দুই দলের সবশেষ দিবারাত্রির টেস্টের প্রথম বলেই উইকেট নিয়ে বেঁধে দিয়েছিলেন ম্যাচের সুর। ভারতের বিপক্ষে আরেকটি দিবারাত্রির টেস্টের প্রথম বলেই আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইয়াশাশভি জয়সওয়ালকে ফিরিয়ে দিলেন মিচেল স্টার্ক। অভিজ্ঞ এই পেসারের ফাইফারে ঘুরে দাঁড়াতেই পারল না ভারতের ইনিংস। সম্ভব হলো না দুইশ ছোঁয়াও। শুরুতেই উইকেট হারালেও অস্ট্রেলিয়ার দিনটা শেষ করল সুবিধাজনক অবস্থায় থেকেই।
অ্যাডিলেড ওভালে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফ্রির দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে ভারত গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৮০ রানেই। অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১ উইকেটে ৮৬ রান, পিছিয়ে আছে ৯৪ রানে।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ফেলে আইপিএলের নিলামে যাচ্ছেন স্পিন কোচ ভেট্টোরি |
![]() |
প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং লাইনআপের ওপর দাপট দেখিয়ে শতক হাঁকান জয়সওয়াল। ওই ইনিংসে স্টার্ককে বেধড়ক পিটুনিই দিয়েছিলেন ভারত ওপেনার। ফলে এই দুজনের লড়াইয়ের আশায় ছিলেন সবাই। তবে এবার শতভাগ সফল নন অজি তারকা পেসার। সুইং করা ডেলিভারিটি আঘাত হানে জয়সওয়ালের প্যাডে। গোল্ডেন ডাকের তেতো অভিজ্ঞতা হয় তরুণ এই ব্যাটারের।
এই ম্যাচ দিয়ে একাদশ ফেরা অধিনায়ক রোহিত শর্মা ওপেনিং ছেড়ে নেমে যান ছয় নম্বরে। প্রথম টেস্টে মেকশিফট ওপেনার হিসেবে খেলা লোকেশ রাহুল প্রথম ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের সামাল দেন সলিড ডিফেন্সে। এই টেস্ট দিয়ে একাদশে ফেরা তিনে নামা শুবমান গিল প্রথম ওভারে ক্রিজেই গিয়েই মারেন তানা দুই বাউন্ডারি।
এরপর রয়েসয়ে খেলে রাহুলকে দেন যোগ্য সঙ্গ। জমে যাওয়া এই জুটিতে যোগ হয় ৬৯ রান। দুজনই যখন পুরোপুরি সেট, তখন ফের আঘাত হানেন সেই স্টার্কই। ৬ চারে ৩৭ রানে শেষ হয় রাহুলের প্রতিরোধ। ভারতকে আরও চাপে ফেলে আগের ম্যাচের আরেক সেঞ্চুরিয়ান বিরাট কোহলিকেও ফিরিয়ে দেন বাঁহাতি এই পেসার। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল তাড়া করে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন এই তারকা ব্যাটার।
জশ হ্যাজলউডের চোটে এই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া স্কট বোল্যান্ড দিবারাত্রির টেস্টে বরাবরই দারুণ এক বোলার। সেই খ্যাতি ধরে রেখে জোড়া ধাক্কায় ভারতের চাপ আরও বাড়িয়ে দেন তিনি। ৩১ রান করা গিলের পর শিকার বানান ২৩ বলে ৩ করা রোহিতকেও। ১৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত চলে যায় ব্যাকফুটে।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে গিলকে ‘পাচ্ছে না’ ভারত |
![]() |
স্বভাবসুলত আগ্রাসী ব্যাটিং না করে কিছুটা ধরে খেলার দিকেই মনোযোগী ছিলেন রিশাভ পান্ত। তবে পারেননি বড় স্কোর গড়তে। ২ বাউন্ডারিতে করতে পারেন ২১ রান। তবে আগ্রাসী ব্যাটিংটা করেন এই ম্যাচ দিয়েই একাদশে আসা অভিজ্ঞ স্পিনার রবিচন্দন অশ্বিন। খেলেন ২২ বলে ২২ রানের ক্যামিও।
