
ব্রিজবেনে বৃহস্পতিবার অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের আগে ইংলিশ ব্যাটার জো রুট বলেছিলেন, ‘‘টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহ্যের সঙ্গে পিঙ্ক বল যায় না।” অ্যাশেজে গোলাপি বলের ম্যাচের গুরুত্ব দেখেন না তিনি। রুটের কথার ৪৮ ঘণ্টা পেরোতেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার ট্রাভিস হেড।
অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে পার্থে ৮৩ বলে ১২৩ রানের ইনিংস খেলে দুই দিনেই দলকে জয় এনে দেওয়া হেড বলেছেন,
“আমরা এই টেস্টকে সানন্দে স্বাগত জানিয়েছি। সত্যি বলতে, গোলাপি, সাদা, লাল বল—এতে কিছু আসে যায়? গোলাপি বলের টেস্ট দেখতে নিঃসন্দেহে ভালো লাগে। প্রচুর মানুষ মাঠে আসে। জিতলে খুব ভালো লাগবে। হারলে লাগবে না। দু’দলেরই আলাদা মতামত থাকতে পারে। তবে খেলাটার জন্য দিবা-রাত্রির টেস্ট খুব ভালো।”
এই মন্তব্যের পর অবশ্য ইংল্যান্ড পেসার ব্রাইডন কার্স জানিয়েছেন, তারা প্রস্তুত হেডকে থামাতে। গ্যাবায় দিবা-রাত্রির ম্যাচে যদি হেড ওপেন করেন, তাহলে তাকে থামানোর পথ জানা আছে ইংলিশদের, জানিয়েছেন কার্স।
তিনি বলেছেন,
“আমার মনে হয়, মানসম্পন্ন একজন ক্রিকেটারের অসাধারণ এক ইনিংস ছিল সেটি। যদি সে আবার ইনিংস শুরু করে, তাহলে আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে যা আমরা কাজে লাগাব।”
এর আগে রুট বলেছিলেন,
“ব্যক্তিগতভাবে পিঙ্ক বলের টেস্ট আমার পছন্দ নয়। জানি, খেলাটা মশলাদার হয়। অস্ট্রেলিয়ায় দিন-রাতের টেস্ট সফল এবং জনপ্রিয়। অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ডও ভালো। বুঝতেই পারছেন কেন আমরা এই টেস্ট খেলছি। দু’বছর পরেও হয়তো দিন-রাতের টেস্ট থাকবে। এখন এটা টেস্ট ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গিয়েছে। তবে এ ধরনের সিরিজে কি এই টেস্ট দরকার?”
No posts available.
১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:৫৯ পিএম
১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:৫২ পিএম
১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:৫৯ পিএম

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সর্বশেষ আসরে রিশব পন্ট এবং শ্রেয়াস আইয়ারকে পেতে ফ্রাঞ্চাইজিদের মধ্যে কী লড়াই-না করতে হয়েছে। নিলাম ঘরে পাঞ্জাব কিংস ২৬ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে কিনেছে শুনে লখনৌ সুপার জায়ান্টস রিশব পন্টকে কিনেছে তার চেয়ে এক কোটি বেশি রুপি দিয়ে! সেই সঙ্গে সঙ্গে ২৭ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে বিক্রি হয়ে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটারের রেকর্ডটা করেছেন রিশব পন্ট। অথচ কী জানেন, আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি এই ক্রিকেটার সে বছর লখনৌ সুপার জায়ান্টস ফ্রাঞ্চাইজিদের হতাশ করেছেন। ২৪.৪৫ গড়ে, ১৩৩.১৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন আইপিএলের ওই সংস্করনে ২৬৯ রান।
২০২৩ সালে পাঞ্জাব কিংসে ১৮ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে বিক্রি হয়ে আইপিএলের সেই আসরে পেয়েছেন সাম কারান মাত্র ১০ উইকেট। সে বছর সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে বিক্রি হয়ে প্যাট কামিন্স সানরাইজার্স হায়দারাবাদ বোলারদের মধ্যে উইকেট শিকার সংখ্যায় ছিলেন চতুর্থ। ২০২৪ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সে সর্বোচ্চ ২৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েও দলের মধ্যে সেরা বোলার হতে পারেননি মিচেল স্টার্ক।
