বা স্পেলে দারুণ বোলিং করেই তা প্রমাণ করেছেন তিনি। কলকাতার এক অনুষ্ঠানে গাঙ্গুলি বলেন, ‘শামি দুর্দান্ত। রঞ্জির দুই-তিনটি ম্যাচেই তিনি প্রায় একাই জেতালেন বেঙ্গলকে। নির্বাচকেরা নিশ্চয়ই নজর রাখছেন। ফিটনেস ও দক্ষতার বিচারে শামি সেই শামিই আছে। তাই আমার মতে, টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি— ভারতের হয়ে খেলতে না দেওয়ার কোনো কারণই দেখি না।’
শামি আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি সম্পূর্ণ ফিট এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষায় আছেন। তবে সাম্প্রতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ এবং অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য তাঁকে নির্বাচিত করা হয়নি।
রঞ্জি ট্রফির চলমান মৌসুমে প্রথম তিন ম্যাচে ৯৩ ওভার বোলিং করে ১৫ উইকেট নিয়েছেন শামি। গড় ১৫.১৩, সেরা বোলিং ৫/৩৮—যা তাঁর ফর্ম ও ফিটনেসের স্পষ্ট প্রমাণ। যদিও চতুর্থ রাউন্ডে তিনি বিশ্রাম নিয়েছেন।
২০২৩ সালে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালই ছিল তাঁর সর্বশেষ টেস্ট। এখন তরুণ ফাস্ট বোলারদের প্রস্তুত করা হচ্ছে, তাই শামির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবু সৌরভের বিশ্বাস, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় শামির মতো বোলারকে সহজে বাদ দেওয়া যায় না।

ক্যাচ ছেড়ে দেওয়ার ব্যর্থতা থেকে যেন বের হতে পারছে না বাংলাদেশ। দারুণ বোলিংয়ে দ্বিতীয় সেশনে ৩ উইকেট নিলেও, একটি ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে ঠিকই প্রতিপক্ষকে সুযোগ দিয়েছে তারা। সব মিলিয়ে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছে আয়ারল্যান্ড।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন চা বিরতি পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৮৪ রান। অথচ খুব সহজেই এটি ৫ উইকেট কিংবা আরও বেশি হতে পারত। দ্বিতীয় সেশনে ক্যাচ ছেড়ে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর প্রথম ওভারেই পল স্টারলিংকে আউট করেন নাহিদ রানা। প্রথম সেশনে স্লিপে ক্যাচ ছাড়লেও এবার ভুল করেননি সাদমান ইসলাম। ৭৬ বলে ৬০ রান করে ফেরেন অভিজ্ঞ আইরিশ ওপেনার।
আরও পড়ুন
| অ্যাশেজে স্মিথকে থামাতে ‘বডিলাইন’ বোলিং করবে ইংল্যান্ড! |
|
পরের ওভারে হ্যারি টেক্টরকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আম্পায়ার শুরুতে আউট দেননি। রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলাদেশ।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন কার্টিস ক্যাম্ফার ও অভিষিক্ত ক্যাড কারমাইকেল। দুজন মিলে যোগ করেন ৫৩ রান। নিজের অভিষেকেই ফিফটির দেখা পান কারমাইকেল। তবে পঞ্চাশ ছুঁয়ে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি।
মিরাজের বলে রিভার্স সুইপ করার চেষ্টায় বল তার ব্যাটের কানা ছুঁইয়ে উঠে যায় ওপরের দিকে। প্রথম স্লিপ থেকে কিছুটা বাম দিকে দৌড়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন শান্ত। এবারও আউট দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে ৫৩ রান করা কারমাইকেলকে ফেরায় বাংলাদেশ।
পরে লরকান টাকারকে আউট করার সুযোগ আনেন অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ। কিন্তু স্লিপে সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি শান্ত। ১১ রানে বেঁচে যান টাকার। প্রথম সেশনে তিনটি ক্যাচ ছেড়েছিল বাংলাদেশ।
সেশনের বাকি সময়ে আর উইকেট পড়তে দেননি ক্যাম্ফার ও টাকার। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে তাদের সংগ্রহ ৩৪ রান। ক্যাম্ফার ৭১ বলে ৩৫ ও টাকার ৫০ বলে ২২ রানে অপরাজিত।
এর আগে টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে চতুর্থ বলে ব্যালবার্নিকে এলবিডব্লিউ করে দেন হাসান মাহমুদ। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি আইরিশ অধিনায়কের।