তবে ভারতের দেড়শ পার করে দুইশ রানের কাছাকাছি যাওয়ার একমাত্র কৃতিত্ব পেস বোলিং অলরাউন্ডার নিতিশ রেড্ডির। প্রথম টেস্টেও জানান দিয়েছিলেন ব্যাট হাতে নিজের সামর্থ্যের। এবার দলের বিপদে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে পরীক্ষাই নেন অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের। সমান তিনটি করে চার ও ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে মূল্যবান ৪২ রান।
৪৮ রানে ৬ উইকেট নেন স্টার্ক। টেস্টে এই নিয়ে ১৫বার ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট পেলেন তিনি।
পার্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসেও দুইশর কম করেও শেষ পর্যন্ত বড় জয় পেয়েছিল ভারত, যেখানে অবদান রাখেন দলটির পেসাররা। এবারও শুরু থেকেই অজি ওপেনারদের প্রতিটি রানের জন্য রীতিমত সংগ্রাম করিয়ে ছাড়েন জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ। বিশেষ করে বুমরাহকে ব্যাটাররা যেন একটু বেশিই সমীহ করে খেলছিলেন। সাথে হারশিত রানাও আঁটসাঁট বোলিং ধরে রাখেন চাপটা।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে গিলকে ‘পাচ্ছে না’ ভারত |
![]() |
ফলে রানের জন্য হাঁসফাঁস করতে থাকা দুই ওপেনার নাথান ম্যাকসুইনি ও উসমান খাজা কয়েকবার বেঁচে যান অল্পের জন্য। তাদের অতিরিক্ত ডিফেন্সিভ ব্যাটিং দেখে ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রি বলছিলেন, এই ধরণের ব্যাটিং ভারতকে ম্যাচে ফেরার বিশ্বাসটা বাড়িয়ে দিতে পারে। ১০ ওভারে রান আসে মাত্র ২৪।
শেষ পর্যন্ত ফর্মের তুঙ্গে থাকা বুমরাহ শেষ পর্যন্ত পান সাফল্যের দেখা। অফস্ট্যাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ব্যাটের কানায় লেগে প্রথম স্লিপে রোহিতের ক্যাচ শেষ হয় খাজার ১৩ রানের সংগ্রামী ইনিংস।
সেই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জই। কারণ, টেস্ট ক্রিকেটে এখনও নতুন ম্যাকসুইনি প্রথম টেস্টে পারেননি নিজেকে মেলে ধরতে। আর মার্নাস লাবুশেন তো লম্বা সময় ধরেই নেই রানের মধ্যে। বেশ খানিকটা সময়েই তাই দুই ব্যাটারকে ভারতের পেসারদের সামনে দিতে হয় কঠিন পরীক্ষা।
বুমরাহর কয়েকটি ইনসুইঙ্গার দুই ব্যাটারকে পারেননি অল্পের জন্য আউট করতে। কয়েকটি দুর্দান্ত আউটসুইঙ্গার আবার পরাস্ত করে পুরোপুরিভাবে। তবে সেই সময়ে দাঁতে দাঁত চেপে ব্যাটিংয়ের সুফল ধীরে ধীরে পেতে শুরু করেন ম্যাকসুইনি ও লাবুশেন।
রানের চাকাও তাতে সচল হয় কিছুটা। দুজনই হাঁকান চমৎকার কিছু শটে বাউন্ডারি। রানের জন্য সংগ্রাম করতে থাকা লাবুশেন কিছু শটে মনে করান সেরা সময়ের কথা। আর তরুণ ম্যাকসুইনিও নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিয়ে ক্রমশ ব্যাটিংয়ে দেখান আত্মবিশ্বাসের ছাপ। দর্শকদের আনন্দে মাতিয়ে নিতিশকে মারেন টানা দুটি চার।
আরও পড়ুন
শাহিন-নাসিম-রউফ তোপে উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া, সিরিজ জয় পাকিস্তানের |
![]() |
জমে ওঠা এই জুটি একবার রান-আউটে কাঁটা পড়ার খুব কাছাকাছি গিয়ে রক্ষা পায়। ফিরতি স্পেলে শেষ ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেন্থে বোলিং করে আরও একবার ব্যাট-বলের লড়াই জমিয়ে তোলেন বুমরাহ। সেটা সামলে দিনটা শেষ পর্যন্ত পার করে দিতে সমর্থ হন ম্যাকসুইনি-লাবুশেন জুটি।
ম্যাকসুইনি অপরাজিত আছেন ৩৮ রানে, আর লাবুশেনের সংগ্রহ ২০ রান।
No posts available.