আইপিএলের নিলাম ঘরে এভাবেই হু হু করে বাড়ে কারো কারো দর। আবার ২০১৬ সালে মাত্র ২ কোটি রুপিতে সানরাইজার্স হায়দারাবাদে বিক্রি হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ১৭ উইকেট পেয়ে দলকে দিতে পারেন শিরোপার স্বাদ।
শুধু আইপিএল কেনো, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০'র অভিষেক আসরে নিলাম ঘরে ঝড় তুলে ৭ লাখ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়ে ২ ম্যাচে করেছেন মাত্র ২৭ রান, পেয়েছেন ৪ উইকেট।
এক যুগ পর বিপিএলে নিলামে খেলোয়াড় কেনার প্রতিযোগিতায় এবার নাঈম শেখের বিক্রির অঙ্ক ১ কোটি ১০ লাখ টাকা, এই খবরটাও জন্ম দিয়েছে বিস্ময়ের। 'এ' ক্যাটাগরির ক্রিকেটার হিসেবে নিলামে উঠে সিলেট-চট্টগ্রামের লড়াইয়ে ৫০ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্য থেকে ডাক শুরু হয়ে তা থেমেছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকায়। যেখানে নিলামে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক লিটন দাসকে রংপুর রাইডার্স কিনেছে ৭৫ লাখ রুপিতে, সেখানে নিলামের শুরুতে চট্টগ্রাম কিংস এতো দামে নাঈম শেখকে কেনো কিনলো ? এটাই প্রশ্ন।
৩৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২৩.৮৮ গড় এবং ১০২.২৫ স্ট্রাইক রেটে ৮৬০ রান করা নাঈম শেখকে এখন জাতীয় দলে ব্রাত্য। ২০২১ সালের পর নির্বাচকদের নজরের বাইরে থাকা এই টপ অর্ডার গত ৪ বছরে খেলেছেন মাত্র ৫টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। বিপিএলেও তার রেকর্ড নিয়ে অতোটা উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছুই নয়। ৬৪ ম্যাচে ২৬.৯৪ গড় এবং ১১৯.৫৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৫০৯ রান। তাহলে তো বলাই যায়, হোম ওয়ার্ক করেই চট্টগ্রাম রয়্যালস নিয়েছে নাঈম শেখকে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হারিয়ে যাওয়া নাঈম শেখ নিজেও নিলামে কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় বিস্মিত। গণমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন-
‘সত্যি বলতে কী, আমাকে নিয়ে তিনটা দলের আগ্রহের কথা শুনেছিলাম। তাই বিশ্বাস ছিল, আনসোল্ড হব না। বেস প্রাইসে বিক্রি হলেও খুশি থাকতাম। তবে এত ওপরে উঠব, প্রথম কলের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় হব—এটা ভাবিনি।’
সিলেটে জাতীয় লিগে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ময়মনসিংহ বিভাগের হয়ে চারদিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে বিকেল পৌনে ৫টায় যখন নিলাম শুরু হয়, শুরুতেই ওঠে নাঈম শেখের নাম, তখন টিমমেটদের সাথে টিম বাসে করে টিম হোটেলে ফিরছিলেন নাঈম শেখ। প্রথম ইনিংসে ৮ রান করার পর মন ভাল থাকার কথা নয়, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রানে ব্যাটিংয়ে থেকে বড় সংগ্রহের কথা যখন ভাবছেন, তখন টিমমেটদের মুখে শুনলেন ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। গণমাধ্যমকে সেই মুহুর্তের কথাই শুনিয়েছেন-
‘এনসিএল চলছে, তাই সবাই ফোনে নিলাম দেখছিল। আমরা মাঠ থেকে বাসে করে ফিরছিলাম, তখনই আমার নাম আসে। সবাই হঠাৎ চিৎকার দিয়ে ওঠে, উদযাপন শুরু হয়। খুব মজার এবং আবেগের মুহূর্ত ছিল।’