বল যখন ব্যাটের কাছে ছিল, তখন অবশ্য স্পাইক দেখা গিয়েছিল। তবে ব্যাট ও বলের মাঝে স্পষ্ট ফাঁকা থাকায় সেটি পাত্তা দেননি আম্পায়ার। রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন ব্যালবার্নি।
আরও পড়ুন
| টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, মুরাদের অভিষেক |
|
এরপর দ্রুত আউট হতে পারতেন পল স্টারলিং ও ক্যাড কারমাইকেল। চতুর্থ ওভারে নাহিদ রানার বলে দ্বিতীয় স্লিপে স্টারলিংয়ের ক্যাচ ছাড়েন সাদমান ইসলাম। ৮ রানে প্রথম জীবন পান অভিজ্ঞ ব্যাটার।
পরের ওভারে হাসানের বলে শর্ট মিড উইকেটে সহজ সুযোগ পান তাইজুল ইসলাম। এবার ১০ রানে থাকা কারমাইকেল বেঁচে যান। পরে ষষ্ঠ ওভারে নাহিদের বলে তৃতীয় স্লিপে ১০ রানে থাকা স্টারলিংয়ের ক্যাচ ছাড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুই ব্যাটারই জীবন পেয়ে সতর্ক হয়ে যান। সাবধানী ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তারা। নবম ওভার থেকে স্পিন আক্রমণ চালান নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তাতে কোনো কাজ হয়নি। ১৪তম ওভারে প্রথম বোলিংয়ে আসেন অভিষিক্ত হাসান মুরাদ।
মধ্যাহ্ন বিরতির এক ওভার আগে তাইজুলের বলে কারমাইকেলের ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে কিপার ও প্রথম স্লিপের ফিল্ডারের মাঝ দিয়ে চলে যায়। পরের ওভারে মিরাজের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে অল্পের জন্য বোল্ড হননি অভিষিক্ত ব্যাটার।
এছাড়া পুরো সেশনে আর সুযোগ দেননি স্টারলিং ও কারমাইকেল।

ম্যাচের শুরুটা কী দুর্দান্ত করেছিল বাংলাদেশ! চতুর্থ বলেই আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি ব্যালবার্নিকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। কিন্তু এরপর টানা তিন ওভারে ফিল্ডাররা ছেড়ে দিয়েছেন তিন ক্যাচ। যার ফলে সেশনের বাকি সময় রোদে পুড়তে হয়েছে তাদের।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রথম টেস্টের প্রথম সেশনে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৯৪ রান। শুরুতে ব্যালবার্নি ফিরে গেলেও ৯৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে সফরকারীদের এগিয়ে নিচ্ছেন পল স্টারলিং ও ক্যাড কারমাইকেল।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করে ৭৩ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত অভিজ্ঞ স্টারলিং। আর অভিষিক্ত ক্যাড কারমাইকেল ৭৯ বলে ৩০ রানে অপরাজিত।
আরও পড়ুন
| অ্যাশেজে স্মিথকে থামাতে ‘বডিলাইন’ বোলিং করবে ইংল্যান্ড! |
|
অথচ টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে চতুর্থ বলে ব্যালবার্নিকে এলবিডব্লিউ করে দিয়েছিলেন হাসান। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি আইরিশ অধিনায়কের। বল যখন ব্যাটের কাছে ছিল, তখন অবশ্য স্পাইক দেখা গিয়েছিল। তবে ব্যাট ও বলের মাঝে স্পষ্ট ফাঁকা থাকায় সেটি পাত্তা দেননি আম্পায়ার।
রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন ব্যালবার্নি। এরপর দ্রুত ফিরতে পারতেন স্টারলিং ও কারমাইকেল। চতুর্থ ওভারে নাহিদ রানার বলে দ্বিতীয় স্লিপে স্টারলিংয়ের ক্যাচ ছাড়েন সাদমান ইসলাম। ৮ রানের প্রথম জীবন পান অভিজ্ঞ ব্যাটার।
পরের ওভারে হাসানের বলে শর্ট মিড উইকেটে সহজ সুযোগ পান তাইজুল ইসলাম। এবার ১০ রানে থাকা কারমাইকেল বেঁচে যান। পরে ষষ্ঠ ওভারে নাহিদের বলে তৃতীয় স্লিপে ১০ রানে থাকা স্টারলিংয়ের ক্যাচ ছাড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুই ব্যাটারই জীবন পেয়ে সতর্ক হয়ে যান। সাবধানী ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তারা। নবম ওভার থেকে স্পিন আক্রমণ চালান নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তাতে কোনো কাজ হয়নি। ১৪তম ওভারে প্রথম বোলিংয়ে আসেন অভিষিক্ত হাসান মুরাদ।