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:১৮ পিএম
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জ্যাকব বেথেল। আজ ডাবলিনে মাঠে নেমেই দারুণ এক রেকর্ডের সাক্ষী হলেন তরুণ এই স্পিন অলরাউন্ডার।
ইংল্যান্ডের ১৩৬ বছরের দীর্ঘ ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক এখন বেথেল। বাঁহাতি এই স্পিন অলরাউন্ডারের বয়স এখন ২১ বছর ৩২৯ দিন। টস করার সঙ্গে সঙ্গেই দেশটির দীর্ঘ ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক বনে গেলেন তিনি।
এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়কের রেকর্ডটি মন্টি বাউডেনের। ১৮৮৯ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ২৩ বছর ১৪৪ দিন বয়সে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাউডেন। সেটিই তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। বুধবার বাউডেনের রেকর্ড নিজের করে নিলেন বেথেল।
ইংল্যান্ড একাদশ: ফিল সল্ট, জস বাটলার (উইকেটকিপার), জ্যাকব বেথেল (অধিনায়ক), রেহান আহমেদ, স্যাম কারান, টম ব্যান্টন, উইল জ্যাকস, জেমি ওভারটন, লিয়াম ডসন, আদিল রশিদ, লুক উড।
আয়ারল্যান্ড একাদশ: পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), রস অ্যাডায়ার, হ্যারি ট্যাক্টর, লরকান ট্যাকার (উইকেটকিপার), গ্যারেথ ডিলনে, জর্জ ডাকরেল, কার্টিস ক্যাম্পার, ব্যারি ম্যাককার্থি, গ্রাহাম হিউম, ম্যাথিউ হামফ্রিস, ক্রেইগ ইয়ং।
এশিয়া কাপে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ম্যাচ শুরু হতে আর ২ ঘণ্টা সময় বাকি। এই ম্যাচে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা কাটেনি। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রাফটকে বরখাস্ত করার দাবিতে এখনো অনড় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
আইসিসি প্রথমবার নাকোচ করার পর দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসিকে চিঠি দিয়ে পাইক্রাফটকে বরখাস্ত করার দাবি জানায় পিসিবি। তবে আইসিসি মনে করছে চাপেরমুখে পড়ে কোনো ম্যাচ অফিশিয়াল পরিবর্তন করা একটি ভুল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
এদিকে পাইক্রাফট ইস্যুতে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। এমিরেটস বোর্ডের কর্মকর্তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী পাইক্রাফট টুর্নামেন্টে থাকবেন, তবে বুধবার পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত ম্যাচের জন্য তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তাঁর পরিবর্তে রিচি রিচার্ডসন এই ম্যাচে দায়িত্ব পালন করবেন, এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে এই প্রস্তাবনা গৃহীত হয়েছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের তথ্য অনুযায়ী, সব পক্ষই তাদের নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে।
গত রোববার ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের পর পিসিবি অভিযোগ করে টসের সময় রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রাফট দুই দলের অধিনায়ককে আলাদা ডেকে বলেন, যেন তারা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী হ্যান্ডশেক না করেন।
সোমবার পিসিবি এ বিষয়ে আইসিসিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছিল। এরপর আইসিসি এই দাবি প্রত্যাখ্যান করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে। পিসিবি টুর্নামেন্ট থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দেয়। পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে সেটি নিয়ে দুবাইয়ে এখনো আলোচনা চলমান রয়েছে।
এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের জন্য টিকে থাকার ম্যাচ। বাঁচা-মরার ওই ম্যাচে আফগানদের ৮ রানে হারিয়ে গ্রপ ‘বি’ থেকে সুপার ফোরে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখে লিটন কুমার দাসের দল। দারুণ এই জয়ের প্রভাব পড়ল র্যাঙ্কিংয়েও। আইসিসির সবশেষ হালনাগাদে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তানকে হটিয়ে নয়ে ওঠে এসেছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট এখন ২২২। আফগানিস্তানের রেটিং পয়েন্টও বাংলাদেশের সমান। তবে ভগ্নাংশে হিসেবে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে অন্য কোনো দেশের অবস্থানে পরিবর্তন আসে নি। ২৩২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সাতে আছে পাকিস্তান। আর র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে অবস্থান করা ভারতের রেটিং পয়েন্ট ২৭১।
গত মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পাকিস্তানের বিপক্ষেও ধবলধোলাই হয় বাংলাদেশ। টানা বাজে পারফরম্যান্সে র্যাঙ্কিংয়ে নয়ে নেমে যায় বাংলাদেশ। দশ থেকে নয়ে ওঠে আসে আফগানিস্তান। তারপর শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কুড়ি ওভারে টানা তিনটি সিরিজ জিতে লিটন দাসের দল। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারলেও হংকং ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পায় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিক এই পারফরম্যান্সের সুফল র্যাঙ্কিংয়ে পেল তারা।
টি-টোয়েন্টিতে সমীহ করার মতো দল আফগানিস্তান। ক্রিকেটের সংক্ষীপ্ততম এই সংস্করণেই সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে রশীদ খানের দল। মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে এগিয়ে আছে আফগানরা। দুই দলের ১৩ বারের দেখায় বাংলাদেশের জয় দেখেছে ৬বার আর পাকিস্তান জিতেছে ৭টি ম্যাচ।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আইসিসি বোলিং র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছেন বরুণ চক্রবর্তী। যার সৌজন্যে একটি চক্রপূরণ হয়েছে ভারতের। এই ফরম্যাটে এখন ব্যাটিং, বোলিং ও অলরাউন্ডার- তিন বিভাগেই শীর্ষে ভারতের ক্রিকেটাররা।
ছেলেদের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ বুধবার প্রকাশ করেছে আইসিসি। যেখানে তিন ধাপ লাফিয়ে এক নম্বরে উঠে গেছেন বরুণ। গত মার্চ থেকে শীর্ষে অবস্থান করা নিউ জিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফিকে টপকে চূড়ায় বসেছেন ৩৪ বছর বয়সী স্পিনার।
বোলারদের টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওঠা ভারতের তৃতীয় ক্রিকেটার বরুণ। তার আগে জাসপ্রিত বুমরাহ ও রবি বিষ্ণুই উঠেছিলেন এক নম্বরে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ক্যারিয়ার সেরা দুই নম্বর পর্যন্ত উঠেছিলেন বরুণ।
এছাড়া ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছেন অভিষেক শর্মা। ৮৮৪ রেটিং নিয়ে ফিল সল্টের (৮৩৮) সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়িয়েছেন ভারতের তরুণ ওপেনার। আর অলরাউন্ডারদের তালিকায় এক নম্বরে আছেন ভারতের অভিজ্ঞ তারকা হার্দিক পান্ডিয়া।
র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন আছে বেশ কিছু। এশিয়া কাপে ভালো বোলিং করে ৬ ধাপ এগিয়ে ৬ নম্বরে উঠেছেন শ্রীলঙ্কার পেসার নুয়ান থুসশারা। এছাড়া দুই ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে ১৬ ধাপ লাফিয়ে ২৪ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন কুলদিপ যাদব।