নাঈম শেখকে ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় চট্টগ্রাম রয়্যালসের কেনার পেছনে অবশ্য যুক্তি আছে। বিপিএলের সর্বশেষ আসরে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক কিন্তু নাঈম শেখ। খুলনা টাইগার্সের জার্সিতে সেই আসরে ৪২.৫৮ গড়ে এবং ১৪৩.৯৪ স্ট্রাইক রেটে ১ সেঞ্চুরি, ৩ ফিফটিতে করেছিলেন তিনি ৫১১ রান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আশাহীন গন্তব্য ধরে নিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ৫০ ওভারের ম্যাচের আসর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন এবং ২০ ওভারের আসর বিপিএলে সেরাটা নিংড়ে দিতে অভ্যস্ত নাঈম শেখের এখন লক্ষ্য একটাই, ফ্রাঞ্চাইজির আস্থার প্রতিদান দেওয়া-
‘যারা আমাকে বিড করেছে, তাদের ধন্যবাদ আমাকে বিশ্বাস করার জন্য। লক্ষ্য সবসময়ই থাকে দলের হয়ে সেরাটা দেওয়া। রানের দিক থেকে সেরা দশে বা পাঁচে থাকার চেষ্টা করি, ডোমিনেট করতে চাই সব সময়।’
সর্বশেষ বিপিএলে পারফর্ম করে জাতীয় দলে ফেরাটা সুখকর হয়নি নাঈম শেখের। ৩২*, ৩, ১০-এই তিনটি ইনিংসের পর জাতীয় দল থেকে পড়েছেন বাদ। বিপিএলের পর পর বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন। বিপিএলে প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে পারলে বড় মঞ্চে ফেরার সুযোগটা তো থাকছে, এটা মাথায় রেখেই বিপিএলে খেলতে চান নাঈম শেখ।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কারাবন্দি ইমরান খানের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবার। তাঁর পুত্র কাসিম খান অভিযোগ করেছেন, কর্তৃপক্ষ তাঁর বাবার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার বিষয়ে ‘কিছু অপরিবর্তনযোগ্য’ (মৃত্যুর আশঙ্কা) তথ্য গোপন করছে। দ্য ডনের প্রতিবেদন।
ইমরান খানের বোনেরা ও তাঁর রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থকেরা আদিয়ালা জেলের বাইরে ধর্মঘট ও মানববন্ধন করে চলেছেন। পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন, তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পরিবারের সদস্যদের ইমরানের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
কাসিম রয়টার্সকে লিখিত বক্তব্যে বলেন,
‘আমার বাবা নিরাপদ আছে, আহত হয়েছে কি না বা জীবিত আছে কিনা না জানাটা মানসিক নির্যাতনের একটি রূপ। আমরা কয়েক মাস ধরে স্বাধীনভাবে কোনো যাচাই করার মতো যোগাযোগ পাইনি তার।’
কাসিমের আশঙ্কা,
‘আজ আমাদের কাছে তার অবস্থার কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যই নেই। আমাদের সবচেয়ে বড় ভয় হলো, আমাদের কাছ থেকে কিছু অনল্টারেবল তথ্য গোপন করা হচ্ছে।’
পরিবার বারবার ইমরানের ব্যক্তিগত চিকিৎসককে দেখা করার সুযোগ চেয়েছে, কিন্তু এক বছরের বেশি সময় ধরে তা অনুমোদিত হয়নি। এক জেল কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইমরান সুস্থ আছেন এবং উচ্চ নিরাপত্তার প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের কোনো পরিকল্পনা নেই।
৭২ বছর বয়সী ইমরান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে জেলে আছেন। তাঁর প্রথম রায় ছিল তোশাখানা মামলায়, যেখানে অভিযোগ ছিল সরকারি উপহার অবৈধভাবে বিক্রি করা। পরে আরও মামলায় দীর্ঘ কারাদণ্ড দেন আদালত, যার মধ্যে সাইফার কেসে ১০ বছর, আল কাদির ট্রাস্ট কেসে ১৪ বছরের সাজা দেওয়া হয়।
পিটিআই দাবি করেছে, মামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল ইমরানকে রাজনৈতিক জীবনের বাইরে রাখা এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে হটানো। ইমরানের নেতৃত্বে ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান।
ইমরান পুত্র কাসিম বলেন,
‘এই বিচ্ছিন্নতা ইচ্ছাকৃত। তারা তারকাকে ভয় পাচ্ছে। তিনি পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, এবং তারা জানে যে তারা তাকে গণতান্ত্রিকভাবে পরাস্ত করতে পারবে না।’
