১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২:৪৮ এম
প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সামনে সেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই জানাতে পারেনি শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দল। তবে তৃতীয় ম্যাচে ভালোই লড়াই জমাল স্বাগতিকরা। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে লো-স্কোরিং ম্যাচে দলের ত্রাতা হয়ে আসলেন বোলাররা। তাতে মিলল জয় আর নিশ্চিত হল ওয়ানডের পর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ও।
রবিবার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ১০ রানে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে রাবেয়া খানের দলের লিড এখন ৩-০ ব্যবধানে। এর আগে ওয়ানডে সিরিজে রাবেয়া-নিগাররা জিতেছিলেন ১-০ তে।
আগের ম্যাচে রান তাড়ায় প্রথম থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং উপহার দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ওপেনাররা। সেই ধারা বজায় থাকে এই ম্যাচেও। প্রথম ১৬ বলেই বোর্ডে জমা হয় ২৮ রান, যা আভাস দিচ্ছিল দলের ভালো একটা স্কোর গড়ার। তবে গত ম্যাচের মত এই ম্যাচেও কয়েকটি দারুণ শট খেলে ২ বাউন্ডারিতে ১৩ রানে বিদায় নেন দিলারা আক্তার, যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসের।
৯ বলে সোবহানা মোস্তারির ১ রানে বিদায়ের পর গত ম্যাচে ফিফটি করা সাথি রানিও সাজঘরের পথ ধরেন ২৬ রান করে। জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানাও আউট হন অল্পে। ৬৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে এরপর ঘোর বিপদের সম্মুখীন হয় বাংলাদেশ।
সেখান থেকে বোলারদের একটা মোটামুটি লড়াই করার মত একটা স্কোর এনে দেওয়ার মূল কৃতিত্ব রিতু মনির। অন্যপ্রানে আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝে একপ্রান্ত আগলে তিনি লড়ে যান শেষ পর্যন্ত। ৩ চারে অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে। বাংলাদেশের ইনিংসে মাত্র চারজন দুই অঙ্কের ঘরে যেতে সমর্থ হন। ২০ ওভারে স্কোর দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ৯৭ রান।
এই ধরনের একটা রান ডিফেন্ড করতে হলে শুরু থেকে উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার কোনো বিকল্প নেই। প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়ে সেই কাজটা করে দেন মারুফা আক্তার। পাওয়ার প্লেতে রান আটকে দিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের চাপে ফেলে দেওয়া বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার, নেতমি পূর্ণাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন পাঁচ রানে।
২৮ রানে চার উইকেট হারানোর শ্রীলঙ্কা জয়ের আশা যোগান কৌশিনি নুতিয়াঙ্গা ও নীলকশনা সন্দামিনী। এই দুজন ক্রমশ বাংলাদেশের জন্য বিপদের কারণ হয়ে উঠছিলেন। আক্রমণে এসে বাংলাদেশকে সেখান থেকে ম্যাচে ফেরান অধিনায়ক রাবেয়া খান। এরপর শ্রীলঙ্কার দলীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করা নীলকশনাকে ফেরান ফাহিমা আক্তার।
জয়ের আশা জাগিয়েও বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ৮৭ রানে গিয়ে থাকে শ্রীলঙ্কার ইনিংস। দুটি করে উইকেট নেন নাহিদা, ফাহিমা ও রাবেয়া।
৭ অক্টোবর ২০২৪, ১:১৮ এম
৭ অক্টোবর ২০২৪, ১:১৩ এম
আগের ম্যাচে ব্যাটিং ও বোলিং, দুটিতেই ছিলেন ব্যর্থ। তবে পরের ম্যাচেই নিজেকে ফিরে পেলেন সাকিব আল হাসান। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ টি-টেন এ রবিবারের ম্যাচে টেক্সাস গ্ল্যাডিয়েটরসের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়েছেন বাংলদেশ অলরাউন্ডার। যদিও জয়ের দেখা পায়নি তার দল লস অ্যাঞ্জেলেস ওয়েভস।
সাকিব ক্রিজে গিয়েছিল ছয় নম্বর ওভারে, দলের রান তখন তিন উইকেটে ৩৯। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার টিভ ডেভিডকে নিয়ে গড়েন বিধ্বংসী এক জুটি। মাত্র ১১ বলে ২০ রান করেন সাকিব, ইনিংস সাজান তিন চার ও এক ছক্কায়। ২০ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিড। চতুর্থ উইকেটে এই দুজন যোগ করেন ৭৭ রান, যা লস অ্যাঞ্জেলেসকে এনে দেয় ১২৬ রানের লড়িয়ে স্কোর।