আরও পড়ুন
| টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, মুরাদের অভিষেক |
|
মধ্যাহ্ন বিরতির এক ওভার আগে তাইজুলের বলে কারমাইকেলের ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে কিপার ও প্রথম স্লিপের ফিল্ডারের মাঝ দিয়ে চলে যায়। পরের ওভারে মিরাজের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে অল্পের জন্য বোল্ড হননি অভিষিক্ত ব্যাটার।
এর বাইরে পুরো সেশনে আর তেমন সুযোগ দেননি স্টারলিং ও কারমাইকেল। উল্টো অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দুজন মিলে আয়ারল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন বড় সংগ্রহের ভিত।

সামনের অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডের পেসাররা ‘বডিলাইন’ আক্রমণ করবেন বলে মনে করেন সাইমন কাটিচ। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনারের ধারণা, স্টিভ স্মিথকে অস্বস্তিতে ফেলতে এই বিতর্কিত কৌশল ব্যবহার করবেন ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকস
এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৭ টেস্টে ১২ সেঞ্চুরির সাহায্যে ৫৬.০১ গড়ে ৩ হাজার ৪১৭ করেছেন স্মিথ। সন্দেহাতীতভাবেই অ্যাশেজ সিরিজে ইংলিশদের জন্য বড় হুমকি ৩৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
তাই তাকে থামাতে শর্ট বলের বন্যা বইয়ে দেবেন জফ্রা আর্চার, মার্ক উডরা- এমনটাই ধারণা ক্যাটিচের। বিবিসি রেডিও ফাইভ লাইভ অনুষ্ঠানে সেই কথাই বলেন সাবেক বাঁহাতি ওপেনার।
আরও পড়ুন
| টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, মুরাদের অভিষেক |
|
“বেন স্টোকস ও ম্যাককালাম নিশ্চয়ই দেখেছেন নিউজিল্যান্ড কীভাবে কয়েক বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় স্মিথকে বিপদে ফেলেছিল। আমি অবাক হব না, যদি একই পরিকল্পনা আবার দেখা যায়। স্মিথ ক্রিজে যাওয়া মাত্র চারপাশে ফিল্ডার ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ‘বডিলাইন’ শব্দটা ব্যবহার করতে চাই না, কিন্তু ঘটনাটা আসলে ঠিক সেটাই ছিল।”
২০১৯ সালের অ্যাশেজেই লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ড পেসার জোফরা আর্চারের ৯২ মাইল গতির বাউন্সারে মাথায় আঘাত পান স্মিথ। পরের টেস্টে কনকাশনের কারণে খেলতে পারেননি তিনি, আর সেবারই প্রথমবার টেস্টে কনকাশন বদলি হিসেবে নামেন মার্নাস লাবুশেন।
এরপর তার বিপক্ষে শর্ট বলেই কৌশল সাজায় নিউ জিল্যান্ড। সেই কথাই মনে করিয়ে দেন ক্যাটিচ।
“নিউজিল্যান্ডের নেইল ওয়াগনার নিখুঁতভাবে (বডিলাইন) করেছিল, শুরু থেকেই শর্ট বল দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে সে। যদিও তার গতি ইংল্যান্ডের পেসারদের মতো নয়। তবে আমি নিশ্চিত, পরের কয়েক সপ্তাহে শুধু স্মিথ নয়, অস্ট্রেলিয়ার আরও সিনিয়র ব্যাটারদেরও এমন পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে।”
১৯৩২-৩৩ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে ‘বডিলাইন’ শব্দটির উৎপত্তি। সেবার ইংলিশ অধিনায়ক ডগলাস জার্ডিনের নেতৃত্বে পেসাররা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের শরীর লক্ষ্য করে শর্ট পিচ বল ছুড়তেন। সেই কৌশল থেকে জন্ম নেয় দুই দেশের মধ্যে গভীর মনোমালিন্য।
আরও পড়ুন
| রেকর্ড সংখ্যক সমর্থকের বহর নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ইতিহাস গড়বে ইংল্যান্ড |
|
যা পরে ক্রিকেটের আইন পরিবর্তনের কারণ হয়। এখন আর কোনো দল চাইলেই অন সাইডে এক গাদা ফিল্ডার নিয়ে শরীর বরাবর বোলিং করতে পারে। অন সাইডে স্কয়ার লেগের পেছনে দুজনের বেশি ফিল্ডার রাখার নিয়ম নেই আর।
পার্থে আগামী ১৯ নভেম্বর শুরু হবে এবারের অ্যাশেজ সিরিজ।