লন্ডনে মা জেমিমা গোল্ডস্মিথের সঙ্গে বসবাসরত কাসিম ও তাঁর বড় ভাই সুলাইমান ইসা খান সাধারণত পাকিস্তানের রাজনীতিতে সরাসরি জড়িত নন। তাঁরা বাবার কারাবাসের বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেন। কাসিম বলেন,
‘আমরা শেষবার বাবা দেখেছি ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে, যখন তিনি হত্যাচেষ্টার পর বেঁচে ছিলেন। সেই ছবি মনে আজও বেঁচে আছে। এখন সপ্তাহের পর সপ্তাহ চুপচাপ থাকা এবং জীবনের প্রমাণ না পাওয়া সেই স্মৃতিটিকে অন্য মানে দিয়েছে।’
পরিবার আদালত-নির্ধারিত দেখার সুযোগ পুনরায় নিশ্চিত করার জন্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার কাছে আবেদন করছেন। কাসিম বলেন,
‘এটি শুধু রাজনৈতিক বিরোধ নয়। এটি একটি মানবাধিকারের জরুরি অবস্থা। চাপ আসা উচিত সব দিক থেকে। আমরা বাবার কাছ থেকে শক্তি পাই, কিন্তু আমাদের জানতে হবে তিনি নিরাপদ কি না।’
মা জেমিমা আরও উল্লেখ করেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফের এক সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে, যেখানে তিনি বলেন, ইমরানের ছেলেরা বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারবে। জেমিমা বলেন, ‘তারা ফোনে কথা বলতে পর্যন্ত পারছে না। কেউ পারছে না।’
পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন ইমরানের কারাবাস পরিস্থিতি এবং পরিবারের বা আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের বারবার অস্বীকৃতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কমিটি বলেছেন,
‘প্রধান পরিবারের বা আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়মিত ও বাধাহীন যোগাযোগ একটি মৌলিক সুরক্ষা ব্যবস্থা। তা না পাওয়া অনির্দিষ্ট সময় ধরে বন্দী রাখার ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে।’
মানবাধিকার কমিশন ফেডারেল সরকার ও পাঞ্জাব হোম ডিপার্টমেন্টকে আহ্বান করেছে,
‘সব প্রক্রিয়া সংবিধানিক সুবিচার ও আন্তর্জাতিক মানবিক মানদণ্ডের সঙ্গে মিলিয়ে পরিচালনা করা হোক।’

ক্রিকেট স্কটল্যান্ড পুরুষ দলের জন্য নতুন প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ওয়েন ডকিনসকে। ৪৬ বছর বয়সী এই ইংলিশ কোচ ২০০৬ সাল থেকে গ্লুচেস্টারশায়ারের ফুলটাইম কোচ হিসেবে কাজ করছেন। অতীতে পরামর্শক হিসেবেও স্কটল্যান্ড দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
ডকিন্সের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পাবেন স্কটল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক গর্ডন ড্রামন্ড। তিনি এর আগে বোর্ডের হেড অব পারফরম্যান্স হিসেবে কাজ করছিলেন।
নতুন দায়িত্ব নিয়ে উচ্ছ্বসিত ডকিনস,
‘নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করা অসাধারণ এক সুযোগ। কোচিং দল হিসেবে আমরা কঠোর পরিশ্রম করবো, যাতে খেলোয়াড়েরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারে এবং দেশকে গর্বিত করতে পারে।’
দলে অভিজ্ঞতা ও নতুন প্রতিভার মিশ্রণ নিয়ে আশাবাদী ডকিনস। তাঁর ভাষায়,
‘আমাদের দলে এমন কিছু অভিজ্ঞ, সফল ক্রিকেটার আছে যারা এ স্তরে সফল হওয়ার পথ জানে। পাশাপাশি আছে একদল তরুণ খেলোয়াড়, যাদের যাত্রা কেবল শুরু। সবাইকে একসঙ্গে টেনে নিয়ে যাওয়াটাই মূল লক্ষ্য—তবেই আমরা আমাদের সামর্থ্যের জায়গায় পৌঁছাতে পারব।’
দলের পরিসর বাড়াতেও মনোযোগী এই নতুন কোচিং প্যানেল। ডকিনস বলেন,