বল হাতেও ওপেনিং করেন এই দুজন। দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে আসেন সাকিব। নিজের দ্বিতীয় ওভারে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার ফেরান বিপজ্জনক দাভিদ মালানকে। ১৬ বলে ৩৮ রান আসে সাবেক ইংলিশ ওপেনারের ব্যাট থেকে।
সাকিব তার তৃতীয় ও শেষ ওভারে শিকার বানান নিক কেলিকে। তিন ওভারের স্পেল শেষ করেন ২ উইকেটে ৩৭ রানে। ওভার প্রতি রান দেন ১২.৩৩ করে, যা দলের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার।
১০ বলে অপরাজিত ৩৯ রান করে টেক্সাস গ্ল্যাডিয়েটরকে ৮.৫ ওভারেই জয়ের বন্দরে নিয়ে যান জেমস ফুলার। দলটিতে খেলছেন সাবেক পাকিস্তান অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদিও। যদিও ব্যাটে বা বলে ভুলে যাওয়ার মত একটা দিনই কেটেছে তার। ১ ওভারে ২৪ রান দেওয়ার পর ব্যাট হাতে পাঁচ বলে করতে পেরেছে মাত্র ২ রান।
অবসরে গেছেন তিন তারকা ক্রিকেটার, বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে আরও কয়েকজন শীর্ষ খেলোয়াড়দের। প্রায় দ্বিতীয় সারির ভারত দলের বিপক্ষেও প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। স্রেফ উড়ে গেছে সফরকারীরা। এমন হারের পর অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর মনে হচ্ছে, সামগ্রিকভাবেই দুই দলের মাঝে পার্থক্যটা বিশাল।
এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যতম শক্তিশালী বেঞ্চ ভারতেরই। দলটির মূল দলের বাইরেও যারা থাকেন, তাদের অনেকেই অন্য দেশের একাদশে অনায়াসেই জায়গা করে নেবেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) কল্যাণে প্রতি বছর উঠে আসছেন নতুন নতুন প্রতিভা। ফলে ভারতের হাতে বাড়ছে দক্ষ ক্রিকেটারের সংখ্যা। বিপরীত চিত্র বাংলাদেশের, যেখানে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পরও দলে এসেছে মাত্র তিন পরিবর্তন, যার মধ্যে একটি আবার সাকিব আল হাসানের অবসরের কারণে। অর্থাৎ, বিকল্প খেলোয়াড় খুব বেশি নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে হেরে টি-স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ অধিনায়ক অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন নিজেদের দুর্বলতার জায়গা। “এটা সত্য কথা যে দুই দলের অনেক পার্থক্য আছে। এবং এই জায়গায় অস্বীকার করার কিছু নেই। পার্থক্য আছে, এটা মাঠেও দেখা যায়, মাঠের বাইরেও দেখা যায়। আইপিএলের সাথে তো বিপিএলের তুলনা তো কখনই হবে না। তাই মাঠে ও মাঠের বাইরে আমাদের কীভাবে উন্নতি করতে হবে, সেটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। বিপিএল কীভাবে আরও ভালো করা যায়, কীভাবে আরও ক্রিকেটার এখান থেকে বের হয়ে আসতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর আমরা যারা খেলছি, তাদেরও উন্নতি করতে হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমরা এরচেয়েও ভালো দল।”
ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে ভারত ঠিক সেভাবেই খেলেছে, যেভাবে আসলে খেলা দরকার। ১২৮ রানের টার্গেট স্পর্শ করেছে ১১.৫ ওভারেই। আর এই রান করতেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন সাতে নামা মেহেদি হাসান মিরাজ। টপ অর্ডার ছিল একেবারেই ব্যর্থ, যার ফলে প্রথম ছয় ওভারে আসে মাত্র ৩৯ রান।
তবে শান্ত মনে করেন, তাদের পরিকল্পনা ঠিকই ছিল। প্রয়োজন শুধু সেটা কাজে লাগানোর। “সবার অ্যাপ্রোচ আমার ভালো লেগেছে। তবে আমাদের এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে আমরা কোন সময়ে কোন পরিস্থিতিতে কেমন শট খেলব। আমরা যে আটজন ব্যাটসম্যান খেলেছি, আমাদের সবারই এই জায়গায় খেয়াল রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস করি এই অ্যাপ্রোচে যদি আমরা সামনে খেলি, তাহলে অবশ্যই আমরা ভালো করব।”
সিরিজের প্রথম ম্যাচেই এই ধরনের হার একটা দলকে স্বাভাবিকভাবেই একটা বড় ধাক্কা দেয়। বুধবার সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে তাই বাংলাদেশকে খুব বিশেষ কিছুই করতে হবে। শান্ত বিশ্বাস রাখছেন নিজেদের সামর্থ্যে। “অবশ্যই বিশ্বাস করি আমরা কামব্যাক করতে পারি। যা বললাম, আমি বিশ্বাস করি না যে আমরা এমন দিল। আমরা এরচেয়েও ভালো দল। আশা করব পরবর্তী ম্যাচটা আরও বেশি প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ন হবে।”
৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৭ দিন আগে