ভারতের আরেক বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল ১ ধাপ এগিয়ে ১২, পাকিস্তানের দুই স্পিনার সুফিয়ান মুকিম ৪ ধাপ এগিয়ে ১১ ও আবরার আহমেদ ১১ ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১৬ এবং আফগানিস্তানের স্পিনার নুর আহমেদ ৮ ধাপ এগিয়ে ২৫ নম্বরে উঠেছেন।
আরও পড়ুন
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে তামিম-সাকিবের উন্নতি |
![]() |
পেসারদের মধ্যে জাসপ্রিত বুমরাহ ৪ ধাপ এগিয়ে ৪০, জফ্রা আর্চার ৩ ধাপ এগিয়ে ১৩ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মার্কো ইয়ানসেন ৫ ধাপ এগিয়ে এখন ৩৮ নম্বরে অবস্থান করছেন।
ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ করে এগিয়েছেন ফিল সল্ট ও জস বাটলার। সল্ট এখন দ্বিতীয় ও বাটলার তালিকার তৃতীয় ব্যাটার।
এর বাইরে শ্রীলঙ্কার পাথুম নিসাঙ্কা ১ ধাপ এগিয়ে ষষ্ঠ, দক্ষিণ আফ্রিকার ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ২ ধাপ এগিয়ে ১১, আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজ ২ ধাপ এগিয়ে ১৯, আরব আমিরাতের মোহাম্মদ ওয়াসিম ২ ধাপ এগিয়ে ২০, ভারতের শুবমান গুল ৪ ধাপ এগিয়ে ৩৯ নম্বরে আছেন।
এশিয়া কাপে ভালো পারফরম্যান্সের পুরস্কার আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে পেলেন তানজিদ হাসান তামিম ও তানজিম হাসান সাকিব। ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে এগোলেন তামিম। আর বোলারদের তালিকায় লাফ দিলেন সাকিব।
ছেলেদের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ যথারীতি বুধবার প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি।
তামিম, সাকিব ছাড়াও র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে জাকের আলি অনিকের। এছাড়া পিছিয়েছেন লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদরা।
আরও পড়ুন
কেমন গেলো সাকিবের সিপিএল |
![]() |
আফগানিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৩১ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে ৪ ধাপ এগিয়েছেন তামিম। বর্তমানে ৫৬৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ৩৫ নম্বরে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের ব্যাটারদের তিনিই সবার ওপরে।
এছাড়া ৩ ধাপ এগিয়ে ৫৭ নম্বরে উঠেছেন অনিক। এশিয়া কাপে গড়পড়তা ব্যাটিং করা তাওহিদ হৃদয় ধরে রেখেছেন নিজের ৪৮ নম্বর জায়গা। লিটন কুমার দাস ১ ধাপ পিছিয়ে ৪২ ও পারভেজ হোসেন ইমন ৮ ধাপ পিছিয়ে ৭৫ নম্বরে নেমে গেছেন।
ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ভারতের অভিষেক শর্মা।
বোলারদের তালিকায় ৫ ধাপ এগিয়ে ৪২ নম্বরে উঠেছেন সাকিব। তবে পিছিয়েছেন তার সামনে থাকা বাংলাদেশের বোলাররা। ৪ ধাপ পিছিয়ে ১৫ নম্বরে নেমে গেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। শেখ মেহেদি হাসান ২ ধাপ পিছিয়ে ২০ নম্বরে আর তাসকিন এখন ৫ ধাপ পিছিয়ে ৩০ নম্বরে।
রিশাদ হোসেনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। নিজের ২৪ নম্বর স্থান ধরে রেখেছেন এই লেগ স্পিনার।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছেন বরুণ চক্রবর্তী। আর অলরাউন্ডারদের তালিকায় এক নম্বর স্থান ধরে রেখেছেন তার স্বদেশি হার্দিক পান্ডিয়া।
অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটিং, বোলিং ও অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষে থাকা তিনজনই ভারতের।