‘আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি বড় প্রতিভার ভাণ্ডার তৈরি করতে—যা বর্তমান দলকে নিয়মিত চ্যালেঞ্জ করবে এবং উপরে তুলবে। এটি এক দুর্দান্ত যাত্রার শুরু। দ্রুতই দলের সঙ্গে কাজ শুরু করার জন্য মুখিয়ে আছি।’
গত সেপ্টেম্বর ডগ ওয়াটসনের বিদায়ের পর থেকেই নতুন কোচ খুঁজছিল স্কটল্যান্ড। দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন ওয়াটসন, তবে একই সঙ্গে নিজ দেশে অন্যান্য কোচিং দায়িত্বও সামলাচ্ছিলেন তিনি। জুলাইয়ে জার্সি ও ইতালির কাছে হেরে স্কটল্যান্ড ২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে না–পারায় দলের পারফরম্যান্সও ছিল সমালোচনার মুখে।

বাবর আজমের ফেরাটা হয়েছে রেকর্ডের বন্যা নিয়ে। ২০২৫ সালের ব্যস্ত সূচির শেষটায় উজ্জ্বল হয়েছে পাকিস্তানের। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে তিন দলের সিরিজের শিরোপা জিতেছে সালমান আলি আগার দল।
পাকিস্তানের বছর শুরু হয়েছিল হতাশায়— চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্বে ছিটকে পড়া। শেষটা হয়েছে বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে। এই পুরো সময়জুড়ে আলোচনা ছিল— বাবর আজমের ফিরে আসা।
২০২৫ সালটা বাবরের জন্য সহজ ছিল না। কম স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিংয়ের জন্য তাঁকে ছিটকে যেতে হয়েছিল টি–টোয়েন্টি থেকে। ফিরে এসে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন। ছুঁয়েছেন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান
টি–টোয়েন্টিতে রোহিত শর্মাকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন বাবর। ১২৯ ইনিংসে ৪৪২৯ রান তাঁর। তালিকায় দুই নম্বরে থাকা ভারতের সাবেক রোহিতের ৫১ ইনিংসে ৪২৩১ রান।
টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ৫০+ ইনিংস
টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ফিফটি প্লাস ইনিংস ছিল বিরাট কোহলির ৩৯টি। দলে ফিরে তাঁকে ছাড়িয়ে গেছেন বাবর। তাঁর ৪১টি ৫০ প্লাস ইনিংস এখন এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ফিফটিও যৌথভাবে সমান বাবর-কোহলি (৩৮টি)।
দ্রুততম ১৫ হাজার আন্তর্জাতিক রান
ফর্মের ওঠানামার মাঝেও বাবর ছুঁয়েছেন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান পূরণে পাকিস্তানের দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যাটার হয়েছেন তিনি।
২০ ওয়ানডে সেঞ্চুরি, তৃতীয় দ্রুততম
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটি ছিল বাবরের ২০তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। এতে তিনি ইতিহাসে তৃতীয় দ্রুততম ব্যাটার হিসেবে ২০ শতকে পৌঁছালেন। ইনিংস লেগেছে তাঁর ১৩৬টি। বাবরের আগে হাশিম আমলা ১০৮ ও বিরাট কোহলি ১৩৩ ইনিংসে ২০টি সেঞ্চুরি করেছিলেন।
পাকিস্তানের যৌথ সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান
২০তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটি বাবরকে পাকিস্তানের যৌথ সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ানও বানিয়েছে। তিনি ছুঁয়েছেন সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ড, তবে ম্যাচসংখ্যায় অনেক কম খেলেই।
বছরের শুরুতে সমালোচনা, দল থেকে বাদ পড়া— সবকিছুর পর ২০২৫ সালের শেষটা বাবরের জন্য পরিণত হয়েছে অর্জনের মৌসুমে। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সামনে দলকে নতুন আশার সুরও শোনাচ্ছে তাঁর ব্যাট।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নিলামের পরদিন জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) আগুন ঝরানো বোলিং করলেন হাসান মাহমুদ। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র ১২৬ রানে গুটিয়ে ফলো-অনে পড়ল আকবর আলি, নাসির হোসেনদের রংপুর।
অন্য ম্যাচে চমৎকার ব্যাটিংয়ে ডাবল সেঞ্চুরির কাছে অমিত হাসান। দিন শেষে ১৭২ রানে অপরাজিত সিলেট বিভাগের এই ব্যাটার।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২০ রানে পিছিয়ে রংপুর।
৬ উইকেটে ২৭০ রান নিয়ে দিন শুরু করে চট্টগ্রাম। জিল্লুর রহমান বিজয়ের ১১৩ রানের ইনিংসের পর শেষ দিকে হাসান মুরাদ ৩৪ ও হাসান মাহমুদ ১৯ রান করলে ৩৫০ রানে অল আউট হয় চট্টগ্রাম।
এরপর আগুন ঝরান হাসান মাহমুদ ও ইফরান হোসেন। দুজনের তোপে মাত্র ৩৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। চমৎকার ডেলিভারিতে নাসিরের মিডল স্টাম্প উড়িয়ে দেন হাসান মাহমুদ। মাত্র ১৩ রানে পূর্ণ হয় হাসানের ৫ উইকেট।
আরও পড়ুন
| শরিফুলের শক্তির জায়গাতেই জোর চান টেইট |
|
পরে তানবীর হায়দার ও আবু হাশিম ৮৮ রানের জুটি গড়লে একশ পেরোয় রংপুর। হাশিম ৩৯ রান করে আউট হন। তানবীর ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন। দুজনের চেষ্টার পরও অবশ্য ফলো-অন এড়াতে পারেনি রংপুর।
দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৪ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করে আকবরের দল। সব মিলিয়ে ৩১ রানে ৫ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয় ৫ উইকেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যারাথন রাজশাহীর বিপক্ষে জুটি গড়েছেন অমিত হাসান ও আসাদুল্লাহ আল গালিব। রাজশাহীর ২৩৬ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে সিলেটের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৭০ রান। এরই মধ্যে ১৩৪ রানে এগিয়ে গেছে তারা।
মাত্র ১০৬ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর জুটি বেধেছেন অমিত ও গালিব। এখন পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটির সংগ্রহ ২৬৪ রান। গত বছরে এনসিএলেও চতুর্থ উইকেটে ২৫১ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা দুজন।
ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি করে ২৪ চার ও ১ ছক্কায় ১৭২ রানে অপরাজিত আছেন অমিত। আর গালিব খেলছেন ১১১ রানে।
আরও পড়ুন
| অনেকে মনে করে আমি দলেই থাকার মতো না, বললেন হৃদয় |
|
খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে স্বাগতিক খুলনার চেয়ে ৪১ রানে এগিয়ে ঢাকা। খুলনার ১৯৪ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ঢাকার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৩৫ রান। ৭৭ রান করে আউট হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ। এছাড়া জিসান আলম ৫৭ ও আনিসুল ইসলাম ইমন করেছেন ৪৮ রান।
সিলেটের একাডেমি মাঠে বরিশালের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৯ রানে এগিয়ে ময়মনসিংহ। প্রথম ইনিংসে ময়মনসিংহের ৩৫৪ রানের জবাবে বরিশাল গুটিয়ে যায় ২১৭ রানে। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৯ রানে দিন শেষ করে ময়মনসিংহ।
ময়মনসিংহের পক্ষে প্রথম ইনিংসে ৮ চার ও ৭ ছক্কায় মাত্র ৭৬ বলে ৯৭ রানের ইনিংস খেলেন আবু হায়দার রনি। দশ নম্বরে নেমে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ৩৫ বলে ৫৫ রান করেন রকিবুল হাসান।
পরে বরিশালের হয়ে ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি ফজলে মাহমুদ রাব্বি। ৯২ রানের ইনিংসে ৯ চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা মারেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটার।